Translate

Monday, November 9, 2020

ওয়েবসাইট মডেল এবং ডিএন মডেল কলতে কি বোঝেন?

 সাধারনত যখন কোন কিছু ফলো করা হয় তখন তাকে মডেল বলা হয়। যেমন: বাংলাদেশ অনেক সশয় নিজেকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসাবে ঘোষনা করে কিন্তু এই দেশের পৌনে ছয় কোটি মানুষ ধরতে গেলে খেটে খায় বা না খেয়ে দিন কাটায় কম বেশী। তাদের কপালে ৩ বেলা খাবার জোটে না খেটে খাওয়া মানুষ হবার কারনে। সেই খানে এক শ্রেনীর লোক দেশটাকে উন্নয়নের রোল মডেল বানিয়ে ফেলাইতাছে। শুধূ মাত্র বস্তুগত উন্নয়নে সারা দেশ একাকার- রাস্তাঘাট, কালভার্ট, ব্রিজ বা রেল ব্রিজ, রেললাইন বা বিল্ডিং এই সকল উন্নয়ণ- সারা দেশের মানুষকে আজ পর্যন্ত কোন সরকার এক বেলা খাওয়াইরো পর্যন্ত না দাওয়াত দিয়ে। এতোবড় করোনা পরিস্থিতি- গতকালকেও বিশ্বজুড়ে অনেক মানুষের মৃত্যু। যেখানে করোনা শুরু হওয়া মাত্র ইউএসএ সরকার টোটাল ইউএসএ নাগরিককে পে চেক প্রদান করেছে সেখানে বাংলাদেশ সরকার খেটে খাওয়া মানুষকে একমাসের জন্যও জন প্রতি ৫০০০ টাকা করেও দিতে পারে নাই। একেকটা ব্রিজ বানাতে খরচ হয় হাজার হাজার কোটি টাকা কিন্তু একেকটা মাসুম কিংবা নিস্পাপ বাচ্চাদের একবেলা পেট পুরে খাওয়ানোর মতো উন্নয়ন এখনো এই দেশে শুরু হয় নাই। যদিও প্রতিটা মানুষের জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার আছে ,ভোটার রেজিস্ট্রশন নাম্বার আছে আর প্রত্যেকেরই মোবাইল নাম্বার ও আছে কম বেশী যেখানে এখন অটোমেটিক নগদ, বিকাশ বা রকেটের সার্ভিস এড করে দেয়া আছে। কি হবে এতো বস্তুগত উন্নয়নের রোল মডেল হয়ে- কেউ বেড়াতে আসবে নাকি?আজকেও দেখলাম যমুনা দ্বিতীয় রেলব্রিজ এর খবর এসেছে- এপারে এবং ওপারে রেলের ইন্জিন পরিবর্তন করলেও ব্যাপারটা সলব হয়ে যাইতো।  উন্নয়নের রোল মডেল তো বলা হয় এমন দেশকে যেখানে  বাবা মায়ের ভালোবাসায়  মায়ের পেটে জন্মগ্রহন করলেও মৃত্যুপর্যন্ত সে দেশের সরকার মাসে ৩২০০ ডলার মানি দেয়- যে কোন মহামারি বা বিপদে সিটিজেনদের পেটের কথা চিন্তা করে বা খরচের কথা চিন্তা করে আগে ভাগেই পে চেক দিয়ে দেয়- তারা হইতাছে উন্নয়নের রোল মডেল। তারা সারা দেশের মানুষদের মানবিকতা নিয়ে চিন্তা করে। সারা দেশে প্রত্যন্ত অঞ্চল থাকলেও নাই পে চেক হারানোর ভয়। এরকমভাবে এই বিশ্বে যারা সুন্দর সুন্দর ওয়েবসাইট বানায় বা যাদের ওয়েবসাইট দেখে হাজার হাজার ওয়েবসাইট বানানো হয় নিজের নামে, ব্যবসার নামে, পোর্টফোলিও বা ফ্যাশন ডিজাইন হাউজ বা যে কোন পন্যের জন্য যখন অন্য আরেকটি ওয়েবসাইট কে ফলো করা হয় তখন তাকে ওযেবসাইট মডেল বলা হয়। যেমন: ওয়ার্ডপ্রেস। যারা ওয়েবসাইট ডিজাইনার বা ওয়ার্ডপ্রেস ডিজাইনার তাদের জন্য প্রথম পছন্দ: ওয়ার্ডপ্রেস কারন সেটা যে কোন ওযেবসাইট ডিজাইনারের কাছে একটা মডেল। বিশ্বে আরো এক ধরনের মডেল আছে যেমন: ডিএনএ মডেল। যেমন: টেষ্ট  টিউজ চাইল্ডদেরকে বলা হয় ডিএনএ মডেল কারন এইখানে এমন একটা বিষয় কে কপি করা হয় যেটাকে অনেকেই লিগ্যাল মনে করে না- আমিও না  । মানে লিভিং বিংস এর সাথে যায় না।  আর্টিফিশিয়াল পলিসি ব্যবহার করে টেষ্ট টিউজ চাইল্ড তৈরী করা হয় সেজন্য সেই টেষ্টটিউব চাইল্ড কে ডিএনএ মডেল বলা হয়। মানুষের সাথে ডিএনএ মডেল শব্দটা ব্যবহার করা হয় না। যেমন: ব্রয়লার মুরগী অরিজিনাল মুরগীর মডেল হিসাবে ব্যবহৃত হয়। করোনা চলাকালীন সময়ে অনেকে ব্রয়লার নিয়ে আতংকে ছিলো কারন ব্রয়লার মুরগী কিন্তু অরিজিনার মুরগীর মডেল। 

পৃথিবীতে আরো অনেক খানে মডেল শব্দটা ব্যবহৃত হয়। যেমন: ফ্যাশন মডেল, সুপার মডেল বা নতুন মডেল বা পত্রিকা মডেল বা বিনোদন মডেল বা আরো অনেক কিছু। এই সম্পর্কে খুব মজাদার এক টা গল্প বলি। গল্পের সাথে বাস্তাবের চরিত্রের কোন মিল নাই। তাই এই গল্পের সাথে কেউ কাউকে মেলানোর চেষ্টা করবেন না। একটি শহরে বলতে গেলে মেগাশহর- সেখানে একদল টেষ্টটিউব চাইল্ড বসবাস করে। কোন একটা কারনে যখন সেই শহরে টেষ্টটিউব মডেলদের তৈরী করা হয় তখণ সেখানে ডিএনএ ক্যারেক্টারিসটিকস গুলোর সমন্বয়ে একটি সমস্যা হয়ে যায়।  কোন একটা কারনে তাদের বাচ্চা দেবার ক্ষমতাটা নষ্ট হয়ে যায়। তারা যতোই যৌন কর্ম করে কিন্তু তাদের বাচ্চা হয় না। আর তাদের সাথে যে সকল মেয়েরা যৌন কর্ম করে তাদের ও নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হয়ে যায়। ফলে তারা চিন্তায় পড়ে গেলো। বেচে তো থাকতে হবে। কিভাবে বেচে থাকা যায়। পরিশেষ তারা শয়তানের দেখা পাইলো। কেয়ামাত পর্যন্ত মানুষের খারাপ করে যাওয়াই শয়তানের মূল লক্ষ্য। তাই  শয়তান এই প্রজন্ম কে ব্যবহার করতে চাইলো। তাই সে তাদেরকে বুদ্বি দিলো: তারা যেনো মানুষের সাথে মিলে মিশে বসবাস করতে থাকে আর তারা যেনো রোগ বিস্তারে সাহায্য করে থাকে। রোগাক্রান্ত জাতিকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাওয়াটাই শয়তানের মূল লক্ষ্য হিসাবে গন্য হলো। শয়তানের সাথে কথা বলার জন্য বা সবসময় যোগাযোগ রাখার জন্য তারা একটা পদ্বতি নির্ধারন করে নিলো অনেকটা কালো যাদু টাইপের। সেটার মাধ্যমে তারা শয়তানের সাথে যোগাযোগ রাখতে সক্ষম হলো। আর শয়তানের নির্দেশানুসারে তারা সকলের সাথে মিলে মিশে বসবাস করতে লাগলো। একটা পর্যায়ে যারা খুবই ভালো মানুষ তাদের চোখে এরা ধরা পড়ে যায় কিন্তু তাদেরকে আইডেন্টফাই করে হত্যা করার মতো সময় তাদের হাতে থাকতো না বা তাদের হাতে অস্ত্র থাকে না (কারন এদরকে মারতে হয় গুলি করে - সিক্সথ সেন্স নাথাকার কারনে তারা বুঝতে পারে না কখন কো কোথায় তাদেরকে গুলি করে হত্যা করবে। ফলে টার্গেট স্থির থাকে এবং গুলি করতে সুবিধা হয়) একটা সময় এই অক্ষম টেষ্টটিউব প্রজন্ম পুরোটাই ডিসাকনেক্টেড হয়ে গেলো। তারাও প্রকৃতিগত ভাবে সংসার করতে উদ্বুদ্ব হলো কিন্তু তারা তো আর বাচ্চা পাইতে সক্ষম না।  সায়েন্টেফিক ভাবে এই প্রজন্মের লোক জন একজন আরেকজনের মনের কথা শুনতে পায় না (ইথার নেট)। প্রত্যেকেই কালো যাদুর ক্ষমতাবলে শয়তানের সাথে যোগাযোগ রাখতে স্বক্ষম এবং প্রত্যেকেই তারা শয়তানে নির্দেশ পালন করতো। কিন্তু একটা খানে এদের সমস্যা বেধে গলো। তারা মডেল শব্দটা শুনলেই সমস্যা ফিল করতো- কারন শয়তান নিজেই তাদেরকে ডিএনএ মডেল হিসাবে অভিহিত করতো। তারা আগে ভাগে সেই সকল মডেলদের সাথে যাইয়া মেলামেশা করতে চাইতো বা ঝামেলা করতো। তারা যে কোন ধরনের মডেলকে তাদের মতো ডুপ্লিকেট ডিএনএন মডেল ভাবতে শুরু করলো। ফলে একটা অনাকাংখিত ঝামেলা শুরু হয়ে গেলো। মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। সৃষ্টিকর্তা মানুষকে সব কিছু বোঝার ক্ষমতা দিয়েছে। ফলে মানুষেরাও কিছু ঝামেলায় পড়তে শুরু করলো। যে কোন এক ভাবে তারা বিশ্বে বড় সড় অংকের অর্থ পাওয়া শুরু করলো আর ফ্যাশেন মডেলদের জণ্য বা যে কোন মডেলদের জন্য উপদ্রবের কারন হয়ে দাড়ালো। সৌভাগ্যবশত সেই দেশের  ফিংগারপ্রিন্ট ডাটাবেজ সিষ্টেমে তাদের কে প্রসেস করা যায় নাই। ফলে তারা আলাদা বা আইসোলেট হয়ে গেলো। এখন তাদের দ্বারা যে কোন ডিজিজ ডিষ্ট্রিবিউশন করা সম্ভব হয়ে গেলো- বলা যায় একধরনের কেমিক্যাল ওয়ার শুরু হয়ে গেলো। তৈরী হলো এইডস বা পেনডেমিকের মতো শক্তিশালী রোগগুলো- যা খুব দ্রুত সারা বিশ্বে ছড়ানো সম্ভব।



শয়তানও অনেক সময় কিছুটা মানুষের রুপ ধারন করতে পারে। আবার সৃষ্টিজগতের নিয়মানুযায়ী সৃষ্টিকর্তা জ্বীন জাতিকে যে কোন সমযে যে কোন খানে যে কোন মানুষের রুপ ধারন করার ক্ষমতাও দিয়েছেণ। ফেরেশতাকেও অনেক সময় মানুষের রুপ ধরে পৃথিবীতে আসতে হয়েছে। যেমন: হযরত জিরবরাইল (আ:) অনেকবার হুজুরে করিম হযরত মোহাম্মদে মোস্তফা (আ:) এর কাছে এসেছেন মানুষের রুপ ধরে। আবার যেই লোক পৃথিবীতে স্বর্গ বানিয়েছিলো তার জান কবজ করার জন্য হযরত আজরাইল (আ:) ও মানুষের রুপ ধরে তার ঘোড়ার লাগাম টেনে ধরেছিলেন। সৃষ্টিকর্তা ভালোবেসে লওহে মাহফুজ জগতে মানুষের আত্মাকে তৈরী করেছেন  এবং নিজ ভালোবাসায় একখন্ড মাটি দিয়ে মানুষকে তৈরী করেছেন। সঠিক বাবা মায়ের ভালোবাসাতে পৃথিবীতে জন্ম দিয়েছেন এবং দিয়েছেন পালন করার মতো ধর্ম আর সতর্ক করে দিয়েছেন জান্নাত , জাহান্নাম এবং হাশরের ব্যাপারে - সময়ে সময়ে সেন্ড করেছেন নবী , রাসূল, পয়গম্বর (আ:) দের । আবার একদল নাস্তিক (আমি মনে করি তাদেরকে নাস্তিক। কারন মুসলিম ধর্মে ছবি আকাই হারাম সেক্ষেত্রে ডিএনএ মডেল তৈরী করা এক ধরনের হারামই) পৃথিবীতে একসাথে হয়ে সেই আর্টিফিশিয়াল বা টেষ্টটিউব প্রজন্মও তৈরী করেছে। কিন্তু সবচেয়ে বড় কথা - সৃষ্টিকর্তা যাকে ভালোবেসে জন্ম দিয়েছেন বা তৈরী করেছেন তাদের ভেতরে একটা সিক্সথ সেন্স, লাইফ বা গড গিফটেড লাইফের ব্যাপার (৬ষ্ট ইন্দ্রিয়) কাজ করে থাকে। এই সৃষ্টিজগতে যতো ধরনের প্রানী আছে সমস্ত প্রানীই সিক্সথ সেন্স কে কাজে লাগাতে পারে। শুধূমাত্র শয়তান রুপী মানুষেরা সেটা পারে না। কারন শয়তান মানুষ না আর সে বা তার প্রজন্ম যখণ মানুষ হবার চেষ্টা করে তখন তারা সিক্সথ সেন্স খুজে পায় না। ফলে বুদ্বিমান বা ঈমানদার মানুষের জন্য শয়তানকে ধোকা দেওয়া খুবই সহজ। 

ওয়েবসাইট বানানোর ক্ষেত্রে ও প্রথমে আপনাকে একটা মডেল ওয়েবসাইট ফলো করতে হবে। যেমন: অমূক একজন ওয়েবসাইট বানিয়েছে আমাকেও সেরকম একটি ওয়েবসাইট বানাতে হবে। ফাংশনালিটি এক হবে কিন্তু ডিজাইন আলাদা হবে। যারা নেটিজেন প্রত্যেক মানুষেরই একটা করে ওয়েবসাইট থাকা লাগে।  আবার কোন সাইডে বা সেকসানে যদি আপনিই প্রথম ওয়েবসাইট বানিয়ে তাকেন তাহলে সেটাকে বিশ্বের সবাই রোল মডেল হিসাবে ব্যবহার করবে। আপনি যদি কোন ওয়েবসাইট কে মডেল হিসাবে ব্যবহার করে থাকেন তারপরেই কাজ হইতাছে: একটি ওয়েবসাইট ডিজাইন বা স্কেচ করা। এইটাকে ওয়েবসাইট স্কেচ ও বলা হতো আগে। একটি কগজ বা কলম নিয়ে বসা এবং ওয়েবসাইট েকি কি পেজ বা ফাংশন থাকবে তা সিলেক্ট করে নেয়া বা ওয়েবসাইট টা কিভাবে কাজ করতে বার িডজাইন করে নেয়া। অল্টারনেটিভলি তার সাথে আরো যা যা করতে হবে তা হলো: 

  • আপনার ওয়েবসাইট কোন প্লাটফর্ম দিয়ে বানাবেন। 
  • আপনি কোথা থেকে ডোমেইন কিনবেন।
  • আপনি কোথা থেকে হোস্টিং কিনবেন। 
  • আপনি কোথা থেকে টেমপ্লেট করবেন। 
  • আপনার ওয়েবসাইটে কয়টা পেজ থাকবে। 
  • আপনার ওয়েবসাইটের লেখা কে লিখবে? কি কি লিখতে হবে। 
  • আপনার ওয়েবসােইটে আপনার ব্যবসার টোটাল ডিটেইলস বর্ননা করা। 
  • ওযেবসাইট  কে লাভজনক করার জণ্য মনিটাইজেশন ব্যবহার করা। 
উন্নয়নের রোল মডেলই বলেন আর ওয়েবসাইটের মডেলই বলেন আর ডিএনএ মডেলই বলেন: মূল কথা হলো মডেল মানে হইতাছে যাকে অনুসরন করা যায় বা অনুকরন করা যায়। শুধূ মানুষের বা প্রানী জগতের  ক্ষেত্রে ডিএনএ মডেল শব্দটা পরে ব্যবহৃত হবে  কারন  মানুষকে বা যে কোন প্রানীকে সৃষ্টিকর্তা ভালোবেসে তৈরী করেছেন আর জন্মও দিয়েছেন অপার আদর আর সোহাগে। দুনিয়াতে যারা এই টেষ্টটিউব প্রজন্ম তৈরী করেছে তাদেরকে বলা হয় ডিএনএ মডেল কারন মানুষের ডিএনএ দেখে দেখে তাদেরকে তৈরী করার চেষ্টা করা হয়েছে যেখানে মিসিং আছে সৃষ্টিকর্তার ভালোবাসা যাকে বলা হয় : সিক্সথ সেন্স বা লাইফ বা গড গিফটেড লাইফ। 

No comments:

Post a Comment

Thanks for your comment. After review it will be publish on our website.

#masudbcl