Translate

Friday, August 28, 2020

বাংলা সিনেমা দেখার জন্য যুদ্ব বা ষ্ট্রাগল।

 


বাংলা সিনেমা দেখার কারনে ছোটবেলাতে অনেকেই আমাকে ক্ষ্যাত ডাকতো। আমি তেমন কিছু মনে করতাম না। কারন হলে যাইয়া বড় পর্দাতে সিনেমা দেখার সাহস তখনকার দিনে সবার ছিলো না। খুব সুন্দর একটা কম্যুনিটি ছিলো বাংলা মুভি দেখার জন্য।মনে চাইলেই হলে যাইয়া সিনেমা দেখা যাইতো না। কোন সিনেমা যদি হিট না হতো তাহলে সেই সিনেমাটা হলে শুধু এক সপ্তাহ থাকতো। আর যদি হিট হইতো তাহলে ২ সপ্তাহ বা ৩ সপ্তাহ চলতো। একদম সুপার ডুপার হিট মুভি গুলো অনেক দিন ধরে চলতো। একটা মুভি হলে ব্লক ব্লাষ্টার হলো কিনা তা বোঝা যাইতো সেই মুভিটা কয় সপ্তাহ ধরে চলতাছে।তার উপর ভিত্তি করে ডিসিসান নিতে হতো যে মুভি টা দেখবো কি না দেখবো। আমি ম্যাক্সিমামা মুভি দেখতাম যে মুভিটা মিনিমাম ১ সপ্তাহ গড়িয়ে ২য় সপ্তাহে পা দিছে হলে। হলে যাইয়া মাঝে মাঝে সিট পাই নাই বা দাড়াইয়া মুভি দেখার টিকেট পাওয়া গেছে - এরকম কয়েকবার ই হয়েছ্ তবে যতোবারই মুভি দেখার জন্য দাড়াইয়া দেখার টিকেট পাইছি ততোবারই সিড়িতে বসে সিনেমা দেখার সুযোগ মিলেছে আলাদা চেয়ারে আর লোকজন আমাদের কষ্ট দেখে বলতো যে- এরা একদিন ডাইরেক্টর হবে- মুভি বানাবে। কারন আমরা শিক্ষিত ছেলে পেলে ছিলাম , স্কুল কলেজের ড্রেস পড়ে মুভি দেখতে যাইতাম হলে। গ্রামের অশিক্ষিত সহজ সরল মানুষগুলো সহজে এই ধরনের কথা বার্তা বলে ফেলাইতো। যতোদিন মুভি দেখেছি ততোদিন রুবেল, ইলিয়াস কাঞ্চন, সোহেল রানা, জসিম, জাভেদ, সালমান শাহ, মিঠুন এরকম যারা পপুলার তাদের কোন ছবি মিস করতাম না। নায়িকাদের মধ্যে মৌসুমী, শাবনূর, সোনিয়া, পপি বা এরকম আরো অনকে পপুলার দের মুভি দেখতাম।  আর আমাদের সমবয়সী অন্যন্য ছেলে মেয়েরা আমাদের মুভি দেখা নিয়ে কটাক্ষ করতো। যারা কটাক্ষ করতো তাদেরকে কে সালমান শাহ ডেকে মুভি হলে নিয়ে গেছিলো তার মুভি দেখার জন্য। সালমান শাহ এর অন্তরে অন্তরে মুভিটা আমার চোখে লেগে আছে এখনো। 

বাংলা মুভির যারা নিয়মিত অভিনেতা অভিনেত্রী তারা নিয়মিত কষ্ট করতেন অনেকে- অনেক ষ্ট্রাগল করে একটা মুভি বানাতেন। তখন একমাত্র ষ্টুডিও এফডিসি যাকে সারা দেশে সবাই ডাকতো ঢালিউড বলে। অনেকেই অনকেবার সুযোগ করে দিয়েছে একেবারে এফডিসি এর ভিতরে যাইয়া নায়ক নায়িকাদের দেখার জন্য- কিন্তু আমার কেনো জানি পর্দাতে অভিনয় দেখতেই ভালো লাগতো। কোন শুক্রবারে বিটিভি তে ফ্রি দেখানো মুভি মিস করতাম না। যতোগুলা বাংলা ছবি দেখেছি হলে যাইয়া তার পরিমান হবে ২০০-২৫০। ছবির নাম এবং নায়ক নায়িকাদের নাম প্রায়শই  লিখে রাখতাম। কারন কি , জানি না? কোথায় কোন ছবির সুটিং হইতাছে তা আমাদের মধ্যে অনেকেরই  মুখস্থ থাকতো। স্কুল কলেজ বা ক্লাসের পড়া পারতো না - কিন্তু মুভি কখনো মিস হতো না। বাংলাদেশী মানুষ বা গ্রামের সহজ সরল মানুষ যে বাংলা মুভি কে এতো ভালোবাসে তা হলে যাইয়া যদি কেউ সিনেমা না দেখে তাহলে কেউ বলতে পারবে না। আমরা সেই ইতিহাসের স্বাক্ষী। প্রচন্ড ভিড় ঠেলে হলে সিনেমার টিকেট কাটা, ব্ল্যাকে বেশী দাম দিয়ে টিকেট কেনা, অনেক সময় একই টিকেট ২ জনের নামে ইস্যু হওয়া, সবসময় দল বেধে মুভি দেখতে যাওয়া এবং একবার টিকেট কাটার পরে যেনো আর বের না করতে পারে সেই জন্য সচেষ্ট থাকা এবং ভীড়ের মাঝে হারিয়ে না যাওয়া- সেটাও অনেক বড় ব্যাপার ছিলো। সিনেমা শুরু হবার পরে যদি কেউ হারিয়ে যাইতো তাহলে তাকে হাফ টাইমের আগে ‍খুজে পাওয়া অনেকটা অসম্ভব ব্যাপার ছিলো। একই সিরিয়ালে বসে থেকে অনেক সময় অনেক কটু কথা বা পরিস্থিতির সম্মুক্ষীন হওয়া- কারো শরীরের উপরে পড়ে যাওয়া বা কারো গায়ে হাত বা ধাক্কা লেগে যাওয়া- এইগুলো খুব স্বাভাবিক ব্যাপার ছিলো। যে সকল মেয়েরা খুবই সাহসী ছিলো তারা একদম শত শত ছেলের মাঝখানে বসে তার প্রেমিক বা হাজবেন্ডের সাথে সিনেমা হলে বসে থেকে সিনেমা এনজয় করা- এক অসাধারন ব্যাপার ছিলো। জোড়ে শিস দেয়া বা হাততালি দেয়া বা প্রত্যেকটা সিন সিনারিতে রিয়াকসান করা এইগুলো  খুবই মজার ব্যাপার ছিলো। শিস বা হাততালির জন্য হলে কখনো কেউ কিছু বলে নাই। অনেক অনেক সাহসী মেয়ে ছিলো যারা ২ জনে বা ৩ জনে মিলে সিনেমা হলে চলে আসতো। সিনেমা হল থেকে খাতির হয়েছে আর বাস্তবে সংসার করতাছে এরকম অনেক ছেলে মেয়েকে আমার এখনো মনে পড়ে। 

ময়মনসিংহ শহরে ৫টা মুভি হল ছিলো। ধারে কাচে আরো ছিলো ত্রিশাল, বালিপাড়া, শম্বুগঞ্জ, মুক্তাগাছা এরকম আরো ৫ টি হল। কোন মুভি যদি ব্লক ব্লাষ্টার হিট হতো তাহলে কে কোন হলে মুভি দেখবে তা নিয়ে এক হুলস্থুল কারবার ঘটে যাইতো। কোন হলে মুভি দেখার জন্য টিকেট না পাইলে আর মন খারাপ হইলে দূর দুরান্ত থেকে বন্ধুরা আসতো তাদের হলে নিয়ে যাইয়া মুভি দেখানোর জন্য। তারা স্থানীয় ছেলে বলে প্রভাব খাটিয়ে আমাদের কে ময়মনসিংহ শহরের ছেলে বলে হলে সিট পাওয়াইয়া দিতো এবং ব্ল্যাকমেইল করে হলেও হলে মুভি দেখতাম। ময়মনসিংহ শহরের সবগুলো হল ছিলো খুবই ওয়েল ডেকোরেটেড। থুবই ভালো পর্দা এবং সাউন্ড। অজন্তা, পূরবী স্ক্রিন বলতে গেলে সারা দেশে বিখ্যাত ছিলো। অনেক সময় হলের মালিকেরা ছবির নায়কদের কে নিয়ে আসতো হলে মুভি শুরু হবার আগে। ঢাকা শহরে অনেক সময় ছবির নায়ক নায়িকারা ছদ্মবেশ ধরে হলে চইলা যাইতো ফাষ্ট শো তে মুভি দেখার জন্য। এরকম অনেক রেকর্ড আছে- পরে আমরা বিচিত্রা তে বা অন্য কোন ম্যাগাজিন পড়ে ডিটেইলস দেখতে পারতাম। ১৯৯৮ -৯৯ সালের শেষের দিকে সিলেট সরকারি ভেটেরিনারি কলেজের ক্লাস শুরু হয়ে যায়। সেইখানে যাইয়াও বন্ধুদেরকে পাইলাম ভালো ছবি হইলে হলে যাইয়া মুভি দেখতে কোন না নাই। একবার এক ছবি দেখতে গেলাম ২০০০ সালে সিলেটের সিনেমা হলে- সেখানে ছবির নায়ক ৩ জন। হাসান, মুকুল আর মিজান। আর সিনেমাহলের সিট্রে আমরা ৩ বন্ধু বসেছিলাম - হাসান, মিজান, মুকুল। সব ৫ম ব্যাচের ষ্টুডেন্ট। পরে আস্তে আস্তে হলের টিভি রুমের সাথে বন্ধুত্ব হয়ে যায়। সিলেটের লোকাল চ্যানেলেও অনেক সময় অনকে বাংলা মুভি দেখাতো। সময় পাইলেই দেখতাম। ২০০০ সালের পর থেকে হলে যাইয়া সিনেমা দেখা ভুলে গেলাম। একদিন ছুটিতে ময়মনসিংহ আসলাম- সিলেট সরকারি ভেটেরিনারি কলেজ েবন্ধ থাকাতে। আমাদের স্থানীয় বাসা ময়মনসিংহ শহরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডে। ফল মুল কেনার জন্য এবং চরপাড়া মোড়ের কাছে খুব ভালো চা বানানোর কারনে আমি ঘুম থেকে উঠে বাসা থেকে বের হয়ে চরপাড়া তে যাই সাথে মানিব্যাগ শুধু। চরপাড়া মোড়ে যাইয়া চার কথা বলে শুধূ চা টা ঠোটে লাগাইছি - দেখি একসাথে ৪০/৫০ জন মানুষ দৌড়াদৌড়ি করতাছে - আর বলতাছে সিনেমা হলে বোমা ফুটছে- সিনোম হলে বোমা ফুটছে- অনেক মানুষ মারা গেছে। আমি সেদিন সকালে ১১ টার আগে ঘুম থেকে উঠতে পারলে নিশ্চিত সিনেমা হলের ভেতরে থাকতাম কারন টাইম থাকলে আর হাতে টাকা থাকলে সিনেমার শো কখনো মিস করতাম না তাই । তাই আতকে উঠে হতভম্ব হয়ে দাড়িয়ে থাকলাম অনেকক্ষন।   সম্বিত ফিরে পেতে অনেক মানুষের দৌড়াদৌড়ি দেখে  এবং আরো অনেক মানুষের উপস্থিতি দেখে সেই এলাকা থেকে একটা রিকশা ঠিক করে বাসাতে চলে আসলাম। কাছেই ভাটিকাশর মিশনারী হাউজ এবং আরেকদিকে পূরবী হল ছিলো। আরকেটু দুরে ছিলো অজন্তা এবং ছায়াবানী সিনেমা হল। আমরা বলতাম জমজ সিনেমা হলে- আরেকটা হলের নাম ছিলো অলকা- একসাতে সব গুলো সিনেমা হলে বোমা হামলা হয় । তখন সারা দেশেই ক্রমাগত বোমা হামলা হইতো। পৃথিবীর কোন গনতান্ত্রিক দেশে এতো পরিমান বোমা হামলা হইতো যো ভাষায় প্রকাশ করার মতোন না। 


২০০১-২০০৬ সালে চার দলীয় ঐক্য জোটের আমলে তৎকালীন সরকার বিএনপি জামায়েতে ইসলাম কে (বর্তমানে অবৈধ) এতো পরিমান পৃষ্টপোষকতা করে যে দেশবাসী হতভম্ব হয়ে পড়ে। অনেক গনতান্ত্রিকমনা ছেলে মেয়েরা বিএনপি কে আগে মন থেকে সাপোর্ট দিতো- কিন্তু চার দলীয় জোট সরকারের আমলে দেশবিরোধী রাজাকারের হাতে দেশের পতাকা তুলে দেয়া, সারা দেশে সিরিজ বোমা হামলা, একই এ টাইমে সারা দেশের আদালতে বোমা হামলা, সিনেমা হলে বোমা হামলা এই সকল পরিস্থিতিতে ভাবতে হতো বা চিনতে হতো এবং পরে চলাফেরা করতে হতো। অনেক সময় রাস্তা ঘাটে চলা ফেরা করার সময়ে মনে হতো- এই বুঝি বোমা হামলা হলো বা এই বুঝি মরে যাবো যে কোন সময় যে কোন খানে। জাতিসংঘের উদ্বেগ আশংকা থাকা সত্বেও সারা দেশে জঙ্গিদের এই বোমা সম্পৃক্ততা এবং সারা দেশে অসংখ্য মানূষের বোমা হামলাতে হত্যা - অনেক মানুষকে চিরকালের জন্য বিএনপির প্রতি থেকে মন মানসিকতা সরাইয়া নেয়। অনেককে দেখেছি রাগে দু:খে কষ্টে দেশে ছেড়ে চলে যাইতে - আর ফিরে আসবে না বলে মুচলেকাও দিয়ে গেছে কারন তারা বিএনপি সাপোর্ট করতো। তখন সারা দেশে আমরা একযোগে শপথ গ্রহন করি যে আর কখনো এই অপশক্তিকে ক্ষমতায় আসতে দেয়া হবে না। কারন পুরো দেশটা মুসলিম জঙ্গি দের হাতে চলে যাইতে পারে। বর্তমান রাজনৈতিক সরকারেরও  পরিবর্তনের দরকার আছে ১০০%। ২০০৯ সালের ১০টাকা কেজি চালকে এখন কিনতে হয় ৫০ টাকা, ২০ টাকার সয়াবিনের লিটার এখন ১০০টাকা বা ৫ টাকার লবন ৩০/৩৫ টাকা। ১০ টাকার ডাল ৬০/৬৫ টাকা - সব মিলিয়ে গরীব মানুষের জন্য জীবনটা দুর্বিষহ পর্যায়ে। আর আজকে ১০ বছর- নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম ক্রমাগতে বেড়েই যাইতাছে- চলে যাইতাছে হাতের নাগালের বাহিরে। এক ছোট ভাই দিন মজুর এর কাজ করে - সেদিন বলতাছে- ভাই , ১২০ টাকায় বৌ বাচ্চা নিয়ে ৩ বেলা খাইছি ২০০৯ সালে আর আজকে ২০১৯ সালে দৈনিক ৫০০ টাকা দিয়ে ৩ বেলা খাইতে বা পড়তে বা চলতে পারতাছি না - আর রেগুলার কাজ ও পাওয়া যায় না। 

থানা শাহবাগে অনুষ্টিত গনজাগরন ২০১৩ সারা দেশের মানুষের মনে আশা আকাংখা ফুটিয়ে তুলেছে। সারা দেশের সহজ সরল সাধারন মানের ছেলে পেলে দের সপ্রতিভ অংশগ্রহন, রাজাকারের ফাসি কার্যকর  এবং নতুন ইতিহাস তৈরী করার জণ্য এই ছেলে পেলে দের মুখের পানে অনেক সময় দেশবাসী তাকিয়ে থাকে দেশের ক্ষমতা পরিবর্তনের জন্য  । এখন শাহবাগ গনজাগরন আন্দোলনে অংশগ্রহনরত অনেকের সমন্বয়ে তৈরী হয়েছে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। আমার খুব ইচ্ছা বাংলাদেশে আমি একটা ১০০% স্বচ্চ পরিস্কার সুষ্ট নির্বাচর দেখবো- যে লক্ষ্যে তৈরী হয়েছে ছবিসহ ভোটার তালিকা। বর্তমানে আমাদের দেশে ৯০% লোকের জাতীয় পরিচয়পত্র আছে বৈধ। আর ছবিসহ ভোটার তালিকাটা তখনই ১০০% বৈধ ব্যবহার হবে যখন এ দেশের সব মানুষ পরিপূর্ন স্যাটিসফেকশনের সহিত একটি নির্বাচনে ভোট দেবে এবং সঠিক ক্ষমতার পরিচয় পাওয়া যাবে। ২০১৮ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকা অনুযায়ী ভোট দিছি হাত পাখাকে- ইচ্ছা আছে সামেনর বার ভেঅট দেবো গনজাগরন পন্থী রাজনৈতিক দলকে। এ বলে সে পপুলার , সে বলে এ পপুলার এই ব্যাপারটির সুরাহা হবে। আশা করি সেই নির্বাচন খুব দ্রুত দেখা যাবে করোনা কালীন সময় শেষ হবার সাথে সাথে। লেবু বেশী কচলাইলে তিতা হয়ে যাবার মতো এখনকার দিনের রাজনৈতিক  সরকার ব্যবস্থা  ভোটের মাধ্যমে  পরিবর্তন করে নতুন একটি সরকার ব্যবস্থার কথা চিন্তা করতাছে অনেকেই (আমি অনেকের সাথে কথা বলে তাই বুঝেছি)  - প্রত্যেকের মুখেই অভিযোগ- জিনিস পত্রের দাম বেড় যাওয়া, বিদ্যুত, গ্যাস সহ আরো অনেক কিছুর দাম বেড়ে যাওয়া এবং নিত্য দিনের মতো বেড়েই যাওয়া - ক্রমেই জনজীবনকে অসহায় করে তুলতাছে। আমি নিজেও এই সরকারের কাছ থেকে তথ্য প্রযুক্তি ছাড়া আর কোন সাহায্য পাই নাই। আমি মনে করি জন প্রতিনিধি হবে এরকম একজন মানুষ- যে কিনা নির্ভয়ে সকল মানুষের মাঝে ঘুরে বেড়াবে। যাকে ৮/১০/১২/১৫ জন মিলে অস্ত্র সহ পাহারা দিতে হবে না। 

শেষ বড় পর্দাতে সিনেমা দেখেছিলাম - থানা শাহবাগ এলাকাতে। মুভিয়ানা ফিল্ম সোসাইটির  আয়োজনে গার্মেন্টস শ্রমিকদের কষ্টের উপরে ভিত্তি করে একটি তথ্যচিত্র বা প্রামান্য চিত্র বা শর্ট ফিল্ম । দেশটা সকলের - তাই সকলে মিলে দেশ গড়ার অধিকার আছে। গার্মেন্টস এর ছেলে মেয়েদের পোষাক আশাক বা লিভিং ষ্টাইল বলে দেয় যে তারা কি অমানষিক খাটা খাটনি আর কি স্বল্প পরিসরে জীবন যাপন করে থাকে। বাংলাদেশে অনেক অনেক সুন্দর মুভি আছে যেগুলো জীবন যাত্রা পরিবর্তনে এবং মন মানসিকতা পরিবর্তনে অনেক সহায়তা করে এর আমাদের বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থার মানুষের। আবার এরকম ফিল্ম ইন্ডাষ্ট্রিতে যদি দালাল/রাজাকার/হায়েনা প্রজন্মের চোখ পড়ে তাহলে পর্নোগ্রাফি ঢুকে যেতে খুব বেশী যে সময় লাগে না তার প্রমান আমরা দেখেছি ২০০৬ সাল থেকে কিছু বছরের জন্য। বাংলা ছবির টোটাল প্রজন্ম টাকে একবোরে নষ্ট করে দেবার যে চক্রান্ত তার বিরুদ্বে সকলেই রুখে দাড়িয়ে সেই অপশক্তিকে দূর করে এখন আবার নতুন করে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা অনেকটাই সফল। এখণ দেখা যায় হলে যাইয়া দ্বারচিনি দ্বীপের দেশের মতো সুন্দর মুভিগুলো ও সহজে। সাউন্ড কোয়ালিটি খুব হাই ফাই শুনে একবার বসুন্ধরা তে গেছিলাম সিনেমা দেখার জন্য কিন্তু আহামরি তেমন কোন কিছু মনে হয় নাই- যে ফিলিংসটা রুমে বসে সাউন্ড থিয়েটারে বা হোম থিয়েটারে দেখা যায়। আমি হলিউডের মুভির ও অনেক পোকা। প্রচুর পরিমানে হলিউডের ছবিও দেখি পারসোনাল এফিটিপি সার্ভারে- এইচ ডি কোয়ালিটির মুভি আর সময় ও লাগে কম - দেখতেও ভালো লাগে। বাংলা ছবিতেও যদি হলিউডের ষ্টাইল ফলো করা হয় তাহলে আশা করি ভালো সাফল্য পাওয়া যাবে- ক্লাসিক কিন্তু দেখতে ভালো। 

বাংলা মুভিতে রাজনীতি বিষয়ক যতোগুলো মুভি দেখেছি সবগুলোতেই সবসময় গরীব মানুষের উপকার করার কথা বলা হয়। আর বাস্তবে যতো পলিটিক্যাল মুভমেন্ট দেখি - সবগুলোই স্বার্থান্বেষী রাজেনৈতিক দলের পকেট ভরার বা গুটিকয়েক মানুষ ভালো রাখার রাজনীতি। একদল ক্ষমতায় আসলে আরেকদলকে দমন পীড়নের রাজণীতি। মাঝে মাঝে দেখে মনে হয় আমরা এমন কিছু রাজনৈতিক দলের কোপানলে পড়েছি যারা আগে থেকেই এক অপরের শত্রু হিসাবে বিবেচিত তাই একটি স্বার্থান্বেষী মহলের সহায়তায় রাজনৈতিক ক্ষমতায় আসতে পারলেই শুরু হয় ঝামেলা আর ঝামেলা। এইখানে এখনো এমন মেন্টালিটি তৈরী হয় নাই যে-    এককভাবে কোন রাজনৈতিক দল সরাসরি আপামর দেশের সকল জন মানুষের জন্য করবে। এরকম ভাবে করবে শুধু মাত্র ্ এ প্রজন্মের রাজনৈতিক দলগুলোই যাদের উথ্থান হয়েছে শাহবাগ গনজাগরন আন্দোলন থেকে, বর্তমানে তাদের নিজস্ব রাজনৈতিক দলও আছে এবং হয়তো সামনের নির্বাচনে তাদের দেখা পাওয়া যাবে ভালো আকারে। আমার কাছে এরাই সবচেয়ে বিশ্বস্ত দল দেশ রক্ষায় - এরা অসম্ভব কে সম্ভব করে তুলেছে- স্বাধীনতার ৪৩ বছর পরে প্রকাশ্য দিবালোকে এক কথায় রাজাকারকে ফাসির কাষ্টে ঝুলিয়ে দিয়েছে এবং নিয়মিত দিতাছে যা আমার কাছে জীবনের সবচেয়ে বড় মুভি দেখা মনে হয়। এরকম আরো কিছু সত্য মুভি জয় বাংলায় দাড়িয়ে দেখতে চাই। 

যার জাতীয় পরিচয়পত্র নাই  তার বৈধ ভোটার রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার নাই। সো এদশে বা এদশের পরিপ্রেক্ষিতে তার মতামতের ও কোন দাম নাই। সো এই ধরনের লোকদেরকে জাতীয় পরিচয়পত্র আইনে বা পুলিশ  ভাড়াটিয়া আইনে আডেন্টিফাই করে তাদেরকে বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থা থেকে ডিলেট করে দিয়ে তার পরে ১০০% সুষ্ট ও সাধারন নির্বাচন আয়োজন করতে হবে এবং এ ব্যাপারে নাটক সিনেমা গুলোকে ও উল্লেখযোগ্য ভুমিকা পালন করতে হবে- এ সংশ্লিষ্ট ব্যাপারে সচেতনতা তৈরীকারী নাটক সিনেমা তৈরী করে একটি পরিস্কার সুষ্ট সাধারন নির্বাচন আয়োজন করে দেশের সব মাসুষের মতানুসারে একটি সরকার ব্যবস্থা তৈরী করার জন্য উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে। জয় হোক শুভ বুদ্বির, জয় হোক আপামর সকল ধরনের জন মানুষের। 

No comments:

Post a Comment

Thanks for your comment. After review it will be publish on our website.

#masudbcl