আপনি যদি কোন কাজ না পারেন আর নিজেকে ফ্রি ল্যান্সার হিসাবে দাবী করেন তাহলে কি এদেশের সকল মানুষ মানবে?
আপনি যদি কাজ পারেন আর সামাজিক দায়বদ্বতার কথা বলে মানুষের কাছ তেকে কাজ শিখানোর কথা বলে টাকা নেন তাহলে কি মানুষ আপনাকে ফ্রি ল্যান্সার বলবে?
বাংলাদেশের নাম ব্যবহার করে যারা ডলার উপার্জন করতাছে সারা বিশ্বে- তারা সবিাই কি ফ্রি ল্যান্সার?
আপনি যদি মনে করেন ফ্রি ল্যান্সারদের কন্ট্রোল করার মাধ্যমে আপনি দেশের ভালো একটা পজিশনে যাবেন তাহলে কি ব্যাপারটা খাপ খাবে? ফ্রি ল্যান্সার রা স্বাধীন পেশাতে বিশ্বাস করে। মাথার উপরে কেউ ছড়ি ঘুরাতে পারবে না বা কর্তৃত্ব করতে পারবে না এরকম একটি বোধ থেকে মানুষ ফ্রি ল্যান্সার পেশার প্রতি আগ্রহী হয়। ব্যক্তি মালিকানাধীন কোম্পানীতে যদি কেউ কাজ করে, ৮টা-৫টা জব করে তাহলে সেখানে মানুষের মাথার উপরে একজন বস থাকে। যদি করপোরেশনের জব করেন সেখানে ও একটি নিয়ম কানুন বা রুলস থাকে। কিন্তু যদি মার্কেটপ্লেস বা আউটসোর্সিং জগতে আপনি কাজ করেন তাহলে কি আপনার মাথার উপরে কেউ বস থাকবে? ইন্টারনেট কানেকশন দেখ ভালো করে বলে বাংলাদেশ সরকারের প্রযুক্তি মন্ত্রনালয় ও আপনার উপরে মাথা খাটাতে পারবে না। কারন : আপনি এইখানে স্বাধীন ভাবে বিচরন করার অধিকার রাখেন। এইটা একটা মহাসমুদ্রের মতো। যারা কাজ জানে না বা ইন্টারনেটে পড়াশোনা করতে ভয় পায় তারা হারিয়ে যাইতে পারে। আপনি যদি সাগরের মাঝখানে সংকটে পড়েন আর একই জাহাজে থেকে পারস্পরিক বিরোধিতা করেন তাহলে কি আপনি কূল পর্যন্ত আসতে পারবেন। মনে হয় না। তীরে আসার আগেই আপনার তরী ডুবে যাবে।
তেমনি বর্তমোনের ফ্রি ল্যান্সারদের মধ্যে শুরু হয়েছে এক তীব্র রেষারেষি। এইখানে কয়েকদিন আগে আমার চোখের সামেন একজনকে দেখলাম: এক সাতে পরিচিত: একজন আরকেজনকে মার্কেটপ্লেসে হায়ার করে ব্যাড রিমার্ক দিয়ে বসেছে। ব্যাপারটা কল্পনার ও অতীত। এইখঅনে মনে হইতাছে যেনো বাংলাদেশ সরকার ডলারের মার্কেট খুলে বসেছে আর মানুষজন একজন আরেকজন- যে যারে পারে মার ধর করে, গালি গালাজ করে, অশান্তি তৈরী করে এক দলনর লুটতরাজ বানিজ্য শুরু হয়ে গেছে। এই ধরনরে কোন ব্যাপার তো নাই - নাকি আছে ভাই? আমার জানা নাই। যেদিন থেকে ইন্টারনেট মার্কেটপ্লেসে ফ্রি ল্যান্সার হিসাবে হাতে খড়ি সেদিন থেকেই দেখেছি: একজন ফরেনার ইউরোপিয়ান বা আমেরিকান ক্লায়েন্ট মার্কেটপ্লেস বজ পোষ্ট করে- শতাধিক ছেলে পেলে সেখানে আবেদন করে এবং সবচেয়ে যে যোগ্য সেই কাজটা পায়। এভাবেই কাজ করে আসতেছিলাম। হঠাৎ করেই দেকলাম: হাওয়া উল্টা দিকে বওয়া শুরু হয়েছে। এখন হাজারো মার্কেটপ্লেসে বাংলাদেশের ছেলে বা মেয়েরাই ক্লায়েন্ট সেজে বসে আছে। তারা নিজেরাই কাজ দেয়। প্রশ্ন জাগে তারা এতো কাজ পায় কিই? আর যদি কাজ পায় সেটা মার্কেটপ্লেস ওয়েবসাইটে দেবার দরকার কি? বাংলাদেশ কি একেবারে এ ক্লাস ধনী হয়ে গেছে। আমাদের দেশের লোকাল সোশাল মিডিয়া গুলোতেই তো হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ ছেলে মেয়েরা কাজের জন্য বসে আছে। তাহলে লোকাল মার্কেটপ্লেসে কাজ না করিয়ে, সোশাল মিডিয়া গ্ররপগুলো থেকে ওয়ার্কার সংগ্রহ না করে আন্তর্জাতিক ভাবে ইউরোপিয়ান বা আমেরিকান দের কাজ করানোর মানে কি বুঝলাম না?
একটি পরিবারে বাবা তার সন্তানদের পালে। সেখানে তিনিই কর্তা। এইখানে যদি কেউ বাবার উপরে তাফালিং করে তাহলে কি সে টিকতে পারবে? বা কেউ যদি বাবার ঘাড়ে চেপে বসে তাহলে কি সে টিকতে পারবে? বোধ করি না। তেমনি ফ্রি ল্যান্সার পেশা, মার্কেটপ্লেস ওয়ার্কার, আউটসোর্সিং পেশা ব্যাপারগুলো তৈরী করেছে আমেরিকান রা বা ইউরোপিয়ান রা। এইখানে যদি আপনি তাদেরকে উল্টা হায়ার করা শুরু করে দেন তাহরে কি ব্যাপারটা মানানসই হলো? হিতে বিপরীত হয়ে গেলো। তারা স্বভাবগত ভাব েবড়লোক। তাদের সাথে ভালো ভাবে মেলামেশা করে তাদের কাছ থেকে কাজ বুঝে নিয়ে আপনি লোকালি ১০/১২ জনকে নিয়ে কাজ করবেন বা করাবে - তাতে আপনার দ্বারা ১০১২ জন মানুসেল বা তাদের পরিবারের উপকার হলো: এইখানে আপনি আপনার সামাজিক দ্বায়বদ্বতা পালন করলেন? আপনি নিজে কাজ না করে মানুষকে কাজ শিখিয়ে যে সামাজিক দ্বায়বদ্বতা ঘাড়ে তুলে নিতাছেন সেখানে েএই ছেলে পেলে গুলো কাজ পাবে কোথায় যদি মার্কেটপ্লেস ওয়েবসাইট গুলো আগে থেকেই নষ্ট হয়ে যায়? নাকি যারা কাজ শিখাচ্ছেন তারা লোকালি কাজ কাম দেয়া শুরু করেছেন আমেরিকান বা ইউরোপিয়ান মার্কেটপ্লেস গুলোর মাধ্যমে।
অনেক আগে একটা ওয়েভসাইট দেখেছিলাম যেখানে মেধাকে ষ্টক মার্কেট এ ব্যাবহার করা হয়েছিলো এবং তারা সাকসেস ও হয়েছিলো। বর্তমানে ফ্রি ল্যান্সার ডট কম মার্কেটপ্লেসওয়েবসাইট দেখৌ আমার তাই মনে হইতাছে : একটি মার্কেটপ্লেস ওয়েবসাইট যেখানে হাজার হাজার মেধাবী ছেরে বা মেয়েরা তাদের একাউন্ট খুলে বসে আছে আর অষ্ট্রেলিয়ান ষ্টক এক্সচেন্জ তাদের মেধাটাকে পুজিবাজারের পুজি হিসাবে কাজ করাইতাছে। যার ফলে প্রায়শই ওয়েবসাইটে ডলারের আকার বাড়ে বা কমে। কখনো কখনো অয়াচিত ভাবে ডলারও কেটে নেয়। বলতে পারেন নিজে দেশে নিজ বাসভবনে বসে অষ্ট্রেলিয়ান সরকারের উপকার করে লাভ কি? শূনেছি সাগরপথে বাংলাদেশের সাথে অস্ট্রেলিয়ার ধূরত্ব ৩৬০০ কিলোমিটার বা তার কাছাকাছি। তাহলে বাংলাদেমে না বসে থেকে অস্ট্রেলিয়া চলে গেলেই তো হয়: সেখঅনে যাইয়া বসে কাজ করবেন এবং ডলার উপার্জন করবেন আর অষ্ট্রেলিয়ান সরকারকে রেমিটেন্স বা রেভিনিউ দিবেন? ব্যাপারটা কিন্তু অনেক ভালো হতো।