Translate

Saturday, December 5, 2020

এসএসসিতে ষ্টার মার্কস সহ (কম্পিউটার সায়েন্সে সহ) পাশ করা আর প্রজন্ম রাজাকারের (ফাসি) আমার ব্যাপারে ভুল বোঝা।

 আমাদের সময়ে আমরা এসএসসি পাশ করি ১৯৯৬ সালে। আমি কখনো স্কুলের কোন বিষয়ে ফেল করি নাই। একবার সমান সমান পাইছিলাম- অষ্টম শ্রেনীতে স্কুলের পরীক্ষায় গনিত: ১৭.৫ মানে ১৮। ১৮ * ৩ = ৫৪ তে ছিলো তখনকার নাম্বার। বাকী ৫০ ছিলো এম সি কিউ। যেই রুমে বসে ক্লাস এইটের বৃত্তি পরীক্ষা দেই ময়মনসিংহ জিলা স্কুলের- ঠিক সেই রুমে বসেই পরীক্ষা দেই এসএসসি পরীক্ষাতে। তো আমাদের বন্ধুদের মধ্যে ২/১ টা ছিলো দালাল রাজাকারের সন্তান।  পরীক্ষার হলে সাহায্য নেয় না এরকম ভালো ছাত্র বাংলাদেশে খুব কমই আছে। আমাদের সময়ে অবৈতনিক প্রশ্ন ব্যাংক ৫০০ পদ্বতি বাতিল ঘোষনা করা হয়। ফলে সাবজেক্ট প্রতি আমাদের প্রায় ১ লক্ষ এমসিকিউ পড়তে হয় আর আমাদের সাহায্যে তখনকার দিনে এগিয়ে আসে ষ্টার নামে একটি এমসিকিউ কোম্পানী। সাবজেক্টিভ এবং অবজেকটিভ দুটি সাইডেই যে কোন সময়ে যে কোন লাইন থেকে প্রশ্ন করতে পারতো স্যারো এবং দুইটা সাবজেক্টেই আলাদা করে পাশ করতে হতো- ১৯৯৬ সালে ই প্রথম আলাদা আলাদা পাশ পদ্বতি চালু করা হয়। ফলে পুরো এ টু জেড সবই পড়তে হতো। আমি নিজে সাজেসনস করতাম এবং তা মোটামুটি সবাই নিয়ে পড়তো। আমি ঢাকা জিলা স্কুল, রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল, মতিঝিল আইডিয়াল এবং ভিকারুন্নেসা এবং হলিক্রস এর একটা সার্কেল থেকে সাজেসনস কালেক্ট বা মিলাইয়া নিতাম বা অনেক সময় নিজে যেটা বানাতাম সেটা তাদেরকে দেখাতাম। সেটা আবার সারা স্কুলের সবাই নিয়ে পড়তো এমনকি ক্লাসের ফাষ্ট বয় ও নিতো এবং তার নিজস্ব সাজেসনের সাথে মিলাইয়া পড়তো। আমি মোটামুটি ৯০% কমন ফেলাতে পারতাম এবং আমার সাজেসন অনেক ছাত্র এবং ছাত্রীদেরকে পাশ করতে এবং ভালো রেজাল্ট করতে অনেক সাহায্য করে। 


পরীক্ষার হলে আসার পরে (এসএসসিতে ) টেষ্টে মার্ক পাই প্রায় ৮০৮ এবং স্যারেরা আশা করে বোর্ডে ষ্ট্যান্ড করতে পারতে পারি কারন সবার সবসময় টেষ্ট থেকে মুল এক্সামে মার্ক বাড়ে মিনিমাম ৫০। তো আমি পাইছিলাম ৮০৮ এবং সাথে ৫০ যুক্ত হলে পাইতাম ৮৫৮। কিন্তু পরীক্ষার হলে আইসা এবং বইসা দেখা গেলো প্রতি সাবজেক্টের অবজেকটিভ এ ৫০ এর মধ্যে ৪৩/৪৪/৪৫ টা পারতাম। বাকীগুলো আইডিয়া করতে হতো। তো আইডিয়া গুলোে অনেক সময় ঝালিয়ে নিতাম আশে পাশের কাউকে টুক টাক জিজ্ঞাসা করে। জিলা স্কুলের ২/১ জন স্যারকে আগে থেকে চিনতাম । তো এক স্যার বলতেছিলো: তোরা যেহেতু প্রথম আনলিমিটেড নৈবত্তিক তাই তোদের ব্যাপারে একটা সিদ্বান্ত আছে। আমি বললাম: স্যার বলেন। বলতাছে তোরা শেষ ১০ মিনিট কিছুটা একজন আরেকজনের সাথে মিলিয়ে নিতে পারবি। তো আমি শেষ ১০ মিনিটে আশে পাশের ২/১ জন বন্ধুকে  আসক করতাম। ম্যাক্সিমাম ই বলতো দোস্ত আমি পারি না। তুই আরকেজন রে জিগা এবং সেটা আমারে ক। এজ এ ওয়ার্ড শেষ ১০ মিনিট প্রতি পরীক্ষায় বাজারের মতো হয়ে যেতো। আমিও প্রতি পরীক্ষোতে গড়ে ২/৩ টা জিগাইছি। কারন যদি ১০টা এমসি কিউ না পরাতাম তাহলে ৬/৭টা আইডিয়া তে থাকতো। বিটু এবং এইচ বি পেনসিলে সেটা মার্ক করে রাখতাম। তাহলে দেখতাম ৬/৭ টা ই মিলে যায় প্রতিবারে জিজ্ঞাসা করার আগে বা পরে । তো শেষে হিসাব করে দেখলাম: প্রতি সাবজেক্টে ২ করে সাহায্য নিলেও আমার ২০ মার্ক নেয়া হয়েছে ১০টা সাবজেক্টে। ৭৫০ এ ষ্টার। পেয়েছি ৭৮৮। তাহলে ২০ সাহায্য না পাইলে পাইতাম ৭৬৮। তারপরেও ষ্টার থেকে যায়। এক রাজাকারের (ফাসি) সন্তানকে জিজ্ঞাসা করার কারনে সে বাহিরে আইসা ফাকতালে ঢাকা শহরের খুব দরকারি জায়গাগুলোতে যাইয়া বলতাছে: মাসুদ যদি আমারে জিজ্ঞাসা না করতো তাহলে সে ষ্টার মার্কস নিয়ে পাশ করতে পারতো না। কথাগুলো গুড়িয়ে পেচিয়ে ফাসির আসামী প্রাপ্ত রাজাকার (ফাসি) দের কানে যায় আর তারা সারা বাংলাদেশে বলতে শুরু করে আমি বলে নিজের যোগ্যতাতে পাশ করতে পারি নাই্ কারন তারা আর ষ্টার মার্কস কি সেটা আর বুঝতাছে না। আমি যতোই বলি ভাই টুকটাক সাহায্য নিছি- ততোই তারা বলতাছে আমি সাহায্য নিয়ে পাশ করেছি। সেই জিলা স্কুলের স্যার ও সাবজেক্ট প্রতি ১০ মার্ক করে মাইনাস মার্ক করে দিছে সেটাও উনি কানের কাছে একদিন ফুছ করে বলে দিয়ে গেছে। সেই হিসাবে সাবজেক্ট প্রতি (১১ সাবজেক্ট) যদি ১০ লসও হয় তাহলেও সব মিলিয়ে ৮৯৮ আসার কথা। আমাদের সময়ে শেষ ষ্ট্যান্ড গেছে ৯০৯ এ।


আমি বেশী মার্কস তোলার জন্য কম্পিউটা সায়েন্স নেই। সেই রকম পড়াশোনা করতে হতো। ৬ষ্ট এবং ৭ম শ্রেনীতে পড়েছিলাম আরবী শিক্ষা। আর নবম  এবং দশম শ্রেনীতে পড়ি কম্পিউটার সায়েন্স। বিশাল এক চ্যালেন্জ ছিলো সম্পূর্ন নতুন করে চালূ হওয়া সারা দেশের কৃষি শিক্ষা এবং কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়া। আবার তার সাথে নাই ৫০০ কোশ্চেন ব্যাংক। ধরতে গেলে পুরো সৃজনশলি পদ্বতি। এবং আমরা প্রথম ব্যাচ। সেই হিসাবে প্রতি পরীক্ষার শেষ ১০ মিনিট ছিলো আমাদের জণ্য বেনিফিট। আমরা তো আর পরীক্ষার হলে নকল করি নাই।  একজন আরকেজনকে সাহায্য করার জন্য স্যারেরা একটি বেনিফিট দেয়। সব স্কুলের সব ছাত্ররাই পরীক্ষার হলে কোন না কোন বেনিফিট পায়। আমি সেই কথাটা মার্ক করলাম। দেখলাম দালাল (ফাসি) এবং রাজাকারে রা (ফাসি) এবং তাদের প্রজন্ম আমাকে এসএসসি ফেল বলে বা মনে করে এবং অনেক সময় তারা আমাকে অশিক্ষিত বাসা বাড়ির কাজের মেয়েদের সাথে সেক্সুয়ালি এনগেজড হবার ও প্রস্তাব দেয়। আমি পুরেপুরি থ কারন গ্রামের সহজ সলল কাজের মেয়েগুলো যেগুলো বাসা বাড়িতে কাজ করে তাদের গায়ে হাত দেয়া আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। তারা অশিক্ষিত বিধায় তাদের সাথে সেক্সুয়াল এরান্জমেন্ট ও আইনের চোখে  হ্যারাজমেন্ট হিসাবে বিবেচিত। 


আমি শিক্ষিত মেয়েমানুষের সংগ পছন্দ করি  কিন্তু অশিক্ষিত কাজের মেয়ে (আমার বাসাতে ছোটবেলা থেকে মিনিমাম ২০০ কাজের মেয়ে সার্ভেন্ট কাজ করে গেছে) আমি কখনোই তাদের সাথে কোন খারাপ ব্যবহার করি নাই এবং তাদেরকে সেক্সুয়ালি হ্যারাজমেন্টও করি নাই। রাজাকার (ফাসি) বা দালাল (ফাসি) রা অশিক্ষিত। ৭১ এ তারা গ্রাম বাংলার অশিক্ষিত বা অর্ধ  শিক্ষিত বাংলার মা বোনে দেরকে ধর্ষন করে। তাদের শরীরে নানাবিধ ধর্ষনের কালি। তাদেরকে আমাদের সমাজে শিক্ষিত মেয়েদের সাথে মেলামেশা করতে দেয়া হয় আর অশিক্ষিত মেয়েরাও তাদের সম্ভ্রব বাচাইয়া নিতে স্বক্ষম হয়। শিক্ষিত স্কুল কলেজ পাশ করা  আধুনিক মেয়েদের সাথে রাজাকার (ফাসি) এর মেলামেশা বা শারিরীক সম্পর্ক । সমানে সমানে হলে ভালো হয় বলে একটি কথা। একদল অশিক্ষিত দালাল (ফাসি) এবং রাজাকার (ফাসি) প্রজন্মের সাথে কিভাবে বাংলাদেশের শিক্ষিত মেয়েদের মেলামেশা হয় এবং তা আজো স্বাধীনতার ৪৯ বছর পরে - তা আমার সেন্সে ধরে না। 



২/১ জনকে আসক করে জানা গেলো: রাজাকারেরা (ফাসি) তাদেরকে বিরাট পরিমানে টাকা দেয়। আমি আসক করেছিলাম কতো দেয়। বলতাছে যে এতো পরিমান দেয় যে সারা জীবন আর টাকার জন্য চিন্তা করতে হয় না। এই কথা বলার পরে সেই মেয়েকে আমি রিজেক্ট করেছিলাম আর বলে দিয়েছিলাম: রাজাকারে (ফাসি) এক ধরনের বন্ধা তাদের কখনো বাচ্চা হয় না। আর তারা স্বাধীনতা যুদ্বের পর থেকে ধর্ষক এবং হাজারো নারী হাজারো জাতের নারী ধর্ষনের কারনে ডিজিজড এবং ধারনা করা হইতাছে তারাই এই বিশ্বে র বর্তমান পেনডেমিকের প্রধান কারন। এই দেশে মুক্তিযোদ্বাদেরকে কষ্ট দিয়ে রাখে আর রাজাকার (ফাসি) এবং দালাল (ফাসি) দেরকে শারিরীক সম্পর্ক স্থাপন করায়। দেশ কি রাজাকার (ফাসি) এবং দালাল (ফাসি) রা স্বাধীন করেছে নাকি মুক্তিযোদ্বারা। আর যদি মুক্তিযোদ্বারা দেশ স্বাধীন করে তাহলে সেই স্বাধীন দেশে রাজাকার (ফাসি) এবং দালাল (ফাসি) দের যৌন সুবিধা প্রদান কে করলো? তারা তো তালিকাগ্রস্থ রাজাকার (ফাসি) এবং দালাল (ফাসি) রা একসাথে থাকবে বা তাদের প্রজন্মেই সেক্স করবে - তারা তাদের প্রজন্ম ভেংগে বাংগালী মেয়েদের সাথে শারিরীক সম্পর্ক স্থাপন করতাছে কি করে? তাহলে দেশ ধর্ষকদের হাত থেকে স্বাধীন হলো কি করে? আর এতো টাকা তাদেরকে দেয় কে? বাংলাদেশে আইন হওয়া উচিত: রাজাকার (ফাসি) এবং দালাল (ফাসি) রা ক্যাশ টাকা ধরতে পারবে না আর বৈধ বাংলাদেশীদের সাথে সেক্স করতে পারবে না। কনডম তো তৈরীই হয়েছিলো ডিজিজড রাজাকার (ফাসি) এবং দালাল (ফাসি) দের হাত থেকে বাংলার মা বোনকে রক্ষা করার জন্য। 


আমি ১৯৯০ সালের গন আন্দোলনের সাথে জড়িত। পারহেপস আমরা জয় বাংলা বলতে পারি। সামনে স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি । যদি রাজাকার (ফাসি) এবং দালাল (ফাসি) দেরকে রেখে মুক্তিযুদ্বের ৫০ বছর পালন করতে চান তাহলে দয়া করে আমরা যারা জয় বাংলা বলতে পারি তাদেরকে বাংলাদেশে র ডাটাবেজ থেকে ইউরোপ এবং আমেরিকার নাগরিকত্ব দিয়ে বাংলাদেশ থেকে বের করে দিয়ে তারপরে আপনার রাজাকার (ফাসি) এবং দালাল (ফাসি) দের সাথে নিয়ে স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন করেন আর নয়তো সকল রাজাকার (ফাসি) এবং দালাল (ফাসি) কে প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যা করে পরিপূর্ন রাজাকার (ফাসি) এবং দালাল (ফাসি) মুক্ত বাংলাদেশ গঠন করে বিজয়ের ৫০ বছর পালন করেন আর নয়তো তাদেরকে জেলে বন্দী করে রাখেন কারন এই বাংলার সমাজে আমরা তাদের চেহারা আর দেখতে চাই না। তারা এইডস এবং ভাইরাস। তারা এখণ পেনডেমিক। আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে অভিশাপ দিয়ে রাখি: যারা বা যে মেয়ে বা যে মহিলা স্বজ্ঞানে স্বইচ্চায় রাজাকার (ফাসি) এবং দালাল (ফাসি) এর সাথে শারিরীক সম্পর্কে মিলিত হয়েছে  এবং এই ভাইরাস কে রিসিভ করেছে তাকে যেনো সৃষ্টিকর্তা এই পেনিডেমিকের মাধ্যমে দুনিয়া থেকে সরাইয়া দেন। আমরা জয় বাংলার লোকজন স্পষ্টত জানি: এই করোনা পেনডেমিকের মাধ্যমে সারা বিশ্বে আমাদের সমস্ত সমস্যার সমাধান হবে। 

 

No comments:

Post a Comment

Thanks for your comment. After review it will be publish on our website.

#masudbcl