Translate

Wednesday, November 11, 2020

ফ্রিল্যান্সার মার্কেটপ্লেস ওয়েবসাইট রেভিনিউ/রেমিটেন্স এবং বাংলাদেশ।

প্রথমেই জেনে নেই কারা কারা বাংলাদেশে রেমিটেন্স এড করে : গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের নামে বাংলাদেশ ব্যাংকে। 

  • বৈদিশিক নাগরিক ( যারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাস করে)।
  • বৈদিশিক শ্রমিক ( যারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শ্রমিকের কাজ করে থাকে)।
  • বাংলাদেশের গার্মেন্টস শ্রমিক ।
  • এক্সপোর্ট  ইমপোর্ট ব্যাবসায়ীরা ।
  • মুদ্রা এক্সচেন্জার।
  • ফ্রি ল্যান্সার/মার্কেটপ্লেস/আউটসোর্সিং ওয়ার্কার রা। 
গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের নামে যে রেমিটেন্স তা কিন্তু সারা দেশের সকল মানুষের সম্পদ। একক ভাবে কোন সমাজ বা সোসাইটি বা কোন রাজনৈতিক দলের সম্পদ না এমনকি কোন হ্যাকারদেরও  সম্পদ না। এইটা সারা দেশের সকল মানুষের জমে থাকা অর্থ যা দ্বারা এই দেশের সাধারন মানুষের উপকার সাধিত হয়। বেসিক্যালি জ্ঞান হবার পর থেকে দেখে আসতাছি যে : জমে থাকা বৈদিশিক মুদ্রা দিয়ে সবসময় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে খাদ্রদ্রব্য কিনে বাংলাদেশের কাচাবাজার বা বাজার দরকে নিয়ন্ত্রনে রাখা হয় যেনো গরীব মানুষের কষ্ট না হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে কমদামে বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী কিনে সেটা কাচাবাজারে ভর্তুকি হিসাবে এড করার দরুন সেখানে গরীব মানুষের অনেক কম কষ্ট হতো। তাদের সুখে শান্তিতে দিন কাটতো। রাস্তা ঘাটে অশান্তি থাকলেও তাদের পেটে শান্তি ছিলো। ২০০৯/১০ সালে একজন শ্রমিক দৈনিক ১২০ টাকা রোজগার করে তার সংসারের খরচ চালাতো ৩ বেলা। আর ২০১৯/২০ সালে একজন শ্রমিকের ৫০০ টাকা দিয়েও একবেলা বা দুইবেলা পেট ভরে খাইতে পারতাছে না। আর তাছাড়া সে প্রতিদিন কাজও পাইতাছে না।


অমানষিক শারিরীক বা মানসিক নির্যাতন বা যন্ত্রনার মাধ্যমে সাধারন মানুষ দিনাতিপাত করতাছে। হঠাৎ করে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কি এমন হলো যে: ২০১০/১১ সালের পর থেকে সাধারন গরীব মানুষের উন্নতি বা ভর্তুকি বন্ধ করে হাজার হাজার কোটি টাকা বা সমমূল্যের ডলার দিয়ে রাস্তা ঘাট ব্রিজ কালভার্ট নির্মান করা শুরু করে দিলো (সারা দেশের কাচাবাজারের দ্রব্যমুল্য বৃদ্বি ক্রমান্বয়ে হারে হারে বিগত ১০ বছরে- সরকার কি অন্ধ হয়ে গেলো )। সারা দেশের সাধারন মানুষের পেটে কষ্ট দিয়ে কি রোড ঘাট নির্মান করা বেশী জররুী হয়ে গেলো? ২০১০ সালে যেখানে এক কেজি চালের দাম ছিলো ১০ টাকা সেটা এখণ ৬০ টাকা। এক লোক সেদিন রাস্তাতে দাড়িয়ে বলতাছে যে: প্রায় ৫ বছর যাবত সে পোলাওর চালের ভাত খায় না। অথচ সে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নাগরিক। তার বৈধ জাতীয় পরিচয়পত্র আছে এবং সে ভোটার। যাদেরকে ভোট দিছে তাদেরকে ১০/১২ বার বলার পরেও তেমন কোন ব্যবস্থা হয় না। সাধারন মানুষ না খেয়ে রাস্তাতে দাড়িয়ে থাকে- ব্যাপারটা একজন শিক্ষিত মানুষের জণ্য কতোটা কষ্টকর হতে পারে। যারা অশিক্ষিত তাদের কাছে এই ধরনের কোন ব্যাপার স্যাপারে কষ্ট লাগে নাআমার মনে হয় না - সারা বিশ্বে এমন কোন মানুষ আছে যে বলবে যে জনগনের ০৩ বেলা পেট পুরে খাবার দাবারের ব্যবস্থা না করে খালি রোড ঘাট বানাতে থাকুক - রোড ঘাট বানানো কে যে কোন দেশের উন্নতি বলা হয় এইটা একম আউট অফ সেন্স ছিলো আমার। আমি এই বর্তমান সরকারের এতো এতো রোড ঘাটের উন্নয়নের বিপক্ষে- পদ্মা ব্রিজই হোক বাংলাদেশের শেষ বড় সড় রোড কনস্ট্রাকশন। এর পরে আবার নতুন করে ১০ কিলোমিটার ব্রিজ  বা নতুন করে যমুনা রেলব্রিজ এইগুলো আমি ব্যক্তিগত ভাবে সাপোর্ট করি না। যদি সামর্থ্য থাকে খেটে খাওয়া গরীব মানুষকে নিয়মিত আর্থিক ভর্তুকি দেন (সারা দেশের সকল মানুষের বিকাশ/রকেট/নগদ(সরকারি) একাউন্ট আছে অটোমেটিক)।





আর যদি কন্ট্রোল না করতে পারেন তাহলে নতুন করে আরো একটা সরকারি ব্যাংক গঠন করেন (যেমন : ব্যাংক অফ জয় বাংলা) যাতে অন্য আরো একটা নতুন সিষ্টেম তৈরী হবে এবং যেখানে কোন ধরনের চুরি চামারি বা হ্যাকিং বানিজ্য হবে না। ম্যাক্সিমাম সরকারি রোড ঘাটের কাজই মনে হলো পরিকল্পিত ভাবে ধরাইয়া দেয়া হইতাছে চাইনীজ কোম্পানীদেরকে । সে সকল কোম্পানীদেরকে নিশ্চয়ই নগদ টাকাতে পেমেন্ট করা হইতাছে না। পেমেন্ট করা হইতাছে বাংলাদেশের টাকা সমমূল্যের বৈদিশিক ডলারের অর্থ  বা মুদ্রা দিয়ে (বা রেমিটেন্স মানি দিয়ে) যা আগে গরীব মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজে লাগতো যেমন: বিভিন্ন দেশ থেকে খাদ্য দ্রব্য কিনে আনা হতো এবং তা কাচা বাজারে ভর্তুকি হিসাবে দিয়ে বাজার দর ঠিক রাখার আপ্রান চেস্টা করা হতো। বাংলাদেশের মানুষ রোড ঘাটের কষ্ট হয়তো সামাল  দিয়ে নিতে পারবে কিন্তু পেটের ক্ষুধা বা কষ্ট কি কেউ সামাল দিতে পারবে তাও আবার পরিবার সহ। শিক্ষিত বেকার সমাজ তৈরী করে এ দেশকে আর কতো কষ্ট দেয়া হবে তা ঠিক বুঝতাছি না। আমেরিকার প্রত্যন্ত অঞ্চলেও অনেক খানে পিচ এর রাস্তা নাই। তারা অনেক হাই পাওয়ারফুল ফোর হুইল ড্রাইভ জিপ ব্যবহার করে চলাফেরা করে অথচ তাদের দেশে সময়ের অনেক দাম আছে তাও তারা সারা দেশের মানুষের পে চেক নিশ্চিত করে আগে। আর বাংলাদেশে আজ পর্যন্ত দেশ স্বাধীন হয়েছে ৪৯ বছর- শুনলাম না যে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার একবেলা সারা দেশের সকল মানুষকে পেট পুরে খাওয়াইছে দাওয়াত দিয়ে।


সারা দেশের এই ধরনের রোড ঘাট উন্নয়ন বন্ধ করে ফ্রি ল্যান্সার দের অর্জিত রেমিটেন্স এবং আরো সকল ধরনের রেমিটেন্স কে সাধারন মানুষের পেট পুরে ফ্রি খাবার দাবারের ব্যবস্থার জন্য আয়োজন করেন বা ভর্তুকির জন্য ব্যবহার করেন। কারন এর মাধ্যমে রেমিটেন্স আর্নার রা দেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে পারবে। গরীব মানুষের জন্য খাদ্র দ্রব্য ভর্তুকি আনুন- সারা দেশের কাচাবাজারে দ্রব্যমুল্যের দাম কমান আর বৈদিশিক খাদ্র দ্রব্য কালেকশনে সেই সকল বৈদিশিক মুদ্যা ব্যবহার করেন। বাংলাদেশে বড় সড় একটা ভুমিকম্প হলে এই সকল রোড ঘাট একটাও টিকবে না। শুধূ শুধূ সম্পদের অপচয়। গরীব মানুষকে মারার রাজনীতি যারা করে তাদের কে বাংলাদেশের সবাই চিনে। প্রয়োজনে চামড়ার মুখোশ খুলে নিতে সময় লাগবে না। শুধু বড়লোকদের জণ্য পৃথিবীতে কোথাও কোন সরকার ব্যবস্থা নাই।

খুব সুন্দর করে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রনয়ন এবং জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরী করা হয়েছে এবং সে রকম একটি অধিদপ্তর ও তৈরী হয়েছে। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগ যার নাম যার কয়েকদিন আগে প্রধান ছিলো: বিগ্রেডিয়ার মাসুদ নামের একজন মিলিটারী অফিসার। বোধ করি উনার সময়কালেই জাতিসংঘ এবং ইউএনডিপি কর্তৃক প্রনীত ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রনয়ন এবং জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান প্রজেক্ট কে ডিপার্টমেন্ট করে সরকারের সাথে একীভূত করা হয়েছে (যদিও এখনো এক শ্রেনীর কুত্তা জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ভোটার তালিকা কে প্রজেক্ট ভাবে কারন তাদের বৈধ জাতীয় পরিচয়পত্র নাই আর বৈধ জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়াই বাংলাদেশে বসবাসকে বৈধ মনে করে)। এখণ এইটা আর সরকারের কোন প্রজেক্ট হিসাবে নাই- এইটা এখণ সরকারের একটা আইনের আওতায় চলে এসেছে, একটা অধিদপ্তর  বা একটা বিভাগ হয়েছে- জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগ


সামনে বাংলাদেশ সরকারের যে জাতীয় নির্বাচন সেখানে ১০০% ভোটারের উপস্থিতিতে একদম ফ্রেশ একটি ভোট  দেখতে চাই যেখানে স্বাধীনতার পর থেকে অনুষ্টিত সবচেয়ে পরিস্কার একট ভোটগ্রহন হবে। যেখানে একজন এমপি পদপ্রার্থীর অবশ্যই বৈধ জাতীয় পরিচয়পত্র থাকবে (এছাড়া নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আবেদনই গ্রহন করবে না) আবার একজন ভোটারের তো মাষ্ট বি বৈধ জাতীয় পরিচয়পত্র থাকতেই হবে নয়তো ভোটার তালিকাতে তো আপনার নামই খুজে পাওয়া যাবে না। যার বৈধ জাতীয় পরিচয়পত্র নাই তার ভোটার তালিকাতেও নাম নাই। আর এই ধরনের কোন নিয়ম বাংলাদেশে নাই যে: এমপি পদপ্রার্থীদের জাতীয় পরিচয়পত্র বা ভোটার রেজিস্ট্রেশন নম্বর নাই। এরকম হলে বলবে শার্ট প্যান্ট পরিহিত পাগল বা মেন্টাল  ।   একবারের জণ্য আমরা  সারা দেশের নেতাদের প্রকৃত জনপ্রিয়তা যাচাই করে দেখতে চাই এই নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র বিভাগের মাধ্যমে- যেনো সারা বিশ্বে সকল ধরনের বাংগালীর চোখ খুলে যায়। বিগত তথাকথিত নির্বাচনে সারা দেশের একজন ফ্রি ল্যান্সার ও ভোট দিতে পারে নাই। ফ্রি ল্যান্সার রা দেশের এক নম্বর নাগরিক কারন তারা রেমিটেন্স আনে। যারা রেমিটেন্স উপার্জন করে তারা যা বলবে বা যেভাবে বলবে সেভাবেই দেশ চলবে। যদি আপনি আপনার নিজস্ব পাওয়ার বা মেধা খাটাতে চান তাহলে আপনি নিজে ফরেন বা বৈদিশিক মুদ্রা বা রেমিটেন্স উপার্জন করুন তারপরে আপনার নিজস্ব মতামত খাটান। এছাড়া গরীব মানুষেরা যেভাবে বলে সেভাবেই বাংলাদেশ চলবে। কারন দেশটা গরীব মানুষের দেশ। আর বেশীর ভাগ ফ্রি ল্যান্সার রাই গরীব মানুষের সন্তান।



No comments:

Post a Comment

Thanks for your comment. After review it will be publish on our website.

#masudbcl