Translate

Saturday, August 22, 2020

মনে মনে দরজা লাগে। পুলিশ ভাড়াটিয়া আইন।

আমাদের দেশে কিছু মানুষ আছে যারা রুম বলতে কবর বোঝে। আবার কিছু কিছু মানুষ আছে রুম বলতে কাবা ঘর বোঝে। আবার কিছু কিছু মানুষ আছে রুম বলতে ইটালরি রোম শহর বোঝে। রুম বলতে অনেক সময় যে লিভিং রুম, বেড রুম, ড্রয়িং রুম বা কোন বাসা বাড়ীর রুম বোঝানো হয় তা আর তারা বোঝে না। একবার এক গ্রুপ কে বলতে শুনলাম - তারা রুম বলতে কবর কে বোঝবে- এছাড়া অন্য কোন কিছুই বুঝবে না। মানুষ যারা শিক্ষিত তারা মোটামুটি জীবন যাপন করতে গেলে অতি অবশ্যই একটা রুমের বা পারসোনাল রুমের সন্ধান করবে। চেষ্টা করবে নিজের জন্য একটা ওয়ার্কিং রুম এবং সংগিনী সহ একটা বেড রুম যেনো নূন্যতম থাকে যে কোন ফ্ল্যাটে/বাসাতে। যারা গরীব মানুষ তারা হয়তো রুমের প্রয়োজনীয়তা জীবনে অনেক কম মনে করে থাকে- কিন্তু যারা মধ্যবিত্ত বা উচ্চবিত্ত তাদের জীবন যাপনের জন্য একটা পারসোনাল রুমের কোন বিকল্প নাই। যদি তারা পাবলিক বিশ্ববিধ্যালয়ের ছাত্র হয়ে থাকে তাহলে একসাথে অতি অবশ্যই হলে রুম শেয়ারের অভিজ্ঞতা থেকে থাকে। যদি যে কোন বিভাগীয়/জেলা/উপজেলা শহরে মেসে ও থাকে তাহলেও সে রুম সম্বন্ধে জানে। সারা দেশের পাবলিক বিশ্ববিধ্যালয় গুলোতে ছাত্র রাজনীতির অপধারা রুম ভিত্তিক রাজনীতি করে থাকে। ক্ষমতাসীন দলেল ছত্র ছায়ায় গড়ে উঠা ছাত্র রাজনৈতিক দলকে সাপোর্ট না দিলে হলে রুম পাওয়া যাবে না। আবার নেতা শ্রেনীর হলে একাই একটা রুমের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে অনেক  সময়ে হলে। বিগত কয়েক বছরে মেয়েদের হলেও রুম নিয়ে রাজনীতি করতে দেখেছি। অনেক সাধারন গোছের মেয়েদেরকে দেখেছি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হয়েও বাহিরে মেসে বসবাস করতে। যারা বিত্তশালী/মধ্যবিত্ত তারা সাধারনত পারসোনাল রুম মেইন টেইন করে থাকে- এতে করে অনেক সময় তার জীবন ধারা এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করতে সুবিধা হয়। একটা পারসোনাল স্পেস যেখানে বসে সে ভবিষ্যত পরিকল্পনা করবে বা কাজের ফাকে ফাকে অনেক সময় সৃষ্টিশীল কোন কিছু নিয়ে ভাববে বা কোন কিছু তৈরী করবে।মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলে মেয়েরা একটা পারসোনাল রুম কে একটা স্বর্গ মনে করে থাকে। অফিসিয়াল পরিবিশে একজন বড় সড় কর্মকর্তার একটা মাষ্ট বি রুমের কোন বিকল্প নাই।

কিছূ অশিক্ষিত নিরক্ষর লোক আছে যারা চেয়ার টেবিলে বসে থাকতে পারলেই নিজেকে শিক্ষিত মনে করে থাকে- তেমনি আবার অনেক সুশিক্ষিত লোক আছে যারা চেয়ার টেবিলের অভাবে তাদের অনেক কাজ করতে পারে না। যারা অশিক্ষিত - শার্ট প্যান্ট পড়ে চেয়ার টেবিলে বসে থাকাকে ক্ষমতা মনে করে বা রুচিশীল মনে করে তাদের কে বুঝতে হবে যে শিক্ষিত মানুষের ক্ষমতাটা অন্য খানে। আমি এক জনকে চিনি যাকে মানুষ বলে পরিচয় দিতে ঘৃনা হয় বা যারা মানুষ নামের কলংক তাদের মধ্যে একজন- বয়স আমার কাছাকাছি ৪০/৪২ এর মতো- কোনদিন স্কুলে ভর্তি হয় নাই, কোন ধরনের শিক্ষাগত যোগ্যতা নাই- কিন্তু সুন্দর করে কাপড়ের শার্ট প্যান্ট পড়বে এবং কাঠের চেয়ার টেবিলে বসে থেকে মনে মনে নিজেকে অনেক ক্ষমতাবান ভাববে আর বলবে এইটা আমার ক্ষমতা। সৃষ্টিকর্তার দুনিয়ায় নিজস্ব ক্ষমতা বলে কোন জিনিস নাই। ক্ষমতা এমন একটা ব্যাপার যা মানুষের জন্য প্রযোজ্য- অন্য কোন জাগতিক প্রানীর জন্য সেটা প্রযোজ্য না। অন্যান্য জাগতিক প্রানীদের জন্য সেটা এক ধরনের শক্তি বা বেচে থাকার শক্তি হিসাবে বিবেচিত।

আমি আরেক দালাল বা বাটপারকে চিনি যে নিজেকে এয়ারপোর্টের দালাল বলে পরিচয় দেয় সবখানে (যদি সেনাবাহিণী জানতো তাহলে হয়তো েপিটাইয়া তার ২০৬ জোড়া হাড্ডি ভাংগাইয়া ফেলাইতো) - সে ও অশিক্ষত, কুশিক্ষিত এবং কোন ভাবেই তার ভদ্র সমাজে বা ভদ্র সামাজিক  ব্যবস্থায় বসবাস করার যোগ্যতা নাই- সারাদিন নিজেকে স্মার্ট, সুন্দর এবং মাঝে মাঝে নিজেকে ক্ষমতাবানও বলে বসবে। খোজ নিয়ে দেখলাম সে স্কুলের গন্ডিও পার হতে পারে নাই। সে এয়ার পোর্টের দালালি করে একটা কোন রকম ২ তালা বিল্ডিং করেছে অন্য আরেকজনের জায়গা দখল করে (ভূমি মন্ত্রনালয়ের ওয়েবসাইটে দেখলাম তার নামে কোন জায়গা জমি নাই কিন্তু সে বলে সেই ২ তালা বিল্ডিং এর মালিক)। সেও সারা দিন এক রুমের ভেতরে বসে থাকে আর নিজেকে মনে মনে ক্ষতাবান মনে করে। 

এইটা সত্য কবর এক ধরনের অন্দকার ঘর। আমাদের দেশে বা বিশ্বের যে সকল দেশে কবর খোড়া হয় সেখানে ৪ কোনা একটা বক্সের মতো করে রাখা হয়। সেখানে কফিন নামানো হয় বা মুর্দাকে দাফন করা হয়।  কিন্তু জীবিতাবস্থায় মানুষ যে রুমে বসবাস করে সেটাকে লিভিং রুম বলে। আবার পড়াশোনার জন্য যে রুম সেটাকে রিডিং রুম বলে। যেখানে গুমায় সেটাকে বেড রুম বলে। আবার যেখানে বাহিরের বন্ধুদের নিয়ে বসে আড্ডা দেয়া হয় সেটাকে ড্রয়িং রুম বলে।  এক বেহায়ার সাথে একদিন কথা হলে সে বলতাছে- ড্রয়িং রুম কি জিনিস। তো আমি উত্তর দিলাম যে- যেখানে কোন ফ্ল্যাটে বা বাসা বাড়িতে যে রুমে বসে সবাই মিলে একসাথে বসে আড্ডা দেয় সেটাকে ড্রয়িং রুম বলে। তো সে উত্তরে বলতাছে আপনি ভুল বলেছেন? তো আমি বললাম সঠিক টা কি? তো বলতাছে- যে রুমে আকাআকি করা হয় সেটাকে ড্রয়িং রুম বলা হয়। আমি জিজ্ঞাসা করলাম- কি আকাআকি করলাম? বলতাছে যে কোন কিছু। সে জয় বাংলা পন্থী না - তো আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম স্বাধীনতা যুদ্ব চলাকালীন সময়ে বাংলায় যতো ফ্ল্যাট বা বিল্ডিং ছিলো এবং সে সকল বিল্ডিং এ যে সকল রুম ছিলো - সেগুলোতে দালাল/রাজাকার/পা ক হানাদার বাহিনী ঢুকে যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিলো আর সে সময় জয় বাংলা বলে শহীদ হয়ে যাওয়া বাংলার মা বোনেরা যে আর্ত চিৎকার আর তাদের রক্তের ছিটা ফোটা দিয়ে দেয়ালে যে রক্তের আল্পনা তৈরী করেছিলো প্রকৃতি- সেটাকে কি ড্রয়িং রুম বলা হয়? তখন সেই পা ক পন্থী (দালাল/রাজাকার মে বি) চুপ করে থাকলো। তো দেখলাম সে অশিক্ষিত  এবং সারাক্ষন রুমে বসে কুফরী কালাম টাইপের কাজ কারবার করে। তো তাকে বললাম তুই তো অশিক্ষিত- রুমে বসবাস করছ কেন? সে বলতাছে এইটা তার ক্ষমতা। আমি বলতাছি তোদের কারনে এই দেশের আরো যারা রুমে বসবাস করে তাদের নিশ্চয়ই অনেক কষ্ট হয়- বিশেষ করে ছাত্র ছাত্রীদের। তুই তো একটা রুম কে ক্ষমতাবান মনে করছ- একটা মানুষকে না। কারন তুই তো মানুষই না বলে আমি মনে করি?

সারা বিশ্বের ১০- ৩০% মানুষ বিল্ডিং এ বসবাস করে থাকে। এবং তারা নিজস্ব উপার্জনে বসবাস করে থাকে। আমি যাদের কথা বললাম তারা কেউই রুমে বা বিল্ডিং এ বসবাস করার যোগ্যতা নাই। কারন তারা ভিক্ষুক সমাজে বসবাস করে থাকে-। সহজ বাংলিায় ভিক্ষা করে চলে। এর তার কাছে ধার দেনা- বা চাওয়া চাওয়ি করে চলে। স্কুলের ৫ ক্লাস ও পাশ করে নাই। তারা একসাথে বিল্ডিং এ বসবাস করে নিজেদেরকে স্মার্ট আধুনিক শিক্ষিত মনে করে থাকে কিন্তু বাস্তাবে তাদের কোন যোগ্যতা নাই। এই ধরনের লোকের জায়গা হলো নিশ্চিত বস্তি। কারন বস্তিতে অনেক গরীব ঘরের মানুষ অনকে কষ্ট করে বসবাস করে থাকে। তাদের সাথে থাকলে তারা তাদেরকে পিটাইয়া পাড়াইয়া রাখতে পারতো। 

বর্তমানে সিটি কর্পোরেশন আইনে পুলিশ ভাড়াঠিয়া আইন পুরোপুরি কার্যকর হলে এই ধরনের লোকগুলোকে উচ্ছেদ করে যারা যার নিজস্ব জায়গাতে পাঠানো যাইতো। আমি বস্তির লোকদেরকে অসম্মান করতাছি না কিন্তু যারা বস্তি কোয়ালিটির তারা যদি বিল্ডিং এ ঢুকে পড়ে (মেধায় এবং মন মানসিকতায়- পোশাকা আশাকে বা কাপড় চোপড়ে না ) তাহলে তামা বিশ্বে বিল্ডিং এ বসবাস রত একটা সোসাইটির ঝামেলা হয়ে যাবে বা অন্তত তাদের শ্বাস প্রশ্বাসে সমস্যা হবে-িএইটা নিশ্চিত বলে দেয়া যায়।

তাই অবিলম্বে ঢাকা সহ সারা দেশের সকল সিটি কর্পোরেশনে পুলিশ ভাড়াটিয়া আইন কার্যকর করে যার যার অবস্থানকে সনাক্ত করে সবাইকে যার যার নিজস্ব যোগ্যত অনুযায়ী বসবাস করে সব গুলো সিটি কর্পোরেশন কে বসবাস যোগ্য করে ফেলাইতে পারে। আমি নিশ্চিত পুলিশ ভাড়াটিয়া আইন কার্যকর করলে সমাজের অনকে নামী দামী লোককে বিল্ডিং এবং ফ্ল্যাট ছেড়ে চলে যাইতে হবে আমি যাদের কথা বললাম- তাদের ১০০% ই বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র নাই। আর থাকলেও ডুপ্লিকেট এবং ডুপ্লিকেট জাতীয় পরিচয়পত্র যাদের তাদের ভোটার রেজিষ্ট্রেশন তালিকাতে নাম খুজে পাবেন না। 

আমি ময়মনসিংহ শহরের যেখানে থাকি সেটা আমাদের স্থায়ী সম্পত্তি। আমি ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পোরেশনে ডেমরা এলাকা থেকে পুলিশ ভাড়াটিয়া আইনের ফরম পিলাপ করি এবং সেখানে আমার ঠিকানা দেয়া থাকে এই ময়মনসিংহ এর লোকেশন। তারপরে মহানগর গোয়েন্তা পুলিশ আমার সকল তথ্য ভেলিফাই করে দেখে এবং ফাইনালি বলে যে আমি ভেরিফায়েড। আমার স্থায়ী ঠিকানায় চিঠি সেন্ড করে দেয়া হবে।সেই হিসাবে আমার ময়মনসিংহ শহরের বাসা/বিল্ডিং ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পোরেশনে তালিকা ভুক্ত এবং ময়মনসিংহ এখন সিটি কর্পোরেশন। এই শহরে র অনেক কে দেখতাছি জাতীয় পরিচয়পত্র নাই ইভেন তাদের জমি জমার দলিল ও নাই। বূমি মন্ত্রনালয়ের ওয়েবসাইটে তাদের কোন জমি জমরা ঠিকানা খুজে পাওয়া যাইতাছে না। তাহলে কিভাবে একটি সিটি কর্পোরেশনের ইনফ্রাষ্ট্রাকচার গড়ে উঠবে? 

No comments:

Post a Comment

Thanks for your comment. After review it will be publish on our website.

#masudbcl