Translate

Sunday, August 23, 2020

শয়তানের মাথা দর্শন - যার কারনে প্রতিনিয়ত ঠকে যাইতাছি।

শয়তান এমন এক জাত যা মৃত্যু পর্যন্ত মানুষকে ঠকাইয়া যাবে- কারন শয়তানকে মহান রাব্বুল আলামিন কেয়ামত পর্যন্ত লানত দিয়ে রেখেছেন। সে কেয়ামত পর্যন্ত মানুষকে বিপথে নিয়ে যাবে এবং মানুষকে ঠকাইয়া যাবে। এছাড়া সে বেচে থাকতে পারবে না কারন মানুষকে বিপথে পরিচালিত করা বা মানুষরে বিরুদ্বে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাওয়া হইতাছে তার ধর্ম । আমাদের দেশেও আপনি এই ধরনের ক্যারেক্টার/মানুষ/পারসন খুজে পাবেন যাদের একমাত্র কাজ হইতাছে বিনা কারনে তারা মানুষের ক্ষতি করে যাবে (যুগের পর যুগ- যাদের কোন বোধ শক্তি কাজ করবে না। নিজে বেচে থাকাকে শ্রেয় মনে করবে- বাকি সব মানুষের মরে যাওয়াকে জায়েজ মনে করবে) প্রতিনিয়ত কারন এতে তারা একটা পিক্যুলিয়ার টাইপের মজা পায়। তারা শয়তানকে আদর্শ করে বেচে থাকার চেষ্টা করে। একখানে হাদিসে পড়েছিলাম দুনিয়াতে ৪ ধরনের মানুষ আছে : 

১. যারা দুনিয়াতে সুখী , আখেরাতেও সুখী। (সবচেয়ে সফল)

২. দুনিয়াতে সুখী কিন্তু আখেরাথে অসুখী। (বাতিল জীবন)

৩. দুনিয়াতে অসুখী কিন্তু আখেরাতে সুখী। (লক্ষ্যস্থলে সুখী)

৪. দুনিয়াতে এবং আখেরাতে দুই খানেই অসুখী।   (টোটালি অসুখী)

এই ৪ নাম্বার টাইপের মানুষ হইতাছে শয়তানের প্রজন্ম। তারা দুনিয়াতে থেকেই জাহান্নাম কে উপার্জন করে ফেলাইবে এবং পরকালে হিসাব কিতাব শুরু হবার আগেই বিনা হিসাবে জাহান্নামে চলে যাবে যাদেরকে বলা হয়- বিনা হিসাবে জাহান্নামী। এই ধরনের মানুষেরা পৃথিবীতে সবার জন্য ক্ষতিকর। অনেক খানেই ভালো ভাবে বলা হয়েছে- শয়তানকে জীবন থেকে উপড়ে ফেলানেরা কথা। মানে শয়তানকে ধ্বংস করে ফেলানোর কথা। শযতান নিজে তার চেহারা কখনো দেখায় না (শুনেছি)। সে দেখতে কেমন তাও বোঝা যায় না তবে দজ্জালের বর্ননা থেকে অনেকটা তার ব্যাপারে আন্দাজ করা যায় তবে শয়তান অনেক সময় মানুষ হবার চেষ্টা করে- না পেরে মানুষের অবয়ব ধারন করার চেষ্টা করে)। মানুষকে ধোকা দেবার চেষ্টা করে। 

শয়তান এক সময় জীন জগতের বাসিন্দা ছিলো। জীন রা যেহেতু অদৃশ্য আর সৃষ্টিকর্তাকে অনুধাবন করার সুযোগ পায় বেশী সেই কারনে শুনেছি জিন যদি কখনো নাস্তিক হয়ে যায় তাহলে তার নাকি আর আস্তিক হবার কোন উপায় থাকে না। কারন অদৃশ্য অবস্থায় থেকে সে সৃষ্টিকর্তাকে অবিশ্বাস করেছে এবং এই কাজটা করেছিলো শয়তানও। সেও সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টিকে মানুষকে সরাসরি অস্বীকার করে বসে এবং তার ভেতরে অহংকার আসার কারনে সে চিরকালের জন্য লানত প্রাপ্ত হয় এবং কুৎসিত আকার ধারন করে। আরো একখানে পড়েছিলাম শযতান এতো পরিমান কুৎসিত যে সে কখনো তার রুপ দেখানোর চেষ্টা করে না- সে শুধূ তার মাথা দেখানোর চেষ্টা করে কারন সে মনে করে মানুষের মেইন হইতাছে তার ব্রেইন। এ দুনিয়াতে যে সকল মানুষ তার হাত থেকে বেচে থাকে সে সকল মানুষ তাদের ব্রেইনের জোরেই বেচে থাকে। তাই সে ব্রেইন কে মেইন ক্ষমতাবান মনে করে আর সেই ভাবেই সে সুযোগ পাইলেই তার মাথা দেখানোর (মাথার অবয়ব ধারন করার চেষ্টা করে)। 

আবার আরো একখানে পেড়েছি- শয়তানের উচ্চতা বলে ৪ ফুট হয় যখন সে মানুষ হবার চেষ্টা করে।  সৃষ্টিকর্তার লানত আছে বলে সে কখনো ই মানুষ কিংবা জিন বা সৃষ্টি জগতের কোন কিছুর রুপ ধরতে পারবে না একুরেটলি -  তার চোখ, কান, নাক মুখ এগুলো কিছুই দেখা যায় না। তবে সে নিজেকে মানুষ মনে করে বা সে রকম চেষ্টা করে ফলে তার একটা প্রতিকৃতি ফুটে উঠে। কিন্তু আদতে সে কখনো মানুষের রুপ ধরতে পারবে না কারন সে মানুষকে অস্বীকার করেছিলো সৃষ্টিকর্তার প্রিয় সৃষ্টি হিসাবে। সৃষ্টিকর্তা নিজের হাতে ভালোবেসে তৈরী করেছে মানুষকে আর দুনিয়াতে দিয়ে রেখেছে তার জন্য অসংখ্য পরীক্ষা। কিন্তু দুনিয়াতে ভালো মানুষ হবার কারনে রিভিলড নামের একটা ব্যাপার আছে যেখানে শয়তান আর মানুষকে স্পর্শ করতে পারে না এবং তার পদ্বতিও মানুষের জন্য কাজ করে না। তখন সে পদ্বতি সেট আপ করে। সে তার অনুসারীদের মাঝে নিজেকে মহা ক্ষমতাবান হিসাবে প্রতিষ্টিত করার চেষ্টা করে। মানুষের মনে খারাপ ধারনা তৈরী করে এবং মানুষকে খারাপ বা বিপথে পরিচালিত করে। তখন শয়তানের বংশধরেরা শুধু ক্ষতি ই করতে চায় শয়তানের টার্গেটেড পারসন কে। যারা শয়তানের অনুসারী তারা শুধূ মানুষের ক্ষতিই করতে পারে। তারা কখনো মানুষের উপকার করতে পারে না। সবসময় ক্ষতি করতে করতে একসময় তারা মনে করে যদি এই মানুষটাকে মাইরা ফালানো যাইতো তাহলে তারা প্রকৃত খুশী হইতো। কিন্তু আদতে তারা কখনো খুশী হইতে পারবে না আর বাচা মরা তো আল্লাহর হাতে। সারা দুনিয়ার মানূষ যদি চায় কাউকে মাইরা ফালাইতে আর আল্লাহ যদি না চায় তাহলে সেই মানুষ মরবে না। আর সারা দুনিয়ার মানুষ যদি না চায় আর আল্লাহ যদি চায় তাহলে উনি যে কাউকে মাইরা ফালাইতে পারবে। তবে প্রকাশ থাকে যে এ দুনিয়ার সব ভালো মানুষ মিলে যদি খারাপ কে মাইরা ফালানোর চেষ্টা করে এবং মাইরা ফালায় তাহলে বোধ করি সেখানে সৃষ্টিকর্তা খুশী হাবে। কারন কে খারা কে মারা মানে শয়তানকে মেরে ফেলা আর শয়তানকে মেরে ফেলা মানে সৃষ্টিকর্তার খুশী পাওয়া। 

শয়তানকে অনেক সময় ব্ল্যাক ডেভিল নোমে ডাকা হয়। বেসিক্যালি ডেভিল বলা হয় শয়তানকে আর ডেভিল জেনারেশন বলা হয় এ বিশ্বে যারা শয়তানের অনুসারী তাদেরকে। ডেভিলের সাথে যোগাযোগ পৃথিবীর সেরা সেরা নাস্তিকদের আর তারা কখনো নাস্তিক থেকে আস্তিক হতে পারে না। শুনেছি বা একখানে লেখাও দেখেছি যে- ১৯৭১ বা তৎ পরবর্তী যারা দেশ বিরোধী কার্যকলাপের সাথে জড়িত ছিলো এবং ৭১ এ মা বোনের ইজ্জতহানি , ধর্ষন, ধর্ষন করতে করতে মাইরা ফালানো, গনহত্যা তৈরী করা, গনকবর তৈরী করা বা গনহারে বাঙালীকে কারনে ছা্ইড়া মাইরা ফালানোকে শয়তানের কার্যকলাপ বলে অভিহিত করা হয়। ২০১৩ সালের শাহবাগ গনজাগরনে শয়তানের প্রজন্ম বা বংশধর- দালাল রাজাকারদের কে শয়তান নামে সর্ব সম্মতি ক্রমে অভিহিত করা হয় (ফেসবুকে বা যে কোন নিউজ ফিডে দেখেছি) এবং অভিশাপও দেয়া হয় যেনো তারা চিরস্থায়ী ভাবে জাহান্নামের জন্য বিবেচিত হয় এবং তাদেরকে শয়তান এর বংশধর নামে অভিহিত করা হয়। শুধুমাত্র শয়তানের পক্ষেই এই ধরনরে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ তৈরী করা সম্ভব (৭১ এ দেশবিরোধী গনহত্যা )এবং তার পর থেকে যে দালাল রাজাকারেরা ছলে বলে কৌশলে বেচে আছে- ছলচাতুরী করে এবং কলা কৌশল করে - এইটাকেও এক ধরনের শযতানী বলে অভিহিত করা হয়। আর তাদেরকে যারা সাহায্য সহযোগিতা করতাছে জেনে শুনে স্বজ্ঞানে বা স্ব ইচ্ছাতে, তাদেরও নিশ্চয় বিচার হবে একদিন এ দুনিয়াতে বা কাল হাশরের দিন। তাদের প্রতিও আছে অভিশাপ জয় বাংলা র গ্রাউন্ড থেকে। 

গনজাগরনের আশা আকাংখা কে প্রতিনিয়ত যারা চুরি করতাছে- গনজাগরনরে সহজ সরল ছেলে পেলে দের আশা আকাংখা কে সাময়িক স্বার্থের জন্য বা সাময়িক বেনিফিটের জণ্য গলা টিপে হত্যা করে যাইতাছে - তাদের প্রতি ও আছে হাশরের দিনে বিচারের সম্মুখীন হবার অভিশাপ আর নয়তো চিরস্থায়ী ভাবে জাহান্নামের অভিশাপ । তাই আসুন জেনে শুনে শয়তানকে এবং শয়তানের বংশধরদের কে সাহায্য করা বন্ধ করে দেই এবং নিজ জ্ঞানে জেনে শূনে কাল হাশরের দিন মহান রাব্বুল আলামিনের বিচারের সম্মুক্ষীনে না পড়ে যাই । সবাই বলে হাশর খুব কঠিন জায়গা। 

শয়তানের বংশধর ৭১ এ দেশ বিরোধী ভূমিকা পালনকারী দালাল রাজাকারদের সামাজিক ভাবে বয়কট করেছে জয় বাংলার সকল সন্তানেরা - আশা করি দেশের আইন ও প্রশাসনও  তাদের কে বয়কটের মাধ্যমে এবং দ্রুত বিচারের মাধ্যমে শয়তানের বংশধরদের ফাসির দাবী কার্যকর করে নিজেকে, দেশকে, আইন কে, প্রশাসনকে তথা দেশকে হেফাজত করবেন আর নয়তো জন মানুষের ঘৃনা বা অভিশাপে এক সময় মরেও যাইতে পারেন। যদি শয়তানের বংশধর সাধারন ভাবে মৃত্যুবরন করে তাহলে  ৭১ এর দালাল রাজাকরদের ফাসির দাবীতে আন্দোলন করে আসা প্রজন্ম (১৯৯০-২০১৩ গনজাগরন) এক ধরনের হার হেরে যাবে বলে আমি মনে করি। আর যদি দালাল রাজাকর শয়তানের বংশধর রা ফাসি না নিয়ে স্বাভাবিক ভাবে মৃত্যুবরন করে তাহলে সেটা হবে বাংগালীর বিপক্ষে শয়তানের একটা কারসাজি বা শয়তানের একটা মাথা খাটানো বুদ্বি। দালাল রাজাকারদের ফাসির রায় হয়েছে- সে রায়ের প্রতি সন্তুষ্টি জানিয়ে সকল দালাল রাজাকারদের উচিত আদালতে আত্ম সমর্মন করা এবং স্বেচ্চায় জেলখানাতে চলে যাওয়া বা নিজে নিজেই ফাসির রায় কার্যকর করা মানে সুইসাইড করে ফেলা- তাহলেও জয় বাংলা বিজয়ী হবে নিশ্চিত। গনমানুষের রায় কে উপেক্ষা করে যে সকল দালাল রাজাকারেরা এই দেশের সমাজে ছরে বলে কৌশলে বেচে থাকার ধান্দা করা প্রত্যেক সেকেন্ডে- তাদেরকে আমরা চিনি। তারা এ সমাজের পশু, জানোয়ার, কুত্তা বা হায়েনা- তাদেরকে একাত্তর থেকেই পশু বা হায়েননা বা কুত্তা বলেঅিভিহিত করা হয় এবং তারা এ সমাজে সে রুপেই ধরা দেয়। তাদেরকে ফাসি দেয়া বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশীদের দ্বায়িত্ব। জয় বাংলার সহিত এ দ্বায়িত্ব দ্রুত পালন করে ফেলা উচিত।  

No comments:

Post a Comment

Thanks for your comment. After review it will be publish on our website.

#masudbcl