Translate

Saturday, November 28, 2020

ইন্টারনেটে বাংলা লেখালেখি বিষয়ক কিছু কথা ।

 ইন্টারনেটে বাংলা লেখালেখি করতে অনেকেই ভালোবাসে। অনেকেই লেখালেখির বিষয়ে কথা বলতে চায়। গল্প সাহিত্য উপন্যাস কবিতা ছড়া প্রবন্ধ বা ব্লগ বা রচনা যা মনে চায় তাই লিখতে পছন্দ করে অনেকেই। আমাদের দেশে এক ধরনের লোক আছে যারা ইন্টারনেটে বাংলা লেখাকে ঘৃনা করে। এইটা সত্য ইন্টারনেট যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসছে আর যুক্তরাষ্ট্রও সারা বিশ্বে ইন্টারনেট প্রচার এবং প্রসারের মাধ্যমে সারা বিশ্ব কে এক করে রেখেছে । এখন আর কেউ কোথাও কোন ভয় পায় না। কারন সকলেই জানে ইন্টারনেটে যদি জানায় তাহলে মূহুর্তে সেটা বুলেটের গতি আকারে সারা বিশ্বে ছড়াইয়া দেয়া হবে। আর সারা বিশ্ব জেনে গেলে  েকোন ভ্যাপারে প্রতিকার বা প্রতিরোধ তৈরী করা একদমই সহজ। ইন্টারনেট একটি গতিশীল মিডিয়া। পেপার পত্রিকা একবার প্রিন্ট হলে আরেকবার প্রিন্ট হতে ২৪ ঘন্টা সময় নেয়। নিউজ বুলেটিন স্যাটেলাইট এ একবার প্রকাশ হলে আরেকবার প্রকাশ হতে প্রায় ১ ঘন্টা সময় নেয়। কিন্তু ইন্টারনেটে সেকেন্ডে সেকেন্ডে নতুন নতুন নিউজ বা সংবাদ এড হয়। ২০০ি০৬ সালে অনুষ্ঠিত ক্যালিফোর্নিয়ার ব্লগর রেভ্যুলমন, ২০১১ সালে কায়রো গনজাগরন, ২০১৩ সালে শাহবাগ গনজাগরন আর ২০১৭ সালে কাতালুনিয়া গনজাগরন এগুলো সবই ইন্টারনেট থেকে তৈরী গনজাগরন।


স্পেনের কাতালুনিয়া গনজাগরন ২০১৭

 আর গুগল ও ইন্টারনেটে সব দেশের ভাষাকে এলাও করে। তারা প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ভাষা এড করার জন্য কাজ চালাইয়া যাইতাছে। জাতিসংগ ও সম্ভবত দাপ্তরিক ভাষা হিসাবে বাংলাখে স্বীকৃতি দেবার জন্য অপেক্ষা করতাছে। বাংলা ভাষাতে কথা বলার জন্য প্রচুর ত্যাগ তিতীক্ষা করেছে বাংগালী। একসশয় এই এলাকাকে বাংলা নামেও ডাকা হতো। ভারতীয় পূর্ব বাংলা অংগরাজ্য ‍ও ছিলো একসময়। ইষ্ট বেংগল রেজিমেন্ট এর কথা কে না জানে - যাদরে প্রত্যক্ষ সহযোগিতা এবং ভারতের ট্রেনিং ক্যাম্প ছাড়া বাংলাকে স্বাধীন করা যাইতো কিনা- তরুন প্রজন্মের অনেকেই কিছুটা সংশয় ফিল করে। স্বাধীনতা আসতোই তবে সেটা তরান্বিত অথবা দীর্ঘান্বিত - সেটাই বিষয়। বাংলাতে বসবাস করে বাংলা য় কথা বলে বাংলায় লেখালেখি কররে যারা বিরুপ প্রতিক্রিয়া করে তারা কি মানুষ নাকি বেজন্মা কুত্তার প্রজন্ম? 


ইন্টারনেটে বাংলা লেখা এমনি এমনি তৈরী হয় নাই্। বাংলার পাশাপাশি বাংলাদেশে আরো একটি যে ভাষা বহুল ভাবে প্রচলিত তা হইতাছে ইংরেজী। ইন্টারনেটের ভাষাও ইংরেজী। ডলার যেমন সারা বিশ্বে একচ্ছত্র ভাবে আধিপত্য খাটায় তেমনি ইংরেজীও সারা বিশ্বে বহুল ভাবে আধিক্য খাটায়। তাই ইংরেজী না শেখলে বা বলতে না পারলে যে কেউ যে কাউকে খোটা দেয়। আসলে ইংরেজী সবার ভেতরে আছে গ্রামার পড়ে স্কলে পড়াশোনা করে পাশ করে আসতে হয়েছে সকলকে। কেউ না পড়ে বা না  শিখে ইংরেজী না জেনে স্কুল কলেজ পাশ করে আসে নাই। ইংরেজরা ইংরেজীকে ভালোবেসে ইন্টারনেট সারা বিশ্বে আসার আগেই সমস্ত শব্দ ইন্টারনেটে তুলে রাখে। তেমনি বাংলা শব্দ সম্ভােরের কাজও চলতাছে। যাকে বলা হয় ইন্টারনেটে বাংলা ভাষাকে সমৃদ্ব করা। প্রথমে ইন্টারনেটে বাংলা লেখার জন্য অনেক চেষ্টা করা হয়। সেখানে পিডিএফ দিয়ে কাজ করা হতো প্রথমে। তারপরে আসে ফোনেটিক। ফোনেটিকের মাধ্যমে যখন বাংলা ভাষা লেখার প্রচলন শুরু হয় তখণ থেকেই একদল বাংলা মায়ের সন্তান ইন্টারনেটে বাংলা লিখতে শুরু করে আর ইন্টারনেটে বাংলা ভাষাকে সমৃদ্ব করা শুরু করে। আর অপরদিকে বেজন্মা প্রজন্ম ইন্টারনেটে খারাপ খারাপ পর্নোষ্টোরি লিখা শুরু করে যা কখনো কেউ কল্পনাই করে নাই। ফলে বাংলা ভাষাবিদ রা বা ইন্টারনেটে বাংলা গবেষকরা থেমে যায় বা কষ্ট পায়। কিভাবে এই জিনিসটাকে আপডেট করা যায় এবং তাদের কে ওভার টেক্কা দেয়া যায়: সেরকম একটা ধারনা থেকে গুগলের মনিটাইজেশনে বাংলাকে এড করার জণ্য চেষ্টা শুরু হয়। প্রায় ১০-১২ বছর চেষ্টা করার পরে গুগলের কন্টেন্ট মনিটাইজেশন সেকসানে বাংলা কে এড করা যায়। যেনো বাংলা লিখলেও আপনি পেমেন্ট পান ডলারে আর কন্টেন্ট মনিটােইজেশন সেকসানেও যে যা পারে তা লিখতে শুরু করে। আপনার যদি মনে চায় আপনিও ফ্রি একটি ব্লগ তৈরী করে বাংলা কন্টেন্ট মনিটাইজেশন প্রোগ্রামে জয়েন করে বাংলা ভাষাকে ইন্টারনেটে সমৃদ্ব করার কাজে অংশ গ্রহন করতে পারেন।  


জাতে বেজন্মা দেশবিরোধী প্রজন্ম সবসময় ই মানুষকে ইন্টারনেটে অবিরত ধরা খাওয়াইতাছে। যেনো মানুষজন বা বাংগালীরা ইন্টারনেটে সঠিক তথ্য বা প্রজন্ম গড়ে না তুলতে পারে। যেনো এদেশের সহজ সরল বাংগালী ছেলে বা মেয়েরা ঠিকমতো ইন্টারনেটে ডলার উপার্জন না করতে পারে। ইন্টারনেট এদশেল ১০ কোটি মানুষের জীবনধারা বদলে দেবার জণ্যই ঢুকেছিলো। যেই দেশবিরোধী রা একসময় বাংলাদেশ কে ঘৃনা করতো এখণ তারা একটি প্রচন্ড গতিশীর মিডিয়াকে কন্ট্রোল করার চেষ্টা করতাছে যেমন প্রচন্ড ঝড়ের তোপে একটি ডিংগী নৌকা বাতাসে বাড়ি খায় সেরকম ভাবে। খড়কুটোর মতো যা পায় তাই ধরে আকড়ে থাকার চেষ্টা করতাছে। আমর াআসলে দেশবিরোধী বা বাংলা বিরোধী প্রজন্ম কে কোন প্রজন্ম মনে করি না- আমরা জানি তাদেরকে দুনিয়া থেকে নিশ্হ্নি করা মাত্রই তাদের কথা ভুলে যাবো। শুধূ বয়সের কারনে সুদীর্ঘ দিন যারা আন্দোলন করেছে তারাই ক্ষনে ক্ষনে বসে শ্বাস ফেলাবে আর মাটির তল থেকে বংগোপসাগরের গোপন পরিস্কার পানি থেকে তৈরী অক্সিজেনের বুদ বুদ মানুষকে নতুন জীবন দেবার চেষ্টা করবে। 

ইন্টারনেটে বাংলা লিখতে বসলেই একটি প্রজন্ম থেমে যায়- সেই প্রজন্ম টাই দেশবিরোধী। তারা এদশের ইন্টারনেটে বাংলা র আধিক্য দেখে মাথা খারাপ দৃষ্টিতে তাকাইয়া থাকে। খুনে একটা চাহনী দেবার চেষ্টা করে কিন্তু বাংলাদেশের সমাজে তারা কোন রেসপন্স পায় না - তাই বসে বসে ভাবে কবে জানি মৃত্যুদূত তাদের দারে আইসা দরজায় কড়া নাড়ে। আর বাংলায় কথা বলতে পারা বা ইন্টারনেটে ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কে বাংলা লিখতে পারা বা কোন উপমা তৈরী করা বা তুলে ধরা তো একটি সৃষ্টি সুখের উল্লাসের মতো। কোন কিছু সৃষ্টি করা বা করতে পারা সৃষ্টিকর্তার ভালোবাসা পাবারই নামান্তর।  আধুনিক বাংলাদেশে প্রথম বড় সড় বাংলার বিজয় ধরা হয় : ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রনয়ন এবং জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান - পুরো কাজটাই বাংলায় সম্পন্ন হয়েছে। ইন্টারনেটে রাখা আছে। প্রত্যেকে নিজ নিজ দ্বায়িত্বে যার যার স্মার্ট কার্ড পরীক্ষা করতে পারে। ২০১৩ সালে বাংলা জাগরন বা বাংলায় জয় বাংলা বলতে পারা - সমস্বরে স্বশরীরে সে এক অপার অনুভুতি। বাংলায় মুক্তিযুদ্বের পরে সবচেয়ে বড় জাগরন : শাহবাগন গনজাগরন ২০১৩। শুনেছি মুক্তিযুদ্বে সারা বাংলায় জয় বাংলার স্লোগান ছিলো প্রতি সেকেন্ডে। একজন মুক্তিযোদ্বার সাথে আরেকজন মুক্তিযোদ্বার যোগাযোগ ই হতো জয় বাংলা র মাধ্যমে। দেশ স্বাধীন হয়েছে জয় বাংলার মুক্তিযোদ্বাদের রাইফেল আর অস্ত্র চালনার বিনিময়ে- আর এদেশে বসে থেকেই একটা প্রজন্ম বাংলা লেখা দেখলে গেন্না করে (!)। আরে জয় বাংলার ভেতরেই তো বাংলা নিহিত। ভালো না লাগলে বা বাংলাকে ভালো না লাগলে বাংলা ছেড়ে চলে য়া- তোদের কে তো কেউ দড়ি দিয়া বাইন্ধা রাখে নাই। থাকতে হলে জয় বাংলা বলেই থাকতে হবে, জয় বাংলার দাপট মেনেই থাকতে হবে। 


No comments:

Post a Comment

Thanks for your comment. After review it will be publish on our website.

#masudbcl