Translate

Sunday, November 15, 2020

এসইওক্লার্কের ১৩১ তম পেমেন্ট পাইওনিয়ারে রিসিভ এর অভিজ্ঞতা।



এসইওক্লার্ক থেকে পেমেন্ট পাইওনিয়ারে আসতে সর্ব্বোচ্চ সময় নিবে ১৪ বিজনেস ডে’স। শুক্রবার , শনিবার এবং আমেরিকার সরকারি ছুটির দিন বাদে এই সময় কাউন্ট হয়। এসইওক্লার্ক থেকে পেপালের মাধ্যমে পেমেন্ট নিলে তাৎক্ষনিক ভাবে বা ৪ মিনিটের মধ্যে পাওয়া যায়। সারা দেশেই আমরা একজন আরেকজনের কাছ থেকে পেপালের ডলার কেনাবেচা করে থাকি এইখানে কোন রাস্ট্রীয় অনুমতির প্রয়োজন নাই কারন এইগুলো ফ্রি ল্যান্সারদের ফ্যাসিলিটিজ। তাছাড়াও সেল করা যাবে বাংলাদেশের স্বনামধণ্য পেপাল ডলার কেনাবেচার প্রতিষ্টান পেপালবিডি থেকে বা সাম্প্রতিক কালে ব্যাংক এশিয়া এবং জুম ও পেপালের পেমেন্ট রিসিভ করতে সাহায্য করে থাকে। বিজনেস একাউন্ট সেকসানে বাংলাদেশের নাম পাওয়া যায়। বিজনেস সেকসানে অনেকেই বাংলাদেশ দিয়ে ব্যবহার করে থাকে। আবার অনেকেই আছে মার্চেন্ট পেপাল একাউন্ট, বেনামে পেপাল একাউন্ট এবং বন্ধু বান্ধব আত্মীয় স্বজন বা পরিচিত অপরিচিত যারা দেশের বাহিরে থাকে তাদের পেপাল একাউন্ট ও ব্যবহার করে থাকে।


 


এসইওক্লার্ক  একটা মার্কেটপ্লেস। এইখানে আপনি সার্ভিস সেল করে বা জবের জণ্য বিড করে আবেদন করে নিজে হায়ারড হয়ে কাজ করেন বা উপার্জন করেন। আপনার উপার্জন এসইওক্লার্কে রেভিনিউ হিসাবে জমা হবে । শুধূ এসইওক্লার্ক না যে কোন মার্কেটপ্লেসে যদি আপনি কাজ করে উপার্জন করে থাকেন আর সেটা আপনি পেপাল এর মাধ্যমে উইথড্র করে থাকেন তাহলে এক শ্রেনীর লোক আইসা বলবে - ওতো পেপালে উপার্জন করে। আরে পেপাল তো বাংলাদেশে নাই বা পেপালে লেনাদেনা করা ঠিক না ( কিন্তু পেপাল ওয়েবসাইট তার ডোমেইন এক্সটেনসহ বাংলাদেশে ওপেন হয়- মূলত কেনো ওপেন হয় না সেটা বোঝার চেষ্টা করতে হবে)। এইখানে এসইওক্লার্ক মার্কেটপ্লেস পর্যন্ত আপনার উপার্জন বৈধ আছে তাদের হিসাবে। আর পেপালে ডলার তুললে সেটাকে তারা এক নি:শ্বাসে অবৈধ বলে ফেলাতে দ্বিধাবোধ করবে না। অথচ খোজ নিলে জানতে পারবেন যে এই ধরনের কমেন্ট করতাছে তার জাতীয় পরিচয়পত্র নাই বা বাংলাদেশে বসবাসের কোন বৈধতা নাই। হয়তো দেখা গেলো পরিকল্পনা করে কোন এক খানে পেপাল কে আটকে রাখা হয়েছে আর বলে বেড়ানো হইতাছে পেপাল বাংলাদেশে নাই পেপালের ওয়েবসাইট বাংলাদেশে ওপেন হয় এবং সেখানে লগইন করে কাজ কারবার বা লেনাদেনাও করা যায়। বিশ্বের সব দেশের বিজনেস সেকসানে বাংলাদেশের নাম আছে। তাহলে দেখা যাইতাছে এইখানে যে সমস্যাটা রয়ে গেছে সেটা টেকনিক্যাল। যেমন: বাংলাদেশের প্রত্যেক  ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর পারসোনাল কোন আইপ এড্রস নাই। তাহলে দেখা যাইতাছে পার হেড আইপি না থাকার কারনে হয়তো এই সিষ্টেম টা কাজ করতাছে না। কারন জানা মোতাবেক : একটা আইপি থেকে একটাই পেপাল একাউন্ট ওপেন করা যায়। আর যদি ডাইনামিকের (আইপি)    আলোচনা করে তাহলে সেখানে পেপালের ব্যবসায়িক পলিসি লস হতে পারে। (নীচের ছবিতে দেখেন .বিডি এক্সটেনশন আছে। চালূ না করে নিশ্চয়ই .বিডি ডোমেইন দেয় নাই পেপালের মতো আন্তর্জাতিক মানি ট্রানজেকশন সিষ্টেম)।





পেপালের সাথে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোন কানেকশন নাই। সকলেই যেটা গনহারে ব্যবহার করে সেটাকে সকলেই বৈধ বলে। এসইওক্লার্ক মার্কেটপ্লেস থেকে বাংলাদেশে বসে থেকে পেপাল এড্রস ব্যবহার করার কারনে এসইওক্লার্ক মার্কেটপ্লেসের উপার্জন কখনো অবৈধ হবে না। এইখানে একটা কথা যে: আপনি এসইওক্লার্ক মার্কেটপ্লেস থেকে যদি পাইওনিয়ার বা পেল্যুশন  বা হাইপারওয়ালেট ব্যবহার করে উইথড্র করেন তাহলে সেখানে বাংলাদেশ সরকার রেমিটেন্স পাবে। আর যদি আপনি পেপাল ব্যবহার করে উইথড্র করেন তাহলে সেখানে বাংলাদেশ সরকার রেমিটেন্স পাবে না। এইটাই তফাত। এই কারনে কারো উপার্জন অবৈধ হবে না। যার মনে চায় সে বাংলাদেশ সরকার কে রেমিটেন্স দেবে- যার মনে চায় দিবে না। এই ধরনের কোন আইন নাই বাংলাদেশে যে : প্রত্যেক নাগরিক কে রেমিটেন্স দিতেই হবে। আর এই ধরনের কোন আইনও নাই বাংলাদেশে যে আপনি নামে/বেনামে/ক্লায়েন্ট/বায়ার/মার্চেন্ট/বিজনেস/বন্ধু/পরিচিত জনদের পেপাল একাউন্ট ব্যবহার হরতে পারবেন না। বাংলাদেশে হাজারো লোক অবৈধ ভাবে জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়া ছাড়া বসবাস করে যাইতাছে - বৈধ জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বার নাই বা বৈধ ভোটার নম্বর ও নাই।। তারা আয়কর, ভ্যাট, ট্যাক্স, রিটার্ন, খাজনা কিছুই দেয় না। ইভেন গ্যাস, পানি, বিদ্যুতের লাইন ও হাজার হাজার লোক অবৈধ ভাবে ব্যবহার করতাছে - তাদের ব্যাপারেও সরকারের কোন নজরদারী নাই।একজনের জমি দখল করে আরেকজন গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ লাইন সেট আপ করে অবৈধ ভাবে ব্যবহার করে যাইতাছে আর যে প্রকৃত মালিক তাকে ঝামেলায় ফেলাতে চাইতাছে। একজনের তৈরী করা বিল্ডিং অবৈধ ভাবে দখল করে আরেকজন ব্যবহার করতাছে- নামে বা বেনামে জাতীয় পরিচয়পত্র নাই, বৈধ ভোটার তালিকাতে নামও নাই আবার ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের পুলিশ ভাড়াটিয়া আইনেও তাদের ভেরিফিকেশণ নাই আর মুখে বা পেছনে সততার আলাপ চু...য় বা চু...য়া যাইতাছে।  বাংলাদেশ সরকারের এ ধরনের কোন আইন নাই যে: বাংলাদেশে বসে থেকে পেপাল ব্যবহার করা যাবে না। এদেশে যদি ক্ষমতার দাপট থেকে যায় তাহলে ফ্রি ল্যান্সার দেরও একটা ক্ষমতার দাপট থাকবে সবসময়। কারন ফ্রি ল্যান্সার রা রেমিটেন্সও আনে আবার নিজের সুবিধার জণ্য পেপাল ও ব্যবহার করে। পেপাল একটা ইন্টারনেট ব্যাংক- শুধুমাত্র ইন্টারনেট প্রফেশনাল রাই সেটা ব্যবহার করবে।। যেখানে থেকে ডলার লেনাদেনা করলে লেনাদেনা হয় বাংলাদেশের আইপিতে এবং এখানে সরকারের কোন রেমিটেন্স লস হয় না কারন বাংলাদেশ ব্যাংকের পেপালের সাথে কোন কানেক্টিভিটি ই নাই। হয়তো রিস্ক বা সাসপিসিয়িাস মিনিং করে তারা। আমার আজকের উইথড্র ডিটেইলস টা এসইওক্লার্ক থেকে পাইওনিয়ারে। 



SEOclerk এর পেমেন্ট সাধারনত তাদের প্রধান কোম্পানী থেকে ইস্যু করা হয়। ইস্যু করার সাথে সাথে একটি ইমেইল পাওয়া যায়। আপনার যে ইমেইল দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করা সেই ইমেইল ইনবক্সে পাওয়া যায়। তারপরে সেখান থেকে আপনি আপনার এসইওক্লার্ক একাউন্টের রেভিনিউ সেকসানে দেখবেন। সেখানে আপনার আপডেট দেখানো হবে। আপনি কোন মেথডে পেমেন্ট রিসিভ করেছেন সেটা এইখানে ১০০% ক্লিয়ারলি মেনশন করা থাকবে। আপনি জানেন আপনি কোন মেথয়ে উইথড্র দিয়েছেন? পেপাল/পাইওনিয়ার/হাইপারওয়ালেট বা পেল্যুশন। তখন আপনি সেটা আপনার একাউন্ট ব্যালান্স সেকসান থেকে  ক্লিয়ার হয়ে নিবেন। 



একাউন্ট ব্যালান্স সেকসান থেকে উইথড্র রিক্যুয়েস্ট করার পরে  সেটা আপনার পাইওনিয়ার একাউন্টে দেখাবে : কি ধরনের লোড আপনি নিতে চান। রেগুলার অর ইমিডিয়েট। রেগুলার পেমন্ট রিসিভ পদ্বতি নিবে ২ ডলার চার্জ এবং ইমিডিয়েট ডলার লোড পদ্বতি নিবে ৫ ডলার চার্জ। ইমিডিয়েট পদ্বতি শুধু তারাই ব্যবহার করে যাদের মার্কেটপ্লেস একাউন্ট আছে এবং সেখানে ভালো মানের ডলার আছে এবং হঠাৎ করেই ডলারের প্রয়োজন। মনে করেন আপনি কোথাও ঘুরতে গেছেন। কোন এয়ারপোর্টে বসে থেকে আপনি ডলারের সংকটে পড়েছেন। আপনার সাথে পাইওনিয়ার মাষ্টারকার্ড আছে। এখন আপনি মার্কেটপ্লেস থেকৈ উইথড্র দিলেন: সেটা ২/৩/৪ দিন পরে আপনার একাউন্টে টাচ করবে। আপনার একাউন্টে টাচ করার পরে আপনি যদি ইমিডিয়েট লোড নেন তাহলে সেটা দ্রুত আপনার পাইওনিয়ার একাউন্টে আসবে। তারপরে আপনি সেটা এয়ারপোর্ট বা বিশ্বের যে কোন দেশের এটিএম  বুথ মাষ্টারকার্ড থেকে উইথড্র করতে পারবেন। (নেগেটিভ একটা উদাহরন:  এখণ আপনি যদি ডলার চুরি করে সেটাকে বাইপাস ওয়েতে [হ্যাকার রা ইন্টারনেটে যে পদ্বতি অনুসরন করে তাকে বাইপাস ওয়েব বলে] পাইওনিয়ার কে ধোকা দেবার চেষ্টা করেন তাহলে হয়তো পাইওনিয়ার একাউন্টে আপনার ব্যালান্স দেখাবে ঠিকই - কিন্তু যখন আপনি উইথড্র করতে যাবেন তখন সেটা টোটাল কার্ডকেই ডিজাবলড করে দেবে- ব্যালান্স দেবে তো দূরের কথা) তাই সততার সাথে যে ইনকাম তা ঝামেলা করার কোন ক্ষমতা কারো নাই। অসতাতার যে ইনকাম তা পদে পদেই বিপদ। আমার ফ্রি ল্যান্সার এবং আউটসোর্সিং জীবনে (২০০২ - ২০২০) ব্যাংকে ডলার এড করা আর গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম মোতাবেক  সেটাকে লোকাল মানিতে কনভার্ট করতে যাইয়া আজ পর্যন্ত কোন বাধা পাই নাই- শুকরিয়া। 




পাইওনিয়ারে মানি টা টাচ করার পরে আপনি তাড়াহুড়ো করে ইমিডিয়েট পদ্বতি সিলেকশন না করলেও পারবেন। আপনার যদি খুব তাড়া হুড়ো থাকে তাহলে সেটা আপনি ইমডিয়েট লোড হিসাবে নিতে পারেন। আর আপনার যদি একেবারেই তাড়া না থাকে তাহলে আপনি জেনারেল বা রেগুলার লোড নিবেন। যতোবার আপনি পাইওনিয়ার থেকে লোড নিবেন ততোবারই আপনি এই অপশনটা সিলেক্ট করবেন। প্রতিবারই এই সুযোগ দেয়া হয় যে আপনি কোন টা সিলেক্ট করবেন। জেনারেল অপশন সিলেক্ট করার পরে সেটা ২/৩  বিজনেস ডে’স সময় নিয়ে পাইওনিয়ার একাউন্টে আইসা এড হবে। 

                                 

এখানে ছবি তে দেখেন প্রথমে আমার ব্যালান্সে আইসা এড হয়েছে : ৫৫.৫০ ডলার। আমি এসইওক্লার্ক থেকে উইথড্র দিছি ৬০.৫০ ডলার। রেগুলার ডলার লোড পদ্বতি কেটে নিছে: ২ ডলার চার্জ। আর নভেম্বর মাসে একাউন্ট মেইনটেইনস চার্জ কেটে নিছে: ৩ ডলার। সব মিলিয়ে আমার একাউন্টে এভইলেবল থাকলো ৫৫.৫০ ডলার যা আমি বাংলাদেশে আমার লোকাল প্রাইভট ব্যাংকে উইথড্র দিছি। উইথড্র দেবার ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে যে: আপনি যে দিন উইথড্র দিবেন সেদিনকার বাংলাদেশ ব্যাংকে যে ডলারের এক্সচেন্জ রেট তাই দেখাবে সেই ভাবেই আপনি আপনার পেমেন্ট পাবেন। এসইওক্লার্ক থেকে পাইওনিয়ারে ডলার আসতে আমার সময়ে লেগেছে ৩/৪ বিজনেস ডেস। আর পাইওনিয়ারে সেটা এভেইলেবল হতে সময় লেগেছে ২ দিন। সব মিলিয়ে ১ সপ্তাহ। আর এখন পাইওনিয়ার থেকে লোকাল ব্যাংকে উইথড্র দিলে সেটা প্রসেস হতে সময় লাগবে ২+২ বিজনেস ডেস। পাইওনিয়ার সাইড থেকে প্রসেসড বললে যে কোন সময়ে সেটা বাংলাদেশে আপনার লোকাল প্রাইভেট ব্যাংকে আইসা এড হবে। 




আগে যখন সুইফট ট্রানজেকশন করতাম ২০১১ পর্যন্ত (২০১১ সালের পরে আমি কোন সুইফট ট্রানজকেশন করি নাই কোন ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি বাংলাদেশের লোকাল ব্যাংকে) তখণ উইথড্র দিতাম: বাংলাদেশের সময়ে বৃহস্পতিবারে। সেটা শুক্র এবং শনিবার বিশ্বের ব্যাংক খোলা থাকার কারনে প্রসেস হয়ে যেতো। আর বাংলাদেশে র লোকাল বা প্রাইভেট ব্যাংকে এড হতে সময় লাগতো ৫ বিজনেস ডে। রবিবার থেকে বৃহস্প্রতিবার। এক বৃহস্প্রতিবারে ওডেস্ক/ইল্যান্স/ফ্রি ল্যান্সার ডট কম থেকে উইথড্র দিলে আরেক বৃহস্প্রতিবারে ডাচ বাংলা ব্যাংকের কার্ড ব্যবহার করে ঢাকা শহরের ফার্মগেট বা শাহবাগ বা মোহাম্মদপুর বা যে কোন এটিএম এ ব্যবহার করে উইথড্র করে খরচ করতাম যা আমার সার্কেলে- যারা আমাকে চিনতো তখনকার দিনে- তাদের মধ্যে হাজারো তরুনকে ফ্রি ল্যান্সার হতে সাহায্য করেছে। আরেকদিন শেয়ার করবো কিভাবে পাইওনিয়ার থেকে বাংলাদেশের লোকাল ব্যাংকে ডলার এস এড হয়।







No comments:

Post a Comment

Thanks for your comment. After review it will be publish on our website.

#masudbcl