Translate

Monday, October 26, 2020

এডভার্টাইজিং সেকসানে ইউটিউব মনিটাইজেশনে বাংলাদেশ নাই এখন আর।




সম্প্রতি ইউটিউবের মনিটাইজশন সেকসানে আর বাংলাদেশ কে তাদের অপারেশনাল দেশ হিসাবে দেখাইতাছে না। এডভার্টাইজারদের কে ও নিষেধ করে দিতাছে গুগল যেনো তাদের তালিকাতে নাই এরকম কোন দেশে তারা তাদের পন্য প্রদর্শন না করে। এর পরেও যদি বাংলাদেশের ইউটিউব মনিটাইজার রা বাংলাদেশের লোকেশন পরিবর্তন করে তাদের ইউটিউব চ্যানেলে আর যদি সেখানে এড প্রদর্শন করে এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে রেমিটেন্স লেনাদেনা করে তাহলে কি সেই উপার্জন টা বৈধ হবে? এর জন্য ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ব্যাংকের যদি কোন ক্ষতি হয়। ভবিষ্যতে যদি ইউটিউব আবার সেই রেমিটেন্স ফেরত চায়- এখন হয়তো তারা কিছু বলতাছে না কিন্তু একটা পর্যায়ে বলে বসতে পারে। ম্যাক্সিমাম বাংলাদেশের ছেলে বা মেয়েরা তাদের পারসোনাল ইউটিউব চ্যানেলে লোকেশনে ইন্ডিয়া ব্যবহার করতাছে এবং তারা তাদের ইউটিউব ভিডিওতে এড ও প্রদর্শন করতাছে এবং তারা হয়তো তাদের পেমেন্ট ও বাংলাদেশ সরকারের মাধ্যমে রিসিভ করতাছে কিন্তু ব্যাপারটা কি ১০০% বৈধ হইতাছে কিনা সেটাই প্রশ্ন?  একসময় গুগল জানতে পারবে যে : ডিভাইস গুলো যেগুলো থেকে ভিডিও আপলোড করা হয় সেগুলো বাংলাদেশে আছে। একসময় হয়তো তারা বাংলাদেশ কে বড় আকারের জরিমানা ধরতে পারে বলতে গেলে কয়েক বিলিয়ন ডলারও জরিমানা ধরতে পারে। কারন তাদের তারিকাতে নিষেধ আছে। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বড় আকারের বিপদেও পড়তে পারে বড় আকারের জরিমানা ধররে। একসময় পেপাল ডট কমের উপার্জন কে অনেকেই খারাপ বলতো। অনেকেই বলতো পেপালের পারসোনাল সেকসানে বাংলাদেশ নাই।  আমি মনে করি বাংলাদেশের এপিআই না থাকার কারনে পেপালের পারসোনাল সেকসানে বাংলাদেশ দেখায় না। তাছাড়াও :
  • পেপালের ওয়েবসাইট সাধারনভাবেই বাংলাদেশে ওপেন হয়। 
  • পেপালের সারা বিশ্বে বিজনেস লিষ্টিং এ বাংলাদেশ দেয়া আছে। 
  • পেপালের যে কোন দেশর বিজনেস সেকসান ব্যাবহার করে বাংলাদেশের ছেলে বা মেয়েরা বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র, ক্রেডিট কার্ড কে ভেরিফাই করে মধ্যবর্তী অন্য এক দেশের ব্যাংক কে ব্যবহার করে বাংলাদেশে তাদের রেমিটেন্স এড করে থাকে। যেমন: পেপাল জুম বা পেপাল বিজনেস বা পেপাল মার্চেন্ট সেকসান বা ব্যাংক এশিয়া। 
  • পেপালের সাথে সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংকের কোন লেনাদেনা নাই। 
  • পেপাল পারস্পরিক সেন্ড মানি করতে পারে একজন আরেকজনকে। 
  • পেপালের রেমিটেন্স এখণ ব্যাংক এশিয়াতে এড করা যায়। 
কিন্তু ইউটিউব মনিটাইজেশনে তো এখন আর বাংলাদেশের নাম দেখাইতাছে না। পেপালের বিজনেস সেকসানে তো বাংলাদেশের নাম দেখায়। তো এখণ কি ইউটিউব মনিটাইজেশন টা বৈধ হলো। গুগলের বর্তমান সিইও একজন ভারতীয়। বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে দেখলাম : সবাই ইন্ডিয়ার নাম দিয়ে গুগলের ইউটিউব মনিটাইজশেন ভেরিফিকেশন করতাছে। এমনিতে তো দেখি ভারত কে বাংলাদেশীরা অনেক সময় মারাত্মক ঘৃনা করে। এখন যে ইউটিউব মনিটাইজেশনে ভারতীয় লোকেশণ ব্যবহার করতাছে- এখন কি তাদের নাক সিটকানো হয় না। যদিও আমি বিশ্বাস করি: ভাষার ভিত্তিতে তৈরী হয়েছে সারা বিশ্ব। শুধু বাংলাদেশ এবং ভারত আর স্পেন এবং কাটালুনিয়া এই ২ টা জায়গাতেই গ্যানজাম রয়ে গেছে। বুকের ভেতরের আগুন ছাই দিয়ে ঢেকে রাখার মতোন। ভারতীয় রাও বাংগালী এবং তারাও বাংলা ভাষায় কথা বলে। কিন্তু সমস্যা রয়ে গেছে অন্যখানে। যদি ভারতীয় সরকার টের পায় এবং আপত্তি করে।

একটা কম্পিউটার/ল্যাপটপ/পামটপ/এনড্রয়েড এবং আইফোন যে ডিভাইস ই আপনি ব্যবহার করেন না কেনো- পৃথিবীতে প্রত্যেকটা ডিভাইসের একটা আইএমইআই নাম্বার থাকে। প্রত্যেকটা ডিভাইসের একটা নিজস্ব মেশিণ ল্যাংগুয়েজ থাকে। যখনি আপনি কোন ডিভাইসে ইন্টারনেট কানেকশন করবেন তখণ ইন্টারনেটে এক মিলি সেকেন্ডর মধ্যে প্রথম যে জিনিস গুলো রেকর্ড  করবে তা হইতাছে বিভিন্ন ডিভাইস বা মেশিনারি যন্ত্রপাতির আইএমইআই নাম্বার যা দ্বারা ইন্টারনেট অথরিটি বুঝতে পারবে যে ডিভাইস টা কোথায় আছে। তাছাড়া লোকেশন অন থেড তো আছেই।  মেশিনারি ল্যাংগুয়েজ চালু হবার আগেই সেখানে বিট বাইট বাইনারী ল্যাংগুয়েজ রান হবে এবং মেশিনারি ল্যাংগুয়েজ রান হবার পরে সেখানে অপারেটিং সিষ্টেম বা সফটওয়্যার রান করা হবে। যার ফলে পৃথিবীখ্যাত মাইক্রোসফট বা যে কোন অপারেটিং সিষ্টেমের সার্ভার সহজেই জানে যে- কে কখন কোন খানে বসে থেকে কোন ডিভাইস ব্যবহার করতাছে। উপরন্তু এদের প্রত্যেকের নিজস্ব স্যাটেলাইট সিষ্টেম আছে যেখান থেকেও বোধ করি তাদের ডিভাইসের লোকেশন এবং মেশিন রিডেবল ল্যাংগুয়েজের মাধ্যমে জানতে পারে কখন কোন খানে কানে ডিভাইসটা ব্যবহৃত হইতাছে বা তাদের অনেক ধরনের ডাটাবেজ আছে যেখানে ডিভাইস লোকেশন রেকর্ড হয় ইন্টারনেট ব্যবহার করার কারনে। সে কারনে গুগলের মতো ইনকরপোরেশন সহজেই জানে যে বাংলাদেশী রা কে কখন কোন খানে বসে কোন জিমেইলের মাধ্যমে কোন ইউটিউব একাউন্ট ওপেন করেছে এবং কোন ইউটিউবে কোন ভিডিও কোন লোকেশন থেকে আপলোড হইতাছে। ঠিক একই পদ্বতি ব্যবহার করে মেশিনারি ল্যাংগুয়েজের মাধ্যমে অনেকেই জানে যে- হ্যাকার রা কে কখন কোথায় আছে। অপারেটিং সিষ্টেমের সাথে ব্যবসায়িক লেনাদেনা এবং আমেরিকান আইনে নাক গলানোর নিয়ম নাই বিধায় মেশিনারি ল্যাংগুয়েজ যারা কন্ট্রোল করে তারা কখনো স্বেচ্চায় প্রকাশ করবে না যে কোন ট্রাবল বা কোন হ্যাকার কখন কোথায় অবস্থান করতাছে । সামাজিক বা রাজনৈতিক কারনে যে কোন দেশের যে কোন ওয়েবসাইট আপনি হ্যাক করে জবাব দিতে পারেন কিন্তু স্পর্শকাতর ওয়েবসাইটে যদি হ্যাকার রা হ্যাক করে থাকে (যেমন: ব্যাংক বা প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়) তাহলে তো লোকেশন আইডেন্টিফাই এর মাধ্যমে তারা জানতে পারবে যে কে কখন কোথা থেকে হ্যাক করতাছে আর সেভাবেই তারা আক্রমন ও চালাতে পারে। 

বোঝা গেলো - হ্যাকার রা একেবারে ধরা ছোয়ার বাহিরে না। তারা কখন কোথায় কি করতাছে তা সিষ্টেম ল্যাংগুয়েজ জানে, মেশিন ল্যাংগুয়েজ জানে এমনকি যারা সারা বিশ্বে তাদের অপারেটিং সিষ্টেম চালায় বা যারা অপারেটিং সিষ্টেম বানাইছে , ডিভাইসের হার্ডওয়্যার বা সফটওয়্যার ল্যাংগুয়েজ যারা বানাইছে তারা জানে কিন্তু তাদের অপারেটিং সিষ্টেম বা সফটওয়্যার সিষ্টেমের ব্যবসায়িক কারনে  তারা প্রকাশ করবে না কারন এতে করে তাদের ব্যবসায়িক লস হতে পারে। তবে যেহেতু সকল যন্ত্রাংশ ই আমেরিকান ষ্ট্রাকচারে তৈরী করা হয় আর এফবিআইও বাংলাদেশের ব্যাংকের হ্যাকারদের তথ্য অনুসন্ধানে আছে তাই এ ব্যাপারে বলে দেয়া যায় যে- মেশিনারি ল্যাংগুয়েজের কারনে  তারা সবই জানে এবং সম্ভবত সব কিছু ও জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট মহলে। স্বার্থের কারনে বোধ করি প্রকাশ করে নাই। এফবিআই এর হাতে কোন মামলা গেছে আর তার সুরাহা হয় নাই- এইটা এই বিশ্বের কেউ বিশ্বাস করবে না। 

তাই ইউটিউবের পারেসোনাল একাউন্টের  ডিভাইস লোকেশন যে খুব সহজে গুগল জানে সেটা সব প্রোগ্রামাররাই জানে। তো যে কোন সময়ে যে কোন দেশ যদি বাংলাদেশের বিরুদ্বে এই ব্যাপারে ঝামেলা করতে পারে (কারন মনিটাইজেশন এক্টিভেট রাখার জন্য যাদের আগে ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন ছিলো তারা একেকসময়ে একেকদেশের লোকেশন ব্যবহার করতাছে এখণ। কেউ কেউ আবার বাংলাদেশে বসে থেকে লোকেশন ব্যবহার করতাছে ইউএসএ।)  তাহলে তার ব্যাপারে আগে থেকেই প্রিপারেশন নিয়ে রাখা দরকার। কারন এই সকল ব্যাপারে গুগল হয়তো পলিসি করে বা ইচ্ছা করে আরো পরে জানাবে কারন তারা আইন প্রয়োগ করেছে বা তারা প্রকাশ করেছে যে বাংলাদেশে এখন আর গুগলের ইউটিউবের মনিটাইজশেন চালু নাই। তো তাদের লিষ্টে নাম দেখাইতাছে না আর বাংলাদেশ। তো আমাদের ও সেই লিষ্টিং টা মেনে চলা উচিত। কারন গুগল বলেছে বাংলাদেশ আর নাই। তো আমাদেরও সেই আইন মেনে চলা উচিত। আমি যদি - সেই আইন না মেনে গুগল কে ফাকি দিয়ে একাউন্ট লোকেশন যদি অন্য আরেক দেশ দেখাই তারপরেও কিন্তু আমাদের দেশ তাদের ডিভাইস লোকেশনে দেখাবে কারন আমাদের ডিভাইস গুলো বাংলাদেশের ইন্টারনেট ব্যবহার করতাছে- আর ডিভাইস গুলোর লোকশেন কিন্তু বাংলাদেশ দেখাইতাছে। সারা বিশ্ব কে সত বানানোর প্রধান উপায় হইতাছে নিজে সত হয়ে যাওয়া যাকে বলে - “নিজে ভালো তো জগত ভালো।” নিজে ভালো না হইলে জগতের কাউরে ভালো লাগবে না। 

হ্যাকারদের বিরুদ্বে বাংলাদেশ সরকারের আইন আছে। যে কোন ধরনের হ্যাকারদের বিরুদ্বে বাংলাদেশ দন্ডবিধির কঠিন শাস্তির ব্যবস্থার আইন দেখেছি : ২০১১ সালে। মিনিমাম শাস্তি ৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ড। পত্রিকা দেখে জেনে নিতে পারেন। তাই হ্যাক করা বাদ দিয়ে একদম ১০০% সততার সহিত ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। প্রয়োজেন বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রীয় তথ্য খাত বা রাস্ট্রীয় রিজার্ভে যদি কারো হাত দেবার প্রমান বের হয় তবে তার ফাসি বা ক্রসফায়ার চাইতে  সারা বাংলার মানুষেরা কখনো দ্বিধাবোধ করবে না। বাংলার মানুষ এমনিতেই বহুত প্যারার মধ্যে আছে। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি সহ নানাবিধ ঝামেলা বাংলাদেশের মানুষকে অনেক কষ্ট দিতাছে। প্রয়োজন সুষ্ট সুরাহা। হ্যাকারদের কে শুধূ একটি জিনিস ই জানানো হয়- তারা শুধূ দেখবে (যাদের হ্যাকিং নলেজ আছে) যে একটা দেশের রাষ্ট্রীয়  সিষ্টেম কোন ভাবে হ্যাক হতে পারে কিনা, সে ব্যাপারে সাহায্য করার জণ্য প্রোগ্রামারদের অনুরোধ করা হয় সারা বিশ্বে। 

বর্তমানে যারা ইউটিউব চ্যানেলে লোকেশন পরিবর্তন করে ইউটিউব মনিটাইজেশন চালু রেখেছে এবং বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে মাসিক পেমেন্ট ও নিতাছে তাদেরকে এক ধরনের হ্যাকার বলা যাইতে পারে কারন তারা তাদের একাউন্টে সঠিক লোকেশন ব্যবহার করতোছে না। তারা ইউটিউব ডিভাইস একাউন্ট লোকেশণ হ্যাকার। তাদেরও বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় আইনে বিচার হওয়া উচিত। 

৩টা প্রোগ্রামের সমন্বয়ে চলে কম্পিউটার। 

  • বাইনারী ল্যাংগুয়েজ (০ এবং ১ এর সমন্বয়ে)। 
  • মেশিন ল্যাংগুয়েজ - হার্ডওয়্যার গুলোর ভেতরে সমন্বয় সাধন করার জন্য একটি হার্ডওয়্যারের সাথে আরেকিট হার্ডওয়্যারের পারস্পরিক যে যোগাযোগ বা সংকেত বিনিময় তাকে মেশিনারি ল্যাংগুয়েজ বলে যেখানে কিছেু স্পেসিফিক প্রোগ্রামিং আছে। যাদের মূল কাজ হলো বাইনারি ল্যাংগুয়েজের প্রোগ্রামকে সংগ্রহ করে প্রসেসিং করা এবং সেটাকে অপারেটিং সিষ্টেম এর কাছে হস্তান্তর করা। 
  • অপারেটিং সিষ্টেম নিজে বা বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যারের সাহায্য নিয়ে বা রান করে কম্পিউটারের বাকী প্রোগ্রামগুলো কমিপ্লট করে যাকে সিষ্টেম সফটওয়্যার নামেও অভিহিত করা হয়।
সৌভাগ্যক্রমে ০৩ ধরনের ল্যাংগুয়েজ বা প্রোগ্রামিং কোডিং করার বা জানার সৌভাগ্য আমার হয়েছিলো ১৯৯৩-২০০৬ পর্যন্ত। আমার লেখার এ পর্যন্ত আইসা ইউটিউবার দের মন খারাপ। মন খারাপ হবার কিছু নাই কারন ইউটিউব রেভিনিউ শেয়ার প্রোগ্রামের চেয়েও দামী প্রোগ্রাম এখন আপনার চোখের সামনে। সেটা হলো: MCN- Multi Channel Network. এই প্রোগ্রামে বাংলাদেশ এভেইলেবল। রেটিও: ৬০:৪০ 




Note: Blogger Copyright Law activated with this post.

  
  

 

No comments:

Post a Comment

Thanks for your comment. After review it will be publish on our website.

#masudbcl