Translate

Tuesday, July 28, 2020

জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া আর রেল-ভ্রমণ করা যাবে না।

উদ্যোগটা সুন্দর। জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া রেলওয়ে ভ্রমন করা যাবে না এবং এই একই আইন সমস্ত বাংলাদেশীদের জন্য এয়ারেপোর্টেও করা দরকার।  এ প্রসংগে একটা কাহিনী মনে পড়ে গেলো:

১৯৮৬/৮৭ সালের দিকে (কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আবাসকি এলাকাতে থাকার সুবাদে) একদিন হাটাহাটি করতে বের হয়েছিলাম। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় পোলট্রি ফার্ম ঘুরে হাট েহাটতে যাইতেছিলাম কেওয়াটখালী ওয়াপদা এলাকার দিকে- হাতের বাম পামে পড়ে তৎকালীন ভয়াবহ জঘন্য এলাকা (মাল খালাস করার কারনে এবং রেলওয়ে সেড ঘর থাকার কারনে এবং হঠাৎ করে পরিকল্পিতভাবে ট্রেন থামানোর কারনে) এইটা ছিলো মাদক চোরা কারবালীদের অন্যতম প্রধান স্পট এবং বস্তি ঘিন্জি এলাকা। হাটতে হাটতে সেই এলাকা ক্রস করার সময়ে কিছু ৩/৪ জনের মতো শধ্য বয়স্ক যুবকের মতো- ৪০ এর মতো হবে বয়স আমাকে ( আমর বয়স হবে ৬/৭ বছরের মতোন) ডাক দিতাছে- এই পিচ্চি এই পিচ্চি এদিকে আসো। কাছে গেলাম- রেলওয়ে কোয়ার্টার শুরু হবার আগেই স্থানীয় বাংলাদেশের জায়গায় (আমাদের সদ্য কেনা একটা প্লট যেটাতে বর্তমানে বসবাস করি সেটা দেখার জণ্য আসতাম মাঝে মাঝে এবং সেই সময়ই ফিরে যাবার সময়ে এই কাহিনী) দাড়িয়ে থাইকা বলতাছে- দেখো দেখো পূর্ব দিকে তাকিয়ে দেখো- আমি তাকিয়ে দেখি ৩ জন পুরুষ এবং ১ জন মহিলা বিশাল বিশাল ড্রেন পরিস্কার করার বাস দিয়ে ড্রেন পরিস্তার করতাছে। এক সিরিয়ালে দাড়াইয়া রেলওয়ে কোয়ার্টারের পায়খানার ড্রেন পরিস্কার করতাছে- জায়গাটা দিয়ে যাইতে একটু কষ্ট হইতো কারন পায়খানার বিশাল গন্ধ করতো কিন্তু আশে পাশের মানুষ ইউজটু ছিলো। ২/৩ মিনিট লাগতো জায়গাটা পাশ কাটাইয়া যাইতে। তো যারা ড্রেন পরিস্কার করতাছে তারা দেখলাম এক সিরিয়াল দাড়াইয়া ড্রেন পরিস্কার করতাছে- সহজ বাংলায় রেলওয়ের সুইপারের কাজ করতাছে। তো আমি সেই যুবকদেরকে উত্তর দিলাম- এইগুলো কারা? তো তারা আমাকে উত্তরে বলতাছে- এরা স্বাধীনতা যুদ্বের রাজাকার- শাস্তি হিসাবে এদেরকে দিয়ে ঘু পরিস্কার করাইতাছি। তোমারে দেখাইয়া রাখলাম - তুমি একদিন বাংলাদেশীদেরকে জানাইয়া দিবা যে এই দেশের রাজাকারদেরকে দিয়ে পায়খানা পরিস্কার করানো হয়েছে যা তুমি নিজের চোখে দেখেছো। তারপরে সেই টেম্পোরারী মেথর গুলোকে ডাক দিয়ে আমার সামনে আনানো হলো এবং বললো যে সালাম দে- তারা আমাকে সালাম দিলো এবং আমি তাদের মুখের দিকে তাকালাম। তখণ সেই বাংলাদেশী বড় ভাইরা বলতাছে - ভালো করে এদের চেহারা চিনে রাখো যেনো ভবিষ্যতে তোমার চিনতে সুবিধা হয়। সেই সময়ে ১৯৯০ গন জাগরনের প্রস্তুতি চলতাছিলো-  রাজাকারের ফাসির দাবীতে সারা বাংলাদেশ উত্তাল হয়ে উঠেছিলো ১৯৯০ এর গনজাগরন। 

তো তারপরে সেই বড় ভাইদেরকে জিজ্ঞাসা করলাম- আপনার কারা? তো বলতাছে আমরা মুক্তিযোদ্বা। কিন্তু অশিক্ষিত। পড়াশোনা করি নাই। বাংরার জন্য জয় বাংলা বলে যুদ্ব করেছি। কিন্তু পড়াশোনা পারি না বলে সরকারি চতুর্থ শ্রেনীর চাকুরী নিয়েছিলাম- তাই আমরা আমাদের হাতের কাজ নিজেরা না করে সারা দেশ থেকে রাজাকার ধরে আইনা তোদেরকে দিয়ে করাইতাছি। কোন রাজাকারকে আমরা কোন সরকারি চাকুরী দেই নাই দেশ স্বাদীন হবার পরে। তো আমি বললাম- খুবই ভালো কাজ করেছেন। এই ধরনের নোংরা একটা কাজ আপনাদের করার চেয়ে রাজাকারদেরকে দিয়ে করাচ্ছেন- প্রশংসার দাবীদার। আপনারা ভালো থাকবেন। তারপরে আরো অনেকবার উনাদের সাথে দেখা হয়েছে এবং প্রতিবারই নতুন নতনু মজাদার কাহিনী শুনিয়েছেণ। পরে শেষে শুনেছিলাম তারা চাকুরী বাকুরী ছেড়ে ভারতে চলে গেছিলেন - ১৯৯০ সালের গনজাগরনের পরে। 


তো মাদকের সাপ্পাইয়ে সেরা থাকা রেলেওয়েতে এখন জাতীয় পরিচয়পত্র অন্তভুক্ত হয়েছে। যেহেতু জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া টিকেট কাটা যাবে না সেহেতু  এটা তো নিশ্চিত আকারেই বলা যাবে যে- জাতীয় পরিচয়পত্র নাই এরকম কোন লোকও রেলওয়েতে চাকুরীর সুযোগ ও পাবে না। এখানে উপরের নিউজ েবলেছে- টিকেট চেকারের হাতে স্মার্ট ফোন বা ট্যাব থাকবে যা দিয়ে তাদের টিকেট পরীক্ষা করা যাবে না। রেলেওয়ের টিকেট চেকার চতুর্থ শ্রেনীর পদ বোধ করি। তাদের হাতে স্মার্ট ফোন বা ঠ্যাব কতোদিন থাকবে তা বরা মুশকিল। সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্থ খাত হিসাবে বিবেচিত বাংলাদেশ রেলওয়ে তে আশা করি টিকেট চেকার রা হাতে মোবাইল ফোন বা ট্যাব পাইয়া নিজেকে রাষ্ট্রের প্রথম শ্রেনীর কর্মকর্তা হিসাবে ভাববে না।যেহেতু টিকেট কাটার ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক করা হয়েছে সেহেতু পুরো রেরওয়েকেই জাতীয় পরিচয়পত্র আইনরে আওতায় আনন উচিত যেমন কারো যদি বৈধ জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকে তাহলে সে রেলওয়ের চাকুরী যেমন করতে পারবে না তেমনি যারা রেলওয়ে থেকে পেনশনে গেছে তাদের সকলেরই জাতীয় পরিচয়পত্র বা অেভটার রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার আছে কিনা এবং সেই মোতাবেক সে বৈধ নাগরিক কিনা - তাও তার জমি জমার বা দখলে তাকার জায়গা জমি থেকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তাদের কে সুবিধঅ বা অসুবিধা দেয়া উচিত। বলা তো যায় না সেই সকল বড় ভাইরা যারা বাংলাদেশ সরকারের বৈধ কর্ম চারী ছিলো যারা দেশ ছেড়ে ভারত চলে যাবার আগে সারা বাংলাদেশের সমস্ত রেলওয়ে লোকেশনে ঠিক কতো পরিমান রাজাকারকে দিয়ে ঘু ওরফে পায়খানার ড্রেন পরিস্কার করাতো বা মেথরের কাজ করাতো। সেই মহিলার চেহারাটা আজো অনকে সময় চেনা চেনা লাগে (আমার সাথে কোন ধরনের আত্মীয় সম্পর্ক নাই সেই মহিলার শুধূ ফেসটাই মনে পড়ে)। (আমি রেলওয়ে পরিচয় দানকারী কয়েকজনের ফেস চিনি যারা বলে বেড়ায় তাদের জাতীয় পরিচপয় পত্র ডুপ্লিকেট এবং তারা রেলওয়ের সাতে জড়িত। অথচ সোনালী ব্যাংক বা রেলওয়ের গেজেট খূজে তাদরেকে খুজে পাওয়া যায় নাই বলে শূনেছি এবং তাদের বলে লোকাল জায়গা জমির বৈধ দলিল ও নাই। জিজ্ঞাসা করলে বলে তারা নাকি দখলদার। জোড় করে বাংলাদেশে বসবাস করে। বাংলাদেশ পুলিশের তৈরী করা আইন পুলিশ ভাড়াটিয়া আইনে ভেরিফিকেশন করলে তাদের সব কিছু খুজে পাওয়া যােইতে পারে। শুনেছি তাদের ভোটার নাম্বার ও নাই।  )

নোট: একইসাথে বাংলাদেশ বিমানেও জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া বিমান টিকেট কাটাও বন্থ করে দেয়া উচিত । বলা তো যায় না কোন কোন দেশের কোন কোন সন্ত্রাসী কোন কোন তকমা গায়ে দিয়ে বাংলাদেশে বসে আছে। বাংলাদেশ সরকার তো আর সন্ত্রাসীকে কোন জাতীয় পরিচয় পত্র দেয় নাই। 

No comments:

Post a Comment

Thanks for your comment. After review it will be publish on our website.

#masudbcl