Translate

Tuesday, September 1, 2020

১৯৯০ বা তৎপরবর্তী বাংলা ব্যান্ড জগত। দ্বিতীয় পর্ব।

 একটা ব্যান্ড মিউজিক দল গড়ে তোলা এবং তাদেরকে ধরে রাখা - সেটা ব্যান্ড এর লিডারের জন্য বিশাল স্ট্রাগল। একই সাথে অর্থের যোগান দেয়া, পরিবার পরিজন নিয়ে চলা এবং নিজস্ব খরচ প্লাস ভ্যান্ডের খরচ টিানো - বস মিলিয়ে ১৯৯০-২০০০ সালের ব্যান্ড দলগুলোকে রেীতিমতো হিমশিশ খেতে হতো। ধরতে গেলে ক্যাসেটের টাকা দিয়েই তাদের দিন যাইতো বা গানের খরচ মেটাতে হতো। ষ্টুডিও ভাড়া, সুর বা কম্পোজ করা, গীতিকার হায়ার করা, ক্যাসেট প্রকাশনাতে যাওয়া- এরকম ষ্ট্রাগলগুলোর কথা আমরা পেপারে ম্যাগাজিনে সবসময় পড়েছি। অনেক সময় যোনেট করার জন্য ওপেন আহবান ছিলো এবং থাকতো। অনেকেই উদার হস্তে তাদেরকে সাহায্য করতো এবং সামনে আরো ভালো ভালো গান শোনার আশায় থাকতো। তবে সবচেয়ে বেশী যে পদ্বতিটা সাহায্য করেছে তার নাম হইতাছে- কনসার্ট। সারা দেশে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানে, নবীন বরনে র‌্যাগ ডেতে, বা জেলা উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের সরকারি/বেসরকারি/অোধা সরকারি এবং বেশীর ভাগ প্রাইভেট প্রোগামে কোন কনসার্ট বেশ জমজমাট কেরার জণ্য বা নাম ফুটিয়ে তোলার জন্য ব্যান্ড শো বা কনসার্টের কোন বিকল্প ছিলো না। যে কোন নতুন ভ্যান্ড প্রমোট করার জন্য স্পন্সর শীপ সুবিধা নিয়ে সারা দেশে কনসার্টের আয়োজন এক কথায় ব্যান্ড সংগীত জগতের শিল্পীদের মদ্যে প্রানের ছোয়া য়ে আসে- কোকাকোলা কনসার্ট, পেপসির আয়োজনে কনসার্ট বা আরো কিছু ব্যান্ড প্রমোট করার জণ্য সরাসরি ব্যান্ড সংগীত জগতের উপরে বলতে গেলে দ্বায়িত্ব পড়ে যায় এবং ব্যান্ড জগত একটা গতিও খুজে পায় যা ছিলো কাংখিত বা আকাংখিত। ভালো ভালো ব্রান্ড অনেক ক্যাসেটও প্রমোশন করে। ২০০০ সালের পর থেকে সব গুলেঅ প্রাইভেট টিভি চ্যানেল উদ্যোগ নিয়ে বাংলা ব্যান্ড জগতকে প্রমোট করা শুরু করে সেটা ছিলো আরো স্বর্নখচিত ব্যাপার এবং সেখান েথেকেই তরুন প্রজম্নের কাছে বাংলা ব্যান্ড গ্রপ গুলেঅ পরিচিত লাভ মুরু করে ব্যাপক হারে। বন্ধুদের রুমে বাংলা ব্যান্ডের বিখ্যাত আর্টিষ্টদের ছবি ঝুলে থাকতো এবং কিনতে ও ভালো লাগতো বা তিফট করতেও ভালো লাগতো। বিভিন্ন সাইচের পোষ্টারি, ভিউকার্ড বের হওয়া শুরু করে বাংলা ব্যান্ড জগতের কনসার্ট বা ক্যাসেট বা কনসার্ট বা প্রাকটিসের। রক ষ্টার বা রক শো বা এই ধরনের প্রোগ্রাম গুলো অনকে ধরনের গিটারিষ্ট (যারা নিয়মিত গিঠার শিখতো) তাদের মধ্যে একটা প্রানের সূচনা তৈরী করতো।

আমাদের বন্ধুদের মধ্যে অনেকেই  সরাসরি ব্যান্ড আর্টিষ্টদের বাসাতে যাইয়া দেখা করতো। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক এলাকাতে বসবাস করি ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত (এখণ ১৯৯৮ সাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে অবস্থিত ২০ নং ওয়ার্ডে নিজস্ব জায়গা জমিতে বিল্ডিং বা বাসা করে বসবাস করতাছি) - বাবা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হবার সুবাদে শিক্ষক কোয়ার্টারে থাকা হতো। ১১/১২ টা মতো হল এবং বাংলাদেশ কৃষি বিম্ববিদ্যালয় এর কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের নির্বাচনে বাংলা ব্যান্ড শো বা তাদের উপস্থিতি টা ছিলো চমতকার। প্রত্যেখটা হল একটা করে ভ্যান্ড দলকে হায়ার করে নিয়ে আসতো এবং সেটা একটা চলমান ধারা ছিলো। সারা বছরই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে নির্বাচন চলতো -ফলে সারা বছরই বাংলা ব্যান্ড দল গুলো সারা দেশের হলগুলোতে বা কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়াম গুলোতে গাইতো। ছাত্র ছাত্রীরা তো অবশ্যই যাইতো এবং গান শুনতো, নাচতো মজা করতো। সেই সাথে আরো অন্যান্য লোকজনও যাইতো এবং প্রোগ্রাম ইনজয় করতো। একবার বাকৃবি অডিটোরিয়ামে মাইলসের একটা ব্যান্ড শো এনজয় করলাম যেখানে প্রায় ২-৩ ঘন্টা অনবরত মাইলস গান গেয়ে যায়। এছাড়াও অনকে অনেক  শিল্পীদেরকে দেখি - চাইশ এর খালেদ, তপর চৌধুরী, শাকিলা জাফর সক আরো অনকে সংগীত শিল্পীদেরকে সরাসরি দেখা এবং তাদের গান শোনা খুব বড়সড় একটা মজা ছিলো। বাকৃবির বাহিরে আইয়ুব বাচ্চু এলআরবির কনসার্ট উপভোগ করি আনন্দমোহন কলেজে। একদিন এতো বিশাল পরিমান মানুষ একসাথে হয় যে- লোকে লোকারন্য সিচুয়েশনে আইয়ুব বাচ্চু ষ্টেজ থেকে পড়ে গিয়ে ব্যাথা পায়- সেদির আর কনসার্ট হয় নাই- পরবর্তী দেন কনসার্ট হয় এবং সেই পরিমান গান গান বাচ্চু বাই- প্রায় ৩০/৩৫ টা। আরেকদিন ময়মনিসংহ পলিটেকনিক কলেজের মাঠে দেখি জেমসের কনসার্ট- ফিলিংস, নগর বাউল এর কনসার্ট। বৃষ্টির মধ্যে দাড়িয়ে পলিটেকনিক করেঝ মাঠের প্রোগ্রাম এবং নাচানাচি সারা ঝীবন মনে থাকবে। আইয়ুব বাচ্চু কষ্ট ক্যাসেট বের হবার পরে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ৫ তালার মাঠে কনসার্টের আয়োজন হয় এবং সেখানে ক্লাস থেকে বরে হয়ে শোতে উপস্থিত হবার পরে দেখি ১ম গান শেষ- দ্বিতীয় গান চলতাছে। চিরজীবন মনে তাকবে ফিডব্যাকের মাকসুদকে- ঢাকা বিশ্ববিধ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন মাঠে- পহেলা বৈশাখের কনসার্টে। ওরে বাপরে- সে কি লোক- মাকুসদ ভাই নাচাতে নাচাতে কোমড় ব্যাথা করে দেয় কয়েখ হাজার ছেলে পেলে দের। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কনসার্ট করতে যাইতো মাইলস এবং এলআরবি এবং একক ভাবে অনেক শিল্পী। একবার মুনেছি মাইলষ টোটাল ইউএস এর সব ষ্টেটে কনসার্ট করে বাংগালীদের নিয়ে  কিন্তু আমেরিকান দের মদ্যে নাকি সেইরকম সাড়া পড়ে যায়। আমেরিকাকে কনসার্টের দেশ বলা হয় শুনেছি। তাদের একটা কনসার্ট আয়োজন করার সমস্ত কিছু অটোমিটক রেডী থাকে। বলা মাত্র আয়োজন করা এক মুহুর্তের ব্যাপার। বিশেষ করে তাদের সাগড় পাড়ের কনসার্ট খুব িজনপ্রিয়। বিদেশ ট্যুর বাংলা ব্যান্ড জগতের জন্য খুব সম্মানের ছিলো। ভালো অর্থ পাবার সাথে সাথে তারা অনকেসময় তাদের প্রিয় প্রিয় মানুষদেরকে কুজে পাইতো এবং এক মিলনমেলায় মেতে উঠতো।

ব্যান্ড সংগীত জগতের জন্য পপুলার এ্যাপ এর নাম হইতাছে সাউন্ডক্লাউড। সংক্ষেপে এসসি নামে ডাকা হয়। এইখানে সারা বিশ্বের অনকে সংগীথ জগতের রথী মহারথীদের গান ষ্টক করা থাকে। অনেক ছেলে পেলে শুধু এসসি তেই শিল্পীদের গান শোনে। আমাদের দেশের ব্যান্ড সংগথি জগতের শিল্পীদের ব্যস্ততা বা উদাসীনতার কারনে তাদের প্রত্যেকের নিজস্ব পারসোনাল প্রোফাইল বা ব্যান্ড প্রেফাইল খুজে পাওয়া যায় না। কিন্তু তার যে সারা বিশ্বে নাম করেছে তাদের ভক্তরা তাদের প্রোফাইল খুজে বেড়ায় এসসি তে। তবে ইউটিউবে সংগীত জগতের শিল্পীদের গান অনেক সমৃদ্ব। 



একটা ব্যাপারে খটকা লাগলো ইউটিউবে- কয়েকদিন আগে পর্যন্ত বাংলাদেশে ইউটিউবের গুগল ডট কম মনিটাইজেশন প্রোগ্রাম চালু ছিলো। তখন বাংলা ব্যান্ডের অনেক গানে সেই মনিটাইজেশন প্রোগ্রাম একটিভ দেখেছি। অনকেই নিজস্ব চ্যানেল চালূ করে সেখানে বাংলা ব্যান্ডের গান আপলোড করে সেখানে ইউটিউবের মনিটাইজশেণ চালু করেছে এবং যেহেতু মিনটাইজশেন চালু ছিলো সেহেতু বলা যায় যে তারা ভালো অংকের ডলারই উপার্জন করেছে। কিন্তু একটা ব্যাপারে দেখলাম- যে বাংলা ভ্যান্ডের গানের যে প্রযোজনা প্রতিষ্টান তাদের কোন চ্যানেল নাই তেমন- সেখানে ভক্তদের চ্যানেল ছিলো। এখন শিল্পীর গান তো শিল্পী বা প্রযোজনা প্রতিষ্টানই শুধু মালিকানা দাবী করতে পারে। কিন্তু কোন ভক্ত যদি সেই গানের মাধ্যমে উপার্জন করে তাহলে তো সংশ্লিষ্ট শিল্পী বা প্রযোজনা প্রতিষ্টানের অনুমতি লাগতো। নয়তো তারা তো কপিরাইট আইনে সিক্ত হতে পারে যে কোন সময়ে। কারন আমি চাইলেই ইলেকট্রনিক মিডিয়ার যে কারো কনটেন্ট কপি করে সেটা এডিট বা মিডফাই করে রান করে কোন ধরনের উপার্জন করতে পারি না কারন এইখানে শিল্পী বা ভ্যান্ড দল বা গানের মৌলিকতা টা নষ্ট হয়ে যায়। আমরা সবাই জানি যারা শিল্পী তারা গান বেচে খায় কারন গান গাওয়াটা তোদের পেশা । এখন আপনি যদি তাদেরকে ঠকান সেটা তো আপনার নিজস্ব মূল্যবোদের জায়গায় যেয়ে দাড়ায়। আগে ব্যান্ড জগতের সবাই বলতো- আমরা তো ভালেঅ মানুষ- তাই আমােদের সবাই ঠকায়। তাই সেই চ্যানলেগুলোর ম্যেধ যারাই শিল্পী বা প্রযোজনা প্রতিষ্টানের অনুমতি ছাড়া ইউট্বিু মনিটাইজেশন করতাছেন তারা যদি স্বেচ্চায় বন্ধ করে দেন তাহলে ভালো আর নয়তো বামবা বা ব্যান্ড জগতের শিল্পীরা এ ব্যাপারে লিগ্যাল এক্যাশন নেয় তাহলে আপনাকে জেলে চলে যাইতে হতে পারে। আর শিল্পীদের ও উচিত ইউটিউবরে সাথে এমন একটা কমিটমেন্টে আসা যেনো তারা অডিও গান আপলোডের ক্ষেত্রে শিল্পী বা ভ্যান্ড দল বা প্রযোজনা প্রতিষ্টিানের অনুমতি ছাড়া যেনো মনিটাইজশেন এপ্রুভ না দেয়।


 

ভালো লাগে বাংলা ব্যান্ড দলের গান। এখণো শোনা হয়। মাঝে মাঝে পুরাতন গান গুলা অনেক আনন্দ দেয়। ১৯৯৮ সালে বের হওয়া ভাইকিংস আমার খুব ফেভারিট- ভাইকিংস এর গান আমার অনেক ভালো লাগতো এবং এখনো লাগে। বাংলা ভ্যান্ডের কিংবদন্তী সব আর্টিষ্টদেরকে জানাই শুভেচ্চা। ভালো থাকবেন বাংলা ভ্যান্ডের সকল সংগীত শিল্পীরা। ভালেঅ থাকুক তিলে দিলে গড়া এই বাংলা ব্যান্ড শিল্প। করোনার কারনে অনকে কানে অনকে কনসার্ট অফ আছে। একসময় করোনা কেটে যাবে। পুরাতান সূর্য নতুন করে উদিত হবে আর সারা দেশে খানে বেখানে মাঠে ষ্টেজে বাংলা গান আবারো মেতে উঠেবে সেই আশাই করি। 

No comments:

Post a Comment

Thanks for your comment. After review it will be publish on our website.

#masudbcl