Translate

Tuesday, August 11, 2020

ইন্টারনেটে শয়তান একটা সংঘবদ্ব চক্র।

 শয়তানের কাজ হইতাছে যে কোন খানে একটা সংঘবদ্ব চক্র তৈরী করে সেখানে একটা ঝামেলা বা অযাচিত কিছু একটা তৈরী করা। শুনেছি শয়তান বলে ইহুদি দের সাথে পারে না বা পেরে উঠে না। ১৯৯০ সালের গনজাগরনের  প্রেক্ষাপটে কথা বা স্লোগান প্রায়শই শোনা যাইতো- সামওয়ান----দী, বাংলার ইহুদি। তখনকার সময়ে দাবী উঠেছিলো কুখ্যাত রাজাকারদের ফাসির দাবী যা পরবর্তীতে আরো একটা গনজাগরনের মাধ্যমে সেটা সম্পূর্ন হয়ে উঠে যাকে বলা হয় শাহবাগ গনজাগরন ২০১৩। 


যাদের কথা বলতেছিলাম - সংঘবদ্ব চক্রদের কাজ হইতাছে দেশে চরম বিশৃংখলা তৈরী করা। তেমনি একটা শয়তানি চক্র এখন ইন্টারনেটে বিরাজ করতাছে। এদের কাজ হইতাছে সহজ সরল মন মানসিকতা সম্পন্ন ছেলে মেয়েদের মাথা কিনে খাইয়া ফেলা। কাজ শেখা, অল্পদিনে কোটিপতি হওয়া, চাইলেই ফ্রি ল্যান্সার বানাইয়া দেয়া, সিবি, ডিভিডি, প্যাকেজ কোর্স সেল, ইউটিউব কোর্স সেল বা আরো কিছু পিডিএফ বা এই ধরনের ব্যাপার স্যাপার যার ফলে  ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা  বাসাতে যাইতয়া গ্যানজাম করে অর্থ সংগ্রহ করে আর সেই ছেলে মেয়েরা কয়েকদিন পরে যখন প্রতারক চক্রের কাছে ধরা খায় তখন তারা  বাসা থেকে চরম প্রেশারে ইন্টারনেট ব্যবহার করা বন্ধ করে দেয় বা কষ্ট পায়। 


ইন্টারনেট একটা সীমাহীন সাগরের মতো। আমি কয়েকদিন আগে এক ওয়েবসাইটে এক চার্চের ভদ্রলোকের এবাদত দেখতেছিলাম- শুনেছি তিনি প্রায় ৫৭ দিন পানিতে ভেসেছিলেন মেক্সিকো থেকে আমেরিকাতে  আসার সময়ে এবং শুধু পানি খেয়েই তিনি বেচে ছিলেন। তো ইন্টারনেটের সেই সীমাহীন সাগরের মতো জ্ঞানের পরিধিকে থামাইয়া দেয় প্রথমেই যে কেউ ইন্টারনেটে  আসে আর তাকে তার পরিধি থেকে সরাইয়া দেবার ফলে সে অনেক বড় সড় শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়।  এইখানে কোন ক্যাটাগরাইজেশন করা যায় না। রাষ্ট্রীয় বিধি নিষেধ মেনে আপনি যা খুশী তাই করতে পারবেন ইন্টারনেটে কারন এইখানে সোসাইটি বা কম্যুনিটি আছে। ধরেন-

  • আপনি চাইলে  সারাদিন পড়াশোনা করতে পারবেন- ইন্টারনেটে রাইব্রেরীর অভাব নাই
  • আপনি চাইলে   সারাদিন চাইলে মুভি দেখতে পারবেন তারন ইন্টারনেটে নিয়মিত রিলিজ প্রাপ্ত মুভি দেখা যায়।
  • সারাদিন আপনি  চাইলে গান শুনতে পারবেন- চাইলে আপনি অনেক পুরাতান পুরাতন গান বের করে শুনতে পারবেন। এমনকি কয়েক দশক আগের গান ও পাওয়া যাবে। 
  • সারাদিন ফ্রি ল্রান্সার বা আউটসোর্সিং বা মার্কেটপ্লেসে পারসোনাল কাজ ও করতে পারবেন। 
  • সারাদিন আপনি চাইলে আপনার াফিসের কাজ ও করতে পারবেন।
  • সারাদিন আপনি গ্রাফিক্স বা ডিজাইন বা ওয়েবসাইট তৈরী করতে পারবেন। 
  • আপনি চাইলে সারাদিন খেলা দেখতে পারেন অনেক লাইভ চ্যানেল আছে।
  • আপনি চাইলে সারাদিন আপনার প্রেমিকার সাথে গল্প বা ভিডিও চ্যাট ও করতে পারবেন। 
তো এইখানে কাজের কোন শেষ নাই। এইখানে সবাই একেকভাবে নিজেকে গুছিয়ে উপস্থাপন করে।আবার এককজন এককভাবে ব্যবহার করতে চায়। অনেকেই অনেক কাজ শিখতে আসে, ঠকে আবার খুব কম সংখ্যক ই না চাইতেও অনেক কিছু পাইয়া যায় মানে অপ্রত্যাশিত ভাবে অনেক কাজ শিখে যায়। এখন কার সময়ে শতকরা ১০ % ফ্রি ল্যান্সার আছে ইন্টারনেটে যারা ফ্রি তাদের ট্রিকস এবং টেকনিক বিলাইয়া যাইতাছে। আর বাকী সবাই টাকা কামানোতে বা তাবিজ কবজ বিক্রি করাতে ব্যস্ত। ছলে বলে কৌশলে ইন্টারনেট থেকে অর্থ কামানোর ছলে সহজ সরল কচি কচি পোলাপান বা ইয়াং ইয়াং পোলাপানদের কাছ থেকে বিশাল অংকের টাকা তারা প্রতিনিয়ত হাতাইয়া নিয়া যাইতাছে যা দেখে অনেক সময় বোঝা যায় বা মনে হয় তারা রাষ্ট্রের কোন ইশারাতে বা প্রকাশ্য সেল্টারে এই ধরনের কাজ করতাছে। নয়তো প্রকাশ্য দিবালোকে বিকাশ বা রকেট নাম্বার দিয়ে টাকা আদায় করে ভূয়ামি /চিটারি /বাটপারি করতে পারতো না। রাষ্ট্রের কেউ না কেউ তাদের সেল্টার দেয় এবং তারা মোটা অংকের ঘুষ বা গিফট পায় যার ফলে এই ধরনের হাজার হাজার অকেজো এবং অপদার্থ গুলো ইন্টারনেটে টাকা কামানোর চেষ্টা করে। সরাসরি একটা ইউটিউব চ্যানেল খুলে বিকাশ/রকেটের মাধ্যমে টাাকা নিয়ে, লাইভ ক্লাসের মাধ্যমে  কাজ শিখানো শুরু করে দেয় এবং দেখা যায় বেশীর ভাগ সময়েই ছেলে এবং মেয়েরা প্রতারিত হইতাছে। ইন্টারনেটে একটা অগাধ সাগরের মতোন। এইখানে প্রথমেই যদি কেউ আইসা প্রতারিত হয় তাহলে তার বা তাদের মনটা  নিশ্চিতই ভেংগে যায়। সে একটা অপার সম্ভাবনার কথা বিবেচনা করে সময় করে আগে পড়ে লেখা পড়া বাদ দিয়ে ইন্টারনেটে আইসা কাজ শিখার নামে টাকা বিকাশ / রকেটের মাধ্যমে দিয়ে প্রতারিতে হলো। এই দ্বায়িত্ব টা কে নিবে? সরকার? সে যে মনটা খারাপ হইলো বা কষ্ট পাইলো এই ব্যাপারটা কেও দেখলো না। অনেকেই অনেক খানে থানা পুলিশে অভিযোগ করেছে তাতেও তাদের কোন হুশ হইতাছে না। সে যে প্রথমেই ইন্টারনেটে আইসা কাদলো বা কষ্ট পাইলো সেটা রাষ্ট্র দেখেও না দেখার ভান করে যাইতাছে। এ দেশ তো সেই ১৯৭২ সাল থেকেই মুক্তিযোদ্বাদের কে অবহেলা আর কষ্টের মধ্যে রেখেছে ( মুক্তিযোদ্বারা এখনো এই দেশের শুধু মাত্র মুক্তিযোদ্বা ভিত্তিক কোন রাজনৈতিক সরকার গঠন করতে পারে নাই। এখনো তারা এদেশের এ ক্লাস সিটিজেনশীপ বা ভিভিআইপি সিটিজেনশীপও পায় নাই। যারা পায় তাদের মধ্যে শতকরা ৯৯% এ অ মুক্তিযোদ্বা বা  তাদের বংশধর। ) সে রকম ইন্টােরনেটেও সেই ধরনের দেশ বিরোধী চক্র বাংলাদেশে অনেক অনেক পরিমান গড়ে উঠেছে যারা খুব সহজে অবলীলায় মানুষকে ইন্টারনেটে ধোকা দিয়ে বেড়াইতাছে। মানুষকে ধোকা দিয়ে সে নিজেও চোরের খাতাতে নাম লিখাইতাছে আর যাকে ধোকা দিতাছে তাকে ইন্টারনেট রিলেটেড একটা কষ্ট দিয়ে দিলো। ইন্টারনেটে ডলার প্রযোজ্য এবং ইন্টারনেটে ডলার আনলিমিটিড। সেই আনলিমিটেড রিসোর্স রেখে তারা সীমাবদ্ধ টাকার পেছনে দৌড়াদৌড়ি শুরু করে দিছে। পাগলের মতো কোর্স বিক্রি করার ম্যাসেজ সেন্ড করে বেড়াইতাছে। একেকটা কোর্স সেল করার মাধ্যমে তারা আবার কিছু % ও পাইতাছে। আবার গুগল এ্যাপ ষ্টোর থেকে এ্যাপ ডাউনলোড করে সারাদিনে ১০০/২০০ টাকা উপার্জনের লোভ দেখাইতাছে। খুবই স্মার্ট ছেলে মেয়েদের কেও দেখতাছি এমন এমন ধরনের কাজ করতে যা কখনো কেউ কল্পনাও করতে পারে নাই। তারা হয়তো তাদের স্মার্টনেসকে ভালো কোন মার্কেটপ্লেসে কাজে লাগাইলে  অনেক ভালো হ্যান্ডসাম ইনকাম বা উপার্জন করতে পারতো। কিন্তু প্রতারিত হয়ে টাকার জন্য মারামারি শুরু করেছে। একসময় হয়তো বড় আকারের কোন গ্যানজাম লেগে যাবে এবং তারপরে সেটা আউট অব কন্ট্রোলে চলে যাবে। কারন আমেরিকা বা ইউএসএ ব্রডব্রান্ড ইন্টারনেট সাপ্লাই দেয় শুধু- ইন্টারনেটে কোন ধরনের উপার্জনের গ্যারান্টি দেয় না। ইন্টারনেটে উপার্জনের গ্যারান্টি দেয় তথ্য ভিত্তিক রিসার্চ এনালাইসিস এবং ফ্রি ইউটিউব ভিডিও রিসোর্স- যা দেখা শোনা পালন করা প্রত্যেকটা ইন্টারনেট মানুষের একান্ত কর্তব্য। যদি আপনি গুগণ সার্চ না করতে পারেন বা যদি আপনি ইউটিউব ভিডিও সার্চ না করতে পারেন তাহলে আপনি কখনোই ইন্টারনেট থেকে ভালো কিছু পাবেন না। যদি আপনার বা ্পনাদের ইন্টারনেটে চিটার বাটপারি করার ঈচ্ছা থাকে তাহলে আপনি লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কের মতো মেট্রাপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক তৈরী করে  সারাদেশে আপনি ভুয়া লাইভ ক্লাস বা ভূয়ামি করতে পারেন তারন আপনাদেরকে এদেশর রাষ্ট্র একটা প্রচ্ছন্ন সেল্টার দেয় ইন্টারনেটে সকল ধরনের মানুষ আসা যাওয়া করে। আমরা চিন্তা করি যার হাতেই স্মার্ট ফোন আছে তার হাতেই ইন্টারনেট ধরাইয়া দেওয়া। সব ধরনরে মানুষের মেন্টালিটি িএক রকম না। একজন সুশিক্ষিত এবং স্বশিক্ষিত মানুষ যদি ইন্টারনেটে ঢুকে প্রথমেই যদি টাকা পয়সা চাওয়া গ্রুপের গাতে পড়ে যায় তাহলে উনার মন মানসিকতা বদলে যাবে। সেটা ইন্টারনেটের জন্য, জাতির জন্য, প্রজন্মের জন্য ক্ষতি হয়ে গেলো। আর যেহেতু এই টাকা চাওয়া চক্রটা দেশেই বসবাস করে এবং দেশেই তাদের সবচুরি বাটপারি বা লেনাদেনা - সেহেতু তারা সরকারি সেল্টার নিয়ে আলাদা করে ওয়াই ফাই ম্যান - মেট্রাপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক তৈরী করে ইন্ট্রানেট ব্যভহার করে এই সকল কাজ করাবর করতে পারে। ইন্টারনেট না- ব্যাপারটার নাম ইন্ট্রানেট। ল্যান, ম্যান ওয়ান এর সিরিয়াল এ শুধ ম্যান েসিষ্টেম বভ্যহার করে। তাহলে আর এই চক্রটা ইন্টারনেটে আসবে না- মানুষের ক্ষতিও করতে পারবে না আর সাধারন মানূষ জন ক্ষতির স্বীকার হইতে পারবে না। ইন্টারনেট যেহেতু মহাসাগরের মতো সেখানে হয়তো এই ধরনের চিটার বাটপাররা বেশীদিন টিকতে পারবে না কিন্তু একটা ভ্যাপার মনে রাখতে হবে মহাসাগরের ভেতরে যদি আপনি একটা প্লাষ্টিকের বোতল ও ফেলান সেটা প্রায় ৫০ বছর ধরে পচবে এবং সাগরকে ধূষিত করার চেষ্টা করবে। আর এসকল ক্ষেত্রে সরকার নতুন আইনও জারি করেছে দেখলাম- যথাযোগ্য অনুমতি ছাড়া ইন্টারনেটে কারো কাচে টাকা না চাইতে। এই চক্রটা যদি ইন্ট্রানেট ফ্যাসিলিটজ ব্যভহার করে তাহলে তাদের যা যা দরকার তা তারা করতে পারবে। ক।লাস নেয়া, টাকা পয়সা লেনাদেনা করা বা আরো কিছু চাইলে ২/৩ টা ওয়েবসাইটের কাছ থেকেও তারা এই অনুমতি নিতে পারে। এই চক্রটা যদি ফুলটাইম ইন্টারনেটে বসে থাকে তাহলে নতুন যারা ভালো ামনুষ তারা ইন্টারনেটে আইসা অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হবে।  আমি সবসময় ই বলি- “ আপনি কখনোই ইন্টারনেটে কাউকে কোন টাকা পয়সা প্রদান করবেন না।”

যে শয়তান চক্র ইন্টারনেটে দেশের ভালো ভালো ছেলে মেয়েদেরকে ধোকা দিতাছে বা ফাকিবাজি করতাছে সেই চক্রটা দেশ বিরোদী দের সন্তানদের চক্র যাকে প্রথমেই বলেছি শয়তানি চক্র। তাদের হাত থেকে বেচে থাকার একমাত্র মন্ত্র- ইন্টারনেটে আপনি কা্িুকে টাকা দিবেন না এব ংকারো কাচে টাকা চাইবেনও না। আপনি যদি কারো কাচে টাকা চান বা কাউকে না জেনে টাকা দেন তাহলে প্রথমেই আপনি একটা বাধো পাবেন যা আপনাকে সারা বিশ্বের আরো ২১৯ টা দেশের মুদ্রা অর্জনে বাধা পাবেন। আপনার ব্রেইনে আর অন্য কিছু কাজ করবে না। ফলে আপনি অণ্যান্য দেশের মুদ্রা অর্জনে বাধা পাবেন বা রেমিটেন্স অর্জনে বাধা পাবেন। 

কয়েকদিন আগে দেখলাম একটা আইনের ডিটেইলস-   বাংলাদেশ দন্ডবিধির ৪২০ ধারা মোতাবেক- ইন্টারনেটে অযাচিতভাবে কারো কাছ থেকে টাকা চাওয়া ৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ড হইতে পারে। 

No comments:

Post a Comment

Thanks for your comment. After review it will be publish on our website.

#masudbcl