Translate

Saturday, August 15, 2020

নাটক: টোনা টুনি রাগ করো না। বাংলা নাটক। রওনক হাসান এবং রাফিয়াত রশিদ মিথিলা।

 


নাটকের প্রধান দুটি চরিত্র রওনক হাসান এবং মিথিলা। টোনা টুনির মতোই তাদের সংসার। নাটকে রওনক হাসান একজন অভিনেতা হবার স্বপ্নে বিভোর চরিত্রে অভিনয় করেছেন। রওনক হাসানের অভিনয় মান সম্পন্ন অভিনয়। আর মিথিলাও একবারে খারাপ না। নাটকে তার সবুজ কালারের চোখ দৃষ্টি কাড়ার মতোন। সম্প্রতি শুরু হওয়া তার নতুন সংসারের প্রতি শুভ কামনা। নাটকে রওনক হাসানের  অভিনয়ের মাধ্যমে একটা জিনিস স্পষ্টত ফুটে উঠেছে: বাংলাদেশের সমাজে অভিনয়ের তেমন কোন ভ্যালু দেওয়া হয় না। আর অভিনেতাদেরকে তো নাই। শুধু অভিনেত্রীদের জোরেই অনেক সময় নাটেক চলে যায়। তারকাদের এমন একটা ব্যাপার যে তারা বুঝি ফেরেশতাদের মতো- কোন দোষ করতে পারবে না। কিছুদিন আগে মিথিলাকে নিয়ে লেখালেখি খুবই খারাপ এবং বাজে একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি করে যা থেকে সম্ভবত সৃষ্টিকর্তার অপার কৃপা তাকে রেহাই করেছে। সে সংবাদ মিডিয়াতে অভিযোগও উথ্থাপন করেছে যে- তাকে ভার্চুয়াল লাইফে ধর্ষন করা হয়েছে। তারপর তার কাছ থেকে এতো ভালো অভিনয় সত্যি ই মনে রাখার মতো। নাটকে রওনক হাসান যা বলতে চেয়েছে নাটক বা সিনেমার অভিনেতাদের একটা লাইফ বা সামাজিক মর্যাদা যা কখনোই দেয়া হয় না এ দেশের সমাজে। আপনি সহজেই খেয়াল করে দেখবেন যে- আপনি চাইলেই চুরি করতে পারবেন। আপনি চাইলেই রাহাজানি করতে পারবেন। আপনি চাইলেই দুই নাম্বার গিরি করতে পারবেন বা আপনি চাইলেই খারাপ পথে - ক্যাসিনো বা জুয়া বানিজ্য করে বড়লোক হয়ে যেতে পারবেন কিন্তু অসৎ অবস্থায় আপনি চাইলেই সত হতে পারবেন না। আপনি চাইলেই ভালো মানের একজন অভিনেতা হতে পারবেন না। বর্তমানে ইউরোপ আমেরিকাতে বিলিওনিয়ারদের রো চলতাছে- এখন আর আগের মতো বিলিওনিয়ার দেরকে আশ্চর্যের চোখে দেখা হয় না কারন বিলিওনিয়ার হওয়া ব্যাপারটা অনেকের কাছেই এখন সহজ বলে মনে হয়। কিন্তু অভিনেতাদের অভিনয় প্রতি মুহূর্তে আশ্চর্য জাগাইয়া তোলে কারন প্রতিটা চরিত্রে অভিনেতা দের খুব মনোযোগ দিয়ে অভিনয় করতে হয়। চাইলেই পৃথিবীতে যে কেউ অভিনয় করতে পারবে না। আপনি অভিনেতাদেরকে একজন পেশাদার শিল্পী হিসাবে মাষ্ট বি সম্মান জানাতে পারেন- তাদেরকে অবহেলার চোখে আপনি দেখতে পারেন না। অভিনেতা অভিনেত্রী মানেই খারাপ একটা জগত- এই ধরনের মন মানসিকতা থেকে আপনাকে আমাকে সবাইকে বের হয়ে আসতে হবে। সমাজে আড়ালে আবডালে লোক চক্ষুর অন্তরালে আপনি আমি কতোটা ভালো তা উপরওয়ালা খুব ভালোই জানে। বর্তমানে ইউটিউব মনিটাইজেশনের জগতে প্রত্যেক অভিনেতা অভিনেত্রী ই একজন ফ্রি ল্যান্সার এবং আউটসোর্সিং ওয়ার্কার কারন তাদের প্রানবন্ত অভিনয়ের কারনে প্রতি সেকেন্ডে ডলার জেনারেট হইতাছে যা বাংলাদেশের জণ্য রেমিটেন্স বয়ে আনতাছে যাকে যে কোন দেশের জন্য ১ নম্বর সিটিজেন বলা হয়ে থাকে। আপনি হইতে পারেন বড়লোক বা কোটিপতি বা অনেক বড় লোক কিন্তু আপনি এ দেশের জন্য রেমিটেন্স উপার্জন কারী না ও হতে পারেন। 

করোনা কালীন পরিস্থিতির কারনে আমাদের দেশের অনেকের অবস্থাই খারাপ হয়ে গেছে। আমরা এমন এক সরকার ব্যবস্থায় বসবাস করি যেখানে সাধারন মানুষের মতো শিক্ষিত মানুষদেরকেও অবহেলা করা হয়েছে। এই দেশকে বলে ইউরোপ আমেরিকার সাথে তুলনা করা হয় অথচ ইউরোপ আমেরিকান রা তো করোনা শুরু হবার সাথে সাথে তাদের সরকারের কাছ থেকে পে চেক পেয়ে গেছে এবং ইচ্ছা মতোন খরচের স্বাধীনতাও পেয়ে গেছে আর আমাদের দেশের অভিনেতা অভিনেত্রী সহ শিক্ষিত বেকার ছেলে পেলে ( কর্পোরেশন /প্রাইভেট অফিসে কর্মরত কাউকে মিনিমাম মাসে ১০ হাজার টাকার মতোন অনুদান ও দেয়া হইতাছে না) এ কেমন পিক্যুউলিয়ার দেশ রে বাবা?  বাংলা মায়ের সন্তানেরা বাংলা মায়ের আরো সিনিয়র সন্তানের দ্বারা স্বাধীন হওয়া দেশে অমানষিক মানসিক এবং সামাজিক যন্ত্রনা বয়ে নিয়ে যাইতাছে বা বেড়াইতাছে। আমার কাছে এর একমাত্র সমাধান- একজন জয় বাংলা মুক্তিযোদ্বাকে বাংলাদেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর দ্বায়িত্ব দেয়া- স্বাধীনতা যুদ্বে একজন জয় বাংলা মুক্তিযোদ্বা জীবনের রিস্ক নিয়ে যেবাবে দেশকে স্বধীন করেছে ঠিক সেভাবে তারােই পারবে দেশের প্রজন্ম কে সামনে নিয়ে আগাইতে এবং তাদের মুখে তাদের পরিবার সহ ৩ বেলা খাবারের নিশ্চয়তা দিতে কারন তার মধ্যে আছে সুবিবেচনা আর সুবিচারের মনোভাব। 

No comments:

Post a Comment

Thanks for your comment. After review it will be publish on our website.

#masudbcl