Translate

Saturday, October 10, 2020

ইউটিউবে ফ্রি ল্যান্স/মার্কেটপ্লেস/আউটসোর্সিং রিলেটেড প্রতারনার জাল থেকে সাবধান বা সতর্ক থাকা।

সারা ভারতবর্ষে যতো বাঙালী ছেলে বা মেয়ে আছে - প্রত্যেকেই ইন্টারনটে ব্যবহার করতে চায়, দামী টাচ ফোন ব্যবহার করতে চায় এবং প্রত্যেকেই চায় ইন্টারনেট থেকে কিছু না কিছূ ডলার/ইউরো/পাউন্ড উপার্জন করতে। আবার অনেকেই শেখার জন্য আসে ইউটিউবে। সেখান থেকে ফ্রি ভিডিও দেখে কোন না কোন কাজ শিখে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ডলার উপার্জন করতে চায় সকলেই- যাকে বলে ফ্রি ল্যান্সার হওয়া বা মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে চাওয়া বা সেখান থেকে ডলার/ইউরো/পাউন্ড উপার্জন করা্। একটা অলিখিত এবং অপ্রকাশিত সূত্র বা তথ্য থেকে একবার জেনেছিলাম যে- আমাদের আশে পাশের ভারতের ৭টা অংগরাজ্য এবং বাংলাদেশ মিলে প্রায় ৮টা রাষ্ট্রে ২ কোটি মানুষ ইন্টারনটে ডলার/ইউরো/পাউন্ড উপার্জনের আশাতে চেষ্টা করে যাইতাছে বা প্রতিনিয়ত চেষ্টা করতাছে বা প্রতিনিয়ত উপার্জন করে যাইতাছে। এই বিশাল স্কোপ টাই গ্রহন করেছে যতো ধরনের চিটার বা বাটপার আছে তারা - একই সাথে যারা অনেকটা বাংলা বিরোধী মাউন্ডের তারাও- আবার যারা ভারতীয় বাংগালীদের কে হিন্দু বলে ঘৃনা করে তারাও । এই সুযোগ তারা ইউটিউবে বাংলা ভাষাতে বিভিন্ন ধরনের ফাদ পেতে বসেছে। তারা একেকটা ভিডিও বানাইতাছে যেখানে কিছু চুম্বক অংশ দিয়ে বাকীটা তাদের কাছ থেকে কিনে নিতে বলে। একটা ছেলে বা মেয়ে যারা ছাত্র বা ছাত্রী - বাবা বা  মায়ের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাদের নিত্যদিন চলে সেই ছেলেটার কাছে যদি এইরকম লোভ দেখানো হয় ২/৩ টা ফ্রি ভিডিও দিয়ে- তারপরে সেই ছেলে বা মেয়েটা সেই বয়সে কোথা থেকে টাকাটা ম্যানেজ করবে যদি তাকে ইউটিউবে কোন কোর্স শেখানোর প্রস্তাব দেয়া হয় আর তারা সেটা আমলেও নেয়। আসুন উপায়গুলো বিবেচনা করে দেখি:  

১) প্রথমেই সে (যারা ছাত্র) বাবা মা বা ভাই বোন কারো কাছে হাত পাতবে এবং যদি সেটা প্রতারনার ফাদ হয় তাহলে পরিবারের মুরব্বীরা ইন্টারনেটে ঢুকার আগেই একটা বাধার সম্মুক্ষীন হয়ে গেলো। তারা পরিবারের ছোট ছোট ছেলে বা মেয়েদের আবদার রক্ষার জন্য হয়তো বা টাকা বা পয়সা দিবে কিন্তু পরে সেটা আবার গলার কাটাও হয়ে দাড়াবে আর নিজেরাও ইন্টারনেটের প্রতি অনীহা বোধ করেবে। 

২) দ্বিতীয়ত: যারা গরীব তারা ইউটিএব দেখা ভিডিও এর পরের অংশের কোর্স গুলো কেনার জন্য সন্ত্রাস বা চাদাবাজিতে লিপ্ত হবে এবং টাকা পয়সা যেভাবেই পারে ম্যানেজ করার চেষ্টা করবে। একেবারে গরীব ঘরের মেয়েটি হয়তো বা দেহ ব্যবসাতে লিপ্ত হবাতেও দ্বিধাবোধ করবে না। বিনা কারনে সারা বাংলার সহজ সরল সাধারন বাংগালীদের মনে ইন্টারনেট এর ব্যাপারে একটা বিরুপ প্রতিক্রিয়া তৈরী করবে যা সামাজিক ভাবে এক ধরনের বিশৃংখলারও তৈরী করবে। 

৩) আপনি যদি শিক্ষিত বাংগালী হয়ে থাকেন তাহলে একবার ভেবে দেখেন তো যারা ইন্টারনেটে ইউটিউবে ভিডিও তৈরী করে কোটি টাকা বানাবার স্বপ্ন দেখায় মার্কেটপ্লেস থেকে কাজ করে উপার্জন করার স্বপ্ন দেখায় তারা কেমনতর ফ্রিল্যান্সার?  ভারত সরকার বা বাংলাদেশ সরকার তো আর লিখিতভাবে অনুমতি দিয়ে বলে নাই যে- তোমরা ইন্টারনেটে যাইয়া কোর্স সেল করে বেড়াও। ইন্টারনেট টাও ঘাটাঘাটি যারা করে বা যারা রুচি সম্মত - শৌখিনতা থেকে যারা ইন্টারনটে টা ব্যবহার করে তারা তো ইউটিউবে ঢুকেই নাক সিটকাবে। অথচ ইউটিউবের মালিক হয়তো গুগল ইনকরপোরেশন বা বর্তমানে পেপাল ইনকরপোরেশন যারা কোন কারন ছাড়াই এই এলাকাতে তাদের সেবা মূলক ব্যবসার লস খেয়ে গেলো। 

ইউটিউব ব্যবহার করতে তো আর টাকা লাগে না, শুধু এমবি লাগে । ইউটিউবের ব্যবসা বলতে যতো মানুষ ইউটিউব দেখবে ততো মানুষের কাছে তারা এড দেখাতে পারবে। যতো মানুষের কাছে ইউটিউব তাদের  ব্যবসায়ীদের এড দেখাতে পারবে ততো ই তারা উপকৃত হবে কারন যারা প্রোডাক্ট ব্রান্ডিং করে সেখানে ভারতীয় বা বাংলাদেশী বাংগালীরা প্রোডাক্ট টা কিনবে না কিন্তু তারা প্রোডাক্টের নামটা উচ্চারন করবে বা এই প্রোডাক্টের ডিটেইলসটা নিয়ে ঘাটাঘাটি করবে। সেটা তখন সারা বিশ্বে বাংগালীদের কাছে জানাজানি হবে এবং অনেকেই প্রোডাক্টের নামটা জেনে নিজেও কিনবে বা কিনে পরিবারের কাছে কুরিয়ার আকারে পাঠাতে দ্বিধাবোধ করবে না। এখন যদি আপনি কোর্স  সেল করার কথা বলে ইউটিউবে প্রতারনার জাল বিছিয়ে রাখেন যেখানে যাইয়া ছাত্র ছাত্রীরা  পুরোপুরি উপকৃত না হয়ে হয়তো ঝামেলায় পড়ে যাবে তখন সেটা কে সামাল দিবে? 

অল্প বয়সী কোন ছেলে বা মেয়ে যদি ইউটিউবে কোন একটা ভিডিও দেখে এবং বাকীটা কেনার জন্য টাকা ম্যানেজ সংক্রান্ত ঝামেলায় পড়ে যায় আর তার পরে যদি সে  পুরো ভিডিওটা দেখার পরে প্রতারিত হয় তাহলে সেই ছেলে বা মেয়েটার মানসিক অবস্থা কি দাড়াতে পারে? সে তো আর পরিনত বয়ষ্ক না। তখন তার পড়াশোনাটা হবে কি করে? হঠাৎ করে দুই বাংলায় এই সোশাল মিডিয়া গুলোতে ইন্টারনেটে কোর্স করা বা ফ্রিল্যান্সার হওয়া বা মার্কেটপ্লেস ওয়ার্কার হওয়া বা কোটিপতি হয়ে যাওয়া রিলেটেড যে হাত পাতা টেকনোলজী শুরু হয়েছে এইটা ঠিক কারা এপরুভাল দিলো তা ঠিক বোধগম্য হইতাছে না। এর ফলে যদি দুই বাংলার ইন্টারনেট  টা ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে তার দায় কে নেবে? শুধূ শুধূ ভবিষ্যত প্রজন্ম কে ঠকানোর জন্য আমরা যে পন্থা চোখের সামনে দেখতাছি তা থেকে সকলকে সাবধান হওয়া দরকার।

ষ্টাডি করে দেখেছি এগুলো ৯০% ই ফেইক। আর শতকরা ১০% অনেষ্টলি ভালো ভাবে কিছু দেবার চেষ্টা করে যাইতাছে। আপনি জিজ্ঞাসা করে দেখতে পারেন যে কোনো ইউটিউব ফ্রি সার্ভিস দিতাছে বাংলাদেশে- কারন ইউটিউবের একজন ভিজিটরের কাছ থেকে ইউটিউব অনেক কিছু পেয়ে থাকে - তার জিমেইল ডিটেইলস, তার ইউটিউব একাউন্ট ডিটেইলস, ইউটিউবের অল ইউজার পলিসি, ইউটিউবের কুকিজ, কোন কোন ভিডিও দেখেছে তার হিষ্টোরি, কি কি ডিভাইস ব্যবহার করতাছে , কে কোন ব্রাউজার দিয়ে ব্যবহার করতাছে এবং কে কোন লোকেশন থেকে কোন মানের ভিডিও দেখতাছে- সেই তথ্য বা পলিসির উপরে ডিপেন্ডস করে বা ডাটাবেজের উপরে ডিপেন্ডস করে এবং আরো অনেক ফ্যাক্টর কে এনালাইস করে ইউটিউবের ব্যবসায়িক পলিসি তৈরী হয়। ইউরোপে বা আমেরিকাতে যারা কোর্স সেল করে সামাজিক ভাবে তাদের অনুমতি দেয়া আছে বা তাদের নাগরিকত্বের জোড়েও তারা সে কাজ করে থাকতে পারে। পরিবর্তিত বিশ্বে তারা অনুমতি নিয়ে খুবই ভালো মানের কোয়ালিটি কোর্স অনলাইনে সেল করে থাকে। এব্যাপারে তাদের দেশের সরকার তাদেরকে অনুমতি দেয় এবং তারা যে মেথডে পেমেন্ট রিসিভ করে থাকে সে মেথড টা তাদের দেশের সরকার জানে এবং প্রয়োজেন ভেরিফাইও করে নিতে পারে যে কে কখন কোন জায়গা থেকে পেমেন্ট দিয়ে কোর্স কিনতাছে কারন তাদের পার হেড আই পি বেজড ট্রানজেকশন নাম্বার জেনারেট হয় যেখান থেকে লোকেট করে জানা যায় একজন কোর্স সেলার কতো টাকা উপার্জন করলো। কিন্তু এ ব্যাপারে আমাদের দেশে যারা কোর্স সেল করতাছে তারা মার্কেটিং করতাছে গোপনে আর টাকা রিসিভ করতাছে সেন্ড মানি মেথডে (ব্যাংক এবং বিকাশ/রকেট বা এরকম আরো কিছু মোবাইল মানি ব্যাংকিং সার্ভিসের মাধ্যমে) আর মুখে বলতাছে সেন্ড মানির কোন হিসাব নাই। এইখানে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। কারন তারা যদি সরকার নির্ধারিত উপায়ে ইন্টারনেটে কোর্স সেল করতো তাহলে সরকারের আইন কানুন অনুযায়ী তারা মার্চেন্ট সার্ভিস (ব্যাংক এবং বিকাশ/রকেট বা এরকম আরো কিছু মোবাইল মানি ব্যাংকিং সার্ভিসে মার্চেন্ট সুবিধা আছে) ব্যবহার করতো যার মাধ্যমে তারা পেমেন্ট নিতো- যেখানে সরকার খুব ভালো করে ওয়াকবিহাল হতে পারতো যে- কে কখন কোন খান থেকে কোর্সটা কিনতাছে আর কতো টাকাতে কোন কোর্স সেল হইতাছে আর সরকারের কতো টাকা আয় হইতাছে। একটা দায়বদ্ধতার জায়গা থাকার কারনে বা দায়বদ্বতা তৈরী হবার কারনে যারা ইন্টারনেটে কোর্স সেল করতাছে তাদের কোর্সের কোয়ালিটি অনকে হাই ফাই হতো। ফলে মানুষজনের বিরাট উপকার হতো। আর আপনার যদি তারপরেও বিরক্ত লাগে তাহলে বাংলাদেশের সরকারের কাছ থেকে ফ্রি হোষ্টিং, একটা ডোমেইন কিনে আর ওয়েবসাইট ডিজাইন করে, অনুমতি  নিয়ে আপনারা নিজেরা একটা নতুন টিউব লিংক খুলে নেন যার নাম হইতে পারে এরকম : বাংলা টিউব যেখানে শুধু কোটিপাতি হবার কোর্স গুলো ই দেয়া থাকবে আর আপনারা ও একবারে  সরকারি অনুমতি নিয়ে চিটারি/বাটপারি/দুই নাম্বার গিরি করতে পারবেন। চিটার ল্যান্সার, বাটপার ল্যান্সার, ভূয়া ল্যান্সার, দুই নম্বর ল্যান্সার এ শব্দগেুলো ও কিন্তু এই গ্রাউন্ডে উচ্চারিত শব্দ। 


 (চলবে) 

 

No comments:

Post a Comment

Thanks for your comment. After review it will be publish on our website.

#masudbcl