Friday, September 11, 2020

কি ধরনের ফ্রি লান্সাররা সরকারি ডাটাবেজে আসবে বা আসতে পারে? আমার অভিজ্ঞতা থেকে এনালাইসিস।

 সরকার যে ফ্রি ল্যান্সারদের তালিকা তৈরী করতাছে সেখানে আপনি শুধু যে সকল ফ্রি ল্যানসাররা রেমিটেন্স এনেছে তাদেরকেই পাবেন- পাড়াতে পাড়াতে গজাইয়া উঠা ফ্রি ল্যান্সার অমুক বা ফ্রি ল্যান্সার তমুককে বোধ করি খুজে পাওয়া যাবে না। এ ধরনের একটি তালিকাই বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের কাছে ট্রান্সফার করা হয়েছে বা হবে বলে পত্রিকাতে পড়েছি। শুধূ মাত্র বাংলাদেশ ব্যাংকেই লিীপবদ্ব আছে কারা কারা ইউরোপ আমেরিকা থেকে রেমিটেন্স এনেছেন? ফ্রি ল্যানসারদের একটা আলাদা ডাটাবেজ হয়তো সরকারের অনেক উপকারে আসবে বা উপকার করবে কিন্তু আমি যে প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে আসতেছিলাম বিগত কয়েক বছর ধরে- তা হইতাছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ফ্রি ল্যানসারদের জণ্য রেফারেন্স ভিসা লেটার আনার মতো ওয়ে আছে বলে শুনেছি। ফ্রি ল্যান্সার শব্দটা যদি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের নাগিরক ডাটাবেজে থাকে - মানে চবিসহ ভোটার তালিকায় পেশা হিসাবে থাকে তাহলে সমগ্র বিশ্বে ফ্রি ল্যানসারদের জন্য ভিসা প্রোগ্রামে সহজ হইতো। কিন্তু এখন যে ভাবে ফ্রি ল্যান্সারদের নাম তোলা হইতাছে তাতে সরকার একটা বেনিফিট নেবার চেষ্টা করবে তা হইতাছে অল্প সুদে লোন দেয়া। ফ্রি ল্রান্সার আউটসোর্সিং এর জগতে যতো মানুষ বিদেশ থেকে রেমিটেন্স এনছেন তাদের নামই উঠে আসবে হয়তো বা। তাদের মধ্যে যারা ক্লেইম করবে শুধু তারাই হয়তো পাইয়া যাবে পরিচয়পত্র বা কার্ড । কিন্তু সেই কার্ড নিয়ে আপনি যদি পাগলের মতো সরকার নির্ধারিত সুযোগ সুবিধা গ্রহন করার জন্য উঠে পড়ে রাগেন তাহলে আগে ভাগেই বলে দেয়া যায়- আপনার কোন লস হলে সরকারের সুদ বা % দিতে দিতেই আপানর জান শেষ হয়ে যাবে। আর তার সাথে রয়েছে প্রকাম্যে ডাটাবেজ ওপেন হবার কারনে নানা ধরনের চাদাবাজি বা সুযোগ সুবিধা যাার আদায় করে তাদের নজরও । সেটা ও বোনাস পাওয়া হবে। ধরা খাবে পাড়াতে পাড়াতে গজাইয়া উঠা সস্তা দরের ফ্রি ল্যান্সার বাহিনীর লোকজন কারন তাদের অনেকেই রেমিটেন্সে এড না হয়েই সরকারি অনুমতি না নিয়েই লোকালি টাকা পয়সা নিয়ে মানুষ জনকে হোপ দেয়া শুরু করেছে বা কাজ শেখানো শুরু করেছে। তাদের বিরুদ্বে সরকারের কাছে এখন হাজার হাজার অভিযোগ। আর সেদিন দেখলাম- বাংলাদেশ সরকারের আইনে এসেছে- অনলাইনে টাকা চাওয়ার অপরাধে ২ বছর জেল জরিমানা হতে পারে(দন্ডবিধির ৪২০ ধারাতে সংযুক্ত)। আমি আমার ফ্রি ল্যানসিং লাইফে ২ টা িকাজ সবসময় করি: 

১) আমি ইন্টারনেটে কখনোই কারো কাছ থেকে টাকা পয়সা নেই নাই - বাংলাদেশের কেউ বলতে পারবে না। আমি ইন্টারনেটে টাকা পয়সা নেই না কারন আমি মনে করি এতে আমার মেধার অবমূল্যায়ন হবে  কারন আমার সামনে আছে ইনফিনিটিভ ডলারের জগত। আমি যতো পারি বা যা পারি ডলারই উপার্জন করবো। আমি কখনোই কারো কাছে টাকা চাইও না কাজ শিখানোর ক্ষেত্র হলেও। 

২) আমি সবসময়ই ডলারের জগতে নিজেকে ইনভলব রাখতে চাই কারন এতে আমার দেশে বিদেশে বা যে কোন খানে ডলার জমা থাকলে কেউ আমার ব্যাপারে নাক গলাতে আসবে না। তাছাড়া ডলারের জগত টা ইনফিনিটিভ। টাকার জগত টা সীমিত। সো টাকা নিয়ে কাজ কারবার করতে গেলেই জগত টা ছোট হয়ে যাবে আর গালাগালি তো ফ্রি।

যারা রেমিটন্সে উপার্জন করে বা ডলার উপার্জন করে তাদেরকে ফ্রি ল্যান্সার বলা হয় বাংলাদেশে। মার্কেটপ্লেস ফ্রি ল্যান্সার রা সবসময় ডলার উপার্জন করে থাকে যেটা আপনি ব্যাংক বা সুইফট হিসাবে যদি উইথড্র করেন তাহলে সেটা সরকারের কাছে রেমিটেন্স হিসাবে বিবেচিত হবে। এমনকি আপনি যদি কোনো ইন্টারনেট ব্যাংক ব্যবহার করে থাকেন আর সেখান থেকে বাংলাদেশের যে কোন ব্যাংক একাউন্ট ব্যবহার করে ডলার থেকে টাকাতে কনভার্ট করেন সেটাও সচরাচর ক্ষেত্রে রেটিমেন্স হিসাবে বিবেচিত হবার কথা। তবে সেই রেকর্ড বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আছে কিনা বা তাদেরকে ইনক্লড করেছে কিনা সেটা জানতে হবে। যেমন : আমার যদি স্ক্রিল বা নেটেলারে কোনো পরিমান ডলার থাকে আর সেটা যদি আমি স্ক্রিল বা নেটেলারের সুবিধা সমূহ ব্যবহার করে প্রাইভেট ব্যাংকে উইথড্র করে থাকি -সেটা রেকর্ড প্রাইভেট ব্যাংকে থাকবে কিন্তু সেটার রেকর্ড কি বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আছে কিনা বা বাংলাদেশ ব্যাংক কি সেগুলোকে রেমিটেন্স হিসাবে বিবেচনা করবে কিনা- সেটা ও জানা থাকা দরকার।


ইন্টারনেটের ব্যাংকের সাথে প্রাইভেট ব্যাংকের ট্রানজকশন কি রেমিটেন্স হিসাবে বিবেচিত হবে কিনা? যদি হয়ে থাকে তাহলে বাংলাদেশে লিষ্টেড ফ্রি ল্যান্সারদের সংখ্যা অনেক বেড়ে যাবে। কারন অনেক অনেক ফ্রি ল্যান্সার আছে যারা মার্কেটপ্লেসে কাজ না করে পারসোনালি ক্লায়েন্টদের কাজ করে থাকে এবং নানা ধরনের পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার করে ডলারে বা ইউরো তে বা পাউন্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট রিসিভ করে থাকে। সেই ডলার গুলোকে পরে আবার লোকাল প্রাইভেট ব্যাংকের Swift Transaction মাধ্যমে উইথড্র করা হয়ে থাকে। আমি আগে অনেক দেখছি- আমাদের পরিচিত ফ্রি ল্যান্সাররা তাদের ধারে কাছের প্রাইভেট ব্যাংকগুলোতে সবসময় সুইফট উইথড্র দিয়ে থাকে ইন্টারনেট ব্যাংক থেকে - বোধ করি এটাও রেমিটেন্স হিসাবে বিবেচিত হবে। 


আমাদের দেশে যারা ফরেক্স করে থাকে বা বৈদিশিক ফরেন এক্সচেন্জে কাজ করে থাকে সে সকল ভাই বোনদের পেমেন্ট তো ইন্টারনেটের ব্যাংকের মাধ্যমে রিসিভ হয়ে থাকে। তারা আবার সেই ব্যালান্স গুলো লোকাল ব্যাংকে  সু্ইইফটের  মাধ্যমে উইথড্র করে থাকে। সেগুলো কি ফরেন রেমিটেন্স হিসাবে বিবেচিত হবে কিনা? অনেক ধরনের পেমেন্ট গেটওয়ে(skrill, Neteller, WebMoney, Perfect Money, ApplePay, GooglePay, GPay, Amazon Pay, Pixum) আছে বিশ্বে। আপনার যেটা মনে চায় আপনি সেটা ব্যবহার করতে পারেন। আপনার যদি মনে চায় আপনি এ্যাপল পে দিয়েও পেমেন্ট রিসিভ করতে পারবেন, আপনার যদি মনে চায় আপনি এমাজন পে দিয়েও পেমেন্ট রিসিভ করতে পারবেন আবার আপনার যদি মনে চায় আপনি গুগল পে দিয়েও পেমেন্ট রিসিভ করতে পারবেন- যদি বাংলাদেশে রিসিভ করার অনুমতি থাকে। বিশ্বে ইন্টারনটে ব্যাংকের অভাব নাই। যারা ফরেক্সের বিজনেস করে তারাও এদেশের জন্য রেমিটেন্স দিতাছে প্রতি মুহুর্তে। আপনি যতো ধরনের ফরেন কারেন্সী উপার্জন করতাছেন আমার মতে সবগুলোই ফরেন রেমিটেন্স হিসাবে বিবচিত হবে। আর মেধা এবং জ্ঞানের ভিত্তিতে উপার্জন করার জন্য - তাদেরকে ফ্রি ল্যান্সার বলা হয়ে থাকে। সো এইখানে একজন ফরেক্স ইউজারদেরকেও ফ্রি ল্যান্সার বলা যাবে এবং তাদরেকেও ডাটাবেজে আনা যাবে। 


যদি ফরেন রেমিটেন্স আনাই ফ্রি ল্যান্সারদের প্রধান বৈশিষ্ট্য হয়ে থাকে তাহলে যারা যারা বিভিন্ন ধরনের ফরেন চেক পেমেন্ট পাইতাছেন যেগুলো তারা যার যার পারসোনাল ব্যাংক একাউন্টে জমা করতাছেন এবং সেটা প্রাইভেট বা সরকারি ব্যাংকে সারা বিশ্ব থেকে এক্সচেন্জ করতাছেন বা যেটাকে পে চেক বলা হইতাছে-  তারাও ফ্রি ল্যান্সার, কারন তারাও বৈদিশিক মুদ্রা অর্জন করতাছে। কারন একটা পে চেক পাইতে গেলে বা যে কোন কোম্পানী বা মার্কেটপ্লেসের কাছ থেকে যদি চেক মেথডে পেমেন্ট নিতে হয় তাদেরকে অতি অবশ্যই ফ্রি ল্যান্সার বলতে হবে কারন তারাও ইন্টারনেটে (Search Engine Optimization, Social Media Marketing, Website Design & Development, Software design and Development, Graphics Design etc) টাইপের অনেক ধরনের কাজ করে চেক মেথডে পেমেন্ট রিসিভ করতাছেন। যেমন আমি কোন আমেরিকান কোম্পানীতে কয়েক মাস অনলাইনে কাজ করলাম- তারপরে উনি আমার নামে একটা ডলারের চেক ইস্যু করলেন পেমেন্ট হিসাবে এবং সেটা যথারীতি বাই পোষ্টে আমার বাসাতে এসেছে এবং আমি সেটা নিকটস্থ ব্যাংকে জমা দিলাম আমার পারসোনাল চেকিং বা সেভিং একাউন্টে (যে ব্যাংকে আমার একাউন্ট আছে সে ব্যাংকে) - সেটা  থেকেও ব্যাংকের জন্য বৈদিশিক মুদ্রা অর্জিত হলো সেটাকে ও আমরা এখানে রেমিটেন্স বলতে পারি শুধু পেমেন্ট পাবার পদ্বতিটা ভিন্ন এইখানে। যারা এ যাবত কালে ২০০৬ সালের প্রথমদিন থেকে গুগল এডসেন্স পেমেন্ট চেক রেগুলার রিসিভ করতাছেন তারা ও এইখানে ফ্রি ল্যান্সার বলে বিবেচিত হবেন কারন তারা তো অলরেডী সরকারের লোভাতুর চোখের সামেন পড়েও গেছিলেন এবং হাই কোর্টের অর্ডার অনুযায়ী ভ্যাট ট্যাক্সের খপ্পড়ে পড়তেছিলেন আরেকটু হলে- সেখানে সেটা ঘুরে চলে গেছে যারা ইউটিউব মনিটাইজার তাদের উপরে। যারা ইউটিউব চ্যাণেল মনিটাইজেশন করে ডলার উপার্জন করতাছেন আর প্রতি মাসে ব্যাংকে তাদের মাসিক পেমেন্ট রিসিভ করতাছেন সুইফট ট্রানজকেশন এর মাধ্যমে বা ব্যাংক চেকের মাধ্যমে গুগল ইনকরপোরেশন, ক্যালিফোর্নিয়া থেকে তারাও ফ্রি ল্যান্সার। কিন্তু তার প্রফেশন এবং মনিটাইজেশন টিকাইয়া রাখার জন্য তাকে বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে হইতাছে যেমন- ইউটিউবে গান গাওয়া, ইউটিউবে মুভি বানানো বা ইউটিউবে নাটক করা (যে সকল চ্যানেলে মনিটাইজেশন আছে তাদের কথা বলতাছি- তারা তো প্রতি মাসে বৈদিশিক মুদ্রা উপার্জন করতাছে আর তাদের উপার্জন ও রেমিটেন্সের খাতাতে বিবেচিত হইতাছে নিশ্চিত। সম্প্রতি ইউটিউব বাংলাদেশ থেকে তাদের মনিটােইজেশন অফ করে দিছে তারপরেও কিভাবে বাংলাদেশী ইউটিউব চ্যানেলগুলোতে মনিটাইজেশন দেখাইতাছে তা বোঝা যাইতাছে না। আর তারপরেও যদি তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে তাদের মনিটাইজেশন পেমেন্ট রিসিভ করে থাকে তাহলে এইটাকে লিগ্যাল এবং ভ্যালিড বলা যাবে কারন পেমেন্ট তো আসতাছে)। আগে গুগল থেকে ওয়েস্টার্ন  ইউনিয়নেও পেমেন্ট পাওয়া যাইতো যারা এডসেন্স মনিটােইজেশন করতাছে তারা।


যারা এডাল্ট, নন এডাল্ট সেকসানে রেগুলার প্রতিনিয়ত এফিলিয়েট মার্কেটিং করতাছে, দিন রাত খেটে কাজ করতাছে তাদেরকে ও আপনি বাদ দিতে পারবেন না ফ্রি ল্যান্সারদের তালিকা থেকে।কারন তাদের প্রত্যেকের নাম আছে ফরেন এফিলিয়েট কোম্পানীর কাছে বা সংশ্লিষ্ট দেশের কাছে। তারা সকলেই বাংলাদেশের আইডি কার্ড ডিটেইলস দিয়ে প্রত্যেকটা এফিলিয়েট মার্কেটিং কোম্পানীর কাছে। কি কি মেথডে পেমেন্ট রিসিভ করা হয় তা আপনাদেরকে দেখাবো পোষ্টের সবার নীচে। অসংখ্য পেমেন্ট মেথডে তারা প্রতিনিয়ত পেমেন্ট রিসিভ করতাছে বাংলাদেশ ব্যাংক বা প্রাইভেট ব্যাংকের মাধ্যমে। সেগুলোও তো বৈদিশিক মুদ্রা হিসাবে বিবেচিত হবে তাদের উপার্জনের কারনে। তার ওয়েবসােইট গুলো যদি বাংলাদেশ থেকে ওপেন হয় আর সেখানে যদি সে দিন রাত খেটে এডাল্ট বা নন এডাল্ট সেকসানে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে থাকে তাহলে তাকেও ফ্রি ল্যান্সার হিসাবে মর্যাদা দিতে হবে কারন যখন সে পেমেন্ট রিসিভ করতাছে বা আনতাছে তখন কিন্তু ব্যাংক বলতাছে না যে সে এডাল্ট কোম্পানী থেকে পেমেন্ট আনতাছে। প্রাইভেট ব্যাংক বা সরকারি ব্যাংক দুইটাই বলতাছে যে তাদের রেমিটেন্স আসতাছে এবং তারা লাভবান হইতাছে। এফিলিয়েট মার্কেটিং সেকসান টি অনেক বড়। অনেক  ধরনের প্রোডাক্ট নিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায়। কেউ কেউ আছে এমাজন নিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতাছে আবার কেউ কেউ আছে সারা বিশ্বের কোন না কোন দেশে সেক্স প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করতাছে। যার কাছে যেটা ভালো মনে হয় সে সেটা নিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতাছে এবং বৈদিশিক মুদ্রা জেনারেট করতাছে। সে সকল এফিলিয়েট মার্কেটার রা বা এফিলিয়েট প্রোগ্রামাররা নিয়মিত বৈদিশিক মুদ্রা আনতাছে তাদেরকেও ফ্রি ল্যান্সার হিসাবে আখ্যা দেয়া যাবে। তাহলে এক নজরে দেখি কারা কারা ফ্রি ল্যান্সার হিসাবে বিবেচিত হবে-  

  • পারসোনাল ক্লায়েন্ট যার কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত উপায়ে রেমিটেন্স পাওয়া যাবে।
  • মার্কেটপ্লেস ওয়ার্কার যারা সরকার নির্ধারিত উপায়ে সুইফট বা যে কোন ইন্টারনেটে ব্যাংকিং এর মাধ্যমে রেগুলার বৈদিশিক মুদ্রা অর্জন করতাছে। 
  • এফিলিয়েট মার্কেটার/প্রোগ্রামার : এফিলিয়েট মার্কেটিং করে যারা বিভিন্ন ধরনের ব্যাংকিং গেটওয়ে ব্যবহার করে প্রতিনিয়ত বাংলাদেশে বৈদিশিক মুদ্রা আনতাছে।
  • গুগল এডসেন্স বা কন্টেন্ট মনিটাইজেশন এবং ইউটিউব মনিটাইজেশন বা ভিডিও মনিটাইজেশন- এই ধরনের যতো কোম্পানী আছে যারা নিয়মিত বাংলাদেশে পেমেন্ট দিতাছে তারাও বিবেচিত হবে বলা যায়।
  • ফরেক্স বিজনেসম্যান বা ইন্টারনেট ট্রেডিং রিলেটেড যে কোন প্রোগ্রাম বা ওয়েবসাইট যেখান থেকে আপনি বৈদিশিক মুদ্রা জেনারেট করতাছেন।
  • এমন যে কোন কাজ  যা আপনি ইন্টারনেটে বসে করতাছেন আর সরকারের রেমেটেন্স বৃদ্বি হইতাছে এবং যেখানে আপনারও রুটি রুজি নির্ধারিত হইতাছে। 
  • (সম্ভবত) সরকারি নির্ধারিত বিভিন্ন ধরনের পেমেন্ট গেটওয়ে যাদের সাহায্যে বাংলোদেশে রেমিটেন্স আসতাছে এবং তা সরকারের নজরে বা গোচরে আছে এবং যারা প্রতিনিয়ত প্রতিষ্টান হিসাবে ভ্যাট ট্যাক্স দিয়ে আসতাছেন- সেই সকল কোম্পানীর নির্ধারিত এবং লিষ্টেড ফ্রি ল্যানসরারাও এই খানে আসতে পারবে (কিন্তু ব্যাপারটা গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের রেমিটেন্স রিসিভার না হবার কারনে বিবেচ্য বিষয় হতে পারে)। আর যদি তারা রেমিটেন্স সেকসানে লিষ্টেড হয়ে থাকে তাহলে ও সেটা বিবেচনা করবে নিশ্চিত সরকার। কারন এরকম অনেক ফ্রি ল্যান্সার আছে যারা বাংলাদেশের নামে লিষ্টেড এবং চোখের সামনে ইন্টারনেট ডলার এক্সচেন্জার দেখে তাদের  মাধ্যমেই পেমেন্ট রিসিভ করতাছে। সেও ফ্রি ল্যান্সার হিসাবে বিবেচিত হতে পারে।  
যাদের কে ফ্রি ল্যান্সার হিসাবে বিবেচনা করা যাবে না  -
  •  কেউ যদি বৈদিশিক মুদ্রা উপার্জন না করে নিজেই নিজেকে ফ্রি ল্যান্সার বলে সমাজে বা দেশে সকলের চোখের সামনে প্রতারান বা মানুষ ঠকানোর ব্যবসা করে যায় তাকে। 
  • ভেরিফিকেশন পিরিয়ডে যদি ধরা পড়ে যে আপনি পরিকল্পিতভাবে নিজেই নিজেকে পেমেন্ট দিয়ে নিজেকে ফ্রি ল্যান্সার হিসাবে প্রতিষ্টিত করার চেষ্টা করেছেন এবং সরকারকে ঠকিয়েছেন বা পরিকল্পিত ভাবে প্রি প্লেইন ওয়েতে আগে থেকে লেনাদেনা করে একজন টাকাকে ডলারে কনভার্ট করে আপলোড করেছেন মার্কেটপ্লেসে এবং পরিকল্পিতভাবে আরেকজনকে পেমেন্ট করেছেন - সেখানে আমার মতে সরকার ঠকে গেছে। এইখানে রেমিটেন্স বলা হইতাছে-  বাংলোদেশের বাহিরে থেকে যে কোন দেশের ক্লায়েন্টের কাছ থেকে আপনি পেমেন্ট পাচ্ছেন সেটাকে। বাংলোদেশের ভেতরেই একজন আরেকজন কে ডলারে পেমেন্ট করলে বোধ করি সেটা রেমিটেন্স হিসাবে বিবেচিত হবে না। 
  • পরিকল্পিতভাবে নিজের রেমিটেন্স বাড়ানোর জন্য বা রেকর্ড  বাড়ানোর জন্য- ইচ্ছা করে যদি অন্য কোন দেশের নাগরিক কে যে কোন মাধ্যমে হায়ার করে তাকে ১ কোটি টাকা দিয়ে তার কাছ থেকে মার্কেটপ্লেসে এর চার্জ দেবার পরে ৮০ লাখ টাকা রিসিভ করে সরকারের চোখে ধুলো দিলাম- তাদেরকেও নিশ্চিত ফ্রি ল্যান্সার বলা যাবে না। 
  • সারা বাংলায় যারা নিজেদেরকে ফ্রি ল্যান্সার বলে ট্রেনিং দিতাছেন কিন্তু আপনার কোন অনেষ্ট ফরেন রেমিটেন্স পেমেন্ট রেকর্ড নাই বাংলাদেশ সরকারের সাথে এবং আপনার মনে চাইলো আপনি আপনার ছাত্র বা ছাত্রীকে ইচ্ছা করে তার কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাকে ডলারে মার্কেটপ্লেস হায়ার করে তাকে রেমিটেন্স সেকসানে ইনভলব করাচ্ছেন - যা পরবর্তীকালে মার্কেটপ্লেসের ভেরিফিকেশন টাইমে ধরা পড়বে- বা আসকি মেথডে ওয়ার্ড বা শব্দ চয়নের ইন্টারনেট রেকর্ড ভেরিফিকেশনরে টাইমেও ধরা পড়বে তাদেরকে ও ফ্রি ল্যান্সার হিসাবে মনোনীত করা যাবে না। এককথায় জনগনের চোখে ধুলো দেবার জন্য কোন পদ্বতি ব্যবহার করে আপনি নিজেকে ফ্রি ল্যান্সার হিসাবে যাচাই করতে পারবেন না কারন আমরা সকলেই জানি যে- "Honesty is the Best Policy". আপনার চেষ্টা বা উদ্যোগকে হয়তো  তরকার এপ্রিশিয়েট করবে কিন্তু রেমিট্নেস ডিভিশনে চুরি চামারি বা চালাকি করার কারনে সরকার আপার বিরুদ্বে আইন প্রয়োগও করতে পারে সহজে। 
  • নিজেই নিজেকে ফ্রি ল্যান্সার বলে নাম কামানো এবং নাম কামিয়ে চলা লোকজন যারা কখনো ১ ডলারও উপার্জন করতে পারে নাই তারা।
  • যারা হ্যাকার তারা। কারন হ্যাকাররা কখনো রেমিটেন্স আনে না- তারা শুধু রেমিটেন্স চুরি করে। 
বাংলাদেশ সরকারের প্রযুক্তি মন্ত্রনালয় থেকে তৈরীকৃত এ তালিকা যারা রেমিটেন্স এনেছে এখন পর্যন্ত দেশে তাদের কে  নিয়ে তৈরী করা হবে। যারা ২০০২ সালে ওডেস্ক ওপেন হবার পরে আজ পর্যন্ত নিরলস ভাবে এই ইন্ড্রাষ্টিজ তৈরী করার জন্য নিরলস ভাবে  খেটেছেন বা কখনো না কখনো রেমিটেন্স এনেছেন তাদেরকেও এ তালিকাতে স্থান দিতে হবে। কারন হয়তো তাদের মধ্যে অনেকেই খুব বেশী ভালো নাই বা খারাপ অবস্থায় আছে। তার এক সময় করা কষ্ট থেকে আজকে ফ্রি ল্যান্সার ইন্ডাষ্ট্রিজ এর জন্ম। সো সে যে অনেষ্টলি রেমিটেন্স এনেছে বা কষ্ট করেছে তাদেরকে এই তালিকার  মাধ্যমে সম্মানিত করতে হবে- কারন বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে যে এ পর্যন্ত যারা রেমিটেন্স এনেছে তাদের সকলকেই ফ্রি ল্যান্সার হিসাবে বিবচেনা করা হবে বলে। (পত্রিকাতে দেখেছি)।


আমি যে সকল ডুপ্লিকেট পন্থার কথা বলেছি সে গুলো ব্যবহার কারী মানুষকে যদি আপনি ফ্রি ল্যান্সার হিসাবে সম্মানিত করে ফেলেন বা আখ্যায়িত করে ফেলেন তাহলে বোঝা যাবে ব্যাপারটা উদ্দেশ্য প্রনোদিত। কারন এই তালিকা তৈরী করার পেছনে অণ্যতম আরেকটা কারন সরকারের কাছ থেকে লোন নেয়া যারা বিপদে পড়েছে তারা? এখন যারা একসময় রেমিটেন্স উপার্জন করেছে তাদেরকে যদি সরকার লোনের সুযোগ দেয়া হয় তাহলে তো সারা বিশ্বের মানুষ হাসাহাসি শুরু করবে কারন যারা রেমিটেন্স উপার্জন করে তারা তো  ওয়ার্ল্ড ক্লাস নাগরিক ( এ ক্ষেত্রে তাদেরকে দিতে হবে প্রনোদনা)। তারা ঠেকায় বেঠেকায় ব্যাংকের কাছ থেকে ধার দেনা নিতে পারবে কিন্তু তাদেরকে সরকার তালিকা তৈরী করে লোনের সুযোগ করে দিবে- ব্যাপারটা তো ঘাপলা মনে হইতাছে।


কারন একজন মানুষ যে কিনা রেমিটেন্স উপার্জন করবে সে কেনো সরকারের কাছ থেকে লোন নিতে চাইবে। যারা নিয়মিত কাজ করে বা আপডেটেড সিচুয়েশনে থাকে তারা নিশ্চয়ই যে কোন কারনে যে কনো সময় ব্যাংক থেকৈ লোন নিতে পারবে তার পারসেনাল প্রয়োজনে বাংরাদেশের নাগরিক হিসাবে।  কিন্তু ফ্রি ল্যান্সার তালিকাতে নাম তুলে আপনি লোনের ফ্যাসিলিটিজ আদায় করবেন ব্যাপারটা আমার কাছে ঠিক ওকে মনে হইতাছে না। কারন আপনি যদি ভালো মানের হ্যাকার/প্রোগ্রামার হোন তাহলে আপনি অনেক ভাবেই বাংলাদেশ সরকারকে ধোকা দিতে পারবেন নিজেকে ফ্রি ল্যান্সার হিসাবে। যেমন:

  •  আপনার বড় ভাই বোন বা আত্মীয় স্বজন দেশের  বাহিরে থাকে এবং আপনি  তাদেরকে বলে কয়ে মার্কেটপ্লেসের ক্লায়েন্ট বানালেন এবং আপনি তাকে বাহিরে পেমেন্ট করলেন এবং সেই নামধারী ক্লায়েন্ট প্রয়োজনীয় অর্থগুলো আপনাকে মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে প্রদান করলো- যে কোন একটা কাজকে ফোকাস করে। এই চালাকি টা মার্কেটপ্লেসের সাথেও করা যায় অনায়াসে। মার্কেটপ্লেস প্রত্যেকটা কাজকেই ভেরিফাই করার কথা। সে ক্ষেত্রে আপনি রেগুলার নিয়মিত তার দেয়া কাজ করি তার কাছ থেকে পেমেন্ট নিলেন এবং মার্কেটপ্লেস কে ১০-২০% চার্জ দিলেন এবং বাংলাদেশ ব্যাংকে আইনা রেমিটেন্স জমা করলেন এবং লোকাল ব্যাংকে নিয়ে গেলেন। 
  • আপনার পরিচিত যারা দেশের বাহিরে থাকে বা অবস্থান করে বা নাগরিক- তাদের কারো না কারো সাথে আপনার বৈদিশিক মুদ্রার লেনাদেনা করার জন্য ইন্টারনেট ব্যাংককে ব্যবহার করলেন এবং সেটা আপনি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পারসোনাল ব্যাংক একাউন্টে নিয়ে যাইয়া পেমেন্ট তুলেও ফেলাইলেন আর সেটাকেও আপনি ফ্রি ল্যানসিং হিসাবে দেখিইয়া দিলেন। 
  • বাংলাদেশে বসে থেকেই আপনি ভালো হ্যাকিং জানার কারনে দুইটা কম্পিউটার ব্যবহার করে দুইটা ইন্টারনেট সিষ্টেম ব্যবহার করে একটা থেকে ক্লায়েন্ট একাউন্ট মেক করলেন এবং আরেকটা থেকে সেলার একাউন্ট মেক করলেন। ক্লায়েন্ট মেশিনে ভিপিএন ইউজ করে পতাকার রং ও পরিবর্তন করে নিলেন। আবার যে কোন একটা ইংরেজী নামও ব্যবহার করলেন কারন মার্কেটপ্লেস তো আপনার নামে বরাদ্দ হওয়া ক্রেডিট কার্ডের ইনফরমেশন কে দেখাবে না ইউজার ডিটিইলস এ। মার্কেটপ্লেস শুধূ দেখাবে- ক্লায়েন্ট কোন দেশ থেকে বা কোন দেশী ইউজার নেম আছে তাদের। সেই সাথে দেখাবে পতাকার রং। সেই ক্ষেত্রে তো আপনি ই  আপনার ক্লায়েন্ট হয়ে গেলেন। আপনি যদি বাংলাদেশ ছাড়া অন্য কোন দেশের নাগরিক হয়ে থাকেন এবং সেখানে আপনি যদি বাংলাদেশী কেডিট কার্ড  ব্যবহার করে থাকেন সেটা শুধু মার্কেটপ্লেস বা ক্রেডিট কার্ড পেমেন্ট কোম্পানীই জানতে পারবে। 
  • পরিকল্পিতভাবে কোন হ্যাকার টিমের সাথে কন্ট্রাক্ট করলেন আর তারা  আপনার ক্লায়েন্ট হয়ে আপনাকে নিয়মিত পে করা শুরু করলো মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে। আর সেখানে আপনি দেশ বরেন্য ফ্রি ল্যান্সার হয়ে গেলেন। 
  • (এজ ফর এক্সাম্পল) হ্যাকাররা যখণ কোন ওয়েবসাইট হ্যাক করে তখন তারা সাধারনত কিছু সুযোগ সুবিধা চায়। ওযেবসাইট মালিকেরা তাদের ওয়েবসাইট এবং ব্যবসাকে টিকাইয়া রাখার সুবিদার্থে অনেক সময় কিছু এক্সেস দেয়। একবার শূনেছিলাম যে স্বনামধন্য কিছু মার্কেটপ্লেস ভার্চুয়াল ক্রেডিট কার্ড নাম্বার ব্যবহার করার সুযোগ দেয় হ্যাকারদের (কোন ধরনের তথ্য প্রমান নাই আমার কাছে শুধু ইন্টারনেটে কারো না কারো কাছ থেকে শোনা)। আবার অনেক ভার্চুয়াল ক্রেডিট কার্ড ওয়েবসাইট আছে যারা ইন্টারনেটে ফুল  ফেইক ক্লায়েন্ট ডিটেইলস ব্যবহার করে থাকে। যেমন : আপনি কোন ওয়েবসাইট থেকে ভার্চুয়াল ক্রেডিট কার্ড কিনলেন আর সেটার সাথে আপনি  ইন্টারনেটে ব্যবহার করার জন্য (ওয়ান টাইম)  নাম , ঠিকানা, বয়স, জন্ম তারিখ, ফোন নাম্বার এবং আরো কিছু ডিটিইলস পাইয়া গেলেন। তারপরে আপনি সেগুলো ব্যবহার করে মার্কেটপ্লেসে ক্লাযেন্ট হিসাবে নিজেকে এনরোল করলেন এবং আপনার পরিকল্পনা মোতাবেক কিছু লোক কে পেমেন্ট দেয়া শুরু করলেন তাহলে সেটা ফ্রি ল্যান্সিং হবে না আর যাদেরকে করলেন তারাও ফ্রি ল্যান্সার হবে না কারন এইটা একটা ফেক ব্যাপার। 
  •  ইউএসএ কোম্পানী বানিয়েছে এই সকল কিছু- ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, টাচ ফোন অপারেটিং সিষ্টেম বা ইন্টারনেট- যাই বলেন না কেনো- এই সকল ব্যাপারে শুধু মাত্র ইউএসএ র কোম্পানী গুলো ই নিখুত এবং একুরেট তথ্য দিতে পারে এবং সেই মোতাবেকই আপনি বুঝতে পারবেন কারা অরিজিনাল ফ্রি ল্যান্সার।   
আরো অনেক হাজার হাজার স্বীকৃত বা অস্বীকৃত পন্থা আছে যেখানে খুব সহজেই ব্যাংকিং সিষ্টেমে রেমিটেন্স এড করে নিজেকে ফ্রি ল্যান্সার বলে ফেলানো যাবে- বাংলাদেশ সরকার বুঝতেই পারবে না। সরকার ফ্রি ল্যান্সারদের তালিকা বানাইতাছে ওকে- কিন্তু ফ্রি ল্যান্সারদেরকে লোন সুবিধা দেবেন- ব্যাপারটা ওকে নাই। কারন যে রেমিটেন্স উপার্জন করে তার তো লোন সুবিধা দরকার নাই। শুধূ মাত্র সরকার ঘোষিত তালিকাতে নিজের নাম থাকাটাই একটা সম্মানের ব্যাপার- এইখানে লোন সুবিধার দরকার নাই। রেমিটেন্স উৎপাদনকারী দেশের সরকারের কাছ থেকে লোন নিতাছে- ব্যাপারটা হাস্যকর। অন্য পেশার রেফারেন্সে বা কম্পিউটার আ ইন্টারনেটে প্রফেশনের উদ্যোক্তা হিসাবে লোন প্রদান ওকে আছে। 

ফ্রি ল্যান্সার দের সামাজিক মর্যাদা নাই এ কথা আমি বিশ্বাস করি না। ফ্রি ল্যান্সার রা রেমিটেন্স আনে এবং  যারা রেমিটেন্স আনে তারা দেশের এক নম্বর নাগরিক। বরঞ্চ বলতে পারেন যে এই দেশের রাজনৈতিক চোর ছ্যাচ্চড় বাটপারদের কোন সামাজিক মর্যাদা নাই কারন তারা প্রতিনিয়ত চুরি, রাহাজানি, দুর্নীতির মাধ্যমে  দেশে রাহাজানি করে যাইতাছে আর সাধারন মানুষের দুর্ভোগ বাড়তাছে - নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম চলে যাইতাছে ধরা ছোয়ার বাহিরে। 

পেমেন্ট গেটওয়ে (ফ্রি ল্যান্সারস/মার্কেটপ্লেসেজ)






সোশাল মিডিয়া থেকে সম্পর্ক ও সোশাল মিডিয়া হ্যারাজমেন্ট নিয়ে কিছূ কথা- দ্বিতীয় পর্ব।

কয়েকদিন আগে একজন তারকা বাংলাদেশের মিডিয়াতে অভিযোগ করেছেন যে- সোশাল মিডিয়া জগতে তাকে ভার্চুয়ালি ধর্ষন করা হয়েছে। এই ধরনের অভিযোগ বাংলাদেশে নতুন। উনার জ্ঞাতার্থে বলতে হয়ে যে- সোশাল মিডিয়া এবং ভার্চুয়াল ২ টা ভিন্ন জগত। সোশাল মিডিয়া থেকে মানুষ ভার্চুয়াল জগতে প্রবেশ করতে পারে। কিন্তু ভার্চুয়াল দুনিয়ার মুভমেন্ট এবং সোশাল মিডিয়ার মুভমেন্ট কিছুটা ভিন্নতা আছে। ভার্চুয়াল জগত টা অদৃশ্য সৃষ্টিকর্তা কন্ট্রোল করে বলে আমি জেনে এসেছি ছোটবেলা থেকেই। ভার্চুয়ালি যদি কেউ হ্যারাজমেন্ট হয় বা কষ্ট হয় তহালে তার ব্যাপারে খোদার কাছে অভিযোগ জানাতে হয় বলে শুনেছি কারন এইটা হয় বায়বীয় সিচুয়েশনে। আর যদি সোশাল মিডিয়া তে যদি কেউ আপনাকে ঝামেলা তে ফেলায় বা ঝামেলা তৈরী করে তাহলে তার ব্যাপারে আপনি ব্যবস্থা নিতে পারবেন কিন্তু সেটা সাথে সাথে- র‌্যাব এর ডিজিটাল আইসটি আইনে বা বাংলাদেশ পুলিশের সিআইড সেকসানে। তারপরেও একটা ঝামেলা থেকে যাবে কারন আপনি স্পেফিক্যালি জানেন না যে- সে কি হ্যাকার নাকি অন্য কেউ। অনলাইনে নির্দিষ্ট নীতিমালা না থাকার কারনে এবং এই সকল ব্যাপারে সঠিক ট্রাকিং না থাকার কারনে এখন পর্যন্ত অপরাধীরা পার পেয়ে যাইতাছে। যে ধরনের সফটওয়্যারে এই ব্যাপার গুলো ট্রাক করা যায় সেগুলোতে জেনুইন উইন্ডোজ থাকতে হবে এবং স্পেসিফিক ভ্যালিড আইপি এড্রেস ও থাকতে হবে। ইউরোপ আমেরিকাতে কেউ ডুপ্লিকেসি না করার কারনে কোথাও কোন অপরাধ সংঘটিত হলে পুলিশ তাৎক্ষিনিক ভাবে তার বিরুদ্বে এ্যাকশন নিতে পারে। তো আমাদের দেশেও যদি সেই ধরনের সুবিধা থাকতো তাহলে ও অনেক দূর আগাতে পারতো  অপরাধ নিয়ন্ত্রনকারী সংস্থা। 


একটি অপরাধ সংঘটিত হবার এক বছর পরে যদি  আপনি কোথাও কোন অভিযোগ নিয়ে যান তাহলে সেটার আর রেশ থাকে না। সে ব্যাপারে পুলিশ ও কখনো এগ্রেসিভ হবে না। তারা বলবে ব্যাপারটা পুরানো হয়ে গেছে। নতুন করে অপরাধীর বিরুদ্বে অভিযোগ গঠন করতে হবে। নতুন করে তাকে চোখে চোখে রাখতে হবে। মানুষেরে ভেতরে ঢুকে তারে অপরাধী বানানোর চেষ্টা করলও আইন দেখবে যে সে প্রাপ্তবয়স্ক ছিলো কিনা এবং সকল অপরাধ তার সামনে স্বজ্ঞানে হয়েছে কিনা? যদি উভয় পক্ষের সম্মতি থাকে তাহলে সেখানে কোর অপরাধ সংঘটিত হতে পারে না। সোশাল মিডিয়াতে যে কোন সময় যে কোন কিছু হয়ে যাইতে পারে পারহেপ্স প্রতি মুহুর্তেই সোশাল মিডিয়াতে ছেলে এবং মেয়েদের মাঝে মাঝে নতুন নতুন সম্পর্ক হইতাছে- ধরতে গেলে প্রতি সেকেন্ডেই। সারারাত কথা বলে সকাল বেলাতে দেখা করা বা একেবারে রুম ডেট করে ফেলা এখন খুব সাধারন বিষয়ে পরিনত হয়েছে। সোশাল মিডিয়া থেকে পরিচিত হবার পরে বাস্তবে যৌনকর্ম করে একজন আরেকজনকে ছেড়েও দিয়েছে- এগুলো এখন উঠতি বয়সের ছেলে মেয়েদের আলোচনার বিষয়। আপনি কোন ভাবেই তাদেরকে থামাতে বা কন্ট্রোল করতে পারবেন না। আপনি যদি তাকে জিজ্ঞাসা করেন এবং সে যদি আপনার কাছে অভিযোগ করে যে - একজন মানুষ সোশাল মিডিয়া থেকে হ্যারাজ হয়েছে তাহলে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী সেটার বিরুদ্বে তাৎক্ষনিক ভাবে এ্যাকশন নিতে পারবে। ইন্টারনেটে কোন অপরাধ সংঘটিত হবার পরে যদি আপনি র‌্যাব পুলিশকে জানান তাহলে তারা আপনাকে বাহবা দিবে এবং যদি আপনার ভ্যালিড জাতীয় পরিচয়পত্র থাকে তাহলে  তারা আপনার অভিযোগটা গ্রহন করবে। আর যদি আপনার কোন ভ্যালিড জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকে তাহলে আপনার অভিযোগের কোন দাম থাকবে না- বড়জোড় পুলিশ ব্যাপারটা খতাইয়া দেখতে পারে। এখন ইন্টারনেটে একটা প্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে একটা প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে সাথে ইন্টারনেট ডেটিং বা ঘনিষ্ট হলো আর আপনি সেটা জেনে পুলিশের কাছে বা আদালতের কাছে অভিযোগ করা শুরু করলেন তাহলে আদালত প্রথমেই বিষয়টাকে ফালতু হিসাবে কাউন্ট করবে। কারন অভিযোগ করার নিয়ম ভুক্তভোগীদের। যে কেউ যাইয়া যে কোন অভিযোগ করলে  কোন লাভ হবে না। কিছু কিছু স্পেফিসিক ব্যাপারে অভিযোগ জানাতে হয় সরাসরি ভুক্তভোগীদের। আর যদি প্রমান থাকে এখানে যে উভয়পক্ষ সমান ভাবে সোশাল মিডিয়া থেকে করাপ্টেড হয়েছে - তাহলে উল্টা তৃতীয় পক্ষের রিবুদ্বে মানহানি মামলা করা যাবে। 

সোশাল মিডিয়া থেকে অনেকে সম্পর্ক তৈরী করে ব্ল্যাকমেইল করে থাকে। বড়লোক দেখে মেয়েদেরকে টার্গেট করে সোশাল মিডিয়া থেকে বাস্তবে আইনা রিলেশেন তৈরী করে তাকে ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করতাছে এরকম বহু কাহিণী এখণ পত্র পত্রিকাতে শোনা যায়। কি জিনিস এই ইন্টারনেট। সুদূর ১৩০০০ কিলোমিটার দূর থেকে এস স্রেফ বাঙালীর মাথা খারাপ করে দেবার মতো অবস্থা। আবার অনেক ভালো ভালো বন্ধুত্ব ও হইতাছে। সবচেয়ে মজা লেগেছে- আমাদের দেশে ম্যাক্সিমাম রাজাকারেরা ইন্টারনেট ব্যবহার করে না মানে। আমি কয়েখজনকে চিনি ব্যক্তিগতভাবে- ফেস চেনা তারা কখনো নিজে মোবাইলে বা ল্যাপটপে বা ডেস্কটপে ইন্টারনেট ব্যবহার করে না। তাছাড়া তারা ব্যক্তিগতভাবে দেখলাম আমেরিকানদের কে অনেক ঘৃনা করে। কারন আমেরিকা ২০০১-২০০৬ সালে   সন্ত্রাসের  বিরুদ্বে যুদ্বে অংশ হিসাবে পা কিস্তানে অনেক পরিমান অপারেশন করে তাকে যাকে আল কায়েদা বিরোধী অপারেশনও বলা হয়ে থাকে। তালেবানা, আল কায়েদা সহ আরো অনেক শীর্ষ  সন্ত্রাষী কে চিরতরে নির্মুল করে তারা অনেক বাহবা কুড়িয়েছে। ২০০১ সালের এমন দিনে পা কিস্তানে/ আফগানিস্তানে বসবাস করা আল কায়েদার সহযোগিতায় নিউ ইয়র্ক শহরের টুইন টাওয়ারে আক্রমন করে এবং প্রায় ৩০০০ লোক মারা যায় তাৎক্ষকি ভাবে। শ্রদ্বা ভরে স্মরন করি তাদেরকে যাারা বিনা কারনে এরকম এক দিনে প্রান দিয়ে গেছে। অপরদিকে ইন্টারনেট আমেরিকা থেকে আসার কারনে এ দেশের দালাল/রাজাকার/এবং তাদের প্রজন্ম রা ইন্টারনেট কে অনেক ঘৃনা করে কারন তারাও (দালাল/রাজাকার/এবং তাদের প্রজন্ম) তো পা কিস্তান কে ভালোবাসে। দালাল/রাজাকার/এবং তাদের প্রজন্ম পা কিস্তানী হবার কারনে তারা অনেক সময় পা কিস্তানের  বিরুদ্বে আমেরিকার অপারেশন কে ঘৃনা করে নিয়মিত ইন্টারনেট ব্যবহার করে না। কতো বড় ঘাদ্দার, বাংলার বুকে দাড়িয়ে- বাংলাতে নি:শ্বাস নিয়ে পা কিস্তান কে ভালোবাসে আর বাংলা এবং আমেরিকাকে ঘৃনা করে। দালাল/রাজাকার/এবং তাদের প্রজন্মেএর দেশকে একসময় সন্ত্রাসের মুকুট বলা হতো বা টেরিরোষ্টান বলে ডাকা হতো। এখনো প্রচুর পরিমানে সন্ত্রাসী দল বর্তমান।   কিন্তু ইন্টারনেট থেকে যখন কোন সম্পর্ক দাড়া হয় বা বিয়ে শাদীর ব্যাপারে কথা হয় তখন তারা ঠিকই নাক গলায়। ইন্টারনেট সবার জন্যই প্রযোজ্য। রাজাকারদের ফাসির আইন কার্যকর হবে তাদের ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় কই? আমার বাবা- মা বৃদ্ব বয়ষ্ক, তারপরেও তারা সময় পাইলেই ইমু এবং ইউটিউবে নিউজ দেখে, সময় কাটায় এবং অনেক অজানা তথ্য জানতে পারে। মেন চাইলে বসে ধর্মীয় তেলাওয়াতও শুনে। প্রজন্ম দালাল রাজাকারকে এমনও বলতে শুনেছি যে- ইন্টারনেট কোথা থেকে এসেছে তা তারা জানে না। সেজন্য তারা ইন্টারনেট ব্যবহার করে না। পৃথিভতে আরো একটা গ্রুপ ইন্টারনেট ব্যবহার করে না বা দিন রাত ২৪ ঘন্টা ইন্টারনেটে থাকতে পছন্দ করে না- তারা বাই সেক্সুয়াল। তবে অনেক ক্ষেত্রে তারা অনেক পপুলার হবার কারনে বিশ্বের অনেক দেশে তাদেরকে দৈনিক ১৫ মিনিট সময় বেধে দেয়া হয় - তারা সেই ১৫ মিনিট সোশাল মিডিয়া দেখে বা চেক করে বা ডাটা বা তথ্য আপডেট করে। 

সৃষ্টিকর্তা ইনফিনিটিভ ক্ষমতাবান। তার ক্ষমতার কোন শেষ নাই। এ বিশ্বে অনেক কিছু আছে ইনফিনিটিভ পাওয়ার ধারন করে যেমন- সমুদের্র পানি আপন কখনো শেষ করতে পারবেন না গুনে। বাতাস- যা সারা বিশ্বে  ইনফিনিটিভ ক্ষমতা নিয়ে বয়ে যাইতাছে। আরো অনেক ভ্যাপার ষ্যাপার আছে যা ইনফিনিটি ধারন করে। ইন্টারনেটও একটা ইনফিনিটিভ ব্যাপার। এইখানে অনেক ধরনের ধর্মীয় আচার আচরন ও বিদ্যমান। অনেক ধর্ম নিয়ে ধর্ম বিশারদরা আলোচনা করে থাকে। সেজন্য অনেক সময় যারা নাস্তিক টাইপের বা অনেকখানে শুনেছি যারা বাই সেক্সুয়াল (তারা কিছুটা নাস্তিক টাইপের) তারা সবসময় ইন্টারনেট ব্যভহার করেত পারে না সুযোগ সুবিধা থাকা সত্ত্বেও। কারন এইটা একটা রিসোর্স আর এই রিসোর্স ব্যবহার করে অনেকেই অনেক ভালো আছে। ইন্টারনেটে অনেক ভালো ভালো কাজও হয়। 

সোশাল মিডিয়া তে মিস বিহেভ বা সামান্য মেলামেশাতে যদি আপনার মাথা ব্যথা করে তাহলে এডাল্ট ক্যাম ওয়ার্ল্ড  বা পর্নো জগতে ‍যারা প্রতিনিয়ত বাংলাদেশী মেয়েদের ফটো বা ভিডিও আপরোড করতাছে ন্যুড বা পর্নো টাইপের - তাদের বিরুদ্বে আগে এ্যাকশন নিতে হবে।  কারন তারা অভিযোগ ছাড়াই বাংলাদেশের আইন ভেংগে ফেলাইছে। সো তাদের বিরুদ্বে ডিজিটাল এবং বাস্তব এ্যাকশন নেওয়া উচিত কারন তারা প্রতিনিয়ত এডাল্ট সেকাসনে তাদের বেডরুমে সংঘটিত যৌনকর্মের ভিডিও আপলোড দিয়ে যাইতাছে এবং দেশের আইনের প্রতি বৃদ্বাংগুলি দেখাইয়া যাইতাছে। অনেকে আছে কোন ধরেনর প্রোগ্রামিং জানা ছাড়াই বা স্টাডি করা ছাড়াই জ্ঞান ফলারো শুরু করে। ব্যাঙ কে যদি আপনি পুকুর থেকে সাগরে ফালাইলে যে রকম খুশী হবে প।লাস লাফ পারবে সেরকম করা শুরু করে কিছু কিছু লোকজন। তােরা মনে করে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার তাদের কে কোন লিখিত বা প্রজ্ঞাপন আকারে কোন দ্বায়িত্ব দিয়ে দিছে ইন্টারনেটের ব্যাপারে নাক গলানোর জন্য বা যে কাউকে ইন্টারনেটে হ্যাক বা তথ্য পাচার বা আরো যা যা খাারপ কিছু আছে তা করার জণ্যই। পারলে আপার মুখের সামের বলে বসবে যে- তারাই জুভি ইন্টারনেট কন্ট্রোল করে। আজকে যদি সাগরের উচ্চতা কয়েক সেন্টিমিটার বেড়ে যায়  তাহলে যেভাবে জোয়ারের পানি বাংলাদেশের ভেতরে ডুকে ২০/২৫ জেলাকে প্ল্যাবিত করবে, ইন্টারনেটে ডাটা ব্যাংক বা তথ্য গতি তার চেয়ে ও জোড় গতিতে প্রবেশ করবে প্রতি সেকেন্ডে। এইটাকে কন্টো্রল করার মতো ক্ষমতা নাই বিশ্বের কারো। কিছু নিয়ম নীতি তৈরী করা যাইতে পারে যার আলোকে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাইতে পারে। যেমন - বিশ্বের অনেক জেলে (যে সকল জেলে ইন্টারপোলের কাভারে বা আন্তর্জাতিক মানে) যাার দীর্ঘ দিনের বন্দী সাধঅরন তাদের জন্য সপ্তাহে ১৫ মিনিট থেকে প্রায় ১ ঘন্টা সয়মকাল ইন্টারনেট ব্যভহারের জন্য বলে দেয়া আছে বা আইন করা আছে। বাংলাদেশের দুইটা জেলকে আন্তর্জাতিক মানের বলা যায়- ১) কেরানীগঞ্জ এবং ২) কাশিমপুর। 

আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে আমি ভলতে পারি ধর্মভিত্তিক মুসলিম বাংলাদেশে স্ট্রেইট সেক্সুয়াল অলিয়েন্টেশন ছাড়া আর কোন প্রকারের সেকসুয়াল অরিয়েন্টেশন কে এলাও করা হয় না। তো সেই ভাবে যদি এর মাঝে কেউ বাই টাইপের হয়ে থাকে গোপনে- তারা যেনো দৈনিক ১৫ মিনিট থেকে ১ ঘন্টাই ইন্টারনেট ব্যবহার করে। প্রাপ্ত বয়স্কে আই সেকসুয়াল প্রজন্ম কে আমি ব্যক্তিগতভাবে ঘৃনা করি ঠিক যে রকম ঘৃনা করি এ দেশের দালাল রাজাকার প্রজন্ম কে সেরকম। আমি ডেফিনিট শিওর- যারা বাই তারাও ঠিক মতো জয় বাংলাবলতে পারে না। সোশাল মিডিয়াতে তাদের এক্টিভিটিজ আছে অনেক। তাদের কারো সাথে যে কোন ধরনের সম্পর্কে জড়ানোর আগে খুবই সাবধান। আমি মনে করি প্রাপ্তবয়স্কে বাই সেকসুয়াল টাইপের মানুষজন বাংলাদেশে ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে হ্যারাজমেন্টও। 

জয় হোক শুভ বুদ্বির, জেয় হোক শুভ চেতনার। 



Thursday, September 10, 2020

সোশাল মিডিয়া থেকে সম্পর্ক ও সোশাল মিডিয়া হ্যারাজমেন্ট নিয়ে কিছূ কথা।

[লেখাটি শুধূমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য। আমার এই লেখাটি কাউকে উদ্দেশ্য করে লেখা হয় নাই তবে একদল খারাপ লোক যারা ইন্টারনেটে প্রতিনিয়ত কারন ছাড়াই গ্যানজাম করে তাদেরকে উদ্দেশ্য করে লেখা। লেখাগুলোর চরিত্র আপনি কারো সাথে মেলাবেন না এবং আপনার বাস্তব জীবনের সাথেও মেলাতে চেষ্টা করবেন না। ভালো লাগলে শেয়ার করবেন এবং কমেন্ট করে জানাবেন]


সোশাল মিডিয়া তে বাংলাদেশের অনেকেই প্রতিনিয়ত হ্যারাজ হয়।যেমন- আপনি ইন্টারনেট ব্যবহার করতে বসলেন কেউ আইসা আপনাকে থ্রেড দিলো যে কোন উপায়ে- মোবাইল বা বাসার ল্যান্ডলাইন, বা কোন আত্মীয় স্বজন মারফত বা ফেসবুক বা ইমেইল মারফত। আর আপনি ভয় পেয়ে বিগড়ে গেলেন। একইসাথে একটা অপূরনীয় ক্ষতিও হয়ে গেলো কারন আপনি হয়তো কোন দরকারি কাজে বসেছিলেন ইন্টারনেটে এবং আপনার মেজাজটা বিগড়ে যাওয়াতে আপনি অনেক কষ্ট পাইলেন। বাংলাদেশের ইন্টারনেটের জগতে অতি পন্ডিত কিছু লোকজন আছে যাদের নিজস্ব কোন জাতীয় পরিচয়পত্র নাই বা ইন্টারনেট ব্যবহারের যোগ্যতা নাই কিন্তু ইন্টারনেটে আইসা মানুষের খুটি নাটি বিষয় নিয়া নাড়াচাড়া করবে (বিশেষ করে তারতাদের ব্যাপারে কিছু পাইলে আর রেহাই নাই) এবং মানুষকে বিরক্ত করবে আর হ্যারাজমেন্ট করবে প্রতিনিয়ত। মনে করবে যে- সে খুব সেয়ানা আর বাকী সকলে ১০০% বোকা। এইভাবে তারা অনেক সময় অনেক মেয়ের অনেক ধরনের সর্বনাশ ও করে থাকে। যে কোন তথ্য বা মিডিয়া তে তথ্য পাইলেই মেয়েদেরকে কিডন্যাপ বা হ্যাক করার চেষ্টা করে থাকে। সাইকোলজিক্যালি কিডন্যাপ বা হ্যারাজমেন্ট করে থাকে অলওয়েজ। যে কোন ধরনরে চান্স পাইলেই তারা মেয়েদের কাছ থেকে সুযোগ সুবিধা নেবার চেষ্টা করে থাকে- এইটা তাদের নেচার। ইন্টারনেট একটি যোগাযোগের এবং সাম্পৃতিককালে বিনোদনেরও  মাধ্যম। ইন্টারনেটের কল্যানে অনেক সময় সহজে বন্ধুত্ব বা ফ্রেন্ডশীপ হয়ে যায় সম মন মানসিকতা সম্পন্ন ছেলে এবং মেয়ের মধ্যে। আর যারা হিংসুটে বা পারে না তারা চিন্তা করে যে কিভাবে কি হলো এবং শেষ পর্যন্ত কোন তাল গোল হয় না। ইন্টারনেটের কল্যানে হাজার হাজার জুটি এখন পরস্পরকে পছন্দ করে  বিয়ে করে সংসার করতাছে। হয়তো দেখা গেছে কোনো মেয়েকে এমন জটিল কোনো প্যাচে ফালানো হয়েছে গতানুগতিক সমাজ ব্যবস্থাকে ব্যবহার করে- তখন দেখা গেছে ভালো মন মানসিকতা সম্পন্ন মেয়েগুলো তাদের পছন্দ সই পাত্র খুজে বিয়ে করে সুখে শান্তিতে সংসার করতাছে। এসিড সন্ত্রাস বা ধর্ষন বলতে গেলে অনেকটা কমে গেছে ইন্টারনেটের কল্যানে পারস্পরিক আনডারস্টেন্ডিং থাকার কারনে - কিন্তু যেটা বেড়ে গেছে সেটা হচ্ছে পারস্পরিক সম্মতিতে যৌনকর্ম। সারা বিশ্বে যদি রেটিং করা হয় যে কারা কারা বা কোন কোন দেশ ইন্টারনেটে কে ফাকিং সোশাল মিডিয়া হিসাবে ব্যবহার করতাছে তাহলে নিশ্চিত বাংলাদেশের নামও পাওয়া যাবে। এ প্রসংগে একটা ঘটনা মনে পড়ে গেলো: 

কয়েক বছর আগে ফেসবুক ব্যবহার নিয়ে একটা গ্রুপের সাথে তুমুল ঝগড়া শুরু হলো। তারা বলতাছে ফেসবুক একটা ফাকবুক। আমি বলতাছে এইটা কিভাবে ফাকবুক হলো? তো উত্তরে বলতাছে- এইখানে সব মেয়েদের আকর্ষনীয় ছবি দেয়া থাকে যা দেখে অনেকেই ইণ্টারেষ্টেড হয় এবং তারপরে তারা বাস্তবে মিলন করে থাকে। আমি বললাম যাদের ছবি দেয়া আছে তারা কি প্রাপ্তবয়স্ক? বলতাছে যে হ্যা। প্রাপ্তবয়স্ক। তাহলে আপনার সমস্যা কি যদি কেউ কাউকে ফেসবুক ডট কম থেকে পছন্দ করে এবং বান্তব জীবনে মিলিত হয়। এইটা তো তাদের ব্যক্তিগত বিষয়। বাংলাদেশের আইনেও তো আছে- প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে এবং মেয়ে পারস্পরিক সম্মতিতে যে কোন খানে মিলিত হতে পারে।  তাহলে আপনাদের সমস্যা কোথায়? বলতাছে- এই মেয়েগুলো আগে রাস্তাতে ঘুরে বেড়াতো ফলে বখাটেদের অনেক সুবিধা হতো। কিন্তু এখন ফেসবুক ডট কম আসাতে তারা আর রাস্তা ঘাটে বখাটে দের সাথে কথাও বলে না আর তেমন ক্রাইম ও তৈরী করা যায় না আগের মতো। পরে বূঝতে পারলাম যে - তারা দেশবিরোধী প্রজন্ম যারা বাংলাদেশের মা বোনের ইজ্জত নিয়ে ছিনিমিনি খেলে। পরে আমি বললাম যে ভাই- রাস্তাতে তো কুত্তার জাত যারা তারা বসবসা করে আর যারা খুবই গরীব দুখী মানুষ (কপালদোষে- বাংলাদেশ ছাড়া বিশ্বের আর কোথাও এরকম কায়িক পরিশ্রম নাই) তারা খেটে খায়। নয়তো বর্তমানে কোন ভদ্র ঘরের  মেয়েই রাস্তা থেকে কারো সাথে কানেকটেড হয় না। সাথে আরো আছে- মোবাইল ফোন, নানা ধরনের এ্যাপস, হোয়াটস এ্যাপ, বিভার, বিগো, ইমু, টুইটার বা ইনষ্ট্রাগ্রাম বা আরো অনেক ধরনের সোশাল মিডিয়া ব্যবহার করে তারা এক অপরের সাথে কানেক্টেড হয়। তারপরে আইসা আরেকদিন বলতাছে ফেবুক ডট কম তো একটা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম- ফাক বা যৌন চাহিদা পূরন করার জন্য আপনারা অন্য আরেকটা ওয়েবসাইট মেক করে নেন। তো উত্তরে বললাম যে- আপনারা ই  না বললেনে যে ফেসবুক একটা ফাকবুক। তো দেখি আর কিছু বলতাছে না। তো কয়েকদিন পরে দেখি সত্যিই ফাকবুক ডট কম নামে আরো একটা ওয়েবসাইট ওপেন হয়েছে । যেখানে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে মাসে ৫ ডলার চার্জ দিয়ে ব্যবহার করতে হবে । বর্তমান সরকারের পর্নো ওয়েবসাইট বন্ধ করার সাথে সাথে সেগুলোও অফ করে রেখেছে। ভিপিএন ছাড়া সেই সকল ওয়েবসাইট দেখার কোন উপায় নাই। তো মনে মনে চিন্তা করলাম যে কি ধরনের হ্যাকার যে- সোশাল মিডিয়া থেকে গ্যানজাম করে ক্রেডিট কার্ড প্রসেসিং সহ একটা ওয়েবসাইট তৈরী করে ফেলাইছে যেখানে হয়তো বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টের কোন খোজ ই নাই (যদি বাংলাদেশীরা বা বাংলাদেশের ইন্টারনেট ব্যবহার  করে তৈরী করে থাকে)। 

তারপরে একা একা বসে ভাবতেছিলাম যে - ব্যাপারটা অনেকটাই সত্য। ফেসবুক থেকে আপনি রিয়েল লাইফে সেক্স করতে গেলে সোশাল মিডিয়া ল আপনাকে আটকাবে যদি মেয়ের সম্মতি না থাকে। মানে আমেরিকান ল  তে ফেসবুক কে সোশাল সেক্সের ওয়েবসাইট হিসাবে ব্যবহার করতে নিষেধ আছে। আর ফেসবুকে পুরোপুরি পর্ন ধরনের ওয়েবসাইট পাবলিশ ও করা যায় না। যদিও কখনো কোন মেয়ের সাথে কেউ গভীরতর সম্পর্কে লিপ্ত হয় তাহলে তারা সেখানে থেকে বের হয়ে যায়। ফেসবুকে কোটি কোটি গার্ল ফ্রেন্ড বা বয়ফ্রেন্ড এডাল্ট টাইপের কথা বলতাছে প্রতিনিয়ত যারা বাস্তবেও  গার্লফ্রেন্ড এবং বয়ফ্রেন্ড এবং এইটা একান্তই তাদের ব্যক্তিগত বিষয়। আবার অনেক সময় অনেকেই সরাসরি ফেসবুক থেকেই মজা করা শুরু করে এবং বাস্তব জীবনে তার একটা রুপ দেবার চেষ্টা করে। আবার এই সম্পর্ক গুলোর মধ্যে অনকেগুলো দাগ কেটে যাবার মতো। আগে যখন বাবা মারা ছেলে মেয়েদেরকে বাসা থেকে বের হয়ে একটু হাটাচড়া করতে দিতো আর এর মধ্যেই কোন মেয়ের হয়তো কোন রাজপুতের মতো ছেলেকে ভালো লেগে যেতো এখন সৃজনশীলতার পড়াশোনার চাপে ছেলে মেয়েদের হাতে সেই সময়টা কম। সো তারা সোশাল মিডিয়া থেকে ই পারস্পরিক ভাবে চেনাজানা এবং পরিচিত হতে পছন্দ করে। আগে যেখানে ছোট্টবেলার এক টুকোর প্রেমে একটু আবেগ থাকতো হাত ধরাতে বা জড়িয়ে ধরাতে সেটা এখন ইন্টারনেটে এস দাড়িয়েছে সেলফি বা ভিডিও চ্যাট বা একটু গভীরতর ভিডিও চ্যাট যা আজকালকার দুনিয়ার ইউটিউবে রচিত নাটকগুলোতেও অনেকটা খোলামেলা ভাবেই বলা হইতাছে।অনেক ভালো ভালো মেয়েকে দেখেছি ইনষ্ট্রাগ্রামে প্রোফাইল খুলে বলতাছে- ভাইয়া ফেসবুক আর ব্যভহার করার মতোন অবস্থা নাই- ছ্যাচড়াগুলোল অত্যাচারে প্রাইভেটে ইনষ্ট্রাগ্রাম ব্যবহার করতাছি। 

একটা ব্যাপার ততোক্ষন আপনি কন্ট্রোল করতে পারবেন না যতোক্ষন না এই ব্যাপারে কোন নীতিমালা তৈরী না হয়। সবচেয়ে মজা লেগেছে একটা ঘটনাতে- ২০০৯ সালে ফেসবুক থেকে পরিচিত হওয়া এক ছেলে এবং এক মেয়ে আশুলিয়াতে ঘুরতে যায়। সেখানে তারা পাশাপাশি বসে থাকা অবস্থায় একজন শিমেইল চলে আসে। যারা অনেকটা হিজড়াদের মতো বা সেই অন্যান্য ক্যাটাগরিতে বসবাস করে থাকে। সে আইসা সেখানে বলতাছে সে পুরুষ- কিন্তু তার বুকে স্তন আছে। ছেলেটি একটু হতভম্ব হয়ে গেলো। মেয়েটি বললো যে সে এই লোকাটাকে চেনে। এইটা সত্য। তুমি কিছু টাকা পয়সা দিয়ে দাও চলে যাবে। পরে ছেলেটা এবং মেয়েটা দুজনে মিলে কিছু টাকা পয়সা দিলো এবং সেই শিমেলটা চলে গেলো। তো ছেলেটার মনে একটা ভয় থেকে গেলো আর সে মাঝে মাঝে ভাবতো যে- বুকে স্তন আবার বলতাছে পুরুষ - এইটা কিভাবে সম্ভব। পরে বাংলাদেশে পর্নো সাইট ওপেন থাকার কারনে সে খুজে পেতে বের করে দেখলো যে - সারা বিশ্বে ই এক ধরনের বিকৃত মন মানসিতকার লোকজন আছে যারা নিজেদেরে জেন্ডার পরিবর্তন করে নেয় কারন তাদের স্কেসুয়াল অরিয়েন্টেশন ভিন্ন। সেই থেকে ছেলেটাকে ইন্টারনেটে যখনি কোন মেয়ে প্রস্তাব দিতো তখনি সে একটা কাজ করতো- সে মেয়েটাকে রিকুয়েস্ট করতো  তাকে ন্যুড শো করতে কারন আন্তর্জাতিক বিশ্বে এই ধরনের ওয়েবসাইট গুলো পুরোপুরি ওপেন। সেখানে ১৩ বছরের যে কোন মেয়ে ই ইন্টারনেটে ন্যুড শো বা ন্যূড ক্যামেরাতে ক্যাম মডেল হিসাবে কাজ করার সুয়োগ পায় এমনকি আমাদের দেশেও অনেক ধরনের বিজ্ঞাপন দেখা যায় এ সকল ব্যাপারে (ইন্টারনেটে বিভিন্ন ধরনের এ্যাপে)। আর এইটা এখন হেভিটুয়াটেড ব্যাপার আমাদের দেশের ইন্টারনেট সোসাইটিতে। প্রেমিক  প্রেমিকা ওয়েব ক্যামেরাতে একজন আরকেজনের সাথে ডিপলি ভাব বা আবেগ বিনিময় করতে পারে। প্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ে যদি প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলেকে ভালোবেসে ইন্টারনেটে এডাল্ট ক্যামেরা সাপোর্ট করে এরকম কোন এ্যাপে বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সবকিছূ খুলে দেখায় আর যদি বলে যে সে হিজড়া না বা শিমেল না তাহলে এইখানে ব্যাপারটা একেবারেই স্বাভাবিক। কিন্তু আপনি যদি কোন আইডিয়া করে এই ধরনের ব্যাপারে চিৎকার চেচামেচি করে থাকেন তাহলে তো লোকজন আপনাকে হিজড়া বা শিমেল বলবে কারন এইটা প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে মেয়েদের একান্ত গোপনীয় ব্যাপার। এই ব্যাপারে তা আপনি কখনো কোনো হ্যারাজমেন্টের মামলাও করতে পারবেন না কারন মেয়েটা প্রাপ্তবয়স্ক। আপনি যদি কোন মেয়েকে ব্ল্যাকমেইল করে থাকেন তাহলে মেয়ে আইনের আশ্রয় নিতে পারে কিন্তু আপনি যদি আদালতে যাইয়া বলেন- ইন্টারনেটে ওয়েব ক্যামেরাতে দুইটা ছেলে মেয়ে মাষ্টারবেশণ করেছে বা নত্ন অবস্থায় দেখা করেছে ওয়েব ক্যামেরাতে - তখন তো  আদালত বা আইন পুলিশ আপনাকে নিয়ে হাসাহাসি শুরু করবে কারন বাংলাদেশে এতো জটিল জটিল ব্যাপার কাজ করতাছে যে- র্রাব/পুলিশের এই সকল মাষ্টারবেশণ/ন্যুড ক্যামেরা টাইপ এর অভিযোগ কানে নেয়ার কোন সময় নাই। কোন মেয়ের সম্মান হালি হলো কিনা, কোন মেয়ে বাস্তবে রেপড হলো কিনা, কোন প্রেমিক তার প্রেমিকার বিরুদ্বে কোন ছবি ইন্টারনেটে পাবলিশ করে দিলো কিনা, কোন মেয়ের কোন আবেগী লেখা আপনি পাবলিশ করে দিলেন কিনা সেইগুলো হইতাছে বিচার আচারের বিষয়সম্পর্ক থাকাবস্থায় কোন ছেলে এবং মেয়ের সম্পর্ক কতোটা ডিপ ছিলো , তারা কি ধরনের বিহ্যাবিয়ার করতো বা তারা কি কি করেছে এইগুলো কথনো আদালন ভেবে দেখবে না। আদালত ভেলে দেখবে মিন্নীর মতো মেয়ে কিভাবে মার্ডার করেছে সিফাত ফরাজীকে পর্নো করার পরে ও বা এই ধরনের কাহিনীকে। কোন মেয়ে ইন্টারনেটে একটা সম্পর্কে  আছে- সে প্রাপ্তবয়স্ক আর সে কোনভাবেই  স্বজ্ঞানে স্বইচ্ছায় ছাড়া কোন কাজ ইন্টারনেটে করে নাই আর তার কোন অভিযোগও নাই তাহলে আপনি বা আপনারা কিভাবে সে ব্যাপারে বা ব্যাপারগুলোতে কথা বলবেন। তাহলে তো লোকজন বলবে আপনি হিজড়া। হিজড়ারা কিন্তু মানসিক ভাবেও হিজড়া শুধূ শারিরীক ভাবে না। তারা প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে এবং মেয়েদের সম্পর্ক কে ঘৃনা করে থাকে। কারন তারা মনোগত ভাবেও হিজড়া (আমি যতোটুকু অবলোকন করেছি আমার জীবনে)। তারপরে আবার যদি কখনো জানতে পারে কোন সম্পর্কের ব্যাপারে তাহলে সেটা রাষ্ট্র করে বেড়াবে। যদি ভালো মানুষ হয় তাহলে তারা দোয়া করবে যেনো প্রেমিক বা প্রেমিকারা সফল হয় কিন্তু যদি খারাপ মন মানসিকতার হয় তাহলে প্রথমেই সম্পর্কের বিরুদ্বে বলে উঠবে বা বলে বসবে। অথচ প্রাপ্তবয়স্কদের সম্পর্ক এই দুনিয়াতে ১০০% সাপোর্টেড। প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে বা মেয়ে পারস্পরিক সম্মতিতে যে কোন সময়ে যে কোন ব্যাপারে সিদ্বান্ত নেবার মতো  আইনগত অধিকার রাখে (যার প্রমান- লুকাইয়া বিয়ে করেছে বা পালাইয়া বিয়ে করেছে. বাবা মার আপত্তির মুখে আদালতের সামনে দাড়িয়ে প্রেমিকের পক্ষে অবস্থান নিছে এরকম হাজার হাজার কাহিনী আছে। আদালত মেয়ের পক্ষে রায় দিয়েছে কারন মেয়েটা প্রাপ্তবয়স্ক)। সারা বিশ্বের সব দেশে এডাল্ট ক্যামেরা ওয়েবসাইট গুলো ওপেন আছে। সেখানে যে কোন মেয়ে তার ঘরে বসে থেকেই মাসে ১০,০০০ ডলারের  মতোও উপার্জন করতাছে। আমাদের দেশেও সকল ধরনের ইন্টারনেট মিডিয়াতে এই ধরনের প্রচুর প্রচুর পরিমানে বিজ্ঞাপন দেখা যায়।  কিন্তু সম্প্রতি আমাদের দেশে সকল ধরনের পর্নো ওয়েবসাইট এবং এডাল্ট ক্যামেরা রিলেটেড ওয়েবাইট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।  এডাল্ট ক্যাম একটা ইন্ডাষ্ট্রিজ ও ছিলো কিন্তু আমাদের দেশে ধর্ম  মোতাবেক সেটা জায়েজ না। মুসলিম ধর্ম ্ডাল্ট ক্যাম ইন্ডাষ্ট্রিজ কে জায়েজ বলবে না কখনো । আমাদের দেশে যেমন খারাপ থেকে খারাপতর প্রজন্ম ও আছে তেমনি ভালো থেকে ভালো প্রজন্মও আছে। 

ইন্টারনেটে হ্যারাজমেন্ট বলা হবে তখনি যখন কোন মেয়ে আপনার বিরুদ্বে স্বহস্তে লিখিত ভাবে থানা পুলিশের কাছে বা কমুনিটি পুলিশের কাছে অভিযোগ দেবে। আর যদি সেটা কিছুদিন পুরাতন হয় তাহলে পুলিশও তেমন পাত্তা দিবে না।    এখন হয়তো আমি  কারো সাথে সম্পর্কে জড়ালাম আর আপনি কানা ঘূষা শুনে কিছু অভিযোগ দেয়া শুরু করলেন তাহলে তো সেটা কোন কাজে আসবে না। কারন অভিযোগ করতে বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের বৈধ জাতীয় পরিচয়পত্র লাগে। আপনার মনে চাইলো আর আপনি ইন্টারনেট থেকৈ গড়ে উঠা বন্ধুত্ব বা যে কোন প্রেমিক প্রেমিকার বিরুদ্বে অভিযোগ দিয়ে বসলেন- আপনার সেই অভিযোগ কোন ভিত্তি পাবে না কারন যিনি হ্যারাজমেন্ট হয়েছেন তিনি যদি কোন অভিযোগ না করেন তাহলে কোন কিছুই হবে না। এই সমাজে প্রতিনিয়ত কতো মেয়ে ধর্ষিত বা র‌্যাপ হইতাছে সেই সকল ব্যাপারেই এ দেশের মেয়েরা মান সম্মান হারানোর ভয়ে কোথাও কোন অভিযোগ করে না আর  এই দেশে কিছু অতি জ্ঞাণী গজাইয়া উঠেছে হ্যারাজমেন্ট রিলেটেড কথা বলতে। সত্যি বলতে কি- ভালোবেসে কোন মেয়ে যদি তার প্রেমিককে ইন্টারনেটে তার ন্যুড বডিও প্রদর্শন করে থাকে সেখানেও কোন হ্যারাজমেন্ট হবে না-  কারন এই ব্যাপারটা প্রেমিক এবং প্রেমিকার মধ্যে প্রাইভেট এবং সিক্রেট। আর এই ব্যাপারে যদি কেউ এ্যাকশন নিতে চায় সেটা নিতে পারবে শুধু সোশাল মিডিয়া বা রিলেটিড এ্যাপসগুলো। বাংলাদেশ তো আর সিলিকন ভ্যালি না যে তারা ইন্টারনেটের মালিক কিংবা সোশাল মিডিয়ার মালিকও না। আর হাজার হাজার কোটি কোটি মেয়ে বর্তমানে সোশাল মিডিয়া এ্যাপ ব্যবহার করে তার প্রেমিক বা হাজবেন্ড বা ভালোবাসার মানুষের সাথে ইন্টারনেট ওয়েব ক্যামেরা ব্যবহার করে একান্তে সময় কাটাইতাছে।  এইখানে যারা চিন্তা করে অন্য কিছু তাদেরকে মানুষ বলা যাবে না কারন এইটা সিক্সথ সেন্স বা কমন সেন্স এর ব্যাপার। আমার একটা ব্যক্তিগত রিসার্চে আমি দেখেছি- যারা টেষ্টটিউব প্রজন্ম (তাদের কে প্রথমে তো ইনসিমিনেশন করা হয় পুরুষ এবং মহিলার আলাদা বীর্য থেকে। যারা টেষ্টটিউব রিলেটেড ভিডিও দেখেছেন তারা ব্যাপারটা বুঝতে পারবেন। পুরুষ এবং মহিলার বীর্য  কে আলাদা ভাবে কালেকশন করে তারপরে ল্যাবরেটরি তে টেষ্টটিউব চাইল্ড তৈরী করা হয়)। একমাত্র তাদেরকেই দেখেছি মাষ্টারবেশন করেছে শুনলেই ক্ষেপে যায়। আর হিজড়া দেরকে দেখেছি ছেলে এবং মেয়ের বৈধ প্রেমের সম্পর্ক দেখলেই ক্ষেপে যায়। এই দুইটা ক্যারেকটারিষ্টিকস থেকে তাদেরকে মানুষ বলে মানা যায় না। মুসলমান ধর্মে অবৈধ যৌন সম্পর্ক ও নিষেধ বা বিবাহ বহির্ভূত যৌন সম্পর্ক ও নিষেধ। কিন্তু সেটা মানতাছে কয়জন? সম্পর্ককে যারা ঘৃনা করে তাদেরকেও মানুষ বলা যাবে না কখনো। 


সোশাল মিডিয়া থেকে কোটি কোটি বিবাহ সম্পন্ন হইতাছে। প্রতিনিয়ত ছেলে এবং মেয়ের মধ্যে সম্পর্ক তৈরী হইতাছে। এইটা এখন একটা স্বীকৃত মিডিয়া। ইন্টারনেটে ভালো মনের মানুষগুলোও অনেক সময় অনেক খানে হৃদ্যতার ছোয়া পায়। জীবনে চলার পথে তারা অনেকসময় অনেকধরনের মানুষের সাথে মনে চাইলেও মেলামেশা করতে পারে না। কারন সেরকম সুযোগ ও পাওয়া যায় না বা সে রকম সাহসও করে উঠতে পারে না।কিন্তু ইন্টারনেট মানুষকে সেই সুবিধা করে দিয়েছে। নিজ মনের মতো মানুষকে খুজে পাওয়া এবং সেই রকম মন মানসিকতা সম্পন্ন মানুষের সাথে আড্ডা দেয়া লাইফে অনেক ধরনের চার্ম তৈরী করে- অনেক কর্মস্পৃহা তৈরী করে। অনেক অজানা বিষয় কে জানার জণ্য প্রতিনিয়ত নতুন নতুন মানুষের সাথে বন্ধুত্ব করা একটা সাধারন ব্যাপার এখনকার দিনে। যতো বেশী যোগাযোগ ততো  বেশী বেনিফিট এখন কার দিনে। আমরা বলি যতো বেশী কানেক্ট ততো বেশী লাভবান। আমার একটা ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকৈ দেখেছি- আমার ক্লায়েন্টের সাথে আমাকে নিয়ে অনেক কুৎসা রটনা করতে কারন যে লোক এই কাজ করেছে আমি খেয়াল করে দেখছি সে মানুষের গোত্রের মধ্যে পড়ে না। আমি এপিআই ব্যবহার করে আমার ক্লায়েন্টের সাথে কানেক্টেড হয়েছি কিন্তু সে বিশ্বাস করে না যে- এপিআই এ জাভা স্ক্রিপ্ট লুপ বানানো যায় এবং তা দিয়ে প্রোগ্রামিং করে অনেক ধরনের ডেভেলপিং কাজ করা যায়। সেই সম্পর্ক টা সোশাল মিডিয়াতে বন্ধুত্ব আছে এবং একই সাথে সে আমার ফ্রিল্যানসিং জগতের ক্লায়েন্টও। 

সোশাল মিডিয়ার সম্পর্ক কে সারা বিশ্বের মিডিয়া স্বীকৃতি দেয়। এইখানে কোন ধরনের খারাপ মানুষের সাথে পরিচিত হইলেও তার সাথে কাটানো ভালো মূহুর্ত গুলো মনে রাখার মতো হয়ে যায়। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন মানুষের সাথে কানেক্টেড হবার মধ্যেই সোশাল মিডিয়ার প্রধান মজা। এইখানে কারো সাথে বন্ধুত্ব হবার পরে যদি সে ডাম্প ও করে তারপরেও তার সাথে কিছু মধুর ব্যাপার সারা জীবনের জন্য থেকে যাবে। যা অবসর সময়ে বসে বসে স্মরন করা যাবে কিন্তু দীর্ঘ নিশ্বাস ফালানো যাবে না কারন সোশাল মিডিয়ার সম্পর্কগুলোতে কখনো কেউ ডিসকানেক্টেড হয় না। সেখানে সবাই সবাইকে নক করার সুযোগ পায়। সো মনে চাইলেই বন্ধুর সাথে সারা জীবন কানেক্টেড থাকা যাবে। আমার সোশাল মিডিয়াতে যতো বন্ধু আছে আর যাদের সাথে আমার যতো ফিলিংস বিনিময় হয়েছে তাদের সকলের কথাই আমার মনে আছে। আমি মাঝে মাঝে বসে ভাবি যে- সৃষ্টিকর্তা আমাদের কি ফাটাফাটি এক নিয়ামত দিয়েছে ইন্টারনেটে- যার মাধ্যমে যে কোন দেশের যে কারো সাথে ফ্রেন্ডশীপ করা যাইতাছে। আর ন্দিুকেরা (যদিও তাদের সংখ্যা খুবই কম) হঠাৎই আপনাকে প্রশ্ন করে বসবে যে- আপনি ইন্টারনেট কোথা থেকে ব্যবহার করতাছেন বা কিভাবে ব্যবহার করতাছেন- বলে আপনাকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করবে। সে নিজে জানার চেষ্টা করবে না যে- ক্যালিফোর্নিয়া তে অবস্থিত সিলিকন ভ্যালিতে কি বা সেখানে কিভাবে ইন্টারনেট ডাউনলোড হইতাছে ব্রডব্যান্ড আকারে- এই সকল ব্যাপারে যদি সে নিজে জানার চেষ্টা করতো তাহলে সে কোন বোদারিং বিষয় হইতো না। আর নয়তো তারা ইন্টারনেটে এক ধরনের বোদারিং বিষয়। খোজ নিলে হয়তো দেখা যাবে তার নিজস্ব কোন সত্ত্বা নাই । তার বা তাদের কাজ হইতাছে খালি মানুষের ভুল ধরা। ভাবখানা এমন যে, তাদেরকে মনে হয় বাংলাদেশ সরকার আ ইউএসএ সরকার দ্বায়িত্ব দিছে ইন্টারনেটে কারো না কারো কোন না কোন ভুল ধরার জন্য।অথচ খুজলে কোন ধরনের ইন্টারনেট সোসাইটিতে তাদের নামও খুজে পাওয়া যাবে না।  কোন না কোন কারনে তারা ইন্টারনেটে নিজেদেরকে অনেক ক্ষমতাবান মনে করে। ইন্টারনেট একটা মহা সমুদ্রের মতো। এইটার কোন শেষ নাই। মহাসমুদ্রে যেমন বিশাল জাহাজ ও হারিয়ে যায়- তেমনি ইন্টারনেটে আপনার জ্ঞানের পরিধি ও কখনো শেষ হবে না।  সো এইখানে আপনি আর  আমি বা যে কেউ কোন ক্ষমতার বিষয় না। এইখানে ক্ষমতার কোন পরিধি নাই। আর যারা বোকা তারাই নিজেদেরকে ইন্টারনেটে - বিশেষ করে এই প্রচন্ড গতিশীল মিডিয়াতে নিজেদেরকে সামথিং মনে করে কিন্তু আদতে কিছুই না।

ইন্টারনেটে সোশাল মিডিয়াতে বা যে কোন উপায়ে কারো সাথে বন্ধুত্ব, প্রেম, ভালোবাসা তৈরী হলো- সেখানে সে আপনাকে বেশী পাত্তা না দিয়ে চলে গেলো বা ব্রেক আপ করলো বা আপনোকে কষ্ট দিলো- এইটা আদতে কোন হ্যারাজমেন্ট হিসাবে গন্য হবে না। হয়তো আপনি তাকে অভিশাপ দিতে পারেন। হয়তো সে আপনার জন্য যোগ্য ছিলো না কিন্তু তার কথা মনে রেখে যদি আপনি আপনার লাইফটাকে থামাইয়া রাখেন তাহলে আপনি আরো বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হবেন। আপনাকে আরো বেশী বেশী থেকে মানুষের সাথে সামাজিক যোগাযোগ বৃদ্বি করতে হবে যার সাথে আপনার মিলে বা যার প্রতি আপনার ভালো লাগা থাকে। সেইখানে যদি থেমে থাকা হয় তাহলে যেই সকল নিন্দুকেরা ঘুরে বেড়াবে আর চান্স নিবে। তাদেরকে কোন চান্স দেয়া যাবে না তাহলে সেটা গসিপের জন্ম দিবে- আর একবার যদি কেউ গসিপের মধ্যে পড়ে তাহলে আর লাইফে সেই গসিপের অবসান হবে না কারন কিছু কিছু মানুষই আছে প্যারাসাইটের মতো। তারা একবার যেটা পাবে সেটাকে লাইফ টাইম কামড়ে ধরে রাখবে আর আপনাকে হ্যারাজমেন্ট করার চেষ্টা করবে। সোশাল মিডিয়া বা অনলাইনে তেমন কোন হ্যারাজমেন্ট নাই এই বিশ্বে। তবে সোশাল মিডিয়া থেকে যদি আপনি বাস্তবে কাউকে পরিচিত হয়ে ঝামেলাতে ফেলান বা কিডন্যাপ করেন বা ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করেন তাহলে সেটা হ্যারাজমেন্ট আকারে ধরা দেবে। একজনের সাথে ইন্টারনেটে সোশাল মিডিয়াতে পরিচয় হলো। তাকে আপনি বাস্তবে ডেকে আনলেন এবং ব্যবহার করলেন তারপরে ছুড়ে ফেলে দিলেন- এইটা হ্যারাজমেন্ট এর পর্যায়ে পড়ে কারন এই ক্ষেত্রে এই অনভিপ্রেত পরিস্থিতির জন্য হয়তো ছুড়ে ফেলা মানুষটা তৈরী ছিলো না। এই ধরনের পরিস্থিতি- পরিচিত হয়ে বাস্তবে আসা আর বাস্তবে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া- শারিরীক এবং মানসিক ভাবে তাহলে তাকে হ্যারাজমেন্টর সংগায় সংগায়িত করতে পারেন। যেমন - স্ন্যাপচ্যাটে ঢুকলেই আপনি দেখবেন হাজার হাজার মেয়ে ন্যুড হয়ে আপনাকে এডাল্ট চ্যাটের জন্য আমন্ত্রনও জাানাইতাছে। স্ন্যাপচ্যাট এ্যাপ কিন্তু বাংলাদেশে ওপেন ও হয়। আর খুজলে অনেককেই পাওয়া যাবে  পরিচিত। যেহেতু এইটা বাংলাদেশে ওপেন হয় আর এইখানে কম বেশী ন্যুড চ্যাট করা যায় তাহলে তো বলতে হবে যে বাংলাদেশের ইন্টারনেট যারা কন্ট্রোল করে তারা আমাদেরকে এইখানে হ্যারাজ করতাছে। 

অনলাইনে হ্যারাজমেন্ট বলে কোন শব্দ চলে না। তবে অনলাইনে প্রতারনা বলে একটা শব্দ আছে যা চলে সারা দেশে। অনলাইনে প্রতারকরা অনেক ধূর্ত এবং অনেক শেয়ানা। তাই ইন্টারনেটে কোন মেয়ে কোন ছেলের সাথে চ্যাটা বা এডাল্ট চ্যাট বা ন্যুড চ্যাট করতাছে তা না খুজে বরঞ্চ  নতুন নতুন কিছু   জানার চেষ্টা করুন বা প্রতিণিয়ত ইন্টারনেট থেকে কিছু না কিছু শিখার চেষ্টা করেন, বা গান শোনেন বা মুভি দেখেন।  


  


Wednesday, September 9, 2020

আয়কর ও রেমিটেন্স একজন বাংলাদেশীর সাথে কি একসাথে কাজ করবে?

আয়কর এবং রেমিটেন্স দুইটা ভিন্ন জিনিস। আয়কর মানে হইতাছে- সহজ ভাষাতে যেটা বুঝি বাংলাদেশে আপনার যে উপার্জন তার উপরে সরকারকে একটা নির্দিষ্ট পরিমান কর দেয়া যা দিয়ে সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্টান বা উন্নয়নমূলক কার্যক্রম চলে। বেসিক্যালি সরকারের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম গুলো সাধারনত বিদেশী বা দাতা সংস্থার অর্থায়নে চলে যদিও সেই সকল বিদেশী বা দাতা সংস্থার কোন অর্থ কোথাও পুরোপুরি ভাবে কাজে লাগে কিনা তা এক সৃষ্টিকর্তাই জানে। এখন আপনি যে কর দিতাছেন আর পন্য কেনার জণ্য যে ভ্যাট দিতাছেন বা বসবাস করার জণ্য বা সরকারি সুবিধা ব্যবহার করার জন্য যে ট্যাক্স দিতাছেন তা দিয়েই সরকারি প্রতিষ্টানের কার্যক্রম চলে। যেমন বাংলাদেশের মানুষ যে ট্যাক্স বা কর দেয় তা দিয়ে সরকারের সরকারি  এবং সামরিক বাহিণীর লোকজনদের( সেনাবাহিণী, নৌবাহিণী, বিমানবাহিণী এবং বাংলাদেশ পুলিশ কিংবা র‌্যাব, প্রত্যেক সরকারি কর্মকর্তা- প্রত্যেক সচিবালয় বা মন্ত্রনালয়ের সচিব থেকে কর্মচারী পর্যন্ত,  শিক্ষা খাত বা সরকারি/পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক থেকে কর্মচারী পর্যন্ত, সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত যে কোন প্রতিষ্টান, সকল পাবলিক প্রতিষ্টান) এদের বেতন ভাতাদি চলে। আমরা যখণ প্রথম ফুলটাইম ফ্রি ল্যান্সিং করে থাকি বা শুরু করে থাকি তখন বলা হয়েছিলো যে- যারা রেমিটেন্স আনে তাদের কে আয়কর দেবার দরকার নাই কারন রেমিটেন্স বাংলাদেশ সরকারের জন্য গর্বজনক,  সারা বিশ্বের সাথে লেনাদেনাতে ব্যবহৃত হয়। যারা রেমিটেন্স আনে বা দেয় তারা বাংলাদেশের ১ নম্বর নাগরিক । এছাড়াও সাধারন জনগনের (দেশের বাহিরে যাবার জন্য ব্যাংক এনডোর্সমেন্ট বা দেশের সামগ্রিক ভোগ্য পন্য আমদানিতেও ব্যবহৃত হয়) বা আরো কিছু বিশেষ কার্যক্রমে ব্যবহৃত হয়। 



যারা রেমিটেন্স আনে তাদের মধ্যে আছে গার্মেন্টস  ওয়ার্কার রা, রপ্তানী, বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশী নাগরিক বা শ্রমিক সকল এবং বাংলাদেশী ফ্রি ল্যান্সার রা। বিগত কয়েক বছর যাবত বাংলাদেশী ঠিক ঠাক মতো আইডি কার্ড না দেবার কারনে (নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে ) বা অনলাইনের আইডি কার্ড বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস গ্রহন না করাতে আমাদের দেশের ফ্রি ল্যান্সার রা তাদের বাবা বা মায়ের আইডি কার্ড ব্যবহার করতাছে এবং তারা তাদের ফ্রি ল্যান্সার একাউন্টেও তাদের বাবা বা মা বা অন্য কারো যাদের ভ্যালিড আইডি কার্ড আছে- তাদের ছবি বা ডিটেইলস ব্যবহার করতাছে। আপনি যদি তাদের ফ্রি ল্যান্সার একাউন্টে ঢুকেন তাহলে তাদের একাউন্টে অন্য কারো আইডি কার্ড দেখতে পারবেন। এখন আপনি যদি আপনার বাবার আইড কার্ড ডিটেইলস ব্যবহার করে থোকেন আর সে হিসাবে যদি আপনি আপনার বাবার নামে ফ্রি ল্যান্সার প্রোফাইল মেক করে থাকেন তাহলে তো সেই একাউন্ট থেকে আপনি যতো পরিমান ডলার উপার্জন করতাছেন তা বাংলাদেশ ব্যাংক বা বাংলাদেশে ব্যবহৃত প্রাইভেট ব্যাংকে র ডে ডাটাবেজ লিখা আছে। মূলত রেমিটেন্সের সকল হিসাব বাংলাদেশ ব্যাংক রেখে দেয়। তাহলে রেমিটেন্স টি আপনার বাবা বা মা র নামে ইস্যু হইতাছে। তাহলে আপনার বাবা বা মা যে কর্মজীবি পুরুষ/মহিলা - উনি রেমিটেন্স ও দিতাছেন আবার আয়কর ও দিতাছেন তাহলে তো সরকারের কাছে দুই ধরনের হিসাব জমা হলো। একদিকে সরকার আপনার বাবার কাছ থেকে আয়কর নিতাছে বা ট্যাক্স নিতাছে আবার আরেকদিকে আপনার ব্যবহৃত ফ্রি ল্যান্সার প্রোফাইলে আপনার বাবার নাম দেখানোর কারনে সেটা আবার রেমিটেন্স ডিপার্টমেন্টেও দেখা যাইতাছে এবং আবার সরকার তাদেরকে ২% বোনাসও দিতাছে। এখণ আপনার বাবা মা যদি কর্ম  ছেড়ে দেয় তাহলে সরকার আয়কর হারাবে আর যদি ফ্রি ল্যানসিং ছেড়ে দেন তাহলে তো সরকার রেমিটেন্স হারালো। (অনলাইনে এখন অসংখ্য প্রমান আছে যে বৃদ্ব বয়স্ক অনেক মানুষ মার্কেটপ্লেসে ফ্রি ল্যানসিং করতাছেন, মার্কেটপ্লেস ওয়েবসাইটে ও ডাটাবেজে আছে আবার সরকারের কাছে থাকা ডাটাবেজেও আছে)।



সরকারের অনেক দপ্তরে নিয়ম আছে যে- আপনি সরকারি/বেসরকারি/স্বায়ত্বশাসিত/আধা সরকারি চাকুরী করাকালীণ সময়ে অণ্য কোন পেশায় নিজেকে ইনভলব করতে পারবেন না বা অনুমতি ছাড়া ইনভলব হতে পারবেন না। আবার অনেকে বেসরকারি অফিসেও একই কন্ডিশন দিয়ে থাকে চাকুরীর শুরুতে। তাহলে তো আপনার নামে রেমিটেন্স রেকর্ড থাকার কারনে আপনার বাব কিংবা মা চাকুরী হারাতে পারেন- কারন আপনি তো মার্কেটপ্লেসের মাধ্যেমে বৈদিশিক সরকারের কাছে নথিবদ্ব লাইক ইউএসএ বা অন্য যে কোন দেশ কারন আপনাকে তো  (W-8TEEN FORM) ফিলাপ করতে হয় এবং আপনি একইসাথে দুই সরকারের কাজ করে যাইতাছেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় বা সচিবালয়য়ের বা অধিদপ্তরের অনুমতি না নিয়ে । আবার আপনি আপনার বাবা কিংবা মায়ের ডিটেইলস ব্যবহার করার কারনে সরকারের আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিণী যদি আপনার ফুল ডিটেইলস চেক করতে বসে আর আপনার বাবা মাকে কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করে বা কিছু কাজ যদি করে দেখাতে বলে তখন কি আপনার মধ্যবয়স্ক বাবা কিংবা মা কি তা করে দেখাতে পারবে। তাহলে কি আপনি আইনগত জটিলতার দিকে ধাবিত হইতাছেন না? বর্তমানে প্রযুক্তি মন্ত্রনালয় এই দেশে যারা রেমিটেন্স এনেছেন তাদেরকে ফ্রি ল্যান্সার আইডি কার্ড  দেবার ব্যাপারে নীতিগত সিদ্বান্ত নিয়েছে। এখন যে সকল বাবা কিংবা মা কিংবা বড় ভাইরা প্রাইভেট চাকুরীও করতাছেন আবার রেমিটেন্স রেকর্ড ্ও এনেছেন ফ্রি ল্যানসিং সেকসানে তারা নিশ্চয়ই একটা বেছে নিবেন। আপনার ছেলে কিংবা মেয়ে যদি ভুল করে থাকে তাহলে হয়তো সরকার আপনাকে জরিমানা ধরতে পারে যদি আপনি আপনার চাকুরী বা ব্যবসা টিকাইয়া রাখতে চান বা সরকার হয়তো আপনাকে শো কজ ও করতে পারে। যে কোন ফ্রি ল্যান্সার বাংলাদেশে রেমিটেন্স এনেছেন তার রেকর্ড বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আছে  আর তার ডাটাবেজ ও দেয়া হয়ে গেছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের কাছে। আর যারা এখনো সঠিক তথ্য নিয়ে লেগে আছে তারা তো অতি পরিমান সৌভাগ্যবান। করোনার কারনে অনেক ফ্রি ল্যানসারই রেমিটেন্স আনতে পারতাছে না বিগত এক বছর  যাবত তবে তারা তো আগে প্রচুর পরিমানে রেমিটেন্স এনেছেন। বেসিক্যালি ব্যাংক টু ব্যাংক ফরেন ট্রান্সফার/ ফরেন সুইফট ট্রানজেকশনে কে রেমিটেন্স হিসাবে অভিহিত করা হয়। হয়তো বাংলাদেশ সরকার কোনটাই করলো না - কিন্তু আপনার প্রফেশন বিবেচিত হবে দুইটা। আর আপনি ব্যক্তিগত জীবনে সরকারের ডাটাবেজে শতভাগ সৎ থাকলেন না।  



আমার মনে হয় - এই থেমে থাকা পরিস্থিতিতে আপনি আমি সবাই এই জটিলতাটা নিয়ে ভাবতে পারি যে এইটা কি হবে বা ব্যাপারটার ডিটেইলস কি হবে ? তবে আরো একটা ব্যাপার মাথাতে রাখতে হবে- সম্প্রতি মালিকানা পরিবর্তন হওয়া পাইওনিয়ার- আমেরিকা থেকে ইউরোপিয়ান কোম্পানীর কাছে- তারাই প্রধান রেমিটেন্স সাপ্লায়ার (পাইওনিয়ার সাধারনত দুইটা ব্যাংক ব্যবহার করে মেইনলি - একটা ব্যাংক অফ আমেরিকা আরেকটা জার্মানীর ব্যাংক। এছাড়াও আরো ২/৩ টা দেশের ব্যাংক ডিটেিইলস ব্যবহার করে থাকে)। তাছাড়া সকল ধরনের রেমিটেন্স সাপ্লায়ার কোম্পানীর কাছে রেমিটেন্স রেকর্ড থাকার কারনে সচরাচর বাংলাদেশের বিভিন্ন পরিসংখ্যানে বিপুল সংখ্যক মানুষের ফেইক ডাটাবেজ তৈরী হওয়াতে তাদেরকেও গুনতে হতে পারে বড় অংকের জরিমানা বা বাংলাদেশ ও হারাতে পারে উল্লেখযোগ্য পরিমান বৈদিশিক বরাদ্দ। এক কথায় বাংলাদেশটাকে যারা ক্ষতির মুখে ঠেলে দিতাছে তাদেরকে আইডেন্টিফাই করে শাস্তিমুলক সমাধান নেয়া উচিত বলে আমি মনে করি। আমি ডলার  এক্সচেন্জ করে থাকি বা  রেমিটেন্স আনি বলে কখনো আয়কর দেই নাই আজ পর্যন্ত আমার ফ্রি ল্যান্সার লাইফে। আর আমি বিগত ৯বছর  যাবত যে মার্কেটপ্লেসে কাজ করে থাকি সেটাতে জাতীয় পরিচয়পত্র লাগে না- ভেরিফিকেশন ছাড়াই উপার্জন করা যায় আর শুধু মোবাইল নাম্বার দিয়ে ভেরিফাই করা যায় ইউজারনেম আ ই ডিটা। তবে মার্কেটপ্লেস থেকে উপার্জন উইথড্র করতে হলে আপনাকে অতি অবশ্যই আপনাকে ১৮+ নাগরিক হতে হবে, বৈধ ব্যাংক একাউন্ট থাকতে হবে এবং বৈধ পাইওনিয়ার বা পেল্যুশন (যেহেতু রেমিটেন্স উইথড্র দিতে হবে) একাউন্ট থাকতে হবে।আর যে সকল মার্কেটপ্লেস গুলো থেকে শুধু পেপাল ব্যবহার করে উইথড্র করা হয়েছে সেখানে বাংলাদেশ সরকারের বা ব্যাংকের কোন ক্ষতি হয় নাই। কিন্তু অপ্রাপ্তবয়স্ক হিসাবে যদি আপনি অন্যান্য ইন্টারনেট ব্যাংক একাউন্টে( স্ক্রিল/নেটেলার/ওয়েবামনি/পারফেক্টামানি বা গুগল পে) আপনার বাবা বা মায়ের নাম ব্যবহার করে থাকেন  তাহলে সে সকল ইন্টারনেট ব্যাংক একাউন্টে আপনার বাবা কিংবা মায়ের নামে অলরেডী ডাটাবেজ তৈরী হয়ে গেছে এবং আপনি যদি সেগুলো থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে উইথড্র দিয়ে থাকেন তাহলে সেই দেশের সরকার, ইন্টারনেট ব্যাংক একাউন্ট এবং বাংলাদেশের সরকারের কাছে তো আপনারা বাবা কিংবা মা কিংবা বড় ভাই এর নামে রেমিটেন্স রেকর্ড তৈরী হয়েছে।এখন তো সরকারের হিসাব মোতাবেক আপনার বাবা কিংবা মা কিংবা বড় ভাই যাদের নামে বিভিন্ন খানে রেমিটেন্স একাউন্ট মেক করেছেন তাদের নামে বাংলাদেশ সরকারের প্রযুক্তি মন্ত্রনালয় ফ্রি ল্যান্সার আইডি কার্ড ইস্যু করা হবে এবং হয়তো তাদেরকেই মন্ত্রনালয়ে যাইয়া সেই কার্ড সংগ্রহ  করতে হবে। আমি ২০১১ সাল এর পর থেকে সুদীর্ঘ সময় লোকাল বা ইন্টারন্যাশনাল পেপাল ডট কম ব্যবহার করেছি এবং বাংলাদেশে আমার যারা পরিচিত তারা পারস্পরিক লেনাদেনা করেছি বা যে সকল ভঢ় ভাই বোনেরা বিভিন্ন দেশের নাগরিক তাদেরকে পেপাল ডলার দিয়ে দিয়েছি এবং তারা তাদের ইউরোপ আমেরিকার বিভিন্ন ব্যাংক েএকাউন্টে সেগুলো উইথড্র করে নিয়েছেন এবং তাদের জীবন সংসার চালিয়ে গেছেন বা ব্যবসা পাতি করে গেছেন। পেপালের সাথে বাংলাদেশ ব্যাংকের সরাসরি কোন লেনাদেনা নাই মানে পেপাল বাংলাদেশ ব্যাংক এ কোন সার্ভিস লেনাদেনা করে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের রেমিটেন্স সেকসান ব্যভহার করি নাই পেপাল ডট কম ডলার লেনাদেনার ক্ষেত্রে। পেপাল সম্পর্কিত কোন ধরনরে লেনাদেনা আমার নামে রেকর্ড নাই বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোতে। তবে যাার পেপাল ডট কমের বিজনেস একাউন্ট তৈরী করে পাইওনিয়ার একাউন্টে দেয়া ব্যাংক ডিটেইলস ব্যবহার কের ব্যাংক অফ আমেরিকার মাধ্যমে বা জার্মানীর কারনে ভেরিফাই হয়েছে আর বাংলাদেশ ব্যাংকে লেনাদেনা করেছে তাদের ফিনান্সিয়াল ডাটাবেজে- পেপাল থেকে পাইওনিয়ার এবং পাইওনিয়ার থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে যদি রেমিটেন্স লেনাদেনা করে থাকে আর পাইওনিয়ার যদি সকল রেফারেন্স দিয়ে থাকে তাহলে সেটাও ঝামেলা হিসাবে বিবেচিত হতে পারে কারন সুইফট বা ইটিএস এর কারনে (ETS- Electronics Transaction System ) অনেক সময় ট্রানজেকশন অটোমেটিক হতে পারে তখন - আমেরিকা সেটা টের না পাওয়া পর্যন্ত বন্ধ হবে না। এখন সাম্প্রতিককালে দেখেছি অনেকটাই বন্ধ দেখায় বা কাজ করে না পেপালের সাথে পাইওনিয়ার এর লেনাদেনাতে। স্বয়ং আমেরিকান পেপালের সাথে আমেরিকান পাইওনিয়ারের ভেরিফিকেশনও এখন আর নিতাছে না।



বাংলাদেশ বা বাংলাদেশী দুটো ব্যাপারই ভালো থাকুক। 

সোশাল মিডিয়া/ওয়েবসাইট/ইন্টারনেট/মার্কেটপ্লেস প্রোফাইল রিপোর্ট/ইমেইল রিপোর্ট বলতে কি বোঝেন?

[গল্পটি একটা কল্পকাহিণীর উপরে ভিত্তি করে লেখা। এর সাথে বাস্তবতার কোন মিল  নাই  বা খুজতে যাবেনও না। ] 

ধরেন- ঢাকা শহরের সাংবাদিকদের জন্য বাংলাদেশ সরকারের একটা জায়গা বরাদ্দ আছে প্রায় ২৫০০ একর। আপনি স্থানীয় ভাবে নিজেকে অনেক ক্ষমতাবান মনে করেন কিন্তু বাস্তবে আপনার তেমন কোন ভ্যালিডিটি নাই- আপনার নিজস্ব কোন জাতীয় পরিচয়পত্র নাই এবং আপনি কয়েকবার জেল রিমান্ড খেটে এসেছেন এবং দেশের বিভিন্ন খান থেকে সাধারন মানুষের কাছ থেকে জোর পূর্বক টাকা আদায় বা চাদাবাজি করে থাকতেন বা করার চেষ্টা করতেন। এককথায় আপনি মানুষ হিসাবে খারাপ। আরো অনেক ধরনের খারাপ কাজ নিয়মতি করে যাইতাছেন। এখন আপনার এই সকল কার্যাবলী নিয়ে আপনার বিরুদ্বে টিভি সাংবাদিক একটা রিপোর্ট তৈরী করতে গেছে। আপনি অশিক্ষিত বিধায় আপনি বুঝতে পারতাছেন না যে  রিপোর্ট মানে কি?। কারন আপনি বাংলা বা ইংরেজী লিখতে বা পড়তে পারেন না শুধু বাংলা বলতে পারেন। এখন এই ব্যাপারটা বাংলাদেশের কেউ না জানার কারনে আপনি নিজেকে অনেক পপুলার বলে মনে করেন। কিন্তু খোজ নিলে জানা যাবে যে- বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা বা বাংলাদেশ সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ব্যাপারটা জেনে গেছে যে আপনি এদেশের একজন অবৈধ নাগরিক এবং আপনি যে শার্ট প্যান্ট পড়ে ঘুরেন সেরকম কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা ও বাংলাদেশে বা এশিয়াতে খুজে পাওয়া যাইতাছে না। এখন এই সকল ব্যাপার স্যাপার নিয়ে টিভির সাংবাদিকরা আপনার দখল করা সাংবাদিক কোয়ার্টারের জায়গা টা নিয়ে রিপোর্ট করতে গেলো। টিভি সাংবাদিক রিপোর্ট মানে যে কোন একটা বিষয় নিয়ে প্রতিবেদন তৈরী করা। তো আপনি সেই সাংবাদিক কে ধরে মাইরা লাগানো শুরু করলেন এবং জিজ্ঞাসা করলেন যে কি ব্যাপার? কিসের জন্য এই রিপোর্ট। সাংবাদিকের সহজ সরল উত্তর : বাংলাদেশ সরকারের দেয়া একটা ২৫০০ একর জায়গাকে আপনি বস্তি  বানাইয়া রেখেছেন এবং আপনি প্রতি মাসে বস্তির মাসোয়ারা গুনতাছেন আর স্থানীয় এম পি আপনাকে সাহায্য করতাছে। কারন কি? তখন আপনি উত্তর দিলেন- এইটা আপনার ক্ষমতা। তখন আপনি সাংবাদিকে কে গায়েব করে দিলেন বা মেরে কবর দিয়ে দিলেন এবং আপনি আর তাকে ফিরে যাইতে দিলেন না বা সাংবাদিক মাইর খেয়ে খেয়ে কোন রকমে তার অফিসে যাইয়া সব কথা খুলে বললো এবং সে বললো যে রিপোর্ট করতে পারে নাই বা এই এই অংশটুকু রেকর্ড করতে পেরেছি যার উপরে ভিত্তি করে একটা রিপোর্ট তৈরী করা হলো- এখানে রিপোর্টের মানে হইতাছে প্রতিবেদন তৈরী করা। আপনি যদি গগুল ডট কম ট্রান্সলেটর এর সাহায্য নেন তখন আপনি দেখতে পারবেন রিপোর্ট মানে প্রতিবেদন তৈরী করা। 



এখন আপনি অশিক্ষিত এবং নিরক্ষর হবার কারনে আপনি একুরেটলি রিপোর্ট এর মানে বুঝতে পারতাছেন না। আপনি মনে করতাছেন যে- রিপোর্ট করার কারনে আপনরা দখলকৃত বস্তি আপনি হারিয়ে ফেলবেন আর সারা ঢাকা শহর জুড়ে ইয়াবার ব্যবসা করতে পারবেন না আর বাংলাদেশী না হবার কারনে বহির্দেশে সন্ত্রাসে অর্থায়ন করতে পারবেন না - বাংলাদেশের সকলেই জানে যে বাংলাদেশের উপরে সন্ত্রাসের ঝুকি ছিলো। আপনি ফ্ল্যাট খালি পাইলেই ইয়াবা বানানোর বা ইয়াবার ডায়াস বানানোর চেষ্টা করেন বা বসানোর চেষ্টা করেন আর নানা প্রকার দ্রব্যাদি মিক্স করে ঢাকা শহরের তরুন প্রজন্ম কে মারার ধান্ধা করতাছেন (বর্তমান আইনে আছে- ইয়াবা সেবনকারী এবং ইয়াবা পাচারকারী, প্রস্ততকারক- সবার জন্যই সবে্‌বার্চ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড)। তরুন প্রজন্ম হয়তো জানে ই না যে- শুধূ ইয়াবার ফ্লেবার টা আসতাছে চট্রগ্রাম বা সীমান্তবর্তী ইয়াংগুন থেকে বা রেংগুন থেকে এবং আপনি শুধ ফ্লেভার দিয়ে ভেতরে দিতাছেন আলকাতরা শুকনো গুড়ো, বা কালো রংয়ের রং, গুল বা ক্ষেত্রবিশেষে এমন কিছু প্রোডাক্ট যাতে তরুন প্রজন্ম মইরা যায়- মূলত ইয়াবা তো বানানো হয় আফগানিস্তানে পপি ফ্লাওয়ার থেকে একটা বিশেষ প্রক্রিয়ায় এবং অথবা আফিমও বানানো হয় যেখানে মরন নেশার চেয়ে বেশী প্রাধান্য দেয়া হয় যেনো তরুন প্রজন্ম মজা করে থাকে বা  আফ্রিকার ভেতরে যারা শ্রমিক ২/৩ দিন মাটির তলে নেমে স্বর্ন খুজে বের করে তাদের জন্য। তো যে বস্তিতে আপনি এই ধরনের খারাপ কাজ করতাছেন তার বিরুদ্বে রিপোর্ট  তৈরী করা আইনত যুক্তিসংগত। কিন্তু আপনি মনে করতাছেন যে - ব্যাপারটা যুক্তিসংগত না। এই ভেবে আপনি নিজে জিদ করে বাংলাদেশে যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করে তাদের একাউন্টে রিপোর্ট  করা শুরু করলেন (কারন আপনি হয়তো বুঝতেই পারতাছেন না যে- সোশাল মিডিয়া/ওয়েবসাইট/ইন্টারনেট/মার্কেটপ্লেস প্রোফাইল রিপোর্ট/ইমেইল রিপোর্ট মানে একাউন্টের ক্ষতি) । সমানেই যার যার একাউন্ট পাচ্ছেন তার তার একাউন্ট ই আপনি রিপোর্ট করতে শুরু করলেন। আর বাংলাদেশে একটা  ইন্টারনেটে ১০/১২ লাখ লোকের একটা কম্যুনিটি বানিয়ে নিজেকে হেন তেন ফেন- ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট জাতীয় কিছু মনে করে সমানেই দরকারি দরকারি একাউন্ট গুলোতে রিপোর্ট করা শুরু করলেন। 


শাহবাগে অনুষ্টিত জয় বাংলার গনজাগরনের কারনে (যারা জয় বাংলার গর্জন শুনেছে আর সোশাল মিডিয়াতে তাৎক্ষনিকভাবে সারা দুনিয়াতে ছড়াইয়া দিছে) সারা বিশ্বে অনেকেই যারা করাপ্টেড, যারা কালো টাকা  বা ডলার খেয়েছে তাদের অনেকেই ভয় পায় আর ইউএস এর ভেতরে একসাথে কেউ কোন ব্যাপারে যদি রিপোর্ট পায় কয়েক লাখ -তাহলে তারা ভয়েই অনেক সময় অনেক কিছু ডিলেট করে দেয় যে কোথাও যেনো কেউ মারা বা হত্যা না হয় । তারপরে  আমরা যারা সুদীর্ঘ  সময় ধরে ইন্টারনেটে কাজ করে যাইতাছি  সে রকম সবাই/দেশের সবাই মিলে ফরেনারদেরকে এবং তাদের কোম্পানীদেরকে  বুঝাতে সক্ষম হয়েছি যে যারা রিপোর্ট করতাছে তারা বাংলাদেশের নাগরিক না- তাদের পারসোনাল কোন আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার নাই বাংলাদেশে (তারা জানে না রিপোর্ট এর মানে কি? তারা অশিক্ষিত। তাদের নিজস্ব কোন জাতীয় পরিচয়পত্র নাই। তারা এক ধরনের অশিক্ষিত। তারা এক ধরনের ফেইক ব্যবহারকারী। তাদের নিজস্ব কোন স্বত্ত্বা নাই। তাদের নিজস্ব কোন মোবাইল নাম্বার নাই। তাদের নিজস্ব কোন জায়গা জমি নাই। তারা এক ধরনের ছত্রছায়ায় থেকে আমাদের দেশে বসবাস করে আমাদের দেশের ছেলে পেলে দের ইন্টারনেটে ক্ষতি করে যাইতাছে। অনেক পরিমান একাউন্ট হ্যাক করে যাইতাছে। তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতার কোন ভ্যালিড সার্টিফিকেট নাই।  তারা রাজধানী শহরে বসবাস করলেও বাংলাদেশ সরকারের আইন বা পুলিশ ভাড়াটিয়া আইনে আনভেরিফায়েড। সো তাদের রিপোর্টে কোন দাম নাই কারন তাদের উইন্ডোজ ডুপ্লিকেট, তারা ডুপ্লিকেট ্ইউজার, তাদের ইন্টারনেট কানকেশন ও বৈধ না। তো তাদের ইন্টারনেট ব্যবহারের উপর কোন দাম নাই। তো একটা সোশাল মিডিয়া থেকে জানানো  হলো যে- তারা একটা কম্যুনিটি গঠন করেছে। যেহেতু তারা বাংলাদেশ সরকারের লিপিবদ্ব আই এসপি গুলোর কাছ থেকে  ইন্টারনেট কানেকশন পাইতাছে (পারলে তোমরা তাদেরকে আইএসপি থেকে ডিসকানেক্ট করে দাও) সো তাদের রিপোর্টকে মূল্যায়ন করা হবে যেনো তারা এই দেশের বিরুদ্বে কোন গ্যানজাম না লাগাতে পারে। আর অন্যান্য সোশাল মিডিয়া বা ওয়েবসাইট অনাররা বললো- যে দেশের নাগরিক সেই দেশের ব্যাপারে যদি রিপোর্ট করে আর রিপোর্ট টা যদি অথেনটিক হয় তাহলে দেখা হবে। তবে সত ব্যবহারকারীরা যেনো কোন ক্ষতিগ্রস্থ না হয়ে সেদিকে তারা ১০০% খেয়াল করবে। আর মার্কেটপ্লেস গুলোকে জানানোর ফলে বলতাছে-তুমি সম্মানিত ইউজার। তোমার কারনে আমি ১০% বেনিফিট পেয়ে থাকি। তোমার বিরুদ্বে যদি ১০০ কোটি মানুষ ও রিপোর্ট দেয় তাও কোন সমস্যা নাই কারন তোমার কাছ থেকে আমরা লাভবান হইতাছি। এইখানে কেউ যদি বিনা কারনে রিপোটিং করে তাহলে তাকেই ডিলেট করে দেয়া হবে। 

আসলে এইখানে যেটা বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে যে- টিভিতে যে সাংবাদিক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে সে ছিলো সত। তার দখল করা জমি নিয়ে সে  রিপোর্ট করেছে এবং সেটা বাংলাদেশের আইনজীবিরা নোট করেছে এবং সেটা  একসময় দখল মুক্ত হয়ে যাবে। আর বাস্তবে ইন্টারনেটে -সোশাল মিডিয়া/ওয়েবসাইট/ইন্টারনেট/মার্কেটপ্লেস প্রোফাইল রিপোর্ট/ইমেইল নিয়ে যদি আপনি  রিপোর্ট  করেন তাহলে যেখানে রিপোর্ট করতাছেন সেখানে তারা বলবে- ভালো একটা ছেলের বিরুদ্বে লেগেছে। এইখানে রিপোর্ট বলতে ক্ষতি বোঝানো হয়। তবে বিনা কারনে যদি আপনি রিপোর্ট করেন তাহলে যার কোম্পানী সে বলবে যে তাকে আরো বেশী ব্যাক আপ দিতে হবে আর কখনোই সেটা ডিলেট হবে না। অপরদিকে যে ইন্টারনেট, যে কম্পিউটার , যে ডিভাইস, যে একাউন্ট , যে ইউজারনেম ব্যবহার করে রিপোর্ট করা হইতাছে সেগুলো নিয়ে প্রতিবেদন তৈরী করে বরঞ্চ আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিণীর নিকট হয়তো আমেরিকান বা ইউরোপিয়ান কোম্পানীগুলো যে কোন সময়ে দিয়ে দিতে পারে - যারা হয়তো একসময় ক্রসফায়ারে পইড়া মইরা ও যাইতে পারে বা যাবে। (কারন  বিগত দিনগুলোর অভিজ্ঞতায় দেখেছি বাংলাদেশ পুলিশের ধর্ম ক্রসফায়ার করে বা গুলি করে মাইরা সমস্যা একবারে উপড়ে ফেলানো) একটা জিনিস মনে রাখা দরকার- কম্পিউটার, ইন্টারনেট এইগুলো সবই তো ইউএসএর  তৈরী করা। সো এইখানে বাংলাদেশে ইন্টারনেটে বসে আপনি যতোই শেয়ানা হোন না কেনো- ইউএসএ  সাইডে তো ঠিকই রেকর্ড হইতাছে যে কে কোন কম্পিউটারে বসে বা কোন আইএসপি ব্যবহার করে দুই নাম্বারি কাজ কারবার করে যাইতাছেন। একদিন হয়তো সবকিছুরই বিচার হবে। আপনি যদি বলেন যে- একদিন আপনাকে খুজে পাওয়া যাবে না কিন্তু আপনাকে যে বা যারা সাহায্য করতাছে তাদের রেকর্ড ও তো থাকবে আর উপরে তো আছে সসার বা স্যাটেলাইট যা দিয়ে গুগল আর্থের মতো বিশ্বের সকল খানে প্রতি সেকেন্ড কে কোথায় কি করতাছে তা রেকর্ড করে যাইতাছে আর ইউএসএ বা সারা বিশ্বের গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনের জন্য তো একবারেই সহজ দুয়ে দুয়ে চার মিলানো। [এইখানে গল্পের শেষ]

ঘটনা বা কাহিনীটার দ্বারা বোঝানো হয়েছে যে- ইন্টারনেটে অযথা রিপোর্ট করলে মানুষের ক্ষতি হতে পারে। সো যাদের ক্ষতি হইতাছে তারা নিশ্চয়ই আর কোনদিন সেই রিপোর্টারদেরকে সম্মান করবে না বরঞ্চ পারলে মাইরা ফেলানোর চেষ্টা  করবে। কারন একেকটা  সোশাল মিডিয়া একাউন্ট যে এককজনের জন্য কতো দামী তা আর বোঝানো যাবে না কাউকে যদি আপনি মানুষ না হোন। (সারা জীবনের হারানো বন্ধু যদি ইন্টারনেটে আমার সোশাল একাউন্টে এড থাকে আর আপনি যদি সেই একাউন্ট হ্যাক বা ডিলেট করে থাকেন তাহলে আমার কতোটা কষ্ট হতে পারে) শুনেছি শো বিজ জগতে - ২০১৩/১৪ সালে একসাথে অনেক তারকার সোশাল মিডিয়া একাউন্ট ডিলেট করে দেয়া হয় যা সোশাল হ্যাক নামে পরিচিত বাংলাদেশে- কিন্তু ব্যাপারটা আমার কাছে যা মনে হয়েছিলো কম্যুনিটি রিপোর্টিং সম্ভবত । গনজাগরনের আন্দোলনের কারনে বা গনজাগরনের গর্জনে ফেসবুক অনেক সময় কিছুটা ভয় পায় সম্ভবত বাংলাদেশের ইন্টারনেট জগতটাকে- তারা মনে করে যদি আবারো  গনজাগরনের অংশগ্রহনরত কোন মানুষ মারা যায়- সেই জন্য রিস্ক না নিয়ে তারা সেই একাউন্ট বা পোষ্টিং টা ডিলেট করে দেয়- এইটা আমার ধারনা। আমার অনেক পোষ্ট ও প্রায়শই ডিলেট হয়ে যায় আর তারপরে রিপোর্ট আপডেট আসে- কম্যুনিটি রিপোর্টিং। ভালো করে এনালাইসি করে বুঝি যে- বাংলাদেশ থেকে কয়েক লাখ লোক তাদের নিজস্ব ফেসবুক একাউন্ট থেকে হঠাৎ করে রিপোর্ট দেয়া শুরু করে ফলে ফেসবুক সেটা ডিলেট করে দেয়। ব্যাপারটা কষ্টদায়ক।  
কিছু কিছু রিপোর্ট আছে যা কোন কাজেই দেয় না। কথাগুলো লেখলাম বাংলাদেশে একটা রিপোটিং গ্রপ আছে যাদের কাজ হইতাছে খালি ইন্টারনেটে রিপোর্টিং করা কিন্তু সেটা যে মানুষের অনেক ক্ষতি করে তা আর তাদের বোঝানোর কোন উপায় নাই। কারন আমরা সকলেই জানি- :অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী, জুতারে কয় আলমারি”। 

তো ভাই আপনি যতো বড়ো ধুরই হোন না কেনো- বাংলাদেশ সরকারের প্রযুক্ত মন্ত্রনালয়ের তালিকাভুক্ত আইএসপি এর ইন্টারনেট ব্যবহার করে বসে বসে রিপোর্টিং কইরেন না কারন শকুনের বদ দোয়াতে তো আর গরু মরে না - তা শুকন যতোই ক্ষুধার্ত থাকুক। আর সারা বাংলার সাধারন মানুষদের কোন ধরনের ক্ষতি করার চেষ্টা কইরেন না।

যে সকল খাণে রিপোর্ট না করবে বলা হলো অযথাই বা বিনা কারনে-
  • সোশাল মিডিয়া (facebook/Twitter/Instagram/or any other)
  • ওয়েবসাইট: (.com/.xyz/.net/.org or anything)
  • ইন্টারনেট: Anything etc.
  • মার্কেটপ্লেস প্রোফাইল রিপোর্ট: (Freelancer.com/Upworks.com/Fiverr.com)
  • ইমেইল রিপোর্ট: (Gmail/Yahoo/Windows hotmail/Outlook etc)
পরিশেষে আমার  একটা কথা বলার আছে যে- আসুন আমরা এমন ভাবে ইন্টারনেট ব্যবেহার করি যে- “সকলের তরে সকলে আমরা -প্রত্যেকে আমরা পরের তরে”। কুত্তাকে যদি আপনি ট্রেনিং দিয়ে ইন্টারনেটে বসাইয়া দেন আর যদি শিখাইয়া দেন যে - তুই শুধু ইন্টারনেটে রিপোর্ট করবি তাতে আপনার আমার কোন ক্ষতি হবে না - কারন কুকুরের কোন সিক্সথ সেন্স নাই বা কমন সেন্স নাই কারন সে বুঝবেই না যে কোনটার জন্য কি রিপোর্টিং করতে হয় আর ইউএসএ সাইড বা ইন্টারনেট ও বুঝত ভুল করবে না যে কোনটা মানুষের হ্যারাজমেন্ট রিপোর্ট আর কোনটা ট্রেনিংপ্রাপ্ত কুত্তার (সাদা/লাল/কালো বা ছোট/বড়/মাঝারি  যে কোন রং/কালারের এর কুত্তাই হোক না কেনো) রিপোর্ট। 

আমরা যারা দীর্ঘদিন ধরে ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকি তবে দীর্ঘদিন ধরে বানর/কুত্তা/হায়েনা/শিয়াল/ক্যাঙ্গারু/ ইদুর / মেরু ভল্লুক বা আর যতো ধরনের প্রানী আছে সবই চিনেছি কিন্তু এখনো  চিনতে পারি নাই সেই সকল ট্রেনিং প্রাপ্ত কুত্তার বাচ্চাদেরকে (সোশাল মিডিয়াতে যাার হ্যাক করে যাইতাছে তাদেরকে কুত্তার বাচ্চা বলে গালি দিলাম কারন বাংলাদেশ আইনে হ্যাক করা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ) যারা হেল্প করে যাইতাছে তাদেরকে? একদিন চিনে যাবো- সেদিন বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারের অনেক সুবিধা হয়ে যাবে আর অনেক ধরনের সমষ্যার সমাধানও হয়ে যাবে। 

বাসার কাছে কেওয়াটখালী পাওয়ার হাউজ গ্রীডে ভয়াবহ আগুন। প্রায় ২৪ ঘন্টা পরে বিদ্যুৎ প্রবাহ স্বাভাবিক এর দিকে।

এখনো স্বাভাবিক হয়ে উঠে নাই বিদ্যুৎ প্রবাহ। কিছুক্ষন পর পর আসতাছে আর যাইতাছে। মনে হয় পাওয়ার হাউজ গ্রীডের ইন্জিনিয়ার রা সব কিছু পরীক্ষা করে দেখতাছেন। গতকাল দুপুর দেড়টার দিকে বাসার পাশে বিকট শব্দে একটা আওয়াজ। মনে মনে প্রিপারেশন নিতেছিলাম- ছাদে যাবো এবং শকেল কবুতরের কাচা পরিস্কার করবো। কিন্তু সে আশাতে গুড়েবালি। কেওয়াটখানী পাওয়ার হাউজ গ্রীডে ভয়াবহ বিদুৎ শর্ট সার্কিটের পরে তৈরী হওয়া আগুনে বিকট শব্দে ইলেকট্রিসিটি অফলাইন। 

 


কিছুক্ষন অপেক্ষা করার পরে দেখলাম যে- পানির ষ্টোর নাই। কি করি? আশে পাশে তীব্র পানির সংকট দেখা দিতে পারে কারন সবাই বলতাছে ২/৩ দিন কারেন্ট আসবে না। সাপ্লাই পানি না থাকার কারনে মানুষজন অপেক্ষা করতাছে কিভাবে কি করা যায়? আমি অনেক ঘাটাগাটি করে যতোটুকু দেখেছি যে কোন ভয়াবহ বিপদে সব্বোর্চ্চ ১২ ঘন্টা থেকে ১৮ ঘন্টা ইলেকিট্রিসিটি না থাকতে পারে। তাই বলে টানা ৩দিন- কোয়াইট ইম্পসিবল।

 

পত্রিকা এবং নিউজ চ্যানেল দেখে যতোটা বুঝতে পারলাম যে- শর্ট সার্কিট থেকে আগুন  লাগার কথা বলা হয়েছে। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমার কাছে যতোটুকু মনে হয়েছে- বৈদ্যুতিক ওবারলোডের কারনে - মানে গ্রাহক চাহিদা বেশী থাকার কারনে এরকমটা হতে পারে- লেঅড কুলাতে পারে নাই। আমাদের বাসার কাছেই এই পাওয়ার হাউজ। সেখানে যে ট্রান্সফরমার- তা প্রায়শই লোড কুলাতে পারে না। উপরন্তু ানেকেই অনেক সশয় ধরে এসি ব্যবহার করে। আমাদের এলাকার যে লোকাণ মিস্ত্রী- যারা বাড়ি বাড়ি যাইয়া কাজ করে তাদের মধ্যে একজন কে বলতে শুনেছি- যে কোন সময়ে বড় সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে যদি লোড না সামলাতে পারে। ঠিকই সেটা হলো। ভবিষ্যতে এ ধরনের বিপদ থেকে পরিত্রান পাবার মেইন উপায় হলো- যাদের কাছে অবৈধ সংযোগ আছে - সেগুলো পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করা আর নয়তো দেখা যাবে আবারো বড় সড় অগ্নিকান্ড দেখা যাইতে পারে। কারন বর্তমানে বৈদ্যুতিক সংযোগ দেয়া হয় পুরো পুরি ডিজিটাল পদ্বতেত। িএখানে কোন এলাকাতে কতোটুকু বিদুৎ লাগবে তা জাতীয় ভাবে নির্ধারন করে দেয়া হয়। ডিজিটাল পদ্বতিতে সবকিছু সেট আপ করার কারনে িএকণ কোথঅও কোন অবৈধ সংযোগ থাকলে সেখানে বড় সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। যেমন কোথাও যদি ১৮০ ভোল্টেজ ট্রান্সফরমার থাকে আর আপনি যদি সেখান থেকে ২০০ ভোল্টেজ এর প্রেশার দেন তাহলেই আগুন লেগে যেতে পারে। অনেক সময় বিদ্যুৎ অফিসের কর্মচারীলা অনেক ধরনের দুর্নীতি করে থাকে ফলে টোটাল ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন এলাকাতে - স্পেশিয়ালি কেওয়াটখালী এলাকাতে প্রথমে ১০০% পরীক্ষা করে দেখতে হবে যে- সবখানে বৈধ বিদু কানেকশন আছে কিনা? যদি থাকে তাহলে সেগুলো অতি সত্বর সংযোগ বিচ্চিন্ন করে দেখতে হবে। আর এখানে যদি আপনি নিজের ব্রেইন খাটান তাহলে আপনি আবারো বিপদের সম্মুক্ষীন হবেন কারন জাতীয় ভাবে বিদ্যু] এর অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য অনেক উন্নত টেকনোলজীর সাহায্য নিতাছে সরকার। নিয়মিত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধও আপনাকে অনেক বিপদ কে বাচাতে পারে। কারন কোন মাসে যদি আপনি বিদ্যুৎ বিল ঠিকমতো পরিশোধ না করেন তাহলে সেই এলাকাতে সরবারহের পরিমান কম দেখাতে পারে সফটওয়্যার। আর সরবরাহের পরিমান কম থাকলেও সেখানে বিপত ঘটতে পারে। এই পুরো ব্যাপারটা আমি বিভিন্ন খানে পড়ে নিজে ষ্টাডি করে লিখলাম। এইখানে কোন যৌক্তিক প্রমান আমি দেখাতে যাবো না।
 

১০/১৫ বছর আগে কেওয়াটখালী এলাকাতে অনেক অবৈধ সংযোগ দেখেছি। আশের পাশে বস্তি মতোন এলাকাও ছিলো অনকেগুলো। তারা অনেক সময় বড় বড় বাশ নিয়ে কারেন্টের পিলারের মধ্যে বাড়ি মারতো তাদের ইলেকট্রিসিটি পাবাররে জন্য। মাঝে মাঝে জিজ্ঞাসা করলে বলতো যে- বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন তাদেরকে বলেছে- কারেন্ট না পাইলে পিলারের মধ্যে বাসা বাড়িতে কারেন্টের সংযোগস্থলে বাশ দিয়ে বাড়ি দেল কারেন্ট চলে আসবে। অনেক সময় তাদের অত্যাচারে আমাদের বিল্ডিং এর কারেন্ট ও চলে যাইতো। পরে বিদ্যুৎ অফিসে কল দিয়ে লোক আনলে তাদেরকে আর খুজে পাওয়া যাইতো না। ভাগ্যিস ভালো যে কখনো বস্তির মধ্যে আগুন লাগে নাই। বরঞ্চ আমাদের বাসার দুতালাতেই আমার ভাগিনা একদিন কম্পিউচটা ব্যবহার করে বন্ধ না করাতে সেই রুমে আগুন লেগে যায় এবং আশে পাশের সেই বস্তি বা অন্যান্য লোকজন আইসা পানি দিয়ে আগুন নিভায়। এখন সিটি কর্পোরেশন হওয়াতে আইন অনেকটা কড়াকড়ি হওয়াতে অনেক  অবৈধ  বিদ্যুৎ সংযোগের হার কমেছে তবে আমিার কাছে প্রায়শই মনে হয় যে- অনেক খানে অনেক অবৈধ সংযোগ রয়ে গেছে। 
 

বিদ্যুৎ অফিসের অবৈধ সংযোগের ব্যাপারে আগে থেকে তেমন কিছু জানা ছিলো না। আমি কেওয়াটখালী এলাকার সাধঅরন মানুষেল সাথে অনেক আড্ডা দেই। ধরতে গেলে আমার মন মানসিকতা সম্পন্ন অনেক লোকের সাথে আমার খুব ভালো খাতির আছে। তারা প্রায়শই আমার সাথে বসে খোশ গল্প করে। আমি ও তাদের সাথে মন থেকেই মেলামশো করে থাকি। কথনো ছোট বা বড় তফাত করি নাই আবার তারাও করে নাই।  নিয়মিত বিদ্যুৎ বিলের কাগজ আসে আর সেটা আমরা নিয়মিত পরিশেঅদও করে থাকি। কারন আমরা জানি আমরা এরকম এক দেশে বসবাস করি যেদেশে দুর্নীতির শেষ নাই কিন্তু আয়কর, ভ্যাট, ট্যাক্র, রিটার্ন, বিভিন্ন ধরনের বিল সরকারকে দিতে হবে অতি অবশ্যই। অনেক সময় অনেকেই বলে তাকে যে- তাহলে আর দেশ স্বাধীন করে লাভ হলো কি?সকলেই তো ভেবেছিলো দেশ স্বাধীন হলে সব কিছু ফ্রি পাওয়া যাবে- গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ। মানুষজন কোন ধরনের আয়কর, ভ্যাট, ট্যাকস্, রিটার্ন বা বিল দেয়া ছাড়াই বসবাস করতে পারবে। কিন্তু আপামর জন সাধারনের জন্য সেই সুযোগ সুবিধা এখনো কোন সরকার বা সরকার ব্যবস্থাই ওপেন করতে পারে নাই। বিশ্বে অনেক দেশ আছে যেখানে বিভিন্ন ধরনের সার্ভিস একেবারে ফ্রি দেয়া হয়। মানুষ জন সেই সুবিধা ভোগ না করতে পেরে গ্রামে গঞ্জে বিভিন্ন খানে মানুষ সোলার প্যানেল লাগিয়ে নিয়েছে। সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত ভিটামিন ডি- রোদ কে কাজে লাগিয়ে সেটাকে বিদ্যুৎ সুবিধায় পরিনত করতে সোলার প্যানেল লাগিয়ে নিয়েছে। তো এই এলাকাতে সবচেয়ে ভিআপি কানেকশন ছিলো ইলেকট্রিসিটি। কারন কাছেই পাওয়ার হাউজ। সেই কারনে জাতীয় গ্রিডের লাইন থেকৈ অনকে সময় সরাসরি বিদ্যু] কানেকশন দেয়া হতো বা রাসরি পাওয়ার হাউজের পারসোনাল যে লাইন সে লাইন থেকৈ সবাইকে পাওয়ার কানেকশন দেয়া হতো। এই এলাকাতে পাওয়ার হাউজ ষ্টেশন স্থাপন করার কারনে এই সুবিধা টুকু ভোগ করে আসতাছে দীর্ঘ সময় ধরে সাধারন এলাকাবাসী। যখন ছোট ছিলাম তখণ বাংলাদেম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকাতে বসবাস করতাম এবং আর সেই সুবাদে জানতাম খকনো যদি সারা দেশও কারেন্ট না থাকতো তাহলেও কেওয়াটখালী এবং বাকৃবি এলাকাতে কারেন্ট থাকতো কারন সেটা ছিলো পাওয়ার হাউজের লাইন। এমন হয়েছে অনেক অনেক বার - সারা দেশে একযোগে কারেন্ট অফ হয়ে যাইতো। একসাথে সবখানে কারেন্ট চলে যাইতো। 
 

তো এরকম একদিন কেওয়াটখালী েএলাকার সাধারন মানুষের সাথে বসে আড্ডা দিতাছিলাম। হঠাৎ করে এক লোক আইসা বলতাছে যে- যদি আমাদের কারো বিদ্যুৎ কানেকশন লাগে তাহলে সে এরান্জ করে দেবে। আগে কখনো দেখি নাই। তো আমি বললাম যে - এখন তো ডিজিটালি বিদ্যুৎ এরান্জ করা হয়। আবেদন করে ইলেকট্রিক কানেকশন নিতে হয়। আপনাকে আর বলে কি লাভ? তো বলতাছে যদি কখনো হেল্প লাগে তাহলে বলবেন -সে বিদু্ৎ অফিসে থাকে অনেকসময়। তো আমি বুঝলাম যে- লোকটা দালাল কোয়ালিটির এবং তার বিদ্যুঃ অফিসের সাথে হাত আছে।  তো আমি বললাম যে- ভাই আমার জাতীয় পরিচয়পত্র আছে। সরকার যে ভাব েআইন করে দিছে সেভাবেই আমি বিদ্যুৎ এর জন্য আবেদন করবো। যদি আমার কোথঅও কোন রেফারেন্স লাগে আপনাকে জানাবো যদি ফাইল পত্র বা কানেকশন দিতে দেরী হয় তাহলে বলবো। বললো যে ওকে। বিপিডিসি  বা বিপিজিসি এর প্রাইভেটাইজেশন এর কারনে এখানে যে আর দুর্নীতির সুযোগ ণাই সেটা রিয়ালাইজ কেরতে পেরেছি আমি- ক্নিতু সেই অপরিচিত লোকটা মেবি পারে নাই বা হঠাৎ করে দুর্ণীতি বন্ধ হয়ে যাওয়াতে বোধ করি সে কোন বিপদে পড়েছিলো। আর নয়তো সরকারি অফিস থাকলে তো বুঝেনই যে- অনেক সরকারি লোকের বেতনেই হাত দিতে হতো না। বেতন তোলা ছাড়াই তাদের মাস চলে যাইতো। 

 

কয়েকদিন আগে পাওয়ার হাউজের লোকজনকে বলে বাসার সামনে ইলেকট্রিক খুটি সরালাম। সারাদিন সময় নিয়ে তারা সেই খুটি ঠিক করে দিলো। আমাদের কাছ থেকে সার্ভিস চার্জ চাইলে আমরা খুশী মনে দেই কারন আগেকার খুটি টা অনেক আগে থেকে ছিলো। সেটা ছিলো লোহার খুটি। নীচে খাওয়া হয়ে গেছিলো। যে কোন সময়ে বড় সড় দুর্ঘটনা ঘটার আশংকা। তার পরে আব্বাকে বলে কয়ে পাওয়ার হাউজ অফিসে পাঠালাম। তারা আবার আব্বাকে অনেক ভ্যালু দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হবার কারনে। আমে পাশের ২/৩ বাসার আংকেল রাও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার হবার সুবাদে যান এবং খুব দ্রুতই আইসা পিলার পাল্টাইয়া দিয়ে যায়। নতুন বিল্ডিং করে নতুন ভাবে কানকেশন নেবার আগে তারা এই মহৎ কাজটি করে দিয়ে যায় এবং আমরাও যার পর নাই খুশী হই। তার আগে যদি কেউ দেখতো যে সেই লোহার খুটির পিলারের ণীচের অংশ গায়েব হয়ে যাবার দশা। বলতে গেলে লোহার পিলারটা ঝুলে ছিলো কারেন্টের হাই ভোল্টেজের তারের সাথে। বৃষ্টি আসলে বা ভিজে গেলে যে কেউ কারেন্টের সাথে আটকে যাইতে পারতো বা মারাও যাইতে পারতো।  


 

গতকাল ইলেকট্রিক লাইন অফ হবার পরে আইডিয়া করতেছিলাম যে- ময়মনসিংহ ব্রক্ষপুত্র নদী র ঔপাড়ে স্থাপিত জাতীয় গ্রীডে ইলেকট্রিক সাপ্লাইকারী বৈদ্যুতিক সাব ষ্টেশন শম্ভুগঞ্জ বৈদুত্যিক সাব ষ্টেশন থেকে ইলেকট্রিক সাপ্লাই নিয়ে হয়তো পরিস্থিতি ওকে করতে পারে বা সদ্য স্থাপিত সুতিয়াখালী এলাকার বৈদ্যুতিক সাব ষ্টেশন সোলার প্যানেল বেজড থেকে নিয়েও হয়তো দ্রুত ইলেকট্রিক সাপ্লাই ওকে করার চেষ্টা করবে। কারন আগে লোকাল চাহিদা মিটানো- পরে শেষে জাতীয় চাহিদা মিটানো। সকলেই বলতাছে ২/৩ দিন পরে কারেন্ট চলে আসবে- কিন্তু আমি বলেছি- ১০/১২ ঘন্টার মধ্যে ওকে হয়ে যাবে। সঠিক ভাবে আবেদন করে বিদুৎ কানেকশন নেবার কারনে এবং নিয়মিত ব্যাংকে যাইয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার কারনে আমারে একটা আইডিয়া আছে এই সকল ব্যাপার স্যাপারে। এর আগেও আগারগাওয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের অধীনে পাসপোর্ট  অফিসের দশ তালা বিল্ডিং এ বৈদ্যুতিক সাব ষ্টেশন বসানোর ব্যাপারে এবং সময়ে উপস্থিত ছিলাম। টোটাল ভ্যাপারটাই আমার আইডিয়া ছিলো এবং ঠিকই রাত্রি ১১টার দিকে কিছুক্ষনের জন্য কারেন্ট চলে আসে। পরে আবার ফেজ বেজড এবং লাইন বেজড বিছু জায়গায় থাকে এবং কিছু জায়গায় চলে যায়। সব মিলিয়ে রাত্রি ২.৩৬ এর দিকে দেখলাম কারেন্ট চলে এসেছ পুরোপুরি। অসয্য গরমে প্রায় বেহুশ হবার অবস্থা ছিলো। 

 

ফেসবুকে ষ্টোরিজ সেকসানে আপডেট দিয়ে রাখলাম যে - বিদ্যুৎ নাই এই ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের জন্য। কারন আমি দেখেছি যারা প্রকৃত বন্ধু তারা ষ্টোরিজ সেকসান টা চেক করে। তারপরে ক্লায়েন্টে কে ম্যাসেজ দিয়ে জানালাম- যে বিদ্যুৎ িসংযোগ বিচ্ছিন্ন আজকে কাজ করতে পারবো না। তো ক্লায়েন্ট উত্তর দিলো- ঠিক আছে কোন সমস্যা নাই। সাথে আরো একটা গুড নিউজ ও দিলো। আমিও টেনশন মুক্ত হলাম এবং চিন্তা করলাম যে- একদিন কারেন্ট বা ইলেকিট্রিসিটি ছাড়া ঘুমাইয়া পড়ি দেখি কি হয়? মশারির ভেতরে ঢুকে বাহিরে মোমা জ্বালিয়ে রাখলাম। মোম নিয়ে অনেক স্মৃতি আমার । সেই সকল স্মৃতি চারনের মাঝখানে ক্রমান্বয়ে শেষ হয়ে যাওয়া মোবাইলের চার্জে র দিকে তাকিয়ে কিছুক্ষন প্রিয় জনদের ষ্ট্রাটাস গুলো চেক করলাম। এবং ঘুমাইয়া পড়ার ঠিক আগে মুহুর্তে দেখি - ইলেকট্রিসিটি ওকে হয়ে গেছে এবং ফ্যান ও ঘুরতাছে। সৃষ্টিকর্তার দরবারে শুকরিয়া আদায় করে ঘমুাতে গেলাম। 

 


সকালেও ঘুম থেকে উঠে দেখি সব ঘুরতাছে। মানে ফ্যান আর কি? ফ্রেশ হয়ে নীচে যাওয়া মাত্রই আব্বা বলতাছে যে - তাড়াতাড়ি করো। পানি ভুরাইয়া রাখো। কারেন্ট চলে যাইতে পারে। সাথে সাথে ভাড়াটিয়া দেরকেও জানাইয়া দাও। আমি বললাম ঠিক আছে। কোন মতে নাস্তা করলাম। সব পানি রেখে উপরে নীচে ভাড়াটিয়াদের জানালাম। তারপরে ছাদে যাইয়া দেখি ট্যাংকিতে পানি নাই। এর মাঝেই শুরু হয়েছে গরম এর যন্ত্রনাঅ রোদও উঠেছে অনকে কড়া। তারপরে ট্যাংকিতে পানি ভরার মেশিনের সুইচ অন করে উপরে আসলাম যেখানে বসে কাজ করি সেখানে। আইসা বসবো দেখি কারেন্ট চলে গেছে। মেজাজাটাই খারাপ হয়ে যাবার দশা। যেহেতু কারেন্ট নাই সেহেতু ওয়াই পাই ও অফ। এম বি কিনলাম এয়ারট্যাল এ্যাপ তেকে -২.৫ গিগাবাইট ৫০ টাকা ৩ দিন। তারপরে হটস্পট মেক করলাম ল্যাপটপ এবং  মোবেইলে। এরপরে কিছুক্ষ কাজ করার পরে দেখি ফ্যান ঘুরতাছে মানে ইলেকট্রিসিটি চলে এসেছে। মানে যাওয়া আসা - লোডশেডিং হইতাছে। হয়তো পাওয়ার গ্রীডের সব কিছু রিকভার করার পরে সম্পূর্নই ওকে হয়ে যাবে। 

 

এর মাঝে ভাবতেছিলাম আমার দেশের গরীব মানুষ রা কিভাবে কি করে কারেন্ট ছাড়া। অনকেখানেই তো কারেন্ট নাই। সে সব খানে কিভাবে চলে। আর সে সব খানে ছেলে মেয়েরা কিভাবে ইন্টারনেট ব্যেবহার করে। কয়েকদনি আগে গ্রামে বসবাস করে ্রকেম একজন আত্মীয়ের সাথে কথা হাইতেছিরো। জিজ্ঞাসা করলাম তোমাদের এলাকাতে কারেন্ট আছে। বলতাছে ভাইয়া কারেন্ট তো আছে অনেক দিন যাবত কিন্তু প্রচুর পরিমানে ডিষ্টার্ব করে। তাহলে তোমরা ইন্টারনেট ব্যবহার করো কি করে? বলতাছে ভাইয়া সারা এলাকাতে জেনারেটর সেট করা আছে। কারেন্ট না থাকলে জেনারেটর দিয়ে সব কিছু চার্জ
করে রাখি আর কারেন্ট থাকলে ওয়াই পাই ওব্যভহার করে থাকি। মানে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট। তো আমি বললামে যে গুড। প্রযুক্তি ছাড়া তো ামনুষ এক পাও এখ আর আগাতে পারবে না। গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাধেম সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রজেক্ট গুলো মানুষের মনে একটা জিনিস সেট আপ করে দিয়ে গেছে- ইন্টারনেট বা প্রযুক্তি ছাড়া এখন অনেক কিছুই অচল। ইন্টারনেট ছাড়া বা জাতীয় পরিচপয় পত্র ছাড়া তো এখন অনেক কিছুই সম্ভব না।ঠিক তেমনি বৈদ্যুতিক ডিপাটৃমেন্টর লস বা ইলেকট্রিক লস আপনি তখনি কমাতে পারবেন যখন আপনি দেখবেন এমন কেউ ইলেকিট্রিসিটি ব্যবহার করতাছে না যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নাই।  এক কতঅয় জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া কাউকে কোন ধরনের বিদ্যুৎ কানেকশন না দেয়া হলে বিদ্যুৎ লস কমে যাবে ১০০%। সারা দেশে বলাবলি চলতাছে যে দেশের জাতীয় 
চাহিদা পূরন করে বর্তমানে ভারতে বিদ্যু] দেয়া বা রপ্তানী করা হেইতাছে। কিন্তু আপনার জায়গায় জায়গায় লোড শেডিং রয়ে যাইতাছে। এর কারন হলো অবৈধ সংযোগ থাকা দেশ জুড়ে। যারা যার নিজস্ব উদ্যোগে বা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাহায্য নিয়ে আপনি যদি নিজ উদ্যোগে আপনার এলাকার অবৈধ বিদ্যু] ষংযোগ গুলো বিচ্ছিন্ন করে দেন তাহলে আপনার বিদ্যুৎ লসের পরিমান অনেক কমে যাবে। আর এই সরকারের আমলে যদি ইউনিট প্রতি বিদু্তের দাম কমানো না যায় তাহলে প্রয়োজনে সরকার পরিবরতন করে বা পরিবরতনের চেষ্টা করে বিদ্যুতের দাম কমানোর চেষ্টা করতে হবে। অবশ্য বর্তমান 
রাজনৈতিক সরকারের আমলে বিগত ১০ বছর যাবত সব কিছুরই দাম বেশী। ঞয়তো গ্রামে গঞ্জে গরীব মানুষ টাকার াভাবে ইলেকট্রিক কানেকশন ব্যবহার ও করতে পারে না। তারা হয়তো ভাবে কুপিবাতি বা হারিকেনের আলো তেআ তাদের বাকী জীবন পার করতে হবে। আর খুব বেশী পারলে তারা তাদের িনজেদের বাড়িতে লাগােইয়া নিতাছে সোলার প্যোনেল। ভোট দেবার সময় তো ঠিকই গিয়েছিরো ভোট কেন্দ্রে জাতীয় পরিচয়পত্র খানি নিয়ে আর ভোট দিয়ে আইসা হয়তো আজকে বাড়ির উঠানে বইসা মাথা চাপড়ায় বা কান্দে।আর যাই হোক বর্তমান সরকারকে গরীব মানুষের সরকার বলা যাবে না। 


 




কয়েকদিন আগে কিশোর গঞ্জের হাওরের ভেতরে কয়েকটা পরিবার নিয়ে গড়ে উঠা একটা গ্রামের উপরে প্রতিবেদন দেখলাম টিভিতে। চারিদিকে পানি আর পানি। এর মাঝেই এক টুরিকরো জমিতে কয়েক ঘর পরিবার বা লোকের বসবাস। তাদের সবাইকেই দেখলাম যে তারা সোলার প্যানেল ব্যবহার করতাছে এবং তা দিয়ে তারা টিভিও দেখে তাকে যদিও বিটিভি দেখে থাকে। বর্তমানে বাংলাদেশে গরীব মাুষের এমন ত্রাহি মধুসূদন অবস্থা যে আমার মনে হয় সতভাবে পরিস্কার সুষ্ট সাধারন নির্বাচ হলে পুরাতান কোন রাজনৈতকি দল আর তেমন ভোট পাবে না। কারন গ্রামাঞ্চলের মানুষ চায় ০৩ বেলা পরিবার পরিজন নিয়ে চলা বা খাবারের সুবিধা। আর শহরাঞ্চলের মানুষজন চায় কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি। বিশেষ করে এইবার বিগত কয়েকবছরে কয়েক ডজন রাজনৈতিক নেতাদের রাড়ীতে কোটি কোটি নগত টাকার সম্পদ জমাইয়া রাখা,  ব্যাংক গুরোকে মূল্যস্ফীতি করা, পরিকল্পিতভাবে ব্যাংকগুলোকে খালি করে রাখার চেষ্টা, লোনের পরিমান কমাইয়া দেয়া, নগত টাকা উত্তোলনের রিস্ক বা এরকম হাজার হাজার গ্যানজাম বর্তমান সরকারের কাছে থেকে লোকজনকে পুরোপুরি অনীহাতে নিয়ে গেছে। সামনে সুন্দর পরিস্তার ভোট হইলে হয়তো লোকজন দাতভাংগা জবাব দেবে যা অোগেও দেয়া হয়েছিলো ঠিক ভাবে অবশ্যদের বেহায়াদের লজ্জা শরম কিছুটা কমই। 


 


সাম্প্রতিককালে গ্যাসের চুলোয় প্রতি চুলোর দাম বাড়ানো আমার কাছে পুরোপুরি ন্যক্কারজনক মনে হয়েছে। তার উপরে নতুন করে গ্যাস কানকেমণ দেয়াও বন্ধ। আশে পাশের অনেক খানে দেখি অবৈধ গ্যাসের সংযোগ নিয়ে রেখেছে। অথচ যে কোন ধরনের অবৈধ গ্যাস সংযোগ থাকার কারনে বড় সড় দুর্ঘটনা ঘটে যাইতে পারে। গ্যাসের চাপ কনেট্রালের একটা ব্যাপার আছে। কোন কানে যদি অবৈধ গ্যাসের ষংযোগ থাকে আর সেই খানে যদি কোন মূহুর্তে গ্যাসের চাপটা ভেংগে যায় তাহলেই বড় সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। হঠাৎ করে আগুন লেগে যেতে পারে বস্তিতে বা এলাকার আশে পাশে। ভয়াবহ কোন বিস্ফারন হলে তা থেকে বিদ্যুতের তারে আগুন লেগে যাইতে পারে। হইতে পারে অনেক অনকে মানুষের প্রানহানি। কারন যারা যারা আবেদন করে গ্যাস কানেকশন নিয়েছে তাদের আবেদনের উপর ভিত্তি করেই গ্যাসের চাপ কন্ট্রোল করা হয়। আবেদন করে লাইন নেয়া আছে ১৫০০০- আর আপনি অবৈধ ভাবে গ্যাস সংযোগ দিয়ে রাখলেন ২৫০০০। তাহলে তো বিস্তীর্ন এলাকা নিয়ে আগুন ধরে যাইতে পারে আর বিস্তীর্ন এলাকাতে বা অল্প এলাকাতে আগুণ ধরলে মাার যেতে পারে অনেক মানুষ। শহরাঞ্চলে যদি কোন খানে অবৈধ গ্যাস সংযোগ থাকে তাহলে আপনি নিজ দ্বায়িত্বে সেটা এলাকার জন প্রতিনিধিদেরকে সাথে নিয়ে অবৈধ সংযোগ গুলো সরকার নির্ধারিত উপায়ে বিচ্ছিন্ন করবেন এবং জন মানুষকে সেইভ রাখার ব্যাপারে দ্বায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবেন। সাম্পৃতিক সময়ে গ্যাসের দাম বৃদ্বিতে বোঝা যায় - জনমানুসেল জন্য গনপ্রজাতন্ত্রী বাংরাদেশ সরকারের তেমন কোন ভূমিকা নাই। বিশ্বের অনেক দেশ আছে যেখানে েকাজ নিলে জানা যাবে অনেক নাগরিকের জন্য গ্যাস, পানি, বিদ্যুতের দাম অনেক কমাইয়া রাখা হয়েছে কারন সেগুলো তাদের নিজস্ব প্রাকৃতিক সম্পদ। আর আমাদের দেশের অবস্থা দেখলে মনে হয় যে- আমাদের দেশের গ্যাস পানি বিদুৎ মনে ঞয় বারত সরকারের কাছ থেকে কিনে আনতে হয়। বিশ্বের যে কোন দেশের লোক হাসাহাসে শুরু করবে যে- আমাদের দেশের নিজস্ব হ্যাম সম্পদ থাকার পরেও আমাদেরকে প্রতি মাসে গ্যাস চুলা প্রতি ৯৫০ টাকা কের দিতে হয় যেখানে আমরা এইটা প্রায় বিনামূল্যে পাওয়ার জন্য ডিজারভ করি। 


গ্যাস আর বিদ্যুতের দাম বৃদ্বির প্রতিবাদে আন্দোলনরত সেই গ্যাস বিদুত তেল সম্পদ রক্ষা কমিটির অনেক আন্দোলনের কথা মনে পড়ে যায়। এক সময়কার তাদের করা প্রতিনিয়ত লং মার্চ এর কারনে আজকে আমাদের দেশের অনেক টুকুই বেচে থাকার মতো অবস্থা আছে বোধ করি মধ্যবিত্ত মানুষের। আর নয়তো মের যাবার ও কথা। কয়েকদিন আতে এক পরিচিত চোঠ বাই আত্মহত্যা করেছিলো গায়ের মধ্যে কেরাসিনের আগুন ঢেলে দিয়ে কিচেন যাইয়া গ্যাসের চুলার সিলিন্ডার এ চুলা ওপেন করে নির্গমনরত গ্যাসের মাঝে আগুণ দিয়ে দেয় এবং তাৎক্ষনিক ভাবে পুরে মারা যায়। এক কথায় আত্মহত্যা কিন্তু তার এই আত্মহত্যা কি তেল গ্যাস বিদ্যুতের দামের বৃদ্বির প্রতিবাদে সেটাই রহস্য রয়ে গেলো। তার ‍খুব সুন্দর একটা হোন্ডাও  ছিলো।  



 

Tuesday, September 8, 2020

হ্যাকারদের কে চ্যালেন্জ যে হ্যাকাররা খারাপ প্রজন্ম।

[আমার এই আজকের লেখাতে অনেক রাফ টাফ কথা ব্যবহার করেছি বোঝানোর সুবিধার্থে। আশা করি সহজ ভাবে নিবেন।প্রাপ্তবয়স্কদের টার্ম আছে]

হ্যাকারদের কে চ্যালেন্জ যে হ্যাকাররা খারাপ প্রজন্ম কারন ভালো মানুষেরা পারতে কারো ক্ষতি করে না। কারো  ক্ষ তি করা ধর্ম এবং আইনেও নিষেধ। হ্যাকার রা এক ধরনের খারাপ ক্ষতিকর প্রজন্ম যাদের কাজ হইতাছে ইন্টারনেটে মানুষের ক্ষতি করে যাওয়া। সোশাল মিডিয়া একাউন্ট হাতাইয়া নেয়া, ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করা বা ব্যাংক একাউন্ট হাতাইয়া নেয়া, ব্যাংক ব্যালান্স চুরি করা- এই সকলের বিরুদ্বে বাংলাদেশ সরকারের আইন হলো- নূন্যতম সাত বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং রাষ্ট্রীয় সংবেদনশীল ইস্যু হলে নিশ্চিত ফাসি।

আমাকে এক হ্যাকার চ্যালেন্জ করেছিলো ২০১১ সালে যে- সে আমার masudbcl.blogspot.com এই ব্লগস্পট একাউন্ট টি হ্যাক করবে এবং চিরদিনের জন্য আমি আর কখনো সেটা ফেরত পাবো না। আমি বললাম ওকে। তো সেই হ্যাকার আমার অন্যান্য একাউন্ট হ্যাক করার সাথে সাথে  ব্লগস্পট একাউন্ট টাও হ্যাক করে ফেলাইলো। তো আমি চিন্তা করলাম যে- আমার যদি ইমেইল অফ হয় তাহলে আমি আর হয়তো এই একাউন্ট ফেরত পাবো না। শেষে আমার ইমেইল একাউন্ট ও হ্যাক হলো। পরে ব্যাপারটা মাথাতে রাখলাম। সাত বছরের মাথাতে গুগল ইনকরপোরেশনের অনেক ধরনের নিয়ম নীতি পরিবর্তন হওয়াতে আবারো ফেরত পাইলাম masudbcl.blogspot.com ব্লগটি এবং তারপর থেকে চিন্তা করতেছিলাম আচ্ছা দেখি নিয়মিত লিখবো। আমার লেখালেখির শখ অনেকদিনের।

অনেকেই হয়তো জানেন না যে- জিমেইল, ইউটিউব এবং ব্লগস্পট এই ৩টার মালিক একজনই- নাম- গুগল ইনকরপোরেশন। এই নামটা বাংলাতে লিখলে অনেকেই এর একটা খারাপ মিনিং খুজেন- যেমন যারা মেথর তারা প্রথমেই বলবে যে এইটার নাম গু দিয়ে শুরু হলো কেনো? এখন মেথরের কাজ তো পায়খানা বা গু পরিস্কার করা। তার তো সাারদিন গু নিয়েই কাজ কারবার। সে যদি ঠিকমতো গু পরিস্কার -আই মিন ড্রেন কিংবা বাথরুম পরিস্কার না করে তাহলে তো তার মাস শেষে টাকাও জুটবে না। তাই সে এই ধরনের প্রশ্ন করে বসতে পারে এবং সত্যি বলতে কি- আমি এক মেথরের সন্তানের কাছে  বাস্তবে সত্য সত্য এই প্রশ্নের সম্মুক্ষীন হয়েছিলাম। তারপরে আমি তার কাছ থেকে সময় নিয়েছিলাম উত্তর টা দেবার জন্য।

তো ঠিক সেই রাতে ইন্ডিয়ার এক বড় ভাই এর সাথে  ইন্টারনেটে মেসেন্জারে কথা বলতেছিলাম। ইন্ডিয়ান রা তো বাংলা বোঝে। তো আমাকে উত্তর দিলো - লোকটা তো খুব কুৎসিত মাইন্ডের। আমরা সারা বিশ্বে ছেলে মেয়েরা এইখানে পড়াশোনা করতাছি আর সে এইখানে আইসা গু এর আলাপ শুরু করে দিলো। তো আমি বললাম যে - ভাই সে তো মেথরের সন্তান। আর সে ছোট থেকে বড় ও হয়েছে মেথর পট্টিতে। তো বলতাছে তুই লোকটাকে বলবি যে সে একটা কুৎসিত মানুষ। সে যেনো তোর কাছ থেকে দূরে থাকে। তো তারে তুই ব্যাপারটা বলবি এই ভাবে যে- গো আগলিআগলি মানে কুৎসিত। তো একুরেটলি ডোমেইনটা কিনতে পাওয়া যায় নাই - তো  এই ডোমেইন টা নেওয়া হয়েছে আর এইটার মানে হইতাছে- তুই একটা কুৎসিত আর তুই একটু দূরে থাক। আর তুই তোর নিজের কাজ করে যা। 

Google= Go +Ogle এইখানে সেই ইন্ডিয়ার বড় ভাই Ogle কে  Ugly বুঝিয়েছিন। গুগলের নামের প্রথমে যে গু শব্দটা আছে সেটা তো বাংলাতে লিখতে গেলে পাওয়া যায়। শুনেছি শযতানের খাবার হইতাছে গু। সে শুধু গু খেয়ে বেড়াবে। যারা ইংরেজ আর যারা গুগলের নাম রেখেছে তারা তো আর গু এর মিনিং জানতো না কারন তারা কখনোই বাংলাদেশে আসে নাই বা বাংলা তারা শিখেও নাই। বাংলাদেশের ধর্ম মুসলিম ধর্মে খুব সুন্দর করে বাথরুম করার কথা বলা হয়েছে। সেখানে ঢিলা - কুলুপ নেয়া বা বাথরুম করার পর টিস্যু ব্যবহার করার কথা ও বলা আছে। যারা ভালো মানুষ তারা অতি অবশ্যই বাথরুম করার পরে ঢিলা কুলূপ ব্যবহার করবে আর নয়তো টিস্যু ব্যবহার করবে। আর যারা খারাপ তারা এই জিনিসটা পরিপূর্ন ভাবে পরিস্কার করবে না এবং সাথে নিয়ে ঘুরে বেড়াবে আর শয়তানের সাথে দোস্তি করবে কারন শযতানের খাবার হইতাছে মানুষের গু। এখন এইটা যদি মানুষের শরীরের সাথে বাইজা থাকে বা ঠিকমতো পরিস্কার পরিচ্ছন্ন না হয় তাহলে তো তারা শয়তানি করবেই? তো আমাকে যে মেথরের সন্তান জিজ্ঞাসা করেছিলো- সে আসলে একটা শয়তানের প্রজন্ম নিয়ে ঘুরে বেড়ায় যারা বাস্তব জীবনেও কুৎসিত এক উপায়ে যৌন কর্ম করে থাকে আর জনে জনে জিজ্ঞাসা করবে - মানুষের পেছনে কানা দিয়েছে কেনো? (খোজ নিয়ে জেনেছি সে এক ভয়াবহ সমকামী এবং আমার প্রতি তার তীব্র কু নজর ছিলো) আপনি তো বলবেন  পায়খানা করার জন্য। তো তারা উত্তেরে বলবে যে- তারা তো শুধু পানি খায়। আর আপনি উত্তরে বলবেন যে- তাহলে তো প্রস্রাব করার দরকার নাই। যেদিক দিয়ে পায়খানা করে সেদিক দিয়ে প্রস্রাব করলেই তো হয়। 

মুসলিম ধর্মে পায়খানার রাস্তা দিয়ে সেক্স করার ব্যাপারে ১০০% নিষেধ আছে। আজ পর্যন্ত মেডিকেল সায়েন্সের গবেষনায় দেখা গেছে- মানুষের শরীরে খাবার ডাইজেষ্ট হবার পরে এবং ষ্বভাবত পচা রক্ত, পুজ বা শরীরের পচে যাওয়া আরো নানাবিধ জিনিস সহ যতো ধরনের খারাপ প্যারাসাইট আছে সব সেই পায়খানার রাস্তাতে (মানুষের শরীরে) আইসা জমা হয়। সব ধরনের খারাপ প্যারাসাইট। যার কারনে ধারনা করা হয় পৃথিবীতে যে সকল অনিরাময় যোগ্য রোগের উৎপাদন হইতাছে তার মূল কারন হইতাছে পায়ু পথে সেক্স বা যৌন কর্ম করা। সো মেডিকেল সায়েন্সে ব্যাপারটা ১০০% নিষেধ আছে। কারন ছেলেদের জন্য প্রস্রাবের রাস্তা হইতাছে সবচেয়ে সংবেদনশীল আর সেখান দিয়েই বীর্য রস নির্গত হয় এবং সেটা মেয়েদের গহেবরে যাইয়া বাাচ্চা বা সন্তানের জম্ম দেয়। এখন আপনি যদি পুরুষ হয়ে সবচেয়ে সংবেদনশীল প্রস্রাবের রাস্তা দিয়ে কুৎসিত বা খারাপ কর্ম করেন তাহলে তো আপনি পৃথিবীর সমস্ত ধরনের প্যারাসাইট কে রিসিভ করলেন সবচেয়ে সংবেদনশীর জায়গা দিয়ে- যাতে আপনার জীবনে বা দেহে বহূ ধরনের ইনফেকশন হতে পারে যা কখনোই আপনি সারাতে পারবেন না- যেমন- ক্যানসার, এইডস বা বর্তমানে বহুল আলোচিত প্যানডেমিক যার সঠিক রোগ নির্নয়ও যেমন করা যাইতাছে না  তেমনি তার প্রতিষেধক ও বের করা যাইতাছে না।

আবার আমাদের দেশের আইনেও এ ধরনরে কাজ কারবার নিষেধ আছে। সমকামিতা (গে বা লেসবিয়ানদেরকে সমকামি বলা হয়। ছেলে হইয়া অপর ছেলের প্রতি আকর্ষন বোধ করা বা মেয়ে হইয়া অপর মেয়ের প্রতি আকর্ষিত হওয়াকে সমকামি বা এই ধরনের অভ্যাস থাকলে তাদেরকে সমকামী এবং সমকামিতা বলা হয়। সমকামিতা বিরোধী আইন আছে বাংলাদেশ সরকারের। পায়ূ পথে ছেলে এবং মেয়ের সেক্সকেও সমকামী বৈশিষ্ট্য হিসাবে অভিহিত করা হয়। আর এই ব্যাপারটা নির্ধারিত হয় প্রাপ্ত বয়স্ক হবার পরে। যেমন- উন্নত বিশ্বে যখণ কেউ কাউকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে তোমার সেক্সুয়াল অরিয়েন্টেশন কি? তার উত্তরে আপনাকে বলতে হবে যে - আপনি কি ধরনের সেক্সুয়াল অরিয়েন্টেশনে বসবাস করতাছেন। সম্পূর্ন ধর্মীয় অরিয়েন্টেশন হইতাছে- স্ট্রেইট সেক্সুয়াল অরিয়েণ্টেশন পদ্বতির মানুষ। প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে এবং প্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ে পরস্পরকে ভালোবেসে মিশনারী ষ্টাইলে সেক্স করবে এইটাকে ষ্ট্রেইট সেক্সুয়াল মেন্টালিটি বলা হযআর মানুষ প্রাপ্তবয়স্ক হয় ১৮ বছল বয়স থেকে নূন্যতম)। বা পায়ু পথের সেক্স কে পুরুষ নির্যাতন আইন এবং নারী নির্যাতন আইন হিসাবে বর্ননা করা আছে যার সব্বোর্চ্চ শাস্তি হইতাছে মৃত্যুদন্ড বা ফাসি। তো যা কিছু আইনে নিষেধ, ধর্মে নিষেধ বা মেডিকেল সায়েন্সে নিষেধ তা কি হ্যাকারদের করা শোভা পায়? আমি খুব ভালো করে খেয়াল করে দেখেছি সেই হ্যাকার রা বা সেই মেথরের সন্তান রা হইতাছে  এই খারাপ প্রজন্মের লোক বা সন্তান। তারা দিন রাত ২৪ ঘন্টা এই নিয়ে গ্যানজাম করবে বা এই ভাবেই তারা মৃত্যূ পর্যন্ত  চলবে  কারন এইটা তাদের এম্বিশন মনে হয়। আমি কয়েকজন মেয়ের সাথে এই ব্যাপারে ডিসকাস করতে গেলে তারা উত্তর দেয়- খোজ নিয়ে দেখো যে তাদের জিনিসের( লিংগের) সাইজ ছোট- মেয়েদেরকে সুখ দিতে পারে না তাই খারাপ উপায়ে সেক্স করে নিজের সুখ মেটানোর চেষ্টা করে। আমি সেই খারাপ প্রজন্মের  ২/১ জনকে লজ্জা ভুলে জিজ্ঞাসা করেছিলাম- তোদের লিংগের সাইজ কতো- তো বলতাছে ৩/৪ ইঞ্চি। পরে বুঝতে পালরাম যে- সেই সকল মেয়েদের কথাই সত্যি। আগে অনেক পেপার পত্রিকাতে দেখেছি যে- সোরা দেশে এই ধরনের লোকদের কে গ্রাম বাংলার মানুষেরা জবাই করে ফেলাইয়া রাখতো- জিজ্ঞাসা করলে বলতো যে- তারা খারাপ কাজ করেছে বা করতো। অনেক সময় দেখেছি গ্রাম বাংলাতে প্রেমিক প্রেমিকাকে ফাসিতে লটকাইয়া দিতো - পেপারে নিজউজ আসতো- জিজ্ঞাসা করলে বলতো তারা  খারাপ কাজ করতো তাই তাদেরকে ফাসিতে লটকাইয়া দেয়া হয়েছে। আগে অনকেকে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে হত্যা করা হতো বা প্রকাশ্য দিবালোকে কুপাইয়া হত্যা করে ফেলাইতো। হয়তো সেগুলোর বিচার করলে এরকম কারনই বের হবে।

সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো- মুসলিম ধর্মে উল্লেখ আছে - সৃষ্টিজগতে ৬৫০০০ মাখলুকাত বা পশু পাখি জীব বা গাছ পালা আছে। তাদের মধ্যে অনেককেই সেক্স করে তাদের বংশ বৃদ্বি করতে হয়। মানুষ তো আর গাছ না যে একা একা বংশ বিস্তার করবে। পশু পাখি বা জীব বা প্রানি জগত কে অতি অবশ্যই বিপরীত লিংগের সাহায্যে যৌনকর্ম করে সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত নিয়মে বংশ বিস্তার করতে হবে। রাস্তার যে কুকুর- যে প্রকাশ্য দিবালোকে সেক্স করে বা সেক্স করার পরে জট লেগে থাকে সেও কখনো ভুল করে বা সৃষ্টি জগতের কোন পশু পাখি ‍ও ভুল করে পায়ৃ পথে খারাপ কাজ করে না বা পায়ু পথে সেক্স করে না। তো জনমনে প্রশ্ন জাগে- যে সকল মানুষ এই খারাপ উপায়ে তাদের যৌন চাহিদা পূরন করে থাকে তাার কি মানুষ নাকি টেষ্টটিউব (ধারনা করা হয় যে টেষ্টটিউব প্রজন্মের সিক্সথ সেন্স কাজ করে না)। বিশেষ করে প্রাপ্ত বয়স্ক বা জ্ঞান হবার পরে কোন মানুষ এই ধরনের খারাপ কাজ করতে পারে না বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করে থাকি। 

তথ্য প্রযুক্তর যুগে গুগল ডট কম সার্চ না করে আপনি খুব বেশীদূর যাইতে পারবেন না। কারন গুগল ডট কম পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সার্চ ইন্জিন ডাটাবেজ। যে কোন ব্যাপারে ৯০% এর বেশী তথ্য পাবেন আপনি গুগল ডট কম থেকে। তো বেশ কিছু বছর যাবত আমি আমার নিজস্ব রিসার্চে দেখলাম- যারা নতুন ফ্রি ল্যান্সার কিংবা আউটসোর্সিং কাজ শিখতে  আসে তাদের মধ্যে অনেকেই বলে বসে য ভাইয়া গুগল ডট কম সার্চ করি না। গুগল ডট কমে যদি কেউ সার্চ না করে তাহলে আপনি আপনার ডাটা বা তথ্য পাবেন কি করে? আবার অনেক কে দেখলাম যে গুগল ডট কম কি সেটাই জানে না। সেই খারাপ ধারনা নিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে এসেছে। এমন কোন টাচ মোবাইল ই নাই দুনিয়াতে যেখানে গগুল ডট কম সার্চ ইন্জিন দেয়া নাই। নিজে নতুন মোবাইল কিনে বা গিফট পেলে সেটা তো একবারের জন হলেও ঘাটাগাটি করে দেখা উচিত। অনেক সময় আমরা অনেকের  প্রশ্নের উত্তরে আমরা ফ্রি ল্যান্সার রা আনমনে বলে ফেলাই যে- কাইন্ডলি গুগল করেন। গুগল করেন মানে বলতে বোঝানো হয় যে- গুগল ডট কমে আপনি সার্চ করেন। কিন্তু অপর সাইড থেকে উত্তর আসবে যে- ভাইয়া আমরা গগুল করি না। ভাবখানা এমন যে আমরা বুঝি তাদেরকে গগুল ডট কমে সার্চ করতে না বলে খারাপ কিছু করতে বলেছি। তো এই ধরনের ধ্যান ধারনা নিয়ে আপনি ফ্রি ল্যান্সার জগতে বোধ করি ১ ডলার ও রেমিটেন্স আনতে পারবেন না। উল্লেখ্য থাকে েয- ফ্রি ল্যান্সিং জগতে রেমিটেন্স আসা শুরু হয়েছে মিনিমাম ২০০৬ সাল থেকে। 

তো সেই হ্যাকার বা মেথরের সন্তানকে বলতে চাই যে- শযতানের ধর্ম বংলাদেশে চালু করার চেষ্টা করিস না কারন এর পরিমান নিশ্চিত মৃত্যু। বাংলাদেশ ৩৬০ অলি আউলিয়ার দেশ। এইখানে লোকালয়ে কোন ধরনের খারাপ প্রজন্ম কে এলাও করে না। আর লোকালয়েই বসবাস করে ৭০% মানুষ। তো বাংলাদেশে যে খারাপ প্রজন্মের কথা সময়ে সময়ে বিভিন্ন খানে শোনা যায়- আমার মনে হয় তারাই হ্যাকার যারা ব্যাংক ডাকাতি ব্যাংক হ্যাকার, প্রাইভেট ব্যাংক হ্যাকার বা রেমিটেন্স চুরি করেছে বলে ধারনা করা হইতাছে। হয় তারা সমকামি অথবা তারা মেয়েদরে সাথে খারাপ উপায়ে মেলামেশা করে যার ফলে সহজ সরল স্বাভাবিক পদ্বতির বাংলাদেশ থেকে তাদেরকে গ্রেফ্তার বা এরেষ্ট করা যাইতাছে না। শুনেছি সকল প্রকার খারাপ মানুষের জায়গা হলো জেল। এই ধরনের খারাপ প্রজন্ম কে আইডেন্টিফাই করে তাদের কে হয় সারা দেশের জেল খাণা গুলোতে ভরে রাখা উচিত বা চাইলে বিচারের সুবিধার্তে সাময়িক ভাবে পুরাতন ঢাকার জেল বা সদ্য তৈরী হওয়া রোহিংগোদের যে আবাস স্থল নোয়াখালীর সুবর্নচরে তৈরী হয়েছে সেখানে নিয়া রাখতে পারেন।

নোট: হ্যাকার বলতে বোঝানো হয়- ইন্টারনেটে তথ্য চুরি, ব্যাংক একাউন্ট বা ব্যালান্স চুরি, রেমিটেন্স চুরি, রিজার্ভ চুরি, ভ্যাংক থেকে নগত টাকা চুরি। আর েসামাজিক যোগাযোগে র মাধ্যমে হ্যাকার ভরতে বোঝানো হয়- ফেসবুক বা যে কোন সোশাল মিডিয়ার একাউন্ট চুরি বা তথ্য চুরি। তেমনি ইন্টারনেটে আছে ওয়েবসাইট হ্যাক করা বা ইমেইল একাউন্ট চুরি করা। এক কথায় হ্যাকাররা চোর। তাদের বিরুদ্বে বাংলাদেশ সরকারের আইন আছে - মিনিমাম সাত বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং সব্বোচ্চ বোধ করি ফাসি। 


সামাজিক হ্যাকার বা ইমোশণাল হ্যাকারদের নিয়ে আমার ব্যক্তিগত রিসার্চ বা এনালাইসিস আরো একদিন প্রকাশ করবো। আমার এই আজকের লেখাতে অনকে রাফ টাফ কথা ব্যবহার করেছি বোঝানোর সুবিধার্থে। আশা করি সহজ ভাবে নিবেন। 

Translate