Translate

Tuesday, December 1, 2020

আপনার ওয়েবসাইট গুগলে টপ র‌্যাংকে বা টপ পেজে থাকলে কি কি সুবিধা পাবেন?

 গুগলের টপ র‌্যাংক বলতে বোঝানো হয় প্রথম পেজে ১ থেকে ১০ এর ভেতরে থাকা।  আর টপ পেজ বলতে সাধারনত ১-১০ এর মধ্যে বোঝায়। কেউ কেউ ১-৩ পেজ পর্যন্ত বোঝায়। সাধারনত কিওয়ার্ড দিয়ে সার্চ দেবার পরে আপনার রেজাল্ট টা যদি প্রথম পেজে দেখায় তাহলে বুঝতে হবে যে আপনি গুগলের টপ র‌্যাংকে আছেন। যেমন আমি আমার নিজস্ব কিওয়ার্ড র‌্যাংক নিয়ে কাজ করি। কোন একটা কারনে ইন্টারনেটে নেয়া আমার কিওয়ার্ড টা পপুলার বলে আমার কাছে মনে হয়। আমি চাই আমার কিওয়ার্ড নিয়ে সার্চ দিলে কেউ যেনো আমাকে প্রথম পেজেই পাইয়া যায়। ফেসবুক থেকে সংঘটিত একটি আন্দোলনের সাথে সমর্থন দেয়া এবং তাদের প্রোগ্রামের েপাষ্টিং দেবার প্রেক্ষাপটে আমি একদিন ফেসবুকের ভেতরে একটা ফাংশনে দেখতে পাই যে: অনেকেই আমাকে ফলো করতাছে যাকে দেখানো হয়েছে: পোষ্টিং ফলোয়ার। কোন প্রোফাইল না বা কোন পেজ না। আমি কখন কি পোষ্টিং করবো তা দেখানো হবে। তখণ আমি সেই কি ওয়ার্ড টা নিয়ে কাজ করার একটা প্রয়োজণীয়তা অনুভব করি। অন্ততপক্ষে ইন্টারনেটে যেনো আমাকে কেউ খুজে পায় সেজন্য এই ব্যাপারটা জরুরী ছিলো। আমি যে ইউজার নেমটার উপরে ভিত্তি করে পপুলার হই তা হইতাছে: masudbcl



এইখানে উপরের ছবিটা ভিজিট করে দেখেন যে: আমি আমার ইউজারনেম নিয়ে সার্চ দিয়েছি এবং আমার এই ব্লগ বা ওয়েবসাইট এড্রস টা প্রথমে দেখাইতাছে। তাহলে আমার কি ওয়ার্ড যদি হয় masudbcl তাহলে কিওয়ার্ড অনুযায়ী আমার ওয়েবসাইটের পজিশণ প্রথম পেজের প্রথম স্থানে যেটাকে গুগলের টপ র‌্যাংক বলা যাবে। এখন যদি আপনার কিওয়ার্ড ভিন্ন হয় আর সেটা যদি গুগলের প্রথম পেজে না দেখায় তাহলে তাকে গুগলের টপ র‌্যাংকে আছে বলা যাবে না। 



এখন কোন কিওয়ার্ড  দিয়ে সার্চ দেবার পরে যদি সেই কিওয়ার্ডের উপর ভিত্তি করে যে সার্চ রেজাল্ট আসবে সেটা যদি প্রথম ১০ পেজের রেজাল্টে না দেখায় তাহলে বুঝতে হবে যে আপনার ওয়েবসাইট আপনার কিওয়ার্ডের উপর ভিত্তি করে গুগলের টপ পেজ র‌্যাংকে আসে নাই। ইন্টারনেট ব্যবহার করার ক্ষেত্রে বেসিক এই বিষযগুলো যদি আপনি না জানেন তাহলে সহজেই আপনি বিভ্রান্ত হবেন। আপনাকে অতি অবশ্যই এই সকল বেসিক কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে। যেমন ধরেন: আপনি একটা রেষ্টুরেন্টে খাইতে গেলেন এবং সেখানে যাইয়া এই ভ্যাপারটা শুনলেন যে একটা ওয়েবসাইট গুগলের টপ র‌্যাংকে আছে। কিন্তু আপনি কিছুই বুঝলেন না। ফিরে এসে মনে মনে ভাবলেন লোকটা বোধহয় গুগলের টপ র‌্যাংকে আছে। সার্চ দিলেন: আর তাকে আপনি খুজে পাইলেণ না। মিথ্যা কিছু অনুমান করে বিভ্রান্ত হলেন। 

একটা ওয়েবসাইট গুগলের টপ র‌্যাংকে থাকলে  এবং টপ পেজ র‌্যাংকে থাকলে আপনি কি কি সুবিধা পাবেন: 
  • আপনার কিওয়ার্ড যদি পুপলার হয় তাহলে আনলিমিটেড ট্রাফিক বা ভিজিটর বা সেলস বা লিডস পাবেন। 
  • আপনার কি ওয়ার্ড যদি পপুলার নাও হয় তারপরেও আপনার নিজস্ব মার্কেটিং এর জোড়ে আনলিমিটেড ট্রাফিক বা ভিজিটর বা সেলস পাবেন।
  • আপনার ওয়েবসাইট যদি ই কমার্স ওয়েবসাইট হয় তাহলে ভালো সেলস পাবেন। 
  • আপনার ওয়েবসাইট যদি পপুলার হয় তাহলে আপনি বালো টি এ এবং ডি এ এর উপরে ভিত্তি করে ভালো দামের ব্যাকলিংক অফার করতে পাবেন। 
  • আপনি আপনার ওয়েবসাইটরে উপরে ভালো লিডস পাবেন।
  • আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর বা ট্রাফিকের উপর ভিত্তি করে টিএ বা ডিএ বাড়লে সেখানেও আপনি ভালো দামে ব্যাকলিংক অপার করতে পারবেন। 
  • নিয়মিত হোয়াইট হ্যাট এসইও করতে থাকলে ওয়েবসাইটের পেজ র‌্যাংক বাড়বে দিনে দিনে। 
  • যতো পরিমান ভিজিটর আসবে ততো পরিমান আপনার ব্যবসা হবে। 
  • আপনার ওয়েবসাইটের সাথে থাকা সোশাল মিডিয়া প্লাগইন বা সোশাল মিডিয়া আইকন গুলোতে ভিজিটরের উপস্থিতি বাড়বে, সোশাল মিডিয়া প্রেজেন্স বাড়বে এবং সোশাল মিডিয়া এক্টিভিটিজ বাড়বে। 
  • ওয়েবসাইটের কন্টাক্ট ফরম থেকে আপনার সাথে যোগাযোগ বাড়বে। 
  • ওয়েবসাইটের নিয়মিত আপডেট আপনার পেজ র‌্যাংক বাড়াতে সহাহায্য করবে। 
  • সহজে সারা বিশ্বের আপনার পরিচিত লোকজন আপনাকে বা আপনার ব্যবসাকে খুজে পাবে। 
  • যদি কোন টপ পপুলার কি ওয়ার্ড হয় তাহলে আপনার ওয়েবসাইটে প্রতিটা ব্যাকলিংক এর জন্য আপনি ১০০০ ডলার চার্জ ও চাইতে পারবেন। যেমন: ওয়াশিংটন পোষ্টে যাদের একাউন্ট আছে সেখানে যদি আপনি একটা ব্যাকলিংক করেন প্রায় হাজার ডলার চার্জ নেবে। 
এককথায় গুগলের টপ র‌্যাংকে থাকা আপনার ব্যবসার জন্য সবচেয়ে ভালো্ সেই সাতে কম্পিটিটিভ কিওয়ার্ড এবং কম্পিটিটিভ ওয়েবসাইট খুজে বরে করা, সেগুলোর কি ওয়ার্ড কে এনালাইস করা, তারা কোথায় কোথায় লিংক বিল্ডিং করেছে সেটা খুজে বরে করা আর সেই মোতাবেক আপনার কিওয়ার্ড গুলোকে ল্যাংকে আনার চেষ্টা করা- এইগুলোই বর্তমানের এসইও জগতে সবচেয়ে বড় সড় কাজের মধ্রে একটি। আপনি যে কোন পেইড সফটওয়্যার বা গুগলের পান্ডা পেংগুইন বা এই ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করেও র‌্যাংকে আনতে পারবেন কিন্তু ইন্টারনেট পেইড সফটওয়্যার ব্যবহার করার কারনে আপনাকে ব্ল্যাকলিষ্টে রাখতে পারে। মনে রাখতে হবে গুগল মানে ইন্টারনেট না- গুগল ইন্টারনেটে অবস্থান করা একটি কোম্পানী। ইন্টারনেট যদি কাউকে ব্লাকলিষ্টে ফালায় তাহলে তার আর ইন্টারনেটে ব্যবসা করা হবে না। তো সতর্ক থাকতে হবে এই ধরনের কাজগুলো করার ক্ষেত্রে। সবসময় একটা মেশিন বা একই ইন্টারনেট কানেকশন ব্যবহার করবেন এসইও করার ক্ষেত্রে তাহলে অন্তত আপনার ডিভাইস ডিটেইলস ঠিক থাকবে আর আপনার অনেক অনাকাংখিত ঝামেলা ও কমে যাবে। 

No comments:

Post a Comment

Thanks for your comment. After review it will be publish on our website.

#masudbcl