Translate

Wednesday, September 9, 2020

বাসার কাছে কেওয়াটখালী পাওয়ার হাউজ গ্রীডে ভয়াবহ আগুন। প্রায় ২৪ ঘন্টা পরে বিদ্যুৎ প্রবাহ স্বাভাবিক এর দিকে।

এখনো স্বাভাবিক হয়ে উঠে নাই বিদ্যুৎ প্রবাহ। কিছুক্ষন পর পর আসতাছে আর যাইতাছে। মনে হয় পাওয়ার হাউজ গ্রীডের ইন্জিনিয়ার রা সব কিছু পরীক্ষা করে দেখতাছেন। গতকাল দুপুর দেড়টার দিকে বাসার পাশে বিকট শব্দে একটা আওয়াজ। মনে মনে প্রিপারেশন নিতেছিলাম- ছাদে যাবো এবং শকেল কবুতরের কাচা পরিস্কার করবো। কিন্তু সে আশাতে গুড়েবালি। কেওয়াটখানী পাওয়ার হাউজ গ্রীডে ভয়াবহ বিদুৎ শর্ট সার্কিটের পরে তৈরী হওয়া আগুনে বিকট শব্দে ইলেকট্রিসিটি অফলাইন। 

 


কিছুক্ষন অপেক্ষা করার পরে দেখলাম যে- পানির ষ্টোর নাই। কি করি? আশে পাশে তীব্র পানির সংকট দেখা দিতে পারে কারন সবাই বলতাছে ২/৩ দিন কারেন্ট আসবে না। সাপ্লাই পানি না থাকার কারনে মানুষজন অপেক্ষা করতাছে কিভাবে কি করা যায়? আমি অনেক ঘাটাগাটি করে যতোটুকু দেখেছি যে কোন ভয়াবহ বিপদে সব্বোর্চ্চ ১২ ঘন্টা থেকে ১৮ ঘন্টা ইলেকিট্রিসিটি না থাকতে পারে। তাই বলে টানা ৩দিন- কোয়াইট ইম্পসিবল।

 

পত্রিকা এবং নিউজ চ্যানেল দেখে যতোটা বুঝতে পারলাম যে- শর্ট সার্কিট থেকে আগুন  লাগার কথা বলা হয়েছে। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমার কাছে যতোটুকু মনে হয়েছে- বৈদ্যুতিক ওবারলোডের কারনে - মানে গ্রাহক চাহিদা বেশী থাকার কারনে এরকমটা হতে পারে- লেঅড কুলাতে পারে নাই। আমাদের বাসার কাছেই এই পাওয়ার হাউজ। সেখানে যে ট্রান্সফরমার- তা প্রায়শই লোড কুলাতে পারে না। উপরন্তু ানেকেই অনেক সশয় ধরে এসি ব্যবহার করে। আমাদের এলাকার যে লোকাণ মিস্ত্রী- যারা বাড়ি বাড়ি যাইয়া কাজ করে তাদের মধ্যে একজন কে বলতে শুনেছি- যে কোন সময়ে বড় সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে যদি লোড না সামলাতে পারে। ঠিকই সেটা হলো। ভবিষ্যতে এ ধরনের বিপদ থেকে পরিত্রান পাবার মেইন উপায় হলো- যাদের কাছে অবৈধ সংযোগ আছে - সেগুলো পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করা আর নয়তো দেখা যাবে আবারো বড় সড় অগ্নিকান্ড দেখা যাইতে পারে। কারন বর্তমানে বৈদ্যুতিক সংযোগ দেয়া হয় পুরো পুরি ডিজিটাল পদ্বতেত। িএখানে কোন এলাকাতে কতোটুকু বিদুৎ লাগবে তা জাতীয় ভাবে নির্ধারন করে দেয়া হয়। ডিজিটাল পদ্বতিতে সবকিছু সেট আপ করার কারনে িএকণ কোথঅও কোন অবৈধ সংযোগ থাকলে সেখানে বড় সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। যেমন কোথাও যদি ১৮০ ভোল্টেজ ট্রান্সফরমার থাকে আর আপনি যদি সেখান থেকে ২০০ ভোল্টেজ এর প্রেশার দেন তাহলেই আগুন লেগে যেতে পারে। অনেক সময় বিদ্যুৎ অফিসের কর্মচারীলা অনেক ধরনের দুর্নীতি করে থাকে ফলে টোটাল ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন এলাকাতে - স্পেশিয়ালি কেওয়াটখালী এলাকাতে প্রথমে ১০০% পরীক্ষা করে দেখতে হবে যে- সবখানে বৈধ বিদু কানেকশন আছে কিনা? যদি থাকে তাহলে সেগুলো অতি সত্বর সংযোগ বিচ্চিন্ন করে দেখতে হবে। আর এখানে যদি আপনি নিজের ব্রেইন খাটান তাহলে আপনি আবারো বিপদের সম্মুক্ষীন হবেন কারন জাতীয় ভাবে বিদ্যু] এর অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য অনেক উন্নত টেকনোলজীর সাহায্য নিতাছে সরকার। নিয়মিত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধও আপনাকে অনেক বিপদ কে বাচাতে পারে। কারন কোন মাসে যদি আপনি বিদ্যুৎ বিল ঠিকমতো পরিশোধ না করেন তাহলে সেই এলাকাতে সরবারহের পরিমান কম দেখাতে পারে সফটওয়্যার। আর সরবরাহের পরিমান কম থাকলেও সেখানে বিপত ঘটতে পারে। এই পুরো ব্যাপারটা আমি বিভিন্ন খানে পড়ে নিজে ষ্টাডি করে লিখলাম। এইখানে কোন যৌক্তিক প্রমান আমি দেখাতে যাবো না।
 

১০/১৫ বছর আগে কেওয়াটখালী এলাকাতে অনেক অবৈধ সংযোগ দেখেছি। আশের পাশে বস্তি মতোন এলাকাও ছিলো অনকেগুলো। তারা অনেক সময় বড় বড় বাশ নিয়ে কারেন্টের পিলারের মধ্যে বাড়ি মারতো তাদের ইলেকট্রিসিটি পাবাররে জন্য। মাঝে মাঝে জিজ্ঞাসা করলে বলতো যে- বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন তাদেরকে বলেছে- কারেন্ট না পাইলে পিলারের মধ্যে বাসা বাড়িতে কারেন্টের সংযোগস্থলে বাশ দিয়ে বাড়ি দেল কারেন্ট চলে আসবে। অনেক সময় তাদের অত্যাচারে আমাদের বিল্ডিং এর কারেন্ট ও চলে যাইতো। পরে বিদ্যুৎ অফিসে কল দিয়ে লোক আনলে তাদেরকে আর খুজে পাওয়া যাইতো না। ভাগ্যিস ভালো যে কখনো বস্তির মধ্যে আগুন লাগে নাই। বরঞ্চ আমাদের বাসার দুতালাতেই আমার ভাগিনা একদিন কম্পিউচটা ব্যবহার করে বন্ধ না করাতে সেই রুমে আগুন লেগে যায় এবং আশে পাশের সেই বস্তি বা অন্যান্য লোকজন আইসা পানি দিয়ে আগুন নিভায়। এখন সিটি কর্পোরেশন হওয়াতে আইন অনেকটা কড়াকড়ি হওয়াতে অনেক  অবৈধ  বিদ্যুৎ সংযোগের হার কমেছে তবে আমিার কাছে প্রায়শই মনে হয় যে- অনেক খানে অনেক অবৈধ সংযোগ রয়ে গেছে। 
 

বিদ্যুৎ অফিসের অবৈধ সংযোগের ব্যাপারে আগে থেকে তেমন কিছু জানা ছিলো না। আমি কেওয়াটখালী এলাকার সাধঅরন মানুষেল সাথে অনেক আড্ডা দেই। ধরতে গেলে আমার মন মানসিকতা সম্পন্ন অনেক লোকের সাথে আমার খুব ভালো খাতির আছে। তারা প্রায়শই আমার সাথে বসে খোশ গল্প করে। আমি ও তাদের সাথে মন থেকেই মেলামশো করে থাকি। কথনো ছোট বা বড় তফাত করি নাই আবার তারাও করে নাই।  নিয়মিত বিদ্যুৎ বিলের কাগজ আসে আর সেটা আমরা নিয়মিত পরিশেঅদও করে থাকি। কারন আমরা জানি আমরা এরকম এক দেশে বসবাস করি যেদেশে দুর্নীতির শেষ নাই কিন্তু আয়কর, ভ্যাট, ট্যাক্র, রিটার্ন, বিভিন্ন ধরনের বিল সরকারকে দিতে হবে অতি অবশ্যই। অনেক সময় অনেকেই বলে তাকে যে- তাহলে আর দেশ স্বাধীন করে লাভ হলো কি?সকলেই তো ভেবেছিলো দেশ স্বাধীন হলে সব কিছু ফ্রি পাওয়া যাবে- গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ। মানুষজন কোন ধরনের আয়কর, ভ্যাট, ট্যাকস্, রিটার্ন বা বিল দেয়া ছাড়াই বসবাস করতে পারবে। কিন্তু আপামর জন সাধারনের জন্য সেই সুযোগ সুবিধা এখনো কোন সরকার বা সরকার ব্যবস্থাই ওপেন করতে পারে নাই। বিশ্বে অনেক দেশ আছে যেখানে বিভিন্ন ধরনের সার্ভিস একেবারে ফ্রি দেয়া হয়। মানুষ জন সেই সুবিধা ভোগ না করতে পেরে গ্রামে গঞ্জে বিভিন্ন খানে মানুষ সোলার প্যানেল লাগিয়ে নিয়েছে। সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত ভিটামিন ডি- রোদ কে কাজে লাগিয়ে সেটাকে বিদ্যুৎ সুবিধায় পরিনত করতে সোলার প্যানেল লাগিয়ে নিয়েছে। তো এই এলাকাতে সবচেয়ে ভিআপি কানেকশন ছিলো ইলেকট্রিসিটি। কারন কাছেই পাওয়ার হাউজ। সেই কারনে জাতীয় গ্রিডের লাইন থেকৈ অনকে সময় সরাসরি বিদ্যু] কানেকশন দেয়া হতো বা রাসরি পাওয়ার হাউজের পারসোনাল যে লাইন সে লাইন থেকৈ সবাইকে পাওয়ার কানেকশন দেয়া হতো। এই এলাকাতে পাওয়ার হাউজ ষ্টেশন স্থাপন করার কারনে এই সুবিধা টুকু ভোগ করে আসতাছে দীর্ঘ সময় ধরে সাধারন এলাকাবাসী। যখন ছোট ছিলাম তখণ বাংলাদেম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকাতে বসবাস করতাম এবং আর সেই সুবাদে জানতাম খকনো যদি সারা দেশও কারেন্ট না থাকতো তাহলেও কেওয়াটখালী এবং বাকৃবি এলাকাতে কারেন্ট থাকতো কারন সেটা ছিলো পাওয়ার হাউজের লাইন। এমন হয়েছে অনেক অনেক বার - সারা দেশে একযোগে কারেন্ট অফ হয়ে যাইতো। একসাথে সবখানে কারেন্ট চলে যাইতো। 
 

তো এরকম একদিন কেওয়াটখালী েএলাকার সাধারন মানুষের সাথে বসে আড্ডা দিতাছিলাম। হঠাৎ করে এক লোক আইসা বলতাছে যে- যদি আমাদের কারো বিদ্যুৎ কানেকশন লাগে তাহলে সে এরান্জ করে দেবে। আগে কখনো দেখি নাই। তো আমি বললাম যে - এখন তো ডিজিটালি বিদ্যুৎ এরান্জ করা হয়। আবেদন করে ইলেকট্রিক কানেকশন নিতে হয়। আপনাকে আর বলে কি লাভ? তো বলতাছে যদি কখনো হেল্প লাগে তাহলে বলবেন -সে বিদু্ৎ অফিসে থাকে অনেকসময়। তো আমি বুঝলাম যে- লোকটা দালাল কোয়ালিটির এবং তার বিদ্যুঃ অফিসের সাথে হাত আছে।  তো আমি বললাম যে- ভাই আমার জাতীয় পরিচয়পত্র আছে। সরকার যে ভাব েআইন করে দিছে সেভাবেই আমি বিদ্যুৎ এর জন্য আবেদন করবো। যদি আমার কোথঅও কোন রেফারেন্স লাগে আপনাকে জানাবো যদি ফাইল পত্র বা কানেকশন দিতে দেরী হয় তাহলে বলবো। বললো যে ওকে। বিপিডিসি  বা বিপিজিসি এর প্রাইভেটাইজেশন এর কারনে এখানে যে আর দুর্নীতির সুযোগ ণাই সেটা রিয়ালাইজ কেরতে পেরেছি আমি- ক্নিতু সেই অপরিচিত লোকটা মেবি পারে নাই বা হঠাৎ করে দুর্ণীতি বন্ধ হয়ে যাওয়াতে বোধ করি সে কোন বিপদে পড়েছিলো। আর নয়তো সরকারি অফিস থাকলে তো বুঝেনই যে- অনেক সরকারি লোকের বেতনেই হাত দিতে হতো না। বেতন তোলা ছাড়াই তাদের মাস চলে যাইতো। 

 

কয়েকদিন আগে পাওয়ার হাউজের লোকজনকে বলে বাসার সামনে ইলেকট্রিক খুটি সরালাম। সারাদিন সময় নিয়ে তারা সেই খুটি ঠিক করে দিলো। আমাদের কাছ থেকে সার্ভিস চার্জ চাইলে আমরা খুশী মনে দেই কারন আগেকার খুটি টা অনেক আগে থেকে ছিলো। সেটা ছিলো লোহার খুটি। নীচে খাওয়া হয়ে গেছিলো। যে কোন সময়ে বড় সড় দুর্ঘটনা ঘটার আশংকা। তার পরে আব্বাকে বলে কয়ে পাওয়ার হাউজ অফিসে পাঠালাম। তারা আবার আব্বাকে অনেক ভ্যালু দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হবার কারনে। আমে পাশের ২/৩ বাসার আংকেল রাও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার হবার সুবাদে যান এবং খুব দ্রুতই আইসা পিলার পাল্টাইয়া দিয়ে যায়। নতুন বিল্ডিং করে নতুন ভাবে কানকেশন নেবার আগে তারা এই মহৎ কাজটি করে দিয়ে যায় এবং আমরাও যার পর নাই খুশী হই। তার আগে যদি কেউ দেখতো যে সেই লোহার খুটির পিলারের ণীচের অংশ গায়েব হয়ে যাবার দশা। বলতে গেলে লোহার পিলারটা ঝুলে ছিলো কারেন্টের হাই ভোল্টেজের তারের সাথে। বৃষ্টি আসলে বা ভিজে গেলে যে কেউ কারেন্টের সাথে আটকে যাইতে পারতো বা মারাও যাইতে পারতো।  


 

গতকাল ইলেকট্রিক লাইন অফ হবার পরে আইডিয়া করতেছিলাম যে- ময়মনসিংহ ব্রক্ষপুত্র নদী র ঔপাড়ে স্থাপিত জাতীয় গ্রীডে ইলেকট্রিক সাপ্লাইকারী বৈদ্যুতিক সাব ষ্টেশন শম্ভুগঞ্জ বৈদুত্যিক সাব ষ্টেশন থেকে ইলেকট্রিক সাপ্লাই নিয়ে হয়তো পরিস্থিতি ওকে করতে পারে বা সদ্য স্থাপিত সুতিয়াখালী এলাকার বৈদ্যুতিক সাব ষ্টেশন সোলার প্যানেল বেজড থেকে নিয়েও হয়তো দ্রুত ইলেকট্রিক সাপ্লাই ওকে করার চেষ্টা করবে। কারন আগে লোকাল চাহিদা মিটানো- পরে শেষে জাতীয় চাহিদা মিটানো। সকলেই বলতাছে ২/৩ দিন পরে কারেন্ট চলে আসবে- কিন্তু আমি বলেছি- ১০/১২ ঘন্টার মধ্যে ওকে হয়ে যাবে। সঠিক ভাবে আবেদন করে বিদুৎ কানেকশন নেবার কারনে এবং নিয়মিত ব্যাংকে যাইয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার কারনে আমারে একটা আইডিয়া আছে এই সকল ব্যাপার স্যাপারে। এর আগেও আগারগাওয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের অধীনে পাসপোর্ট  অফিসের দশ তালা বিল্ডিং এ বৈদ্যুতিক সাব ষ্টেশন বসানোর ব্যাপারে এবং সময়ে উপস্থিত ছিলাম। টোটাল ভ্যাপারটাই আমার আইডিয়া ছিলো এবং ঠিকই রাত্রি ১১টার দিকে কিছুক্ষনের জন্য কারেন্ট চলে আসে। পরে আবার ফেজ বেজড এবং লাইন বেজড বিছু জায়গায় থাকে এবং কিছু জায়গায় চলে যায়। সব মিলিয়ে রাত্রি ২.৩৬ এর দিকে দেখলাম কারেন্ট চলে এসেছ পুরোপুরি। অসয্য গরমে প্রায় বেহুশ হবার অবস্থা ছিলো। 

 

ফেসবুকে ষ্টোরিজ সেকসানে আপডেট দিয়ে রাখলাম যে - বিদ্যুৎ নাই এই ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের জন্য। কারন আমি দেখেছি যারা প্রকৃত বন্ধু তারা ষ্টোরিজ সেকসান টা চেক করে। তারপরে ক্লায়েন্টে কে ম্যাসেজ দিয়ে জানালাম- যে বিদ্যুৎ িসংযোগ বিচ্ছিন্ন আজকে কাজ করতে পারবো না। তো ক্লায়েন্ট উত্তর দিলো- ঠিক আছে কোন সমস্যা নাই। সাথে আরো একটা গুড নিউজ ও দিলো। আমিও টেনশন মুক্ত হলাম এবং চিন্তা করলাম যে- একদিন কারেন্ট বা ইলেকিট্রিসিটি ছাড়া ঘুমাইয়া পড়ি দেখি কি হয়? মশারির ভেতরে ঢুকে বাহিরে মোমা জ্বালিয়ে রাখলাম। মোম নিয়ে অনেক স্মৃতি আমার । সেই সকল স্মৃতি চারনের মাঝখানে ক্রমান্বয়ে শেষ হয়ে যাওয়া মোবাইলের চার্জে র দিকে তাকিয়ে কিছুক্ষন প্রিয় জনদের ষ্ট্রাটাস গুলো চেক করলাম। এবং ঘুমাইয়া পড়ার ঠিক আগে মুহুর্তে দেখি - ইলেকট্রিসিটি ওকে হয়ে গেছে এবং ফ্যান ও ঘুরতাছে। সৃষ্টিকর্তার দরবারে শুকরিয়া আদায় করে ঘমুাতে গেলাম। 

 


সকালেও ঘুম থেকে উঠে দেখি সব ঘুরতাছে। মানে ফ্যান আর কি? ফ্রেশ হয়ে নীচে যাওয়া মাত্রই আব্বা বলতাছে যে - তাড়াতাড়ি করো। পানি ভুরাইয়া রাখো। কারেন্ট চলে যাইতে পারে। সাথে সাথে ভাড়াটিয়া দেরকেও জানাইয়া দাও। আমি বললাম ঠিক আছে। কোন মতে নাস্তা করলাম। সব পানি রেখে উপরে নীচে ভাড়াটিয়াদের জানালাম। তারপরে ছাদে যাইয়া দেখি ট্যাংকিতে পানি নাই। এর মাঝেই শুরু হয়েছে গরম এর যন্ত্রনাঅ রোদও উঠেছে অনকে কড়া। তারপরে ট্যাংকিতে পানি ভরার মেশিনের সুইচ অন করে উপরে আসলাম যেখানে বসে কাজ করি সেখানে। আইসা বসবো দেখি কারেন্ট চলে গেছে। মেজাজাটাই খারাপ হয়ে যাবার দশা। যেহেতু কারেন্ট নাই সেহেতু ওয়াই পাই ও অফ। এম বি কিনলাম এয়ারট্যাল এ্যাপ তেকে -২.৫ গিগাবাইট ৫০ টাকা ৩ দিন। তারপরে হটস্পট মেক করলাম ল্যাপটপ এবং  মোবেইলে। এরপরে কিছুক্ষ কাজ করার পরে দেখি ফ্যান ঘুরতাছে মানে ইলেকট্রিসিটি চলে এসেছে। মানে যাওয়া আসা - লোডশেডিং হইতাছে। হয়তো পাওয়ার গ্রীডের সব কিছু রিকভার করার পরে সম্পূর্নই ওকে হয়ে যাবে। 

 

এর মাঝে ভাবতেছিলাম আমার দেশের গরীব মানুষ রা কিভাবে কি করে কারেন্ট ছাড়া। অনকেখানেই তো কারেন্ট নাই। সে সব খানে কিভাবে চলে। আর সে সব খানে ছেলে মেয়েরা কিভাবে ইন্টারনেট ব্যেবহার করে। কয়েকদনি আগে গ্রামে বসবাস করে ্রকেম একজন আত্মীয়ের সাথে কথা হাইতেছিরো। জিজ্ঞাসা করলাম তোমাদের এলাকাতে কারেন্ট আছে। বলতাছে ভাইয়া কারেন্ট তো আছে অনেক দিন যাবত কিন্তু প্রচুর পরিমানে ডিষ্টার্ব করে। তাহলে তোমরা ইন্টারনেট ব্যবহার করো কি করে? বলতাছে ভাইয়া সারা এলাকাতে জেনারেটর সেট করা আছে। কারেন্ট না থাকলে জেনারেটর দিয়ে সব কিছু চার্জ
করে রাখি আর কারেন্ট থাকলে ওয়াই পাই ওব্যভহার করে থাকি। মানে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট। তো আমি বললামে যে গুড। প্রযুক্তি ছাড়া তো ামনুষ এক পাও এখ আর আগাতে পারবে না। গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাধেম সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রজেক্ট গুলো মানুষের মনে একটা জিনিস সেট আপ করে দিয়ে গেছে- ইন্টারনেট বা প্রযুক্তি ছাড়া এখন অনেক কিছুই অচল। ইন্টারনেট ছাড়া বা জাতীয় পরিচপয় পত্র ছাড়া তো এখন অনেক কিছুই সম্ভব না।ঠিক তেমনি বৈদ্যুতিক ডিপাটৃমেন্টর লস বা ইলেকট্রিক লস আপনি তখনি কমাতে পারবেন যখন আপনি দেখবেন এমন কেউ ইলেকিট্রিসিটি ব্যবহার করতাছে না যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নাই।  এক কতঅয় জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া কাউকে কোন ধরনের বিদ্যুৎ কানেকশন না দেয়া হলে বিদ্যুৎ লস কমে যাবে ১০০%। সারা দেশে বলাবলি চলতাছে যে দেশের জাতীয় 
চাহিদা পূরন করে বর্তমানে ভারতে বিদ্যু] দেয়া বা রপ্তানী করা হেইতাছে। কিন্তু আপনার জায়গায় জায়গায় লোড শেডিং রয়ে যাইতাছে। এর কারন হলো অবৈধ সংযোগ থাকা দেশ জুড়ে। যারা যার নিজস্ব উদ্যোগে বা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাহায্য নিয়ে আপনি যদি নিজ উদ্যোগে আপনার এলাকার অবৈধ বিদ্যু] ষংযোগ গুলো বিচ্ছিন্ন করে দেন তাহলে আপনার বিদ্যুৎ লসের পরিমান অনেক কমে যাবে। আর এই সরকারের আমলে যদি ইউনিট প্রতি বিদু্তের দাম কমানো না যায় তাহলে প্রয়োজনে সরকার পরিবরতন করে বা পরিবরতনের চেষ্টা করে বিদ্যুতের দাম কমানোর চেষ্টা করতে হবে। অবশ্য বর্তমান 
রাজনৈতিক সরকারের আমলে বিগত ১০ বছর যাবত সব কিছুরই দাম বেশী। ঞয়তো গ্রামে গঞ্জে গরীব মানুষ টাকার াভাবে ইলেকট্রিক কানেকশন ব্যবহার ও করতে পারে না। তারা হয়তো ভাবে কুপিবাতি বা হারিকেনের আলো তেআ তাদের বাকী জীবন পার করতে হবে। আর খুব বেশী পারলে তারা তাদের িনজেদের বাড়িতে লাগােইয়া নিতাছে সোলার প্যোনেল। ভোট দেবার সময় তো ঠিকই গিয়েছিরো ভোট কেন্দ্রে জাতীয় পরিচয়পত্র খানি নিয়ে আর ভোট দিয়ে আইসা হয়তো আজকে বাড়ির উঠানে বইসা মাথা চাপড়ায় বা কান্দে।আর যাই হোক বর্তমান সরকারকে গরীব মানুষের সরকার বলা যাবে না। 


 




কয়েকদিন আগে কিশোর গঞ্জের হাওরের ভেতরে কয়েকটা পরিবার নিয়ে গড়ে উঠা একটা গ্রামের উপরে প্রতিবেদন দেখলাম টিভিতে। চারিদিকে পানি আর পানি। এর মাঝেই এক টুরিকরো জমিতে কয়েক ঘর পরিবার বা লোকের বসবাস। তাদের সবাইকেই দেখলাম যে তারা সোলার প্যানেল ব্যবহার করতাছে এবং তা দিয়ে তারা টিভিও দেখে তাকে যদিও বিটিভি দেখে থাকে। বর্তমানে বাংলাদেশে গরীব মাুষের এমন ত্রাহি মধুসূদন অবস্থা যে আমার মনে হয় সতভাবে পরিস্কার সুষ্ট সাধারন নির্বাচ হলে পুরাতান কোন রাজনৈতকি দল আর তেমন ভোট পাবে না। কারন গ্রামাঞ্চলের মানুষ চায় ০৩ বেলা পরিবার পরিজন নিয়ে চলা বা খাবারের সুবিধা। আর শহরাঞ্চলের মানুষজন চায় কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি। বিশেষ করে এইবার বিগত কয়েকবছরে কয়েক ডজন রাজনৈতিক নেতাদের রাড়ীতে কোটি কোটি নগত টাকার সম্পদ জমাইয়া রাখা,  ব্যাংক গুরোকে মূল্যস্ফীতি করা, পরিকল্পিতভাবে ব্যাংকগুলোকে খালি করে রাখার চেষ্টা, লোনের পরিমান কমাইয়া দেয়া, নগত টাকা উত্তোলনের রিস্ক বা এরকম হাজার হাজার গ্যানজাম বর্তমান সরকারের কাছে থেকে লোকজনকে পুরোপুরি অনীহাতে নিয়ে গেছে। সামনে সুন্দর পরিস্তার ভোট হইলে হয়তো লোকজন দাতভাংগা জবাব দেবে যা অোগেও দেয়া হয়েছিলো ঠিক ভাবে অবশ্যদের বেহায়াদের লজ্জা শরম কিছুটা কমই। 


 


সাম্প্রতিককালে গ্যাসের চুলোয় প্রতি চুলোর দাম বাড়ানো আমার কাছে পুরোপুরি ন্যক্কারজনক মনে হয়েছে। তার উপরে নতুন করে গ্যাস কানকেমণ দেয়াও বন্ধ। আশে পাশের অনেক খানে দেখি অবৈধ গ্যাসের সংযোগ নিয়ে রেখেছে। অথচ যে কোন ধরনের অবৈধ গ্যাস সংযোগ থাকার কারনে বড় সড় দুর্ঘটনা ঘটে যাইতে পারে। গ্যাসের চাপ কনেট্রালের একটা ব্যাপার আছে। কোন কানে যদি অবৈধ গ্যাসের ষংযোগ থাকে আর সেই খানে যদি কোন মূহুর্তে গ্যাসের চাপটা ভেংগে যায় তাহলেই বড় সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। হঠাৎ করে আগুন লেগে যেতে পারে বস্তিতে বা এলাকার আশে পাশে। ভয়াবহ কোন বিস্ফারন হলে তা থেকে বিদ্যুতের তারে আগুন লেগে যাইতে পারে। হইতে পারে অনেক অনকে মানুষের প্রানহানি। কারন যারা যারা আবেদন করে গ্যাস কানেকশন নিয়েছে তাদের আবেদনের উপর ভিত্তি করেই গ্যাসের চাপ কন্ট্রোল করা হয়। আবেদন করে লাইন নেয়া আছে ১৫০০০- আর আপনি অবৈধ ভাবে গ্যাস সংযোগ দিয়ে রাখলেন ২৫০০০। তাহলে তো বিস্তীর্ন এলাকা নিয়ে আগুন ধরে যাইতে পারে আর বিস্তীর্ন এলাকাতে বা অল্প এলাকাতে আগুণ ধরলে মাার যেতে পারে অনেক মানুষ। শহরাঞ্চলে যদি কোন খানে অবৈধ গ্যাস সংযোগ থাকে তাহলে আপনি নিজ দ্বায়িত্বে সেটা এলাকার জন প্রতিনিধিদেরকে সাথে নিয়ে অবৈধ সংযোগ গুলো সরকার নির্ধারিত উপায়ে বিচ্ছিন্ন করবেন এবং জন মানুষকে সেইভ রাখার ব্যাপারে দ্বায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবেন। সাম্পৃতিক সময়ে গ্যাসের দাম বৃদ্বিতে বোঝা যায় - জনমানুসেল জন্য গনপ্রজাতন্ত্রী বাংরাদেশ সরকারের তেমন কোন ভূমিকা নাই। বিশ্বের অনেক দেশ আছে যেখানে েকাজ নিলে জানা যাবে অনেক নাগরিকের জন্য গ্যাস, পানি, বিদ্যুতের দাম অনেক কমাইয়া রাখা হয়েছে কারন সেগুলো তাদের নিজস্ব প্রাকৃতিক সম্পদ। আর আমাদের দেশের অবস্থা দেখলে মনে হয় যে- আমাদের দেশের গ্যাস পানি বিদুৎ মনে ঞয় বারত সরকারের কাছ থেকে কিনে আনতে হয়। বিশ্বের যে কোন দেশের লোক হাসাহাসে শুরু করবে যে- আমাদের দেশের নিজস্ব হ্যাম সম্পদ থাকার পরেও আমাদেরকে প্রতি মাসে গ্যাস চুলা প্রতি ৯৫০ টাকা কের দিতে হয় যেখানে আমরা এইটা প্রায় বিনামূল্যে পাওয়ার জন্য ডিজারভ করি। 


গ্যাস আর বিদ্যুতের দাম বৃদ্বির প্রতিবাদে আন্দোলনরত সেই গ্যাস বিদুত তেল সম্পদ রক্ষা কমিটির অনেক আন্দোলনের কথা মনে পড়ে যায়। এক সময়কার তাদের করা প্রতিনিয়ত লং মার্চ এর কারনে আজকে আমাদের দেশের অনেক টুকুই বেচে থাকার মতো অবস্থা আছে বোধ করি মধ্যবিত্ত মানুষের। আর নয়তো মের যাবার ও কথা। কয়েকদিন আতে এক পরিচিত চোঠ বাই আত্মহত্যা করেছিলো গায়ের মধ্যে কেরাসিনের আগুন ঢেলে দিয়ে কিচেন যাইয়া গ্যাসের চুলার সিলিন্ডার এ চুলা ওপেন করে নির্গমনরত গ্যাসের মাঝে আগুণ দিয়ে দেয় এবং তাৎক্ষনিক ভাবে পুরে মারা যায়। এক কথায় আত্মহত্যা কিন্তু তার এই আত্মহত্যা কি তেল গ্যাস বিদ্যুতের দামের বৃদ্বির প্রতিবাদে সেটাই রহস্য রয়ে গেলো। তার ‍খুব সুন্দর একটা হোন্ডাও  ছিলো।  



 

No comments:

Post a Comment

Thanks for your comment. After review it will be publish on our website.

#masudbcl