Translate

Sunday, November 8, 2020

একসময় কতোটা কঠিন ছিলো কোনখানে বসে ইন্টারনেট ব্যবহার করা।

 যখন বাংলাদেশে ইন্টারনেট প্রথম প্রবেশ করে তখন কোথাও বসে ইন্টারনেট ব্যবহার করা একইসাথে অপার জ্ঞানের ভান্ডারের কারনে আনন্দময় আর অন্যদিকে বাংলাদেশের সমাজে ইন্টারনেটের ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য অপার যুদ্ব। জানেন তো- আমাদের দেশে বা সমাজে কোন কিছু নতুন ভাবে চালু করতে গেলে কতোটা কষ্ট করতে হয়। যে কোন কিছূ আপনি প্রথম শুরু করতে যাবেন তাহলে ই আপনি বাধার সম্মুক্ষীন হবেন কারন এইটা আমাদের দেশের সমাজ ব্যবস্থা। প্রথম যে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেকশন বাংলাদেশের সমাজে প্রবেশ করে তার নাম: SEE-ME-WE-4. সেটা ফাইবার অপটিক ক্যাবল কানেকশন না হলেও খুব দ্রুতগতির ইন্টারনেটের কাছাকাছি ছিলো। বিশেষ করে সাইবার ক্যাফেতে বসে ইন্টারনেট ব্যবহার করা আর অবসর সময়ে বসে বসে কম্পিউটার/ডেস্কটপ/ল্যাপটপ ঘাটাঘাটি করা এবং সে ভ্যাপারে ডিটেইলস খোজ খবর নেয়া বা জ্ঞান আরোহন করা একটা নেশার মতো হয়ে গেছিলো। ২০১১ সালের আগে পর্যন্ত ফ্রি ল্যান্সার রা ছাড়া আর কেউ ইন্টারনেট তেমন ব্যবহার করতো না। বিদেশে কেউ তাকলে তার সাথে প্রথমত লিখিত ভাবে ছ্যাট করা, তারপরে অডিও ভিডিও চ্যাট করা এবং আপনজনকে কাছাকাছি দেখতে পাওয়া- প্রথম বাংলাদেশের ইন্টারনেটের ব্যবহার কে অপরিহার্য করে তুললো। মানুষজন বুঝতে পারলো ইন্টারনেট দিয়ে ধীরে ধীরে অনেক কাজ হবে। থিসিস সাবমিট করা, এসাইনমেন্ট তৈরী করা, সারা বিশ্বের এক এলাকার মানুষ আরেক এলাকাতে এসে বন্ধুত্ব কিংবা বিয়ে শাদী করা - ভ্যাপারগুলো ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হওয়া শুরু করলো। ইন্টারনেটে থেকে সম্পর্কে জড়িয়ে বহু বাংগালী মেয়ে দেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছে। তবে ২০১১ সালের আগে পর্যন্ত সাইবার খ্যাফেকে অনেকই ডেটিং স্পট হিসাবে ব্যবহার করতো। সাইবার খ্যাফের ভেতরে থাকা ছোট ছোট খুপড়ি ঘরগুলোতে কপোত কপোতীকে সারা দেশ জুড়ে অশালীন অবস্থায় পাওয়া যাওয়া শুরু হলো। শুরু হলো অশালীন য্যেন নিপীড়নের যুগ। প্রচুর পরিমানে কাপলকে সারা দেশে আপত্তিকর অবস্থায় রেকর্ড হলো এবং সারা দেশে তা এমএমএস আকারে চড়িযে যেতে শুরু করলো। অনেক মেয়েই বেছে নিলো আত্মহননরে পথ। অনেক মেয়েই লজ্জায় শরমে দেশে ছেড়ে চলে যেতে বাদ্য হলো, নিজের এলাকা ছেড়ে যেতে বাধ্য হলো। একটা কুচক্রী মহল সবসময় বাংলাদেশের সাথে আছে এখন পর্যন্ত। অনেকেই সাইবার খ্যাফে গুলোকে খারাপ ভাবা শুরু করলো আর আমরাও যারা শেখার জণ্য বা তুন কিছু জানার জন্য বা ইন্টারনেটে ডলার ‍ উপার্জনের সাথে লেগে ছিলাম তারাও পড়ে গেলাম দেশজুড়ে একটা খারাপ অবস্থায় কারন তখনো পুরোদমে বাংলাদেশ ব্যাংক ফ্রি ল্যান্সারদের রেমিটেন্স ফ্যাসিলিটিজ দেয়া শুরু করে নাই। 




এই দেশের ফ্রি ল্যান্সারদের সর্বপ্রথম যে বেগ পাইতে হয় তা হইতাছে মানুষকে ইন্টারনেট কি তা বোঝানো? কেনো এইটা ডিভাইসে ব্যবহার করতে হয় তা বোঝাতে বোঝাতে যায় আরো এক কিস্তি। অনেক কষ্টে যখন সারা দেশে বোঝানো যায় যে: আমাদের রেমিটেন্স কি কাজে লাগবে তখণ সারা দেশের সকল লোক রাজি হয় আমাদেরকে রেমিটেন্স ফ্যাসিলিটিজ দিতে। সচরাচর যেভাবে রেমিটেন্স আসতো তাতে অপর সাইড থেকে কে ডলার সেন্ড করেছে তার ইনফরমেশন পাওয়া যেতো। কিন্তু ইন্টারনেট মার্কেটপ্লেসের রেমিটেন্স যখনএড হওয়া শুরু করলো: তখন তো শুধূ ইন্টারনেট ওয়েবসাইট থেকে বা মার্কেটপ্লেস গুলো থেকে রেমিটেন্স আসতো। আর মার্কেটপ্লেসে কাজ জমা দেবার পরে তো সেটা চলে যায় ক্লায়েন্টের কাছে- ক্লায়েন্ট বিল এক্সপ্ট করে মার্কেটপ্লেসে পেমেন্ট ওকে করে দিলে সেটা উইথড্র দিতে হতো এবং তার পরে সেটা বাংলাদেশে রেমিটেন্স হিসাবে আইসা এড হতো। কিন্তু মার্কেটপ্লেস যখন সুইফট ট্রানজেকশন করতো তখন তো আর তারা ফুল ক্লায়েণ্ট ডিটেইলস দিতো না আর সেটা মার্কেটপ্লেসের পলিসি বিরোধী ছিলো। কারন তখন মার্কেটপ্লেসগুলো তে ক্লায়েন্টদের নিয়ে টানা চেড়া বা প্রতিযোগিতা ছিলো। তখণ বাংলাদেশে এক শ্রেনীর লোক প্রশ্ন করে বসে জনমনে: কোথো থেকে আসে এই রেমিটেন্স? অপর সাইডে কে মানি দিলো ? কেনো মানি দিলো? কে কি কাজ করেছে। নানাবিধ প্রশ্নের সম্মুক্ষীন হয়ে ফরেনার রা বিচলিত হয়ে গেলো। অনেক মার্কেটপ্লেস এই প্রতিবাদের কারনে পিছিয়ে গেলো এবং সিদ্বান্ত নিলো তারা বাংলাদেশের সাথে সুইফট ট্রানজেকশন করবে না। নয়তো এইটা অনেক অপার সম্ভাবনাময় ইন্ডাস্ট্রিজ ছিলো।




সে সময় সুইফটের মানি যখন এটিএম এ উইথড্র করা হতো তখণ অনেকে হ্যাকার বলে কমেন্ট করতো ফরে মাঝে মাঝে ভীষন কষ্ট হতো। রেমিটেন্স ফ্যাসিলিটজ কিন্তু বাংলাদেশ সরকার বা বাংলাদেশ ব্যাংক দিয়ে থাকে। 

  1. মার্কেটপ্লেস ওয়েবসাইট বললো ওকে আছে। 
  2. মার্কেটপ্লেস ওয়েবসাইট রিলেটেড ব্যাংক বললো যে ওকে আছে। 
  3. আইএমএফ বললো ঠিক আছে। 
  4. ওয়ার্ল্ড ব্যাংক বললো ওকে আছে ।
  5. বাংলাদেশ ব্যাংক বললো ওকে আছে। 
  6. প্রাইভেট ব্যাংক বললো ওকে আছে।
  7. ডলার টাকাতে কনভার্ট হয়ে এটি্এম উইথড্র পর্যন্ত হলো 
  8. আর এক শ্রেনীল লোক বলা শুরু করলো যে এই টাকা কোথা থেকে আসলো। 
তো তাদেরকে তখন বলা হলো যে : বাংলাদেশ ব্যাংক কি না বুঝে পেমেন্ট এপ্ররভ দিছে। তারা মানতে নারাজ। তারা এই দেশের দালাল/রাজাকার/ দেশবিরোধী গ্ররপ বা প্রজন্ম এবং তাদের সন্তানেরা মিলে বাধা দেয়া শুরু করলো (পরে আমরা খোজ নিয়ে জেনেছি তারা বাংলাদেশের বৈধ নাগরিক না আর তারা আমাদের শতরু দেশের এজেন্ট। পরে দেখলাম তারা বাংলাদেশ থেকে সব আইডয়া আমাদের কাছে ক্ষমা না চাওয়া দেশে পাচার করতে শুরু করেছে। ফলে নিজেকে ঘুটিয়ে নেয়া শুরু করলাম জয় বাংলার ফ্রি ল্যান্সার রা। ২০১৩ সালের শাহবাগ এর গনজাগরন এর পরে আবারও সাহস ফিলে এলো।)  যে রেমিটেন্স বাংলাদেশ ব্যবহার করে সেই রেমিটেন্স কে তারা খারাপ বরা শুরু করলো। কারন গার্মেন্টস মালিক দের কে নিয়ে আসা হলো এবং তাদের ব্যবসায়িক ডিটেইলস দেকা হলো। যারা শ্রমিক তারাও দেখা হরো। আমদানী রপ্তানী হয় সেখানে ফুর ডিটেইলস দেয়া গেলো। কিন্তু মার্কেটপ্লেস ওয়েবসাইট শেুধূ পেমেন্ট দিতাছে ব্যাপারটা তারা মেনে নিতে পারলো না। ফলে প্রতিবাদ স্বরুপ আমি এবং আমার মতো হাজার হাজার ফ্রি ল্যান্সার সিদ্বান্ত নিলাম আমরা আর বাংলাদেশ ব্যাংক এর রেমিটেন্স ফ্যাসিলিটজ ব্যবহার করবো না্- পাইওনিয়ার ব্যবহার করবো। আশাতীত ভাবে ১৫ বার অুনরোধ করার পরেও আমার পাইওনিয়ার কার্ড আসে নাই। পাইওনিয়ার ব্যাংক একাউন্ট তৈরী হলো আর পাইওনয়িার টু বাংলাদেশ ভ্যাংক সুইফট ট্রানজেকশণ শেুরু হলো আর আমরাও সারা দেমের ছেরে পেলেরা পুনরায় পাইওনিয়ার ব্যবহার করতে শুরু করলো। মাঝের সময়টা তে বাংলাদেশের সকল ফ্রি ল্যান্সার যারা নিজে নিজে শিকে কাজ করেছে তারা বেশীর ভাগ সময় একজন আরেকজনের কাছে ইমেইলে ডলার সেল করে দিতো। যাদেরকে ইন্টারনেটের ব্যবহার শুরু করার সময় ২০০-২০০২ সালে বাংলাদেশে পাওয়া যায় নাই- বর্তমানে ইন্টারনেটে তাদের তাফালিং দেখলে হাসতে ইচ্ছা করে। পরে অনেকে বুঝায় যে : এইগুলো মাথা খারাপ গ্রুরপ। এদের বাপ দাদারা দেশবিরোধী ছিলো আর দেশ স্বাধীন হবার পর থেকে বোটার তালিকায় নাম না থাকা সত্বেও বাংলাদেশকে তাদের নিজেদেরে দেশ বলে পরিচয় দিয়ে যাইতাছে। তেমনি তাদের সন্তানেরা ক্যালিফোর্নিয়া সিলিকন ভ্যালি তেকে আগত ব্রডব্যান্ড ইন্টারনটে কানেকশনকেও তাদের পৈত্রিক সমপেইত্ত মনে করা শুরু করে দিলো। কারন বাংলাদেমেল সমাজের বদান্যতায় তারা তো ২০১৩ সালের শাহবাগ গনজাগরন পর্য্নত বহাল তবিয়তে টিকে ছিলো- ২০১৩ সালের শাহবাগ গজাগরনরে পরে সেনা সেটা ফাসিতে কার্যকর হয়। আর তাদের প্রজন্মের লোকজন এইখানে একটা ভুল করে বসলো যে- ইন্টারনটে কে তাদের প্রাপ্ত সম্পত্তি মনে করলো। কিন্তু ব্যাপারটা তো অদৃশ্য এক শক্তি বা অদৃশ্য এক লাইটিং গতি সম্পন্ন। ফলে ভুল করে বসলো  আর তাদেরকে আইডেন্টিফাই করার সহজ হয়ে গেলো। স্বয়ং শয়তান ও কখনো অদৃশ্য বা ইনফিনিটিভ কোন কিছুর বিরুদ্বে লড়াই করে না। বাংলাদেশে ইন্টারনেট টা মুক্তিযোদ্বা এবং তাদের প্রজন্মের জন্য উপহার। যারা জয় বাংলা বলতে পারে না তাদের জন্য বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহার বন্ধ করে দেয়া উচিত। বৈধ জাতীয় পরিচয়পত্র যদি না থাকে আর যদি বসবাসরে বৈধ অনুমতি না থাকে তাহলেও তাদের ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা বন্ধ করে দেয়া উচিত। তাদেরকে বড়জোড় রোমিং সিম বা নাম্বারের কারনে মোবাইল ইন্টারনেট ফ্যাসিলিটজ দেওয়া য়াইতে পারে। নামধারী লোকজন বা বৈধ জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারই বাংলোদেমে সাম্প্রতিক সময় গুলোতে বিভিন্ন ব্যাংক হ্যাকের মূল কারন বলে আমি মনে করি। আমার ইন্টারনেট ব্যবহারের অভিজ্ঞতা প্রায় ২০ বছর। 




একদিন রাতে একজন অচেনা লোকের সাথে ইন্টারনেটে একটা ম্যাসেন্জারে চ্যাট হইতেছিলো। তো সে আমাকে কিছূ প্রশ্ন করলো: 

প্রশ্ন:  ইন্টারনেট কোথা থেকে আসে?
উত্তর: ইন্টারনেট বাংলাদেশে আসে ক্যালিফোর্নিয়া সিলিকন ভ্যালি থেকে।

প্রশ্ন: ইন্টারনেট বাংলাদেশে কে এনেছে? 
উত্তর:  গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। 

প্রশ্ন : ইন্টারনেটে সমাজ নাই কেনো? 
উত্তর: ইন্টারনেটে সমাজ চলে না। ইন্টারনেট ইংরেজদের তাই এইখানে সোসাইটি চলে। 

প্রশ্ন :  ইন্টারনেটে সে সমাজ প্রতিষ্টার জণ্য লড়াই করবে। 
উত্তর: কারন?

প্রশ্ন : তারা এই দেশের দালাল/রাজাকার/জয় বাংলা বিরোধী প্রজন্ম। সমাজা ছাড়া তারা চলতে পারে না। এই দেশে তারা সমাজ প্রতিষ্টা করেছে। তারা সমাজ মোতাবেক চলে। আইন মোতাবেক না। তাই ইন্টারনেটে তাদের সমাজ দরকার।
উত্তর: সম্ভব না। ইন্টারনেট একটি গতিশীল মিডিয়া। এইখানে মূহুর্তে মূহুর্তে শব্দ বা টেকনোলজী পরিবর্তন হয়। তাই এইখানে সমাজ টিকবে না। এইটা সোসাইটিতে রুপান্তর হবে। আর ইন্টারনেট নিজেই একটা সোসাইটি ধারন করে। সো এইখানে বাংগালী টাইপের কিছু করলে মাথার তারা টার ছিড়ে যাবে। 



তারপরে ডিসকানেক্টেড। সেই লোক লাইন ডিসকানেক্ট করে দিলো। তা প্রায় ১০ বছর আগে। এখনো তাদের সমাজ প্রতিষ্টিত হয় নাই ইন্টারনেটে আর হবেও না কখনো। কারন এইটা টিকে থাকে না। যুদ্বের পরে বাংলাদেশে থেমে ছিলো যুদ্বের ভয়াবহতায় - তাই সেই ফাকে দালাল/রাজাকার/জয় বাংলা বিরোধীরা  একটা সমাজ তৈরী করে নিয়েছিলো তাদের বসবাসের সুবিধার্থে (বোধ করি যাদের এখন বৈধ জাতীয় পরিচয় পত্র নাই তাদের)। এই দেশে যদি কখনো কোনো সমাজ বা সমাজ ব্যবস্থা কার্যকর হয়ে থাকে তাহলে সেটা হবে জয় বাংলার সমাজ (যা বলে মুক্তিযোদ্বারা যুদ্বে গেছিলো ) আর বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় বা ধর্মীয় সমাজ ব্যবস্থা।  আমাদের দেশে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় কর্তৃক জাতীয় পরিচয়পত্র সারেন্ডারের সিষ্টেম রাখা দরকার- কারন আমাদের দেশে এমন এক শ্রেনীর লোক বসবাস করে তাার জাতীয় পরিচয়পত্র হীন মানুষকে স্যালূট দিতে ও দ্বিধাবোধ করে না। আবার অনেকে আছে জাতীয় পরিচয়পত্র কে ঘৃনা করে। তারা এই দুই শ্রেনীর লোক একসাথে তাদের বৈধ জাতীয় পরিচয়পত্র থাকলে তা সারেন্ডার করতে পারবে। আবার এমন একটা সহজ সরল ওয়েবসাইট খাকা দরকার যেনো যে কেউ ইন্টারনেটে বসে থেকে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সহজে একজন মানুষের ফুল ডিটেইলস জানতে পারে।   



No comments:

Post a Comment

Thanks for your comment. After review it will be publish on our website.

#masudbcl