Translate

Sunday, November 22, 2020

একজন ফ্রি ল্যান্সার হিসাবে কিভাবে হ্যাকারদের আক্রমন থেকে নিজেকে বাচাবেন?



একজন ফ্রি ল্যান্সার হিসাবে আপনার একাউন্ট হ্যাকড হলেও আপনি সেটা ফেরত পাইতে পারেন। তবে তার আগে আপনাকে কিছু সতর্কতা সবসময় অবলম্বন করতে নিবে : 

  • আপনার সবগুলো একাউন্ট টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন করে নিতে হবে যেনো যে কেউ যে কোন খান থেকে আপনার একাউন্টে লগইন করার চেষ্টা করলে আপনার কাছে একটা কোডের ম্যাসেজ বা এ্যাপ কোড চায়। আবার হ্যাকার যদি আপনার ধারে কাছে থাকে তাহলে সে আপনার ফেসবুক একাউন্টে লগইন করার সময়ে আপনার টাচ ফোন টা খেয়াল করবে। মনে করেন : আপনি কোন কোড রিক্যুয়েষ্ট করেন নাই কিন্তু হঠাৎ করেই একটা কোড ম্যাসেজ আসলো আর আপনি সেটা উচ্চারন করে ফেলাইলেন তাহলেই আপনার একাউন্টে হ্যাকার ঢুকতে পারে। আপনার একাউন্টে যেনো আপনি ছাড়া আর কেউ না ঢুকতে পারে তাহলে ফিংগারপ্রিন্ট সিষ্টেম একটিভ রাখবেন অথবা আই ভিরেফিকেশন মেথড ওকে রাখবেন। (অপটিক ভেরিফিকেশন সিষ্টেম)। তাতে আপনার একাউন্ট হ্যাক হলেও আপনার ধারে কাছে থাকা হ্যাকার আপনার মোবাইল ওপেন করে  কোড কালেক্ট করতে পারবে না। 
  • পৃথিবীর সকল দরকারি ওয়েবসাইটে দেয়া আছে টু ফ্যাক্টর ভেরিপিকেশন মেথড। একাবরে সহজ সরল ওয়েবসাইট গুলোতে সে ফ্রাক্টর টা অন করা নাই। ফেসবুকের মতো সোশাল মিডয়া ওয়েবসািইট গুলো কোড জেনারেট করে লগইন করার জন্য। বলতে গেলে সেটা খুব দরকারি এবং ভালো একটা সিষ্টেম। সোশাল মিডিয়া এবং ইন্টারনেটে একাউন্ট ব্যবহার করার ক্ষেত্রে নিজের স্ত্রী বা প্রেমিকাকেও বিশ্বাস করা নিষেধ। কারন এইখানে পারসোনালিট ই হইতাছে মূল প্রাইভেসী বা সিক্রেসী বা সিক্রেট। 
  • যে কোন ব্রাউজার ব্যবহার করবেন কুকিজ ক্লিয়ার রাখবেন। টেম্প ফাইল ও ক্লিয়ার রাখবেন। উইন্ডোজ এর যে সিষ্টেম সেটাই ব্যবহার করবেন। আলাদা করে কুকিজ ক্লিয়ারিং সফটওয়্যার ব্যভহার করলে দেখা যাবে সেই সফটওয়্যারেই সব হিষ্টোরি থেকে যাইতাছে যা কিনা পরবর্তীতে কোন হ্যাকার দলতে পাররে আপনার একাউন্ট পর্যন্ত চলে আসতে পারে। কুকিজ ক্লিয়ারের জন্য ব্রাউজার কুকজি ক্লিয়ারিং পলিসি ব্যবহার করতে হবে। আলাদা করে কোন সফটওয়্যার ব্যবহার আমি ব্যক্তিগতভাবে সাজেষ্ট করি না। 
  • ব্রা্উজার গুলোর মধ্যে গুগল ক্রোম বা যে কোন ব্রাউজারই আপনি লগইন করা অবস্থায় ব্যবহার করবেন। আমরা সাধারনত লগইন না করে ব্রাউজার ব্যবহার করি। ওপেনলি ব্রাউজার ব্যবাহর করলে হ্যাকার দের জণ্য কুকিজ কালেকশন করতে সুবিধা হয়। সেজন্য সবাই বা যে কোন ব্রাউজার আপনাকে রিকমেনড করবে যেনো আপনি প্রথমে একাউন্ট ওপেন করে নিন সেই ব্রাউজারের। তাহলে ব্রাউজার আপনাকে একটা একস্ট্রা নিরাপত্তা প্রদান করবে। যদি আপনি ফায়ার ফক্স ব্যবহার করেন তাহলে ফায়ারফক্সে একটা এ্কাউন্ট ওপেন করে নিবেন। যদি আপনি ক্রোম ব্যবহার হরেন তাহলে ক্রোমের একটি একাউন্ট লগইন করে নিবেন। চাইলে আপনি আপনার নিয়মিত ইমেইল দিয়ে লগইন করতে পারেন বা অন্য আরকেটা ইমেইলেরও  সাহায্য নিতে পারেন। তবে যে ইমেইলই আপনি ব্যবহার করেন না কেনো - সেই ইমেইলের সিকিউরিটি যেনো অনকে হাই হয় সেটাও খেয়াল রাখতে হবে। 
  • আপনি যদি উইন্ডোজ ১০ ব্যবহার করেন তাহলে আপনি উইন্ডোজ এর একটি নিজস্ব ফায়ার ওয়াল বা এন্টিভাইরাস পাবেন যার নাম উইন্ডোজ বিট ডিফেন্ডার। বলা হইতাছে উইন্ডোজ এর জগতে  বিট ডিফেন্ডারের চেয়ে বড়ে কোন এন্টিভাইরাস নাই। আপনার উইন্ডোজ যদি পাইরেটেড হয় আপনি যদি ারিজিনাল এন্ট ভাইরাস ব্যবহার করেন তাহলে কোন লাভ নাই। কারন সেটা হ্যাকারদের জন্য একবারেই সহজ একটা ব্যাপার। হ্যাকার রা আপনার যে কোন একাউন্টই লগইন করতে পারবে যদি আপনার পাসওয়ার্ড অতিমাত্রায় সহজ হয়। আনপরা পাসওয়ার্ড হতে হবে ক্রিটিকাল বা যদি আপনি সফটওয়্যার ব্যবহার করেন তাহলে সফটওয়্যার এর সিকিউরিটি সেকসান থেকে আপনি টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন সিষ্টেম বা ফেস ভেরিফিকেশন সিষ্টেম বা ফিংগার প্রিন্ট ভেরিফিকেশন সিষ্টেম ব্যবহার করবেন। 
  • মার্কেটপ্লেসে আপনার যতো ধরনের একাউন্ট আছে এবং যতো ধরনরে সিকিউরিটি সিষ্টেম আছে সবগুলেই এপ্লাই করবেন। 
  • প্রতিদিন আনপরা মার্কেটপ্লেস একাউন্টের স্ক্রিনশট নিয়ে রাখবেন। যদি আপনার একাউন্ট হ্যাক হয় তাহলে সর্বশেষ নেয়া স্ক্রিনশট টা আপনি কাস।টমার কেয়ার সেকসানে সাবমিট করতে পারবেন। 
  • যদি আপনি ইউটিউব মনিটাইজার হোন তাহলে আপনার ইউটিউবরে একটা সেকসান আছে হিডেন ইউজার: সেটাও ভালো করে খেয়াল করবেন। সেখানে যদি কোন আননোওন ইমেইল এড্রস দেখেন তাহলে সেটা ডিলেট করে দিবেন। ইউটিউব যাদের হ্যাক হয় তাদরে মেইন একটা সেকসান হইতাছে হিডেন ইউজার সেকসান। সেটা সবসময় চোখে চোখে রাখতে হবে। Login Youtube - Top Right Side- Settings- Default channel features- Community- Hidden user. কয়েকদিন আগে আমার ফেসবুক একাউন্ট এ লগইন করতে পারতেছিলাম না। তখন সব কিছু চেক করতে যাইয়া এই ব্যোপারটা খেয়ার কিল। যখন ইউটিউব প্রথম ওপেন হয় তখন জেনেছিলাম বা শুনেছিলাম: হিডেন েইউজার এ যদি কোন ইমেইল দেখা যায় তাহলে বুঝতে হবে সেটা হ্যাকারদের কাজ। 


  • হ্যাকারদের হাজারো টেকনিক আছে। অপিরিচত লিংকেও ক্লিক করা যাবে না ইমেইল থেকে বা মেসেন্জার থেকে। এইটা এই বিশ্বে হ্যাকার দের প্রথম টেকনিক - লিংক দেয়া পরিচিত বা অপরিচিত আর আগ্রহবশত সেগুলো তে ক্লিক কররে হ্যাক হয়ে যাওয়া । আপনি আপনার পরিচিত বা অপরিচিত যে কোন লিংক দেখতে পারবেন কিন্তু সেটা কপি করে নতুন একটা  ট্যাব বা ব্রাউজারে পেষ্ট করে নিয়ে। তাহলে আর হ্যাক হবার ভয়টুকু থাকবে না। 


  • হ্যাকারদের প্রথম এবং প্রধান খাবার হইতাচে কুকিজ। বর্তমানে পার হেড একটা করে আই পি এড্রস না থাকার কারনে ডিবাইস গুলো আরো অরক্ষিত হয়ে গেচে। আমি যখন প্রথম বাসাতে ইন্টারনটে ব্যভহার করি তখন আমার নিজস্ব একটা আইপ এড্রস ছিলো। আর এখন একটা আইএসপি এর জণ্য ২/৩ টা আইপি বরাদ্দ দেয়া থাকে। যেখানে একটা আইএসপি এর আন্ডারে প্রায় ৩০০/৪০০ ব্যবহার কারী থাকে। আইএসপি তে পোর্ট নাম্বার ব্যবহ্রত হবার কারনে একটা আইএসপি এর সার্ভার হ্যাক হলে একসাথে ৩০০/৪০০ ব্যবহারকারী রিস্কের মুখে চলে যায়। বাংলাদেশের প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের এই একটি নিয়ম আমি সাপোর্ট করি না। পার হেড আইপি না থাকলে পার হেড ইউজার পলিসি তৈরী হয় কি করে? পার হেড আইপ থঅকলে সারা বিশ্বের তথ্য প্রযুক্তির সফটওয়্যার গুলো খুব সহজে ধরতে পারতো কে কখন কোন জায়গা থেকে কার কম্পিউটারে ঞ্যাক করতাছে। বর্তমান সরকারে না হলে পরবর্তী সরকার ব্যবস্থায় এ ব্যাপারটা খুব ভালো করে জোড় দিতে হবে েযনো বাংরাদেশে প্রত্যেক ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর একটি করে আইপি এড্রস থাকে। তাহলে হ্যাকার রা একদম জিরো টলারেন্সে থাকবে বলে আশা করা যায়। 

ইকমার্স ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে যদি আপনি কোন ক্রেডিট কার্ড দিয়ে কেনাকাটা করতে যান আর যদি উপরে বাম দিকে ব্রাউজারে একটা তালা চিহ্ন না দেখেন আর সেখানে যদি আপনি ট্রানজেকশন প্রসেস করেন তবে আপনি একটা মারাত্মক ঝুকি গ্রহন করলেন। কারন এইটা একদম ১০০% নিষেধ যেনো আপনি কোনভাবেই এই ধরনরে লেনাদেনা না করেন। এই ধরেনর লেনাদেনা করলে যা যা ঝুকির মুখে পড়বে বলে আগে পড়াশোনা করে জেনেছি: 

  • যে কম্পিউটার থেকে ইকমার্স ট্রােনজেকশন করলেন সেই কম্পিউটারের সকল ডাটা। 
  • যে ব্রাউজার থেকে ইকমার্স ইকমার্স ট্রানজেকশন করলেন সেই ব্রাউজারের সকল ডাটা। 
  • যে আইএসপি এর ইন্টারনেট ব্যবহার করলেন সেই আেএসপির ও অনেক ডাটা। 
  • ইনসিকিওিরড ট্রানজেকশন করার কারনে আপনার ক্রেডিট কার্ডের সকল ডাটা। 
  • আপনার ক্রেডিট কার্ড যে ব্যাংক প্রসেস করেছে তার ও কিছু বা সাময়িক ডাটা। 
  • এরকম আরো অনেক সেনসিটিভ ডাটা। 
আমি সাজেষ্ট করবো কখনোই আপনি ক্রেডিট কার্ড দিয়ে ইন্টারনেটে কেনাকাটা করবেন না। আপনি সব সময় ই ডেবিট কার্ড বা ডুয়াল কারেন্সী ডেবিট কার্ড দিয়ে ইন্টারনেট থেকে কেনাকাটা করবেন। ক্রেডিট কার্ড যদি হাক হয় তাহলে আপনার কার্ডে যদি লিমিট থাকে ২-২.৫ লাখ টাকা তাহলে আপনি পুরো ২-২.৫ লাখ টাকাই ধরা খাবেন। আর যদি ডেবিট কার্ড হ্যাক হয় তাহলে ডেবিট কার্ডে যা ছিলো তা হ্যাক হবে। সেখানে আপনাকে আর কোন লোন এর বোঝঅ বহন করতে হবে না। 

সকল ধরনের হ্যাকার মুক্ত লাইফ লিড করার জণ্য আপনাকে ১০০% সতর্ক থাকতে হবে ইন্টারনেট ব্যবহারে।  বাংলাদেশ ব্যাংক বাংলােদেশের সরকারের রাষ্ট্রীয় সম্পদ এব এইটা খুব সেনসিটিভ ইস্যু। রাষ্ট্রীয় ভাবে যারা অর্থ পাচার, অবৈধ লেনাদেনা এবং হ্যাকার দের সাথে সম্পর্কযুক্ত বা হ্যাকার কানেকটেড -তাদেরকে আইনরে আওতায় এনে রাস্ট্রীয় সেনসিটিভিইস্যু হিসাবে সর্ব্বোচ্চ শাস্তি ফাসি দাবী করি। 

No comments:

Post a Comment

Thanks for your comment. After review it will be publish on our website.

#masudbcl