Translate

Wednesday, September 30, 2020

BREAKING: রিফাত হত্যায় স্ত্রী মিন্নিসহ ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড | Rifat Verdict





আমার ধারনা ছিলো পরিস্থিতি বিবেচনায় মিন্নীকে হয়তো যাবজ্জীবন দেয়া হবে । সে আকর্ষনীয়া হবার কারনে তাকে নানা ধরনের ছেলেরা বাজে ভাবে উত্যক্ত করেছিলো যার ফলে সে মানসিকভাবে ষ্ট্যাবল ছিলো না। আরো সে ইয়াবা আসক্ত ছিলো। নেশাখোর ছেলে মেয়ে এবং অল্প বয়স এর বিবেচনায় এই মামলায় মিন্নী যাবজ্জীবন পাইতে পারে বলে ধারনা করেছিলাম। হয়তো রায়ের বিরুদ্বে উচ্চ আদালতে আপিল হবে। দেখা যাক- সামনে আরো কি আসে? রিফাত হত্যা ব্যাপারটা কিশোর বা বয়সে তরুন গ্যাং য়ের অনেকটা। সেই হিসাবে তাদেরকে বড় সড় রায় ফাসি না দিয়ে যাবজ্জীবন দেয়া যাইতো। ঠিক কার আঘাতে রিফাত ফরাজী শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেছে তাও কেউ জানে না? সেই হিসাবে তাদেরকে বর্তমান আইনের যাবজ্জীবন ৩০ বছর সশ্রম কারাদন্ড দেয়া যাইতো। যাই হোক- বিজ্ঞ আদালতের রায়  যাদের বিরাুদ্বে তাদের মানসিক অবস্থাটা উচ্চ আদালত আশা করি বিবেচনা করবে যদি এই রায়ের বিরুদ্বে উচ্চ আদালতে আপিল হয়। ্এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নেয়া উচিত দেশের সকল কিশোর তরুন গ্যাংবাজদের।বিশেষ করে টিকটক তরুনদের। টিকটক হৃদয়ের জড়িত থাকাটা দেশের টিকটক  ইতিহাসে প্রথম মার্ডারের ঘটনা। এর আগেও ২/১ টা ঘটনা ঘটেছে- সেখানে টিকটক করতে যােইয়া মারা যাবার মতো অবস্থা ও হয়েছে। 

masudbcl.com ডোমেইন ফেরত পাওয়া। ডোমেইন অকশন।


পারস্পরিক সম্মতির উপরে ভিত্তি করে বায়ার এবং সেলারের মাঝখানে  পূর্বে কনো ডোমেইন নিয়ে যে সমঝোতা বা দর কষাকষি তাকে ডোমেইন অকশন বলা হয়। অনেকেই অনকে সময় অনকে কারনে ডোমেইন কিনে থাকে কিন্তু ব্যবহার করে থাকে না। ডোমেইন পার্ক করার জন্য ও অনেকে অনেক সময় ডোমেইন কিনে রাখে। কিন্তু সময় মতো সেটাকে কাজে লাগাতে পারে না। তখন সে ডোমেইনগুঅোকে অকশনে কাজে লাগানো যায়। মাঝে মাঝে আশাতীত দামও পাওয়া যায়। ডোমেইন অকশনকে এই কারনে অনেকেই পারফেক্ট মার্কেটপ্লেস মনে করে পারফেক্ট ডোমেইন নেম পাবার জন্য। আপনি যদি পারসোনাল কোন কারনে বা ব্যবসায়িক কোন কারনে একটি ওয়েবসাইট মেক করে থাকেন আর সেখানে আপনি আপনার মতো ডোমেইন কিনে থাকেন তাহলে সেটা ল্যাংক এ আসতে সময় লাগতে পারে। হোয়াইট হ্যাট এসইও এর খুব দরকারি একটা ব্যাপারের নাম হইতাছে ডোমেইন র‌্যাংক। আপানর ডোমেইন টা যদি  কি ওয়ার্ড বেজড এ ডোমেইন হয় সে ক্ষেত্রে আপনার ডোমেইন টা পপুলার হবার সম্ভাবনা থাকে বেশী। আর যদি পপুলার কি ওয়ার্ডের উপর ভিত্তি করে না হয় তাহলে সে ডোমেইনটাকে র‌্যাংক পাওয়ানোর জন্য আপনাকে মোটামুটি ভালো মানের  এসইও কাজ করতে হবে।সে জন্য আগে থেকে র‌্যাংক করা বা আগে থেকে পুপলার বা টপ লেভেল ডোমেইন পাবার জণ্য ডোমেইন সেলার ওয়েভসাইট গুলো অকশনের সুযোগ দেয় যেগুলো আপনি কিনে আপনার ওয়েবসাইটের সাথে ব্যবহার করলে অনেক সময় ভালো মানের ভিজিটর পাওয়া যায়। আপনার যদি অনেকগুলো ডোমেইন থাকে আর আপনি যদি সেগুলোকে র‌্যাংক করানোর চেষ্টা করতে থাকেন তাহলে আপনার ডোমেইনের ভ্যালু ডে বাই ডে বাড়তে থাকবে। আপনি যদি চান একসময় আপনি সেগুলোকে অকশন সাটের মাধ্যমে সেল ও করে দিতে পারবেন। আপনি যদি ইবে এর সাথে পরিচিত হয়ে থাকেন তাহলে আপনি বিড বা অকশন এর ব্যাপারে অলরেডী জেনে থাকবেন। জনপ্রিয় প্রোডাক্ট বিডিও ওয়েবসাইট  ইবে এর সাথে আপনি যদি পপুলার হয়ে থাকেন তাহলে আপনি যে কোন ডোমেইন বিডিং সেকসানে অনকে খুটি নাটি জেনে থাকবেন। অনকে ডোমেইন সেলার অকশন সাইট আছে যেখানে আপনি বিড প্রাইজ রিজার্ভ করে রাখতে পারবেন। আপনি একটি নির্দিষ্ট এমাউন্ট ফিক্সডও করে রাখতে পারবনে। আবার একটা নির্দিষ্ট সময়ের মদ্যে যদি আপনি আপনার সাইট টা সেল না করেত পারেন িফক্সড প্রাইজে তাহলে আপনি আবারো সেই ডোমেইন এর জণ্য বিডিং প্রাইজ বা অকশন প্রাইজ টা ইনক্রিজও করতে পারবেন। সবসময় লেটেষ্ট ডোমেইন অকশন সাইট টাকে পাবার জন্য আপনি আপনার ব্রাউজারে গগুল ডট কম লিখে সার্চ দেন এবং Domain Auction লিখে সার্চ দেন। 

GoDaddy Domain Auction

Namecheap Domain Auction

Expired Domain Auction


নেইমচিপ ডোমেইন অকশন ডিটেইলস

পৃথিবী বিখ্যাত ডোমেইন সেলার কোম্পানী নেমচিপেরও ডোমেইন সেলার মার্কেটপ্লেস অপশন আছে। আবার আছে টপ লেভেল ডোমেইন সেকসানও ।   হোয়াইট হ্যাট এসইওতে একটা ফাংশণ আছে নাম: ডোমেইন এসইও। শুধু ডোমেইন লিংকটাকে লিংক বিল্ডিং করার জন্য ডোমেইন এসইও করা যায়। আপানর ডোমেইনরে নামে যদি অসংখ্য ব্যাক লিংক থাকে তাহলে আপনার ডোমেইন টা সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশনের টেকনিক অনুযায়ী র‌্যাংক এ নিয়ে আসা যাবে। 


একটা ডোমেইনরে ৩ টা অংশ থাকবে। আমরা আমাদের কথা বার্তার সুবিধার্থে সারা বিশ্বে ডোমেইন নেমগুলোকে শর্ট নেম হিসাবে ডেকে থাকি। যেমন: masudbcl.com কিন্তু আপনি যখন ডোমেইন টা লিখতে যাবেন তখন সে অটোমেটিক্যালি একটা ফরম্যাট ধরবে যেটাকে আমরা https:// or http:// or www. এরকম আসবে। আর সবার শেষে আসবে .com/.net/.org/.edu/.gov. তাহলে একটা ডোমেইনের ৩ টা অপশন পাওয়া গেলো: 

Protocol+Keyword+Extensions


৩টা অংশ যদি না থাকে তাহলে ডোমেইন তৈরী হবে না। আবার একটা ডোমেইন থেকে অনেক অনেক সাব ডোমেইন তৈরী করা যায়। সাব ডোমেইন গুলো কে কয়েকভাবে প্রকাশ করা যায়। পপুলার ২ টা উপায় হইতাছে: 

http://masudbcl.blogspot.com  (Method: একটা ডট বেশী)
https://www.masudbcl.xyz/p/payment-proof.html (Method: Slash[/])


আমার েডোমেইনটা আমি সুদীর্ঘ ৯ বছর  চেষ্টা করে পেয়েছি। তবে মনে ঞয় ডোমেইনটা অকশনে ছিলো না। কারন অকশেন থাকলে আমি খালি পাওয়া মাত্র ডোমেইনটা কিনতে পারতাম না। আবার যদি অকশনে থাকে সেটাও কোন প্রমান আমার কাছে নাই কারন অকশনে থাকা লিষ্টি গুলেঅ কখনো আমার চোখে পড়ে নাই।  

এইভাবে আপনি অসংখ্য সাব ডোমেইন বানাতে পারবেন। আপনার যতোগুলো মনে চায় ততোগুলো সাব ডোমেইন তৈরী করতে পারবেন একটা ডোমেইন নিয়ে। আপনি যদি মনে করেন আপনার ১০০ জন গ্রুপ মেম্বার আছে আর আপনি প্রত্যেখকে একটা করে সাব ডোমেইন দিতে চান তাহলে আপনি স্লেস বা ডট মেথডে ১০০ জনকেই একটা ডোমেইন থেকে ১০০ সাব ডোমেইন তৈরী করে দিতে পারবেন। এই মেথডে কাজ করে তাকে ব্লগার বা ব্লগস্পট ডট কম। যারা ব্লগার দিয়ে ব্লগকে মিনটাইজেশন করে ডলার উপার্জন করতে চান তাদের জন্য আমার একটা ফ্রি ইউটিউব  ভিডিও টিউটোরিয়াল আছে। 







আপনি একটি জিমেইল এড্রস দিয়ে একটি ব্লগ বানানোর পরে আরো ৯৯ টা ব্লগ বানাতে পারবেন। এইভাবে আপনি একটি ব্লগার কম্যুনিটি তৈরী করতে পারবেন। ব্লগার+জিমেইল+এডসেন্স মনিটাইজেশন এই ৩ টা ই গগুল ইনকরপোরেশনের প্রোডাক্ট এবং এখন পর্যন্ত ফ্রি। ব্লগার ডট কমের সাথে হোষ্টিং টা আনলিমিটেড এবং ফ্রি দিয়ে থাকে ব্লগার ডট কম। আপনিও চাইলে সাব ডোমেইন বেজড এ একটা ব্লগ ওপেন করে তার সাথে নিয়মিত কন্টেন্ট লিখে তাকে মনিটােইজেশন করে উপার্জন শুরু করতে পারবেন যা আপনার দেশের জন্য রেমিটেন্স নিয়ে আসতে সাহায্য করবে। 

নীচে একটা এসইও ফ্যাক্টর দেখানো হলো। একটা ওয়েবসাইটের অনেকগুলো ডোমেইন ফ্যাক্টর । বেসিকালি ডোমেইন অথোরিটি নামের একটা বিষয় আছে যেটাকে DA- Domain Authority  নামে প্রকাশ করা হয়। আমি ৩ টা ছবি এড করেছি যেখানে ৩ টা ওয়েবসাইটের DA- Domain Authority দেখানো হবে। প্রথমটা একদম নতুন ডোমেইন ২ দিন হয়েছে। দ্বিতীয়টা নিয়ে আমি তেমন কোনো  এসইও করি নাই তাও দেখাইতাছে ৭ এবং তৃতীয় টা ব্লগার সাব ডোমেইন বেজড। সাব ডোমেইনের সাধারনত DA- Domain Authority হয় না তেমন। DA- Domain Authority মানে এই না যে আপনি ডোমেইনের মালিক। DA- Domain Authority একটা হোয়াইট হ্যাট এসইও র‌্যাংক বা ফ্যাক্টর যার উপরে বেসিস করে অনকে ধরনরে এসইও করা যায়। আপনি একটা কথা মনে রাখবেন- যারা ইন্টারনেটে বস তারা আপনার চেয়ে অনেক বেশী চালাক। আপনি যদি মনে করে থাকেন এসইও সফটওয়্যার দ্বারা  আপনি অনেক ধরনের বাজিমাত করে ফেলািইবেন তাহলে মনে রাখবেন যে- এসইও সফটওয়্যার বা র‌্যাংক নির্ধারন কারী সফটওয়্যার গুলো যখন কাজ করে তখন কিন্তু তারা কি বোর্ড ব্যবহার করে না- ব্যবহার করে র‌্যাংকিং ফ্যাক্টর নির্ধারন করে না। ফলে একটা গ্যাপ থেকে গেলো। ফরে ধেখা যাইতাছে যে- গুগল এর সার্চ িইন্জিনের ১ নম্বর অবস্থানে থেকেও আপনি আশানুরুপ ব্যবসা করতে পারতাছে না্ ১ নম্বরে তাকাটা বড় ফ্যাক্টর না- বড় ফ্যাক্টর হইতাছে ব্যবসা করে যাওয়া। 







Tuesday, September 29, 2020

১৯৯০ সালে রাজাকারের সামনে দাড়িয়ে জয় বাংলা বলা। এখনো বলি: জয় বাংলা।

 ১৯৯০ সালের গনজাগরনের আগে গনজাগরনের দামাম বাজতেছিলো। আমি তখন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাবার নেয়া শিক্ষক কোয়ার্টারে থাকি। আমার বাবা উচ্চ শিক্ষার্থে তখন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় , বিশ্ববিদ্যালয় মন্জুরি কমিশন, কৃষি মন্ত্রনালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের অনুমতি স্বাপেক্ষে ইউএসএ তে হায়ার ষ্টাডিজ এর জণ্য গিয়েছিলেন। একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের অতি অবশ্যই অনার্স +মাষ্টার্স সার্টিফিকেট থাকবে যা বিশ্ববিধ্যালয় প্রদান করে থাকে, একজন বিশ্ববিধ্যালয়ে শিক্ষকের অবশ্যই গেজেট থাকবে রাষ্ট্রীয় গেজেটে একজন শিক্ষক হিসাবে, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের এবং বিশ্ববিধ্যালয় মন্জুরি কমিশনের এপরুভাল থাকবে একজন শিক্ষকের নিয়োগ হিসাবে , সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিধ্যালয়ে রেজিষ্ট্রার সেকসানে, এডমিন সেকসান, ডীন অফিস এবং বিভাগীয় অফিসের কাছে অল ডিটেইলস থাকবে। একজন শিক্ষক যখন উচ্চ শিক্ষার্থে বিদেশে যায় তখন সেটাকে এডুকেশন লিভ বলে- সেই সময়ে বিশ্ববিধ্যালয়ের শিক্ষক তার স্কলারশীপের উপরে ডিপেন্ডস করে ২টাই পাইতো - তার রেগুলার বেতন+ভাতা এবং তার স্কলারশীপেরও  বেতন। রেগুলার বেতন+ভাতা তার বিশ্ববিধ্যালয় কর্তৃক নির্ধারিত ব্যাংকে থাকবে- প্রত্যেকটা পাবলিক বিশ্ববিধ্যালয়ের সাথে কোন না কোন সরকারি ব্যাংকের রেজিষ্ট্রেশন থাকে। শিক্ষা, সরকারি এবং মন্ত্রনালয় তথা সরকারি সমস্ত কিছু ডিলস করার জন্য। সে হিসাবে একজন বিশ্ববিধ্যালয়ের শিক্ষকের একটি ফুল ফেজ ব্যাংক একাউন্টও থাকবে। সেই সময়ে আমার আব্বা প্রতি মাসের আগে থেকে সই করা চেক রেখে যাইতো এবং আমি বিশ্ববিধ্যালয়ের ব্যাংকে যাইয়া বেতন তুলে নিয়ে আসতাম।  ১৯৯০ সালে প্রতি মাসের বাবার দেয়া মাসিক খরচ ২০-২৫ হাজার টাকার অনেক দাম ছিলো। ২০,০০০ টাকা দিয়ে আমাদের পরিবারের সব কিছু সুন্দর করে চলে যাইতো (বাকী টাকা বাবার প্রভিডেন্ড ফান্ড, পেনশন ফান্ড এ জমা থাকতো)। ময়মনসিংহে আমার মা সব কিছু সুন্দর করে ম্যানেজ করে নিতেন। তখন আস্তে আস্তে ব্যাংক গুলোকে ডিজিটাল হতে দেখেছি। রেজিষ্ট্রারের নথি দেখে ক্যাশ ডেলিভারি নেয়া থেকে শুরু করে- ব্যাংকে দাড়িয়ে থেকে টোকেন নেয়া এবং সেই টোকেনের বিপরীতে ক্যাশ কাউন্টার থেকে ক্যাশ রিসিভ করা- এরকম অনেক পরিবর্তন ই চোখের সামনে দেখেছি। মাষ্টার্স লিডিং টু পিএইচডি স্কলারশীপের জণ্য আপনাকে ৬/৭ বছরের শিক্ষা ছুটি নিতে হতো তখনকার সময়ে। আবার আপনি যতোবার পোষ্ট পিএইচডি করবেন ততোবার ২ বছর করে ছুটি থাকবে। তো সেই সময়ে স্কুলের জীবনে আব্বা বিদেশে থাকার কারনে বাসার সব কাজ আমাকেই করতে হতো আর আমি ও ঘোরাফেররা সুযোগ পাইতাম বিস্তর। সেই হিসাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে  অধ্যয়নরত ছাত্র ছাত্রীরা আমাকে অনেক আদর করতো। যেখানে সেখানে তাদরে সাথে দেখা হতো। তারাও তাদের বাবা মা ছাড়া খ্যাম্পাসে থাকতো। আর আমিও আব্বা বিদেশে শিক্ষাছুটিতে থাকাকালীন একা থাকতাম মায়ের সাথে।হলের অনেক বড় বোনেরা আমাকে সরাসরি হলের ভেতরে নিয়ে যাইতো। ছোট ছিলাম বিধায় হলের ভেতর ডুকতে কোন সমস্যা হতো না। খুব কাছ থেকে হলের মেয়েদেরে জীবন যাপনের ষ্টাইল ও দেখেছি। বিশাল হলে ১০০-১৫০ মেয়ের বসবাস থাকতো। বাসাতে টিএন্ডটি ফোন বা বিশ্ববিধ্যালয়ের নিজস্ব ফোন থাকার কারনে যে কোন সময়ে যে কাউকে কল দেয়া যাইতো। পড়াশোনার কারনে অনেক সময় ঢাকা শহরের অনেকরে সাথে কথা হতো টিএন্ড টি ফোনে। সেই সময়ে আমার বাবা আমাকে প্রথম কম্পিউটার দেখান যাকে বলা হয় ব্রিফকেস কম্পিউটার। যাই হোক - আশে পাশের এলাকাতে তখন অনেকের সাথেই কম বেশী পপুলার ছিলাম।  বিশ্ববিধ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা আশে পাশের অনেক কেই পড়াশোনা করাতো। টিউশ্যুনি পড়াতো। সেই হিসাবে আমাকেও অনেক ছাত্র- ছাত্রীরা অনেক সময় পড়া দেখাইয়া দিতো। ১৯৯০ সালের গনাজগরনের দামামা বেজে উঠার ঠিক কিছু দিন আগে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিধ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে একটা প্রোগ্রাম অনুষ্টিত হয়েছিলো ।সেই অডিটোরিয়াম ছিলো উপমহাদেশের সেরা অডিরোটিয়াম। প্রায় ২০০০-২৫০০ লোক বসে প্রোগ্রাম দেখতে পারতো। আর দাড়িয়ে বসে মিলে প্রায় ৫০০০ লোক যে কোন প্রোগ্রাম দেখতে পারতো। তখন রাজাকরদের ফাসির ব্যাপারে সারা দেশে ছেলে পেলে রা একসাথে হওয়া শুরু করেছে। 

তালিকাগ্রস্থ রাজাকারদের ফাসির দাবীতে তখন সারাদেশে উত্তাল হবার দশা। ফাসি হবেই কণফার্ম রাজাকারদের। বিশ্ববিধ্যালয় সংরক্ষিত এলাকা হবার দরুন এইখানে সব ধরনের মানুষের যাতায়াত বন্ধ ছিলো। কিন্তু যুদ্বের সময়কার একটা গনকবর থাকার কারনে রাজাকারদের একটা মুভমেন্ট বা দাপট ছিলো। রাজাকারের সন্তানেরা অনেক সময় মাঝরাতে বিশ্ববিধ্যালয়ের মেয়েদেরকে অপহরন করার চেষ্টা করতো বা শ্লীলতাহানি করতো। জায়গায় জায়গায় ধর্ষন রাজাকারের সন্তানদের জণ্য খুব সহজ স্বাভাবিক ছিলো। আর আইনের হাত থেকে পার পেয়ে যাওয়াও তাদের জণ্য খুবই সহজ ছিলো তখন। কিন্তু অভিশাপ এমন এক জিনিস যা যে কারো জীবনে আঘাত হানতে পারে। আমি এক বা একাধিক রাজাকারের সন্তানকে চিনি যারা সমানে গা ফ্রে পাল্টাইতাছে কিন্তু ২৫/৩০/৩৫/ বছর যৌনকর্ম করার পরেও তাদের সন্তানাদি হয় না। তখন মেয়েদের পেটে অনেক সময় ধর্ষনের কারনে গোস্তের মাংসপিন্ড হতো (পরে পত্রিকাতে দেখেছি বা শুনেছি)। ঠিক সেই রকম একটা সময়ে একটা তালিকা গ্রস্থ রাজাকার গ্রুপ বিশ্ববিধ্যালয়ের ভেতরে নড়াচড়া করতো। নিজেদেরকে মিথ্যা শিক্ষক বলে পরিচয় দিতো। আমার সামনে একবার বিশ্ববিধ্যালয়ের ছাত্র- ছাত্রীরা একজন নামধারী মিথ্যুক শিক্ষক কে খসাইয়া/ঠাসাইয়া থাপ্প ড় মারে আর বলে যে- মাসুদ এই জানোয়ার গুলোরে চিইনা রাখ। সময়ে বলতে পারবি সারা দেশে যে এরা দেশদ্রোহী। ২/৩ জন ছাত্র মিলে একজন নামধারী শিক্ষককে এমন মাইরই দিলো (তার নামে কিছুই নাই না গেজেট, না মন্জুরী কমিশনের অনুমতি, না নিয়োগপত্র, না অনার্স/মাষ্টার্সের সার্টিফিকেট বা এমন কিছু যার কারনে সে নিজেকে শিক্ষক বলতে পারে বা পারতো) কিছুই নাই। নাথিং। দেখতে ক্লিন সেভড হয়ে থাকতো। শুনেছি স্বাধীনতা যুদ্বের আগে ঢাকা শহরে রিক্সা চালাতো। সে বিশ্ববিধ্যালয়ের আশে পাশে ঘুরাফেরা করতো। তো সেই লোক একদিন কৃষি বিশ্ববিধ্যালয়ে গনজাগরনের আগে একটা জয় বাংলা রিলেটেড প্রোগ্রামে বাধা দিতাছিলো। জয় বাংলার প্রোগ্রাম সে হতে দিবে না। বিশ্ববিধ্যালয়ের ছেলেরা সেই লোককে থাপ্পড় দেবার কারনে আমার মনে ছিলো তার চেহারাটা। টোটাল অডিটোরিয়াম যখন ভরে থাকতো তখন সব লা্ইট নিভাইয়া দেয়া হতো। তখন আমাকেও বিশ্ববিধ্যালয়ের ছাত্র- ছাত্রীরা বাসা থেকে আইসা নিয়া যায় তাদের জয় বাংলা প্রোগ্রাম দেখার জন্য্। পরে সে দেখি অডিটোরিয়ামের  ভেতরে বসে আছে একটা মহিলাকে নিয়ে- সেই মহিলা যাকে আমার বাবা এবং অন্যান্য মুরব্বীরা খারাপ মহিলা বলেছিলো- ইংলিশ রোড জনসন রোড বা নারায়নগন্জ টানবাজারের পতিতা ছিলো বলে শুনেছি। একজন রাজাকার পন্থী মহিলা যে কিনা পতিতা সেও এবং সেই দাড়িবিহীন রাজাকার (দাড়ি থাকলেই যে রাজাকার হবে এমন কোন কথা নাই। পৃথিবীতে সব নবীজির দাড়ি ছিলো। সব ধর্মে ই দাড়ি রাখা সুন্নতের পর্যায়ে পড়ে।  প্রখ্যাত রাজাকার সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ক্লিসন সেভড ছিলো ) একসাথে বসে ছিলো আলো আধারীর মাঝে। বিশ্ববিধ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা বলতাছিলো যে কোন রাজাকার থাকলে তারা প্রোগ্রাম শুরু করবে না- ষ্টেজ প্রোগা্ম। আর রাজাকারেরা বলতাছিলো যে প্রকাশ্য দিবালোকে জয় বাংলা না বলতে পারলে তারা সেই প্রোগ্রাম হতে দেবে না। বিশ্ববিধ্যালয়ের ছাত্র রাজণীতিতে তখনকার সময়ে অস্ত্রের জনজনানি থাকার কারনে আমি স্পষ্টতই  বুঝতে পারতেছিলাম যে- রাজাকারদের কাছেও অস্ত্র আছে আরা বিশ্ববিধ্যালয়ের ছাত্রনেতাদের কাছেও অস্ত্র আছে। রাথভল গোলাগুলি আমার কাছে অনেকটাই হেভিটুয়াটেড ছিলো- গোলাগুলির শব্দ শুনতে শুনতে অনেক রাত গুমিয়েছিতো বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা তো মেধাবী ছিলো-সেখানেও তারা ব্রেইন খাটালো। কারন মাঝখানে অনেক সাধারন ছাত্র ছাত্রীরা বসে ছিলো অডিয়েন্সে। তো বিশ্ববিধ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী তো বুঝেনই- বাঘের শক্তি গায়ে নিয়ে চলে। রাজাকারের মোত কুত্তার সাথে কি আর তারা এইভাবে লাগবে? তাছাড়া তখন এতো পরিমান মার্ডার হতো ছাত্র রাজনীতিতে- সে সাধারন ছাত্র ছাত্রীরা ভালোবেসে জয় বাংলা বলবেই কিন্তু এরকম  সিচুয়েশনে নিউট্রাল বাঙালী হয়ে থাকবে। যারা ছাত্র রীজণীতির সাথে জড়িত- তারা প্রথমে নিজেরাই সবার সামনে যাইয়া বলতে চাইলো। তো তখন কিছু ছাত্র -ছাত্রী যারা আমার সাথে পরিচিত তারা নিজেরা না বলে ১০ বছর বয়সের আমাকে ষ্টেজে তুলে দিলো আর বলে দিলো ষ্টেজের পর্দা ফালানো মাঝখানের  যে জায়গা সেখানে যাইয়া দাড়াবা - আর গলার সব জোড় দিয়ে বলবা জয় বাংলা। তোমার একবার বলাতে যদি না যায় রাজাকারেরা অডিয়েন্স ছেড়ে- তাহলে তাদেরকে গুলি করে হত্যা করবো বা জবাই করবো। আমি নির্ভয়ে উঠে গেলাম কারন সেই সময় কার বিশ্ববিধ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা আমাকে আপন ছোট ভাই এর মতো আদর করতো। আমি  ডিমেতালে সিড়ি দিয়ে উঠে গেলাম আর বিশাল ষ্টেজের মাঝখানে যেয়ে দাড়ালাম।


   


 আমার সামনে শুূধ সাউন্ডবক্স আর লাইট এর ট্রে, আধো অন্ধকার - আমি সেখানে দাড়িয়ে সামনে তাকালাম আর বুক ভরে নি:শ্বাস নিলাম আর মন খুলে বললাম- ”জয় বাংলা”। আমি জানি না ঠিক কোথা থেকে আমি জয় বাংলা বলেছি কিন্তু আমি জানতাম ইচ্চা করলেই মন ভরে জয় বাংলা বলা যায়। বলার ঠিক পরেই দেখলাম - সেই শুয়োরের বাচ্চা কুত্তার বাচ্চা রাজাকার আর তার গুয়া মারা বউ বা মহিলা বসে থাকার আসন ছেড়ে ধীরে ধীরে অডিটোরিয়ামের বাহিরের দিকে চলে যাইতাছে আর সারা অডিটোরিয়াম জয় বাংলার ভালোবাসায় উত্তাল হয়ে উঠেছে। রাজাকারেরা ভেবেছিলো যে- সে সময়কার ছাত্র ছাত্রীরা জয় বাংলা বলতে পারবে না আর আমার মতো অল্প বয়সের ছেলে রা ও বুঝি জয় বাংলা বরতে পারবে না। তারপর কয়েকদিন পরেই শুরু হয় গনজাগরনের জয় বাংলা র উত্তাল আন্দোলন -১৯৯০ এর গনজাগরন আন্দোলন। 

সেদিনকার সে ঘটনার সময়ে আমি আবাসিক এলাকার পরিচিত কাউকে দেখি নাই আমার আশে পাশে। কারন অনুষআগুলো অনেক সময় রেষ্ট্রিকটেড ওয়েতে হতো। অনেক রাত বা মধ্য রাত পর্যন্ত বিশ্ববিধ্যালয়ের ছেলে বো মেয়েরা নাটক, গান, আড্ডা বা ফূর্তি করতো । তাদের অনুষ্টানগুলো তখনকার সময়ে দেখার মতো। ১ে৯৯৮ সালে আমরা চলে আসি আমাদের নিজেদের বাসাতে- ২০ নং ওয়ার্ডে। এইখানে আমরা জমি কিনে রাখি ১৯৮৬ সাল থেকে। পরে আব্বা ততোদিন বিদেশ থেকে চলে আসেন এবং এইখানে ৫ তালা ফাউন্ডেশন  দিয়ে ১ তালা পর্য্ত করতে পারে। আমার বাবা ছিলো ভয়াবহ রকমের সৎ মানুষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসাবে যদি তিনি কোন দুই নাম্বারি করতেন বা প্রজেক্ট ডিল করতেন তাহলে এতোদিনে উনার ঢাকা শহরে কয়েকটা ১০ তালা বিল্ডিং থাকতো। কিন্তু শুধু মাত্র সত থাকার কারনে (উনিিউপভেঅগ করতেন পরীক্ষক, নিরীক্ষক- সারা দেশের যতোগুলো কুষি কলেজ ছিলো সেগুলোতে বা যেখানে যেখানে কৃষি রিলেটেড বিষয় ছিলো সেথানে আর বাসাতে বসে থেকে বেশীর ভাগ সময় সমস্ত বিশ্বদ্যিালয় ছাত্র ছাত্রীদের ইয়ার/টার্ম  পরীক্ষার খাতা  দেখতেন)।যে সকল বঢ় ভাই বা বোনরো হাতে ধরে জয় বাংলা বলতে শিখিয়েছেন - তাদেরকে বলতে হয় যে তাদের শিক্ষাটা প্রকৃত।আজো ভরতে পারি যে কোন সময়ে যে কোন খানে দাড়িয়ে- জয় বাংলা

ঘটনাটা যদি আপনার কাছে বিশ্বাস না হয়  তাহলে ধরে নিবেন এইটা জয় বাংলা বলার একটা কাহিনী। 


 

masudbcl.com ডোমেইন ফেরত পাওয়া। ডোমেইন পার্ক।

কিছুদিন আগে আমার এক ক্লায়েন্ট আমাকে বলতাছে- তার একসাথে ৭টা ডোমেইন কিনতে হবে। আমি ভেবেছি উনি আমাকে ৭ টা ওয়েবসাইট ডিজাইন করাবে। পরে বলতাছে: ডোমেইন গুলো উনি কিনে রাখবে যেনো যারা ডোমেইন গুলো খুজবে তারা পরে তার কাছ থেকে বেশী দাম দিয়ে কিনে নেয়। এই ব্যাপারটাকে ডোমেইন পার্কিং বরে সহজ ভাষাতে। এখানে আরো অনেক স্মার্ট উপায় আছে। যেমন: যে ওয়েবসাইট থেকে ডোমেইন কেনা হয় সে ওয়েবসাইট কে বলে রাখা যায় যে : আমার ডোমেইন টা আমি পার্ক  করে রাখলাম। আমাকে  যে কেউ অপর সেন্ড করতে পারবে। আমি কারো অফার পছন্দ হলে তার কাছে সেল করতে পারবে। এইখানে একটা ইউটিউব ভিডিও আছে যেখানে আপনি দেখতে পারবেন যে- এইখানে গনজাগরন রিলেটেড একটা ডোমেইন দেখাইতাচে যার মূল্য প্রায় ৫০০০ ডলারের চেয়েও বেশী। যাকে এইখঅনে প্রিমিয়াম ডোমেইন হিসাবে মেনশন করা আছে। এইটাও এক ধরনরে ডোমেইন পার্কিং। 




ডোমেইন পার্ক করার জন্য খুব পপুলার একটা কোম্পানী নাম: সেডো। আপনি নীচে ক্লিক করেও আপনি রেজিষ্ট্রেশন করতে পারেন ফ্রি বা ওয়েবসাইটের সাইডেও ব্যানার পাবেন যে কোন সময়ে রেজিষ্ট্রেশন করার জন্য। যেমন ধরেন: আপনি খুব পপুলার। আপানর খুব পপুলার একটা নাম আছে। দরেন: আমার নাম : মাসুদবিসিএল। ইন্টারনেটে সবাই আমাকে এই নামে সার্চ করে। এখন আপনি এই নামে একটা ডোমেইন কিনে সেটাকে পার্ক করে রাখলেন। যেহেতু সবাই এই নামে সার্চ করে সেহেতু আপনি এই নামের ডোমেইন টাকে নেইম চিপ থেকে বাই করে সেডোর মাধ্যমে পার্ক করে রাখলেন। পার্ক করে রাখা অবস্থায় আপনার ডোমেইন নেমে লিখে যখন কেউ সার্চ করবে তখন সেডো সেখানে কিছু ভ্যানার বা এডভার্টাইজিং লিংক রেখে দিবে। ফরে সেখানে যদি কেউ ক্লিক করে তাহলে আপনার মানি উপার্জন হবে যা আপনি সেডো থেকে পরে পেপাল বা ব্যাংক ওয়ারের মাধ্যমে উইথড্র বা তুলে নিতে পারবেন। এইভাবে যদি আপনার ভালো না লাগে তাহলে যে কোন সময়ে বা একটি নির্দিষ্ট সময় পরে আপনি চাইলেও এড গুলো তুলে নিতে পারবেন বা আপনি সেই ডোমেইন কে সেল করে দিতে পারবেন বা আপনি চাইলে সেই ডোমেইন দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরী বা ব্লগ ও করতে পারবেন। এই পদ্বতিটা তুমুল জনপ্রিয় অনেকের কাছে কারন পৃথিবীতে প্রতি মূহুর্তে ই নতুন নতুনি কিওয়ার্ড পপুলারিটি প্রাধান্য পাইতাছে আর মানুষ ও সেগুলো অনেক সময় ডট কম লিখে সার্চ দেয় আর সেখানে দিয়ে রাখা কোডের মাধ্যমে ব্যানার বা লিংক দিয়ে রাখে যেখানে সহজেই ক্লিকেআসে আর উপার্জন ও জমা হয়। এই ধরনের ক্যারিয়ারকে অনেক সময় ডোমেইন পার্কার নামেও অভিহিত করা যায়। সেডো র ক্ষেত্রে আপনি সেডো থেকেই ডোমেইন কিনে সেখানে পার্ক করবেন। 

  

আরো অনেক ধরনের ফ্যাসিলিটজ সহ বিভিন্ন ধরনের ডোমেইন পার্ক সিষ্টেম আছে- যেমন ক্লাউড ডিএনএস  বা ডোমেইন পার্ক বা আরো কিছু। সবগুলো ষ্টাডি করে আপনি বিভিন্ন ধরনের ডোমেইন পার্কিং ওয়েবসাইট এনালাইস করে যেটা আপনার জন্য বেষ্ট সেটাই আপনি চয়েজ করবেন। যেমন: এই মূহুর্তে বাংলাদেমেল পপুলার কি ওয়ার্ড-  বাবু খাইছো। আপনি যদি সেটা কে মার্ক করে সেডো থেকে কিছু ডোমেইন কিনেন আর সেখানে কিছু বপেইড ব্যানার বা পেইড লিংক এড করে রাখেন তাহলে আপানর সেই ডোমেইন টাতে যে কেউ সার্চ করবে আর এড গুলোতেও  ক্লিক করবে- তখন আপনার অনেক উপার্জন হবে বলে আশা করা যায়।

লোকাল ডোমেইন পার্ক:
লোকালি প্রতি মূহুর্তে বাংলাদেশে যে ডোমেইন গুলো আপনি কিনে রাখবেন সেগুলোতে আপনি যদি ব্যানার বা লিংক এড করে রাখেন তাহলে সেটাও হবে উপার্জ নের একটা মাধ্যম। আপনি যখন কোন পার্কড ডোমেইন দেখবেন তখণ সেখানে কিছু এড বা ব্যানার দেখবেন। যেমন: আপনি যদি ব্রাউজারে masudbcl.com লিখেন তাহলে সেটা আপনাকে masudbcl.xyz এ নিয়ে যাবে। এইখানে masudbcl.com ডোমেইনেএ যদি আপনি সার্চ করেন আর masudbcl.net কে এভইলেবল পান তাহলে এইখানে masudbcl.net কে কিনে আপনি পার্ক করতে পারেন। এছাড়াও আরো অনেক কুটি নাটি ব্যাপার আছে যা আপনি নিজে ষ্টাডি করলে বুঝে যাবেন। আমি খখনো ডোমেইন পার্ক  করি নাই কিন্তু আমার masudbcl.com ডোমেইন টা পার্ক করা ছিলো দীর্ঘ ৮/৯ বছর। মানে হইতাছে কেউ যদি আমার masudbcl.com ডোমেইন এ যাইতো আর সেখানে থাকা এড বা ব্যানার বা লিংকে ক্লিক করতো তাহলে সেখানে ডলার উপার্জিত হতো যে ডোমেইনটাকে পার্ক করে রেখেছিলো তার। লোকালি আপনি যে কোন পপুরার কি ওয়ার্ডের উপর ভিত্তি করে ডোমেইন কে পার্ক করে রাখতে পারেন এবং পরে সময়মতো ভালো দামে সেল করে দিতে পারবেন। ডোমেইন পার্ক করে ব্যবসা করতে চাইলে সেডো থেকে কিন পার্ক করলে ভালো হবে। আমাদের দেশের অনেক ছেলে মেয়ে একবার ডোমেইন কিনে সেটাকে আবার লোকাল মার্কেটে সেল করে থাকে। আগে থেকে কিন রাখে পপুলার  কি ওয়ার্ডের উপর ভিত্তি করে ডোমেইন আর পরে সেটা যারা খোজ করে বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে সেগুলো সেল করে ফেলে। ফলে দেখা যায় যে- তারা ডোমেইন এর মালিকানা পরিবর্তন করে ভালো টাকা উপার্জন করে থাকে। 



ডোমেইন কেনা বেচা করা, কম দামে একজনের কাছ থেকে ডোমেইন কিনে আরেকজনের কাছে সেল করা এগুলোর জণ্য আলাদা মার্কেটপ্লেস আছে যাকে বলা হয় ডোমেইন মার্কেটপ্লেস। তাছাড়া ডোমেইন অকশন, এড অন ডোমেইন, সাবডোমেইন, ডোমেইন রিডাইরেক্ট এরকম আরো কিছু বিয়স আলোচনা করবো সামনের পোষ্টগুলোতে। 


Monday, September 28, 2020

Search Domain on Namecheap com


#masudbcl
#namecheap
#namecheapdomain
#namecheapdomainsearch

masudbcl.com ডোমেইন ফেরত পাওয়া। কিভাবে ডোমেইন সার্চ করতে হয়।



ডোমেইন নেম রেজিষ্ট্রেশন ও করতে পারবেন আপনি নেইম চিপ ব্যবহার করে- আবার আপনার ব্যবহৃত নেইম চিপ ডোমেইনটি আপনি ট্রান্সফার ও করে দিতে পারেন অন্য কোন নেইমচিপ ব্যবহারকারীর কাছে। বাংলাদেশে লোকজন পড়তে ভালোবাসে কারন ইউটিউব ভিডিও তে যে হাই রেজ্যুলূশন ব্যবহার করে তাতে আমাদের দেশের মানুষের মোবাইলের এমবি শেষ হয়ে যায় দ্রত। আমি এই টপিকস টা নিয়ে একটি  ভিডিও ও বানাবো তার আগে  এইখানে আমি থিওরটিক্যাল পুরোটা দেখাবো। আপনি যদি একটি ডোমেইন মেইন টেইন বা কন্ট্রোল করতে না শিখেন - তাহলে আপনি ভবিষ্যতে আপনার ডোমেইন নেম টা হারাইয়া ফেলতে পারেন। আর যদি কেউ আপনার ডোমেইনের সব লগিন ডিটিইলস চুরি করে তাহলে - তাকে ডোমেইন চুরি বলা হয়। আর যদি কেউ আপনাকে না জানিয়ে তথ্য চুরি করে আর আপনি আপনার ডোমেইন টা হারাইয়া ফেলেন তাকে ডোমেইন হ্যাক বলা হয়। হ্যাকাররা  আপনার কম্পিউটারে পৌছানোর আগে পর্যন্ত আপনাকে হ্যাকড করতে পারবে না। তাই প্রথমেই আপনার ব্যবহৃত সকল পাসওয়ার্ড আপনি কম্পিউটার থেকে সরাইয়া ফেলাবেন এবং বাহিরে পেন ড্রাইভে রাখবেন বা সিডি করে রাখতে পারেন তা টু ষ্টেপ অথেনটিকেশন ব্যবহার করতে পারেন বা  কোডিং জেনারেটর ও ব্যবহার করতে পারেন। আপনার ডোমেইনকে নিরাপদ রাখার প্রধান উপায় হলো আপনি আপনার ডোমেইনটা যে ওয়েবসাইট থেকে কিনেছেন সেই ওয়েবসাইট এর সকল পাসওয়ার্ড সিকিউরিটি সিষ্টেম কে একটিভেট রাখতে হবে। তাহলে আপনি আপনার ডোমেইন নেমটাকে কখনো হারাবেন না। দ্বিতীয়ত অবশ্যই এসএসএল সার্টিফিকেট ব্যবহার করতে হবে। তৃতীয়ত ব্যাড ইন্টারনেট কানেকশন এভয়েড করে চলতে হবে আপনি যদি বুঝে থাকেন আপনার নিকটস্থ কেউ হ্যাকড হয়েছে বা প্রতিনিয়ত হ্যাক হইতাছে তাহলে সেই ইন্টারনেট কানেকশন টাকে এভয়েড করে চলতে হবে। কারন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেকশনে আপনার একাউন্ট হ্যাক করার জন্য আপনাকে আইএসপি কোড ভেংগে /আইএসপি সার্ভার হ্যাক করে সেখান থেকে আইপি এড্রেস কালেক্ট করে তারপরে আপনার ডিভাইসে ব্যবহৃত ম্যাক/আই পি নাম্বার জেনে তারপরে আপনার ডিটেইলসে জেনে আপনাকে হ্যাক করবে হ্যাকাররা আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপে ঢুকে। এভাবেই পড়ে দেখেছি আগেকার দিনের ইন্টারনেট যারা হ্যাক করতো তাদের অভিজ্ঞতা থেকে। যে কোন ধরনের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেকশনে হ্যাক হবার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশী থাকে। আর সেই আইএসপি সার্ভারে এক্সেস করতে হলে সেখানকার তথ্য বা ডিটেইলস নিশ্চয়ই কেউ না কেউ দিয়ে থাকে। ণয়তো একজন হ্যাকারের পক্ষে একা একা একদম কম্পিউটার পর্যন্ত আসা সম্ভব হবে না। যদি আইএসপি না দেয় যারা ব্রডব্যান্ড সেল করে তারা দিছে বা যদি ব্রডব্যান্ড সেলার না দেয় তাহলে রাষ্ট্রের প্রযুক্তি মন্ত্রনালয় বা সারা দেশেল আই এস পি মালিকদের সংগঠন কোয়াব তারা জানে। এক কথায় কোন তৃতীয় পক্ষের সাহায্য ছাড়া কেউ কারো কম্পিউচটার বা ইন্টারনেট একাউন্ট ডিটেইলস হ্যাক করতে পারে না। আরো একটা উপায় আছে হ্যাকড হবার- সেটা হইতাচে আপনি যেনো মনে মনে পাসওয়ার্ড না আওরান। কারন দেয়ালেরও কান আছে।  
 
 

masudbcl.com ডোমেইন ফেরত পাওয়া সেই সাথে - ফ্রি ল্যান্সার ,মার্কেটপ্লেস ও আউটসোর্সার masudbcl কে ২০১৬ সালে হত্যার হুমকি।

 ২০১১ সালে আমি একবার মেজর হ্যাকড হাই আমার ইন্টারনেট জগতে। আমার ইউজারনেম : masudbcl নামে সার্চ দিলে হাতে তৈরী যাকে বলে ম্যানুয়াল প্রায় ২০,০০০ সার্চ ইন্জিন রেজাল্ট পেজ পাওয়া যাইতো। যারা আমাকে হ্যাক করে তারা পরিকল্পনা করে বাংলাদেশের এইপিআই সুবিধা ব্যবহার করে বিগত সাত বছর যাবত রিপোর্ট দিতে দিতে একে একে আমার সব ম্যানুয়ালি তৈরী করা পেজ ডিলেট করতে থাকে। বাংলাদেশের এপিআই সুবিধা ওপেন না থাকার কারনে বা হ্যাকড হবার কারনে বা কুক্ষিগত হবার কারনে এইখানে তেমন কিছু করতে পারি নাই। অনেকবার  ইন্টারনেটে অনেক স্পেশিয়াল টিমের সাথে কথা বলি ইউএসএ, ইন্ডিয়া থেকে এবং তারা আশ্বাস দেয় যদি একের বেশী তোমার একাউন্ট থাকে তবে সেটা ডিলেট হবে কিন্তু তোমার নিজস্ব সোশাল মিডিয়া একাউন্ট বা মার্কেটপ্লেস একাউন্ট গুলো কখনো ডিলেট হবে না- যতোই রিপার্ট আসুক। আমি বুকে ভরসা নিয়ে কাজ করতে থাকি এবং এখনো আমার ইউজার নেম মাসুদবিসিএল নামে সার্চ দিলে কয়েক হাজার পেজ রেজাল্ট ওপেন হয়। এখনো ৬৬৪০ রেজাল্ট শো করতাছে। হয়তো অন্যান্য দেশে আরো অনেক বেশী দেখায়। মোটামুটি বিগ প্রোফাইল থাকার কারনে হ্যাকাররা একের পরেএক রিপোর্ট দিতে শুরু করে। বিনা কারনে কেউ যে কারো এতো বড় ক্ষতি করতে পারে এইটা আসলে চিন্তা ভাবনার বাহিরে ছিলো। হতভম্ব হয়ে গেলাম বাংলাদেশের ইন্টারনেট পলিসি দেখে। যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নাই (বাচ্চারা ছাড়া) তাদেরকেও অনায়াসে ইন্টারনেট ব্যবহার করার সুযোগ দিতাছে। যদি অন্য কোন দেশ থেকে ছদ্মবেশে আল কায়েদা/তালেবান/জামাত/আইসিস/সন্ত্রাসী/জংগি গোষ্ঠী বা সদস্য আইসা ইন্টারনেট সুবিধা চাইয়া বসে তাহলে বোধ করি তাদেরকেও ইন্টারনেট সুবিধা দেয়া শুরু করবে। প্রাপ্ত বয়ষ্ক যাদের বৈধ জাতীয় পরিচয়পত্র নাই তাদেরকে ইন্টারনেট  সুবিধা দেয়া বন্ধ করা উচিত।  

  


২০১৩ সালে শাহবাগ গনজাগরন শুরু হবার প্রাক্কালে আমার জন্য ব্যবহৃত masudbcl.com ডোমেইনটা হঠাৎ করে হ্যাক করে পার্ক করে ফেলা হয়। চিন্তা করতেছিলাম ভালো একটা ওয়েবসাইট বানাবো আমার পারসনোল পপুলার ইউজার নেম দিয়ে তৈরী করে। কিন্তু সে আশাতে গুড়ে বালি। গনজাগরনের পর থেকে আমি আমার ডোমেইনটা কিনতে পারতাছিলাম না। যেভাবেই ট্রাই করি বলে নট এভেইলেবল। গবেষণা করে বুঝি যে কেউ হয়তো ডোমেইন টা কিনে ১২-১৩ ডলার/ পার ইয়ার বেসিস এ পার্ক করে রাখে কিনতে হলে আমাকে বিস্তর ডলার খরচ করে এই ডোমেইনটা কিনতে হবে। তাই পরিচিত অন্যান্য যারা ইন্টারনেট এক্সপার্ট তাদের সাথে আলোচনা করলাম এবং তারা বললো যে পার্ক করা ডোমেইন ব্যবহার করার দরকার নাই। ৬/৭ বছর অপেক্ষা কর। অবশেষে গতকাল রাতে ইউটিউবে একটা নাটক দেখার পরে হঠাৎ করেই দেখলাম আমার ডোমেইনটা এভেইলেবল। নেইমচিপে ডলারও তুলে রেখেছিলাম আগে। সাথে সাথে আর দেরী না করে নেইমচিপ প্রমো কোড ব্যবহার করে ডামেইনটা কিনে ফেলাইলাম এবং আপাতত ব্যবহার করার জণ্য ডোমেইন রিডাইরেক্ট করে ফেলাইলাম। ২০১৩ সালে ৭ বছরের জন্য হ্যাকাররা যে ডোমেইন কে পার্ক করেছিলো সেই ডোমেইন টা সাত বছর পরে গতকাল রাতে এভেইলেবল হয় এবং আমি ও তা সাথে সাথে কিনে নিয়ে মালিক হই। এখন আমার এই ডোমেইনটা অনেক কাজে লাগেবে। ডোমেইন হ্যাক, ডোমেইন হ্যাকার, ডোমেইন পার্ক এবং ডোমেইন রিডাইরেক্ট কি জিনিস তা পরের প্যারাতে বিস্তারিত আলোচনা করবো। 



আপনি যখন কোন ডোমেইন নেম কিনতে যাবেন তখন আপনাকে কিছু বিষয় মাথাতে রাখতে হবে যে আপনি কি পারপোসে ডোমেইন টা কিনতাছেণ, এইটা আপনার জন্য কি উপকারে দেবে বা এইটা দিয়ে আপনি ইন্টারনেট জগত এবং বাস্তব জগতে কি কি কাজ করবেন। সেই কার্যাবলীর সাথে সামন্জস্য রেখে আমাকে ডোমেইনটা কিনতে হবে এবং ব্যবহার করতে  হবে। আমার এই ডোমেইনটা এখনো আমার হাতে না থাকার জন্য অনেকেই অযাচিতভাবে আমাকে হ্যারাজ করার জন্য টাকা চাইতো- চ্যালেন্জ জানাইতো যে আপনি আপনার নামের সাথে ডট কম ডোমেইন টা ফেরত আইনা দেখান- তাহলে আমরা আর টাকা চাইবো না। একবার ঢাকা শহরে মিরপুর ডিওএইচএস এর কিছু ফেলে পেলে আমার কাছে ২০,০০০ টাকা চাদা চায়। আমি একটু হতভম্ব হয়ে যাই। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের অধীনে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট এর আগারগাও অফিসে কাজ করার জন্য বাংলাদেশ সামরিক বাহিণীর অনেকের সাথেই আমি পরিচিত ছিলাম। তাই আমাকে সাধারনত কখনো কোথাও এই ধরনের হ্যারাজ করা হয় না। একটা রেফারেন্স আমি সবসমেয় পেয়ে আসতেছিলাম। তাছাড়া আমার বাবা বিশ্ববিধ্যালয়ের শিক্ষক হবার দরুন বাংলাদেশের প্রত্যেক ডিভিশনে একজন না একজন ছাত্র পাওয়া যায় এবং সবসময়ই সমস্যা মুক্ত জীবন যাপন করতে অভ্যস্ত। আমার কাছে চাদা চাওয়াতে আমি বলেছিলাম যে- আমার কাছে টাকা নাই এবং আমি কোন চাদা দিতে পারবো না। তারপরে বলতাছে যে- আমার বাবার কাছ থেকে নিয়ে তাদেরকে দিতে? পরে আমি বুঝতে পারলাম যে- তাদের মধ্যে েএকজন একবার আমার ক্লায়েন্টের দেয়া কাজের বিল আমার বাবার কাছে রাখতে দেখেছে ময়মনসিংহে- সেই কথাটা সে যাইয়া শেয়ার করেছে এই গ্রুপের সাথে আর আমার কাছ থেকে টাকা পাইতে পাইতে সে এইটাকে তার নিজস্ব বিল মনে করেছে। আমাকে জিজ্ঞাসা করাতে আমি বলেছিলাম যে - আমার ক্লায়েন্ট আমার ফেসবুক বন্ধু-  সে আমাকে কিছূ পারসোনাল কাজ দিছে এবং তার বিল দিছে- কিন্তু সে মে বি বিশ্বাস করে নাই এবং মিরপুর ডিওএইচএস এর ছেলে পেলেদেরেক জানাইছে। আমি তাকে ফ্রি ল্যান্সার এবং আউটসোর্সিং জগতের নিয়মের কথা বললাম যে- এই খানে বা এই জগতে যার যার বিল সে সে পায়। আমার ক্লায়েন্টের অনেক কাজ যদিও সে করে থাকে তারপরে আমার ক্লায়েন্ট যদি তার কাজে খুশী হয়ে থাকে কোন পেমেন্ট দিতে চায় বা গিফট দিতে চায় তাহলে সে মেনশন করবে বা বলে দেবে। বা আমার কাছ থেকে আমার ওয়ার্কারের ডিটেইলস নিয়ে তাকে পেমেন্ট করবে কিন্তু সে কি ভেবেছে তা আর ঠাহর করতে যাই নাই। বোঝলাম নতুন এসছে ফ্রি ল্যান্সিং জগতে- হয়তো সব কিছু বুঝে উঠতে পারে নাই। আমি নতুন ল্যাপটপ কিনবো বলে বাবার কাচে জমা রেখেছিলাম। আমার ক্লায়েন্টের কাজ আমি কয়েকজন ফ্রি ল্যান্সার যাদেরকে ফ্রি কাজ শিখাতাম, প্রজেক্ট দিতাম, ৪০%-৪৫% পেমেন্ট ও দিতাম তাদের মধ্যে একজন দেখেছিলো। আমি মনে মনে ভাবলাম ামনুষের লোভ বা জিহবা কতো বড় হতে পারে। যেখানে ওয়ার্কারের সাথে আমার চুক্তি ই সবসময় যে আমি টোটাল প্রজেক্টের ৪০-৪৫% পেমেন্ট দিবো এবং নিয়মিত দিয়েছি সেখানে আমাকে দেয়া ক্লায়েন্টের পারসোনাল অন্য একটা কাজের পেমেন্টর টাকা সে আমার হাতে দেখে চাইয়া বসে। ব্যাপারটা আমি সহজভাবে নিতে পারে নাই আজো। ৩ জন ওয়ার্কারকে (২ বছরে)  নূন্যতম ১০ লক্ষ টাকা দিয়েছি (আমার সেই সময়কার বিকাশ নাম্বারের ষ্টেটম্যান্ট যদি দেখেন তাহলে আরো  বুঝতে পারবেন [০১৬২৮০৭৯০৪৫,০১৭৯৮৮৪২১৭০] *    আমার ফেসবুক বন্ধুদের দেয়া ফ্রি ল্যান্সার রিলেটেড কাজ করানোর জন্য- কিন্তু তাদের কাছ থেকে কাজ শিখানোর জন্য এক টাকাও নেই নাই- কোন কৃতজ্ঞতাবোধ পাইলাম না উল্টা তারা আবার আমার কাছে বা আমার বাবার কাছে টাকা চাইয়া বসতাছে। মানুষ কতোটা বেঈমান বা নিমকহারাম হতে পারে এইখানে প্রমান পাই? আমি কোনদিন এই দেশে মীরজাফরের বংশধরের সাথে পরিচিত হই নাই- এইখানে প্রমান পাইলাম। ঘটনাটা ২০১৪/২০১৫ সালের। ২০১৬ সালের প্রথমদিকে এই ওয়ার্কার গ্রুপের মধ্যে একজন আমাকে হত্যার থ্রেডও দিয়ে বসে ফেসবুক মেসেন্জারে- যেটা আমি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে নোট করে জানাইয়া রাখি। যারে নিজের পয়সা খরচ করে কাজ শিখালাম, ক্লায়েন্টের কাছ থেকে কাজ এনে দিলাম, কাজের শেষে পেমেন্ট ও দিলাম ৪০% রেগুলার আপডেটও করলাম সে আবার আমাকে মার্ডার হুমকিও দিলো এই মিরপুরের ১২ নাম্বারের এলাকার- যে থ্রেড দিছে তার নাম ছিলো রাশেদুল ইসলাম রাশেদ। বাড়ি দিনাজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্টা দিকের গ্রাম বা ইউনিয়নে।ফেসবুক মেসেন্জারে খুজলে তার হত্যার হুমকির প্রমান এবং স্ক্রিনশটও পাওয়া যাবে।  ছেলেটা ভিক্ষুক টাইপের- তাই আর পাত্তা দেই নাই। আমাকে আইসা বলতাছিলো যে- তাকে বাসা থেকে বের করে দিয়েছে। সে  ঢাকাতে ইসলামিক রিলেটেড প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র - ঢাকা শহরে মেস ভাড়া করে থাকে মিরপুর ১২ নাম্বারে মোল্লা মসজিদের ৩ নাম্বার গলিতে। তাকে ফ্রি ল্যান্সার কাজ শিখানোর জন্য। আর সে পরে টাকা দিয়ে দেবে। তো আমি সহজ সরল ভাবে তাকে কাজ শিখালাম ২০১৫ সালের মার্চ থেকে- আমার অণ্যান্য টিম মেম্বার রা বলেছিলো এই ছেলেটাকে না নেবার জন্য।কিন্তু তার কাকুতি মিনতি দেখে চিন্তা করলাম যে- ঠিক আছে কিছু কাজ দেই আর কিছু কাজ সে নিজে করে নিক। এসইওক্লার্ক মার্কেটপ্লেসে তাকে রেজিস্ট্রেশন করিয়ে দিলাম আর বললাম নিজে চেষ্টা করার জন্য। আমার বিকাশ নাম্বার থেকে তার বিকাশ নাম্বারের ট্রানজকেশন যদি খুজে থাকেন তাহলে আপনি টোটাল দেখতে পারবেন যে সে আমার কাছ থেকে কতো টাকা ভিক্ষা করেছে যা সে পরে দিয়ে দেবে বলে অুনরোধ করেছিলো। এখন উল্টা সে আমাকে হত্যার হুমকি দিয়ে বলতাছে তাকে ২০,০০০ টাকা দেবার জন্য- এই কয়েকদিন আগেও সে ইমু মেসেন্জারে আইসা বলতাছে তাকে টাকা দেবার জণ্য ২০,০০০- একবার ভেবে দেখেন যে আমার কাছ থেকে ৪ লক্ষ টাকা নিলো মিনিমাম, যে ৪৫০০০+৯০০০ টাকা দামের আমার ল্যাপটপ এবং মোবাইল ও চুরি করলো (পল্লবী থানাতে জিডি এন্ট্রি করে রেখেছিলাম ২০১৫ সালে [আমি নিজে আমার নাম মো: মাসুদুল হাসান নামে জিডি করেছি] এই ছেলেকে সাথে করে নিয়ে যাইয়া) । এতো মিথ্যুক মানুষ কিভাবে হয় বোঝলাম না। আমি মিরপুর এলাকাতে যাদের সাথে পেপাল ডলার লেনাদেনা করেছি তাদের সবারই ভেরিফায়েড এনআইডি কার্ড ছিলো। আমি অবশ্য এই সকল গাজাখোর বা গু খোর দের হত্যার হুমকি কে থোড়াই কেয়ার করি- ফ্রি ল্যানসিং এবং আউটসোর্সিং ইন্ডাষ্ট্রিজ কে বাংলাদেশে প্রতিষ্টিত করার জণ্য বহুবার  হত্যার হুমকির স্বীকার হয়েছি- কেউ আমার বালও ফালাইতে পারে নাই এবং তাদের সবগুলোকে র‌্যাব বাংলাদেশ (২০০৩-২০১৩) মাইরা দুনিয়া থেকে খোদাহাফেজ জানাইয়া দিছে। আমি সৃষ্টিকর্তা, তার সৃষ্ট ফেরেশতা এবং নবীজি ছাড়া এই দুনিয়াতে  কাউকে ডরাই না। বাচা মরা সৃষ্টিকর্তার হাতে।  (আমাদের দেশে চাদাবাজির সর্ব্বোচ্চ শাস্তি প্রকাশ্য দিবালোকে ক্রশফায়ার। এখনো র‌্যাবের কাছে মামলা নথি করি নাই- যদি আবারো চায় তাহলে ভেবেছি র‌্যাব ২ কে বা র‌্যাব ১ কে জানাবো এবং ক্রসফায়ারের জণ্য অনুরোধ করবো। পরবর্তীতে ২০১৬ সালের অক্টোবরে বাবার কাছে রাখা সেই ২০,০০০ টাকা দিয়ে এবং সাথে আরো কিছু টাকা এড করে বর্তমানের ল্যাপটপ ব্যবহার করতাছি। এই পুথিবীতে শুধূ মাত্র আমেরিকাই ডোমেইন সেল করতে পারে। তাদের কাছ থেকে সার্ভিস বা রিসেলারশীপ নিয়ে সারা বিশ্বের লোকজন ডোমেইন সেল করে থাকে। এইভাবে যারা ডোমেইন সেল করে তাকে তাদেরকে ডোমেইন রিসেলার বলে থাকে। আমি একসময় ডোমেইন রিসেলারের কাজ করেছি অণরাইনে ২০০৪/২০০৫ সালে। ঢাকা শহরের মালিবাগে তখন একটি কোম্পানী ছিলো যার নাম ছিলো এন কে ওয়েব টেকনোলজী। তাদের কাছ থেকে ডোমেইন কিনে সেল করার চেষ্টা করতাম। ধরতে গেলে অনলাইনে প্রথম রিসেলার জব। আমি একটি ডোমেইন সেল করতে স্বক্ষম হয়ছিলাম। তখণ আমি ময়মনিসংহ এপটেকে প্রোগ্রামিং শিখি এবং সেই খান েআমি একটা প্রেজেক্ট এসাইনমেন্ট হিসাবে একটা ডোমেইন +হোষ্টিং বাই সেল করি এবং একটা ওয়েবাসাইট ডিজাইন করতে পারি। পৃথিবীজুড়ে বিখ্যাত কোম্পানী নেইমচিপ ডট কম। 



পৃথিবীজুড়ে বিখ্যাত কোম্পানী নেইমচিপ ডট কম ।যাদের কাছ থেকে আমি সবসময় ডোমেইন কিনে থাকি। উপরের যে ২ টা ইমেজ সেখানে ক্লিক করলে আপনি দেখতে পারবেন যে আমার ডোমেইন ঢুকতাছেন ।ইমেজ গুলেঅ যদি ডাউনলোড করে দেখেন াতহেল বুঝতে পারবেন যে- ডোমেইন কেনার পরে এরকম একটা রিসিটি আপনার ইমেইলে দেওয়া হবে। আপনি নিজে যদি সরাসরি ডোমেইন কিনে থাকেন াতহলে সবকিছু অপারেট করলে একটু সহজই হবে। আপনার ডোমেইনটা আপনি নিজে কন্ট্রোল করলেন যেটা আপনার জন্য সহজ হবে। আপনি যদি লোকাল কারো কাছ থেকে ডোমেইন কিনে থাকেন তাহলে সেটার মেইনটেইনের জন্য বার বার ই তার কাছে যাইতে হবে। ডোমেইনের সাথে সি প্যানেল এড করা থাকে যা দিয়ে বেশ কিছু কাজ নিজে নিজে গবেষনা করেই আপনি করতে পারবেন। ডোমেইন থেকৈ নেইম সার্ভার নিয়ে হোষ্টিং এ এড করতে হয়। তারপর হোস্টিং থেকে ওয়ার্ডপ্রেস ডাউনলোড করে ডিজাইন বা ডেভেলপমেন্ট- একটি সুন্দর ওয়েবসাইট কে দেখার জণ্য ইন্টারনেটে। বিভিন্ন ধরনের ডোমেইন কিরতে পারা যায়। যেমন: 

.com- commercial
.net- network
.org- organization
.edu- education
.gov- government

আপনি যে কোন ধরনের ডোমেইন কিনতে চান না কেনো- 


* ২০১৩/১৪ সালে আমি যাদের কাছে পেপাল এর ডলার সেল করতাম তাদের মধ্যে মিরপুর ১ নাম্বারের একজন ভাই ছিলো যার গেমিং রিলেটেড ইন্টারনেট ফ্রি ল্যান্সিং ব্যবসা করতো। উনার কাছে পেপাল ডলার সেল করার পরে উনি উনার ওয়েবসাইটে আমার বিকাম নাম্বার আপলোড করে দিতেন। তখন যারা যারা সারা রাত ইন্টারনেট গেম খেলতো- বেসিক্যালি বড়লোকের ছেলে মেয়েরা তারা উত্তরা, খিলক্ষেত. বনানী, মহাখালী এবং মিরপুর এলাকা  থেকে উনার ওয়েবসাইটে সেই রাতের ইন্টারনেটে গেমিং কোড কিনতো আর আমার নাম্বারে বিকাশ করতো। নূন্যতম ১৫০ টাকা থেকে শুরু করে ১৫২০ টাকা পর্যন্ত পার হেড। এই এক বিরাট অনুভূতি- কেউ আমারে কোন মোবাইল কল দিতো না। শুধু বিকাশ করতো আর আমি সেগুলো সেই মিরপুর ১ নাম্বারের গেমিং ভাই এর কাছে ফরওয়ার্ড করতাম। উনি ডলারের দাম শোধ হবার পরে অন্য আরেকজন যাকে পেমেন্ট করবেন তার বিকাশ নাম্বার আপলোড করে  দিতেন। আমি উনাকে জিজ্ঞাসা করলে বলতো এইটা উনার সিষ্টেম। এইভাবেই উনার কাছে পেপাল ডলার সেল করতে হবে। ডলার বাই সেলের জণ্য আমাদের বিশ্বস্ত প্রতিষ্টান আছে পেমেন্ট বিডি বা পেপাল বিডি। আমি যেখানে ছিলাম ২ বছর (মিরপুর ১২ নাম্বার মোল্লা মসজিদের গলি- ৩ নাম্বার [ প্রথম বছল মেসে ছিলাম এবং দ্বিতীয় বছর একটা ফ্ল্যাট ভাড়া করে ছিলাম) সেখান কার ছেলে পেলেরা এইগুলোকে  ভেলকি মনে করতো এবং ফ্রি ল্যান্সার টাকে দুই নাম্বারি ভাবতো অনেকসময়। মূলত আমি ইউরোপ আমেরিকার ফেসবুক ফ্রেন্ড যারা তাদের কাছ থেকে পেপালে ডলার রিসিভ করতাম আর সেই ডলার সেল করতাম নিজে যাইয়া পরিচিত হয়ে- ফেসবুক থেকে খোজে বের করে । আরো ২/১ পরিচিত বড় ভাই ছিলো যাদেরকে ডলার (পেপাল ওয়েবসাইটে ডুকে সেন্ড মানি মেথডে) দিতাম আর নিজে যাইয়া ক্যাশ টাকা নিয়ে আসতাম। যে  ইন্টারনেট, ফ্রি ল্যান্সিং বা  আউটসোর্সিং বুঝতো না তাকে আর কিভাবে  বোঝাবো- পেপাল সেন্ড মানি কি বা কিভাবে পোল টু পেপাল ডলার কেনা বেচা করতাচি আর কিভাবে বিকাশে টাকা রিসিভ করতাছি ? তাই ভাবতাম যে- ভ্যালকি হিসাবেই দেখতে থাক- একসময় ক্লিয়ার হয়ে যাবি। পেপাল ডট কম বাংলাদেশে ওপেন হয় এবং লক্ষ লক্ষ ছেলে পেলে ওয়েবসাইটে একাউন্ট ওপেন করে লেনাদেনা করতাছে। পেপাল ডটট কমের সাথে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোন লেনাদেনা করা যাবে না কারন পেপাল বাংলাদেশ ব্যাংক কে নীতিগত ভাবে অনুমোদন দেয় না। সেজন্য পেপালের ওয়েবসাইটে ঢুকে একজন আরেকজনকে সেন্ডি মানি করা যায় এবং সেটা বাংলাদেশের ইন্টারনেট থেকেই করা যায়। আর লোকাল বা মোবাইল ব্যাংকিং এর ক্ষেত্রে যে কেউ যে কাউকে সেন্ড ামনি করতে পারে। যাকে আমরা বলি- সেন্ড মানির কোন হিসাব নাই।এইটা ফ্রেন্ডস এবং ফ্যামিলির ‍ সুবিধা। যেমন: ধরেন বিটকয়েন। বাংলাদেশে ওয়েবসাইট ওপেন হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে বিটকয়েনের কোন লেনাদেনা হয় না, পারস্পরিক একজন আরেকজনকে বিটকয়েন সেন্ড করতে পারে বা বিটকয়েণ ব্যবহার করে যে কেউ যে কাউকে বিটেকয়েণ দিতে পারে। এইখানে বাংলাদেশ সরকারের কোন বাধাধরা আইন নাই। শুধূ আইন একটাই- বিটকয়েণ আপনি বাংলাদেশ ব্যাংকে উইথড্র করতে পারবেন না। বাংলাদেশে এমন কোন ফ্রি ল্যান্সার বা মার্কেটপ্লেস ওয়ার্কার পেপাল বা বিট কয়েনের পারস্পরিক লেনাদেনাকে অবৈধ বলতে পারবে না। এইটা সত্য যে বাংলাদেশ ব্যাংক পেপাল বা বিটকয়েণকে এলাও করে না। ম্যাক্সিমাম ট্রনাজেকশন আমরা বিকাশে করতাম যেনো সরকারকে রেমিটেন্স দেবার স্কোপ না থাকলেও ভ্যাট, ট্যাক্স দিতে পারতাম। বিকাশে পার ট্রনাজকশনে ট্রানজেকশন নাম্বার পাওয়া যায় যা সরকারি রেকর্ড। পেপাল পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ব্যাংক এবং ম্যাক্সিমাম ফ্রি ল্যান্সারদের ই এই পেপাল ডট কম লাগে উন্নত বিশে।বর ইউরোপ আমেরিকার বায়ারদের সাথে লেনাদেনা করার জন্য। আর পেমেন্ট বিডির সাথে যতো লেনাদেনা করেছি সেগুলো পেমেন্ট বিডির েভেরিফায়েড পেপাল একাউন্টের সাথে লেনাদেনা। এখন আমাকে ছেলের মতো পছন্দ করে এরকম একজন ক্লায়েন্টের ভেরিফায়েড পেপাল একাউন্ট ব্যবহগার করে লেনাদেনা করি বা ই কমার্স ওয়েবসাইটে ট্রানজেকশন করি। ২০১১ সালে  বা সেই সময়েল আশে পাশেকার সময়ে বাংলাধেম ব্যাংক রিজার্ভ, রেমিটেন্স , প্রাইভেট ব্যাংক রিজার্ব বা রেমিটেন্স চুরি হবার কারনে বা হ্যাক হবার কারনে বা বাংলাদেশের নাম আন্তর্জাতিক হ্যাকার তালিকাতে উঠার কারনে এবং লোকালি সারা দেশের মানুষের কাছে হ্যাকারদের সাথে কোন ধরনের সম্পর্ক নাই দেখানোর জণ্য ই মূলত তৎকালীন (১০১১/১২ সালে)  ফ্রি ল্যান্সার দের সাথে ডিসকাস করে এই পেপাল ডট কম ব্যবহারের পরিকল্পনা করি - এমনকি মার্কেটপ্লেস থেকেও পেপালের মাধ্যমে উইথড্র দিতাম এবং লোকালি সেল করে দিতাম যেনো বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে কোন ধরনের গ্যানজামে জড়িয়ে না পড়ি আর আমার পারসোনাল ক্যারিয়ার টাও পরিস্কার থাকে।  আমাদের যুক্তি একটাই - যেহেতু বাংলাদেশে পেপাল আর বিটকয়েণ ইন্টারনটে ব্রাউজারে ওপেন হয় সেহেতু এইটা ব্যবহার করা বৈধ। বাংলাদেশ ব্যাংকে উইথড্র করার চেষ্টা টা অবৈধ। আর যেহেতু ২০০৬ সাল থেকেই রেমিটেন্স আনি সে ক্ষেত্রে ফ্রি ল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং জগতে কিছু না কিছু বা নতুন কিছু করার অধিকার আমাদের আছে সবসময় (২০০২ সাল থেকেই জড়িত ওডেস্কের সাথে)। ফ্রি ল্যান্সার রা অলওয়েজ আপডেটেড। এডিশনালি আমি আমেরিকার সুপ্রীম কোর্টের একজন আইনজীবি (ম্যাসাচুয়েটস, বোষ্টন) এবং বাংলাদেশের হাই কোর্টের একজন আইনজীবির সাথে ডিসকাস এবং অনুমতি নিয়েই পেপাল ব্যবহার শুরু করি। সারা দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ পেপাল ব্যবহার করে সো যাার স্পেফিক্যালি আমার িবরুদ্বে বিষেধাগার করতাছে তাদের কে বলি- যা কিছু সবার জন্য প্রযোজ্য তা আমার জন্যও প্রযোজ্য। সাম্প্রতিককালে পেপাল এর সাথে আমেরিকান বা জার্মানীল ব্যাংক একাউন্টের ডে ভেরিফিকেশন এর সেখান থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে যে উইথড্র সেটা নিয়ে গ্যানজাম বা বিপদ হতে পারে যা আমি কখনো করি নাই। কারন আমি কোন পেপাল ব্যাংক একাউন্ট কে পাইওনিয়ারের সাথে ভেরিফাই করি নাই কখনো। আমাদের দেশের ছেলেরা পেপালের ডলারকে পাইওনিয়ার এর মাধ্যমে ভেরিফাই করে বাংলাদেশ ব্যাংকে রেমিটেন্স হিসাবে এনে প্রাইভেট ভ্যাংকে এড করেছে যার ানেক প্রমান ইউটিউব ভিডিওতে আছে। আমার এই ধরনের কোন অভিজ্ঞতা নাই। সাম্প্রতিককালে পাইওনিয়ার তাদের কার্ড সাপ্লায়ারও পরিবর্তন করেছে এবং আরো কিছূ ডলারের ব্যাপারে তাদের লস  ও হয়েছে বলে শুনেচি। হঠাৎ করে বাংলাদেশীদের মাথাতে এই বুদ্বি কে দিলো তা এক সৃষ্টিকর্তাই জানে। শুধুমাত্র ফ্রি ল্যান্সার দের জন্য পেপাল বাংলাদেশে চালু করানোর জন্য বাংলাদেশে কোনাচে কানাচে থাকা ডাচ বাংলা ব্যাংক এবং নিউইয়র্কের মাষ্টারকার্ডও খুব দরকারি ভূমিকা রাখতে পারবে বলে আশা করি। ডাচ বাংলা ব্যাংকের কথা বলা হলো কারন- বাংলাদেমে প্রাইভেট ব্যাংকগুলোর মধ্যে ডাচ বাংলা ব্যাংকই সবচেয়ে সেরা, সবচেয়ে বেশী ব্রাঞ্চ, সবচেয়ে বেশী এটিএম এবং ভিসা/মাষ্টরকার্ড এভেইলেবল এবং সবচেয়ে বেশী এটিএম বুথ। অথবা শুধু নিউইয়র্ক মাষ্টারকার্ড কোম্পানীকে (যা সম্পৃতি বাংলাদেশে এসেছে)  ব্যবহার করলেও চলবে কারন সারা দেশেই মাষ্টারকার্ড লোগো সম্বলিত এটিএম বুথ এভেইলেবল প্রায় ৮০-১০০ টা ব্যাংকের।  পেপাল দিয়ে নেইমচিপ থেকে অনেক সহজে ডোমেইন কেনা যায় যা একেবারে খুবই সহজ। ণীচের ছবিতে দেখেন: ক্রেডিট কার্ড /পেপাল/বিটকয়েণ ৩ টা দিয়েই্ নেইমচিপ ডোমেইন কেনা যায়। 





Note: শুধুমাত্র ফ্রিল্যান্সার দের জণ্য- বাংলাদেশী ফ্রি ল্যান্সারদের জন্য বাংলাদেশী পেপাল চালু করলে ভালো হবে। 






(চলছে তো চলবে)



How to Install AddThis Inline Share Buttons on AMP (Accelerated Mobile P...

Combating the Crisis Together | Bangladesh

Sunday, September 27, 2020

ইন্টারনেটের কারনে জনজীবনের পরিবর্তন। বিভিন্ন ধরনের মার্কেটপ্লেস।

 ফেসবুকে একটা মার্কেটপ্লেস আছে যা আমাদের দেশে এভইলেবল না। আমাদের দেশে অনেক সার্ভিস ই এখনো এভেইলেবল না। যেমন: ক্লিকব্যাংক। ব্যবসা করে চলে গেছে। কয়েকদিন আগে চলে গেছে ইউটিউব মনিটাইজেশণ প্রোগ্রাম (গুগল) - এবং এখনো ফুল ফেজ অপারেশর শুরু করে নাই পেপাল।এরকম অনেক দেশে অনেক মার্কেটপ্লেস আছে যা আমরা জানি না। বা আমাদের দেশের কেউ এখনো সেখানে উপার্জন শুরু করে নাই। আমার অভিজ্ঞতায় সবচেয়ে ভালো ফ্রিল্যান্সার বা মার্কেটপ্লেস ওয়ার্কার তারাই যারা নিজে নিজে খোজে খবর করে যে কোন মার্কেটপ্লেস কাজ শুরু করে দিছে। বাংলাদেশে অনেকেই নীরবে অনেক খানে বসে থেকে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে কাজ করে যাইতাছে। এখন বাংলাদেশ সরকারের কাছে তালিকা আছে কারা কারা এ যাবত কালে বিভিন্ন দেশের মার্কেটপ্লেসে কাজ করে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যবহার করে নিজস্ব প্রাইভেট ব্যাংকে রেমিটেন্স এনছেন এবং সরকারের প্রযুক্তি মন্ত্রনালয় তাদের কে ফ্রি ল্যান্সার আইডি কার্ড দেবার ও চেষ্টা করতাছে। বাংলাদেশ সরকারের এখন মেন্টালিটি অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আগে বাংলাদেশ সরকার সাধারন গরীব মানুষদের জণ্য বিপুল পরিমান ভর্তুকি দিতো যা এখণ আর তারা দেয় না। যার ফলে সাধারন মানুষের এবং গরীব মানুষের অনেক কষ্ট হয়। বাংলাদেশে এ যাবত কালে সকল ধরনের ফ্রি ল্যান্সার মার্কেটপ্লেস থেকে যে রেমিটেন্স এসেছে তার উপরে ভিত্তি করে যে কার্ড বা পরিচয়পত্র দেবার পরিকল্পনা করেছে প্রযুক্তি মন্ত্রনালয় তার পেছনে তাদের একটা স্বার্থও আছে। তারা যে সকল ফ্রি ল্যান্সার রা দেশব্যাপী কষ্টে আছে তাদেরকে স্বল্প সুদের লোন দেবার পরিকল্পনা ও করেছেঅথচ রেমিটেন্স আনার কারনে তারা দেশের ১ নাম্বার নাগরিক হিসাবে বিবেচিত। যে ব্যাংকে রেমিটেন্স আনা হয়েছে সে ব্যাংককে সরকারি ভাবে নির্দেশ দিলেই সে সকল প্রাইভেট ব্যাংক বাংলাদেশের যে সকল ফ্রি ল্যান্সার রা রেমিটেন্স এনেছে তার উপরে একটা লোন সুবিধা পাইতো প্রয়োজন স্বাপেক্ষে। ব্যাপারটা কেমন - যারা রেমিটেন্স এনেছে তারা আবার লোন সুবিধার জণ্য বিবেচিত হইতাছে। যারা রেমিটেন্স এনেছে তারা লোন সুবিধার জণ্য বিবেচিত হলেও সেটা ডলারের এমাউন্টের জন্য বিবেচিত হওয়া দরকার- যাতে করে সমস্ত ফ্রি ল্যান্সাররা প্রয়োজেন বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে ডলার লোন নিয়ে সেটা আবার তাদের মার্কেটপ্লেসে ব্যবহার করতে পারে।   সব ফ্রি ল্যান্সার সব সময় সব সময় সব খানে ভালো থাকে না। সবাই সব সময় এক পরিমান ইনকাম ও করে না। সবার ইনকামের লেভেল ও এক না। আবার কারো কাছে ভালো পরিমান অর্থ থাকে আবার কারো কাছে কম পরিমান অর্থ থাকে। সে ক্ষেত্রে ফ্রি ল্যান্সার রা এই কার্ড দেখিয়ে যদি লোন নেয় তাহলে সরকারের কিছুটা উপকার হবে। তারা ব্যভসা করতে পারবে। এখন তো সরকারের মেন্টালিটি সাধারন মানুষের সাথে ব্যবসা করা। বর্তমানের রাজনৈতিক সরকারকে যে কোন সময়ে এদশের সাধারন মানুষ গুড বাই বলে দেবে কারন সাধারন মানুসেল প্রধান চাহিদা দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতির জন্য। যেখানে একজন গলীব মানুস ১২০ টাকাতে ২০০৯ সালে সংসার চালাতে পারতো রোজ হিসাবে সেখানে আজেকে সে প্রায় দৈনিক ৫০০ টাকাতেও সংসার চালাতে পারতাচে না- তার খরচে কুলাচ্ছে না। সে জিনিস টা আমরা চেয়েছিলাম ফ্রি ল্যান্সার রা- জাতীয় পরিচয়পত্র ডাটাবেজে ফ্রি ল্যান্সার পেশাটাকে অন্তর্ভূক্ত করা। সে ক্ষেত্রে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ফ্রি ল্যান্সার বা আউটিসোর্সারদের জণ্য যে সুবিধা গুলো বরাদ্দ আছে সেগুলো পাওয়া যাইতো নিশ্চিন্তে। এমনকি নাগরিক্তব বা ভিষা সুবিধাও । কিন্তু এখণ একটা মন্ত্রনালয় থেকে সে সুবিধা পাবার কারনে বিশ্বে অবস্থিত/থাকা  সেই সুবিধা গুলো পুরোপুরি না পাবার সম্ভাবনা থেকে যাবে অনেক। ফ্রি ল্যান্সার রা তো কোন মন্ত্রনালয়ের জণ্য রেমিটেন্স আনে নাই- তারা রেমিটেন্স এনেছে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জন্য। তাহলে তারা গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের রেমিটেন্স সেকসানে এড হবার দরুন গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জাতীয় পরিচয়পত্র ডাটাবেজে ফ্রি ল্যান্সার হিসাবে নথিভুক্ত হবে বলে আমি মনে করি।


যে ধরনের মার্কেটপ্লেস গুলো দেখা যায়: 

পন্য কেনা বেচার মার্কেটপ্লেস: গাড়ী থেকে শুরু করে বাড়ী, মার্কেটে প্রচলিতে যে কোন ধরনের পন্য বা যে কোন কিছু কেনা বেচা করার জন্য যে ইন্টারনেট ওয়েবসাইট ব্যবহৃত হয় তাকে মার্কেটপ্লেস ওয়েবসাইট বলে। এই ধরনরে ওয়েবসাইট কে অনেক সময় ক্লাসিফায়েড ওয়েবসাইট ও বলা হয়। যেমন: Clickbd বা ক্লিকবিডি। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ক্লাসিফায়েড ওয়েবসাইট। এইখানে বা এই ওয়েবসাইটে আপনি যে কোন পন্য কেনা বেচা করতে পারবেন। সেজন্য এই ওয়েবসাইট গুলোকে মার্কেটপ্লেস ওয়েবসাইটও বলা হয়। ক্লাসিফায়েড বলা হয় আপনি যে কোন ধরনের পন্য বিক্রয় করতে পারবেন সেজন্য। আর মার্কেটপ্লেস বলা হয় ওয়েবসাইট টাতে কেনাবেচা করতে পারবেন সেজন্য। এইখঅনে আপনি আপনার যতো সার্ভিস আছে সবই লিষ্টিং করতে পারবেন। তবে ইন্টারনেট প্রফেশনালদের জন্য আলাদা যে মার্কেটপ্লেস সেটাকে ফ্রি ল্যান্সার মার্কেটপ্লেস বলা হয়। 

ফ্রি ল্যান্সার মার্কেটপ্লেস: SEOLIstly.com এই খানে এসইও বা ইন্টারনেটে কাজ জানে এরকম যে কোন ধরনের প্রফেশনাল রা তাদের সার্ভিস লিষ্টিং করতে পারবে। এসইওক্লার্ক ওয়েবসাইটে প্রায় ১০ লক্ষ ফ্রি ল্যান্সার রা রেজিষ্ট্রেশন করা আছে। তারা তাদের সার্ভিস সেল করতাছে। আপনি সাইন আপ করে মূল ওয়েবসাইটে গেলেই দেখতে পারবেন সকল ফিচার। এইখানে সারা বিশ্বের ফ্রি ল্যান্সার, ইন্টারনেট আউটসোর্সার, মার্কেটপ্লেস ব্যবহারকারীরা তাদের আকর্ষণীয় সব ফিচার ব্যবহার করতাছে এবং প্রতিনিয়ত সেলস করতাছে। আর এই সেলস গুলো কিছু পেমেন্ট কোম্পানী কন্ট্রোল করে এবং সেই মোতাবেক তারা পেমেন্ট ও রিসিভ করে থাকে। ফ্রি ল্যান্সার যেহেতু স্বাধীন পেশা এবং ডিজিটাল গুডস রিলেটেড সার্ভিস সেহেতু এইখানে মার্কেটপ্লেস রিলেটেড ওয়েবাসাইট গুলোতে তাদের সার্ভিস কেনা বেচার কারনে এই ওয়েবাসাইট গুলোকে ফ্রি ল্যান্সার মার্কেটপ্লেস বলা হয়। 

 

SEOClerks


এই টিউটোরিয়াল টা যদি আপনি পুরোপুরি দেখতে পারেন : পার্ট ০১ টগ পার্ট ০৬- তাহলে আপনি৮ টা মার্কেটপ্লেস রিলেটেড সব কিচু জানতে পারবেন। আপনি একবার জয়েন করলেই ৮টি ওয়েবসাইটের সদস্য হতে পারবেন বিনামূল্যে। 

Saturday, September 26, 2020

ইন্টারনেটের কারনে জনজীবনের পরিবর্তন। ওয়েব সাইট ফ্রি ল্যান্সার মার্কেটপ্লেস।

একটি ঘটনা বা কাহিনী বা গল্পকাহিণী বা অতি রন্জিত কাহিণী দিয়ে শুরু করা যাক। মনে করেন: একটা মার্কেট নাম: কামাল রনজিত মার্কেট। অবস্থান: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। আগে যার নাম ছিলো কো অপারেটিভ মার্কেট। মোটামুটি ভালো পপুলার প্লেস ময়মনসিংহের ভেতরে। যখন বিশ্ববিদ্যালয় খোলা থাকে তখন সেই জমা জমে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্লেস টি। এইটাকে গুগলের ম্যাপে বা ফেসবুকে প্লেস হিসাবে মার্ক করে দেয়া আছে। যে প্লেস টা গুগলের ম্যাপে জমা থাকে সেটাকে প্লেস বলা চলে।  


যেম এইখানে ম্যাপে দেয়া আছে। এই মার্কেটে ৩ টা দিক দিয়ে ঢুকা যায়। এক: আমার লোকালি বলি: মেইন রাস্তা থেকে - কে বি ইসমাইল রোড থেকে। দুই: শাহাবুদ্দিন ভাই এর দোকান থেকে এবং তিন: পত্রিকা বিচিত্রার দোকানের সাইড দিয়ে। ৩ টা সাইডেই পপুলার থাকে। এক সাইডে বিশ্ববিধ্যালয়েল শিক্ষক যারা ছাত্র ছিলেন তারা নির্দিদ্বায় বসে আড্ডা দেন। আরকে সাইডে বিশ্ববিধ্যালয়েল ছাত্র ছাত্রীরা আড্ডা দেয়। আরেক সাইডে- বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকার বাসিন্দা রা আড্ডা দেয়। এই প্লেস বা আড্ডা টাকে পছন্দ করে না এরকম কোন পারসনই নাই বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিধ্যালয়ের সমাজে। এই মার্কেটে অনেক মেধাবী ছাত্র ছাত্রীরা বসে আড্ডা দিতো বা টাইম পাস করতো। এইটার আগে নাম ছিলো কামাল রনজিত মার্কেট। সারারাত আড্ডা দেয়া বা চিল করে টাইম পাস করা বাকৃবি আবাসিক এলাকার ছেলে পেলেদের জন্য খুবই সজব ব্যাপার ছিলো। আমি অবশ্য এই আড্ডো থেকে  সের যাই ১৯৯৮ সালে- আমার এইচ এস সি পরীক্ষা শেষ হবার পরে- বর্তমানে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার পরে এবং সেখান থেকে আমার আমাদের বর্তমান বাসাতে চলে আসার পরে। 

অনেকদিন সেই আড্ডা আমি মসি করেছি। ধরতে গেলে ২০০৬ পর্যন্ত। যখণ- পুরোদমে ফ্রি ল্যানসিং এবং আউটসোর্সিং মার্কেটপ্লেসের কাজ শুরু করার আগে পর্যন্ত। মার্কেটপ্লেসের কাজে নিম্গ্ন হবার ফেলে সেখানে আর সহজে যাওয়া হয়ে উঠে নাই। আজকে বহেু বছর পরে গেছিলাম ছোট বেরার এক বন্দুর শপে। তার কাছে গতাকল রাতে ক্রাশ খাওয়া ল্যাপটপের উইন্ডোজ ঠিক করার কারনে। আরো আরেক বন্ধুকে নিয়ে ভালো আড্ডা জমলো। ভালেঅ সশয়ও কাটালাম এবং দুপুরে বাসাতে চলে আসলাম। আমাদের বর্তমান বাসা/বিল্ডিং ২০ নং ওয়ার্ড। আর বাংলাদেশ কৃষি বিশ্বদ্যিালয় ২১ নং ওয়ার্ডে। যে কথাটা বলার জন্য লেখাটা শুরু করা- বাংলাদেশ কৃসি বিশ্ববিধ্যালয় মার্কেট যখন লোকে লোকারন্য থাকে সেটাকে এক ধরনের মার্কেটপ্লেস বলা হয় বা প্লেস জমে উঠেছে বলা হয় কিন্ত তার মানে এই নয় যে সেটা ফ্রি ল্যান্সার দের মার্কেটপ্লেস। ফ্রি ল্যান্সারদের মার্কেটপ্লেস বলতে এমনতর ওয়েবসাইট কে বোঝানো হয় যেখানে ইন্টারনেট জ্ঞানে শিক্ষিত হাজার হাজার বা লক্ষ লক্ষ কোয়ালিফাঢেয বা স্ক্রিলড লোকের সমাবেশ হয়। একাসথে অনেক ফ্রি ল্যান্সারদের কোয়ালিটি অনুযায়ী খুজে পাওয়া যায় বা অনেক অনেক ফ্রি ল্যান্সার দের অনেক অনেক সেবা বা সার্ভিস সমূহ একসাথে খুজে পাওয়া যায় বলে ইন্টারনেটের বাসাতে সেটাকে মার্কেটপ্লেস বলা হয়। তাছাঢ়া ইন্টারনেট ওয়েবসাইটে ডলার বা সারা দেশের মুদ্রা বিনিময় হয় বলে এই ধরনের ওয়েবসাইট কে মার্কেটপ্লেস বল েঅভিহিত করা হয়। বেসিকালি ইন্টারনেট মার্কেটপ্লেস গুলেঅতে গাড়ি থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় সব দ্রব্যাদিই খুজে পাওয়া যায়। কিন্তু একদল নিরক্ষর মার্কেটপ্লেস এর মিনিং কে উল্ট পাল্টা করে সেটার একটা খারাপ চাদাবাজি ওয়ে বাংলাদেশে অনেক সময় তৈরী করে ফেলাইতাছে যা একেবারেই অযৌক্তিক। 

এক মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় এ বহিরাগত হিসাবে প্রায়শই প্রবেশ করতো। ভাবখানা এমন যে তার শশুর বাড়ি র এলাকা। সে কোন বিশ্বেবিধ্যালয়ের ছাত্রী ও ছিলো না। টোটাফাটা বা ছিটেফোটা কাজের বুয়া টাইপের কাজ করতো আর বিশ্ববিধ্যালয়ের অোবাসিক এলাকার শিক্ষকদের বাসভবনে প্রবেশ করে পিএইচ ডি করে আসা শিক্ষকেরা কিভাবে থাকে বা বসবাস করে বা কিভাবে ড্রয়িং রুম বা বেড রুম সাজায় সেগুলো দেখতো ছুটা বুয়ার কাজ করার ছলে। সে ছিলো অশিক্ষিত এবং কোন স্কুলের কোন ক্লাস পাশ করে নাই। সে রকম কোন সার্টিফিকেট ও তার নাই। সে এই সকল ডাটা কালেকশন করে বাংলাদেশের অন্যান্য এলাকার লোকজনের সাথে শেয়ার করতো এবং তার বিনিময়ে টাকা পয়সা বা অন্য কিছু পাইতো। তাকে ২/৩ বার চোর সাব্যস্ত করে মেরে ফেলতে চাওয়া হয়েছিলো। তখনকার দিনে চোরের জন্য গনপিটটনা বরাদ্দ ছিলো। গনপিটানা খাইয়া যদি কেউ মইরা যাইতো তাহলে সে ব্যাপারে খুব বেশী আইন পুলিশ হতো না। তবে শুনেছি সে রাজাকার মহিলা ছিলো। আমাদের বাসার কাজের বুয়া অসুস্থ থাকায় সে একবার প্রক্সি দিতে এসেছিলো  আমাদের রেগুলার কাজের বুয়ার- বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকাতে ১৯৯৮ সালের আগে।  একদিন আমাদের বাসাতে আইসা বেল দিয়ে বলতাছে যে- আমাদের রেগুলার বুয়া আজকে কাজ করতে আসবে না। তার বদলে সে এসেছে। আমি মহিলার দিকে তাকিয়ে দেখলাম- মহিলার চাহনী ছিলো খারাপ। আমার বাবা তখন উচ্চ শিক্ষার্থে আমেরকিাতে শিক্ষা এবং অধ্যয়নরত ছিলো এবং ছুটিতে বাংলাদেশে এসছিলো। বাসাতে ছিলেন এবং দরজা খোলার জন্য মেইন গেটের দিকে আসতেছিলেন। আমি দরজা খোলার পরে  সেই মহিলাকে দেখে ই  বললো যে- মহিলাটা খুবই খারাপ (সম্ভবত আমার বাবাকে চোখ দিয়ে কোন খারাপ প্রস্তাব দিয়েছিলো কিন্ত তিনি মানুষ হিসাবে ফেরেশতার মতোই ছিলেন- ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন এবং নিয়মিত ধর্ম কর্ম ও করতেন। পুরো বিশ্ব ঘুরেছেন কিন্ত ধার্মিক হবার জন্য কখনো দাড়ি ফালাইয়া দেন নাই- আমি উনাকে তার ষ্টাডি রুমে পাঠাইয়া দেই। আর উনার কথার মধ্যে আমার প্রতি সতর্কবানীটাই ছিলো বেশী। প্রথমদিনরে পরে আব্বা চলে যায় ফ্লাইটে।)। তখণ প্রচুর পরিমানে খারাপ মহিলা যত্র তত্র ঘোরাফেরা করতো কারন বাংলাদেশে ছিলো পৃথিবীর অণ্যতম সেরা পতিতালয় যার নাম নারায়নগঞ্জ টানবাজার। তাই সারা দেশে কোন ধরনের খারাপ মহিলারা ঘোরাফেরা করলে কেউ কিছু মনে করতো না। আমিও সেরকমই ভেবেছিলাম।  আমি আব্বাকে আলাদা রুমে পাঠিয়ে দিয়ে মাঝখানের ডোর লক করে দিলাম এবং যে রুমে কাজের বুয়া কাজ করবে সেই রুমে তাকে বললাম- ঠিক আছে আপনার সব কাজ করার দরকার  নাই। শুধু ড্রয়িং রুমের কাজটা করেন - পরিস্কার করেন, ঝাড়ু দেন এবং মুছেন আর কিচেনের যে সকল ধোয়া মোছা আছে সেগুলো শেষ করেন। আমি পুরোটা সমিয় দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখলাম কারন তখনকার দিনে নতুন কাজের বুয়া বাসা বাড়িতে কাজ করতে আসলে চোখে চোখে রাখতে হতো নয়তো প্রচুর পরিমানে চুরি হতো। তো সে ড্রয়িং রুমের কাজ শেষ করে কিচেনে গেলো এবং সেখানে হাড়ি পাতিল ধোয়া মোছা করা এবং খাবারের প্লেট গুলো ধুয়ে দেবার পরে বললাশ ভাতটা রান্না করেন- ভাত রান্না শেষে  আমি বললাম যে আজকে আপনি চলে যান। পরের দিন সে আবারো আসলো। বাসাতে শুধূ আমি আর আমার আম্মা ছিলাম। সেদিন তাকে দিয়ে পুরো বাসা মুছালাম আর কিচেনর কাজ শেষ করালাম। আবার আসলো তৃতীয় দিন- তখন তাকে দিয়ে আবারো ড্রয়িং রুম ধোয়া মোছা করালাম এবং কিচেনের কাজ শেষ করে বিদায় করে দিলাম। দ্বিতীয় দিন আম্মা আমাকে বলতাছে যে এই মহিলা কে?  আমি বলতাছি- আমাদের রেগুলার বুয়া আসে নাই তার বদলে এই মহিলা বসেছে। প্রথম দিন আম্মা টের পায় নাই যে অন্য এক মহিলা কাজ করতে এসেছে-তাদেরকে আলাদা করে রেখেছিলাম। আব্বা উচ্চ  শিক্ষার্থে বিদেশ থাকার কারনে পুরো পরিবারের  দ্বায়িত্ব ছিলো আমার উপরে। আবআবর বেতন তোলা থেকে চিঠিপত্র রিসিভ করা, বাসার এ টু জেড সব কিছু দেখে রাখা, বাজার সদাই বা কাচা বাজার করা , ছোট ছোট দুই ভাই বোনের  দেখাশোনা করা, স্কুলে  নিয়ে যাওয়া বা আসা আর নিজের বন্ধুদের সাথে সন্ধ্যার পরে আড্ডা বাজি করা, নিজের পড়াশোনা ঠিক রাখা- এক কথায় দ্বায়ত্ব নিয়ে চলা। সেই কারনে নিজে দাড়িয়ে থেকে তিন দিন কাজ করালাম এবং তৃতীয় দিন যাবার সময়ে সেই মহিলা আমার জন্য ইউএসএ থেকে  নিয়ে আসা বাবার একটা খুবই দামী নীল রংয়ের জ্যাকেট সে চুরি করে নিয়ে দৌড় দেয়। তারপরে চতুর্থ দিনে আমাদের রেগুলার বুয়া আসলে আমি জিজ্ঞাসা করলাম- যে কে এসছিলো এই ৩ দিন- তাকে তো আগে  কখনো দেখি নাই- তো বলতোছে ভাইয়া সে চরে (ব্রক্ষপুত্র নদীর ঐপাড়ে) যাইয়া আমার বাড়িতে ঢুকে কিছু লোকজন নিয়ে থ্রেড দিয়ে আমাকে ৩ দিন কাজে আসতে নিষেধ করেছিলো এবং আমাকে চাপাতি দাও দিয়ে ভয় দেখাইছিলো। তো পরে বুঝতে পারলাম যে- কোন  জয় বাংলা বিরোধী কোন শতরু পক্ষের কেউ হয়তো হবে কারন তখন ১৯৯০ সালের গনজাগরনের আগে আগের সময় । হয়তো রেকী করতে এসেছিলো। তো আমি আমাদের বাসার কাজের বুয়াকে বললাম যে- আপনি আর কখনো এই ধরনের কাজ করবেন না্ আপনি নিজে কাজে না আসলে আসবেন না কিন্তু প্রক্সি হিসাবে কাউকে পাঠাবেন না। তো কাজের বুয়া বলতাছে যে- ঠিক আছে।  এর মধ্যে একদিন দেখি সে কাজের ফাকে সোফাতে বসে আছে- থখন প্রজন্ড জোড়ে ধমক লাগালাম যে তোর এতো বড় সাহস যে তুই সোফাতে বইসা আছস কাজের বুয়া বেটি- নাম। পরে সে নাইমা সরে দাড়িয়েছিলো।   তো সেই মহিলা র সাথে প্রায় ২০ বছর পরে আবারো গ্যানজাম লাগলো রাজধানী ঢাকা শহরে- সেখানে সে থাকে এবং যে কাজ পায় তাই করে টাইপের অবস্থা। তো কথা প্রসংগে সে বললো যে - মার্কেটপ্লেস মানে দোকানদারদের আড্ডা। ফ্রি ল্যান্সার রা তো এক ধরনের দোকানদার। আমার কথাটা গায়ে লাগলো। আমি প্রতিবাদ করলাম এবং বললাম যে - ফ্রি ল্যান্সার রা দেশের এক নম্বর নাগরিক কারন তারা দেশের জন্য বৈদিশিক মুদ্রা আনে। তারা এ দেশের জণ্য রেমিটেন্স কালেক্ট করে। তো পরে বুঝতে পারলাম যে- সেই মহিলা অশিক্ষিত এবং নিরক্ষর। সে মার্কেটপ্লেস বলতে কামাল রনজিত মার্কেটের দোকানদারকে বুঝাইয়া থাকে যেখান থেকে সকল ধরনের ছাত্র নেতা বা পাতি নেতারা চাদাবাজি করতো আর ফ্রি ল্যান্সার রা মার্কেটপ্লেস ইন্টারনেট ওয়েবসাইট থেকে রেমিটেন্স বা বৈদিশিক মুদ্রা বা ডলার উপার্জন করে থাকে। তখন সেই মহিলা একদিন বলতাছে যে- ফ্রি ল্যান্সাররা মার্কেটপ্লেসে চাদাবাজি করে থাকে। তো আমি তার উত্তরে বলেছিলাম যে- ফ্রি ল্যান্সাররা মার্কেটপ্লেস থেকে চাদাবাজি করে না বরঞ্চ তারা তাদের মেধা সেল করে । পরে শেষে বলতাছে- বিদেশে না যাইযা ই ঘরে বসে কিভাবে ফ্রি ল্যান্সাররা রেমিটেন্স উপার্জন করে থাকে - সে ‍গুলো তো অবৈধ। তো আমি আর বেশী  কথা বাড়ালাম না কারন সেটা রাষ্ট্রের ব্যাপার। রাষ্ট্র বৈধ মনে করে থাকেই বিধায় ফ্রি ল্যান্সার রা তাদের রেমিটেন্স কে ক্যাশ করে খরচ করতাছে। রাষ্ট্র যদি অবৈধ মনে করতো তাহলে তো আর সেটা সম্ভব হতো না। পরে যারা শুনেছিলো তাদেরকে বললাম- এই মহিলার মাথাতে ডিষ্টার্ব আছে। সে হয়তো না বুঝে ফ্রি ল্যান্সার এবং মার্কেটপ্লেস নিয়ে কথা বলেছে। আমি সেই মহিলার বাসা বাড়িতে কাজ করতে আসা টাকে তেমন কোন ভয় পাই নাই কারন তখনকার দিনে ঢাকা বিভাগের গোয়েন্দা পুলিশ প্রায়শই মাঝরাতে আমাদের বাসার সামনের বিশাল বারান্দাতে বসে ডিউটি দিতো আর আমাকে দেখলে বলতো চা খাওয়াও বা পানি খাওয়াও। তারা সারা ঢাকা বিভাগে টহল দিয়ে বেড়াতো আর আমি সেই বয়সে সাহসীও ছিলাম দুর্দান্ত। একদিন  কৃষি বিশ্বদ্যিালয়ের ছাত্রদের দেয়া একটা চাইনিজ কুড়াল টাইপের চাপাতি খুব ই সুন্দর দেখতে আমার পড়ার টেবিলে  ছিলো চামড়ার প্যাকেট দিয়ে মুড়ানো- সেটাও দেখলাম সেই মহিলা (যেদিন দিনে দুপুরে জ্যাকেট চুরি করে সেদিন রাত্রিতে) আমার পড়ার রুমের টেবিল থেকে চুরি করে  নিয়ে যাইতাছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের র ছাত্র রা তখন প্রকাশ্য দিবালোকেই অস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াতো আর সংরক্ষিত এলাকা হবার কারনে পুলিশকে তখন অনুমতি নিয়ে ঢুকতে হতো এবং কামাল রনজিত মার্কেটের আশে পাশে তারা প্রচুর পরিমানে অস্ত্র রেখে দিতো। এই  জীবনে যে কতো পরিমান লাইভ অস্ত্র যদ্ব দেখেছি ছাত্র ছাত্রীদের অস্ত্র নিয়ে- তা আরেকদিন বলবো বা আলোচনা করবো।
সেই সময়ে আমার বাসাতে একটা পুরাতন কম্পিউটার রাখা ছিলো এবং আমি আমার সেই রুমে এই মহিলাকে ঢুকতে দেই নাই। তখনকার দিনের কম্পিউটার সাদা কালো ব্ল্যাক স্ক্রিন এবং সিএমডি কমান্ড রান করে ফ্লপি ড্রাইভের মাধ্যমে চালূ করা হতো আর মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের মতো লেখালেখি করা যাইতো বা বসে বসে প্যারা গেম খেলা যাইতো। তো যখন ইন্টারনেট আসে বা আস েআসে অবস্থা তখন আমাদের সাথে যে সকল ফরেনারদের কথা হইতো তারা সবাই বেচা কেনার জণ্য ক্লাসিফায়েড টাইপের ওয়েবসাইট বানাইয়া নিতো। সেই ক্লাসিফায়েড ওয়েবসাইট গুলোরই পরে মার্কেটপ্লেস আকার বা নাম ধারন করে। ফেসবুকের ও নিজস্ব মার্কেটপ্লেস আছে- যার নাম ফেসবুক মার্কেটপ্লেস

কি কি ফ্রি ল্যান্সার মার্কেটপ্লেস আছে ইন্টারনেটে যে গুলোতে আপনি কাজ করে ডলার উপার্জন করতে পারবেন: 



  

Friday, September 25, 2020

ইন্টারনেটের কারনে জনজীবনের পরিবর্তন। বাংলাদেশে কি কি ধরনের মোবাইল ব্যাংকিং?

 কি কি ধরনের মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস আছে বাংলাদেশে -

যখন প্রথম প্রথম কাজ শুরু করি  ফ্রি ল্যান্সার রিলেডেট মার্কেটপ্লেসে- তখন প্রথম আমরা যে জিনিসটার অভাব বোধ করি তা হইতাছে ডলার রিসিভ করা এবং পারস্পরিক সেন্ড মানি এবং রিসিভ মানি - যে কোন ব্যাংক বা যে কোন মোবাইল ব্যাংকের মাধ্যমে। তখন কোনো উপায় না পেয়ে বাস্তবে পারস্পরিক লেনাদেনা করতে হতো বা এস এ পরিবহনে টাকা পয়সা লেনাদেনা করতে হতো নির্দিষ্ট টাকার বা চার্জের বিনিময়ে। মোবাইলের কল চার্জ ছিলো ৭ টাকা মিনিট। আমি রবি ব্যবহার করতাম তখন চার্জ ছিলো; ৬.৯০ পয়সা পার মিনিট। তারপরেও হাজার হাজার ছেলে পেলে হাজার হাজার টাকা খরচ করে মোবাইলে কথা বলতো এই ফ্রি ল্যানসার এবং আউটসোর্সিং ইন্ডাষ্ট্রিজ কে প্রতিষ্টিত করার জন্য। ২০০২ সাল থেকে শুরু হওয়া ষ্ট্রাগলে সরকারি সহযোগিতা আসে ২০১১ সালের (কায়রো গনজাগরনের সময়কালে- যতোদূর শুনেছি কায়রো গনজাগরনের সরাসরি নির্দেশ ছিলো বাংলাদেশের ফ্রি ল্রান্সারদের সাহায্য করা অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য) দিকে। তার আগে পর্যন্ত ফ্রি ল্যান্সার রা সরকারের চরম অবহেলার স্বীকার থাকে। কোন ভাবেই সরকারের কোন মন্ত্রনালয়ের তেমন কোন সহযোগিতা পাওয়া যাইতো না। অনেক কষ্ট করে শুধু ইন্টারনেট ম্যানেজ করেই চলতে হতো। ইন্টারনেট যেখানে থাকতো সেখানে ফ্রি ল্যান্সারদের আড্ড বসতো। আজকে যারা নিজেদেরকে ফ্রি ল্যান্সার জগতের হেডম বলে ঘোষণা করে - তারা মনে হয় ২০০২-২০১১ সাল পর্যন্ত নাকে তেল দিয়ে ঘুমাতো আর বিছানায় প্রস্রাব করতো। একসময় এই ইন্ডাষ্ট্রিজ  এষ্টাবলিশ হবে আর সারা দেশের সকল ছেলে মেয়েরা কাজ করবে বা ডলার উপার্জন করবে এইটা ছিলো প্রথম দিন থেকেই বাংলাদেশী শিক্ষিত জগতের স্বপ্ন। আজকে তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়েছে অনেকটা। এস এ পরিবহনের মাধ্যমে একজন আরেকজন কে খরচের টাকা পাঠাতো বা ইন্টারনেটের বিল পাঠাতো বা মোবাইলের খরচ পাঠাতো এক জেলা থেকে আরেক জেলা তে। সরকারি দিনে ২৪ ঘন্টার মধ্যেই সেই টাকা পাওয়া যাইতো আর ছুটির দিন হলে ২/৩ দিন দেরী হতো। প্রথমে এস এ পরিবহনের লোকাল অফিস থেকে কল দেয়া হতো। তারপরে বাসা থেকে বের হয়ে সেই টাকা যদি কোথাও ডলার বেচা হয়ে থাকে - তাহলে সেটা তুলে আনতাম। মানে আমি কখনো কারো কাছ থেকে এস এ পরিবহনে ডলার বেচার টাকা ছাড়া অন্য কোন টাকা রিসিভ করি নাই (আরো ছিলো সাথে সুন্দরবন কুরিয়ার)। তখন বসে বসে ভাবতাম - হাতে মোবাইল আছে কিন্তু ব্যাংক নাই। তখনো ডাচ বাংলা ব্যাংক চালু ছিলো। কিন্তু অনেক খরচ স্বাপেক্ষ ব্যাপার ছিলো। আরো একটা উপায় ছিলো- মোবাইলের ফ্লেক্সি কার্ডের নাম্বার। ধরেন একজনের কাছ থেকে ১০ ডলার কিনলাম। তাকে টাকা দিতে হবে ৭০০। তখন ডলারের রেট ছিলো ৭০ টাকা করে। এখন তাকে পেমেন্ট দেবার জন্য তাকে মোবাইলের কার্ড নাম্বার কিনে দিতাম। মোবাইলের দোকানে যাইয়া ৩০০ টাাকর ২ টা কার্ড আর ১০০ টাকার ১ টা কার্ড কিনে আনলাম। তারপরে সেই কার্ড ঘষে যে নাম্বার যাকে রিচার্জের নাম্বার বলা হতো - সেটা স্কাইপে বা ইমেইলে বা মোবাইলের ম্যাসেজের মাধ্যমে তা সেন্ড করা হতো একজন আরকেজনকে। ফলে পেমেন্ট হয়ে যাইতো। অনেক ভাবে চেষ্টা করেও তখন সরকারি লোকজনের কোন টনক নড়ানো যায় নাই্। আর এখন যখন কিছু কিছু  লোকজন সাথে ঠ্যাটা রাজনীতিবিদ দের যখন এই ব্যাপারে কথা বলতে দেখি তখন অনেক সময় গলা ভরে বমি বের হয়ে আসতে চায় যে- যে লোক এক ডলারও উপার্জন করতে পারে নাই সে হাতে মাইক্রোফোন নিয়ে বড় বড় কথা বলতে দ্বিধাবোধ করে না। তারা বোধ হয় ভুলে যায় যে- ফ্রিল্যান্সার টা লোকাল কোন ব্যাপার না। এইটা ইন্টারন্যাশনাল ব্যাপার। এইখানে  রেমিটেন্স কে ক্যাশ করা হয়। একসময় মোবাইল ব্যাংক নিয়ে ভাবতাম আর আজকে মার্কেটপ্লেস থেকে সরাসরি মোবাইল ব্যাংকে ক্যাশ উইথড্র করতে পারে মার্কেটপ্লেসের ফ্রি ল্যান্সার রা। তবে মাঝে মাঝে প্রশ্ন ও জাগে যে- ঠিক কিভাবে মোবাইল ব্যাংকিং এর সাথে মার্কেটপ্লেসের এপিআইকে কাজ করানো হলো। আমরা যখন আগে দেখেছি ফ্রি ল্যান্সার বা ওডেস্ক সহ অন্যান্য মার্কেটপ্লেস থেকে যে- ইটিএস ETS or SWIFT মেথডে বাংলাদেশ ব্যাংক কে এড করাতেই বহুত বেগ পাইতে হইছে। বহুত বেগ। ধরতে গেলে খেয়ে না খেয়ে টানা ৫/৬ বছর খাটতে হয়েছে। আর যারা খেটেছে তারা মে বি আজকে বহুত শান্তি পাইতাছে যখন সারা দেশের অনেক অনেক ছেলে মেয়েরা ডলার উপার্জন করতাছে। হয়তো আপনি একটা শান্তি পাইতাছেন কিন্তু আমি একটা অশান্তিতে থাকি প্রায়শই যখন শুনি যে- রেমিটেন্স হ্যাকের ব্যাপারে এফবি আই এর তদন্ত চলতাছে (আমি ব্যক্তিগতভাবে খখনো কোন হ্যাক কির নাই বা পারিও না এইটা)। ২০০২- থেকে আজ পর্যন্ত যতো ফ্রি ল্যান্সার যতো ডলার  এনেছে বৈধ ভাবে  তারা সকলেই রেমিটেন্স উপার্জন করেছে বা দেশের জন্য সুনাম এনেছে। আপনি ঠিক তখনই এই সেক্টরে মাথা খাটাতে পারবেন যখন আপনি নিজেও ১/২ ডলার রেমিটেন্স আনতে পারবেন। অনেকের মার্কেটপ্লেস একাউন্ট হ্যাক হতে পারে - তাদের ফুল ডিটেইলস ও পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে কিন্তু তাদের নামে আসা রেমিটেন্স এর রেকর্ড কে তো আর পরিবর্তন করতে পারবেন না। যদি বাংলাদেশে হ্যাকিং এর জোড়ে তা পরিবর্তন করতে স্বক্ষম হোন তাহলে সেটা বিশ্ব ব্যাংকের কাছ থেকেও পাওয়া যাবে। আর যদি বিশ্ব ব্যাংক ও আপনাকে ডাটা না দেয় তাহলে আমেরিকান ব্যাংক একাউন্ট - যে ব্যাংক আপনার নামে রেমিটেন্স ইস্যু করেছে সেখানে আপনার নাম, ফুল ডিটেইলস এবং একটা ট্রানজেকশন নাম্বার রেকর্ড করে রেখেছে- যাতে দুই দেশের যে কোন কাজে সেটা ব্যবহার করতে পারে। ডলার তো আমেরিকার নিজস্ব মুদ্রা। সেটা সারা বিশ্বের সবাই ব্যবহার করে যেটা আমেরিকার নিজস্ব ক্ষমতা। আর সেই ক্ষমতা ভাংগার মতো ক্ষমতা এখনো অন্য কারো তৈরী হয় নাই। যদি কেউ সেটা ভাংতে পারে বলে ধারনা করা হইতাছে- সেটা হইতাছে বিটকয়েন- যা ইতোমধ্যে ডলার হিসাবে নিজেকে দেখায়। তাই ফ্রি ল্যান্সার ইন্ডাষ্ট্রিজ এর প্রথম দিন থেকেই যারা বাংলাদেশে রেমিটেন্সে এনেছে সেই দিন থেকে যারা রেমিটন্সে এক্সচেন্জ করেছে ফ্রি ল্যান্সার এবং মার্কেটপ্লেস রিলেটেড কোম্পানী থেকে- তারা সবাই ফ্রি ল্যান্সার (যেমন, ওডেস্ক, ইল্যান্স, ফিভার, নাইনটিনাইন ডিজাইন- আপওয়ার্ক তো এসেছে মাত্র ৫ বছর)।তবে ঠিক কিভাবে আপওয়ার্ক থেকে মোবাইল ব্যাংক বিকাশ বা রকেটে টাকা ট্রান্সফার হয় ব্যাপারটা আমার কাছে ক্লিয়ার না (আমি বাইনারি (০ এবং ১ প্রোগ্রামিং কোডিং বা ক্যালকুলেশন, মেশিন এবং অপারেটিং বা সপটওয়্যার রিলেটেড ৩ ধরনের প্রোগ্রামই  শিখেছিলাম ১৯৯৩ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত। এখন আর তেমন মনে নাই) বাংলাদেশে যদি কোন সমাবেশ হয় ফ্রি ল্যান্সার রিলেটেড সেখানে ডলার উপার্জন করে রেমিটেন্স হিসাবে বাংলাদেশে আনতে পারে নাই এরকম কাউকে ইনভাইট করা হবে না কখনোই। যারা সবচেয়ে বেশী সফল রেমিটেন্স উপার্জন করেছে তারাই হবে সেরা।

বর্তমানে মোবাইল ব্যাংকিং এ রেমিটেন্স উইথড্র  (আপওয়ার্ক  থেকে বিকাশ বা রকেট) করা যাইতাছে আর অন্যদিকে বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকের একাউন্টে ইন্টারন্যাশনাল মাষ্টারকার্ড বা ভিসা কার্ড এড করে ডলার কে টাকাতে কনভার্টও করা যাইতাছে। ইন্টারন্যাশনাল ক্রেডিট কার্ড বা পাইওনিয়ার টাইপের যতো কার্ড আছে তা যদি আপনি বিকাশে (বা এরকম আরো যতো মোবাইল কোম্পানী) এড করেন তাহলে আপনি সহজেই ডলারকে ক্যাশ করতে পারবেন। তবে বুদ্বিমানের কাজ হইতাছে আমার মতে এড না করা। কারন বিকাশ বা রকেটের এখন পর্যন্ত   বিকাশ বা রকেটের কোন ইন্টারণ্যাশনাল সার্টিফিকেশন চোখে পড়ে নাই আর এইগুলো লোকাল ব্যাংকের পলিসি। সেখানে আপনি আপনার ইন্টারন্যাশনাল ক্রেডিট কার্ড এক্সেস করতাছেন এবং যদি হ্যাকাররা পস মেশিনের  তথ্য বের করতে পারে তাহলে কি লোকাল ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং এ্যাপ এর সমস্ত তথ্য বা গ্রাহকের তথ্য কি বের করতে পারবেন না - যদি কোনভাবে এক্সেস পায়। শুধু মাত্র লোকালি ভ্যালিড মাষ্টারকার্ড বা ভিসা কার্ড এড করে দেখতে পারেন এবং তাও ডেবিট কার্ড অনলি। যাতে আপনি কোথাও কোন কারনে কোন ভাবে হ্যাক হলে  আপনার ডেবিট কার্ডে থাকা ডলার ই চুরি হবে আর যে পরিমান ডলার ছিলো সেই পরিমানই নিতে পারবে। কিন্তু ক্রেডিট কার্ডে যদি আপনার ডলার হ্যাক হয় তাহলে আপনার যে পর্যন্ত লিমিট আছে (যদি আপনার লিমিট থাকে ১২০০০ ডলার তাহলে ১২০০০ ডলারই গায়েব হয়ে যাইতে পারে)সেই পর্যন্ত অদৃশ্য হয়ে যাইতে পারে হ্যাকার ধরলে। আর আন্তর্জাতিক ভাবে যতোটা জানি আপনার কেডিট কার্ড হ্যাক হইলেও আপনাকে প্রতি মাসের নির্দিষ্ট টাইমে সেই  বিল দিতে হবে ব্যাংকে। 



আমাকে একদিন কথা প্রসংগে একদল ফ্রি ল্যান্সার বলতাছে- ভাইয়া আপনাকে বাংলাদেশের প্রত্যেক টিভি থেকে একটা সম্বর্ধনা দেয়া হবে কারন আপনি একদমই ফ্রি এবং ফ্রেশ ভাবে মানুষকে সাহায্য করে থাকেন, আপনি অনেকদিন থেকে  ফ্রি ল্যান্সার জগতের সাথে জড়িত আছেন আর আপনি কারো কাছ থেকে কখনো কোন খানে টাকা পয়সা চান নাই । আমি উত্তরে বলেছিলাম- নেম এবং ফেম এর জন্য কারো উপকার করি না। পূন্য বা নেকী হবে বিধায়ই মানুষের উপকার করে থাকি। যে দেশের টিভি বা রেডিও স্বাধীনতা বিরোধী বা দেশ বিরোধী দের গুড নিউজ একেবরে ফলাও করে প্রচার করে (১৯৯০-২০০৬ পর্যন্ত) সে দেশের টিভি ক্যামেরাগুলোতে বা নিউজ পেপার গুলোতে আমি মো: মাসুদুল হাসান  কখনো আমার ফেস দেখাতে চাই না কারন কাল হাশরের দিন সৃষ্টিকর্তার কাছে জবাবদিহি করতে হবে যে শয়তানের বংশধর যা করেছে তুমিও তো তাই করে আসলা। তাই প্রয়োজনে তৈরী হয়েছে সোশাল মিডিয়া ক্যামেরা বা ভিডিও ক্যামেরা। সো আমাদের ক্যামেরা ইন্টারনেটেই বিদ্যমান। আমার বাস্তব জীবনের এই সকল ক্যামেরা দরকার নাই যে সকল ক্যামেরা বা টিভি ক্যামেরা স্যাটেলাইটের কল্যানে একেবারে শতরু দেশের গভীর মরুভুমির ভেতর থেকেও শতরুরা বসে দেখতে যায়। আমরা যদি কখনো কোন সম্মেলন করি তবে সেটা শুধূ সোশাল মিডিয়া ক্যামেরা ভিত্তিক ই সম্মেলন হবে আর আল্টিমেটলি পরবর্তী সম্মেলনের মেইন ফোকাসই হবে পেপাল যেনো অন্তত পক্ষে  শুদু ফ্রি ল্যান্সারদের জন্য হলেও বাংলাদেশে চালু হয়। আমাদের  ও টিভি আছে যেমন ইউটিউব টিভি। তো উত্তরে বলতাছে যে ভাই অপমানিত হলাম। আমি বললাম যে দেশে মুক্তিযোদ্বারা চিরকালই অবহেলিত আর যে দেশের মুক্তিযোদ্বার এখনৈা প্রথম শ্রেনীর নাগরকিত্ব পায় নাই সেদেশে আমি নিজেকে প্রচার করে নাম কামাতে চাই না কারন হজম হবে না। যদি কখনো দেখি যে মুক্তিযোদ্বারা এ ক্লাস সিটিজেনশিপ পেয়েছে (মুক্তিযোদ্বা বলতে তাকেই বোঝানো হয় যে খালি গলায় ৭১ এর ২৫ শে মার্চ  থেকে ১৬ ই ডিসেম্বরের মধ্যে জয় বাংলা বলেছে)। আগে মুক্তিযোদ্বার সম্মানিত হোক পরে নিজেকে সম্মানিত করবো।   প্রয়োজনে এই দেশ ছেড়ে অন্য দেশে যাইয়া নিজেকে সম্মানিত করবো। কয়েকদিন আগে সেই ভাবে সম্মান ও পাইলাম।(আমার এক ক্লায়েন্টেএর ওয়েবসাইটে সোশাল মিডিয়া মার্কেটার হিসাবে আমার নাম লিষ্টিং করা আর উনাকে টিভিতে ডেকেছিলো সাক্ষাৎকার নেবার জন্য- তখন বুঝেছি এইটা আমার পাওনা ছিলো)। বাংলাদেশে পার মিনিট ৬টাকা ৯০ মিনিট পয়সা হারে ২০০২ সালের একটেল থেকে শুরু করে এখণ পার সেকেন্ড এক পয়সা হারে রবি- এয়ারটেল মোবাইল নাম্বারে কথা বলা যায়। একবার ভেবে দেখেছেন সেই সময়কার গ্রাম বাংলার ফ্রি ল্যান্সার রা যারা শুধূ মোবাইল কানেকশনের উপর ভিত্তি করে ফ্রি ল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং সম্পর্কে জেনে তাৎক্ষনিক ভাবে দেশ ছেড়ে চলে যাইয়া ইউরোপ আমেরিকার নাগরিকত্ব নিয়ে ফ্রি ল্যান্সার হিসাবে কাজ করতাছে তারা আজকে কেমন তারা  কেমন পজিশনে আছে।আর আজকে পার সেকেন্ড ১ পয়সা হারে কথা বলা যায়, সব কিছু দেয়া আছে ইউটিউবে আর তারপরেও লোকজন টাকা দিয়ে কাজ শিখে লোকাল ল্যানসিং প্রথা শুরু করেছে- কি এক আকাশ পাতাল তফাত। আমরা যেখানেই ছিলাম সেখানেই আছি- মাঝে জমা হয়েছে শুধু জ্ঞান, বয়স,  উপার্জন এবং ব্যালান্স। 


ইন্টারনেটের কারনে জনজীবনের পরিবর্তন। মোবাইল ব্যাংকিং।

 মোবাইল ব্যাংকিং বলতে উন্নত দেশে এ্যাপ ভিত্তিক মোবাইল ব্যাংকিং সেবাকে বোঝানো হয়। যেমন: পেপাল মোবাইল। একজন আরেকজন কে পেপালের মাধ্যমে মোবাইল এ্যাপের মাধ্যমে লেনাদেনা করা হয়। ইমেইলের মাধ্যমে মানি রিসিভ এবং সেন্ড করার পদ্বতির নাম হইতাছে পেপাল বা এই রিলেটেড ইন্টারনেট ব্যাংকিং পদ্বতি। বাংলাদেশ অবশ্য তার চেয়ে এক ডিগ্রী বেশী আগে। বাংলাদেশে মোবাইল ব্যাংকিং এর নামে একটা মোবাইল নাম্বারের বিপরীতে ব্যাংখ একাউন্ট ওপেন করার সুযোগ দেয়া হয় যার নাম রকেট বা বিকাশ। রকেট বা বিকাশে যদি আপনার একটা একাউন্ট থাকে তাহলে আপনি অনায়াসে যে কোন ব্রাক ব্যাংকের  এটিএম এ বা রকেটের জন্য ডাচ বাংলা ব্যাংকের এটিএম এ যাইয়া নগদ খ্যাশ টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। 

আপনি যে ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংক ব্যবহার করে থাকেন সে ব্যাংক আপনাকে এই সেবা বা ফ্যাসিলিটিজ দান করে থাকে। তবে আপনি ব্রাক ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার দিয়ে ডাচ বাংলা ব্যাংক এর একাউন্ট থেকে টাকা তুলতে পারবেন না। সেজন্য আপনাকে প্রথমে নির্দিষ্ট ব্যাংকরে এটিএম এ যাইতে হবে। তারপরে সেখানে মোবাইল ব্যাংকিং লেখা বুথ টাকে সিলেক্ট করতে হবে। তারপরে মোবাইল ব্যাংকিং বাটনে ক্লিক করতে হবে। তারপরে সেখানে আপনার মোবাইল নাম্বার দিতে হবে। তারপরে সেই নাম্বার রিলেটেড যেমোবাইল  ব্যাংক একাউন্ট ওপেন করেছেন সেই একাউন্টের সাথে রিরেটেড পিন নাম্বার দিতে হবে। ভয় নাই যে আপনার পিন নাম্বার কেউ চুরি করে নিবে না। তারপরে আপনার কাংখিত এমাউন্ট টা দিতে হবে যেটা আপনি তুলতে চাইতাছেন। তারপরে আপনার মোবাইলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের সফটওয়্যার বা সার্ভার থেকে একটা মোবািইল কোড নাম্বার কল করে জানাতে হবে যেটা আপনি আনপার সামনে থাকা এটিএম বুথের স্ক্রিনে দিবেন। তারপরে আপনি কনফার্ম করবেন। তারপরে আপনার কাচে একটা ম্যাসেজ আসবে যে আনপরা একাউন্ট থেকে এতো পরিমান টাকা কাটা হচ্ছে। তারপরে আপনার ক্যাশ ট্রেতে আপনি টাকা দেখতে পারবেন।সেটা কারেক্ট করে গুনে নিবেন। তবে এইখানে যদি কখনো ছেড়া বা কসটেপ দেয়া টাকা পড়ে সেটা পাল্টানেরা জন্য আপনাকে কেয়াল রাখতে হবে যে- আপনি যদি মোবাইল ব্যাংকিং করে থাকেন তাহলে আপনি ভ্যাংকের ব্রাঞ্চের নীচে থাকা এটিএম বুথ থেকে করবেন। তাতে আপনার ক্যাশে কোন সমষ্যা থাকলে আপনি ব্যাংকের ব্রাঞ্চ থেকে পরিবর্তন করে নিতে পারবেন। 

এখণ আপনি যদি একজন অশিক্ষিত আর নিরক্ষর মানুষ হয়ে থাকেন আর মনে মনে চিন্তা করে থাকেন যে- এটিএম বুথ থেকে আপনি কিভাবে কার্ড ছাড়া টাকা তুললেন - তাহলে তো আপনি ব্যাংক, ব্যাংকের সিষ্টেম এবং এ সংক্রান্ত সবাইকে অস্বীকার করলেন। এইটা তো সরকার নির্ধারিত পদ্বতি। আর আপনি আহামরি এমন কেউ হয়ে উঠেন নাই যে সরকার  নির্ধারিত পদ্বতিকে আপনি সহজেই হ্যাকার বলে উঠবেন আর মনে করবেন যে তারা হ্যাকার। যারা বিকাশের সুবিধা ব্যবাহর করে সারা দেশের ব্রাক ব্যাংকের এটিএম থেকে বা যে সকল ব্যাংক  মোবাইল ব্যাংকিং এবং এটিএম সুবধিা দেয়া থাকে সে সকল ব্যাংকে আপনি কার্ড ছাড়াই মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করে টাকা তুলবেন সেখানে আপনি কোন ধরনের হ্যাকং এর সাথে জড়িত না। নীচের ভিডিও দুইটা দেখলে আপনার সকল ভুল ধারনা ভেংগে যাবে যে - ক্রেডিট কার্ড বা ডেবটি কার্ড ছাড়াও বাংলাদেশে এটিএম থেকে টাকা তোলা যায়। 


আর এটিএম থেকে কিভাবে বিকাশ এর গ্রাহকেরা ক্যাম আউট করবেন সেই ব্যাপারে বিকাশের ওয়েবসাইট এবং ডিটেইলস নিয়মটা ণীচে দেয়া হলো।  BKash Cash Out From ATM

এ সংক্রান্ত একটা কাহিণীর কথা মনে হলো। [ কাহিণীটার সত্য মিথ্যা যাচাই না করে ফ্যাক্ট টা চিন্তা করবেন আশা করি। কাহিণীর সাথে বাস্তাবের কোন মিল নাই] আমাদের বাংলাদেশের একদল ফ্রি ল্যান্সার একবার একটা ফরেনার গ্রুপকে ইন্টারনেটে কাজের জন্য  হায়ার করলো। ইন্টারনেটে কাজের যে কেউ যে কাউকে হায়ার করতে পারে যারা কাজের জন্য আবেদন খুজতাছে বা করতাছে।তো সেই গ্রুপটার কাজ সংক্রান্ত অনেক পেমেন্ট ডিউ ছিলো। ঘটনাক্রমে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং মার্কেটপ্লেস রিলেটেড এসাইনমেন্ট কাজ করতেছিলো। তো তারা কয়েকজন মিলে ইন্ডিয়া ঘুরতে আসে এবং বাংলাদেশের তাদের ট্রানজিট হয় বিমানের কয়েক ঘন্টা। তখন হঠাৎ করে তারা মনে করলো যে - তারা তো বাংলাদেশে আর তাদের বায়ার রা বাংলাদেশী। বাংলাদেশী বায়ারদের মোবাইল নাম্বার তাদের কাছে ছিলো। তাই তারা এয়ারপোর্টে নেমে কল দিয়ে বসে যে তারা বাংলাদেশে এবং তাদের এক্ষুনি পেমেন্ট দরকার। তো ঘটনাক্রমে সেই গ্ররপটা ঢাকা থেকে বাহিরে ছিলো। তো তারা বললো আমরা তোমাদেরকে মার্কেটপ্লেসে ডলার এ পেমেন্ট দিতে পারবো। তো ফরেনার রা বলথাছে যে আমাদের এই দেশের লোকাল কারেন্সী দরকার। তখন বাংলাদেশীরা বললো যে - তুমি তোমার ধারে কাছে এটিএম এ যাও। আর মোবাইল ব্যাংকিং অপশন সিলেক্ট করো। সে সিলেক্ট করলো। তারপরে বললো একটা নাম্বার দাও। বাংলাদেশী বায়ারের যে মোবাইল নাম্বার- সে নাম্বার দিলো। তারপরে কোড রিসিভ করে কোডটাও দিতে বললো। বাংলাদেশী বায়ারের কাছে দুইটা মোবাইল কানেকশন। ১) ফরেনারের সাথে কথা বলতাছে  ২) আরেকটা তে ব্যাংকের সার্ভারে কানেক্টেড। তো সেই ফরেনার কোড নাম্বার পাইলো। নির্দিষ্ট সংখ্যক এমাউন্ট ও দিলো। আর উইথড্র থেকে ক্যাশ পেয়েও গেলো। আর  ব্যাংকের সার্ভারে সেটা দেখে ইন্টারন্যাশনাল হ্যাকার বা ক্রেডিট কার্ড হ্যাকার নামও দিয়ে বসলো। অথচ ফরেনার রা কিন্তু তাদের পাওনা টাকাই নিলো। এইটা সত্য যে - যারা নামে মোবাইল ব্যাংক একাউন্ট সে বুথে যায় নাই। এইটা এক ধরনের অপরাধ কিন্তু সেটা তো আর বড় সড় অপরাধ না। এই দেশে কতো ধরনের খুন, চাদাবাজি বা ছিনতাই হয়, ঘরের ভেতরে আইসা চাপাতি, রামদা, ক্ষুর ধইরা বসে অবৈধ ভাবে টাকা আদায় করে, ধর্মীয় ভাবে নানা টাল বাহানা করে - সাধূ সন্নাসী , বুজেুর্গের রুপ ধরে চুরি , বাটপারি, চিটারি করে যাইতাছে, গোপনে টাকা তোলে সারা দেশ থেকে বিভিন্ন দেশে হুন্ডি ব্যবসা হইতাছে আর সেখানে কিছু ফরেনার বৈধ ভাবে ঘুরতে আইসা টাকা তুলতে যাইয়া বাংলাদেশের আইন পুলিশের কাছে হ্যাকার হয়ে গেলো অথচ তারা তাদের দেশের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়তো বা ছাত্র। জানিনা এরকম ঘটনা সত্য কিনা- কিন্তু মিলিয়ে দেখেন যে- এটিএম কার্ড ছাড়া বুথে ঢুকে টাকা তুললেই সে হ্যাকার হয়ে যায় না। সে সাময়িক ভাবে অপরাধী বিবেচ্য হইতে পারে কারন সে তার নিজস্ব কার্ড বা একাউন্ট নিয়ে  এটিএম বুথে ডুকে নাই। [ঘটনাটা কাল্পনিক] 

ঘটনাটা বলার কারন হলো আমরা আমেরিকান/ইউরোপিয়ানদের কাছ থেকে সিষ্টেম নিয়ে বাংলাদেশে ডেভেলপ করতাছি। সেখানে যদি এই ধরনের কোন লোক বা ঘটনা ঘটে তাকে তাহলে তা আরো একবার ভেরিফাই করে দেখা দরকার- কারন ভুল তো মানুষেরই হতে পারে। টাকা পয়সা দিয়ে অনেক ধরনের  গুন্ডা কিনে রাখা যায়। তাদেরকে দিয়ে যা বলা যায় তাই করানো যায়। কিন্তু একটা ব্যাপার বুঝতে হবে যে- অপরাধ টা সিরিয়াসলি সংঘটিত হয়েছে কিনা?স্বভাবত দেখা যায়- খ্রীষ্টানরা বা ইহুদিরা অপরাধ প্রবন না। এইটা তাদের মধ্যে তেমন কাজ করে না। অপরাধ প্রবনতা টা কাজ করে বেশী আফ্রিকা এবং এশিয়ানদের মধ্যে।  

বাংলাদেশের ভেতরে আর কোন দেশ নাই বা নতুন কোন দেশ কখনো তৈরী হবে না। বাংলাদেশ সরকারের এই ধরনের কোন পরিকল্পনা নাই। বরঞ্চ গনজাগরনের পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশটাকে আরো বড় হিসাবে ভাবা হয়। জয় বাংলার দেশ হয়তো আরো অনেক বঢ় দেশ। আমরা ১০০% সত না বিধায় আজো ঠকে আছি বা ঠকে যাইতাছি।