Translate

Tuesday, August 18, 2020

সমাজ সব মানুষের জন্য প্রযোজ্য না। আইন এবং ধর্ম সকলের জন্য প্রযোজ্য।

আমাদের দেশে (বাংলাদেশে) যদি কেউ সমাজ পালন না করে তাহলে তাকে অনেক সময় অসামাজিক বলে গালি গালাজ করা হয়। কিন্তু যদি কেউ আইন পালন না করে বা ধর্ম পালন না করে তাহলে তাকে রাষ্ট্রদ্রোহী বা ধর্মদ্রোহী বলে গালি গালাজ করা হয়। ধর্ম পালন না করার নাম হইতাছে ধর্মীয় নাস্তিকতা- যার কোন ভ্যালু বাংলাদেশে নাই। বাংলাদেশ মুসলিম দেশ। আপনাকে অবশ্যই স্বীকৃত ধর্ম পালন করে থাকতে হবে বা বসবাস করতে হবে- যেমন মুসলিম, খ্রীষ্টান বা ই্হুদি বা হিন্দু ধর্ম। মুসলিম ধর্ম প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ। ৫ শতাংশ মানুষ হিন্দু এবং ১ শতাংশ বা তার চেয়েও কম শতাংশ মানুষ খ্রীষ্টান ধর্ম পালন করে থাকে।  আর আইন হইতাছে অবশ্য পালনীয় বা অবশ্য কর্তব্য বিষয়। গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যে আইন আছে সে আইন মোতাবেক আপনাকে বাংলাদেশে বসবাস করতে হবে এবং যিদি দেখেন কোথাও আইন ভংগ হয়েছে বা হইতাছে তাহলে আপনাকে অবশ্যই তা সংশ্লিষ্ট পুলিশ বা থানাকে অবহিত করতে হবে। যদি আপনি সেটা পালন না করেন তাহলে আপনি আইন কে অমান্য করলেন। বিশেষ করে জনপ্রতিনিধিদের অন্যতম প্রধান দ্বায়িত্ব হইতাছে কোথায় কোথায় আইন ভংগ হইতাছে তা সাথে সাথে র‌্যাব বা পুলিশকে জানানো- যদি আপনি না জানান বা না জানিয়ে থাকেন তাহলে আপনি সরাসরি আইন কে অমান্য করলেণ বা ভংগ করলেন। 


২০১৩ সালের শাহবাগ গনজাগরনের পরিপ্রেক্ষিতে আইনে (শুনেছি) আছে- ৭১ এর ঘাতক, দালাল বা রাজাকারেরা অপরাধী- তাদের সবাইকে সংশ্লিষ্ট থানা বা আদালতে আত্মসমর্পন করতে বলা হয়েছে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছেও তালিকা আছে কোথায় কোন দেশবিরোধী বসবাস করে? এখন যদি আপনি দেশবিরোধী দালাল/রাজাকার/ঘাতক হয়ে থাকেন তাহলে আপনার উপরে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রথম নির্দেশ হইতাছে আদালতে আত্মসমর্পন করা- আর যদি আপনি মনে করেন যে আপনি বা আপনারা আদালতে আত্ম সমর্পন করবেন না- সমাজে দাপট দেখাবেন বা সমাজে বাহাদুরি করে বেচে থাকবেন বা ছলে বলে কৌশলে বেচে থাকবেনে তাহলে আপনি আইন অমান্য করলেন এবং একসময় আপনার বিচার হবে যেমন স্বাধীনতার ৪৩ বছর পরে দেশবেরাধী রাজাকারের ফাসি হয়েছে  এবং নিত্য নিয়মিত ফাসি হইতাছে। যে সকল রাজাকারেরা বাহিরে আছে বা জীবিত আছে আর আপনি যদি আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য হয়ে থাকেন এবং আপনি তালিকাগ্রস্থ রাজাকরদের কে গ্রেফতার করে জেলখানাতে না নিয়ে রাখেন - আপনার হাতে অর্ডার বা ক্ষমতা থাকা সত্বেও আপনি যদি তা পালন না করে থাকেন তাহলে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য হয়ে আপনিও আইন ভেংগে ফেলাইলেন। আইন মোতাবেক রাজাকারদের একমাত্র এবং শেষ ঠিকানা বাংলাদেশ জেল- কিন্তু যদি তারা বাহিরে থাকে বা জীবিত থাকে এবং বাংলাদেশ সমাজের সাথে মেলামেশা করে থাকে তাহলে বাংলাদেশ সামজব্যবস্থাও এখানে অপরাধী। এইখানে বাংলাদেশ সমাজব্যবস্থার উচিত হবে রাজাকারদের ধরে বেধে আদালতে পাঠাইয়া দেয়া (যদি আপনার জানা থাকে যে কে বা কারা কারা রাজাকার)। 


সমাজের ব্যাপারে কোন ধর্মীয় বা আইন গত বিশাল বাধ্য বাধকতা নাই। শুধূ বলা আছে আপনাকে সুশীল সমাজের সাথে বসবাস করতে হবে- ভদ্রভাবে বসবাস করতে হবে। অশালীন কোন কথা বলা যাবে না- কাউকে কু প্রস্তাব দেয়া যাবে না- প্রকাশ্য দিবালোকে শিষ্টাচার ভংগ করা যাবে না (আপনার মনে চাইলো আপনি উলংগ হয়ে ঘোরাফেরা শুরু করলেন এই ধরনের কিছু করতে পারবেন না ) এই ধরনের ব্যাপার গুলো যা একজন শিক্ষিত ভদ্র মানুষ অনায়াসে এবং সহজে  এবং সহজাত প্রবনতা বশত মেনে থাকে এবং মেনে ই চলা ফেরা করে থাকে। আর এই দেশে দেশ বিরোধীরা যে কাল্পনিক সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলেছিলো বা জায়গায় জায়গায় যে সকল খারাপ সমাজ ব্যবস্থার কথা শোনা যায় সেগুলো পালন করতে গেলে স্পষ্টত ধর্মীয় বাধা নিষেধ আছে এবং নবীজিদের রেফারেন্স ও আছে যেনো পালন না করা হয়ে থাকে এবং আইনতও নিষেধ আছে যেমন বাংলাদেশে বিডিএসএম (বাইসেক্সুয়ালিটি অনেকখানে আছে) গ্রোথ করতাছে অনেক খানে কিন্তু এই ব্যাপারে মুসলিম, হিন্দু, খ্রীষ্টান এবং ইহুদি ধর্ম থেকে স্পষ্টত নিষেধ আছে আবার আইন মোতাবেক ও নিষেধ আছে যেনো কেউ কোথাও কোন কারনে ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত না হানে- ধর্ম ভিত্তিক মুসলিম বাংলাদেশে এই গুলো ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত করার মতোন। আবার স্পষ্টত নিষেধ আছে ধর্মে এবং মেডিকেল সায়েন্সে- কুকুরের মতোন সেক্স না করতে এবং কুকর, শিয়াল, মুরগী, গরু, ছাগল এদের সাথে সেক্স না করতে। বিশ্বে অনেক পিক্যুলিয়ার মানুষ আছে যাদের মধ্যে অনেকেই (খবুই কম - কোটিতে ১ জনের মতো) পশুর প্রতি সেক্স অনুভব করে বা করতে ইন্টারেষ্টেড হয় যা ১০০% নিষেধ আছে সকল ধর্মে আর এই সাথে এও বলে দেয়া আছে এই ধরনের পরিবেশ পরিস্থিতি এড়াইয়া চলার জন্য। সম্প্রতি বাংলাদেমে পর্নো সাইট বন্ধ হবার আগে একটা ওয়েবসাইটে দেখেছিলাম যে- যে সকল মানুষ বা মনুষরুপী লোকজন পশু র সাথে সেক্স করার ব্যাপারে চিন্তা করে বা করে তাকে তাদেরকে আলাদো গোত্রে রাখা হয়েছে- তাদেরকে মানুষ হিসাবে অভিহিতি করতে নিষেধ করা আছে। 


যাই হোক সমাজে অনেক খারাপ কাজ হয়ে থাকে- জুয়া খেলা হয়, সুদ ঘুষের লোনাদেনা হয় বা ভেজাল কেনা বেচা হয়ে থাকে কিন্তু সকলকে নিষেধ করার পরেও সকলের মধ্যে অনেকেই খারাপ কাজ করে যাইতাছে। তাই সমাজে যে সকল খারাপ কাজ হয় সেগুলো পালন করার ব্যাপারে আইনগত বা ধর্মীয় আদেশ নাই বা কোথাও লিখা নাই। লেখা আছে আপনি আইনগত ভাবে বৈধ ভাবে বসবাস করবেন এবং ধর্ম মেনে চলবেন। ধর্মীয় আলেম বা মাওলানা ও যদি বা সমজিদের ইমাম ও যদি আপনাকে খারাপ কাজ করতে বলে বা সমাজে খারাপ হইতে বলে আপনাকে অতি অবশ্যই সেই নিষেধ অমান্য করতে হবে আর নয়তো আপনি কাফের, নাস্তিক হয়ে যাইতে পারেন। এও স্পষ্ট বলা আছে- কুফরী কালাম যারা করে তারা কোনদিন ই জান্নাতে যাইতে পারবে না। এ দেশের সমাজে যেহেতু অনেক খারাপ কাজ সংঘটিত হয়ে থাকে সেহেতু আমাকে বা আপনাকে এমন ভাবে চলতে হবে যেনো সমাজে কোন থারাপ কাজের রেকর্ড না থাকে বা খারাপ কাজ করা না হয়ে থাকে আবার আইন এবং ধর্মও যেনো কোথাও অবহলিত না হয় আমার আমার/আপনার জন্য। তাই আমার মতে সমাজে শিষ্টাচার বজায় রাখা জরুরী কিন্তু সমাজ মানাটা কোনো জরুরী বিষয় না। সমাজে ধর্মকে অবহেলা করবো না বা আইন ভাংবো না- এতোটুকুই যথেষ্ট। :)


আমি মানুষ। সমাজবদ্ধ ভাবে বসবাস করবে বলা হয়েছে - সমাজকে মানতে বলা হয় নাই এবং সমাজ মানতে আমি রাজী না। আমি ধর্ম এবং আইন মানতে রাজী এবং মানবো এবং মেনেও চলবো এবং মেনেও চলতাছি যেদনি থেকে বুঝ হয়েছে সেদিন থেকে। 

No comments:

Post a Comment

Thanks for your comment. After review it will be publish on our website.

#masudbcl