Translate

Saturday, September 19, 2020

পেপাল ডট কম নিয়ে আমার কিছু অভিজ্ঞতা এবং আমার মতে কেনো চালু হইতাছে না পেপাল বাংলাদেশে।

বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত অনেক নতুন নতুন আইন পাশ হইতাছে। যেমন: অর্পিত সম্পত্তি আইন, ত্যাজ্য সম্পত্তি আইন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন , জাতীয় পরিচয়পত্র আইন এবং আরো অনকে ভালো ভালো আইন। আইনের শাসন বলবৎ থাকলে অনেক ধরনের খারাপ কাজ থেকে নিজেকে ফেরত রাখা যায়। তেমনি আরো একটা আইন হবার দরকার ছিলো যে- পার হেড আইপি থাকার আইন। প্রত্যেক ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর একটা আইপি এড্রস থাকবে। আমাদের দেশে যদি ৩.৫ কোটি ফেসবুক একাউন্ট থাকে আর যদি মিনিমাম ২ কোটি মানুষও ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকে তাহলে মিনিমাম ২ কোটি আইপি এড্রেস থাকার কথা ছিলো। উন্নত বিশ্বে অনকে কোম্পনাী আছে যারা পার হেড ইউজার আআপি এড্রেস এ ইন্টারনটে ব্যবহার করে থাকে। আমরা বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহার করি কিন্তু আমাদের প্রত্যেকর আলাদা কোন আইপি এড্রেস নাই ইভেন আমাদের মধ্যে অনেকে জানেই না যে - কিভাবে পার হেড আই পি সিষ্টেম কাজ করে। আমার দেখা অনুযায়ী-  পেপাল ডট কম পার হেড আইপ এড্রস বেজড এ কাজ করে থাকে (আপনার ডিভাইসে যদি ইউনিক আই পি না থাকে (যে সকল দেশে চালু আছে তাদের ক্ষেত্রে) তাহলে সেখানে পেপাল রেজিষ্ট্রেশন নাও হতে পারে। আমরা আমাদের দেশে আই এসপি থেকে ইন্টারনেট কানেকশন নিয়ে ব্যবহার করে থাকি এবং সেখানে ২/৩/৪ টি মাত্র আই পি এড্রেস থাকে)। আগে যখন প্রথম দেখেছি তখন দেখেছি যে- প্রত্যেক ব্যবহারকারীর একটি আই পি  এড্রেস না থাকলে সেখানে পেপাল ডট কম ওপেন করা যাইতো না। আমার যখন আমার ক্লায়েন্টদের অুনরোধ করতাম যে আমাদের জন্য আলাদা করে একটা পেপাল একাউন্ট মেক করে দেন- তখন আমাদের ক্লায়েন্টরা  বলতো যে তাদের ডিভাইসের আই পি অলরেডী ব্যবহৃত হয়ে গেছে ফলে আর কোন খান  থেকে কোন আইপি ব্যবহার করার কোন উপায় নাই। ল্যান্ড লাইন বা ব্রডব্যন্ড ইন্টারনেট কানকেশনে একসময় আইপি ছাড়া ইন্টারনেট কানেক্টেড ই হতো না। বাংলাদেশে এতো পরিমান ইউজার আর এতো এতো ফরেন রেমিটেন্স ঢুকতাছে প্রতি মূহুর্তে- সেখানে আমাদের দেশে পেপাল নাই ব্যাপারটা জানি কেমন দেখায় বা শোনায়? আমরা এর আগে একবার বসন্ত জাগরন বলে খ্যাত কায়রো গন জাগরনরে সাথে সম্মতি জানিয়ে বাংলাদেশে পেপাল ডট কম ওয়েবসাইট ওপেন করার মতো পারমশিন বা অনুমতি পেয়েছিলাম - যেনো আমরা পেপাল ডট কম ব্রাউজারে ওপেন করে দেখতে পারি। আমার যতোটুকু মনে পড়ে - ২০১১ সালে কায়রো গনজাগরন চলাকালীন সময়ে মুসলিম দেশ হিসাবে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিলো যে- তোমরা ইন্টারনেটে কি কি ফ্যাসিলিটজ চাও? তো আমাদের মধ্যে অনেকেই ইন্টারনেটে বসে থেকে উত্তর দিয়েছিলো যে - মুসলিম মুসলিম ভাই ভাই। আমরা পেপাল সুবিধা চাই। তো কায়রো গনজাগরনরে ছেলে মেয়েরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমাদেরকে জানিয়েছিলো যে- তারা পেপাল ডট কম কে জানিয়েছে আমাদের দেশে এই সুবিধা ওপেন করার জন্য। তার কিছুদিন পরেই (সেই ২০১১ সালে)  আমরা পেপাল ডট কম ব্রাউজারে ওপেন করে লগইন করতে পারি। কিন্তু দু:খজনক হলেও সত্য যে আমরা পারসোনাল সেকসানে পেপাল ডট কম রেজিষ্ট্রেশন করার অনুমতি পাই নাই। আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি আমাদের প্রত্যেকের আলাদা ইউজার আই পি না থাকার কারনে আমাদের দেশে পেপাল ডট কম চালু হইতাছে না কারন এতে করে তাদের ব্যবসায়িক পলিসি যদি রক্ষা না হয় তাহলে কি তারা মশা মারতে আসবে বাংলাদেশে? ফ্রি ল্যান্সার জগতে প্রত্যেকটা ওয়েবসাইটে রেজিষ্ট্রেশনের প্রথম নিয়মই হইতাছে ওয়ান পিসি ওয়ান আইপি ওয়ান ইউজার একাউন্ট। আই এস পি তে কয়েকটা আই পি থাকার কারনে আর মোবাইল ইন্টারনেট গুলোতে যতোবার লগইন ততোবার নিউ আই পি টাইপ পলিসি থাকার কারনে রেজিষ্ট্রেশন গুলো এলাও হয় বোধ করি? আর নয়তো তাদের টার্মস এ লেখাই থাকে একটা কম্পিউটার বা একটা আই পি এড্রস থেকে একজনকেই রেজিষ্ট্রেশন করার জন্য?


২০০২ সালে একদিন সিলেট শহরের শাহী ঈদগাহ এলাকার এক সাইবার ক্যাফেতে বসে ছিলাম। তো বিভিন্ন ধরনের ম্যাসেন্জারে হওয়া বন্ধুত্বে এক দল মেয়ে একবার অুনরোধ করলো ইন্টারনেটে বসে থেকে যে ( ইন্টারনেটে তাদের দেয়া একটি কাজ শেষে)- আমি যেনো তাদেরকে আমার পেপাল একাউন্ট এড্রেস দেই। আমি পেপাল ডট কম ওপেন করতে যাইয়া দেখলাম যে বাংলাদেশ নাই। তো বলতাছে যে- তুমি যেখানে বসবাস করো সেখানে যদি পেপাল না থাকে তাহলে তো এইটা চরম ব্যাকডেটেড দেশ। তো আমি বললাম- বাংলাদেশ আসলে নতুন একটা দেশ। দেশটা এখনো সব কিছু গুছিয়ে উঠতে পারে নাই। আশা করি নিকট ভবিষ্যেতে বা অদূর ভবিষ্যতে চালূ হবে পেপাল এই দেশেও। তো আমি আবার দেখলাম ইন্ডিয়া এভেইলেবল। তো আমি জিজ্ঞাসা করলাম যে- যদি ইন্ডিয়া দিয়ে ওপেন করি আর তোমাকে দেই পেপাল এড্রেস তাহলে কি হবে? তো তারা বলতাছে যে- তুমি ট্রাই করে দেখো। আমি ট্রাই করে দেশ ইন্ডিয়া ব্যবহার করে (তখন ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পোলাপান বাংলাদেশে ওপেন ই চলাফেরা করতো। আমার সাথে ২/১ জনের খাতিরও ছিলো । সেই সুবাদে জিজ্ঞাসা করে নিলাম যে- যদি ভারত ব্যবহার করে একটা পেপাল ডট কম একাউন্ট ওপেন করি তাহলে কি কোন সমস্যা হবে? বলতাছে- ভারতীয় ব্যাংকে র সাথে যদি কানেকশন না থাকে তাহলে কোন সমস্যা নাই।) তো আমি দেখলাম পেপাল ইন্ডিয়ার সাথে তখনো ভারতীয় ব্যাংকের কোন কানেকশন দেখাচ্ছে না আরা আমারো ভারতীয় ব্যাংকে তখন পর্যন্ত কোন ব্যাংক একাউন্ট ও নাই। তো ওপেন করে আমার সেই আমেরকিার বন্ধুদেরকে দিলাম যারা মেসেন্জারে অপেক্ষায় ছিলো- ডলার পাঠানোর আগেই সেই ভারতীয় পেপাল একাউন্ট লকড হয়ে গেলো। তো পরে বলতাছে যে- তোমার পেমেন্ট ডিউ থাকলো। তুমি বাস্তবে ইউএসএ তে আইসা পেমেন্ট রিসিভ করো। তারপরে তারা আমাকে একটা জুনিয়র মেয়ের কাছে ফরওয়ার্ড করলো এবং তার  কিছুদিন পরেই ওডেস্ক ওপেন হলো বিশ্বে। সেখানেও পেমেন্ট মেথড হিসাবে পেপাল ডট কম এবং সাথে আরো কিছু দেয়া ছিলো। খোজ নিয়ে দেখলাম পেপাল ডট কম বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাংক এবং ইন্টারনেটেও তারা দানবীয় ব্যাংক। বর্তমানে ভারতীয় রা ফ্রি ল্যান্সার সেকসানে আলাদা করে পেপাল ডট কম ওপেন করতে পারে এবং আবার তাদের ষ্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার সাথে সরাসরি পেপাল ডট কম উইথড্র সেকসান চালূ আছে। সেই ছিলো ২০০২, আর আজকে উল্টে গেছে ২০২০ এখনো পেপাল বাংলাদেশে পুরোপুরি চালু ই হয় নাই। 

২০১১ সালে র পর থেকে পেপালের ভেতরে বাংলাদেশ অনেকটা আস্তে আস্তে আগাতে শুরু করে। এখন বিশ্বের অনেক দেশের বিজনেস সেকসানে বাংলাদেশের নাম পাওয়া যায়। সেই সকল সুবিধা। ২ ধরনের নাগরিকেরাই ব্যবহার করতে শুরু করলো। ১) যারা বাংলাদেশী বৈদিশিক নাগরিক এবং ২)যারা প্রকৃতই বাংলাদেশী নাগরিক।   




এই ২ ধরনের নাগরিকেরাই বাংলাদেশ থেকে একাউন্ট ওপেন করার কারনে পেপাল অনেকসময় অনেক ধরনের সমস্যা করতো। সবাই যে ভাবে একাউন্ট ওপেন করে বা ইউজ করে সেভাবে কখনো দেখি নাই যে - পেপাল, পেপাল পারসোনাল বা বিজনেস সেকসানে বাংলাদেশের ব্যাংক উইথড্র সেকসান দেখাইতাছে। কখনোই নাই। অনেকেই  অনেক ধরনের পলিসি ব্যবহার করে রেমিটেন্স হিসাবে বাংলাদেশে এড করাইতাছে। যে সকল পদ্বতিতে তারা পেপাল দিয়ে বাংলাদেশের জন্য রেমিটেন্স জেনারেট করেছে পেপাল থেকে তার মধ্যে কয়েকটা আমার জানা মোতাবেক (আমার ইন্টারনেট নাড়াচাড়া বা দেখার উপরে ভিত্তি করে। আমি সরাসরি কোন প্রমান দিতে পারবো না)  

  1. অন্য কোন দেশে আমার যদি কোন বন্ধু থাকে তার নামে ফুল একাউন্ট ডিটেইলস ব্যবহার করে তার নাগিরকত্ব দেশের ব্যাংক একাউন্ট  ব্যবহার করে পেপাল থেকে সেখানে উইথড্র এবং  তার ফরেন ব্যাংক একাউন্ট থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে ট্রান্সফার (সুইফট ট্রানজেকসান- ব্যাংক টু ব্যাক)
  2. শুধু বন্ধু বলে কথা না- যে কোন দেশে পাড়া, প্রতিবেশী, আত্মীয় স্বজন, ভাই, বোন এবং বা যে কোন পরিবারের আত্মীয় স্বজন আছে তাদের ফুল ডিটেইলস কালেকশন করে তাদের নামে ভেরিফায়েড পেপাল ডট কম একাউন্ট ওপেন করা এবং তাদের ব্যাংক একাউন্ট কানেক্টেড করা এবং সেখানে পেপাল ডলার উইথড্র করা এবং সেটা বাংলাদেশের প্রাইভেট ব্যাংকগুলোতে রেমিটেন্স হিসাবে এড করা বা রিসিভ করা। 
  3.  পরিচিত জন ছাড়াও অনলাইনের মাধ্যমে বা অফলাইনের মাধ্যমে যে কোন দেশের ছেলে পেলে দের সাথে কন্টাক্টে  এবং কন্ট্রাক্টে যাওয়া এবং নির্দিষ্ট পরিমান ডলারের বিনিময়ে বা পেমেন্টর বিনিময়ে তাদের ফুল ডিটেইলস ব্যবহার করে তাদের পেপাল থেকে তাদের ব্যাংকে উইথড্র করা এবং তাদের ব্যাংক একাউন্ট থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে বা বাংলাদেশের প্রাইভেট ব্যাংক গুলোতে রেমিটেন্স হিসাবে এড করা। (সব দেশেই ইন্টারনেট ব্যাংকিং চালু আছে)। 
  4. PayPal Logo
  5. বিশ্বের ১০০ ও বেশী দেশে বসবাস করা বাংলাদেশী পারমানেন্ট নাগরিক যারা কখনোই বাংলাদেশে আসে নাই  এবং বাংলাদেশের ব্যাপারে জানতে এগার বা যারাই অনলাইনে বাংলাদেশের ব্যাপারে জানতে এগার তাদের শো করা আগ্রহ কে পুজি করে তাদের ভেরিফায়েড পেপাল ডিটেইলস ব্যবহার করা এবং তাদের ব্যাংক একাউন্ট থেকে বাংলাদেশের প্রাইভেট ব্যাংক গুলোতে রেমিটেন্স ট্রান্সফার করা (ব্যাংক টু ব্যাংক)।
  6. বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাস করা বাংলাদেশী শ্রমিকেরা তাদের দেশ থেকে নানা ধরনের সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকে। এমনকি সাময়িক নাগরিকত্ব বা ক্রেডিট কার্ড এ ব্যাপারগুলো কে ব্যবহার করে সেই দেশে তার নামে ভেরিফায়েড পেপাল ডট কম ব্যবহার করে সেগুলোকে বিভিন্ন ব্যাংকে উইথড্র দিয়ে তা বাংলাদেশে ব্যাংক টু ব্যাংক রেমিটেন্স হিসাবে এড করা। 
  7. যে কোন দেশের বিজনেস একাউন্ট মেক করে সেখানে বাংলাদেশী ক্রেডিট কার্ড কে এড করে বাংলাদেশী প্রাইভেট ব্যাংককে ভেরিফায়েড করা এবং সরাসরি পেপাল ডট কম একাউন্ট থেকে তাদের প্রাইভেট ব্যাংক একাউন্টে ডলার বা রেমিটন্সে এড করা। পেপালের বিজনেস সেকসানে বাংলাদেশের নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র, ব্যাংক একাউন্ট এবং ক্রেডিট কার্ড কে এড করা এবং সেটাকে ভেরিফিকেশনের জন্য ব্যবহার করে সরাসরি বাংলাদেশের প্রাইভেট ব্যাংকে এড করা বা যোগ করা। 
  8. সারা বিশ্বের যে সকল দেশের বিজনেস সেকাসনে পেপালে বাংলাদেশের নাম এন্ট্রি করা আছে সেখানে বাংলাদেশের ছেলে মেয়েদের বিজনেস সেকসানে একটি বা দুইটি দেশের ফুল ডিটেইলস একাউন্ট ব্যবহার করে পেপাল ডলার কালেক্ট করা এবং সেগুলো এক খান থেকে আরেকখানে ট্রান্সফার করা বা এক দেশে থেকে আরেক দেশে কন্টিনিউয়াস ব্যাংক টু ব্যাংক ট্রান্সফার করে এক দেশের রেমিটেন্স কে আরেক দেশের রেমিটেন্স কনভার্ট করা বা এই ধরনের কিছু কাজও যা আমি ইন্টারনেট ঘাটতে ঘাটতে পড়েছি বা বের করেছি। অনুসন্ধানের জন্য এগুলোকে পসিবিলিটি হিসাবে বিবেচনা করতে হবে। 
  9. সবচেয়ে বেশী যেটা হয়েছে সেটা হলো - পেপাল + পাইওনিয়ার ফ্রেন্ডশীপ। পেপালে বিজনেস একাউন্ট তৈরী করে সেখানে পাইওনিয়ার একাউন্ট ডিটেইলস দিয়ে ভেরিফাই করা। পাইওনিয়ারে একাউন্ট ওপেন করলে  আপনি ব্যাংক অফ আমেরিকার একটা একাউন্ট পাবেন বা জার্মানীর একটা ব্যাংক একাউন্ট পাবেন  যেটা ফুল ব্যবহার করে আপনি পেপাল বিজেনস একাউন্ট কে ভেরিফাই করে ফেলাইতে পারেন। তারপরে সেই ভেরিফায়েড একাউন্ট থেকে পাইওনিয়ারে ডলার তুলে সেটাকে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে প্রাইভেট ব্যাংকে রেমিটেন্স হিসাবে রিসিভ করা - এই কাজটা আমাদের দেশে অনেকেই করেছে। 
উপরের একটা উপায়ও আমি পারসোনালি ব্যবহার করি নাই কখনো। কারন আমি দেখেছি সবগুলো পন্থাতেই বাংলাদেশ কে বাই পাস করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে যেহেতু পেপালের কোন ফাইনানিস্য়াল ম্যাটার নাই সে ক্ষেত্রে সেকন্ডোরি ভেরিফিকেশনের যাইয়া বাংলাদেশ এই ডলার গুলোকে ধরতে পারবে যে তারা এইখানে ডিফল্টার। তনণ সেখানে বাংলাদেশের লস হতে পারে। যে সকল বাংলা মায়ের সন্তানেরা অনেক সাহসী তাদের কথা ভিন্ন। এদশের ইতিহাস ঘেটে দেখা গেছে- কাউকে না কাউকে সবসময় ই রিস্ক নিতে হয় একটি সঠিক পন্থার বাংলাদেশ তৈরী করার জন্য। 
PayPal Acceptance Mark

২০০৬ সালে আবারো ঢাকাতে কয়েক বন্ধু মিলে একটা পেপাল ডট কম একাউন্ট ওপেন করলাম আবারো ভারতের ঠিকানা ব্যবহার করে। সেখানে ২০/২১ ডলার আনার সাথে সাথেই একাউন্ট লকড হয়ে গেলো। তখন কার সময়ে কিছু নামকরা ফ্রি ল্যান্সারদের সাথে কথা বললাম এবং তারা  বললো ভাই এভাবেই রেখে দিন। আমি বললাম ওকে। প্রায় ১২/১৩ বছর পরে কয়েক দিন আগে সেই একাউন্টের ডিটেইলস দিলাম পাসওয়ার্ড সহ ভারতীয় ছেলেপেলেদেরকে।  তারা আমার ফুল ডিটেইলস পরিবর্তন করে তাদের নামে একাউন্ট ভেরিফািই ও করে ফেলাইছে।  একাউন্ট টা ভারতীয় একজন নাগরিক এখন তার নিজের নামে মাষ্টারকার্ড দিয়ে ভেরিফায়েড করে রেখেছে। 

এর মাঝে অনেকবার চেষ্টা করেছি একটা পেপাল একাউন্ট ম্যানেজ করার জন্য। পারি নাই। ফলে ওডেস্ক, ইল্যান্স এবং মে বি ফিভার থেকেও সুইফট ট্রানজকেশনের মাধ্যমে সুইফট আনা শুরু করি। কাজ করি মার্কেটপ্লেসে আর রিসিভ করি বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে ডাচ বাংলা ব্যাংকে (ময়মনসিংহ- ১৫৬.১০১.০০১১৪৩৯- এইখানে অল রেমিটেন্স রেকর্ড আছে)। হঠাৎ করে ২০১১ সালে আমার সবগুলো ফ্রি ল্যান্সার একাউন্ট হ্যাক হয়। ফলে আমার ভীষন মন খারাপ হয়। আমি আগে পার্ট টাইমার ফ্রি ল্যান্সার ছিলাম সাথে সাথে জব করতাম ঢাকাতে বিভিন্ন প্রাইভেট ফার্মে। কিন্তু ২০১১ সালে সব কিছু হ্যাক হয়ে যাবার পরে আবার নতুন করে শুরু করি এবং তখন বাংলাদেশ ব্যাংক ও এভয়েড করা শুরু করি। ব্যবহার করতে শুরু করি পেপমেন্টবিডি বা পেপালবিডি ডট কম। পেমেন্টবিডি বা পেপালবিডি তে ডলার সেন্ড করার জন্য প্রথমে একটা পেপাল একাউন্ট এর দরকার পড়লো। তখন পরিচিত যাদের পেপাল একাউন্ট পাইতাম তাদের একাউন্টে ডলার রিসিভ করা শুরু করি এবং সমস্ত ডলারই পেমেন্টবিডি বা যারা পরিচিত/ইন্টারনেটে যাদের দরকার তাদের কাছে  সেল করে থাকি। বাংলাদেশের একজন আইনজীবি তার পাইওনিয়ার ভেরিফিকেশন একাউন্ট দিলো ২০১২/১৩ সালের দিকে - তার একাউন্ট ও ব্যবহার করা শুরু করি। একসময় তার একাউন্টে লিমিট শেষ হয়ে যায়। এর মাঝেই এক ক্লায়েন্ট পেলাম আমেরিকান সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবি। তাকে পুরো ব্যাপারটা খুলে বলাতে উনি ডিটেইলস জেনে একটা উপায় বলে দিলেন যে- এভাবে ব্যবহার করো - কোন দেশেরই ক্ষতি হবে না। তারপরে তার দেখানো নিয়ম অনুযায়ী অনেক দিন ব্যবহার করলাম পেপাল। শুধূ এফএনএফ রিসিভ করতাম আর সেন্ড মানি করতাম। ফলে আমার ব্যবহৃত একাউন্ট গুলো কখনো ডিলেট হতো না। তারপরে বিশ্বের অন্য আরেক দেশের বিজনেস সেকসান ইউজ করে একটা একাউন্ট ওপেন করি বাংলাদেশের ফুল ডিটেইলস দিয়ে- সেখানে তারা একটা লিমিট দেয় বছরে ৩২০০ ডলার। সেই লিমিট শেষ হয়ে যাবার পরে তারা নোটিশ দেয় যে- বাংলাদেশে তাদের এই মুহুর্তে অপারেশন নাই। যখন শুরু করবে তখন তারা আমার একাউন্ট টি ভেরিফাই করে দিবে (বাংলাদেশে যদি অপারেশন না থাকে তাহলে ইন্টারনেটে আমার বাংলাদেশী ডিটেইলস নিলো কেনো- প্রতি ট্রনাজকেশনে ২.৫% + ট্রনাজেকশন নিতে হতো। তারপরে   ই কমার্স ব্যবসার জন্য পেপাল মার্চেন্টের সাহায্য নেই এবং অনেকদিন লেনাদেনা করে থাকি। পেপাল পারসোনাল সেকসানে বাংলাদেশ না থাকার কারনে অনেকেই অনেক সমস্যায় পতিত হোন। এখন সর্বশেষ যে ক্লায়েন্টের সাথ কাজ করতাছি , উনাকে সব কিছু খুলে বলি। উনিও সবকিছু জেনে  কথা বলেন  পেপাল এর কাষ্টমার কেয়ারে। শেষে পেপাল কাষ্টমার কেয়ার আমার ওয়েবাসইটে ব্যবহার করার জন্য একটা ভেরিফায়েড বিজনেস একাউন্ট ব্যবহার করার অনুমতি দেয়। অনেকদিন থেকেই পেপাল ভেরিফায়েড বিজনেস একাউন্ট ব্যবহার করার ইচ্ছা চিলো। শেষে অনুমতি পাইলাম। 

আমি কক্ষনো পেপালের কোন ডলার কে কোন ব্যাংকে উইথড্র দেবার চেষ্টা করি নাই- সেটা বাংলাদেশে হোক বা বাহিরেই হোক। এরই মাঝে  অনেকবার বাংলাদেশ ব্যাংক হ্যাক হয়েছে, প্রাইভেট ব্যাংক হ্যাক হয়েছে, রিজার্ভ চুরি হয়েছে, রেমিটেন্স চুরি হয়েছে বা বিদেশী রিজার্ভ ও চুরি হয়েছে। আন্তর্জাতিক অংগনে বাংলাদেশ হয়েছে কলংকিত। সকল হ্যাকারদের হদিস না পাবার (এফবিআই তদন্ত থাকার) কারনে বাংলাদেশ ব্যাংকের  রেমিটেন্স সার্ভিস ব্যবহার করি না এখনো তেমন।  অনেক মার্কেটপ্লেস থেকেও যখন হাতের কাছে যে পেপাল একাউন্ট পেয়েছি সেটা দিয়েই উইথড্র দিয়েছি যাতে করে বাংলাদেশ ব্যাংকের হ্যাকারগুলো র সাথে আমাদের নাম উচ্চারিত না হয়। পরে একটা মহলের নির্দেশে আবারো ২০১৯ সালে রেমিটেন্স আনি এবং রেকর্ড রাখি। এখন আবারো নিয়মিত ক্লায়েন্টের দেয়া ভেরিফায়েড পেপাল ডট কম একাউন্ট ব্যবহার করি এবং পেমেন্টবিডি বা পেপালবিডি ফার্মের সাহায্যে এক্সচেন্জে করে নেই। পরিবর্তিত বাংলাদেশে বা ডিজিটাল বাংলাদেশে আমরা হ্যাকার নই, আমরা ফ্রি ল্যান্সার, আউটসোর্সিং ওয়ার্কার, এফিলিয়েট মার্কেটার । যারা ইন্টারনেট ব্যাংকিং ব্যবহার করি- তারা আমরা কখনো রেমিটেন্স না দিতে পারলেও দেশের কোন ক্ষতি করি না- নিজের পকেট ভরি। দেশের উপকার আর কয়জন ই বা করে- যারা করেছে তারা তো করেছে ৭১ এ জয় বংলা খ্যাত মুক্তিযোদ্বারাই। 




SEOClerks

No comments:

Post a Comment

Thanks for your comment. After review it will be publish on our website.

#masudbcl