Translate

Thursday, December 17, 2020

ফেসবুকের কভার ফটো, প্রোফাইল ফটো, ফিচার ফটো বা রেগুলার ফটো থেকে ট্রাফিক জেনারেট করা।

মাঝে একটা সময় ছিলো যখন সেলফি দিলে ওয়াটারমার্ক দিতে হতো। আসলে ফটো ফটোগ্রাফারদের জন্য একটি সম্পদ। আপনার ফটোতে যদি আপনি ওয়াটারমার্ক না দেন তাহলে যে কেউ সেটা চুরি করে যে কোন খানে ব্যবহার করতে পারে। সেখানে আপনার কোন স্বত্ত্বাধিকার থাকবে না। কারন আপনি যখন ছবি টা আপলোড করেছেন তখন আপনি কোন ওয়াটার মার্ক ব্যবহার করেন নাই। তবে ইন্টারনেটের যে কমন ডাটাবেজ সেখানে প্রথম যে ছবিটা আপলোড করেছে সেটার রেকর্ড থেকে যাবে। আর দ্বিতীয়ত আপনি যেখানে ছবিটা চুরি করে বা কপি করে ব্যবহার করতাছেন সে একজন ডুপ্লিকেট আপলোডার হিসাবে বিবচেতি হবে। যেমন: ইউটিউবে একজনের কন্টেন্ট আরেকজন ব্যবহার করলে কপিরাইট আইন ধরে বা চ্যানেল ব্লক করে দেয়। তেমনি ফেসবুকেরও যদি আপনি এ কাজ করেন তাহলে ডাটাবেজের যে বট যারা ঘুরে বেড়ায় সারাক্ষন, তারা আপনার ছবির ব্যাপারে মিনিমাম একটা কমেন্ট বা ব্যাড রিমার্ক তৈরী করবে যা আপনার প্রোফাইল ভিজিবিলিটি কমিইয়া দিতে পারে বা ভবিষ্যতে যদি আপনি কোন অপরাধ করে থাকেন সেখানে আপনার এই ব্যাপারটা কাউন্ট হতে পারে যেখানে ডিলেট বা ডিজাবল একাউন্ট আর কখনো ফেরত নাও পাওয়া যেতে পারে। 



ইন্টারনেটে আপনি যদি ১০০% সৎ থাকেন তাহলে আপনি সফলতাও পাবেন ১০০। একটা সময় ছিলো যখন একজনের ছবি আরেকজন চুরি করলে প্রথমজনেরও মাঝে মাঝে কিছুটা সমস্যা হতো। সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন হওয়া বা কপিরাইট আইন রক্ষা না করা , লোগো বা ওয়াটার মার্ক ব্যবহার না করা এরকম সমস্যা গুলো হতো - কিন্তু এখন প্রযুক্তির উন্নয়নের কারনে সেকেন্ডের আগে ডাটাবেজে আপলোড রেকর্ড থাকে যে কে আগে ছবিটা আপলোড করেছে। আমারা জানা মোতাবেক যেই ডুপ্লিকেট ছবি ব্যবহার করে সেই ইন্টারনেটে স্লো হয়ে যায় অনেক। নকল করে পাশ করাকে যেমন পাশ বলে না তেমনি ডুপ্লিকেট কন্টেন্ট ইউজারকেও তেমনি ইন্টারনেট  ইউজার বলে না। 



কন্টেন্ট বলতে কি বোঝেন? 

ইন্টারনেট কন্টেন্ট বলতে টেক্সট, ছবি বা ইমেজ, ভিডিও বা অডিও, প্রোগ্রামিং কোড এইগুলোকে একসাথে কন্টেন্ট বলে। একজনের কোড ও যদি আপনি ডাইরেক্ট আরেকখানে কপি পেষ্ট করেন সেটাকেও ডুপ্লিকেট কন্টেনন্ট ইউজার বলা হয়। কোন কিছুই আপনি কপি পেষ্ট করতে পারবেন না - তাহরে আপনি হাজারো সমস্যা থেকে বেচে থাকতে পারবেন। তেমনি ফেসবুক থেকে যদি আপনি ক্রমাগত ভিজিটর আনতে চান আপনার ওয়েবসাইটে তখন আপনি হাজার হাজার টেকনিক ব্যবহার করতে পারবেন। এড সেটআপ করা বা এড রান করা -সেটা পেইড পদ্বতি। ফ্রি পদ্বতি গুলোর মধ্যে আছে একটি: এই ছবিতে ওয়েবসাইট এড্রস শেয়ার করা। 



বলতে পারেন ফ্রি এবং পেইড পদ্বতির মধ্যে পার্থক্য কি? পার্থক্য হইতাছে: অডিয়েন্স টার্গেট এ পাওয়া। আপনার একটা রেষ্টুরেন্ট আছে। সেটা নিয়ে আপনি একটা পেইড ক্যাম্পেইন (ফেসবুকের পেজের মাধ্যমে) সেট আপ করলেন। সেটা যারা যারা রেষ্টুরেন্ট কে ভালোবাসে তাদের কাছেই শুধূ শো হবে। কারন আপনি ফেসবুকে ডলার দিয়ে পেইড ক্যাম্পেইন সেট আপ করার কারনে ফেসবুকের যতো বট আছে সমস্ত বট শুূধু এলাকা ভিত্তিতে যারা প্রথমে হ্যাশট্যাগ রেষ্টুরেন্ট ব্যবহার করেছে তাদের কে খুজে বের করবে  বা তারা যে সকল রেষ্টুরেন্টের মাধ্যমে ট্যাগ হইছে, লোকেশনে এড হইছে- সেরকম প্রোফাইল গুলোর পাশে বা নিউজ ফিডের মাঝখানে এড টা প্রথমে দেখাবে। ইমপ্রেশন তৈরী করবে, ভিজিটর তৈরী করবে এবং সেখানে চটকদার বা চমকপ্রদ বিজ্ঞাপনে দেখে নতুন নতুন লোকে সেই রেষ্টুরেন্টটা ভিজিট করবে- সেখানে যাবে, খাওয়া দাওয়া করবে এবং রেষ্টুরেন্টের মালিকের লাভ হবে। হয়তো ১০ ডলার খরচ করে সে লক্ষ টাকার ব্যবসা করে নেবে। এইখানে ফেসবুক আমার বা আপনার তথ্য নিয়ে ব্যবসা করলোে যেখানে ফেসবুকের লাভ হলো, অডিয়েন্সের লস হলো কিন্তু রেষ্টুরেন্ট মালিকের লাভ হলো। 






অপরপক্ষে আপনি যদি শুধূ মাত্র আপনার একটা ছবিতে রেষ্টুরেন্টের নাম লিখে সেটা আপনারে প্রোফাইলে বা কভার ফটোতে বা ফিচার ফটোতে বা রেগুলার ফটোতে দিয়ে রাখতেন সেকানে থেকে আপনি খুব বেশী ভিজিটর কে ডাইভারট করতে পারতেন না। হয়তো ১০/১৫ জন আপনার মান সম্মান রক্ষার্থে সেখানে যাইয়া ভিজিট করতো বা খাওয়া দাওয়া করতো। এখণ আপনি যদি পপুলার হোন যারা আপনাকে ভালোবাসে বা দিনে একবার হলেও আপনার প্রোফাইলে আসে বা ঘুরে বেড়ায় তাদের জন্য হিসাবটা একটু ভিন্ন। আমার প্যোপাইরেল ভিজিটর অনেক- অনেকেই আইস উকি দেয় আমার সার্কেল থেকে। তারা আমার ব্যাপারে তথ্য অনুসন্ধান করে। তাদেরকে আ িনিয়মিত আপডেট দেই আমার প্রোফাইল বা কভার ফটোতে ব্যবহৃত ছবির মাধ্যমে। তারা বিশ্বের বিভিন্ন শহরে থাকে এবং আমার প্রোফাইল থেকে আমার ওয়েভসাইট এড্রস দেখে সেখানে ভিজিট করে ফলে আমি সেখানে ভিজিটর পাই। আর সরাসরি ব্রাউজারে ওয়েবসাইট লিখে আসার দরুন তারা আমার জন্য সবচেয়ে ভালো অর্গানিক ভিজিটর বলে গন্য হয়। উপরের ছবিতে দেখেন : আমি আমার কয়েকটা ওয়েবসাইট এড্রস দিয়ে রেখেছি। যাতে আমার শতরু পক্ষের লোকজন ও যদি আমার  প্রোফাইল ভিজিট করতে আসে তাহলে তারাও আমার ওয়েবসাইট এড্রস টা জেনে যায় এবং ভিজিট করে েযখানে আমার ওয়েবসাইটের আরো একটা মার্কেটিং হয়। 


ইন্টারনেট যে কয়েক ধরনের ভিজিটর কে সবচেয়ে বেশী ভালোবাসে তার মধ্যে প্রথম অবস্থানে আছে অর্গানিক ভিজিটর। যে কোন সার্চ ইন্জিন থেকে কিওয়ার্ডের উপর ভিত্তি করে আপনার ওয়েভসাইট এড্রস পাইলো আর সেখান থেকে ভিজিটর আসলো- এইটাকে অর্গানিক ভিজিটর বলে। কিন্তু তার থেকেও বেশী ভালোবাসে যদি আপনি কোন ওয়েবসাইটের এড্রস সরাসরি লিখে থাকেন ব্রাউজারের ট্যাবে। কারন সেখানে আপনি ডট কম কে সরাসরি ব্যবহার করতাছেন বা www কে সরাসরি ব্যবহার করতাছেন। তো আপনি যদি আপনার ছবিগুলোতে কোন একটা ওয়েবসাইট এড্রস ব্যবহার করেন আর সেখানে যদি আপনার ভিজিটর সেটা দেখে সরাসরি ব্রাউজারে বা ট্যাবে আইসা ডট কম লিখে এবং ইন্টার দেয় বা গো দেয় বা ভিজিট করে তাহলে সেটা আপনার ওয়েবসাইট কে ভালো পজিশনে রাখতে সাহায্য করবে সবসময়। 

 




No comments:

Post a Comment

Thanks for your comment. After review it will be publish on our website.

#masudbcl