Translate

Saturday, November 14, 2020

ওয়েবসাইটের পেজ র‌্যাংকিং এর কিছু বিষয় বা টপোলজী।

গতকালকে আমরা জেনেছি ওয়েবসাইট পেজ র‌্যাংক বলতে কি বোঝেন? সেই সাথে ডিটেইলস আইডিয়া ও পেয়েছি কিভাবে ওয়েবসাইটের পেজ র‌্যাংক বাড়াতে হয়। আজকে আরো কিছু ডিটেইলস আলোচনা করবো যাতে আপনারা বুঝতে পারবেন কিভাবে একজন ক্লায়েন্ট বা বায়ারের রিয়েল ভাবে বেনিফিটেড করা যায়। তার আগে একটি উপমা ব্যবহার করবো। আমি কোন স্পেসিফিক ফ্রি ল্যান্সার কে আক্রমন করে কোন কথা বলবো না। আপনি শুধূ নিজের সাথে মেলানোর চেস্টা করবেন না। বাংলাদেশে ফ্রি ল্যান্সার অনেক লোভনীয় পেশা।  কারন কি ? উত্তর: এইখানে ফরেন রেমিটেন্স উপার্জন করা যায়। অবশ্যই ব্যাপারটা সত্যি। যারা বৈদিশিক শ্রমিক, যারা বিদেশে থাকে দেশ ছেড়ে, যারা গার্মেন্টস শ্রমিক এবং যারা এক্সপোর্ট- ইমপোর্ট  ব্যবসা করে তারা ও ফরেন রেমিটেন্স উপার্জন করে। সেজন্য বাংলাদেশ সরকার তাদেরকে সম্মান দেয় প্রচুর পরিমািনে। 



কিন্তু একটা বিষয় কি জানেন? কারা দেশের বাহিরে থাকে- যাদের আপনাদের বাংলোদেশে থাকার যোগ্যতা নাই বা যারা আরো উন্নততর লাইফ ডিজারভ করে তারা। আপনি কি জানেন কারা বৈদিশিক শ্রমিক পেশায় নাম লিখায়?  যারা পারিবারিক ভাবে দুর্বল, গ্রামে বসবাস করে এবং যাদের জীবন যাপনে আরো বেশী অর্থ দরকার তারা দেশ ছেড়ে বিদেশ যাইয়া ভালো উপার্জন কররা চেষ্টা করে। ফলে তারা তাদের পরিবার পরিজন বৌ বাচ্চা ছেড়ে বিদেশ বিভুইয়ে পড়ে থাকে। আপনি কি জানেন কারা গার্মেন্টস শ্রমিক? যারা খেটে খাওয়া মানুষ- গ্রামে থাকলে কষ্টে থাকতো তারাই উন্নত জীবনের আশাতে মেগাসিটি গুলোতে এসে গার্মেন্টস এ শ্রমিক হিসাবে কাজ করে দেশের জণ্য অবদান রাখতাছে, নিজের জীবন চালাইতাছে এবং পরিবার পরজিনকেও সাহায্য করতাছে। এরা সকলেই বৈদিশিক মুদ্রা অর্জন করতাছে। আপনি কি জানেন একজন ফ্রি ল্যান্সার হতে গেলে একজন লোককে বা ব্যক্তিকে অনার্স বা মাষ্টার্স পাশ করতে হয় না। শুধূ সেই স্পেসিফিক কোন ট্রেডে ভালো মানের এক্সপার্ট হলেই তাকে ফ্রি ল্যান্সার বলা যাবে কারন সে একটা বিষয়ে এক্সপার্ট। তো হিসাবে দেখা যাইতাছে আপনি যদি অনার্স বা মাষ্টার্স পাশ করে ফ্রি ল্যান্সিং শুরু করে দেন তাহলে ব্যাপারটা অনেকের চোখে লাগবে, কারন অফিস আদালতগুলো চিরকালই থাকবে। । এইখানে যে কোন ওয়েবসাইট যে কোন সময়ে গায়েব হয়ে যাইতে পারে। যেমন: বহুল পরিচিত ওডেস্ক ডট কম এখন আর বাংলোদেশে ওপেন হয় না অথচ ওডেস্কের উপর ভরসা করে আমার মতো অনেকে সরকারি চাকুরী বা মন্ত্রনালয়ের চাকুরী বা সরকারি প্রজেক্টের চাকুরীই ছেড়ে দিয়ে ছিলো। 





ইন্টারনেট থেকে ডলার উপার্জনের পেশাটা শুধূ ঝড়ে পড়া মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ব ছিলো। কিন্তু এইখানে যে প্রজেক্টে ক্লাস ৮ পাস একজন এক্সপার্ট বিড করতাছে সেখানে মাষ্টার্স পাশ একজন পারসনও বিড করতাছে। তাহলে পড়াশোনা বা যোগ্যতার মূল্যায়ন টুকু রইলো কই। পড়াশোনা করে মাষ্টার্স পাশ করে ভালো মানের জব করবেন আর যারা পড়াশোনা শেষ করতে পারে নাই তারাই ফ্রি ল্যান্সার /মার্কেটপ্লেস / এফিলিয়েট জগতে নাম লেখাবেন এরকমই ধারনা ছিলো প্রথম দিকে অনেকের। যারা দেশের জণ্য রেমিটেন্স এনেছেন একবার তার নাম সারা জীবন বাংলাদেশের খাতাতে থাকবে এবং তার জন্য বিশ্বের অনেক দেশের সুযোগ সুবিধা কমে যাবে কারন একটি দেশের এ ক্লাস নাগরিক আরেকটি দেশে সেই সম্মান পাবে না্। যেমন: থাইল্যান্ডের ইনলাক সিনাওয়াত্রা- একসয় রাজকুমারী ছিলো কিন্তু এখন ইউরোপে পলাতক। তেমনি : আপনি যখন কিওয়ার্ড দিয়ে গুগলে সার্চ দিবেন তখন দেখবেন বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট সার্চ ইন্জিনের রেজাল্ট পেজে চলে এসেছে। অনেক ওয়েবসাইট ই বিরক্তির উদ্রেক করবে আপনার মনে- আপনি ভাববেন কিভাবে আসলো এই ওয়েবসাইট ওয়েবসাইটের ডিজাইন তেমন হাই ফাই না - কিন্তু ওয়েবসাইটের রাইটিং খুবই সুন্দর। এসইও কিওয়ার্ড বেজড। সার্চ ইন্জিন ওয়েবসাইট টাকে খুব ভালো লাইক করেছে এবং তাকে টপে জায়গাও দিয়েছে। 



যখণ কেউ কোন প্রজেক্টে বিড করে তখণ যে বায়ার সে দেখে কার সবচেয়ে বেশী কাজের অভিজ্ঞতা। কাকে দিয়ে ভালো করে কাজটি করানো যাবে। তেমনি যখন কোন মানুষ ইন্টারনেটে কোন বিষয়ে সার্চ করে তখন সে দেখে কোন ওয়েবসাইট থেকে তার ডাটাটা কালেক্ট করা গেছে। সেটাকে সার্চ ইন্জিনে ওয়েবসাইটের ভালো পজিশন বলে। আপনি খুব ভালো করে প্রচুর হাই ফাই করে ওয়েবসাইট ডিজাইন করলেন এবং গুগলের পেইড সার্চের সাহায্যে তাকে টপে দেখালেন কয়েকদিনের জন্য- সেটার আসরে তেমন কোন ভ্যালূ নাই। আবার যদি আপনি গুগলের এপিআই এর সাহয্য নিয়ে টপে এনে রাখতে চান সেটাতে আপনি  ভ্যালূ পাবেন। অনেক সময় যতো ধরনের ব্লাক হ্যাট এসইও সফটওয়্যার ব্যবহার করে আপনি যদি কোন ওয়েবসাইট কে সামনে আইনা রাখেন তবে সেই ওয়েবসাইটের ভয়াবহ ক্ষতিও হতে পারে কারন ইন্টারনেট আপনার থেকে অনেক চালাক। সেই জণ্য ম্যানুয়ালি হোয়াইট হ্যাট এসইও করে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের পজিশন বা র‌্যাংক বাড়াবেন দিনে দিনে। 





বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সবসময় যে ফ্রি ল্যান্সার ডট কম বা এই রিলেটেড ওয়েবসাইট থাকবে তার কোন গ্যারান্টি নাই। যেমন: বহুল পরিচিত বৃহৎ আকারের ক্লিকব্যাংক ইন্ডাষ্ট্রি বাংলাদেশ ছেড়ে চলে গেছে। চলে গেছে গগুলের এবং ইউটিউবের মনিটাইজেশন প্রোগ্রাম এবং এডভার্টাইজিং প্রোগ্রাম ও। আরো অনেক ওয়েবসাইট ধরে ধীরে বাংলাদেশ ছেড়ে চলে গেছে। যারা যে কোন একটা নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে ক্যারিয়ার গড়ার চেষ্টা করতাছেন : তাদেরকে বলি যে বিশ্বের যে কোন দেশের যে কোন হ্যাকার টিম যে কোন সময় চাইলে ফ্রি ল্যান্সার ডট কম বা যে কোন মার্কেটপ্লেসের দখল নিয়ে নিতে পারে বা এই সকল ওয়েবসাইটের মালিকরা মারাও যেতে পারেন , আপনার মাথাতে আকাশ ভেংগে পড়তে পারে বা ইউএসএ বন্ধও করে দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে আপনি যদি অনার্স বা মাষ্টার্স পাশ হন তাহলে মাসে ২২/২৩ দিন অফিস করতেন- গতানুগতিক মানুষ যেভাবে জীবন চালাতো সেভাবে জীবন চালাতেন আর এই ফ্রি ল্যান্সার/মার্কেটপ্লেস/আউটসোর্সিং ইন্ডাস্ট্রিজ টা গ্রামের সাধারন ছেলে বা মেয়েরা বা যারা ঝড়ে পড়া ষ্টুডেন্ট তারাও করতে পারতো। অযথা একটা অযাচিত প্রেশারও তৈরী হতো না। এ্খন এই ইন্ডাষ্ট্রিড এ তীব্র ফাইট শুরু হয়ে গেছে  যেখানে টেকনিক কেনাবেচা শুরু হয়ে গেছে কিন্তু প্রধান প্রধান মার্কেটপ্লেস ওয়েবসাইট গুলো যে সারাজীবন থাকবে এরকম কোন ওয়াদা তারা করে নাই। এইগুলো সব ইউরোপিযান বা আমেরিকান ওয়েবসাইট। এদের উপরে ভরসা করে আপনি যদি আপনার জণ্য বরাদ্দকৃত যোগ্যতার পজিশনটাতে না বসেন তাহলে একসময় না একসময় আপনি মাষ্ট বি ধরা খাইতে পারেন। 

ঠিক সেরকম সার্চ ইন্জিনের রেজাল্ট পেজে কখন কোন ওয়েবসাইট টা কোন পজিশনে থাকবে তা নির্ধারন করে সার্চ ইন্জিনের কিছু টপোলজী বা হোয়াইট হ্যাট এসইও রিলেটেড কাজ। আজকে যে ওয়েবসাইট গুগলের প্রথম পেজে কালকে সে ওয়েবসাইট কে আপনি ২য় বা তৃতীয় পেজে পাইতে পারেন যাকে বলা হয়: সার্চ ইন্জিনে ওয়েবসাইট পজিশন ড্রপ বা ডাউন। আবার যদি আজেক এক পেজে বা কালকে আরেক পেজে এরকম হয় রেজাল্ট তাহলে বুঝতে হবে সেখানে আছে এমন কিছু প্যাারমিটার যা আপনাকে অভিজ্ঞতা থেকে বুঝতে হবে।  আবার নিয়মিত ওয়েবসাইট মনিটর  ও আপনাকে সাহায্য করবে যে কোন সার্চ  ইন্জিনে আপনার ওয়েবসাইট টাকে র‌্যাংক করার ব্যাপারে। রিলেটেড কি ওয়ার্ড ওয়েবসাইট পজিশন খুজে বের করা এবং সেখানকার কিওয়ার্ড গুলোকে আইডেন্টিফাই করে কি ওয়ার্ড কে র‌্যাংক করা বা পজিশন মুভমেন্ট করা ব্যাপারটাও আপনার অভিজ্ঞতা উপরে ডিপেন্ডস করবে।  যখন আপনি আপনার ওয়েব ব্রাউজারে গুগল ডট কম  লিখবেন তখণ যদি সেটা গুগল ডট কম ডট বিডি নামে বের হয় তাহলে বুঝতে হবে যে: এইখানে বাংলাদেশের একটা পাওয়ার আছে কারন সে যে রেজাল্ট টা দেখাইতাছে সেখান .বিডি (.bd) একটা ডোমেইন কন্ট্রোল ইস্যু ও আছে। যে রেজাল্ট টা বাংলাদেশে ১ নম্বর পেজে দেখাবে সেটা ইউএসএ বা  ইউরোপে ১ নম্বরে নাও দেখাতে পারে। কারন সে দেশের গুগলের ডোমেইন এক্সটেনশন এবং গুগলের ডোমেইন বেজড ডাটাবেজ বা কান্ট্রিওয়াইজ ডাটাবেজ টা ভিন্ন। তাই ক্লায়েন্ট বা বায়ার যে দেশের হবে আপনাকে সে দেশের সার্চ ইন্জিনের উপরে ভিত্তি করে হোয়াইট হ্যাট এসইও করতে হবে ক্লায়েন্ট বা বায়ারের ওয়েবসাইট কে র‌্যাংক বা পজিশন করাতে। 



উপরের ছবি গুলো দেখবেন: আমি বিভিন্ন ভাবে কিওয়ার্ড এবং ডোমেইন সার্চ করেছি । আমার ইউজার নেম: masudbcl এবং আমি এই ব্লগের ডাইরেক্ট এবং রিডাইক্টে ডোমেইন দিয়ে সেটা আপনাদের বুঝানোর চেষ্টা করেছি। আমি এই ব্লগ এড্রস এবং masudbcl এই ইউজার নাম বা কিওয়ার্ড টা দিয়ে এখনো হোয়াইট হ্যাট এসইও করি নাই। তারপরেও   blogger masudbcl কিওয়ার্ড দিয়ে সার্চ দিয়ে সেটাকে আমি ৩য় পজিশনে দেখতে পেয়েছি।  তো আপনি যখন ক্রমান্বয়ে ব্লগ এবং কিওয়ার্ড  দিয়ে হোয়াইট হ্যাট এসইও করতে মুরু করবেন তখন প্রতিটা কি ওয়ার্ডের উপর ভিত্তি করে সার্চ ইন্জিনে আপনার পজিশন আপ হবে। প্রতিনিয়ত এসইও করতে হয় যদি আপনি শুধূমাত্র একটি ওয়েভসাইট কে সার্চ ইন্জিনে র‌্যাংক করতে চান। একটি ওয়েবসাইট কে সার্চ ইন্জিনে র‌্যাংক করার জন্য যা যা করতে হয়: 

  • টাইটেল অপটিমাইজেশণ
  • আর্টিকেল অপটিমাইজেশন
  • অন পেজ এসইও
  • অফ পেজ এসইও
  • সার্চ ইন্জিন কম্পিপিটিভ এনালাইসিস (ওয়েবসাইট এবং কি ওয়ার্ড)
  • নিয়মিত কি ওয়ার্ডের পরিবর্তন (একসাথে ৫টার বেশী কিওয়ার্ড ব্যবহার না করা)।
  • টাইটেল এবং ডেসক্রিপন এসইও লেন্থ ওকে রাখা। 
  • কোন কিছু ডুপ্লিকেট না করা। 
  • ইমেজ অপটিমাইজেশন করা। 
ওয়েবসাইট র‌্যাংক বা পজিশন করার জন্য সবচেয়ে বেশী যেটা দরকার সেটা হলো সার্চ ইন্জিনে আমার আগে যে ওয়েবসাইট গুলো আছে নির্দিষ্ট কিওয়ার্ডে সার্চ দেবার পরে : 

  • তারা কি কি কিওয়ার্ড ব্যবহার করেছে।
  • তারা কোথায় কোথায় কোন কোন কিওয়ার্ডের উপরে ব্যাকলিংক করেছে। 
  • স্পেসিফিক কিছু টপোলজী আছে যেমন: এতোগুলো .এডু ব্যাকলিংক করা - এই ধরনের কাজ টুকু এড করা।
  • প্রথমত পেইড সফটওয়্যার বা পেইড ব্যাকলিংক ব্যবহার না করা্ না পারলে পরে সাহায্য নেয়া। 
  • গুগল পান্ডা বা পেংগুইন সুবিধা ব্যবহার না করা।  
অনেকে আছে আপনার ওয়েভসাইট এবং সার্চ ইন্জিন এনালাইসিস করে সফটওয়্যারের মাধ্যমে বলে দেবে কি কি করলে আপনার ওয়েবসাইট সার্চ ইন্জিনের ভালো পজিশনে দেখাবে কিন্তু সেই সাথে আরো একটা ব্যাপার জানা থাকতে হবে যে: আমার সাথে যে ওয়েবসাইট গুলো ফাইট দিতাছে তাদের মালিকেরা প্রতিনিয়ত এসইও টপোলজী পরিবর্তন করতাছে। তাই প্রতিনিয়ত এসইও পরিবর্তনের বা আপডেটের যে ব্যাপার তার দিকেও নজর দিতে হবে। গুগলের ওয়েবমাষ্টার সেন্ট্রাল বা এনালাইটিকস বা ফোরাম বা ব্লগে নিয়মিত চোখ রাখলে আপনি অনেক কিছু বুঝতে পারবেন।  এসকল বিষয় নিয়ে অন্য আরেকদিন লেখা হবে। চোখ রাখবেন প্রতিনিয়ত। ভালো লাগলে অবশ্যই আমার ব্লগ বা ব্লগপোষ্ট টা শেয়ার করবেন। 

আপনার যদি খুব ভালো ধারনা থাকে এসইও র‌্যাংক ফ্যাক্টর হিসাবে বা আপনি যদি মনে করেন আপনি খুব ভালো মানের এক্সপার্ট তাহলে আপনি নির্দিদ্বায় নীচের মার্কেটপ্লেসে রেজিষ্ট্রেশন করে আপনার এসইও সার্ভিস বা ফ্যাক্ট গুলোকে সেল করেত পারেন। ধারনা করা হয় পৃথিবীর প্রায় ১ মিলিয়ন হোয়াইট হ্যাট এসইও সেলার প্রায় দেড় মিলিয়ন সার্ভিস সলে করতাছে এই মার্কেটপ্লেসে। 


SEOClerks



No comments:

Post a Comment

Thanks for your comment. After review it will be publish on our website.

#masudbcl