Translate

Friday, August 7, 2020

বাংলা নাটক। ইউটিউব ডট কমে ফ্রি দেখা যায়। কোন টাকা খরচ হয় না।

বাংলা নাটকের একনিষ্ঠ ভক্ত আমি। সময় পাইলেই অনেক নাটক দেখি। ঈদের আগের রাত থেকে কালকে পর্যন্ত প্রায় ২০ টি নাটক দেখলাম ইউটিউব  ডট কমে। একজন অশিক্ষিত লোকের সাথে কথা হইতেছিলো কয়েকদিন আগে- বলতাছে আগে তো নাটক দেখলে টাকা দিতে হতো মানে টিকেট প্রাইজ? এখন তো নাটক দেখলে আর টাকা দিতে হয় না। এখন তো ডিশ এন্টেনা দিয়ে ফ্রি প্যাকেজ নাটক দেখা যায় বা ইউটিউবে ও ফ্রি দেখা যায় (কয়েকজনকে আবার দেখলাম আমার বাবার কাছে নালিশ ও দিতে যে - স্যার আপনার ছেলে ফ্রি ইন্টারনেটে নাটক দেখে। আব্বা আমাকে ডিটেইলস বলার আগেই আমি আব্বাকে ইউটিউব পুরোটা বুঝাইয়া দিলাম এবং কিভাবে কিভাবে ভিডিও সার্চ করে দেখতে হয় তাও দেখাইয়া দিলাম এবং বুঝাইয়া দিলাম পুরেপুরি যে ইউটিউব ভিডিও দেখতে কোন টাকা খরচ হয় না- যা খরচ হয় সেটা মোবাইলের এমবি এবং চার্জ। এখণ আব্বা নিয়মিত লাইভ টিভি চ্যানেলের সংসবাদও দেখতে পারে আবার বিবিসি টাও শুনতে পারে এবং খুশী। সেই ব্যক্কলগুলো মনে হয় আমার বাবার কাছে নালিশ দিয়ে ব্যক্কল হয়ে গেছে)। সম্প্রতি আবার ‍ শুরু হয়েছে ইউটিউব ডট কমে বাংলা নাটক দেখার হিড়িক। যাদের আনলিমিডেট ওয়ােই ফাই বা ইন্টারনেট আছে তারা ই শুধু ইউটিউবে নাটক দেখতে পারে। কারন সেখানে এমবি খরচের কোন ব্যাপার নাই- আবার অনেকের ও আছে আনলিমিটডে ওয়াই ফাই। কিন্তু গ্রামে গঞ্জের ছেলে মেয়েরা এমবি কিনে দেখতে হয় যদি স্যাটেলাইটে বা ডিশ কানেকশন দিয়ে দেখতে হয়। আমি ও কয়েকদিন আগে একটা নাটক এমবি দিয়ে দেখলাম ৪০০ মেগাবাইটের মতো খরচ হয় একটা নাটক দেখতে। আর এক গিগাবাইট ডাটা কিনলাম ২/৩ দিন আগে- প্রায় ৪৬ টাকা নিলো। এইখানে মোবাইলের ইন্টারনেটের তো রমরমা ব্যবসা চলতাছে কারন গ্রামের ছেলে মেয়েরা শহরের ছেলে মেয়েদের কালচার সহজেই দেখতে চায় এবং এইটা একটা ক্রেজিনেসের ব্যবসা। 


আমার একটা নিজস্ব গবেষা ইউটিউবরে নাটক দেখে দেখে যে এরা এতো টাকা কোথা থেকে ম্যানেজ করে? নাটকের প্রডিউসার, ডাইরেক্টর, ক্যমারা, লাইট, প্রোডাকশন বা শুটিং হাউসের খরচ বা ভাড়া এবং নায়ক নায়িকা বা অভিনেতা অভিনেত্রীদের খরচ সব মিলে একটা নাটক বানাতে যদি ২/৩ দিন লাগে তাহলে তো খরচ প্রায় ৩/৪ লাখ বের হয়ে যাবার কথা নুন্যতম ( আমার অনেকদিন আঘে মঞ্চ নাটক করার অভিজ্ঞতা আছে) । আর যদি থাকে আউটডোর তাহলে তো আরো বেশী খরচ। কিন্তু একটা নাটক থেকে কি সেই পরিমান মনিটাইজেশন ভিউজ এবং উপার্জন আসে। একেকজনের প্রায় ২০০+ ইউটিউব নাটক আছে। এতো বিশাল পরিমান নাটকের শতকরা ৭০-৮০% এই দেখা যায় ইউটিউবের মনিটাইজেশন। এককটা নাটকে ভিউজ আসে প্রায় কয়েক মিলিয়ন। তো সেই হিসাবে তাদের টোটাল মনিটাইজেশন এর উপার্জন কতো আসে বা তারা টোটাল কতো লাভবান হলো সেই বিষয়টা অজানাই থেকে যায়। নাকি ইউটিউব আনলিমিটেড ফ্যাসিলিটজ পাইছে দেখে সমানেই নাটক বানাইতাছে আর আপলোড করতাছে আর ভবিষ্যত পরিকল্পনা করতাছে । সেদিন এক নায়িকার খবর পড়ে দেখলাম সে বলে গাড়ি কিনেছে প্রায় ৯০ লাখ টাকা দিয়ে তাও ২টা গাড়ি। এতো বিশাল অংকের টাকা তারা ম্যানেজ করে কিভাবে? বেশীর ভাগ সময়ে তো দেখা যায় একই শুটিং হাইজ ব্যবহার করে আর গতবাধা কাহিণী দিয়ে নাটক নির্মান চলতাছে। আধুনিক কালচারের ভীড়ে রুচিশীলতার আর খোজ পাওয়া যায় না। যে নাটকগুলো আমরা আগে দেখতাম টিভি সেটের সামনে বসে যেমন- একান্নবর্তী বা ৬৯ বা এই সব দিন রাত্রি যা কোয়ালিটি দেখায় বা কোয়ালিটি সম্পন্ন নাটক বানায় যা সারাজীবন চোখে লেগে থাকবে সেইগুলো আর এখন চোখে পড়ে না। তবে গুনী অভিনেতা অভিনেত্রীদের ভীড়ে কিছু কাজ বা নাটক পাওয়া যায় খুব ভালো মানের। কিন্তু সেটা কালে ভদ্রে। একসময় তো মানুষ ইউটিউব দেখাই ছেড়ে দেবে। তখন এই নাটকগুলো ব্যবসা করবে কি করে? হয়তো ইউটিউব পেইড ভারসন হয়ে যেতে পারে বা ক্লাসিক ভারসন হয়ে যেতে পারে যেখানে প্রতি মাসে পেইড আকারে ইউটিউব ব্যবহার করেত হইতে পারে। এখন তো আরো অলটারনেটিভও আসতাছে। ভিমিও, ডেইলিমোটন বা আরো অনেক ভিডিও ষ্ট্রিমিং সার্ভিস। 


যে পরিমান বাংলা নাটকে প্রতিদিন ইউটিউবে আপলোড হয় সেই পরিমান অনুমতিপত্র বা ছাড়পত্র কি সবার আগে (বার্তা বিভাগ বা তথ্য বিভাগ বা সংশ্লিষ্ট বিভাগ - তথ্য মন্ত্রনালয়)। যদি কখনো তারা জিজ্ঞাসাবাদ করে যে সব নাটকের ছাড়পত্র আছে কিনা বা সব নাটকের অভিনেতা অভিনেত্রীদের পেমেন্ট ক্লিয়ার আছে কিনা, সমস্ত শুটিং হাউজের বিল পরিশোধ আছে কিনা- তাহলে নাটকের ডাইরেক্টর বা প্রডিউসার রা দিতে পারবে তো? আমার মনে হয়- সব কিছু একটা ফাইল আকারে রাখতে হবে অবশ্যই যেনো যে কোন ধরনের ভেরিফিকেশনে সব ‍কিছু সহজে খুজে পাওয়া যায়। ভালো নির্মাতা হলে তো অতি অবশ্যই সব কিছু রেডী রাখবেন। সম্প্রতি গ্রেফতার করা হয়েছে টিকটক অপুকে- দেখা যাবে একসময় কোন ধরনের খুত পাইলে ইউটিউবেও সেই ধরনের অপারেশন শুরু হতে পারে। আর যদি  এডাল্ট বা এই ধরনের কোন ঝামেলা হয় তাহলে তো দেখা যাবে যে কোন সময় দেশে বড় সড় গ্যানজাম লেগে যেতে পারে? সো বুঝে শুনে ভালো কোয়ালিটি সম্পন্ন নাটক রিলিজ দিতে হবে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধমে? কলকাতার মুভি সার্চ দিলে ইউটিউবে পওয়া যায় না অনেক সময়। আর বাংলাদেশে একই মুভি বা নাটক ১০/১২ টা চ্যানেল থেকেও আপলোড দিতে দেখা যায়। পুরাতন দিনের গান ১০/১২ টা চ্যানলে থেকে আপলোড দেখা যায় আবার সেখানে মনিটাইজেশন ও চালু দেখা যায়। ইদানিং মনিটাইজেশনের ব্যাপারে বাংলাদেশ তেকে আবেদন নিষেধ থাকা সত্বেও অনেক লোকেশন পরিবর্তন করে মিথ্যা কথা বলে ইউটিউব মনিটাইজেশনে লোকেশন পরিবর্তন করে মনিটাইজেশন চালূ রেখে ভিউজ বা উপার্জন করে যাইতাছে। আমার যদি মনিটাইজেশন এপ্রুভাল না থাকে আর আমি যদি লোকেশন পরিবর্তন করে ভিডিও আপলোড কেরি তাহলে কি আমার ডিভাইস লোকেশন বা আইএসপি রেকর্ড থেকে যাইতাছে না- আর সেটা কি এক ধরনের চুরি হয়ে যাইতাছে না গুগল ইনকরপোরেশনের সাথে? ভালেঅ করে ভেবে দেখবেন। আর ইউটিউব মনিটাইজেশন বন্ধ থাকার পরেও আপনি যদি ব্যানড লোকেশন থেকে ভিডিও আপলোড দেন তাহলে কি সেটা আইন ভাংগার সামিল হয়ে যাইতাছে না? 

ভালো স্পন্সর জোগাড় করে ভালো মানের নাটক তৈরী করে নিজেও ভালো মানের এমাউন্ট মেক করেন আর দর্শকদের কেও ভালো মানের কাজ দেখার সুযোগ করে দিন। দেশে অনেক নাট্যাভিনেতা আছে (মঞ্চ) যারা ইউটিউবে ভালো মানের কাজ দেখতে চায়। আগে দেখেছি এ্যাপস এ ভিডিও চ্যাট করা যায় ১ গিগাবিইটে এক সপ্তাহ। আর একটা ৪০ মিনিটের নাটক দেখলে যদি ৪০০ মেগাবাইট খরচ হয় তাহলে আর মানুষ নাটক দেখবে কেমন করে? এতো বেশী মেগাবাইট আয়তন সম্পন্ন ভিডিও বা মুভি যদি আপলোড করেন তাহলে তো আর ্তো বেশী এমবি খরচ করে লোকজন নাটক দেখবে না। ইউটিউবে নাটকের জন্য আলাদা ক্যামেরা সেট আছে যেখানে নাটকের কোয়ালিট হবে উন্নত আর আয়তনে হবে কম এবং যেটা দেখতে এমবিও খরচ হবে কম। ভালো মানের নির্মাতাদের কে দেখেছি সেই সকল ক্যামেরা সেট ই ব্যবহার করতে। আর যারা ভালো এসইও জানে তারা তো চাইলে দৈনিক ১ বিলিয়ন ভিউজ দিতে পারবে? কোথা থেকে ভিডিও ভিউজ আসতাছে তা দেখার জন্য আপনাকে অবশ্যই ইউটিউব ষ্টুডিওেএ্যাপস ডাউনলোড করে দেখতে হবে। 


Youtube Studio Google Apps



বাংলাদেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট আছে প্রায় ১ কোটি। কিন্তু ৫০ লাখেরই বেশী আছে অফিস আদালতে যেখানে বসে ইউটিউব দেখার কোন জো নাই। আর বাসা বাড়ীতে আছে বোধ করি ৫০ লাখ। সো সেভাবেই ইউটিউব ভিডিও গুলো মকে করতে হবে যেনো রুট লেভেলে গরীব মানুষ যাদের ভালো মানের মোবাইল আছে  তারাও যেনো দেখতে পারে। ইদানিং কালের ইউটিউব নাটক এতো দ্রুত গতিতে আগাইতাছে যাতে মনে হইতাছে আগেকার ২ এক্স লেভেলের বেড সিন দেখতে খুব বেশী সময় লাগবে না মনে হয়। অনেকেই অভিযোগ করে পরিবারের সকলকে নিয়ে ইউটিউব এ নাটক দেখার কোন উপায় নাই। কোয়ালিটি ভালো হলে কোয়ানটিটি কমে যায় কিন্তু কোয়ানটিটি বেশী হলে কোয়ালিটিও কমে যায়। বর্তমানের বাংলাদেশে উন্নয়নের এতো বড় জোয়ার লেগেছে যে- বেশী র্বষ্টি হলে যেমন ঢাকা মেগা শহরের ধানমন্ডি এলাকা ডুবে যায়- তেমনি ২০১১ সালে যেখানে সারা দেশে ব্রড ব্যান্ড ইন্টারনেট পৌছে যাবার কথা সেখানে সেটা আজো লুকোচুরি রয়ে গেছে? 

No comments:

Post a Comment

Thanks for your comment. After review it will be publish on our website.

#masudbcl