Translate

Monday, November 23, 2020

ফ্রি ল্যান্সার হিসাবে সামাজিক ভাবে কি কি অবহেলা বা ষ্ট্রাগলের স্বীকার হতে পারেন?

আমাদের দেশে ফ্রি ল্যান্সার দের কে সামাজিকভাবে এমন এমন লোক অবহেলা করবে বা করে যাইতাছে যাদের এই ব্যাপারে কোন কিছু জানা নাই। অযথাই আপনার পথের কাটা হয়ে দাড়াবে। বিনা কারনে আপনার সামনে এসে বাধা হয়ে দাড়াবে বা আপনার কাছে ভাগ বাটোয়ারা চেয়ে বসবে। যেমন ধরেন : বাংলাদেশের সমাজে চাদাবাজ যাকে র‌্যাব পুলিশ চাইলেই ক্রসফায়ার করে ফেলাবে প্রমান স্বাপেক্ষে। একজন চাদাবাজ কোথায় চাদা চায়- বাংলাদেশে আপনার উপার্জিত অর্থের উপরে সে চাদা চায়। কারন কি- হয়তো সে নিজে চলতে পারতাছে না বা ব্যাপারটা সে দাপট হিসাবে দেখায় বা হয়তো অবৈধ ভাবে সন্ত্রাসী চক্র বা খারাপ ধর্মীয় জিহাদি চক্রের সদস্য (যদি আপনি কোন সন্ত্রাসবাদী দেশের সাথে ব্যবসা বা লেনাদেনা করে থাকেন তাহলেই আপনি জিহাদি/ধর্মীয় সন্ত্রাসী চক্রকে সাহায্য করতাছেন। মনে করেন: আপনি বাংলাদেশে বসে থেকে রাশিয়া হয়ে একটি সন্ত্রাসবাদী দেশকে আর্থিক সাহায্য করতাছেন যা রাশিয়া সরকার বুঝতাছে না বা কোন বৌদ্ব দেশের মাধ্যমেও সেই সন্ত্রাসী দেশকে আর্থিক সাহায্য বা লেনাদেনা করতাছেন- যা সেই বৌদ্ব রাষ্ট্রগুলো বুঝতাছে না। আর যদি বুঝে থাকে তাহলে তো দুই ধরনের দেশই সন্ত্রাসের সাহায্যকারী হিসাবে  নামাংকিত হবে।) হিসাবে সে এই চাদাবাজি করে যাইতাছে। 


অনেক সময় আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিণীকে বলেও কোন প্রতিকার পাওয়া যাইতাছে না। দেখা যাইতাছে সরকারি গুন্ডা বাহিণীর সদস্যরা- তারাও  হয়তো সেখান থেকে ভাগ বা % চায়। কিন্তু ব্যাপারটা  সম্পূর্ন আইন বিরোধী। বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলের ক্ষমতা বা প্রভাব খাটিয়ে যদি আপনি নিয়মিত ব্যাংক ডাকাতি বা চুরি করে যান তাহলে সেটা হবে আইন বিরুদ্ব কাজ। আর চোরের কোন ধর্ম নাই। যা কিছু আপনি প্রকাশ্য দিবালোকে বলতে পারবেন না তাই চুরি। মনে করেন: একজন সচিব যে রাষ্ট্রের অনেক বড় পর্যায়ে বসবাস করে এবং সরকারি অফিসে দুই নম্বর গিরি করে এবং ঘুষের কারবার করে আর সে সেটা প্রকাশ্য দিবালোকে বলতে পারলো না - তাহলে কিন্তু সেটা চুরি হয়ে গেলো। আপনি রাজনৈতিক ভাবে ক্ষমতাবান হয়ে যদি রাষ্ট্রের সকল ধরনের আর্থিক প্রতিষ্টানের কাছ থেকে চাদা চেয়ে বসেন আর সেটা জনসস্মুক্ষে  না বলতে পারেন সেটা হবে রাষ্ট্রীয় চুরি এবং চাদাবাজি। আর চোর কিংবা চাদাবাজদের সাথে কোন ভালো মানুষ চলে না। 


সবাই জানে বলতে প্রকাশ্য দিবালোকে সারা দেশের সব টিভি এবং পত্রিকার সাংবাদিক দের ক্যামেরার সামনে দাড়িয়ে বলা বলতে বুঝায়। এরকম যদি কোন চোর থাকে তাহলে মাঝে মাঝে দেশী পালা কুবতর যেমন রক্তচক্ষু মিলে তাকায় সেরকম বাংগালী ও রক্তচক্ষু মিলে তাকাবে। সবাই জানে চোরের কোন ধর্ম নাই। সেই হিাসবে চোর বা চোরের দল এক ধরনের নাস্তিক। সেই হিসাবে চাদাবাজ রাও এক ধরনের নাস্তিক। কারন তারা চাদাবাজি করে প্রকাশ্য দিবালোকে বলতে পারে না- কারন তারা জানে প্রকাশ হলে তার নিশ্চিত ক্রসফায়ারের খপ্পড়ে পড়বেএকজন ফ্রি ল্যান্সার যখন সামাজিকভাবে সফল হয়ে যাবে তখন সে নিশ্চিত যে কোন খানে চাদাবাজির খপ্পড়ে পড়তে পারে।সে জন্য আমরা ফ্রি ল্যান্সারদেরকে আইডিয়া দেই যে: আপনি যদি একজন ফ্রি ল্যান্সার হিসাবে খুব ভালো উপার্জন থাকে তাহলে আপনি সেটা দেশের বাহিরে যে কোন ব্যাংকে রেখে দিতে পারেন- বেশী পরিমান ডলার থাকলে বাংলাদেশ সরকার ও হ্যাকারদেরকে ভয় পায় বা হ্যাকারদের ভেয় দেখায়। কারন দেশে আনলে বা দেশের ব্যাংকে রাখলে ব্যাংকের কোনো চক্র বা মহল সেটা প্রকাশ করে দিতে পারে বা স্থানীয় চাদাবাজদের জানিয়ে দিতে পারে। তখন তারা আপনার কাছে অযাচিত ভাবে টাকা চাইতে পারে। এই অযাচিত ভাবে টাকা চাওয়াটাকেই চাদাবাজি বলা হয়। বাংলাদেশে চাদাবাজির বিরুদ্বে দাড়ানোর জণ্য এবং সারা বিশ্বে সবচেয়ে বেশী চাদাবাজদের ক্রসফায়ার করার জন্য বাংলাদেশ র‌্যাবের নাম প্রশংসিত ছিলো এক সময়। কিন্তু হঠাৎ করে তাদের এক্টিভিটিজ অনেক কমে যাইতাছে বিগত কয়েক বছর যাবত (২০১৩ সালের পর থেকে)। 


একসময় যারা নগদ টাকা চেয়ে বেড়াতো চাদাবাজি হিসাবে এখণ তারা হয়ে গেছে ডিজিটাল ফকির বা ডিজিটাল চাদাবাজ ব্যাংকে চাদা চেয়ে বসবে। নগদ টাকা বা কাগজের নোট বাদ দিয়ে এখণ তারা ব্যাংকে ০ বা ১ এর সংখ্যার দিকে দৌড়াচ্ছে। যেহেতু চোরেরা সব চেয়ে বড় নাস্তিক তারা আবার চুরি করে হলেও ধর্মের পরিচয় দিতে চাইতাছে। একসময় যখন মানুষ ছিলো না পৃথিবীতে তখন সারা বিশ্বই ফাকা ছিলো আর পুরো দুনিয়াটা ছিলো শুন্য। শুন্য এক দুনিয়ার সৃষ্টিকর্তা এক মালিক। সেই ধারনা থেকেই তৈরী হয় ০(শূন্য) এবং ১(এক) । ০ এবং ১ মিলে তৈরী হয় ১ বিট ( ০+১ = ১ বিট। ৮ বিট =১ বাইট।১০২৪ বাইট= ১ কিলোবাইট.....। আমরা সবাই জানি বিট এবং বাইটের হিসাবে চলে দুনিয়া, কম্পিউটার বা ইন্টারনেট । )। এছাড়াও হার্ট বিট বা পালস বিট আছে যা সৃষ্টিকর্তার নির্দেশে যে কোন সময় যে কোন খানে যে কারোটা বন্ধ হয়ে যাইতে পারে। আমি ধারনা করি বাংলাদেশের ডিজিটাল চোরেরা যদি ব্যাংক ডাকাতি বা ব্যাংক হ্যাক করে থাকে  তাহলে তারা বিট বাইটের সংখ্যা চুরি করে বা হ্যাক করে আর সাধারন মানুষের কষ্ট বাড়িয়ে দিয়ে হার্ট বিট বা পালস বিট বন্ধ করে দিতাছে প্রতিমূহুর্তে। তবে একটা ব্যাপার হলো: যদি ডিজিটাল হ্যাকার বা ডিজিটাল ফকির থাকে: তাহলে তারা কতো বড় আহাম্মক যে চোর হয়ে চুরি করে নগদ টাকার নোট কে না খুজে সংখ্যা নিয়ে দৌড়াইতাছে। সংখ্যা কি কখনো চুরি হয়? বাংলাদেশ না জানলেও তো মাইক্রোসফট জানে বা ইন্টারনেট (আইকান) জানে বা কোথাও না কোথাও কোন না কোন প্রমান তো রয়ে যাইতাছে। সংখ্যা কখনো চুরি করা যায় না। কয়েকটি সংখ্যা নিয়ে তৈরী বিডিটি বা ডলার হয়তো চুরি করা যায়।  


উপরের এই   ৪টা প্যারাই যা ধারনা করা হয়েছে বা যদি মেথডে বুঝানো হয়েছে তা যে কোন ফ্রি ল্যান্সারের জন্য মানসিক প্যারা হয়ে দাড়াবে এবং এইটা এক ধরনের ষ্ট্রাগলে এসে দাড়াবে।  কারন ফ্রি ল্যান্সার রা যে মেথডে লেনাদেনা করে থাকে তাকে বলা হয় : (ইটিএস: ETS: Electronic Transaction System. Combination of O and 1) এখণ যদি সবসময় ই হ্যাকার বা চোরদের বা ডিজিটাল ফকিরের ভয় থাকে তাহলে সেটা যে কোন বিগিনার বা ষ্টার্টিং ফ্রি ল্যান্সার দের জন্য এক বিরাট ষ্ট্রাগল হয়ে দাড়াবে। তার মনের ভেতরে বিশাল প্রভাব পড়বে।সে মানসিকভাবে ধাক্কা খাবে। সাধারন মানুষ তাকে খারাপ ভাবতে পারে। ২০১১-২০১৮ সাল ছিলো আমার জন্য সেরকম ষ্ট্রাগলের সময় এবং ২০১১ (শেয়ার মার্কেট কেলেংকারি) সালে বাংলাদেশে প্রথম ব্যাংক ডাকাতি বা চুরি বা হ্যাকিং শুরু হয় বলে ধারনা করা হয় এবং আমরা ফ্রি ল্যান্সার রা বাংলাদেশ ব্যাংকের রেমিটেন্স সার্ভিস ব্যবহার করা বন্ধ করে দেই। পেপাল ব্যবহার করেছি বেশীর ভাগ সময়। কারন আমি চাই নাই বাংলার মানুষ আমাদের মতো ফ্রি ল্যান্সার দেরকে চোরের সাথে তুলনা করুক। বাংলাদেশ সরকারের অনুমতি প্রাপ্ত আর্থিক প্রতিষ্টান এর সাহায্য নিয়ে পেপাল ডলার রিসিভ করে লেনাদেনা করে নিজেকে বাংলাদেশ সরকারের ডিজিটাল লেনাদেনা পদ্বতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখি। পেপালের সাথে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোন সম্পর্ক নাই। আমরা এজেন্সী (এজেন্সীর সবাই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নাগরিক এবং সেই হিসাবে তাদের প্রত্যেকরে ভেরিফায়েড পেপাল একাউন্ট ও আছে) কে পেপাল ডলার দিছি- এজন্সেী সেগুলো বাংলাদেশের গুটিকয়েক ব্যাংক কে দিয়ে দিছে যেখানে সেগুলো রেমিটেন্স হিসাবে এড হয়ে গেছে। 


সামাজিক প্রতিবন্ধকতা:

সামাজিক ভাবে ওয়েবসাইট নির্ভর অনলি এই পেশার এখনো স্বীকৃতি হয় নাই। গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের নাগরিক ডাটাবেজে এখনো ফ্রি ল্যান্সার কে পেশা হিসাবে লিপিবদ্ব করা যায় নাই। এক শ্রেনীর গবেট আছে  যারা মার্কেটপ্লেস ফ্রি ল্যান্সার দের কে ৭১ এর স্বাধীনতা যু্দ্বে অংশগ্রহনকারী মহান জয় বাংলার মুক্তিযোদ্বা ভাবে। একজন ‍ মুক্তিযোদ্বার মিনিমাম বয়স ছিলো: ১৮ বছর আর আজকে তার বয়স প্রায় ৬৫ বছর। আর মার্কেটপ্লেস ফ্রি ল্যান্সার দের সর্ব্বোচ্চ বয়স হতে পারে আনুমানিক ৪০+। তাহলে স্বাধীনতা যুদ্বের সময় তো সে জন্মই হয় নাই। আরেক দল গবেট আছে: আনুমানিক একটা কথা ছুড়ে দিয়ে একটা নিজস্ব সমাজ থেকে চাদাবাজি করে যাইতাছে। বলতাছে পেপাল মানে অন্য আরেক দেশের (শতরু) একটা রাজনৈতিক দলকে চাদা দেয়া যা কিনা গুগুলে সার্চ দিয়ে পাওয়া যাইতাছে না। এই ধরনের নানাবিধ ভুল ধারনাতে আটকে আছে আমাদের দেশের সমাজ ব্যবস্থা যা ঠিক করার দ্বায়িত্ব সারা দেশের ফ্রি ল্যান্সার রা নিতাছে না। সারা দিনই তাদের একটাই ধান্ধা : কিভাবে আরো বেশী ডলার ‍ উপার্জন করা যায়, কিভাবে আরো বেশী টাকা উপার্জন করা যায়। ফ্রি ল্যান্সারদের সামাজিক দায়বদ্বতা বলতে বোঝানো হয় যে: বাংলাদেশের সমাজে ফ্রিল্যান্সার/মার্কেটপ্লেস/আউটসোর্সিং কাজটাকে বোঝানো। তা না করে নাম ধারী কিছু দুই নাম্বার চিটার বাটপার ফ্রি ল্যান্সার অমুক তমুক বলে সরকারের অনুমতি ছাড়া আইন পুলিশের তোয়াক্কা না করে সারা দেশের সাধারন কোমল মনের ছেলে পেলে গুলোর কাছ থেকে হেন তেন ফেন বলে টাকা পয়সা আদায় করে  তাদেরকে  নি:স্ব করে বলতাছে সামাজিক দায়বদ্বতার দায় হিসাবে টাকা নিতাছে। সেই সকল টাকা কি আদৌ বাংলাদেশে আছে নাকি বিভিন্ন দেশে পাচার হয়ে যাইতাছে। পৃথিবীর সকলেই জানে নিষিদ্ব যে কোন কিছুতে বেশী পরিমান অর্থ লাগে। এখন কার দিনে নতুন ফ্রি ল্যান্সার বা বিগিনার ফ্রি ল্যান্সার দের জন্য এক বিরাট বাধা বা যুদ্ব ইন্টারনেটে টাকা পয়সার খপ্পড়ে পড়ে যাওয়া।


রাষ্ট্রীয় প্রতিবন্ধকতা: 

এখনো রাষ্ট্রীয় ভাবে আমাদের দেশের নিজস্ব কোন মার্কেটপ্লেস তৈরী হয় নাই। সহজ সরল বা বাংলা ভাষাতে মার্কেটপ্লেসে তৈরীর জন্য কোন উদ্যোগ ও নাই। সকলের ভাব ভংগি দেখলে মনে হয় একসাথে ১২/১৫ লাখের কোন গ্ররপ যে কোন সময়ে দেশ ছাইড়া চলে যাবে (এশিয়ার অন্য কোন দেশে) আর বাকী যারা পড়ে থাকবে তারা শুধু দেশের ব্যাপার স্যাপার গুলো কন্ট্রোল করবে।  একটি কথা জেনে রাখা দরকার : বিশ্বের কোন দেশের বৈধ নাগরিক না হলে আপনি অপর কোন দেশের নাগরিকত্ব পাবেন না। আপনাকে অতি অবশ্যই প্রথমে বাংলাদেশের বৈধ নাগরিক হতে হবে (নাগরিক হবার  কন্ডিশন দুইটি : বৈধ জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার লাগবে আর দ্বিতীয়ত: বৈধ ভোটার হতে হবে।) আমাদের দেশে এ ধরনের কোন সিষ্টেম নাই যে: আপনি টেস্টিং নাগরিক বা আপনার একটা টেষ্টিং কার্ড আছে যা দিয়ে আপনি ওয়ান টাইম ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ওয়ান টাইম টেষ্টিং ভোট দিতে পারবেন আর নিজেকে আপনি বাংলাদেশের নাগরিক ভেবে ফেলবেন। বাংলাদেশের নাগরিক হতে হলে প্রথমে আপনাকে মানুষ হতে হবে তারপরে আপনাকে বৈধ জাতীয় পরিচয়পত্রধারী হতে হবে (বৈধ জাতীয় পরিচয়পত্র বলতে বোঝানো হয় ফিংগারপ্রিন্ট ইণ্টারফেস সিষ্টেমের কয়েকধাপে আপনি পাশকৃত আপনার আংগুলের ছাপের মাধ্যমে। এমন না যে এক ধাপ ফিংগার প্রিন্ট ইন্টারফেস পার হলাম আর পরবর্তী ধাপে যাইয়া আটকে গেলাম: যে বৈধ নাগরিক সে ফিংগারপ্রিন্ট ইন্টারফেস সিষ্টেমের সবধাপ কমপ্লিটেড পারসন। শুধূ নিজের নাম, বাবার নাম,  হোল্ডিং নাম্বার আর ফিংগারপ্রিন্ট ইনটারফেস সিষ্টেম পাশ হলেই আপনি একজন বৈধ নাগরিক)  এবং তারপরে আপনাকে বৈধ ভোটার হতে হবে আপনি যদি বৈধ ভোটার না হোন তাহলে আপনি বাংলাদেশী হিসাবে বিশ্বের অণ্য কোন দেশে নাগরিকত্ব আবেদনই করতে পারবেন না। আর যদি আবদেন করেও থাকেন - সোশাল মিডিয়া পরীক্ষায় আপনি বাদ পড়ে যাবেন কারন বাংলাদেশের ম্যাক্সিমাম ছেলে বা মেয়েই বর্তমানে সোশাল মিডিয়া থেকে বাস্তব যৌন জীবনে প্রবেশ করে ফেলে যা এক ধরনের সোশাল ক্রাইম। ইউরোপ এবং আমেরিকা এই ধরনের মানুষকে ডিনাই করে থাকে। 


শুনেছি/কিছুদিন আগে দেখেছি- কিছু দিন আগে বাংলাদেশের নাম ঠিকানা ব্যবহারকারী ১২ লক্ষ আবেদনকারীকে একেবারে সারা জীবনের জণ্য রিজেক্ট করা হয়েছে ইউরোপ আমেরিকা থেকে - তারা আর কখনোই আবেদন করতে পারবে না। তেমনি সাম্প্রতিককালে ছেলে বা মেয়েরা ঠিকমতো এখনো জাতীয় পরিচয়পত্র কার্ড ই পাইতাছে না। কোন ওয়েবসাইটে আবেদন করবে আর কোন ওয়েবসাইটেই বা তারা ফ্রি ল্যান্সার হবে? শুনেছি বিগত ৫ বছরেরআনুমানিক প্রায় ২ কোটি মানুষকে এখনো স্মার্ট কার্ড বা জাতীয় পরিচয়পত্র (তাদের অনলাইনে দেয়া আছে জাতীয় পরিচয়পত্র ডিটেইলস) দেয়া হয় নাই যার কারনে বিপুল সংখ্যক তরুন প্রজন্ম পুরোপুরি ফ্রি ল্যান্সার হয়ে উঠতে পারতাছে না। এরা যদি কখনো কোন এক মূহুর্তে কোথাও আন্দোলন শুরু করে দেয় তাহলে তো এই দেশের সরকার ব্যবস্থাও ভেংগে যাইতে পারে। এই বিশাল তরুন প্রজন্ম শুধূ বৈধ ভোটার রেজিষ্ট্রেশন ফরম ফিলাপ নাম্বার নিয়ে বসে আছে এবং আশায় আছে এনআইডি কার্ড হাতে পাবার (শুনেছি অনলাইনে এভইলেবল)। এর মাঝে এই বিশাল তরুন প্রজন্ম কে বিভিন্ন ধরনের ফাদে ফেলাইতাছে  ৭১ এর কুখ্যাত দেশবিরোধী দালাল/রাজাকার/দেশবিরোধী প্রজন্ম। এখনকার তরুনদের সমসাময়িক অবস্থা নিয়ে গতকাল দেখা একটি ইউটিউবের নাটক নীচে শেয়ার করলাম। 




পারিবারিক বাধা:

সবচেয়ে বড় যে বাধা ফ্রি ল্যান্সার হতে গেলে তা হলো পারিবারিক বাধা। একটা কথা আছে পৃথিবীতে: পাপ তার বাপকেও ছাড়ে না। আগেকার জনমে যারা খারাপ কাজ করে গেছে (২০০১-২০০৬) তাতে সারা দেশে ইন্টারনেটে একটা বিরুপ প্রতিক্রিয়া তৈরী হয়েছে। ইন্টারনেটে একটি গতিশীল মিডিয়া- প্রতি সেকেন্ড এইটা দৌড়ায়। ফলে যারা বিভিন্ন ধরনের ক্লিক এবং ল্যান্সিং ব্যবসা করে গেছে তারা এদেশে অনাগত অনেক ছেলে বা মেয়ের ভবিষ্যত কে একবারে ধুলোর সাথে মিশিয়ে দিয়ে গেছে। কারন তারা ছিলো এমন এক প্রজন্ম যারা এদেশের তৎকালীন তরুন প্রজন্ম যারা ফ্রি ল্যান্সার হতে চেয়েছিলো তখনকার দিনে ৭/৮ লক্ষ টাকা পার হেড ধরা খায় (ডু ল্যান্সার, স্কাই ল্যান্সার বা যা তা ল্যান্সার) । তখন চালের কেজি ছিলো ৭/৮ টাকা আর এখন চালের কেজি প্রায় ৬০ টাকা। তো ধরতে গেলে  তখনকার দিনের ৭/৮ লক্ষ টাকা আজকের দিনের প্রায় কোটি টাকা। এই সকল কারনে তখনকার দিনে যারা কষ্ট পেয়েছে তারা এখন আর তাদের ছেলে বা মেয়ে বা আত্মীয় স্বজনকে সহজে ফ্রি ল্যান্সারদের খাতাতে নাম লিখাতে দেয় না। আর বর্তমান সরকারও এমন তর বস্তুগত উন্নয়ন শুরু করেছে যে ২০১১ সালের ১০ টাকা/কেজি চাল এখন প্রায় ৬০ টাকা। ২ টাকা কেজির আলু প্রায় ৪৮ টাকা । ৫ টাকা কেজির লবন প্রায় ৩০ টাকা। সবকিছুর দাম বেড়ে এমন একটা অবস্থায় চলে গেছে যে : সাধারন মানুষ এর প্রায় নাভিশ্বাস। একবেলা বা দুবেলা খাবার পরে আর তারা চিন্তা করতে পারে না। এরকম দু:শাসন থেকে দেশকে কে কবে বাচাবে তা আসলে সৃষ্টিকর্তাই ভালো জানে। তবে ফ্রি ল্যান্সার যারা বাংলাদেশের বাংলা মায়ের সন্তান , যারা ফরেন ক্লায়েন্ট বা বায়ার ডিলিংস করে থাকে- তারা এতো পরিমান সত বা সততার পরিচয় দেয় যে : না চিনে না জেনে বা সোশাল মিডিয়াতে পরিচিত না হয়েও দূর দেশ থেকে ইউরো/ডলার/পাউন্ড উপার্জন করে দেশের জণ্য রেমিটেন্স আনতাছে যা দিয়ে বাংলাদেশের বস্তুগত উন্নয়ন বাদ দিয়ে সময় এসেছে মানবিকতার উন্নয়ন বা বিপ্লব ঘটানোর জণ্য। ফ্রি ল্যান্সার দের কে প্রচুর পরিমানে তীক্ষ্ন বুদ্বি সম্পন্ন হতে হয়। সবগুলো কাজ ১০০% একুরেটলি করতে হয়। কোন কাজে গাফিলতি করা যায় না। কোন মানুষের সাথে বা বায়ার বা ক্লায়েন্টের সাথে কেউ খারাপ ব্যবহার করতে পারবে না। 


সমাজের সকল শ্রেনীর মানুষের সাথে মিলে মিশে একসাথে হয়ে ফ্রি ল্যান্সার কে একটি পেশা হিসাবে অন্তর্ভুক্তি বা একটি সম্মানের ব্যাপারে বাংলাদেশের সমাজে অন্তর্ভূক্ত করার জন্য যারা আপ্রান চেষ্টা চা্লাইয়া যাইতেছে তারাও এদেশের নাগরিক, এদেশের বাংলা মায়ের সন্তান বা বাংলাদেশী মানুষ। ২০১৩ সালে সংঘটিত ৭১ এর দালাল/রাজাকার/দেশবিরোধী আন্দোলন (রাজাকারের ফাসি) র দাবীতে যারা একসাথে হয়ে ভবিষ্যতের বাংলাদেশ ( গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কোন বিকল্প নাই কিন্তু তথাকথিত রাজনৈতিক সরকারের বিকল্প সরকার ব্যবস্থা)  চিন্তা করেছিলো সেখানে কয়েকটি সরকার ব্যবস্থার ধারনা আবর্তিত হয় বা প্রবর্তিত হয়। যেমন: 

  • শাহবাগের সরকারব্যবস্থা (ধারনা করা হয় প্রায় ১৫ লক্ষ) The most smart society of Bangladesh. যেখানে ওভার কোয়ালিফায়েড (অনার্স/মাষ্টার্স পাশ) ছেলে বা মেয়ে থানা শাহবাগের সমাজ ব্যবস্থার সাথে জড়িত যারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ ক্লাস নাগরিকত্ব (আমন্ত্রিত) নিয়ে বসবাস করতে স্বক্ষম- তাদের সম্মেলনে যে সরকার ব্যবস্থা গ্রহন বা পরিকল্পনা করা হয় সেটা। 
  • গনজাগরনে সরকার ব্যবস্থা : ২০১৩ সালে সংঘটিত গনজাগরনে অংশগ্রহনরত সারা বিশ্ব থেকে আগত টপ ক্লাস কোয়ালিফায়েড বাংলাদেশী বা বাংগালী ছেলে বা মেয়ে (রিপোর্ট: আইএটিএ: (IATA- International Air Transport Authority এর ডাটাবেজে খুজলে পাওয়া যাবে) তারা জয় বাংলা সমেত যে সরকার ব্যবস্থা চিন্তা বা কল্পনা করেছে তা। 
  • মুক্তিযুদ্বের সরকারব্যবস্থা : জনমনে শ্রদ্বা জাগানো শুধুমাত্র ৭১ এ বাংলা মায়ের জণ্য লড়াই করা দেশপ্রেমিক জয় বাংলা মুক্তিযোদ্বাদের সমন্বয়ে যে সরকার ব্যবস্থা কল্পনা করা হয়- যারা জীবিত মুক্তিযোদ্বা শুধুমাত্র তাদেরকে নিয়ে একটি সরকারব্যবস্থা গঠন-যেখানে দু:সহ দুর্বিসহ ৭১ এর মরন কামড়ের দিনগুলোতে স্বাধীনতার স্বপ্নে বিভোর হওয়া বাংগালী মুক্তিযোদ্বা কাধে অস্ত্র নিয়ে যে স্বপ্ন দেখেছে সেগুলো বাস্তবায়নের নিরীক্ষে শুধূমাত্র জয় বাংলো স্লোগান ধারী (খালি মুখে জয় বাংলা বলা- মাউথ স্পিকারে বা কোন কুৎসিত উপায়ে না) মানুষকে নিয়ে একটি সরকার ব্যবস্থা। 
  • পরিবর্তিত সরকার ব্যবস্থা : গতানুগতিক রাজনৈতিক ধারনা (সেই ১৯৪৫ এর পর থেকে শুরু হওয়া) থেকে বের হয়ে এমন একটি সরকার ব্যবস্থা যেখানে সম্পূর্ন নতুন ধরনের সরকার ব্যবস্থা (নতুন ধারার রাজনৈতিক দলগুলোর সমন্বয়ে) যেখানে শুধূ মাত্র উদার পন্থী বাংগালীদের সম্মেলন ঘটবে (কোন ধরনের চিটার বাটপার না।)
  • ফ্রি ল্যান্সার দের সরকার ব্যবস্থা: যারা বাংলাদেশের প্রথম দিকের এবং এখনো রেমিটেন্স যোদ্বা - যারাে দেশের বাহিরে না যেয়ে ফ্রি ল্যান্সার/মার্কেটপ্লেস/আউটসোর্সিং জগতে বাংলাদেশে রেমিটেন্স এড করেছে প্রচন্ড সততার মাধ্যমে- যারা এখন বিভিন্ন খানে কারনে বা অকারনে সাফারার তাদের সততা নিয়ে একটি সরকার ব্যবস্থার যেখানে তারা হবে ১০০% সত। 
  • হেফাজতের সরকারব্যবস্থা: ২০১৩ সালে যে কোন কারন বশত জমে উঠা হেফাজতে ইসলাম এর সম্মেলন গিনিজ বুকে নাম তুলেছে। ধারনা করা হয় প্রায় ১ কোটি মানুষ একসাথে হেফাজতের সম্মেলনের অংশগ্রহন করে এবং এরা সবাই ভোটার। তারা যাদেরকে নিয়ে একবোরে ১০০% মুসলিম নিয়মানুযায়ী যে সরকার ব্যবস্থা কল্পনা করে যাকে বলা হয় হেফাজতের সরকারব্যবস্থা। (যারা কিনা দেখতে ফেরেশতাদের মতো আর যারা কিনা প্রকাশ্য দিবালোকে কোন খারাপ কাজ করে না)। বলতে গেলে সকল ধরনের মুসলিমদের নিয়ে একটি আলাদা মুসলিম দেশের সরকারব্যবস্থা (২০১৫ সালে হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী বাংলাদেশ একটি মুসলিম দেশ)।

একটি সঠিক সরকার ব্যবস্থা আমাদের দেশের এই বিশাল ইন্টারনেট কর্মীবাহিণীকে গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, আর্থিক সব ধরনের সহযোগিতা এমনকি প্রেমিকার ভালোবাসা সহ যে সকল ফ্রি ল্যান্সার রা সামনে আগাতে চাইবে তাদেরকে ১০০% সহযোগিতা করা। আর এই সঠিক ভাবে সহযোগিতার মাধ্যমে এই দেশের অগ্রযাত্রা কে মানবিকতার কাতারে আনা যাবে। শুধু রোড ঘাট কালভার্ট ব্রিজ ফ্লাইওভার (এই দেশে কেউ বেড়াতে আসবে না বোধ করি। বাংলাদেশের মানুষের হাতে অখন্ড সময়।) (এই বিশাল করোনা পরিস্থিতিতে বাংলোদেশের ছয় কোটি গরীব  (দিন আনে দিন খায়) মানুষকে একটি মাসের জণ্য হলেও জনপ্রতি ৫০০০ টাকা হারে ৩০০০০ কোটি টাকা প্রদান ও করে নাই এদেশের সরকার। অথচ পেপার পত্রিকা অনুযায়ী সমানেই অনুমোদন দিয়ে যাইতাছে ইট বালূ রোড ঘাট সিমেন্টের কাজ কারবারকে) এমন  এই সকল ব্যাপারে উন্নয়ন না করে সারা দেশের মানুষকে প্রতি বেলা খাবার নিশ্চিত করা, ফ্রি ওষুধ , ফ্রি বাসস্থান (সকল ধরনের ভ্যাট, ট্যাক্স আয়কর মুক্ত দেশ গঠনে সাহায্য করা) সকল ধরনের চোর বাটপার দুর্নীতিবাজমক্ত দেশ তৈরী করে এই বিশাল ইন্টারনেট কর্মী বাহিণীকে কাজে লাগানো যাবে। এরা এই দেশের সম্পদ। সব দেশের সব মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে না। আর নয়তো দেখা যাবে একদিন হঠাৎ করে বাংলাদেশের ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে গেছে কারন যে ধরনের কাজ কারবার বর্তমানে ইন্টারনেটে চলতাছে তার সবই আমেরিকান আইন বিরোধী। আর ইন্টারনেট সদূর ১০-১৩হাজার কিলোমিটার দূরের যুক্তরাষ্ট্র থেকেই আসে - সো তাদের নিয়ম কানুন গুলো ১০০% পালন না করলে সমূহ বিপদ।

(সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত)

No comments:

Post a Comment

Thanks for your comment. After review it will be publish on our website.

#masudbcl