বাংলাদেশে একটা প্রজন্ম আছে যারা ইন্টারনেটে বাংলা লিখতে দেখলে দৌড়াদৌড়ি শুরু করে। তারা ব্যাপারটাকে ঘৃনার চোখে দেখে। অথচ গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের এই ব্যাপারে কোন আইন নাই যে : ইন্টারনেটে বাংলা লেখা যাবে না। আইনে আছে: দেশবিরোধী ,ধর্ম বিরোধী এবং রাষ্ট্রবিরোধী এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মানপ্রাপ্ত লোককে অপমান করে সরাসরি কোন কথা লিখা যাবে না। ধর্মীয় ব্যাপারে ইংগিত পূর্ন ভাবেও লেখা যাবে না। চলেন দেখি: কোন কোন ধরনের মানুষ ইন্টারনেটে বাংলা লেখাকে ঘৃনা করে:
- যাদের মনের মধ্যে আজো দেশবিরোধী প্রজন্মের ভাষার প্রতি ভালোবাসা রয়ে গেছে তারা।
- যারা পূর্ব বাংলাকে অন্য কিছু মনে করে থাকে তারা। পূর্ব বাংলা রেজিমেন্ট, পূর্ব বাংলা রাইফেলস , পূর্ব বাংলা কমিউনিষ্ট পার্টি এইগুলো তো আর মিথ্যা কথা না। আমি মনে করি: পূর্ব বাংলা নাম থাকার কারনেই স্বাধীনতা যুদ্বে ভারত বাংলাদেশীদের কে অস্ত্র, অন্ন, বস্ত্র এবং অস্ত্রের ট্রেনিং দিয়ে সাহায্য করেছে। আর নয়তো বাংলা ভাষাতে কথা বলার কারনে বা বাংগালী হবার কারনেই সাহায্য করেছে।
- যারা বাংলাদেশে বসবাস করে বাংলাদেশ কে এবং বাংলা ভাষাকে ঘৃনা করে।
- যারা এই বাংলায় অন্য দেশের ভাষা প্রতিষ্টিত (শতরু দেশের ভাষা) করতে চেয়েছিলো তারা (১৯৫২ সালের ২১শে ফেবরুয়ারী)।
- দেশবিরোধী জানোয়ার প্রজন্ম যাদের মাথাতে প্রচুর পরিমানে ডিষ্টার্ব আছে।
- যারা জাতিগতভাবে বাংলাদেশে বসবাস করে কিন্তু তারা কথা বলে ভিন্ন ভাষাতে।
- যারা মনে মনে আজো কল্পনা করে বাংলা অন্য কোন দেশ হয়ে যাবে তারা।
- যারা ইন্টারনেটে বাংলায় একসময় ধর্মবিরোধী কথা লিখতো তারা।
ইন্টারনেটে যারা বাংলা ভাষাকে প্রতিষ্টিত করার জন্য সংগ্রাম করে গেছে এবং গুগলের সাথে বাংলা কন্টেন্ট কে মনিটাইজেশন করতে সক্ষম হয়েছে তারা উপরে উল্লেখিত সব ধরনের প্রজন্মের বিরুদ্বে লড়াই করে জিতেছে। কিন্তু সর্বশেষ উল্লেখিত যে প্রজন্ম: যারা আইডন্টেফায়েড, যাদের বিরুদ্বে বাংলার রায় আছে যে : যারা স্বজ্ঞানে স্ব্ইচ্ছায় ইন্টারনেটে মহান সৃষ্টিকর্তা বা তার নবীজিকে অপমান করে লেখালেখি করতো তাদের মধ্যে অনেকেই আজো জীবিত বলে ধারনা করা হয়। তাদেরকে ধর্মদ্রোহী বা রাষ্ট্রদ্রোহী আখ্যা দিয়ে ফাসির ব্যাপারে রায় দেয়া হয়েছিলো হেফাজতের মহাসম্মেলন থেকে - যা আজো বিচারের রায়ে সম্পূর্ন হয় নাই। যারা কাগজে লিখেছিলো বা যারা মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে লিখেছিলো বা যারা ইন্টারনেটে বিভিন্ন ধরনের ব্লগে লিখেছিলো মহান রাব্বুল আলামিনের বিরুদ্বে- যারা স্বস্বীকৃত সারা দেশে তাদের ফাসির ব্যাপারে সারা দেশ একমত ছিলো। সব ধরনের ব্লগার রা কখনো সৃষ্টিকর্তা বা বেচে থাকার ধর্মের বিরুেদ্বে লেখে নি- যারা যারা লিখেছে বিভিন্ন ধরনের প্লাটফর্ম কে ব্যবহার করে তাদের কে চিহিৃত করে রাষ্ট্রীয় ভাবে ফাসির সমাধিতে নিয়ে যাওয়াটই আমার আজকের লেখার মূল লক্ষ্য। আমি নিয়মিত রোজা রাখি, সবসময়ই কোরবানির ঈদে কুরবানি দেই, নিয়মিত নামাজ পড়ার চেষ্টা করি ১/২/৩/৪/৫ ওয়াক্ত এবং আমি ঈমানে মোফাচ্ছের ও বিশ্বাস করি। বাংলাদেশ মুসলিম দেশ। আর এ দেশের মাতৃভাষা বাংলা। আপনাদের যদি ইন্টারনেটে বাংলা ভাষাকে ঘৃনা লাগে তাহলে আপনি দয়া করে এই দেশ ছেড়ে আপনার নিজস্ব দেশে চলে যান। সেখানে আপনারা অনেক ভালো করবেন।
দেশবিরোধী প্রজন্ম কিভাবে আজো বহির্দেশীয় ভাষা প্রতিষ্টিত করার চেষ্টা করতাছে?
যেমন: ধরেন: তারা প্রকাশ্য দিবালোকে মাউথ স্পিকার ব্যবহার করে অনেক সময় আমরা যে দেশ বা যে জাতিকে ঘৃনা করি তাদের ভাষাতে কথা বলা শুরু করে। আগে কখনো এতোটা উদ্বতপূর্ন আচরন দেখি নাই যতোটা বিগত ১০/১১ বছর যাবত দেখতাছি (বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ বা জাতীয়তা নিয়ে যারা রাজনীতি করে না তাদের কথাই বলতাছি)। আগে দেখেছি তারা গোপনে বা আড়ালে বা আবডালে তাদের নিজস্ব ভাষাতে কথা বলতো- যাতে বাংলাদেশীরা কখনো না শুনে। কিন্তু থানা শাহবাগে অনুষ্টিত গনজাগরনের মাধ্যমে ৭১ এর দেশবিরোধী (ফাসি), দালাল (ফাসি) এবং রাজাকারদের (ফাসি) প্রকাশ্য দিবালোকে সারা বিশ্বের সামনে ফাসি কার্যকর করার পরে (কসাই কাদেরে ফাসি ১৪ই ডিসেম্বর ২০১৩) তাদের অত্যাচার বেড়ে গেছে- তারা বুঝতেই পারতাছে না যে তাদের দেশের সকলের সামনে আমরা দেশবিরোধী (ফাসি), দালাল (ফাসি) এবং রাজাকারদের (ফাসি) কার্যকর করেছি- তাদের মাথা নুইয়ে দিয়েছি। তাদেরকে আগেও একবার বাংলাদেশী রা পরাস্ত করেছিলেঅ- ১৯৭১ এর যুদ্বে। মুচলেকা দিয়ে গেছে যে জীবনে আর কোনদিন এদিকে আসবে না। কিন্তু কুত্তার লেজ কি আর এতো সহজে সোজা হয়। আজো তারা তাদের কর্তৃত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করতাছে একদণ চিৎকার চেচামেচি বাহিণী দ্বারা । যাদের েএকমতা্র কাজ সারা দিন দেশের যে কোন ব্যাপার নিয়ে চিৎকার চোমেচি করা। প্রকাশ্য দিবালোকে বলতে পারে না বা লিখতেও পারে না- শুধূ পারে মনের আক্রোমে উপরের দিকে তাকিয়ে চিৎকার করতে। উপরের দিকে অনেক সময় ফ্যানও থাকে। একটু চেষ্টা করে বাংলার বিদ্বেষীরা ঝুলে পড়লেই বাংলাদেশীদের জন্য অনেক কিছু সহজ হয়ে যাইতো। বাংলাদেশী বা বাংগালীরা এমনিতেই মারাত্মক পরিশ্রমী জাতি।
আপনি শুনলে অবাক হবেন যে: বাংলাদেশ নাম উচ্চারন করে বা বাংলাদেশ নাম ব্যবহার করে এরকম অনেক লোকেরআ বৈধ জাতীয় পরিচয়পত্র নাই- কারন তারা চির বেহায়া বা চির ছ্যাচড়া। তারা সবসময়ই এদেশটাকে বেচে চলতে চায়। দুর্নীতি, চুরি, বাটপারি এদের নিত্য প্রয়োজণীয় কাজ কারবার। আবার সারা দেশে দেখবেন তাদের বইগুলোর উপরে লেখা থাকবে যে সেই বইগুলো অন্য আরেক দেশের ভাষা থেকে অনুবাদ করা। এমন একটা দেশের ভাষা থেকে অনুবাদ করা যাদের আশে পাশে ১০০% মুসলিম দেশের অবস্থান। আর তারা তাদের নিজেদের চারদিকে না তাকিয়ে সরাসরি পৃথিবীর একমাত্র বৃহৎ হিন্দু রাষ্ট্র (মানুষ প্রায় ১৫০ কোটি) দ্বারা ঘেরা বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে থাকবে। (শালার এতো ছ্যাচড়াও মানুষ হয়- ছ্যাচড়ামির একটা লিমিট থাকার দরকার ছিলো।) মনে পড়ে থানা শাহবাগ গনজাগরনের একটা স্লোগান: "The Black devil of F akistan- GO back to F kistan". ফা কিস্তানের প্রেতাত্মা ফা কিস্তানে ফিরে যা! বাংলা তোর বাপ দাদাদের দেশ না। একটা কথা কখনো ভুলা যাবে না: বাংলার চারিদিকে পৃথিবীর অন্যতম সামরিক ক্ষমতাধর দেশের সেনাবাহিণী: ভারতীয় আর্মি। জাতে হিন্দু হলেও: হিন্দু মুসলিম ভাই ভাই, সবাই বলে যাই যাই।
ইন্টারনেটে খুব ভালো আয় উপার্জন করার ক্ষেত্রে আমরা এদের (বাংলা বিদ্বেষীদের) কারনে কি কি সমস্যায় পড়েছি?
সারা বিশ্বে যারা ইন্টারনেট প্রোগামার তারা অনেক আগে থেকেই একটা সিদ্বান্তে উপনীত হয়েছিলো যে: যারা বাস্তব জীবনে বা প্রাত্যহিক জীবনে বাই সেক্সুয়াল তারা সারা দিনের ২৪ ঘন্টার মধ্যে ইন্টারনটে ব্যবহার করতে পারবে ১৫ মিনিট। আমরা যেদিন তাদের উপস্থিতি পাই ইন্টারনেটে সেদিন তাদেরকে আমরা বলি: তোমাদের কারনে আমাদের ইন্টারনেটে সমস্যায় পড়ি। তারা জিজ্ঞাসা করে যে: আমার কারা? তো আমরা উত্তর দেই যে : আমরা ইন্টারনেট প্রোগ্রামার। আমরা সারা বিশ্বের ইন্টারনেট ডিষ্ট্রিবিউশেনে কাজ করি। আমরা ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক প্রোগ্রামার বা আমরা ইন্টারনেটে সোশাল মিডিয়া ডেভেলপার- তখনকার হিসাবে। তাও তারা সরতে রাজী হয় নাই দেখে পরে আবারো জিজ্ঞাসা করি যে: তোমাদের কাছে প্রিয় জিনিস কি? তো বলতাছে :বাই সেক্সুয়াল কাজ করা ( বো বুঝতে পারলাম যে: তারা মানুষ না সম্ভবত)। তো তখন বিভিন্ন দেশে এদের বিুরদ্বে প্রতিবাদ করা হয় যে: তাদের কারনে ইন্টারনেট প্রোগ্রামার দের সমস্যা হয়। তো তারা রাজী হয় যে: সারা দিনে তারা অনলি ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবে। সেই হিসাবে বিশ্বের মিনিমাম ১০০ দেশের সব শহরে এই নিয়ম পালন করা হইতাছে। সাধারনত যারা বাই সেক্সুয়াল তারা সবসময় ইন্টারনেট ব্যবহার করে না। তারা হঠাৎ হঠাৎ আসে: সোশাল মিডয়া ষ্ট্যাটাস আপডেট করে চলে যায় বা ইমেইল চেক করে অনলি। ইন্টারনেট যেহেতু একটা ইনফিনিটিভ শক্তির আধার হিসাবে বিবেচনা করা হয় সে কারনে বাই সেক্সুয়ালদেরকে এইখান থেকে সবসময় দূরে থাকতে বলা হয়। আর নয়তো যারা এই বিশ্বে প্রথমদিন থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করে তারা আমরা ধারনা করি যে : তারা (বােই সেক্সুয়াল রা) হঠাৎ করে মানুষ থেকে পশুতে রুপান্তরিত হয়ে যাইতে পারে। কারন তারা পশুর চেয়েও অধম। পশুরাও কখনো বাই সেকস্সুয়াল সেক্স করে না। ধারনা করা হয় তারা টেষ্টটিউব। কারন মানুষের মাঝে Matter of Humanity বলে একটা বিষয় আছে যেই কারনে এই ধরনের ভুল সে একবারের বেশী দুইবার করতে পারে না স্বইচ্চায় বা স্বজ্ঞানে। প্রাপ্ত বয়স্কে একবার ভুল করলে স্বয়ং সৃষ্টিকর্তাও মাফ করে দেয়।
বাংলাদেশের ফ্রি ল্যান্সার/মার্কেটপ্লেস/আউটসোর্সিং জগতে এদের পদচারনা শুরু হয় তখন আমাদের কাজ করবার দেখে মনে হয় তারা পরিকল্পনা করে যে তারা ইন্টারনেটে একটা গ্যানজাম করবে। আমাদের পরিকল্পনা ছিলো: এদশের সকল শিক্ষিত মানুষের সাথে ডলার কানেকটিভিটি থাকবে। হয়েছেও তাই। আমরা বলতে বুঝি যারা আমরা প্রথম থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করি। প্রথম বাংলাদেশে যে গ্যানজাম হয়: তা হলো বিভিন্ন ধরনের ল্যান্সিং প্রোগ্রাম: (ডু ল্যান্সার, স্কাই ল্যান্সার বা আরো অনেক ধরনরে বাল ছাল ল্যান্সার বলে বিপুল পরিমান টাকা হাতাইয়া নেয় একটি সংগবদ্ধ চক্র) প্রথম ধাক্কা ২০০৬ পর্যন্ত। তখনকার দিনে প্র্যেকটা ছেরে বা মেয়ে জনপ্রতি ৭/৮ লক্ষ( আমি ছাড়া) টাকা ধরা খায়। ভাবতে পারেন তখন চালের দাম ছিলো ৫/৬টাকা কেজি। ইন্টারনেট প্রজন্ম কে পংগু বানানোর ধান্ধা। তখন বর্তমানে যারা ইন্টারনেটের কথা বার্তা বলে বেড়ায় তারা ছিলো রাস্তাঘাটের পাতি মাস্তান।
তারপরেও থেমে থাকে নাই বাংলাদেশীরা। বিপুল পরিক্রমায় এগিয়ে যায়। বিশেষ করে বাংলাদেশ সামরিক বাহিণীর ২ বছরের শাসন বলতে গেলে সারা দেশের ইন্টারনেটের ভিত্তি স্থাপন করে দেয়। সারা দেশের ছেলে এবং মেয়েদেরকে ক্রমাগত ইন্টারনেটের সামনে বসিয়ে রাখতো এবং বাহিরে ছিলো কার্ফুর মতো। সেই সামরিক বাহিণী পরিকল্পনা করে ডিজিটাল বাংলাদেশ যার সকল প্রজক্টে এই ৫০ বছল স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে শেষ হবার কথা। সবগুলেঅ প্রজেক্ট আমি সকাল ৮টা তে ঘুরে দেখেছিলাম: গুনেছিলাম ৪৫ টা প্রজেক্ট যার সবগুলোই সাকসেসফুল এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন প্রজেক্ট: বর্তমানের জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগ- বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয় যেটার প্রজেক্ট চলাকালীন নাম ছিলো : ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রনয়ন ও জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান (PERP & FINIDC)। আর এখন তো সবাই যার যার ভোটার রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার দিয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের ওয়েবসাইট থেকে দেখে নিতে পারতাছে যার যার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর। বিগত ২বছর ধরে এখন আর সেটা জাতিসংঘের প্রজেক্ট না।
দ্বিতীয় ধাক্কা আসে : ইন্টারনেটে নাস্তিক (আস্তাগফিরুল্লাহ) প্রজন্মের উথ্থান। আমি ছোট বেলা থেকেই জানতাম যারা বাই সেক্সুয়াল তারা সাধারনত নাস্তিক হয়। কিন্তু কেউ প্রকাশ্যে বলতো না। ইন্টারনেটেও একটা প্রজন্ম সারা দেশের ফ্রি ল্যান্সার দেরকে থামানোর জন্য মানুসের মস্তিষ্কে আঘাত করার জন্য নাস্তিকধর্মী কথা লিখা শুরু করে (যা আমি কখনো পড়েও দেখি নাই ২ টা আর্টিকেল ছাড়া- আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে লিখি নাই কখনো বা জানতাম না।) ২০০৯/২০১০ সালে বাংলাদেশ সামরিক বাহিণীর ডিজিটাল বাংলাদেশে কাজ করার সুবাদে একজন এসবি (স্পেশাল ব্রাঞ্চ) অফিসার অনুরোধ করে বলে যে: তুমি ইন্টারনেটে কি কাজ করো্? তো বললাম যে: ডলারের কাজ করি। তো বলতাছে তোমাকে একটা ওয়েবসাইট এড্রস দেই, দেখে বা পড়ে আমাদেরকে বলবা যে: সেই ওয়েবসাইটটা যারা লেখালেখি করে তারা কি রকম? পরে পড়ে দেখলাম যে: তারা ধর্মবিরোধী কথা লিখে কিছুটা। যেহেতু ডলার বা রেমিটেন্স আনি সেহেতু আমার মোটামুটি ভালো একটা ভ্যালু ছিলো তাই মতামতটা এসবি কে জানাতে তারা বললো যে: ঠিক আছে : আমরাও তাই সন্দেহ করি। সম্পূর্ন পরিকল্পনা মাফিক বাংলাদেশে সমস্ত আধুনিক ছেলে বা মেয়েদের আড্ডা থানা শাহবাগ গনজাগরনরে আড্ডা কে ভাংগার জন্য এবং গনজাগরন কে ভন্ডুল করার জন্য বাংলাদেশে বসবারত কিছু ছ্যাচড়া এমন একটি কাজ করে যা আজো সারা বিশ্বে কলংকিত। শাহবাগে যারা আড্ডা দিতো তাদের বেশীর ভাগ ই আমার সাথে পরিচিত বা ইন্টারনেটে কানেক্টেড ছিলো। আমরা জীবনে কোনদিন সেই ধরনের কোন কথা শুনি নাই( আমি 1986 সাল থেকে শাহবাগ চিনি আর নিয়মিত আসা যাওয়া করি ১৯৯৮ সাল থেকে বা বসে আড্ডা দেই)। একটা সার্কেলের যদি কেউ খারাপ হয় তাহলে সেটা আগুণের মতো ছড়িয়ে পড়ে। ২০১৩ সালে অনুষ্টেয় থানা শাহবাগের গনজাগরনর সম্পূর্ন পরিকল্পনা মাফিক একটা নাস্তিক (আস্তাগফিরুল্লাহ) গ্ররপ থাবা বাবা নামের একটি নাস্তিক (আস্তাগফিরুল্লাহ) ব্লগ লিখে শাহবাগে চলমান গনজাগরনরে মাঝে চালান করে যার কারনে সারা দেশের মানুষ তাৎক্ষনিক ভাবে জীবনেও ব্লগ না করা থানা শাহবাগের প্রায় কোটির উপরে মানুষজনের নেটওয়ার্ককে ভুল বোঝে যে ভুল ভাংগাতে আজো এখনো চেস্টা করতে হইতাছে সারা দেশের মানুষের কাছে।
প্রথমে বলা হয়েছে: থানা শাহবাগের কেউ ব্লগ বা ব্লগিং বা ব্লগারের সাথে জড়িত না। সেকেন্ডলি না পেরে বলা হয়েছে: ”নাস্তিক না আস্তিক জানে মোর খোতা: তুই বলার কে? থানা শাহবাগের গনজাগরনের যতো মানুষের সাথে মেলামেশা করেছি কেউ কোনদিন কোন ব্লগ নিয়ে আলোচনা করে নাই- বলতে গেলে তারা সারা দেশের গ্রাম বাংলার মানুষ । একমাত্র আলোচনার বিষয়বস্তু ছিলো: ফেসবুক । জীবনেও কোনদিন প্রমান পাই নাই ব্লগ নিয়ে কোন কিছু। আমার এই ব্লগ টা তখন চালু ছিলো। তখন আমি ইংরেজীতে ব্লগ পোষ্ট করতাম - ফ্রি ল্যান্সার/মার্কেটপ্লেস/আউটসোর্সিং নিয়ে। তখন আইকানের (ICANN) একটা নিয়ম ভাংগার জণ্য আমার এই ব্লগ এড্রসটা (masudbcl.blogspot.com) ৭ বছর বন্ধ ছিলো এবং ২০১১ সালের ৭ বছর পরে ২০১৮ সালে আমি আমার এই ব্লগ (masudbcl.com) টা ফেরত পাই। আর এর মাঝে তৈরী হয়েছে বাংলা কন্টেন্ট মনিটেইজেশণ। বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি: ব্লগার ডট কম ওয়েব ২.০ প্রোগ্রামিং করতাম এসইও কাজ করার জন্য এবং একমাত্র শাহবাগ গনজাগরনের আগের সার্কেলে একমাত্র ব্লগ ছিলো আমার এবং সেখানে আমি কোনদিন কোন ধর্মবিরোধী কথা লিখি নাই। আমার লেখার বিষয়বস্তু ছিলো কিভাবে সাার বিশ্বের ছেলে বা মেয়েরা ফ্রিল্যান্সার হতে পারে এবং তা ইংরেজী ভাষাতে। যতোদূর জেনেছি: আমি কেনো সারা বিশ্বে ফ্রি ল্যান্সার বা মার্কেটপ্লেস রিলেটেড কাজ ছড়ানোর চেষ্টা করেছি সেটা ছিলো আইকান থেকে শাস্তি পাবার মূল কারন এখনো আমার একটা জিমেইল ইন একটিভ (masudbcl@gmail.com).
তো যেই খানকির পোলারা ইন্টারনেটে ব্লগার ডট কম প্লাটফরম ব্যবহার করে রাজধানী ঢাকা শহরে কে কোন খান থেকে বসে ধর্মবিরোধী কথা লিখে সেরকম একটা ডিটেইলস রিপোর্ট কার কার কি আইপি, কে কোন ডিভাইস ব্যবহার করতাছে, কার কি অপারেটিং সিষ্টেম, কে কি কোন মোবাইল ইন্টারনেট বা ব্রডব্যান্ড কানেকশন ব্যবহার করতাছে- এরকম একটি রিপোর্ট এর কথা তখন শোনা যায় এবং তারপর থেকে দেখি: সেই খানকির ছাওয়াল রা বাই সেক্সুয়াল আর ইন্টারনেটে পিঠ দেখায় (মানে মনের চোখে দেখা যায়)। বয়স হয়ে যাবার পরেও সে বা তারা সাারাদিন ইন্টারনেট ব্যবহার করে বসে বসে। তাদের প্রধান সমস্যা তারা বোধ করি বাংলাদেশের নাগরিক না কিন্তু তারা বাংলাদেশের প্রশাসনের কাছ থেকে একটা সেল্টার পায় বোধ করি নয়তো এতোদিন সেই সকল নাস্তিক (আস্তাগফিরুল্লাহ) ব্লগারদের ফাসি হয়ে যাবার কথা। এর পর থেকে তারা যখন ইন্টারনেট ব্যবহার করে তখন তাদের পিঠ দেখা যায় এই বিশ্বে। এক কথায় যেহেতু তারা বাই সেক্সুয়াল এবং নাস্তিক (আস্তাগফিরুল্লাহ) প্রজন্ম মে বি: তাই ইন্টারনেটে বসলে তাদের পিঠের অংশ দেখা যায়। তারা সেই নাস্তিক (আস্তাগফিরুল্লাহ) কথা বার্তা লিখতো বাংলাতে। ফলে সারা দেশে যারা ইন্টারনেটে বাংলা লিখতো কবিতা, গল্প, ছন্দ তারা একটা বিশাল কষ্ট পায়। আমাকেও লিখতে বলতো গল্প বা ছড়া। আমি বলতাম: গুগলের মনিটাইজেশন আসুক তারপরে লিখবো। যেমন:এখণ লিখতাছি। আজো আমরা সারা বিশ্বে ইন্টারনেটে যারা নাস্তিক (আস্তাগফিরুল্লাহ) কথা লিখতো তাদের ফাসি কার্যকর করার দাবী জানাই। হেফাজতের কিছূ লোকজন এবং আরো সারা দেশের অনেকের সাথে কথা বলে শিওর হওয়া গেছে যে: সেই নাস্তিক (আস্তাগফিরুল্লাহ) কথা যারা লিখতো তাদেরকে যারা দেশের ভেতরে থেকে সেল্টার দিতাছে তারা নিশ্চিতভাবে জাহান্নামী।
আর তৃতীয় ধাক্কা: বর্তমানে তৈরী হওয়া ইন্টারনেটে হ্যকাার গুরপ যারা পুরোদমে আইন প্রশাসনের সামনে বসে ইন্টারনেটে একেকসময় একেক খানে একেক দেশ হ্যাক করে যাইতাছে বা চেষ্টা করে যাইতাছে যেখানে বাংলোদেশ বা তার পতাকা প্রতিনিয়ত অবনমিত হয়ে যাইতাছে। হয়তো একদিন ইন্টারনেট বাংলাদেশ থেকে চলেই যাবে আর যারা বাংগালীর ক্ষত করার : ১৯৭১ এর দেশবিরোধী (ফাসি) প্রজন্ম তারা মনে মনে খুশিই হবে যে বাংগালীর একটা চিরস্থায়ী ক্ষতি করে দিতে পারলো তারা। যেমন: ১৯২.১৬৮.০.১ লিখে সার্চ দিলে আগে বাংলাদেশ পাওয়া যাইতো: বাংলোদেশের জন্য বরাদ্দকৃত আইপি এখন আর সেটা পাওয়া যায় না।
শুনেছি (হাছা মিছা জানি না) : নাস্তিক (আস্তাগফিরুল্লাহ) কথা যারা লিখতো তাদের ব্যাপারে একটা তথ্য জেনেছিলাম: একদল ইউরোপিয়ান বা আমেরিকানদের ঢাকা শহরে অনেক অনেক সম্পত্তি ছিলো : যারা বিভিন্ন দেশ থেকে ঢাকা শহরে এসেছিলো এবং তারা তাদের প্রয়োজনে বিপুল পরিমান জায়গা জমি কিনেছিলো বেচে থাকার স্বার্থে। সেই নাস্তিক (আস্তাগফিরুল্লাহ) ব্লগার রা পরিকল্পনা করে সেই সকল জমি জায়গা তে বসে এই কাজ করেছিলো সেই সকল সম্পত্তিতে চিরস্থায়ী ভাবে থাকার জন্য। পরে যখন অনুসন্ধান হয় তখন বের হয় যে : সম্পত্তিগুলোর মালিক ইউরোপিয়ান এবং আমেরিকান রা। অথচ বাংলাদেশে বসবাস করার জন্য তাদের যে প্রয়োজণীয় কাগজপত্র গুলো দরকার সেগুলো ছিলো।। আর জাতিসংগের কাছে ব্যাপারটা উল্লেখ করার পরে জাতিসংগ সিদ্বান্ত নিয়ে যাদের সম্পত্তি তাদেরকে সম্পত্তির যা দাম তা দিয়ে দেবার জন্য বিবচেনা করে। পরে বাংলাদেশে আইন তৈরী হয়: পুলিশ ভাড়াটিয়া আইন। এই আইন মোতাবেক বাংলাদেশ পুলিশ যে কোন সময় যে কোন বাড়ি ফ্লাট এবং তার ডিটেইলস পরীক্ষা করে দেখতে পারবে। এই আইন টা সত্য কিন্তু পুরো ঘটনাটা আমি কোথায় শুনেছি ঠিক মনে নাই আর সেই বিষয়ে ডিটেইলস তথ্যও নাই। তো আজো তারা সেই সকল বাড়ি, ঘর, বিল্ডিং এ বসে যারা সমানে ২ নম্বরি করে যাইতাছে আর এই দেশের সরকার আইন বা প্রশাসন যেনো দেখেও না দেখার ভান করে যাইতাছে যার প্রমান হইতাছে যারা নাস্তিক (আস্তাগফিরুল্লাহ) ব্লগ লিখেছিলো তাদের মধ্যে কাউকেও আজো ফাসি দেয় নাই। যার দাবী ছিলো হেফাজত এমং শাহবাগ গনজাগরনের সহ সকলের। বাংলাদেশের একটি ধর্মান্ধ গোষ্টী আজো ২০১৩ সালে থানা শাহবাগের গনজাগরনের বাংলা স্লোগান জয় বাংলা স্লোগানধারীদেরকে নাস্তিক (আস্তাগফিরুল্লাহ) বলে ফেলায়। অথচ জয় বাংলা কিন্তু বাংগালীর প্রানের স্লোগান। মাঝে মাঝে তারা শাহবাগকেও (ষেখানে কিন্তু একটি মাজার আছে যার নাম শাহবাগের মাজার বা হাইকোর্টের মাজার) নাস্তিক (আস্তাগফিরুল্লাহ) বলে ফেলায় কিন্তু ব্যাপারটা ঠিক না।শাহবাগ কিন্তু একটি জায়গার নাম : থানা শাহবাগ। মাঝে মাঝে তারা গনজাগরনরে সকল ধর্ম বর্নের লোক কে কটু কথা বলতেও ছাড়ে নাই। সেই ইউরোপিয়ান বা আমেরিকান দের সম্পত্তি যদি জাতিসংঘ নিয়ে থাকে তাহলে শুনেছি অদূর ভবিষ্যতে সেই সকল বিল্ডিং থেকে হলি কোরান বা হলি ইনজিল বই বিতরন করা হবে মুসলিম এবং খ্রীষ্টানদের জন্য। সেইখানে সেই সকল অভিশপ্ত জায়গাগুলোতে আর কখনোই কোন ইউরোপিয়ান বা আমেরিকান দের বংশধর রা বসবাস করতে পাবে না- তারা শুধূ তাদের জায়গা জমি ফ্লাট বাড়ির ন্যায্য দাম খুজে বেড়াবে বা থারা হয়তো সেগুলো জাতিসংগের কাছে সেল করে দিয়েছে বা সেল করে ণ্যায্য দাম পেয়ে গেছে বা পাবার অপেক্ষায় আছে।
নাস্তিক (আস্তাগফিরুল্লাহ) কথা যারা লিখেছে তারা যদি ইন্টারনেটে শারিরীক প্রেশার না দিতো তাহলে যারা ফ্রি ল্যান্সার/মার্কেটপ্লেস/আউটসোর্সিং ওয়ার্কার তারা হয়তো প্রত্যেকেই কোটিপতি হয়ে থাকতো।