Translate

Tuesday, May 26, 2020

বাঙালী নারী। বাঙালী নারীদের আচার আচরন আমার মতে।


আমার জীবনে আমি যতো নারীর সাথে মেলামেশা করেছি তাদের বেশীর ভাগকেই দেখেছি আমার সংগে মৌখিক ভাবে শতবাগ ফ্রি হইতে। মুখে কোন জড়তা ছিলো না কোন। মনের মধ্যে কোন ছল চাতুরী ছিলো না। ম্যানেজ বলে কোন শব্দ কখনো তাদের মুখ থেকে শুনি নাই। তারা সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন উপজেলার মেয়ে- যাদের মধ্যে বেশীর ভাগকে দেখেছি প্রাকৃতিক ভাবে সুন্দর- তারা কখনো কোন ধরনের মেকাপ বা লিপষ্টিক ব্যবহার করে না। হঠাৎ করে শখের বশে এক দুজনকে দেখেছি ঠোটে হালকা লিপষ্টিক ব্যবহার করতে। মন থেকে দেখেছি ভালো ব্যবহার করতে। যখন যেথায় দেখা হয়েছে দেখেছি সব্বোচ্চ ভালো ব্যবহার করতে। একেবারে গরীব ঘরের মেয়েও যদি হয়ে থাকে তারপরেও দেখেছি আত্মসম্মানবোধ নিয়ে বাচতে। কেউ কোন থারাপ প্রস্তাব দিলে সাথে সাথে প্রতিবাদী হয়ে উঠতে দেখেছি। তারা যে সমাজব্যবস্থায় চলা ফেরা করে তারা সবাই গ্রামের বিত্তবান কিন্তু শহরাঞ্চলে সাধারন ভাবে বাচে বা বাচতে শিখে। তাদের চলাফেরা সাধারন মানের কিন্তু আনন্দ ফুর্তিটা প্রায় কোটি টাকা সমমানের। সব্বোচ্চ পর্যায়ে ভালো থাকার পরেও আমাদের এই দেশের সোসাইটিকে দেখেছি তাদের প্রতি চোখ রাঙাতে। এ দেশের বড়লোক পর্যায়ের ছেলে মেয়েরা বিকৃত যৌন চর্চাতে মেতে উঠতে দ্বিধাবোধ করবে না- সেখানে সরকারের পর্যায় থেকে কোন ধরনের বাধা নিষেধ নাই- যেটা ধর্মীয় নিষেধ- সেখানে আমাদের দেশের আইন পুলিশ কথা বলে না। আর যেটা সর্বজন স্বীকৃত যেখানে আইন পুলিশের চুলকানি উঠে। আসলে মানুষের ধর্ম যেটা- মানুষ তো সেটা করবেই- আর শয়তানের প্রজন্ম যারা তারা তো সব সময় শয়তানি চিন্তা করবেই। মাঝে মাঝে এমন একটা অবস্থাও দেখেছি যে বাংলাদেশ কে যেন তারা শয়তানের দেশ বলে ফেলবে। সৃষ্টির প্রথম থেকে যে নিয়ম চলে আসতাছে সেই নিয়ম কে তারা অস্বীকার করে অসামাজিক সোসাইটি তে বসবাস করবে কিন্তু বৈধতা আছে যেখানে সেখানে নাক গলাবে আর বৈধ সমাজটাকে অসামাজিক বলে বসবে। অধর্মীয় উপায়ে নিজে খারাপ কাজ করে বেড়াবে এবং সেটাকে সামাজিক বলে চালিয়ে দিতে দ্বিধাবোধ করবে না আর বৈধ সম্পর্কগুঅোকে সহজে অবলীলায় স্বীকৃতি দিয়ে দেবে অসামাজিক ভাবে। কোনটা বৈধ এবং কোনটা অবৈধ তা গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংবিধানে উল্লেখ আছে- আপনার কাছে যেটা খারাপ মনে হবে সেটা আপনি আগে দেশের আইন কানুন অনুযায়ী এবং ধর্মীয় নিয়ম অনুযায়ী বিবচেনা করে দেখবেন এবং তারপরে আপনি বিচার বিবচেনা করবেন। 

বর্তমান বাংলাদেশে অনেক বৈধ কাজকে অবৈধ বলে মনে করা হয়। আর ঘরে বাহিরে অনেক অবৈধ কাজকে বৈধ কাজ বলে মনে করা হয়। খারাপ কাজ না করলে নারীকে ঘরের ভেতরে আবদ্ব করে রাখার চেষ্টা করা হয় অনেক সময় সামাজিক ভাবে. সম্প্রতি এক ধরেনর অলিখিত সমাজ ব্যবস্থা দেখা যায় যেখানে নারীকে জোড় করে খারাপ কাজে ইনভলব করা হয় যার কোন আইনগত এবং ধর্মীয় ভিত্তি নাই। কিন্তু দেখা যায় যে- তারা অনেক সময় সেই ধরনের খারাপ কাজে রাজী ছিলো না। একটা সংঘবদ্ব চক্র অসামাজিক এই চক্র গড়ে তোলার চেষ্টা করে যাইতাছে বা করতাছে- আমরা দেখতাছি বিগত সাত বছর যাবত। ২০১৩ সালে সামাজিক গনজাগরন বা জয় বাংলা গনজাগরনের সময় দেখেছি যে- এক গবেষনায় বলা হইতাছে যে স্বাধীনতা যুদ্বে বাঙালী নারীদেরকে যে ধরনের শারিরীক মানসিক অত্যাচার করা হয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশী নারীদের স্বাধীনতার পরে সময় অনুযায়ী রিকভার করা হইছে শতকরা অনলি ১০% যেখানে স্বাধীনতা যুদ্বে অংশগ্রহনকারী  পুরুষদের কে মোটামুটি ভালো মানের রিকভারী বলা হয়। যুদ্বের বিভীষিকা বা যুদ্বের সময়কার বিভীষিকা যারা জয় বাংলা বলে যুদ্বে অংশগ্রহন করে যে কষ্ট করেছেন বা দেখেছেন সেই কষ্ট তাদের মনের মধ্যে ছাপ পড়ে গেছে বা গেছিলো যার জণ্য পরবর্তী কালে অনেক ধরনের আরাম প্রিয় রিকভারীর প্রয়োজন ছিলো। কিন্তু আমাদের দেশের মুক্তিযোদ্বাদের দুর্ভাগ্য যে দেশ স্বাধীন হবার পরে এখণ পর্যন্ত তাদের যথেষ্ট আরাম বা সম্মানের ব্যবস্থা করা যায় নাই- বলা যায় সেই ধরনের মন মানসিতকতার সরকার ব্যভস্থা এখনো বাংলাদেশে আসে নাই যারা জয় বাংলা  মুক্তিযোদ্বাদের সব্বোচ্চ সম্মান দিতে পারবেন। ২০১৩ সালে শাহবাগ গনজাগরন চলাকালীন সময়ে এক খানে দেখেছি- আমাদের দেশে শাহবাগ এবং গনজাগরন পন্থী লোকজন বৈধ জাতীয় পরিচয় পত্র এবং বৈধ ভোটার রেজিষ্ট্রেশন নাম্বারের মাধ্যমে সুষ্ট সাধারন পরিস্কার  নির্বাচনের মাধ্যমে যে সুষ্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছে সেখানে মুক্তিযোদ্বাদেরকে সব্বোচ্চ ক্ষমতাবান বলা হয়েছে- যাকে সাধারন ভাবে আমরা বলি ফ্রিডম ফাইটারস কমিশন- এদেশে তারা যা বলবে তাই হবে। 

যে নারীকে নিয়ে লেখা শুরু করেছি- সেখানে একটা কথা বলতে চাই যে- যে বাংলার নারীরা ৭১ এ গন ধর্ষনের স্বীকার এবং তারা নিজের মনের বিরুদ্বে যে ধরনের অত্যাচার অত্যাচারিত হয়েছে বর্তমানে দালাল রাজাকার প্রজন্ম সেটাকেই স্মার্টনেস হিসাবে নিয়ে নিছে এবং এই পন্থাটাকে তারা একটা স্পেশিয়াল টার্মে অভিহিত করে - এ... ল নামে কিন্তু তারা মে বি জেনে শূনেই আমাদের দেশে এ পন্থা টা চালূ করেছে যা কিনা স্বাধীনতা পুদ্বের সময় পৈশাচিক নির্যাতন হিসাবে অভিহিত- এদের আরো একটা বড় ব্যাপার দেখলাম এরা জয় বাংলা বলতে পারে না- জয় বাংলা বলতে বললেে এরা জয় বঙ্গবন্ধু বলে। যতো ভাবেই আপনি তাদেরকে বলানোর চেষ্টা করবেন  যে জয় বাংলা বলো- ততোভাবেই যে পাশ কাটিয়ে যাবে আর বলবে যে জয় বঙ্গবন্ধু। জয় বাংলা এরা বলতে পারে না। এদের গলাতে বাজে বা বলার মতো সাহস পায় না। 

সো আমাদের দেশে যারা মুক্তিযুদ্বের ধর্ষিতা নারীদের পক্ষে কাজ করেছে বা করে যাইতাছে তারা কখনো এই ধরনের অসুস্থ সামাজিক ব্যবস্থায় অংশগ্রহন করে না। তারা একই ভাবে নিরন্তর চেষ্টা করে যাইতাছে যেনো স্বাধীনতা যুদ্বে যারা ধর্ষিতা বা পৈশাচিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত তাদেরকে রিকভারী করার েচেষ্টা করার মাধ্যমে- নারীরা যেনো আরো সামনে আগায়- ৭১ এ যুদ্ব হবার ঠিক আগে বাংলার রমনীরা যতোটুকু স্বাধীনতা নিয়ে চলতো ততোটুকু স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেবার জন্য। কিন্তু ব্যাঙের বাচ্চাকে যদি আপনি সাগরে বা মহাসাগরে ফেলে দেন তখন তার যে রকম নাচন অবস্থা হবে যেসরকম দালাল/রাজাকার বংশধর মেয়েরা সেই সাগরে পতিত মনে করে সেই অসুস্থ টর্চার রুলস শুরু করে এবং অসুস্ত যৌনচর্চা তৈরী করে আমাদের দেশের সেই ফাকি হানাদার বাহিনী কর্তৃক ধর্ষিত বাঙালী মা বোনদেরকে কষ্ট দিয়ে যাইতেই আছে- যাইতেই আছে আর চিন্তা করতাছে তারা কেনো মরে না যাদেরকে আমরা বীরাংগনা খেতাব দিয়ে বাচিয়ে রেখেছি। যাদেরকে আমরা শত দু:খ কষ্টের মধ্যেএ একটা নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখিয়ে বাচিয়ে রাখতাছি বা বাচিয়ে রাখার চেষ্টা করতাছে। সেই ৭১ এ অত্যাচারের মুহুর্তে এই ধরনের নারীরা এক খন্ড সুর্যরশ্বি বা কোন ধরনের সুন্দর আলো দেখে বেচেছিলো হয়তো আজো বেচে আছে- আর যদি বেচে না ও থাকে তাহলেও ৭১ এ ধর্ষিত সেই ধরনের বাঙালী রমনীদের আত্মা এই দেশের আকাশে বাতাসে ঘুরে বেড়ায় বা মাটিকেও ঘুমিয়ে থাকে। তাদের আত্মার মনে কষ্ট দেয় ্এবং তাদের ঘুমন্ত আত্মাকে জাগিয়ে তুলে কষ্ট দেয় সেই ধরনের সকল ধরনের সামাজিক মেলামেশা বর্তমানের করোনা পরিস্থিতিতে অনেকটাই অফ করে রেখেছে কিন্তু তারপরেও আপনি যদি মনে করেন আপনি মুক্তিযোদ্বা মহিলাদের মনে কষ্ট দিতাছেন তাহলে আপনার একজন বাঙালী নারী বা রমনী বা ললনা হিসাবে নিজেকে শুধরাইয়া ফেলা উচিত। একজন জয় বাংলার রমনী হওয়া অনেক বড় ভাগ্যের ব্যাপার কিংবা ললনা বা নারী। জয় বাংলার রমনী মানে এই না যে লাল সবুজের কাপড় পড়ে নিজেকে জয় বাংলা মহিলা বলে পরিচিয় দিলেন। একবার একখানে এক মহিলাকে দেখলাম যে লাল সবুজ রংয়ের পতাকা র কাপড়ে গায়ে দিয়ে দাড়িয়ে আছে কিন্তু উনি তার জয় বাংলার রক্তিম সূর্যটা রেখেচেন উনার নিতম্বে যা দেখতে খুবই দৃষ্টিকটু লাগতেছিলো। মুক্তিযুদ্বে নিহত সকল শহীদদের রক্ত এর প্রতীক হিসাবে বিবেচনা করা হয় লাল সবুজের পতাকার মাঝখানের রক্তিম অংশটাকে। প্রজন্ম দালাল রাজাকার সেটা র আলাদা কোন মিনিং করতে পারে কিন্তু স্বাধীন বাংলার রমনীর কাছে সেটার গুরুত্ব ভিন্ন। একজন বিদেশীনি বা ইউরোপিযান বা আমেরিকান মহিলা যদি ভুল করে লাল সবুজের পতাকার রংয়ের কাপড় চোড়প গায়ে জড়ায় সেটাকে কেউ দোষ হিসাবে দেখবে না- কিন্তু জেনে শুনে আপনি যদি দৃষ্টিকটু আচরন করে থাকেন সেটাকে নিশ্চয়ই কেউ এলাও করবে না। আপনাকে সবসময় মনে রাখতে হবে যে- জয বাংলা বলতে পারাটাই একটা বড় সড় বিজয়ের অন্তর্গত। আপনি যদি খালি মুখে  জয় বাংলা না বলতে পারেন তাহলে বুঝতে হবে যে এই দেশকে ভালোবাসা নিয়ে আপনার সমস্যা আছে। বঙ্গবন্ধু তারাই যারা দেশের জন্য ৭১ এ জয় বাংলা বলে বাংলার মাটির সাথে মিশে গেছেন বা অন্য কোন ধর্ম মোতাবেক পুনরায় জীবন নিয়ে অন্য কোন দেশে বা অন্য কোথাও চলে গেছেন আর তারাও যারা ৭১ এ দেশকে স্বাধীন করতে এসে স্বাধীন বাংলাদেশে বসে আছেন এবং তাদের বন্ধুদের কথা স্মরন করতাছেন মাঝে মাঝে জয় বাংলা বলে। 

সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো আমি সেই ধরনের লমনী, ললনা কে বাঙালী রমনী বা ললণা বা নারী হিসাবে বিবচেনা করি যারা খোলা আকাশের নীচে দাড়িয়ে খোলা বাতাসে মাথার চুল ছেড়ে দিয়ে দুহাত ছড়িয়ে সুন্দর করে কোন ধরনের প্রেশার  ক্রিয়েট না করে  মুক্ত বাতাসের সাথে সম্মতি রেখে বাতাসকে শুনিয়ে মৃদু বা আলতো ভাষাতে বলতে পারে জয় বাংলা। আমার জীবনে আমি এমন কোন বাঙালী নারীর সান্নিধ্যে যাই নাই যে জয় বাংলা বলতে পারে না। জয় বাংলা বলে এদেশের অনকে রমনী বা নারী বা ললনা ৭১ এ ফাকি হানাদার বাহিণীর কাছে গনহত্যার স্বীকার হয়েছে যার জণ্য আজো তারা জাতিসংঘের  কাছে সরি বলে নাই লিখিত ভাবে- আর আজো আমাদের অনেকের যুদ্ব চলতাছে সেই সরি লেটার আদায় করার জন্য যার দাবী উঠেছিলো শাহবাগ গনজাগরন চলাকালীন সময়ে। আজকে যারা ফাকি হানাদার বাহিনীর বৈশিষ্ট্য বজায় রেখে চলে তারা তো জয় বাংলার নাগরিক না? আমি মাঝে মাঝে ভাবি- তারা বাংলা ভাষা উচ্চারন করে কি করে? আমি যুদ্ব করি নাই- আমার সীমিত আকারের ব্যক্তিগত রিসার্চ বা এনালাইসিস আমাকে সঠিক শুদ্ব বাঙালী প্রজন্ম চিনতে সহজ করে আর যারা ফাকি হানাদার বাহিণীর জারজ তারা প্রথমেই জয় বাংলার বহমান বাতাসের কাছেই পরাজিত বলে গন্য হয়। কারন তারা প্রথমেই এমন একটা কাজ শুরু করে যাকে আমার অনকে সময় রাস্তার কুত্তার সাথে বিবেচনা করে থাকি।

মানুষ হিসাবে বেচে থাকা এক বিরাট ব্যাপার আর সেটা যদি হয় জয় বাংলার গ্রাউন্ডে।

No comments:

Post a Comment

Thanks for your comment. After review it will be publish on our website.

#masudbcl