Translate

Saturday, July 4, 2020

হলি আর্টিজেন হামলা: দেখতে পারি নাই ঠিকমতো। আমি ছিলাম রিহ্যাব





মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্র আগারগাও তে ভর্তি হই- ২৩/২৪ জুন ২০১৬ সালে। নাম: আস্থা মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্র- মোল্লা বাড়ী আগারগাও। তার আগে বসবাস করতাম ডেমরা পাড়া ডগাইর এলাকার এক বিল্ডিং এ। একা ছিলাম। ফ্রি ল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং এর কাজের সাথে জড়িত থাকার কারনে সারা রাত জাগনা থেকে কাজ করতাম এবং অল্প কিছু মাদকের সাথে জড়িত হয়ে গেছিলাম। কখনো কারো কাছে হাত পাতি নাই বা কারো কাছ থেকে কোন ধরনের টাকা পয়সা গ্রহন করে মাদক নেই নাই। শখ করে বা পাল্লায় পড়ে রেগুলার ১/২ টা ইয়াবা গ্রহন করতাম। এর মাঝেই একদিন ঢাকা মহানগর সহ বাংলাদেশের সকল সিটি কর্পোরেশনের আইন পুলিশ ভাড়াটিয়া আইনের  ভেরিফিকেশনের জন্য ডিবি পুলিশের লোক আসলো- যে ফ্ল্যাটে ভাড়া নিয়ে থাকতাম সেই ফ্ল্যাটে। অনকে সময় থাকলো। আমার সাথে আরো একজন থাকতো - তাকে সহ আমাকে প্রায় দুই থেকে আড়াই ঘন্টা সমস্ত তথ্যের উপরে জিজ্ঞাসাবাদ করলো। সমস্ত তথ্য এ টু জেড মিলে যাবার পরে সেই ডিবি পুলিশ আমাকে বলতাছে - তোমার সব কিছু ওকে আছে কিন্তু পুলিশ ভাড়াটিয়া আইনে ভেরিফায়েড হবার জন্য তোমাকে একটা কাজ করতে হবে। আমি বললাম- কি? তো বলতাছে- রিহ্যাব। আমি বললাম রিহ্যাব করার মতো তো টাকা নাই? তো বলতাছে সেটা আমরা ম্যানেজ করে দেবো। তো আমি বললাম ওকে। 

তারপরে আমার বাবা মা ময়মনসিংহ থেকে যায় আমার সাথে দেখা করার জন্য। তারাও যাইয়া একই কথা বলে যে তুমি একা একা থাকো। তোমাকে আমরা ডাক্তার দেখাবো। আমি বললাম যেহেতু ডিবি পুলিশ আইসা বলেছে তাহলে আর লুকোছাড়া করে কি লাভ? বরঞ্চ সো উৎসাহে বললাম ওকে। আমার সাথে যে থাকতো সেও আমার বাবা মাকে অনেকক্ষন বুঝালো- বোধ করি বললো যে তার রিহ্যাব লাগবে না- আমার লাগবে। 

তারপরে ২৩/২৪ জুন ২০১৬ সালের দিকে একদিন হঠাৎ করে আমার পরিচিত ৩/৪ জন লোক এবং রিহ্যাব সেন্টারের কয়েকজন মানুষ আমাকে আইসা ধইরা বাইন্ধা নিয়া গেলো -একটা মাইক্রোতে। তারা ডুইকাই বলতাছে যে ডিবি পুলিশ। তো ব্যাপারটা বুঝতে পারলাম। আগে মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রকে সেইফ হাউজ বলা হইতো না- আমাকে যেদিন রিহ্যাব সেন্টারে নিয়ে গেলো তার কিছুদিন আগে থেকে রিহ্যাব সেন্টার গুলোকে সেইফ হাউজ বলা হলো।  যাই হোক  ব্যাপারটা একটু অপমানজনক কিন্তু আশে পাশের অনেকেই ব্যাপারটাতে কি রিয়্যাকশন করেছে সেটা তেমন বুঝতে পারি নাই। তারপর কিছু ক্ষন পরে চলে আসলাম আগারগাও আস্থা মাদকাসক্স নিরাময় কেন্দ্রে- মাইক্রোতে করে। সেদিকে ডেমরা থানাতে পড়ে থাকলো পুলিশ ভাড়াটিয়া আইনের কপি। তার আগে মিরপুর ১২ নাম্বারে একটা গলির বাসভবনে বসবাস করতাম- ৩ নম্বর রোডে। মিরপুরের মোল্লা মসজিদের  কাছে একটা বিল্ডিং এ। সেখানে একটা ফ্ল্যাট নিয়ে বসবাস করতাম এবং ৩/৪ জনকে নিয়ে একা ফ্রি ল্যান্সিং এর কাজ করতাম। ৩ জনকে প্রায় ১০-১২ লাখ টাকার কাজ দিয়েছি। একজন ৩/৪ লক্ষ ফেরত দেবার কথা এখনো দেয় নাই। সেটা ছিলো  সম্ভবত তুরাগ থানার  ইউনিয়ন সুজানগর এলাকার অন্তর্ভুক্ত। ইউনিয়র ঢাকা জেলার অন্তর্গত হবার কারনে সেখানে সিটি কর্পোরেশনের পুলিশ ভাড়াটিয়া আই কাজ করবে না বলে জানানো হলো। সেখানে ও সেই বিল্ডিং এর একটি ফ্ল্যাটে সেখান কার এক ছোট ভাই ফ্ল্যাট মেম্বার হবার সুবাদে  একদিন ইয়াবার বেসন করতে বসে উত্তরার কিছু  বন্ধুদের সাথে নিয়ে। প্রায় ১২ ঘন্টা ধরে সেই গ্রুপটা এক জায়গায় বসে ইয়াবা সেবন করার কারনে (আমি জড়িত ছিলাম না) আমি স্থানীয় ভাবে পুলিশের চোখে পড়ি। তারপরে সেই ছোট ভাই আমাকে কল দিয়ে বলে- তুই কোন চ্যাটের বাল?- মানে আমাকে বলে? আমার সাথে কিছু ভালো ছেলে পুলে ছিলো এবং তারা জিজ্ঞাসা করলো- কি হয়েছে? তো আমি বললাম- আমার নামে ফ্ল্যাট ভাড়া বরাদ্দ । সেখানে একটা গ্রুপ ইয়াবা সেবন করতাছে  ১/২ দিন যাবত। তো তারা যাইয়া সেই আসর ভাংলো এবং তার গায়ে হাত তুললো। কিছুক্ষন পরে মাঝরাতে সেও তার লোকজন নিয়ে আসলো- ২ টা গ্রুপ আমাকে আগে থেকে বললো তারা আমাকে মার দেবার অভিনয় করবে কিন্তু মারবে না। কিন্তু তার সাথে আরো দুইটা গ্রুপ ছিলো যারা আমার গায়ে গাত তুলে ইভেন ঝাড় ফুক দেবার মতো  আরো কি কি যেনো করে (দেইখা মনে হলো তারা অন্য দেশের মেবি আফগান আফগান টাইপ পড়ে দেখি বাংলা বলে- তাদের হাতে মেয়েরা ডাল গুটনি দেয় যে রকম কাঠ দিয়ে সেরকম কি যেনো একটা ছিলো যা দিয়ে আঘাত করার ফলে মনে হয় যে আমাকে বিড়ালে খামছি দিলো)। তাদের মধ্যে একজন প্রথমে বলেছিলো- ২০০০০ টাকা দিতে তাহলে শরীরে আঘাত করবে না আমি বলেছি সম্ভব না। (তারপরে সেই এলাকাতে আমাদের টিমের সব ল্যাপটপ সিজ করে এবং আমাকে বলে যে দুই মাসের ফ্ল্যাট ভাড়া এডভান্স দিয়ে বাসা ছেড়ে দিতে- আমি কিছু বললাম না কারন আমার আচার ব্যবহার এ তারা কোন খারাপ কিছু পায় নাই কিন্তু অন্যান্যদের ল্যাপটপে অনেক খারাপ কিছু পায় মেবি। পরে আমি আরো কয়েকদিন ছিলাম এবং ১লা জানুয়ারী ২০১৬ সালে আমি ডেমরা এলাকাতে চলে আসি সেখানকার দুই বড় বাই পুরো ব্যাপারটা সেখানে যাইয়া সলভ করে (আগে ১০ হাজার (৫ হাজার আমার এবং ৫ হাজার আরেকজনের) টাকা দেয়া ছিলো- পরে তারা আরো বাকি যারা ফ্ল্যাট মেম্বার ছিলো তাদের কাছ থেকে ১৫০০০ টাকা নিয়ে এবং পুরো ব্যাপারটা মিউচুয়াল করে  সেই ফ্ল্যাট থেকে আমার সকল জিনিসপত্র এনে আমাকে ডেমরাতে বাসা ভাড়া করে দেয় থাকার জন্য-সেই দুই বড় ভাই এর প্রতি আমি চির কৃতজ্ঞ থাকবো কারন তারা আামকে বিশাল একটা হ্যারাজমেন্ট থেকে বাচায়)। সেটা ছিলো ২৫শে ডিস্মেবর এর সময়ে ২০১৫ সালে। যাই হোক সব মিলিয়ে রিহ্যাব টা জরুরী ছিলো। যেহেতু বিপথে গেছি সেহতেু এইটা নিজেরই দ্বায়িত্ব। তারপরে ৩ জন ডাক্তার দেখালাম- কাউন্সেলিং শুরু হলো এবং বললো যে আমার মেজর কোন প্রবলেম নাই কারন আমি নেশার জন্য চুরি/ডাকাতি/ছিনতাই করি নাই কখনো। তারপরে ও আমি শখের এডিক্ট এবং ঢাকা শহরে প্রতিরাতে যেই পরিমান মানুষ মদ গিলে তাদের সবারই যদি রিহ্যাব করতে হয়ে তাহলে তো পুরো দেশই নেশাখোর।  তারপরেও আমাকে সিগারেট কমাইয়া দেয়া হলো- দিনে ৪ টা এবং নিয়মিত কিছু  ঔষুধ দেয়া হলো। সন্ধ্যার পরে এক ঘন্টা টিভি দেখতে দিতো। এক সপ্তাহ পরে একদিন মাটিতে বসে আর সবার সাথে টিভি দেখতে ছিলাম । সেখানে দিন রাত ২৪ ঘন্টা ভিডিও রেকর্ডিং হইতো সিসিটিভির মাধ্যমে।আর সেই রিহ্যাব সেন্টার থেকে কেউ বের হতে পারতো না। সেখানে টিভি অন করতো প্রতিদিন সন্ধ্যার পরে  হলি আর্টিজেন হামলার নিউজটা  হঠাৎ করেই এই নিউজটা আমাদের সবার চোখে পড়লো এবং আৎকে উঠলাম।  ভয়ও পেয়ে গেলাম। তার আগে যেদিন  ব্লগার  অভিজিৎ মারা যায় সেদিন্ও আমি আরো কয়েকজন ফ্রি ল্যান্সারের সাথে বসে ( ফ্রি ল্যান্সার সেতু এবং ফ্রি ল্যান্সার সোহেল- এবং তাদের বন্ধু সার্কেল এ বসে টিএসসি এর গেটের উল্টা দিকে আড্ডা দিতেছিলাম। যেটাকে নাট্যমঞ্চ বলে বা ষ্টেডিয়াম বলে সোহরাওয়ার্দীর ভেতরে। তো আমরা ৮টা ১৫ এর দিকে বের হয়ে শাহবাগের দিকে হেটে চলে আসি -প্রায় ৫০০০ লোক একসাথে আড্ডা দিতেছিলো। শাহবাগ থেকে বুয়েট পর্যন্ত। ‍ উপরন্তু বইমেলা ও ছিলো। সেটা ৩ নম্বর গেটে জয়কালী মন্দিরের দিকে। তো হাটতে হাটতে যখন শাহবাগ মোড় েচলে আসি তখেন ল্ঙ্গি পড়া একজন লোক আইসা আমাদেরকে বলে- ভাই ভাই এইখানে দুইজন লোককে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা হয়েছে- আমি বললাম কোথায়? তো বলতাছে টিএসসির গেটে। তো আমরা বললাম- আমরা তো মাত্রই হেটে আসলাম কোন গ্যানজাম তো দেখলাম না - তো বলতাচে হইচে ভাই (লোকটাকে দেখে চা এর দোকানদারের মতো মনে হইলো অনেকটা) । তো আমরা তাকে শাহবাগ এর থানা দেখাইয়া দিলাম (তখন আমরা শাহবাগ থানার সামনে অলরেডী) এবং বললাম আপনি দয়া করে পুলিশকে জানান - আমরা এখানে কি করবো- বলতাছে আপনারে দেইখ্যা পুলিশ মনে হয়েছিলো। আমি উত্তরে বললাম আমি পুলিশ না। সাধারন মানুষ। তারপরে বাংলামোটরে আইসা কিছুক্ষন আড্ডা দিলাম এবং মিরপুর ১২ নাম্বারে চলে আসলাম ১০-১১ টার মধ্যে। আইসা ল্যাপটপে বসার আগেই এক ভাই বলতাছে যে শাহবাগে একজন ব্লগার হত্যা হইছে। তো আমি বললাম দেখি নাই। বলতাছে অনলাইন পত্রিকাতে আছে দেখেন। পরে অনলাইনের নিউজপেপারে বের করে দেখলোম যে অভিজিৎকে কুপাইয়া হত্যা করা হয়েছে। পরে একটু কষ্ট পাইলাম যে যে লোক  দেশের  বাহিরে থাকে, ইউএস এর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আর তার বাবাও   ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আর যে কিনা নিজেও প্রেম করে বিয়ে করেছে - ঢাকা বিশ্ববিধ্যালয় আবাসিক এলাকাতে বসবাস করেছে বা এখানেই সে বড় হয়েচে সেখানেই তাকে এরকম নির্মম ভাবে হত্যা করা হলো। মনটাও খারাপ হলো। পুরো ব্যাপারটাই বইমলোর গেট হবার কারনে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ে  যা দেখে পুলিশ  তাদেরকে গ্রেফতার করেছে। আজো অভিজিৎ এর লাশ সমাহিত করা হয় নাই। ঘটনাটা এফবিআই এর তদন্ত মুখেও পড়েছিলো বা আছে। )

অপর আরো একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করতে হয় রিহ্যাব করার কারন বা রিহ্যাব এর কথা শেষ হবার আগে- মিরপুর ১২ নাম্বারে যে বিল্ডিং এর ২ বছর ভাড়া ছিলাম সেখানে দুই পাশের সিড়িতে প্রায় ৪০টা ফ্ল্যাট। আশে পাশের ফ্ল্যাটে অনেক গার্মেন্টস এর মেয়েরা বসবার করতো। তাদের কয়েকজনের সাথে মাঝে মাঝে কথা হইতো। তো ২০১৪ সালে এক ফ্ল্যাটে ছিলাম আর ২০১৫ সালে আরেকপাশের সিড়িতে আরেক ফ্ল্যাটে ছিলাম। ২০১৪ সালে প্রথম যে ফ্ল্যাটে ছিলাম সেখানেই আমাকে পরিকল্পনা করে প্রথম ইয়াবা খাওয়াইয়া দেয়া হয়- আমি অনেকদিন ধরেই (প্রায় ৬ বছর) এই জিনিস থেকে মুক্ত ছিলাম এবং তেমন কখনো ইউজ করি নাই। টুকটাক তামাক খাইতাম বা মদ বিয়ার খাইতাম। কিন্তু ইয়াবা কখনো সেবন করবো ভাবি নাই। ভালোই পার্টি হইতো প্রায়শই। যারা কাজ করতাম ফ্রি ল্যানসিং এর তারা মাঝে মাঝে এই ড্রাগস নিতাম। কিছুদিন পরে আমার মারাত্মক দরকারি একটা ফ্রি ল্যান্সিং একাউন্ট হারাইয়া ফেলি। তার কিছুদিন আগে ময়মনসিংহের আমার বাসাতে আইসা আরেকটা একাউন্ট ওপেন করে রাখি। আগেরটার নাম ছিলো অন্য নাম- বাংলাদেশী অরিজিনাল নাম না। তারপরে আবার দ্বিতীয় একাউন্টে ১০০% ভেরিফাঢেয করে কাজ শুরু করি। প্রথম একাউন্টটা সাসপেন্ড হয় নাই- পজ করে রাখা হয়। কয়েক মাস পরে ল্যাপটপ এবং মোবাইল কম্পিউটার ফ্ল্যাটের ভেতরের ২/৩ জনের যোগসাজশে চুরি হয়ে যায়। হাজার হাজার তথ্য- প্রায় কোটি টাকার ইনফরমেসন- ধরতে গেলে হাজার হাজারে কোটি টাকার ইনফরমেশন কারন আমার ১০০% প্রাকটিক্যাল অভিজ্ঞতা থেকে তৈরী করা।  থানাতে সন্দেহভাজন সবাইকে নিয়ে জিজি এন্ট্রি করলাম- পুলিশ বললো আপনার ফোনটা খোলা রাখবেন। আপনার আশে পাশে যারা আছে তারাই চুরি করেছে। ধরতে পারলে আপনাকে জানাবো। তারপরে সেই বিশাল বিল্ডিং বসবাস করার সুবাদে যাদের সাথে খাতির হলো তাদের এক বান্ধবী হঠাৎ করেই সুইসাইড করে অণ্যান্যদের দেয়া তথ্য মোতাবেক । তারা ৬ তালাতে থাকতো। আমারা সাথে কোন খাতির ছিলো না।  ২/১ দিন ভালো আছেন - হা ভালো মেটার। ২০১৫ সালের ২৪ শে নভেম্বর বা ২৫ শে নভেম্বর- রাতভর মার্কেটপ্লেসের  কাজ শুরু করে ঘুমাইতেছিলাম- মেসে বসবাস করা কয়েকজন গারমেন্টস কর্মী আইসা ঘুম থেকে উঠালো পরেরর দনি দুপুর পৌনে দুইটায় এবং বললো যে ভাই এইখানে একজন সুইসাইড করেছে। তো আমি ঘুম থেকে উঠে মুখ না ধূয়ে গেলাম এবং যাইয়া দেখলাম ফ্যানের সাথে একটা মেয়ের ঝুলন্ত দেহ এবং সেটা প্রায় মেঝের সাথে লাগোয়া। তো আমি বললাম যাদেরকে চিনি যে কে- তো বলতাছে যে ভাইয়া অমুক? পরে বললাম পুলিশ ডাকো। বলেলো ডাকতে গেছে। কিছুক্ষনের মধ্যেই পুলিশ আসলো এবং লাশ  নামাইয়া চলে গেলো। যাদের বাসাতে আত্মহথত্যা হয়েছে তাদের লোকজন থানাতে গেলো- পুলিশের সাতে সব কথা বার্তা হলো - যেই মহিলার রুমে ঝুলন্ত লাশপাওয়া গেছে সেই মহিলা বললো পুলিশের সাথে কথা বার্তা হয়েছে - লাশ ডাকা মেডিকেলের মর্গে পাঠানো হইছে তারপরে আরো কয়েক ঘন্টা পরে লাশবাহী গাড়ি আসলো এবং তারা সেই লাশ মেয়ের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ইটনা মিঠামইন এলাকায় নিয়ে সমাহিত করলো। তারপরে সেখানে আরো প্রায় ৩৫ দিন ছিলাম- এবং ডেমরাতে চলে আসি। ডেমরাতে আসার প্রায় ৬ মাস পরে-  ১০৭ দিন রিহ্যাব করার পরেও বের হয়ে একটা নতুন মোবাইল কেনার জণ্য মিরপুর ১০ নাম্বারে যাবার পথে আমার আব্বা  এবং আম্মাকে নিয়ে গেছিলাম তাদের কি যেনো একটা কাজ ছিলো। তো কাজ  কমপ্লিট করে মিরপুর ১ নাম্বারে আসে আর আমিও মোবাইল কিনে মিরপুর ১ নাম্বারে চলে আসি। ২০১৩ সালে কসাই কাদেরের ফসির দিনে সোহরা ওয়ার্দী উদ্যানের আনন্দ মিছিলে জয়েন করেছিলাম। তারপরে মিরপুর ১২ নাম্বার থেকে একটা গ্রুপ আমাকে ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেখে কল  দেয় এবং অনুরোধ করে তাদের সাথে থাকার জন্য। ২০১৪-২০১৫ এই দুই বছর ছিলাম সেখানে। এখনো আমার মোবাইল নাম্বার খোলাই্ আছে আর সে ল্যাপটপ ও দরকার নেই তেমন। এর পরে আরো কয়েকটা ল্যাপটপ কিনেছি। সব মিলিয়ে রিহ্যাব বা রিহ্যাবিলিটেশন প্রোগা্ম যে আমার কাজে লেগেছে তার প্রমান আমি নিজে। বাসাতে চলে আসলাম ময়মনসিংহে। সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দিলাম এবং আবার নতুন করে শুরু করলাম এবং এখনো আল্লাহর রহমতে কাজ করে যাইতাছি। রিকভারি বয়স আজকে প্রায় ৪৮ মাস। ৪ বছর। এর  মাঝে আজকে হঠাৎ করেই সেই ১৯ জন ইটালিয়ান মেয়ে মার্ডার হবার ঘটনা হলি আরটিজেন এর কথা মনে পড়লো। যদি বাহিরে থাকতাম তাহলে হয়তো আরো ১০ জনের মতো আমারো কষ্ট হইতো কিন্তু এডিক্ট এবং রিহ্যাব সেন্টারে থাকার কারনে ব্যাপারটা খুব বেশী নাড়া দিতে পারে নাই হয়তো বা। কিন্তু প্রথমে অনেকটাই কষ্ট পেয়েছি ঘটনাটা দেখে যে যারা এই কাজ করেছে তারা কি মানুষ নাকি অন্য কিছু? 





 এই দেশে ১৫ লক্ষ ইউরোপিয়ান আমেরিকান বা ফরেনার বসবাস করে- তাদরে সকলের জন্য ই চিরকালই মনের মধ্যে এই হলি আর্টিজেন এর হামলার ঘটনার একটা ভয় কাজ করবে। এই দেশ কে আর কখনো ফরেনাররা ১০০% নিরাপদ ভাববে না। 


No comments:

Post a Comment

Thanks for your comment. After review it will be publish on our website.

#masudbcl