Translate

Saturday, November 7, 2020

ইন্টারনেটে ছবি আপলোড করা নিয়ে ভীতি?

 ইন্টারনেট/সোশাল মিডিয়া/ ওয়েবসাইট এ বিনা কারনে বা অনেক কারনে মানুষ যতো মনে চায় ছবি আপলোড করে থাকে। ছবি আপলোড সুবিদা বিশ্বের অনেকখানেই ফ্রি। একজনের আপলোড করা ছবি যদি আরেকজন নিয়ে ব্যবহার করে তাহলে সেখানে কপিরাইট আইন কার্যকর হবে। এইখানে কপিরাইটের ব্যাপারে যদি একজন আগে ছবি আপলোড দেয় এবং আরেকজন একই ছবি ডাউনলোড করে পুনরায় আপডেট দেয় তাহলে দ্বিতীয়ত যে আপলোড দিছে সে কপিরাইট খাবে। তার চ্যানেল বা প্রোফাইল ক্ষতিগ্রস্থ হবে। এই ক্ষেত্রে কপিরাইট আইন এড়ানোর জণ্য প্রোগ্রামার রা সারা বিশ্বে স্ক্রিনশট মেথড ব্যবহার করে। সাধারনত একটি ক্যামেরার কোয়ালিটির উপরে ছবির গুগনগত মান নির্ভর করে। সেটা যখন কপি করা হয় তখন সেই গুনগত মানটি ইন্টারনেটে পিক্সেল মেথযে থুজে পাওয়া যায়। তখণ সে সময় কে যাচাই করে যে কে আগে আপলোড করেছে- যে আগে আপলোড দিছে সে রাইট আর যে পরে আপরোড দিতাছে তার প্রোফাইলে ইন্টারনেটে ডাটাবেজে কপিরাইট খাবে। এ ক্ষেত্রে যারা মডেল বা টিভি অভিনেত্রী বা ফ্যাশন স্টার তারা যখন ক্যামেরা ম্যান কে দিয়ে ছবি তোলায় তখন সেই ক্যামেরাতে যদি ইন্টারনটে চালূ থাকে এবং ক্লাউড ড্রাইভ চালূ থাকে তাহলে সেটা সাথে সাথেই ইন্টারনেটের ড্রাইভে আপলোড হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে।  পরে আবার ক্যামেরা ম্যান এর কাছ তেকে সেই ছবি নিয়ে যদি নিজের প্রোফাইরে আপলোড দেয়া হয় তােহলে ইন্টারনেটের হিসাবে সেটা সেকেন্ড কপি হয়ে গেলো এবং দ্বিতীয়ত যেটা আপলোড হলো সেটা একটু ক্ষতির সম্মুক্ষীন হবার সম্ভাবনা থাকে। তাই ফ্যাশন মডেল রা যখন ছবি তোলায় তখন আধুনিক বা অত্যাধুনিক ক্যামেরা র ইন্টারটে কানেকশন বন্ধ করে তুলতে হয়। ওয়াই ফাই কানেক্টিভিট ছাড়াই তুলতে হয়। ইমেজ এসইও বলতে ইমেজ অলটার , খ্যাপশন, ডেসক্রিপশন এগুলো বোঝানো হয়। যে সকল খ্যামেরা তে ছবি তোলা হয় যে সকল খ্যামেরা ম্যান যদি সত না হয় তাহলে ফ্যাশর মডেলদের একউ ছবি বিভিন্নখানে আপলোড হবার কারনে তার ক্যারিয়ারের ক্ষতি হবার সম্ভাবনা থাকে- সবচেয়ে ভালো হয় হালকা করে জলছাপ দিতে পারলে। সূত্র: পড়াশোনা ( ইনফরমেশণ সিষ্টেম ম্যানেজমন্টে)। 

আমাদের দেশে অনেক পিতামাতা ইন্টারনেটে ছবি আপলোড করা নিয়ে অনেক ভয় পেয়ে থাকেন। আসলে ছবি যদি আপনি ষ্টুডিও তে তুলেন তাহলেও সেটা হ্যাক হবার সম্ভাবরা থাকে, ছবি যদি কেউ মোবাইলেও তুলে সেটাও হ্যাক হবার সম্ভাবনা আছে কারন ইন্টারনেটের কারনে মোবাইল হ্যাক হয়ে যাইতে পারে বা ছবি সব মোবাইল চুরি হয়ে যাইতে পারে। অনেকেই অনেক সতর্ক না থাকার কারনে অনেক পরিমান ছবি বা তথ্য লস করে বসেন তাহলে সেটা কোথাও না কোথাও ভুল হবার কারনে। সবচেয়ে বোকামি হইতাছে যদি কোন হ্যাকার টাইপের ছেলে আপনার মেয়েকে থ্রেড করে যে; সে তার গোপন ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেবে -তখন মেয়েটা যদি ছেলেটার সাথে তার খারাপ প্রস্তাবে বা কুপ্রস্তাবে সাড়া দেয় তখন। কারন সেখানে মেয়েটা বিপদের মুখে চলে যাইতে পারে- ছেলেটা মেয়েটাকে দিয়ে অনেক খারাপ কাজ করাতে পারে। যারা সহসী মেয়ে তারা বলবে লক্ষ লক্ষ বাংগালী মেয়ে পর্নো ওয়েবসাইটে প্রতিদিন ভিডিও আপলোড দিতাছে আর আমার ২/৩ টা ছবি দিয়ে কি করবে। তথ্য প্রযুক্তির কল্যানে সারা বিশ্বের সকলেই জানে যে; ইন্টারনেটে ছবি বা ভিডিও ডুপ্লিকেট করা যায়। মুম্বাই এর এমন কোন নায়িকা নাই যাদের নামে পর্নো মুভি বের হয় নাই- তাই বলে কি আপনি বিশ্বাস করবেন যে- মুম্বাই এর নায়িকারা পর্নো ছবির নায়িকা- এইটা কোনমতেই সত্য না। সেটা : ভিডিও এডিটর যারা তাদের কারসাজি। তেমনি ফটোশপ এডিটর যারা তাদের কারসাজিতে অনেক ছবি বা ইমেজ উল্টা পাল্টা করা যায়। সেই ক্ষেত্রে আপনি যদি ভয় পান তাহলে আপনার জন্যই সেটা লস।  এক কথায় পুরোটাই ছবি বা ভিডিও এডিটর দের কারসাজি। আপনাকে ভয় দেখাতে পারে যে- হিডেন ক্যামেরাতে ছবি তুলেছে বা লুকানো ক্যামেরাতে আপনাকে ভিডিও করেছে। আদতে খুজলে দেখা যাবে একই রকম শেপ এর অপর আরেকটি মেয়ের ন্যুড দেহ ব্যবহার করে এডিট করে আপনার ছবি বলে চালিয়ে দিয়েছে। বাস্তবে হয়তো দেখা গেলো মেয়েটা সেই ধরনের কোন খারাপ কাজ করেই নি। আসলে কম্যুনিটি বলেন আর বন্ধুই বলেন সবই সততার উপরে ডিপেন্ডস। আমার নামে মিথ্যা অপরাধ বের হলে আমি যদি মুখ দিয়ে সত কথাটা বলি তাহলে আমার বন্ধুরা অবশ্যই সেটা বিশ্বাস করবে। আর অপরাধীরা মুখ গোমড়া করবে। এই ধরনের ব্যাপারগুলো  ১০০% এভয়েড করে যাইতে হবে। একটুও যদি পাত্তা দেন তাহলেও সেটা আপনার মাথা ব্যথার কারন হয়ে দাড়াবে। শপিংমলে যেয়ে পোশাক পরিবর্তন করতে যাইয়া হিডেন ক্যামেরাতে রেকর্ড হওয়া, যে কোন খানে আয়নার পেছনে প্রি প্ল্যান্ড ক্যামেরার সামনে পড়ে যাওয়া, হোটেল রুমে অসংখ্য গ্লাসের পেছনে থাকা স্পেশিয়াল লুকানো ক্যামেরাতে পারসোনাল মূহুর্তগুলো রেকর্ড হয়ে যাওয়া বা ধরা পড়ে যাওয়া  বা অগোছালো মূহুর্তে কোথোও কেউ রেকর্ড হলে সেটা আর তেমন কোন প্রভাব ফেলতে পারবে না। ইন্টারনেট শুধূ ভদ্র মানুষের ই জায়গা। অভদ্র বা ইতর দের ইতরপনা এইখানে ১ দিন বা ২ দিন গসিপের তৈরী করে - এর বেশী আর কিছু না। 



এই সকল ব্যাপারে একদম পাত্তাই দেয়া যাবে না। যদি আপনি পাত্তা দেন তাহরে আপনি সেই সকল সোশাল হ্যাকারদের খপ্পড়ে পড়ে যাবেন। আমাদের দেশে অনেক ধরনের হ্যাকার আছে। যেমন: 

  • দেশ হ্যাকার: যেমন পুরো দেশটাই কোন না কোন তরিকাতে হ্যাক করে বসে থাকবে যে কোন একটা ইস্যু নিয়ে। 
  • সোশাল মিডিয়া একাউন্ট হ্যাকার: এরা কারনে অকারেন এবং বিনাকারনে মানুষের ছবি বা প্রোফাইল হ্যাক করে বসে বসে দেখবে। আধুনিক জগতের সেক্সুয়াল  ক্যারেক্টারিসটিকস এ এদরেক বলা হয় বাই কিউরিয়াস। মানুষের গোপন জিনিস বা গেপন কিছু জানলে তারা উত্তেজিত হয়। এদেরকে বলা হয় বাই কিউরিযাস।
  • সোসাইটি হ্যাকার: সারা দেশে হাজার হাজার সোসাইটির সমন্বয়ে চলে। যে কোন একটা সোসাইটিতে যে কোন একটা বিষয়ে ঝামেলা তৈরী করবে। এইটাকে সোসাইটি হ্যাকার বলে। 
  • জমি/ফ্ল্যাট/বাড়ি হ্যাকার: ছলে বলে কৌশলে নানা ভাবে তারা একজনের নামে তৈরী কৃত বৈধ জমি জমা ফ্ল্যাট বা প্লট কে দখল করার চেষ্টা করবে আইনগত এ্যাকশন নেবার আগে পর্যন্ত। 
  • আইন হ্যাকার : বর্তমান বাংলাদেশের চলমান আইন কে বৃদ্বাংগুলি দেখিয়ে সমানে দুই নম্বরি করে যাওয়া। 
  • রাষ্ট্রীয় হ্যাকার: যতো ধরনের দুর্নীতি আর অপরাধ প্রকাশ্য দিবালোকে সকলের সামনে করে যাওয়া।
  • আর্থিক হ্যাকার : ইন্টারনেটে যারা বসে থেকে ব্যাংক হ্যাক করে বা বিশ্বের যে কোন দেশের তথ্য বা ব্যাংক ডাকাতি করে যাওয়া। এরা রাষ্ট্রীয় ভাবে অপরাধী- ফাসির আসামী। 
  • গাফ্রে হ্যাকার: একজন একটা মেয়ে পছন্দ করলো। মেয়েটা তাকে মন দিলো কিন্তু তারপরেও আরেকজন এসে টাকা পয়সা অর্থ বিত্ত এর জোড়ে সেই গাফ্রে কে ভুলিয়ে বালিয়ে ভাগিয়ে নিয়ে যাওয়া। এই ধরনের হ্যাকারদের সংখ্যা আমাদের দেশে সবচেয়ে বেশী- এদের কে আবার অনেকে মনোগতভাবে হিজড়াও বলে থাকে- কারন এরা প্রেম ভালোবাসা সহ্য করতে পারে নাদুনিয়াতে যে কোন সম্পর্ক কে তার আপনগতিতে চলেতে দেয়া উচিত।  প্রাপ্তবয়স্কদের সম্পর্কে কখনো বাধা প্রদান করতে হয় না বিশেষ করে ইন্টারনেট তেকে তৈরী হওয়া সম্পর্কগুলোকে। এ ধরনের কাজ না করার জন্য অনুরোধ কারন এতে করে যে কোন একজন আত্মহত্যাও করে ফেলাইতে পারে। প্রকৃত নিয়ম হইতাছে- আমাকে যে ভালোবাসে আমি শুধূ তাকেই টেক কেয়ার করবো। কারন প্রেম ভালোবাসা বা আবেগ এউগুলো সৃষ্টিকর্তার দরবার থেকে আসে- তো সেটা আগে টেক কেয়ার করতে হবে। অর্থ/টাকা/পয়সা এইগুলো দুনিয়াতে উপার্জিত। মরনের পরে সেগুলোর কোন দাম থাকবে না। সম্পর্ক বা ভালোবাসাগুলো অমর হয়ে থাকবে। 
তো যেটা বলার জন্য লেখা শুরু করা সেটা হইতাছে : ইন্টারনেটে কেউ যেনো আপনাকে ছবি বা ভিডিও র কথা বলে থ্রেড দিয়ে কোন হ্যারাজমেন্ট না করে। পৃথিবীতে প্রচুর পরিমানে খারাপ মানুষ আছে। হিন্দী তে একটা কথা আছে: মে ভালো তো জগত ভালো- নিজে ভালো হইলে জগতটাও ভালো। নিজ খারাপ হইলে জগত টাও খারাপ। সেই ভাবেই ইন্টারনেটে কেউ আপনাকে ভয় দেখায় বা থ্রেড দেয় তাহলে আপনি সরাসরি থানা বা পুলিশের সাহায্য নেবেন। আপনি স্ক্রিনশট নিয়ে থানা বা পুলিশকে জানাবেন তারপরে তারা সেভাবেই এ্যাকশন নিবে। আর যদি আপনি মেয়ে হয়ে থিাকেন আপনি পুলিশকে অনুরোধ করবেন: পুলিশ আপনার পরিচয় গোপন রাখবে। আর যদি আপনি কাউকে সত ভাবে ভালোবেসে থাকেন আর ভালোবেসে তার সাথে একান্ত মূহুর্ত ভিডিও ক্যামেরাতে রেকর্ড করে রাখেন এবং সেই মানুষকে বিশ্বাস ও করে তাকেন তাহলে আপনার সম্পর্ক না থাকলেও সেই মানুষ আপনার সম্মান বা বিম্বাসের মর্যাদা রাখবে। 




(চলবে)

No comments:

Post a Comment

Thanks for your comment. After review it will be publish on our website.

#masudbcl