Translate

Monday, January 11, 2021

Youtube Channel ভিত্তিক কোন গ্যাং এর হাতে পড়া বা না পড়া।


 



একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরী করতে আপনার কি কি লাগে চলেন আগে সেটা দেখে নেই: 

  • একটি সেফ এবং সিকিউরড মোবাইল বা ডিভাইস এবং ইন্টারনেট কানেকশন
  • একটি ফুল ভেরিফায়েড জিমেইল এড্রস
  • একটি জিমেইল দিয়ে তৈরী করা একটি ইউটিউব একাউন্ট
আপনার জিমেইল এবং ইউটিউব টি ভেরিফায়েড করে নিতে হবে যাতে কখনো হ্যাক হলে সেটা আপনি আবার ফেরত আনতে পারেন। 


কিভাবে ভেরিফায়েড করবেন জিমেইল এবং ইউটিউব? 
একদমই সহজ। আপনি যখন জিমেইল এবং ইউটিউব একাউন্ট তৈরী করবেন তখণ আপনি আনপরা মোবাইল নম্বরটা ভেরিফাই করে নিবেন। ব্যাস তাহলেই হয়ে গেলো ভেরিফিকেশন। 







সারা বিশ্বের যারা খুব পপুলার তারা সাধারনত নিজেদের সোশাল মিডিয়া নিজেরা মেইন টেইন করতে চায় না। কিন্তু ইন্টারনেটের দুনিয়াতে আপনি কখনোই কারো সাথে আপনার ব্যক্তিগত পাসওয়ার্ড শেয়ার করতে পারবেন না্। এমনকি আপনার নামে যদি ১০/১২ টা একাউন্ট তৈরী করা থাকে সোশাল মিডিয়াতে সেগুলোর বিরুদ্বে রিপোর্ট করা আপনার ই দ্বায়িত্ব আর নয়তো আপনি প্রযুক্তি সচতেন মানুষ না আর বিখ্যাত বা স্মার্ট হতে গেলে আপনাকে  প্রযুক্তি বিষয়ক বিষয় গুলো আপনাকে নিজ হাতে মেইনটেইন করতে হবে আর নয়তো আপনি রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ঝুকি তৈরী করতে পারেন। আপনার লগইন ডিটেইলস যদি আপনি নিজে না করে অন্য কাউকে দিয়ে করান তাহলে আপনি ইন্টারনেটের আইন ভেংগে ফেলাইলেন। সে ক্ষেত্রে আপনাকে অতি অবশ্যই টেকনোলজীর দ্বারস্থ হতে হবে। আপনাকে যদি কেউ হ্যাক বা হাইজ্যাক বা ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করতে চায় তাহলে খুজে পেতে সেই সোশাল মিডিয়া গুলোর ফোরাম বা কমিউনিটি তে যদি আপনি উল্লেখ করেন বা সবিস্তারে যদি আপনি ইমেইল করেন সোশার মিডিয়া সিএইও দের কাছে তাহলেই সোশাল মিডিয়া টেকনোলজিকাল টিম আপনার সোশাল মিডিয়া একাউন্ট রিকভার করে দিবে যেখানে আপনি, আপনার ক্যারিয়ার , আপনার ইমেজ সব কিছু ওকে থাকবে। আপনি যদি পপুলার হোন তাহলে  চাইলেও   আপনি আপনার একাউন্ট ডিটেইলস কাউকে  দিতে পারবেন না। আপনি আপনার সোশাল মিডিয়া পেজ বা চ্যানেলে তাদেরকে বা যদি কোন প্রমোটার কে হায়ার করেন বা কোন ম্যানেজার বানাতে চান তাদেরকে সেই পর্যন্ত এক্সস দিতে পারবেন। কিন্তু তাকে যদি আপনি আপনার একাউন্টের লগইন ডিটেইলস দিয়ে দেন তাহলে নিজে স্বেচ্ছায় ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইলড হয়ে গেলেন। 







বর্তমানে আমাদের দেশে ইউটিউব চ্যানেল ভিত্তিক একটি ব্যবসা শুরু হয়ে গেছে। যারা পপুলার তাদের ইউটিউব চ্যানেল কে মনিটাইজেশন করার কথা বলে ইউটিউব চ্যানেলে এবাউন্ট সেকসানে এমন এমন দেশ ব্যবহার করতাছে যেখানে সে কোনদিন যাবে না বা যাবার ইচ্ছা রাখবে না। ধরেন : আপনি ফেমাস। বাংলাদেশে পপুলার। আপনি বাংলাদেশেই আপনার ক্যারয়িারকে নিয়ে এগোতে চাইতাছেন। সেখানে আপনার নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল আছে যেখানে লোকেশন দেয়া আছে যুক্তরাষ্ট্র। এখন আপনি হয়তো যুক্তরাষ্ট্র যাবার ইচ্ছা পোষন করতাছেন  না বা আপনি হয়তো যাবেন ই না। তাহলে যদি আপনার চ্যানেলে লোকেশন দেয়া থাকে যুক্তরাষ্ট্র তাহলে আপনি যাদের কাছ থেকে কাজ নিতাছেন তারা হয়তো ধরে নিবে যে: আপনি বাংলাদেশে নাই। তাহলে আপনি আপনার ন্যায্য কাজটি হারালেন কারন যে আপনাকে কাজ দিতে চাইতেছিলো সে আপনার চ্যানেল লোকেশন দেখে মিসগাইড হয়ে আপনাকে না দিয়ে অন্য আরেকজন অখ্যাত লোককে বা পারসন কে কাজ দিয়ে দিলো। এইখানে এই ধরনের কাজ হবার মূল কারন: আপনি নিজে আপনার চ্যানেল টা মেইন টেইন করতাছেন না যা আপনার  ক্যারিয়ারের জন্য রিস্ক। অসচেতনাতে যদি আপনি কখনো কোথাও  স্পাই রেকর্ডিং হয়ে থাকেন তাহলে হয়তো যে কোন মূহুর্তে
 সেগুলো যদি চ্যানেলে বা সোশাল মিডিয়াতে আপ করে দেয়া হয় তাহলে আপনার ক্যারিয়ারের জন্য ১২ টা বেজে যােইতে পারে - সে ক্ষেত্রে আপনার উচিত হবে সরাসরি সোশাল মিডিয়া হেড অফিসে কল করে জানিয়ে দেয়া বা তাদের সাহায্য নেয়া। যদি আপনি সোশাল মিডিয়া হেড অফিসকে বুঝাতে পারেন তাহলে আপনি যে কোন সোশাল মিডিয়া একাউন্ট ফেরত পাবেন। কেউ যদি আপনার একাউন্ট হ্যাক ও করে থাকে তাও ফেরত পাবেন। কেউ যদি আপনার একাউন্ট ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করে থাকে তাও ফেরত পাবেন। এজ এ ওয়ার্ড  কমপ্লেইন করাটাই মেইন বিষয়। 



দেখা গেলো: আপনি একটা কম্যুনিটি তৈরী করতাছেন। সেখানে আপনি একা সব মানুষের একাউন্ট লগইন করতাছেন। ঘটনাক্রমে কেউই জানে না যে আপনি সন্ত্রাসী। আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপ যেখানে বসে আপনি ব্যবহার করতাছেন সেখানে একে একে কম্যুনিটির সকল সদস্যদের রেকর্ড বা লগইন ডিটেইলস কুকিজ পাওয়া গেরো। ঘটনাক্রমে আপনি র‌্যাব পুলিশের কাছে তালিকাগ্রস্থ সন্ত্রাসী। আর বেচে থাকার জন্য হয়তো বা আপনি দেশের স্বনামধন লোকদের কে বা মেয়েদের কে ব্যবহার করতাছেন। রাষ্ট্রের কেউ জানলো না যে: আপনি বহির্দেশীয় সন্ত্রাসের সাথে জড়িত। আর আপনার কম্পিউচটারে আরো ১০০/২০০ জনের লগইন ডিটেইলস থাকার কারনে আপনি সেই সকল ১০০/২০০ জন মানুষকে সহ সন্ত্রাসী বনে গেলেন অথচ তারা নিস্পাপ কিন্তু  আপনার সাথে কানেকটিভিটি থাকার কারনে আপনি বুঝতেই পাররেন না যে: আপনার কম্পিউচটারের সবকিছু্ ট্রাক হইতাছে মাইক্রোসফট সিকিউরিটি স্পেশালিষ্ট দের দ্বারা ইন্টারনেটে বা মাইক্রোসফট নিজস্ব স্যাটেলাইটের মাধ্যমে। তাই অন্ততপক্ষে সোশাল মিডিয়া এবং ইমেইল এবং ওয়েবসাইট এইগুলোর সেনসিটিভ ডিটেইলস গুলো নিজেই মেইন টেইন করতে হবে। আর নয়তো অযাচিত ভাবে যে কোন সন্ত্রাসে সাথে তালিকাভুক্ত হয়ে যাইতে পারেন। সবচেয়ে বড় ব্যাপার ইন্টারনেট যেহেতু আমেরিকা থেকে আসে সেহেতু আপনাকে একটা জিনিস মনে রাখতে হবে যে: যুক্তরাষ্ট যে রকম নিয়ম কানুন মেনে চলে আপনি ওসেরকম নিয়ম কানুন মেনে চলার চেষ্টা করবেন। যেম: এস এস এন: Social Security Number ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে কেউ কোন লেনাদেনা করতে পারে না। তেমনি বাংলাদেশের ক্ষেত্রে আপনি জেনে রাখবেন আপনি যে কারো সাথে যে কোন ধরনের ডিলিংস এ যান না কেনো: তার বৈধ জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর আছে কিনা সেটা প্রথমে ভেরিফােই করে নিবেন। যদি না থাকে তাহলে কোটি টাকার অফার দিলেও আপনি নিতে পারবেন না কারন কোনক্রমে যদি সে অজানা অপরাধী হয় তখন আপনাকেও জেল খাটেতে হতে পারে। 

No comments:

Post a Comment

Thanks for your comment. After review it will be publish on our website.

#masudbcl