Translate

Sunday, September 6, 2020

ভার্চুয়াল লাইফ এবং রিয়্যাল লাইফের যোগাযোগ বলতে সাধারনত কি বুঝি ? আমার ২০ বছরের ইন্টারনেট ব্যবহার অভিজ্ঞতা থেকে।

একসময় মানুষ ইশারা ইংগিতে যোগাযোগ করতো। আদিকাল থেকে যখন জংলি মানুষ চলাফেরা করতো তখন মানুষ ইশারা ইংগিতের মাধ্যমে যোগযোগ করতো। চোখে চোখেও যোগাযোগ করতো আর নিত্য প্রয়োজণীয় চাহিদা মিটাতো। তারপরে আসে আকাআকি মেথড। মাটিতে বা বালূতে বা গাছে আকাআকি করে প্রয়োজনীয় সংকেত বিনিময় এবং একজন আরেকজনের সাথে কথা বলার চেষ্টা। তারপরে আসে শব্দ মেথড। মানুষ শব্দ করতে শেখে পশু পাখিকে শব্দ করতে শুনে এবং শুনে শুনে মানুষ কিছু না কিছূ তথ্য বিনিময় করতে শেখে। এইভাবে তৈরী হয় ইথার  বা বোধ করি প্রথম দিন থেকে ইথার প্রচলন ছিলো। ইথার বলতে যা বুঝি- একজন মানুষের মনের কথা আরেকজন বুজতে পারা বা শুনতে পারা এইটাকে ইথার বলে। ইথারনেট নামক একটা শব্দ ল্যাপটপ এবং ডেস্কটপ কম্পিউটারের সাথে পাওয়া যায়-ে ইন্টারনেটে কানেক্টেভিটি র সময়ে অনেক সময় দেখা যায়। ছোটবেলায় হুমায়ুন আহমেদের গল্পের বইয়ে প্রথম ইথারের কথা জানতে পারি। মনে মনে কাউকে ভাবা বা চিন্তা করা, তার মনের সাথে কানেক্টেড হওয়া এবং তার সাথে বাস্তাবে দেখা স্বাক্ষাৎ করা এই ব্যাপারগুলো ইথার কানেকশনের মধ্যে পড়ে। একসময় আসে মানুষের লেখার প্রচলন। মানুষ চিঠি লিখতে শিখে- মানুষের সাথে মানুষের শব্দ, ভাষার ব্যবহার বেড়ে যায় এবং যোগাযোগের ক্ষেত্রে ভাষার ব্যাপক প্রচলন ঘটে। পরিপূর্ন ভাষা এবং লিখা মানুষের পারস্পরিক যোগাযোগ ও সম্পর্ক রক্ষার ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। ধীরে ধীরে মানুষ যন্ত্র আবিস্কার করতে শেখে। সেই যন্ত্রের মাধ্যমে মানুষ তার সম্পর্ক ও যোগাযোগ কে আরো অধিকতর উচ্চতায় নিয়ে যায়। যেমন টেলিভিশন। তারপরে মানুষ মোবাইলে যোগাযোগ করতে শেখে। আস্তে আস্তে আরো গতিশীল হয় যোগাযোগের মাধ্যম। মাঝে একসময় মানুষ যখন লিখতে শিখে তখন কবুতরের পায়ে চিঠি লিখে এক খান থেকে আরেকখানে পাঠাতো বা আরো কিছু পাখি ব্যবহার হতো। তারো আগে মানুষ যখন কথা বলতে শিখে তখন কবুতর বা যে কোন ট্রেনিং প্রাপ্ত পাখিকে কথা বলে দিতো অনেক তারপরে সে নির্দিষ্ট কানে যাইয়া সে কথাটা বলে দিতো বা শিখাইয়া দিতো। এখন এসেছে ইন্টারনেট। কথা বলার সাথে সাথে পারস্পরিক দেখা স্বাক্ষাৎ ও হয়ে যাইতাছে অডিও এবং ভিডিও কলের মাধ্যমে। বর্তমানের করোনা পরিস্থিতি বাংলাদেশের প্রত্যেক রথী মহারথীকে ইন্টারনেটে অডিও ভিডিও কলে জয়েন করতে বাধ্য করেছে যারা একসময় নাক ছিটকাতো ইন্টারনেটে ভিডিও কলের কথা শোনলে তারা এখন ভিডিও কলের মাধ্যমে ঘরে বসে অফিস করে টাকা রোজগার করে ইনকাম করে সংসার চালাইতাছে। যারা ইন্টারনেটে ক্যাম প্রফেশণাল বা এডাল্ট ক্যাম প্রফেশনাল (বাংলাদেশে এই ধরনের ওয়েবসাইট গুলো বন্ধ কয়েখ বছল যাবত) হিসাবে কাজ করতো সেই ২০০০ সাল থেকে- বাংলাদেশের শিক্ষিত জগতের শতকরা ৯০% মানুষ তাদেরকে ঘৃনা করতো যে অদ্ভুত এক উপায়ে তারা উপার্জন করতাছে আর আজকে যখন সারা বিশ্বের মানুষ ঘরে বসে ইন্টারনেটে ভিডিও কলের মাধ্যমে অফিস আদালতে সব মিটিং বা কাজ সরতাছে- তখন ক্যাম প্রফেশনাল বা এডাল্ট ক্যাম প্রফেশনাল রা রা তাদেরকে ঘৃনা না করে বরঞ্চ খুশী যে ভিডিও কলিং কমিউনিটি অনেক বড় হয়েছে।

বর্তমানে বলা হয়ে থাকে ভার্চুয়াল জগত। এই ব্যাপারটা কে সবাই গুলাইয়া ফেলায় অনেক সময় দেখলাম। ভার্চূয়াল জগত এবং ইন্টারনেটের জগতের মধ্যে যথেস্ট প্রার্থক্য আছে। ইন্টারনেট জগতে সহজে যে কেউ যে কারো সাথে যোগাযোগ করতে পারে। বর্তমানে অনেক জনপ্রিয় ইন্টারনেট একটি অন্যতম যোগাযোগের মাধ্যমে। আমি একটা প্রেমিক এবং প্রেমিকার সম্পর্কের মাধ্যমে এই যোগাযোগের ধারনা টা বোঝানোর চেস্টা করবো। মানুষ আসলে সবাই সব ধরনের যোগাযোগ কে বোঝার চেষ্টা করে না। তারা চিন্তা করে তাদের যোগাযোগটাই প্রধান। কিন্তু অপর সাইডের মানুষ কি ধরনের যোগাযোগ পছন্দ করে তা কখনো জাষ্টিফাই/জাজমেন্ট করতে চায় না। সব সময় নিজের ধারনাটা আরেকজনের উপরে চাপাইয়া দেবার চেষ্টা করে। যদি যুক্তি না থাকে সেখানে তাহলে সেটা পুরোটাই অনর্থক। মনে করেন একটা ছেলে গভীর রাতে একটা মেয়েকে স্বপ্ন দেখলো এবং তার পরের দিন সে সত্যিই মেয়েটাকে দেখে ফেলাইলো - এইটাকে বলা হয় দৈবাৎ বা হঠাৎ করে। অদৃষ্টের ইশারা বা ভাগ্যের লিখন হিসাবে ব্যাপারটা  বর্ননা করা যায়। আর যদি মেয়েটাও একই স্বপ্ন দেখে তাহলে বোঝা যাবে যে - এইখানে ভাগ্যের একটা ইশারা আছে। দ্বিতীয়ত- ইন্টারনেটে একটা মেয়েকে ভালো লাগলো- তাকে ম্যাসেজ দিলাম- সে রিপ্লাই দিলো- তার সাথে যোগাযোগ হলো- কথাবার্তা হলো - রিয়েল লাইফে তার সাথে কথা হলো মোবাইলে এবং বাস্তাবে দেখা স্বাক্ষাৎ হলো এইটাকে বলা হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে থেকে দেখা বা পরিচয়। তারপরে যদি কোন সম্পর্ক ডেভেলপ করে সেটা বাস্তব জগতে সম্পর্কের ডেভেলডন্টে হিসাবে বিবেচিত হয়। 

ইন্টারনেট থেকে যদি কাউকে ভালো লাগে আর তখন পারস্পরিক যে যোগাযোগ তৈরী করার চেষ্টা করা হয় সেটাকে বলা হয় ভার্চুয়াল কানেক্টেভিটি বা ইথারনেট। মূলত ইথারের যোগাযোগকে ভার্চূয়াল জগত বলে। মনে করেন এক খানে বসে আছি- হঠাৎ করে একটা মেয়ের ছবি মনের চোখে ভেসে উঠলো। সে আমার কথা শূনতে পারে কিনা সেই হিসাবে তাকে জিজ্ঞাসা করলাম যে- তুমি কোথায় থাকো বা তোমার মোবাইল নাম্বারটা দাও। সে তার মোবাইল নাম্বারটা দিলো এবং আমি টুকে নিয়ে তার সাথে কথা বললাম এবং বাস্তাবে তার সাথে দেখা করার জন্য ইন্টারেষ্টেড হলাম - এইটাকে ভার্চূয়াল জগত থেকে পরিচয় বলে। আর আমার মনের সাথে আরেকটা মেয়েল মনের যোগাযোগ হলো তাকে ভার্চুয়াল কানেক্টিভিটি বলে।  একজন মানুষ যখন আরেকজনকে ভালোবাসে সেটাকে ভালোবাসার জগত বলে। ভার্চুয়াল জগত থেকে ভালোবাসার জগতের সৃষ্টি হয়। ইন্টারনেটে থেকে যদি কেউ ভার্চুয়াল জগতে বিচরন করে আর যদি তার মনের আশা পূর্ন না হয় তাহলে সটো তার মনের উপরে একটা ভালো ইমপ্যাক্ট তৈরী করে যার প্রবাব বা রেশ থাকতে পারে অনেক বছর। একটা মানুষ যদি বর্তমানে প্রচলিত মেথডে হঠাৎ করে পপুলার হয়ে যায় আর যদি সে বাংলাদেশের সো কলড সমাজ ব্যবস্থায় বসবাস করে তাহলে এই হঠাৎ ভার্চুয়াল হওয়াটা তার জন্য মৃত্যুর কারন ও হতে পারে যেমন আমরা অনেক সময় দেখে থাকি আমাদের দেশের ছেলে মেয়েরা খুব সাবধারন সাধারন কারনেও আত্মহত্যা করে থাকে। কয়েকদিন আগে দেখলাম - ঢাকা শহরে প্রতি ঘন্টায় গড়ে একজন  মেয়ে আত্মহত্যা করে থাকে - এই সকল ব্যাপারের পিছনে ভার্চুয়াল জগত ও অনেকটা দায়ী। না জেনে কাউকে কখনো ভার্চুয়াল জগতে আমন্ত্রন জানানো ঠিক না, হঠা] করে কাউকে পপুরার করে দেয়া ঠিক না- তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে। বর্তমান বাংলাদেশে হাজারো কারনে মানুষ ভার্চূয়াল জগতে প্রবেশ হইতাছে। একজন আরেকজনের সাথে যোগাযোগ বা কানেক্টেড হইতাছে ভার্চুয়াল জগতে। হঠাৎ করে আমি একটা কথা বললাম আরেকজন সেটার রেসপন্স করলো কিন্তু সে আমার সামনে নাই- সে আমার মনের কথা শুনতে পেরেছে এই ব্যাপারগুলোকে ইথারের জগতের ভার্চূয়াল কানেক্টিভিটি বলে।ভার্চুয়াল জগতে শুধুমাত্র বিপরীত লিংগের প্রতি রেসপন্স দিতে হয়। আবার ভার্চূয়াল জগতে মনের চোখে একজন কে দেখলাম - তাকে ভালো লাগলো তার সাথে বাস্তবে দেখা করলাম আর তার সাথে প্রেম হলো  এই ব্যাপারটাকে ভার্চুয়াল জগত থেকে প্রেম বলে বা ভার্চুয়াল জগত থেকে শুরু হওয়া প্রেম বলে।  

সৃষ্টির প্রথম থেকেই মানুষের ভাব জগতের যে আনাগোনা বা লেনাদেনা তাকে যোগাযোগের মাধ্যম বলা হয়। সব ধরনের যোগাযোগ ই সব ধরনরে মানুষের জন্য প্রযোজ্য। ইন্টারনেট এবং ভার্চুয়াল দুইটা ভিন্ন ভিন্ন ইংরেজী শব্দ, দুইটার মিনিং ও আলাদা। আমাদের দেশে মাঝে মাঝে দুইটাকে এক করে ফেলা হয়। ইন্টারনেটের জগত ব্রডব্যান্ড, ওয়াই ফাই বা মোবাইল ইন্টারনেট এইগুলো র উপরে ডিন্ডেস করে তৈরী হয়। আর ভার্চুয়াল জগত টা মানুষের মনের ভেতর থেকৈ তৈরী হয়। ভার্চুয়াল জগতে অনেক অলী আউলিয়ারা ও চলাফেরা করে। আমরা যকণ প্রথম ভার্চুয়াল জগত টাকে অনুধাবন করতে শিখি তখণ থেকৈই বড় ভাইরা বলতো ভার্চুয়াল জগতে খুব বেশী গ্যানজাম করবি না - কারন এরকম মনের জগতে বা ভার্চুয়াল জগতে অনকে সময় অনেক সাধূ সন্নাসী বা অলি আউলিয়ারা বসবাস করে বা চলাফেরা করে। এখন যদি এই সব না শুনে খুব বেশী গ্যানজাম করস তাহলে হয়তো বদদোয়াতে পড়তে পারস তাতে হয়তো তোর হিতে বিপরীত হতে পারে, ক্ষতি হতে পারে। তোর এবং তোর সাথে সকলের। সো এইখানে যতো পারস চুপচাপ থাকবি। কারন এই মনো জাগতে বা ভার্চুয়াল জগতে বা চুপচাপ থাকার জগতে- 

  • মানুষ জন এবাদত কের যেখানে তার ডিষ্টার্ব হতে পারে। 
  • জীবিত নবী, অলি, আউলিয়াদের পদচারনা থাকতে পারে যেখানে মানুণের বিপদ হতে পারে। তাদের বদদোয়াতে অভাব বা দুর্ভিক্ষ নেমে আসতে পারে। 
  • স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা পড়াশোনা করে যেখানে তাদের বিরক্ত হতে পারে। 
  • হাসপাতালে বা ঘরে অসুস্থ রোগী থাকতে পারে যেখানে তাদের কষ্ট হতে পারে। 
  • বৃদ্ব মানুষ যারা বিভিন্ন সময় আরাম করে তাদেরও বিরক্ত হতে পারে। 
ভার্চুয়াল জগত টা একটা অসীম ব্যাপার- সীমাহীন আকাশ বা মহাসাগরের মতো যাকে কখনো কন্ট্রোল করা যায় না। মানুষের মরে জগতটাকেই ভার্চুয়াল ঝগত হিসাবে ধরা হয়। মন সীমাহীন একটা ভ্যাপার। সেটা কন্ট্রোল করার ছেষ্টা করাটা ঠিক না । মনের উপরে কারো জোড় খাটে না। মানুষের মনের রং এককসময় একক আকার ধারন করে। মানুসেল একক সময় এককটা উড়াল পারে। মানুষের মনের উপরে কারো জোড় খাটে না। মনটা যার- সিদ্বান্ত টা তার। ভার্চুয়াল জগত থেকে ইন্টারনেটে আসা যায়। যদি আমি খুব ভালো চিত্রশিল্পী হয়ে থাকি- তাহলে মনের জগতে কাউকে দেখার সাথে সাথেই তার ছবি এক সেটা ইন্টারনেটে পিকচার সার্চে দিয়ে তাকে বরে করে ফেলতে পারি যদি সে ইন্টারনেটে এভেইলেবল থাকে। যারা সম্পূর্নই মনের জগতে বিচরন করে তাদরেকে ইন্টারনেট বিশ্ব এখনো ক্যোপচার করতে পারে নাই। আমি এমন অনকেকেই চিনি যারা অনেক শিক্ষিত তারা এখনো ইন্টারনেট ব্যভহার করে না। তো আমি তাদের মধ্য থেকে ২/১ জনকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম- তারা বলতাছে আমরা আমাদের মনের জগত টাকে হারাতে চাই না। আমরা যারা বন্ধু তারা একটা মনের জগতে বসবাস করি। আমরা একে অপরকে দেখে থাকি। তোরা যেটাকে ভার্চুয়াল জগত বলে থাকস। তখন আমি বুঝতে পারলা, যে ইন্টারনেট টা তাদের দরকার নাই। আসলেই যারা ভার্চুয়াল জগতে সবসাস করে তাদের জন্য ইন্টারনেট না হইলেও চলে। আবার অনেকে দেখেছি খারাপ শারিরীক সম্পর্কের জগতে বসবাস করে- ইন্টারনেট দুনিয়াতে তাদের জন্য ইন্টারনেট ব্যভহার কে সীমিত করা হয়েছে। তাদেরকে দৈনিক শুধু ১৫ মিনিট ইন্টারনেট ব্যবহার করতে দেয়া হয়। এখণ আপনি যদি মনে করেন সেই ধরনের মানুষকে সারাদিন ইন্টারনেট দিয়ে রাখবেন তাহলে আপনি সারা বিশ্বের নিয়ম রক্ষা করলেন না। যে কোন ধরনের অনিয়মের কারনে মানুষ জন ভার্চুয়াল হয়ে যাইতে পারে।  এখখানে একদিন পড়েছিলাম- সঠিক মনে নাই কোথায় পড়ে ছিলাম- যে ভার্চুয়াল হয়ে যাওয়া মানে হইতাছে মৃত্যুর পূর্ব মূহুর্ত। ভার্চুয়াল জগেত শুধুমাত্র একটা ছেরে একটা মেয়ের সাথেই কথা বলবে বা যোগাযোগ করতে পারে কারন একটা আদমের সাথে একটা হাওয়া (আ:) এর দুনিয়াতে দেখা হবার আগে শুধু ভার্চুয়াল জগত টাই ছিলো। দুজন দুজনকে মনের জগত থেকৈ দেখতেছিলো এবং একজন আরেকজনের জন্য দোয়া করতেছিলেন এবং একসময় একজন আরেকজনকে পেয়েও যান।এইখান থেকে মনের জগতের মিল- কথাটাও ইস্টাবলিশ হয়ে যায়।  সেই সুনন্ত টা রক্ষা করার জন্যই একখানে দেখেছিলাম যে-একজন পুরুষ ভার্চুয়ালি একজন মহিলার সাথেই শুধু কথা বার্তা বলবে। মেয়েদের গর্ভবতী হবার ক্ষমতা থেকে ভার্চুয়াল জগতে েএকজন আরেকজনের সাথে কথা বললে সেটা মেয়েরা তাদের নিজস্ব ক্ষমতাবলে সামাল দিতে পারে। ভার্চুয়ালি কক্ষনো একজন ছেলে আরেকজন ছেলের সাথে কথা বলা  বা একজন মেয়ে আরেকজনে মেয়েল সাথে কানেক্টেড হওয়া ঠিক না- সেটা লাইফ রিস্ক হিসাবে বিবেচিত হবে । শুনেছি ভার্চুয়াল জগতে েএকজন পুরুষের সাথে যদি আরেকজন মহিলার যোগাযোগ না হয় তাহলে ভার্চুয়াল জগতে বিচরন কারী যতো ধরনের আধ্যাত্মিক আত্মা বা ব্যাপার ষ্যাপার আছে তারা  সবাই ক্ষেপে যায়। তাার আধ্যাত্মিক জগতের আত্মা- তারা ক্ষেপে গেলে তো নিজরে জন্য সমূহ বিপদ। আমি নিজে ব্যাক্তিগতভাবে  ভার্চুয়াল জগতে হয়রত আদম (আ:) এবং হয়রত হাওয়া (আ:) এর সুন্নত অনুযায়ী শুদূ মাত্র আমার বিপরীত লিংগের একজন মহিলার সাথেই কানেক্টেড থাকতে চাই। (এট এ টাইমে একজনই। একজনের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হলে আরেকজনের সাথে কানেক্টেড থাকতে চাই কিন্তু আমি কখনো ভার্চুয়াল জগতে অন্য কোন পুরুষের সাথে কানেক্টেড তাকতে চাই না কারন আমার সেক্সুয়াল অরিয়েন্টেশন- ষ্ট্রেইট) ।

বর্তমান ইন্টারনেট জগতটাতে আমরা যে যে জগতটাতে বিচরন করে থাকি সেগুলো হলো-
  • ভার্চুয়াল জগত (মনের জগত)
  • ইন্টারনেট জগত (আধুনিক বিশ্বে যোগাযোগর জগত)
  • রিয়েল লাইফ (বাস্তব জগত)।
সাধু, সন্নাসী, অলি, আউলিয়া এরা বেশীর ভাগ সময়েই ভার্চুয়াল জগতে বিচরন করে এমনকি মৃত আত্মাও। আত্মা তো আর কখনো মরে না। আত্মা তো এক সময় সৃষ্টিকর্তার কাছে ছিলো- সঠিক বাবা মায়ের সঠিক ভালোবাসর মাধ্যমে পৃথিবীতে এসেছে আবার সঠিক ভাবে জীবন যাপন করে একটা সময় পৃথিবী ছেড়ে চলে ও যাবে। কাল হাশরের দিন সৃষ্টিকর্তা আবারো একসাথে করবেন আত্মা এবং শরীরকে। তারপরে শুরু হবে হিসাব এবং জান্নাত জাহান্নামের ফয়সালা। কোন সমস্যা সমাধানের নিমিত্তে যদি সারা দেশে কখনো কোন ভার্চুয়াল গ্যানজাম লেগে যায় সেখানে ভাচুয়াল জগতে বিচরন কারী সাধূ, সন্নাসী এবং জীবিত বা মৃত আত্মারাও তেমন কিছু মনে করবে না কারন এইখানে একটা সমস্যা সমাধানের নিমিত্তে কিছু মানুষ ভার্চুয়াল হয়ে গেছে । শুনেছি শাহবাগ গনজাগরন ২০১৩ ও সারা দেশের মানুষের জন্য ভার্চুয়াল  আত্মার  মিলনস্থলে পরিনত হয়েছিলো। জীবিত আত্মার সম্মেলনের সাথে অনেক মৃত আত্মার ও সম্মেলন হয়েছিলো বিশেষ করে যারা জয় বাংলা বলে মারা গেছিলো তারা বোধ করি শাহবাগ গনজাগরনের গর্জনে পুনরায় জীবিত হয়ে উঠেছিলো এবং আত্মিক এক জগত তৈরী করে দিয়ে গেছে সারা বিশ্বে বিস্ময় সৃষ্টিকারী গজাগরন ২০১৩। 

ভার্চুয়াল বা ভার্চুয়াল জগত শব্দটা অনেক সময় ইন্টারনেটে ব্যবহৃত হয় কিন্তু আমি আমার ২০ বছরের ইন্টারনেট ব্যবহারের অভিজ্ঞতা থেকেই এইভাবেই নিজেকে আলোকপাত করি এবং আমার পক্ষে আমার এই সাজানো বর্ননা থেকে বের হওয়া সম্ভব না্ । আমার সাথে যারা চলাফেরা করে বা আমাকে যারা ভালোবাসে বা আমাকে যারা ফলো করে তাদের কাছে ক্লিয়ার থাকার জন্যই আমার এই লেখা। 

তাহলে যে তিনটা জগতের কথা বললাম- সেটার একটা সংক্ষিপ্ত রুপ দেখি। 
  • ভার্চুয়াল লাইফ- মনের সাথে মনের যোগাযোগ। (মনের চোখে দেখতে পাওয়া বা সৃষ্টিগত নানা ব্যাপার স্যাপার কিংবা যে কোন কারনে একে অপরের কাছাকািছি চলে আসা)
  • ইন্টারনেটের জগত- ইমেইল, মেসেন্জার, ওয়েবসাইট, এ্যাপ. মোবাইল, কল, সামাজিক যোগাযোগের যতো  মাধ্যমে আছে সবগুলোকে একসাথে বলতে পারি ইন্টারনেটের জগত।
  • বাস্তব জগত - বাস্তবে সামনা সামনি দাড় হওয়া, চোখাচোখি হওয়া , হাত ধরা, সম্পর্কে জড়িত হওয়া, সংসার করা এইটা বাস্তব জগত বলে থাকি আমি। 
এইখানে সৃষ্টি জগতের আরো বহু ব্যাপার স্যাপার থাকতে পারে- এককজন এককভাবে বলে থাকতে পারে। আমার ১৯৯৩/৯৪/৯৫ সালে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে প্রনীত কম্পিউটার সায়েন্স কোর্স  কমপ্লিট করা, ডিস্ক অপারেটিং সিষ্টেমের কম্পিউটার ব্যবহার করা (বসে বসে প্যারা গেম খেলা আর সাদা কালো স্ক্রিনে লেখালেখি করা, বায়োস প্রোগ্রাম নিয়ে কাজ করা, রঙ্গিন জগতের কম্পিউটারের আবির্ভাব উইন্ডোজ ৯৫ ব্যবহার করা শুরু করা, ইন্টারনেটের প্রথম দিন থেকে ব্যবহার করা, এপটেক ওয়ার্ল্ডওয়াইড থেকে ২০০৪/২০০৫ সালে ইণফরমেশণ সিষ্টেম ম্যানেজমেন্ট নিয়ে পড়াশোনা করা ১৬-১৮ মাস) , ২০০৩-২০১১ পার্ট টাইম ফ্রি ল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং করা এবং ২০১১ থেকে পুরোদমে ফ্রি ল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং এর সাথে জড়িত থাকা থেকে আজ পর্যন্ত- এই টোটাল অভিজ্ঞতার আলোকেই আমি এই ক্ল্যারিফাই করেছি । আমি আপনাকে আমার ক্লারিফিকেশন বোঝাতে চাইতাছি না- আমি চাইতাছি আমার ফ্যান ফলোয়ার রা এবং আমার ভালোবাসার মানুষগুলো আমার ক্লারিফিকেশন টা বুঝতে পারে। 

নোট: চোখের সামনে সাদা কালো কম্পিউটার কে রঙ্গিন হতে দেখা এবং তখন কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করা - আমার সারা জীবনের অবিস্মরনীয় রেকর্ড হয়ে থাকবে। সেটা ছিলো ১৯৯৫ বা তৎ পরবর্তী সময় (সেই সময়ে এশিয়াতে ইরাক টু আফগানিস্তান ভয়াবহ যুদ্বের সুচনা হয়- পত্রিকা থেকে জানা। ১৯৮০ থেকে শুরু হওয়া যুদ্বের এক্সটেনশন। পরে সেটা ২০০৬ পর্যন্ত গড়ায় এবং সাউথ এশিয়ার ২/১ টা দেশকে জনমের শিক্ষাও দেয়) । তখন আমার বাবা (অধ্যাপক আবুল হোসেন, মৃক্তিকা বিজ্ঞান বিভাগ, কৃষি অনুষদ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমানে ২০১৭ থেকে অবসরে)বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হবার সুবাদে আমি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকায় বসবাস করতাম শিক্ষক কোয়ার্টারে। তারপরে ১৯৯৮ সালে চলে আসি আমাদের নিজস্ব বাসাতে ২০ নং ওয়ার্ডে- বর্তমানে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন এলাকাতে। মানুষ যখন কোন সৃষ্টি অবলোকন করে তখন মানুষ সেই খানে অবস্থান করে। ধরেন মানুষ যদি পূর্নগ্রাস চন্দ্রগ্রহন বা সুর্যগ্রহনের সৌন্দর্য অবলোকন করে তাহলে মানুষ সেই জায়গাটার কথা মনে রাখে। তেমনি আমার ক্ষেত্রেও  উইন্ডোজ ৯৫ আগমন দেখেছিলাম বাংলাদেশ কৃষি বিম্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকার বাবার বাসাতে নিজের বেড রুমে বাবার দেয়া কম্পিউটারে (ব্রিফকেস কম্পিউটার) বসে। পুরোটাই একটা ইতিহাস- এখন সেইটা ভেংগে ফেলার অর্ডার এসেছে। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ কৃষি বিম্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকার সব কোয়ার্টার এবং বিল্ডিং ভেংগে ফেলার এবং নতুন করে ডিজাইন করে তৈরী করার অনুমতি চলে এসেছে। সকল পুরাতন কোয়ার্টার এবং বিল্ডিং ভেংগে ফেলার জন্য সরকার সিদ্বান্ত নিয়েছে বলে জানলাম, বরাদ্দও চলে এসেছে। শুনেছি এই কোয়ার্টার এবং বিশ্ববিধ্যালয় বিল্ডিং গুলো বলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্বের সময় তৈরী হওয়া। সেইগুলোর বয়স এখন প্রায় ৮০ বছর। কথাগুলো বলার কারন ইন্টারনেট রঙ্গিন জগতের প্রতিনিধিত্ব করে আর এই রঙ্গিন গ্রাফিক্স জগত তৈরী হয়েছে উইন্ডোজ ৯৫ কে ঘিরে ধরে রেখে। সেই হিসাবে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় টা মনের সাথে গেথে আছে। বাকৃবি এর ভেতরে সেই সময়ে ব্যবহৃত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্বের রানওয়ে নাকি এখনো বিদ্যমান আমবাগান এলাকা দিয়ে। ইন্টারনেটে বসবাস করার কারনেই আমরা ম্যাক্সিমাম সময়ে ভার্চুয়াল হয়ে যাই বলে এখনকার দিনে সবাই ধারনা করে থাকে। 

ব্লগে ভিজিট করে বা পোষ্টিং শেয়ার করে সাথে থাকার জন্য অনুরোধ থাকলো। 

No comments:

Post a Comment

Thanks for your comment. After review it will be publish on our website.

#masudbcl