Translate

Tuesday, December 22, 2020

মার্কেটপ্লেস ওয়েবসাইট গুলোতে ক্লায়েন্টদের বিহেভিয়ার কেমন থাকে? দ্বিতীয় পর্ব।

 মার্কেটপ্লেস ওয়েবসাইট গুলোতে আমার অভিজ্ঞতা অনুযায়ী কিছু রেটিং নিচে দেয়া হলো। 

  • যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের ক্লায়েন্ট : এ ক্লাস
  • মধ্যপ্রাচ্যের ক্লায়েন্ট: বি ক্লাস
  • আফ্রিকা এবং এশিয়ান ক্লায়েন্ট: থার্ড ক্লাস ক্লায়েন্ট। 



যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের ক্লাযেন্টদের মধ্যে সবচেয়ে বড় যে জিনিসটা দেখেছি তা হইতাছে: কাজের মূল্যায়ন করা। আপনি যাই করেন বা যতোটাই করেন সে আপনাকে একটা ‍মূল্যায়ন করবে। কেনো তারা পৃথিবীর সেরা জাতি তাদের এই একটা বিহেভিয়ার থেকেই বোঝা যায়। মার্কেটপ্লেসে পরিচয় হবার পরে আপনি সততার সহিত যতোটা চেষ্টা করবেন সে আপনাকে ঠিক ততোটাই মূল্যায়ণ করবে। সো তাদের কাছে কখনো নিরাশ হইতে হয় না। ইউরোপিয়ান রা ও সেম মেন্টালিটি। এখণ আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে যাইয়া যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব গ্রহন করেন আর সেখানে ক্লায়েন্ট সেজে বসে বাংলাদেশীদের কাজ দেয়া শুরু করেন তাহলে সেটা আমেরিকান বায়ার বা যুক্তরাষ্ট্রের বায়ার হলো না সেটা হবে পরিকল্পিতভাবে ফেইক বায়ার। আপনি যে রকম আপনি ঠিক সে রকম বায়ার দের কাছেই পড়বেন কারন দুনিয়াতে একজন মানুষের সাথে আরেকজন মানুষের বন্ধুত্বে যেমন আচার ব্যবহার একটা মূখ্য ব্যবহার তেমনি মার্কেটপ্লেসেও আপনার পরিচয় বা ব্যবহার ঠিক সেরকম ভূমিকা রাখবে। ধরেন সারা বিশ্বে বাংলাদেশী রা নাগরিক হিসাবে আছে। বাংলাদেশে যে রকম চলে অন্যায়, অবিচার বা দুর্নীতি বা দলীয় করন, সে রকম দলীয় করনের অংশ হিসাবে আপনি দেশের দলের কাছ থেকে প্রচুর পরিমানে অর্থ  নিলেন আর সেটা কে আপনি আপনার পরিচিত বাংলাদেশী ফ্রি ল্যান্সার দেরকে হায়ার করলেন আর দলীয়করনের খাতাতে তার নাম লেখাইয়া দিলেন: যেমনটা আমরা ইদানিং দেখি অনেক ফ্রি ল্যান্সার রা  রাজনৈতিক সরকার কে তেল মারতে ব্যস্ত। মার্কেটপ্লেসে আপনি একটা পরিকল্পিত খ্রীষ্টান ইউজার নেম ব্যবহার করলেন আর ভেতরে আপনি সবকিছু আপনার বাপ মার দেয়া ঠিকানা বা নাম ব্যবহার করলেন। সেখানে আপনি যখন মার্কেটপ্লেসে কোন জব পোষ্ট করবেন তখন যারা আবেদন করবে তারা আপনার ইউজার নেম আর আপনি যে দেশে বসবাস করেন সেই দেশের ফ্ল্যাগটা দেখলো আর ধরেই নিলো যে: আপনি ইউরোপ বা আমেরিকার ক্লায়েন্টদের সাথে কাজ করতাছেন আর বলেও বেড়াইতাছেন । কিন্তু বাস্তবে আপনি জানেন না সেই ইউজার নেম এবং ফ্লাগের আড়ালে যে লোকটা আছে সে দেখতে কেমন বা কোন দেশী? কি তার ডিটেইলস আর কেনোই বা সে এই ধরনের কাজ করতাছে। 









যাকে আপনি ক্লাযেন্ট বললেন তাকে আপনি চিনলেন না । সে ক্ষেত্রে আপনাকে বলতে হবে যে: আপনি একটা মার্কেটপ্লেস ওয়েবসাইটে কাজ করেন। অথচ দুনিয়াতে এমন কোন কাজ নাই যেখানে শ্রমিক তার মালিকে কে চিনে না। একমাত্র ধর্মীয় কাজ সৃষ্টিকর্তাকে না দেখে বিশ্বাস করা। পাচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া বা দুনিয়াতে ধর্মীয় কাজ কারবার করা এবং কাল হাশরের দিন তার বদলা নেওয়া এইটা ধর্মের জন্যই সাজে। কিন্তু মার্কেটপ্লেস ওয়েবসাইটে আপনি চিনলেন না ক্লাযেন্ট কেমন বা আপনি জানেন না ক্লাযেন্টের ডিটেইলস- সেখঅনে যদি মিনিমাম ক্লাযেন্টের চেহারাও না দেয়া থাকে আর আপনি যদি না জেনে শুধূ মাত্র টাকা পয়সা বা ডলারের লোভে কাজ করে থাকেন তাহলে  ব্যাপারটা আপনার যদি চিন্তা চেতনা বা দেমাগে আঘাত লাগতে পারে। উপরের ছবিটা খেয়াল করলে দেখতে পারবেন যে: সেখানে ফেসবুকের মার্কেটপ্লেস দেখাইতাছে। যে কোন কিছু কেনা কাটা করা বা নিজস্ব মেধাও আপনি সেল করতে পারবেন। আপনার ফ্রি ল্যান্সার বা আউটিসোর্সিং রিলেটেড যতো কাজ জানা আচে সব আপনি এইখানে সেল করতে পারবেন। আপনার বাগানের আম টমেটো থেকে শুরু করে একেবারে এসইও সার্ভিস যাই মনে চায় তাই আপনি সেল করতে পারবেন।এখন আপনার যদি মাথাতে ডিষ্টার্ব থাকে তাহলে আপনি সবসময় চিৎকার চেচামেচি করবেন আর ভলতে থাকবে এইটা ভূয়া সেইটা ভূয়া বো এইটা দুই নাম্বার বা সেইটা দুই নাম্বার। আসলে যতোক্ষন পর্যন্ত আইনত আপনাকে কোব কাজে বাধা বা হুশিয়ারি দেয়া না হবে ততোক্ষন পর্যন্ত অনেক কিছুই বৈধ।ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে কিভাবে পন্য লিষ্টিং করতে হয় তা আমি পরে দেখাবো। ব্রগের সাথে থাকুন- দেখতে পারবেন। 




আফ্রিকার মধ্যে যেগুলো বড়লোক দেশ যেমন: সাউথ আফ্রিকা, মিশর, লিবিয়া তারা বাদে অন্যান্য সকল দেশগুলোতে ভীষন মাত্রায় করাপশন। যেমন: নাইজেরিয়ার পৃথিবীর এক নম্বর দুর্নীীতগ্রস্থ দেশ। অন্যান্য দেশ গুলোর ক্লায়েন্ট আপনাকে  দিয়ে কাজ করাবে কিন্তু ঠিকমতো পেমেন্ট দিবে না। গড়িমসি করবে বা ঝামেরা করবে অথবা ব্যাড রিকমেন্ডশন দিবে। কারন তাদের দেশ গুলো প্রকৃতই অভাবগ্রস্থ। সহজে তারা কোন টাকা পয়সা খরচ করতে চায় না। কিন্তু সাউথ আফ্রিকা সাদা চামড়ার দেশ। সেখানে হাজার হাজার ক্লাযেন্ট আছে দেখেছি ভালো্, মিশরের ক্লায়েন্ট ও দেখেছি ভালো ব্যবহার করে। এশিযার ক্লাযেন্টদের মধ্যে মুসলিম দেশ গুলো এবং মধ্যপ্রাচ্যের ক্লাযেন্ট রা চমতকার ব্যবহার করে অনলাইনে। পারস্পরিক মিউটুয়ালিজম টা খুব  ফাইন। কিন্তু খাচ্চড় এর ছ্যাচ্চড় সব ক্লাযেন্ট দেখলাম বৌদ্বদের মধ্যে- তাদেরকে কোন ভাবেই স্যাটিসফাই করা যায় না। তাই আমি কখনোই তাদের সাথে কোন কাজ করি না। এদের চেয়ে আফ্রিকান রা ভারো কারন তারা মুখ পুটে বরে দিবে যে: তারা গরীব। আর এশিয়ার বৌদ্বগুলো  ষ্টার মানের কাজ করলেও রেটিং দিবে ১ ষ্টার এবং সেখানেই বোঝা যায় তাদের মেন্টালিটি। তাদের যদি চোক আর মুখ বা নাক ভোতা না থাকতো তাহলে বোধ হয় তারা নিজেদেরেক একেবারে ইউরোপিয়ান বা আমেরিকান বলেই পরিচয় দিয়ে ফেলাইতো। 

(চলবে)

No comments:

Post a Comment

Thanks for your comment. After review it will be publish on our website.

#masudbcl