একসময় মানুষ ইশারা ইংগিতে যোগাযোগ করতো। আদিকাল থেকে যখন জংলি মানুষ চলাফেরা করতো তখন মানুষ ইশারা ইংগিতের মাধ্যমে যোগযোগ করতো। চোখে চোখেও যোগাযোগ করতো আর নিত্য প্রয়োজণীয় চাহিদা মিটাতো। তারপরে আসে আকাআকি মেথড। মাটিতে বা বালূতে বা গাছে আকাআকি করে প্রয়োজনীয় সংকেত বিনিময় এবং একজন আরেকজনের সাথে কথা বলার চেষ্টা। তারপরে আসে শব্দ মেথড। মানুষ শব্দ করতে শেখে পশু পাখিকে শব্দ করতে শুনে এবং শুনে শুনে মানুষ কিছু না কিছূ তথ্য বিনিময় করতে শেখে। এইভাবে তৈরী হয় ইথার বা বোধ করি প্রথম দিন থেকে ইথার প্রচলন ছিলো। ইথার বলতে যা বুঝি- একজন মানুষের মনের কথা আরেকজন বুজতে পারা বা শুনতে পারা এইটাকে ইথার বলে। ইথারনেট নামক একটা শব্দ ল্যাপটপ এবং ডেস্কটপ কম্পিউটারের সাথে পাওয়া যায়-ে ইন্টারনেটে কানেক্টেভিটি র সময়ে অনেক সময় দেখা যায়। ছোটবেলায় হুমায়ুন আহমেদের গল্পের বইয়ে প্রথম ইথারের কথা জানতে পারি। মনে মনে কাউকে ভাবা বা চিন্তা করা, তার মনের সাথে কানেক্টেড হওয়া এবং তার সাথে বাস্তাবে দেখা স্বাক্ষাৎ করা এই ব্যাপারগুলো ইথার কানেকশনের মধ্যে পড়ে। একসময় আসে মানুষের লেখার প্রচলন। মানুষ চিঠি লিখতে শিখে- মানুষের সাথে মানুষের শব্দ, ভাষার ব্যবহার বেড়ে যায় এবং যোগাযোগের ক্ষেত্রে ভাষার ব্যাপক প্রচলন ঘটে। পরিপূর্ন ভাষা এবং লিখা মানুষের পারস্পরিক যোগাযোগ ও সম্পর্ক রক্ষার ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। ধীরে ধীরে মানুষ যন্ত্র আবিস্কার করতে শেখে। সেই যন্ত্রের মাধ্যমে মানুষ তার সম্পর্ক ও যোগাযোগ কে আরো অধিকতর উচ্চতায় নিয়ে যায়। যেমন টেলিভিশন। তারপরে মানুষ মোবাইলে যোগাযোগ করতে শেখে। আস্তে আস্তে আরো গতিশীল হয় যোগাযোগের মাধ্যম। মাঝে একসময় মানুষ যখন লিখতে শিখে তখন কবুতরের পায়ে চিঠি লিখে এক খান থেকে আরেকখানে পাঠাতো বা আরো কিছু পাখি ব্যবহার হতো। তারো আগে মানুষ যখন কথা বলতে শিখে তখন কবুতর বা যে কোন ট্রেনিং প্রাপ্ত পাখিকে কথা বলে দিতো অনেক তারপরে সে নির্দিষ্ট কানে যাইয়া সে কথাটা বলে দিতো বা শিখাইয়া দিতো। এখন এসেছে ইন্টারনেট। কথা বলার সাথে সাথে পারস্পরিক দেখা স্বাক্ষাৎ ও হয়ে যাইতাছে অডিও এবং ভিডিও কলের মাধ্যমে। বর্তমানের করোনা পরিস্থিতি বাংলাদেশের প্রত্যেক রথী মহারথীকে ইন্টারনেটে অডিও ভিডিও কলে জয়েন করতে বাধ্য করেছে যারা একসময় নাক ছিটকাতো ইন্টারনেটে ভিডিও কলের কথা শোনলে তারা এখন ভিডিও কলের মাধ্যমে ঘরে বসে অফিস করে টাকা রোজগার করে ইনকাম করে সংসার চালাইতাছে। যারা ইন্টারনেটে ক্যাম প্রফেশণাল বা এডাল্ট ক্যাম প্রফেশনাল (বাংলাদেশে এই ধরনের ওয়েবসাইট গুলো বন্ধ কয়েখ বছল যাবত) হিসাবে কাজ করতো সেই ২০০০ সাল থেকে- বাংলাদেশের শিক্ষিত জগতের শতকরা ৯০% মানুষ তাদেরকে ঘৃনা করতো যে অদ্ভুত এক উপায়ে তারা উপার্জন করতাছে আর আজকে যখন সারা বিশ্বের মানুষ ঘরে বসে ইন্টারনেটে ভিডিও কলের মাধ্যমে অফিস আদালতে সব মিটিং বা কাজ সরতাছে- তখন ক্যাম প্রফেশনাল বা এডাল্ট ক্যাম প্রফেশনাল রা রা তাদেরকে ঘৃনা না করে বরঞ্চ খুশী যে ভিডিও কলিং কমিউনিটি অনেক বড় হয়েছে।
বর্তমানে বলা হয়ে থাকে ভার্চুয়াল জগত। এই ব্যাপারটা কে সবাই গুলাইয়া ফেলায় অনেক সময় দেখলাম। ভার্চূয়াল জগত এবং ইন্টারনেটের জগতের মধ্যে যথেস্ট প্রার্থক্য আছে। ইন্টারনেট জগতে সহজে যে কেউ যে কারো সাথে যোগাযোগ করতে পারে। বর্তমানে অনেক জনপ্রিয় ইন্টারনেট একটি অন্যতম যোগাযোগের মাধ্যমে। আমি একটা প্রেমিক এবং প্রেমিকার সম্পর্কের মাধ্যমে এই যোগাযোগের ধারনা টা বোঝানোর চেস্টা করবো। মানুষ আসলে সবাই সব ধরনের যোগাযোগ কে বোঝার চেষ্টা করে না। তারা চিন্তা করে তাদের যোগাযোগটাই প্রধান। কিন্তু অপর সাইডের মানুষ কি ধরনের যোগাযোগ পছন্দ করে তা কখনো জাষ্টিফাই/জাজমেন্ট করতে চায় না। সব সময় নিজের ধারনাটা আরেকজনের উপরে চাপাইয়া দেবার চেষ্টা করে। যদি যুক্তি না থাকে সেখানে তাহলে সেটা পুরোটাই অনর্থক। মনে করেন একটা ছেলে গভীর রাতে একটা মেয়েকে স্বপ্ন দেখলো এবং তার পরের দিন সে সত্যিই মেয়েটাকে দেখে ফেলাইলো - এইটাকে বলা হয় দৈবাৎ বা হঠাৎ করে। অদৃষ্টের ইশারা বা ভাগ্যের লিখন হিসাবে ব্যাপারটা বর্ননা করা যায়। আর যদি মেয়েটাও একই স্বপ্ন দেখে তাহলে বোঝা যাবে যে - এইখানে ভাগ্যের একটা ইশারা আছে। দ্বিতীয়ত- ইন্টারনেটে একটা মেয়েকে ভালো লাগলো- তাকে ম্যাসেজ দিলাম- সে রিপ্লাই দিলো- তার সাথে যোগাযোগ হলো- কথাবার্তা হলো - রিয়েল লাইফে তার সাথে কথা হলো মোবাইলে এবং বাস্তাবে দেখা স্বাক্ষাৎ হলো এইটাকে বলা হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে থেকে দেখা বা পরিচয়। তারপরে যদি কোন সম্পর্ক ডেভেলপ করে সেটা বাস্তব জগতে সম্পর্কের ডেভেলডন্টে হিসাবে বিবেচিত হয়।
ইন্টারনেট থেকে যদি কাউকে ভালো লাগে আর তখন পারস্পরিক যে যোগাযোগ তৈরী করার চেষ্টা করা হয় সেটাকে বলা হয় ভার্চুয়াল কানেক্টেভিটি বা ইথারনেট। মূলত ইথারের যোগাযোগকে ভার্চূয়াল জগত বলে। মনে করেন এক খানে বসে আছি- হঠাৎ করে একটা মেয়ের ছবি মনের চোখে ভেসে উঠলো। সে আমার কথা শূনতে পারে কিনা সেই হিসাবে তাকে জিজ্ঞাসা করলাম যে- তুমি কোথায় থাকো বা তোমার মোবাইল নাম্বারটা দাও। সে তার মোবাইল নাম্বারটা দিলো এবং আমি টুকে নিয়ে তার সাথে কথা বললাম এবং বাস্তাবে তার সাথে দেখা করার জন্য ইন্টারেষ্টেড হলাম - এইটাকে ভার্চূয়াল জগত থেকে পরিচয় বলে। আর আমার মনের সাথে আরেকটা মেয়েল মনের যোগাযোগ হলো তাকে ভার্চুয়াল কানেক্টিভিটি বলে। একজন মানুষ যখন আরেকজনকে ভালোবাসে সেটাকে ভালোবাসার জগত বলে। ভার্চুয়াল জগত থেকে ভালোবাসার জগতের সৃষ্টি হয়। ইন্টারনেটে থেকে যদি কেউ ভার্চুয়াল জগতে বিচরন করে আর যদি তার মনের আশা পূর্ন না হয় তাহলে সটো তার মনের উপরে একটা ভালো ইমপ্যাক্ট তৈরী করে যার প্রবাব বা রেশ থাকতে পারে অনেক বছর। একটা মানুষ যদি বর্তমানে প্রচলিত মেথডে হঠাৎ করে পপুলার হয়ে যায় আর যদি সে বাংলাদেশের সো কলড সমাজ ব্যবস্থায় বসবাস করে তাহলে এই হঠাৎ ভার্চুয়াল হওয়াটা তার জন্য মৃত্যুর কারন ও হতে পারে যেমন আমরা অনেক সময় দেখে থাকি আমাদের দেশের ছেলে মেয়েরা খুব সাবধারন সাধারন কারনেও আত্মহত্যা করে থাকে। কয়েকদিন আগে দেখলাম - ঢাকা শহরে প্রতি ঘন্টায় গড়ে একজন মেয়ে আত্মহত্যা করে থাকে - এই সকল ব্যাপারের পিছনে ভার্চুয়াল জগত ও অনেকটা দায়ী। না জেনে কাউকে কখনো ভার্চুয়াল জগতে আমন্ত্রন জানানো ঠিক না, হঠা] করে কাউকে পপুরার করে দেয়া ঠিক না- তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে। বর্তমান বাংলাদেশে হাজারো কারনে মানুষ ভার্চূয়াল জগতে প্রবেশ হইতাছে। একজন আরেকজনের সাথে যোগাযোগ বা কানেক্টেড হইতাছে ভার্চুয়াল জগতে। হঠাৎ করে আমি একটা কথা বললাম আরেকজন সেটার রেসপন্স করলো কিন্তু সে আমার সামনে নাই- সে আমার মনের কথা শুনতে পেরেছে এই ব্যাপারগুলোকে ইথারের জগতের ভার্চূয়াল কানেক্টিভিটি বলে।ভার্চুয়াল জগতে শুধুমাত্র বিপরীত লিংগের প্রতি রেসপন্স দিতে হয়। আবার ভার্চূয়াল জগতে মনের চোখে একজন কে দেখলাম - তাকে ভালো লাগলো তার সাথে বাস্তবে দেখা করলাম আর তার সাথে প্রেম হলো এই ব্যাপারটাকে ভার্চুয়াল জগত থেকে প্রেম বলে বা ভার্চুয়াল জগত থেকে শুরু হওয়া প্রেম বলে।
সৃষ্টির প্রথম থেকেই মানুষের ভাব জগতের যে আনাগোনা বা লেনাদেনা তাকে যোগাযোগের মাধ্যম বলা হয়। সব ধরনের যোগাযোগ ই সব ধরনরে মানুষের জন্য প্রযোজ্য। ইন্টারনেট এবং ভার্চুয়াল দুইটা ভিন্ন ভিন্ন ইংরেজী শব্দ, দুইটার মিনিং ও আলাদা। আমাদের দেশে মাঝে মাঝে দুইটাকে এক করে ফেলা হয়। ইন্টারনেটের জগত ব্রডব্যান্ড, ওয়াই ফাই বা মোবাইল ইন্টারনেট এইগুলো র উপরে ডিন্ডেস করে তৈরী হয়। আর ভার্চুয়াল জগত টা মানুষের মনের ভেতর থেকৈ তৈরী হয়। ভার্চুয়াল জগতে অনেক অলী আউলিয়ারা ও চলাফেরা করে। আমরা যকণ প্রথম ভার্চুয়াল জগত টাকে অনুধাবন করতে শিখি তখণ থেকৈই বড় ভাইরা বলতো ভার্চুয়াল জগতে খুব বেশী গ্যানজাম করবি না - কারন এরকম মনের জগতে বা ভার্চুয়াল জগতে অনকে সময় অনেক সাধূ সন্নাসী বা অলি আউলিয়ারা বসবাস করে বা চলাফেরা করে। এখন যদি এই সব না শুনে খুব বেশী গ্যানজাম করস তাহলে হয়তো বদদোয়াতে পড়তে পারস তাতে হয়তো তোর হিতে বিপরীত হতে পারে, ক্ষতি হতে পারে। তোর এবং তোর সাথে সকলের। সো এইখানে যতো পারস চুপচাপ থাকবি। কারন এই মনো জাগতে বা ভার্চুয়াল জগতে বা চুপচাপ থাকার জগতে-
- মানুষ জন এবাদত কের যেখানে তার ডিষ্টার্ব হতে পারে।
- জীবিত নবী, অলি, আউলিয়াদের পদচারনা থাকতে পারে যেখানে মানুণের বিপদ হতে পারে। তাদের বদদোয়াতে অভাব বা দুর্ভিক্ষ নেমে আসতে পারে।
- স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা পড়াশোনা করে যেখানে তাদের বিরক্ত হতে পারে।
- হাসপাতালে বা ঘরে অসুস্থ রোগী থাকতে পারে যেখানে তাদের কষ্ট হতে পারে।
- বৃদ্ব মানুষ যারা বিভিন্ন সময় আরাম করে তাদেরও বিরক্ত হতে পারে।
- ভার্চুয়াল জগত (মনের জগত)
- ইন্টারনেট জগত (আধুনিক বিশ্বে যোগাযোগর জগত)
- রিয়েল লাইফ (বাস্তব জগত)।
- ভার্চুয়াল লাইফ- মনের সাথে মনের যোগাযোগ। (মনের চোখে দেখতে পাওয়া বা সৃষ্টিগত নানা ব্যাপার স্যাপার কিংবা যে কোন কারনে একে অপরের কাছাকািছি চলে আসা)
- ইন্টারনেটের জগত- ইমেইল, মেসেন্জার, ওয়েবসাইট, এ্যাপ. মোবাইল, কল, সামাজিক যোগাযোগের যতো মাধ্যমে আছে সবগুলোকে একসাথে বলতে পারি ইন্টারনেটের জগত।
- বাস্তব জগত - বাস্তবে সামনা সামনি দাড় হওয়া, চোখাচোখি হওয়া , হাত ধরা, সম্পর্কে জড়িত হওয়া, সংসার করা এইটা বাস্তব জগত বলে থাকি আমি।
No comments:
Post a Comment
Thanks for your comment. After review it will be publish on our website.
#masudbcl