Translate

Tuesday, January 5, 2021

শয়তানকে নিয়ে একটি বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী। শয়তান এবং তার প্রজন্ম এবং ধ্বংস।

কাহিনীটা সম্পূর্ন রপে কাল্পনিক। এর কোন ঘটনার সাথে কেউ কাউকে মেলানোর চেষ্টা করবেন না। 


একদল বিজ্ঞানী একবার একখানে বসে গবেষনা করতে করতে টেষ্টটিউব বেবী বানানোর জন্য প্রয়োজণীয় সব রসদ পেয়ে গেলো। তো চিন্তা করতে শুরু করলো যে কিভাবে কি করবে? এইটাকে আপনি আইয়ামে জাহেলিয়াত  যুগের ঘটনাও বলতে পারেন। তখন এমন কোন কাজ নাই যা হয় নাই পৃথিবীতে। যেমন: 

  • মা সন্তানের সাথে সেক্স বা বিয়ে করতো। (আস্তাগফিরুল্লাহ বা নাউযুবিল্লাহ) (নাস্তিক)
  • ভাই বোন সেক্স বা বিয়ে করতো। (আস্তাগফিরুল্লাহ বা নাউযুবিল্লাহ) (নাস্তিক)
  • মেয়ে পিতার সাথে সেক্স করতো বা বিয়ে করতো। (আস্তাগফিরুল্লাহ বা নাউযুবিল্লাহ) (নাস্তিক)
  • ২ জন ছেলে ১ জন মেয়ে বিয়ে বা সেক্স করতো। (আস্তাগফিরুল্লাহ বা নাউযুবিল্লাহ) 
  • ২ জন মেয়ে ১ জণ ছেলে সেক্স করতো বা বিয়ে করতো। (আস্তাগফিরুল্লাহ বা নাউযুবিল্লাহ) 
  • একদল ছেলে বা মেয়ে একসাথে উলংগ হয়ে সেক্স করতো বা বিয়ে করতো। (আস্তাগফিরুল্লাহ বা নাউযুবিল্লাহ)
  • ঘরের স্ত্রী অন্য পুরুষের সাথে মেলামেশা করতো। 
  • একজনের প্রেমিক আরেকজনের প্রেমিকার সাথে সেক্স করতো। 
  • মোদ্দা কথা যতো ধরনের শয়তানি তরিকা আছে সবই করতো। 



তখন একদল ধার্মিক বিজ্ঞানী আইডেন্টফাই করার চেষ্টা করলো যে কি করা যায় বা কিভাবে শয়তানকে থামানো  যায় এবং শয়তানের সাথে কথা বলা যায়। তখণকার দিনের ঈমানদার মানুষ শয়তানকে ডেকে কথা বলতে পারতো। কারন তখণ অপরাধ টা ২/১ খানে ছিলো: সারা দুনিয়াতে ছড়াইয়া ছিটাইয়া ছিলো না। এখন সারা দুনিয়াতে শয়তানের কার্যক্রম ছড়াইয়া ছিটাইয়া গেছে ফলে এখন আর শয়তানের সাথে কথা বলা যায় না। কারন তার ক্ষমতা কিছুটা বৃদ্বি পাইছে মনে হয় কিন্তু শয়তান ছিলো পদ্বতিগত ভাবে জারজ , হিজড়া এবং স্বভাবতই বন্ধ্যা। মানে তার যে কোন একটি ক্ষমতা ছিলো তা হইতাছে : সে তার শরীরের একটি অংগকে পুরুষের লিংগের মতো করতে পারতো (কিন্তু তার বাচ্চা হতো না ) বা একটা ছোট ফুটো তৈরী করতে পারতো যেখানে  তার সাথে অন্য পুরুষেরা মনে মনে সেক্স করতে পারতো বা তার অনুসারীরা বোধ করি তার সাথে বাস্তবেই  সেক্স করতে পারতো কিন্তু তার কোন বাচ্চা হতো না। তার এই সকল উল্টা পাল্টা কাজে অতিষ্ট হয়ে একদল ধার্মিক বিজ্ঞানী একসাথে হয়ে শয়তানের সাথে অলোচনা করতে চাইলো। শয়তানও আরো বেশী শয়তানি ধান্ধাতে সেই ধার্মিক দলের সাথে আলোচনা করতে চাইলো। তো তারা একসাথে একখানে একটি জায়গা ঠিক করলো। 



তখণ পৃথিবীতে কোন নবী ছিলেন না। একজন নবী চলে গেছেন এবং অপর আরেকজন নবী আসবেন এরকম একটি সময়ের কথাই বলা হইতাছে। তো নবীজির অনুসারীরা শয়তানকে থামানোর জন্য আলোচনা শুরু করলো। তারা আগে থেকেই পরিকল্পনা করে রেখেছিলো : যে তারা শয়তান কে বলবে যে তারা টেষ্টটিউব চাইল্ড বানাতে পারে বা তারা সেই মেথড জানে। আদতে তাদের বানানোর কোন ইচ্ছা ছিলো না। জাষ্ট এমন একটি কিছু করা যাতে শয়তান থতমত খেয়ে যায়। পরে শুরু হলো সারা দুনিয়াতে চলমান শয়তানের শয়তানি গুলোর বিুরদ্বে কথোপকথন। 



তো সকলেই জানে বা জানতো শয়তান হইতাছে পৃথিবীর সবেচেয়ে বড় নাস্তিক। বর্তমানের মেডিকেল সায়েন্স বলতাছে: অনিরাময়যোগ্য রোগ এই্ডস বা এইচআিইভি পজিটিভ শুধূমাত্র অনিরাপদ যৌন সম্পর্ক  থেকেই তৈরী হয় যা বর্তমানে চলতাছে বিশ্বের অনেকখানে। তারা একটি আলাদা প্রজন্ম তৈরী করে রেখেছে যার নাম : এ .. হোল অর সামথিং হোল। তারা নিজেদেরেকে শয়থানের প্রজন্ম বলেই স্বীকৃত করে থাকে। তারা নাস্তিক। তারা মনে করে এই দুনিয়ার পরে আর কোন দুনিয়া বা জীবন নাই। আমি যতোদূর বুঝেছি : প্রাপ্তবয়স্কে পায়ুপথে সেক্স করার কারনেই তাদের এই বোধোদয়। এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে তারা কি মানুষ না? তাদের কি সেন্ড অফ হিউমার বা বিচার বিবেচনা বুদ্বি নাই।  তো সেই ব্যাপারটাতে আসি। কিভাবে শয়তান এই ফ্যাসাদ তৈরী করলো এই দুনিয়াতে? 


তারপরে সেই ধার্মিক বিজ্ঞানী দল শয়তান কে চ্যালেন্জ করলো যে:  তারা অবিকল মানুষ বানাতে পারে। তখন শয়তান থতমত খেয়ে গেলো। বললো : মানুষ তো বানায় সৃষ্টিকর্তা তোরা কিভাবে বানাবি? তো বলতাছে ঠিক যে  নিয়মে মায়ের গর্ভে সন্তানের জন্ম হয় সে নিয়মেই জন্ম হবে তবে বাহিরে। (মানে টেষ্টিটিউব চাইল্ড আর কি) তখণ শয়তান বলতাচে জান বা আত্মা দেবে কে? তখন এই বিজ্ঞানীরা থেমে যায় এবং কৌশলে নিজেদেরেকে সরিয়ে নেয় কারন তাদের ইচ্ছাই ছিলো শয়তানের শয়থানি যেনো এক সেকেন্ডের জন্য হলেও থামে আর তারা যেনো তাদের  পূর্ববর্তী নবীজির বানীগুলো সারা বিশ্বে ছড়াইয়া দিতে পারে। তখণ সেই ধার্মিক বিজ্ঞানী দল শয়তান কে পুরে প্রসেসটা দেখালো নথিগতভাবে কিন্তু নিজেরা করে দেখালো না (মানে X and Y  ক্রোমোজোমকে একসোথে করে দেখালো না)। মানে যেটা টেষ্টটিউবে এ করে দেখানো হয় সেটা। তখন শয়তান সেই ধার্মিক দলকে জিজ্ঞাসা করলো: যে তোমাদের জন্ম কই? তো বিজ্ঞানীরা বলেছে: লওহে মাহুফজে- আত্মা হিসাবে। তারপরে দুনিয়াতে সঠিক বাবা মায়ের ভালোবাসাতে সৃষ্টিকর্তার নির্দেশে অত্র দুনিয়ায় তাদের জন্ম (যা মুসলিম ধর্মে ঈমানে মোফাচ্চারে বলা আছে সেরকম দুনিয়া) । তো শয়তান এই মেথড টা দেখার পরে ভুলে গেলো যে তার জন্ম হয়েছিলো কোথায় আর সে কোথায় কোথায় সেজদা দিয়েছিলো। সে সৃষ্টিকর্তাকে সাথে সাথেই ভুলে গেছে অভিশাপ পাবার সাথে সাথে। কিন্তু তার কিছু ব্যাপার মনে ছিলো যেমন সে ছিলো নাস্তিক জ্বীন। জ্বীন রা যখন নাস্তিক হয় তখন সাথে সাথে অভিশাপ প্রাপ্ত হয় কারন সে অদৃশ্য হবার কারনে অদৃশ্য সৃষ্টিকর্তাকে যতোটুকু অনুভব করে মানুষ ততোটা অনুভব করতে পারে না। সেই কারনে জ্বীণ নাস্তিক হলে এই দুনিয়াতে সে আর কখনো ঈমানদার হতে পারে না বলে শুনেছি। কেয়ামতের ময়দানে সৃষ্টিকর্তা তার বিচার করে যা ফয়সালা দেবে তাই। আর যারা নাস্তিক হবার পরে বুঝতে পারে ভুল করেছে তারা সম্ভবত দুনিয়াতে কোন মানুষকে আ আলেম ওলামা মাওলানাকে  ম্যানেজ করতে পারে তাহলে সেই তরিকাতে বা তাদের কাছ থেকে তরিকা নিয়ে বেচে থাকতে পারে।  ক্ষমা চায় এবং সেই ভাবেই তারা কেয়ামত পর্যন্ত ভালো মানুষের সাথে থাকতে পারে - যদি ভালো হতে চায়। ‍ কিন্তু মানুষ যদি নাস্তিক হয় তাহলে সে তওবা করে পুনারয় ধার্মিক হতে পারে আর সৃষ্টিকর্তা ও থাকে মাফ করে থাকেন কারন মানুষ হিসাবে ঈমান বজায় রাখাটা অনেক কষ্টের। না দেখে সৃষ্টিকর্তা, ফেরেশতা, কোরান সহ সকল বই এবং দুনিয়া, আখেরাত, হাশর, পুলসিরাত, জান্নাত , জাহান্নাম সবকিছু বিশ্বাস করে টিকে থাকা আর সেভাবে আমল করে যাওয়া- ব্যাপারটা বিশাল এবং শুনেছি সৃষ্টিকর্তার কাছে অতীব ভালোবাসার। 


এখন শয়তান সেই টেষ্টটিউব চাইল্ড তৈরীর ব্যাপারটা শুনে এবং জেনে থেমে যায়। সারা দুয়িণাতে শয়তানের অনুসারীরাও থেমে যায়। সেই সময় সে ধার্মিক বিজ্ঞানী দল সেই সময়কার নবীজির প্রজার প্রচারনা শুরু করে এবং সারা দুণিয়ার মানুষ ভুল বুঝে শয়তানের পথ থেকে সরে আসে আর নবীজি র পথ ফলো করা শুর ‍ুকরে। সকলেই হাফ চেড়ে বাচে কারন জান্নাত যাবার জন্য মিনিমাম একবার হলেও তো কালেমা পাঠ করতে হবে (তখনকার নবীজির যে কালেমা ছিলো সেটা)। সেই ধার্মিক বিজ্ঞানী দল খুশি হলো। আর শযতান সম্পূর্ন একা হয়ে গেলো। তো শয়তান হইতাছে সবচেয়ে বড় খোদাদ্রোহী। শয়তান দেখলো তার অনুসারীরা সব ধার্মিক হয়ে গেছে- তাদেরকে দিয়ে আর খারাপ কাজ করাতে পারতাছে না। তখন শয়তান কোন বুদ্বি খুজে না পেয়ে শেষমেষ সেই নথিটা কই আছে তা খূজে বের করে চুরি করে ফেলাইলো। সেই ধার্মিক বিজ্ঞানী দল আর তেমন সতর্কতা অবলম্বন করে নাই্। শয়তান সেই নথিটা চুরি করে অনেক দূরে এক মরুভূমির কাছে চলে আসলো। একটা মরূভৃমিই ইয়েমেন থেকে শুরু হয়ে সৌদি আরব, মধ্যপ্রাচ্য, কাতার কুয়েত ওমান হয়ে ইসরাইল এবং আফ্রিকা পর্যন্ত বিস্তার করে। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মরুভুমি এইটা। এটাই সে ব্যবহার করতে উদ্যত হয় এবং এইখানে সে একটা ল্যাবরেটরিতে (x and y chromosome) কে মিলাতে স্বক্ষম হয় এবং সৃষ্টিকর্তা যেভাবে প্রান দান করে ঠিক সেরকম  ভাবেই সেখানে সৃষ্টিকর্তার জন্মের নিয়মে প্রানের সঞ্চার হয়। 



তার আগে তাকে আবার নতুন করে অনুসারী তৈরী করতে হয়। মাঝে অনেক সময় পার হয়ে যায় তারপরে ল্যাবরেটরিতে তৈরী সেই ক্রোমোজোমকে তার অনুসারী মহিলার (ব্যভিচারিনী) মাতৃগর্ভে স্থাপন করতে স্বক্ষম হয় এবং ১০ মাস ১০ দিন পরে সেই বাচ্চা আসার পরে শয়তান ক্রমাগতই একটি প্রজন্ম তৈরী করতে থাকে এবং কিছু তৈরী হবার পরে সেখানে সে নিজেকে খোদা দাবী করে বসে আর নানাবিধ কারনে যতো ধরনের খারাপ কাজ আছে তার সবই সে করাতে স্বক্ষম হয়: যা কিছু ধর্মে  নাই তার সব কিছই। যেমন: 

  • পারিবারিক সেক্স। 
  • ছেলে এবং মেয়ে পায়ুপথে সেক্স। 
  • ২/৩জন মিলে সেক্স বা গ্ররপ সেক্স ।
  • সকল ধরনের খারাপ সেক্স। 
  • পশুদের সাথে সেক্স বা এরকম আলো অনেক  ধরনের ব্যাপার স্যাপার যা আমরা পর্নো মুভিতে দেখে থাকি। 

নোট: তো আমি বিশ্বাস করি সৃষ্টিকর্তার অপার কৃপাতে সেই প্রজন্ম ই এখন কোভিড করোনাতে মরতে বসেছে পেনডেমিক আকারে। বোধ করি পেনডেমিক হবে বিশ্বের সব দেশে। যুক্তরাষ্ট্রে বা ইউরোপে প্রথম পেনডেমিক শুরু হয়েছে বলে আপনি খুশী হয়ে যাইয়েণ না- যাইয়া খবর নিয়ে দেখেন মানুষ কেউ মারা যাইতাছে না বোধ করি - কারন মানুষকে মারে আজরাঈল (আ:)। সেই সকল টেষ্টটিউব প্রজন্ম গুলোই মরতাছে বা মারা যাইতাচে যারা বিভিন্ন দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোপের ভেতের যাইয়া নাগরিকত্ব নিয়েছে। আমি বিশ্বাস করি ঈমানদার কোন লোক এই রোগে মারা যাইতাছে না কারন ঈমানদার লোকজন জানে কিভাবে তাদের রোগ বালাই সারাতে হয়। আর এরপরে একসময় আসবে আফ্রিকা এবং এশয়াতে। তো ভাই বাচার জণ্য যে কোন নবীজির পথই অনুসরনীয় কিন্তু দয়া করে কোন শয়তানের পথ বাতলাবেন না বা দেখাবেন না।  

 

No comments:

Post a Comment

Thanks for your comment. After review it will be publish on our website.

#masudbcl