Translate

Tuesday, October 6, 2020

বিভিন্ন ধরনের ফ্রি ল্যান্সার। টাকা ল্যান্সার।

বিভিন্ন ধরনের ফ্রি ল্যান্সিং নিয়ে কথা বলতেছিলাম। আজকে বলবো টাকা ল্যান্সার নিয়ে। প্রথমেই এদের জন্য দু:খ প্রকাশ। কারন তারা ফ্রিল্যান্সার/মার্কেটপ্লেস/আউটসোর্সিং  সম্বন্ধে পুরেপুরি না জেনেই ইন্টারনেটে টাকা ইনকামের জন্য লেগে যায়। তারা বিভিন্ন ধরনের সোশাল মিডিয়া ওয়েবসাইট ব্যবহার করে সবার কাছে ইন্টারনেট ট্রেনিং নেবার জন্য শর্ট ম্যাসেজ সেন্ড করে যেটাকে এক ধরনের স্পামিং ও বলা হয়। স্পার্ম এবং স্পাম বা স্প্যাম শব্দ দুটোর মধ্যে পার্থক্য আছে। Sperm বলা হয় মানব জাতির যৌন উত্তেজনা থেকে নির্গত বীর্য রসকে (যেখানে সৃষ্টিকর্তা বাচ্চা হআর জন্য সমস্ত উপকরন দিয়ে রেখেছেন) আর স্পাম বা স্প্যাম বলা হয় বিরক্ত করাকে বা আননোওন কোন কিছু রিসিভ করাকে। যেমন ধরেন আপনি জিমেইল ব্যবহার করেন সবসময়। এখন আপনি এমন একটা ইমেইল এড্রস পাইলেন যেখানে সেই ইমেইলের সার্ভার টা জিমেইলের কাছে পরিচিত না। সেখানে আপনি ইমেইল সেন্ড করলেন - অপর দিকে সেটা পাইলো।  এখন অপর দিকের পারসন সেই মেইল রিপ্লাই করলো এবং সেটা আপনার জিমেইল  এর ইনবক্সে না এসে স্পামে চলে গেলো।  সেই ইমেইলেল যে সার্ভার (সেন্ডিং সার্ভার)  স্পাম ফোল্ডার বা স্প্যাম ফোল্ডার এ  যে  ইমেইল আসবে সেটাকে জিমেইল তার নিজস্ব পলিসি অনুযায়ী রিস্ক থ্রেড কাউন্ট করবে কিন্তু যে পারসনটা আপনাকে ইমেইর সেন্ড করেছে সে আপনার পরিচিত।  তাই একেক মেইল সার্ভারের পলিসি এককরকম হবার কারনে অনেক মেইল আছে যে স্পামে চলে যায়। জিমেইল তো আর আপনার বউ লাগে না যে - সে যাকে স্পাম বলবে তাকে এভয়েড করে চলতে হবে। অনেকে আবার স্পার্ম এবং স্পাম কে এক করে ফেলায়। সেরকম ইন্টারনটে বসে ফেসবুক ব্যবহার করতে শুরু করলে আপনরা কাছে অনেক সময় চটকদার বিজ্ঞাপন চলে আসে - অমুক কোচিং করেন বা তমুক ট্রেনিং করেন, অমুকের সিডি ভালো, অমুকের প্রক্সি সফটওয়্যার ভালো বা তার এই সেবা বা সার্ভিস টা ভালো- অমুক ট্রেনিং সেন্টারের এই কোচিং টা ভালো এই সকল বলে সমানেই মার্কেটিং করে যাইতাছে। আর তাদের প্রধান উদ্দেশ্য ই এইখানে যে কিভাবে টাকা কামানো যাবে। যদি একজনের কাছে একটি সিডি সেল করতে পারে তাহলে সে টাকা পাবে, যদি একজন নতুন ছাত্র ম্যানেজ করতে পারে তাহলে সে টাকা পাবে, যদি একজন নতুন অনলাইনে ট্রেনিং পারসন জোগাড় করতে পারে তাহলে সে টাকা পাবে। মাঝে মাঝে এমন এমন মেয়ে এই ধরনের ম্যাসেজ সেন্ড করে যে তারা যদি ক্যামেরার সামনে দাড় করাইয়া দেয়া যায় তাহলে সে মডেল হিসাবে নাম কামাতে পারতো। ২/১ জনকে জিজ্ঞাসা করলাম যে -কেনো তারা ইন্টারনেটে ডলারের চেষ্টা না করে টাকা কামানোর চেষ্টা করতাছে। বলতাছে ভাইয়া কোর্স  শেস করার পরে এই কাজে লাগাইয়া দিছে। তো আমি বললাম - তুমি দেখতে সুন্দরী। তাই তোমাকে ব্যবহার করতাছে যেনো আরো কিছু ছাত্র ছাত্রী ম্যানেজ করতে পারে। বলতাছে- হ্যা বোধ হয়। 

তো ইন্টারনেটে ফ্রি ল্যান্সার হবার জন্য যে সকল মেয়ে কোর্সে ভর্তি হয়েছে তাদেরকে কোর্স করানোর পরে মার্কেটপ্লেসে [যদিও বাংলাদেশের নিজস্ব কোন পপুলার মার্কেটপ্লেস নাই। ইদানীংকালে ২টা তৈরী হয়েছে এবং ভালোই নাম কামাইছে। ১) বিল্যান্সার ২) কাজকি ] এনরোল  না করিয়ে আরো ছাত্র বা ছাত্রী ম্যানেজ করার চেষ্টা করে যাইতাছে ঠিক যেমন: আগেকার দিনে কোচিং সেন্টারের ব্যবসা র মতোন। তো অনেকেই আবার মন দিয়ে এই কাজটাই করে যাইতাছে। তাদের কে আ্মরা অনকে সময় মজা করে টাকা ল্যান্সার নাম দিয়ে থাকি। কিন্তু ইন্টারনেটে এরকম অপ্রাসংগিক ভাবে ম্যাসেজ সেন্ড করাকে স্পামিং নামে অভিহিত করা হয়। বাংলাদেশে হয়তো স্পাম বিরোধী কোন আইন নাই - তাই অনর্গল ম্যাসেজ পাঠানো তে তারা কিছু মনে করে না।  তাদরেকে ফেসবুক ক্রমান্বয়ে একাউন্ট ডিএকটিভেট করে যাইতাছে আর তারা বার বার ই ফেসবুক একাউন্ট ওপেন করে এই সকল করে যাইতাছে। আবার অনেক সময় হয়তো হাফ লেডিস পদ্বতিও অনুসরন করতাছে। ছেলে হয়ে মেয়ে র আইডি খেুলে ইন্টারনেটে চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে যাইতাছে। ভেবে দেখেন টাকার জণ্য ইন্টারনেটে নিজের লিংগই  পরিবর্তন করে ফেলানোর দশা (যদিও ইন্টারনেটে অনেক দেশের এডাল্ট ওয়েব ক্যামেরা ওয়েবসাইট গুলেোতে দেখা যাইতাছে যে- ছেলে হয়ে থাকতে তাদের আর ভালো লাগতাছে না। তাই তারা দু:খে অনেক সময় অপারশেন করে জেন্ডার পরিবর্তন করে মেয়ে রুপ ধারন করার চেষ্টা করতাছে যাদেরকে শীমেল নামে ডাকা হয়। আমাদের দেশের ছেলে পেলেদের যদি এরকম কোন ব্যাপার হয় তাহলে তো আমাদের দেশের ধর্ম এবং আইন তা এলাও করবে না)।  অনেক সময় আগে রাস্তা ঘাটে দেখা যাইতো পুরুষ মানুষ হিজড়া হয়ে ঘুরতাছে। জিজ্ঞাসা করলে বলতো যে- টাকার অভাবে বা পেটের ক্ষুধার কারনে রাস্তা ঘাটে মেয়ে হয়ে ঘুরে বেড়াইতাছে। তো ইন্টারনেটে এসেছে আমেরিকার সিলিকন ভ্যালি থেকে - সেখানে বাংলাদেশের পোলাপান টাকার জণ্য হাফ লেডিস পদ্বতি অনুসরন করতাছে (ছেলে হয়ে মেয়ের নাম বা আইডি ব্যবহার করে কাজ করতাছে)- তো হঠাৎ করে যদি ইন্টােরনেট চলে যায় বা ২/১ দিন বন্ধ থাকে তখন কি ম্যান(মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক) তৈরী করে সেই রাস্তা ঘাটে ঘোরাফেরা করা হিজড়াদের মতো আচরন করবে - তখন কি তারা পুরোপুরি রাস্তা ঘাটে মেয়েদের শাড়ী পরে ঘুরবে। আগে থেকে সতর্ক থাকা উচিত। 

ইন্টারনেটে যারা টাকা খুজে বেড়ায় বা কোর্স সেল করে বা ট্রেনিং সেল করে তাদেরকে এই কথা বলি নাই। অনেকেই হয়তো ভাবতাছে সেটা সামাজকি দ্বায়িত্ব। কিন্তু সামাজিক দায়বদ্ধতায় আইনের অনুমতি লাগে। যেমন: ধরেন রাস্তাঘাটে অনেক গরীব মানুষ আছে। তাই দেখে যদি আমি বাসা থেকে সব টাকা পয়সা দিয়ে তাদেরকে দিয়ে আসি তাহলে তো আমাকে ফতুর হয়ে বসে থাকতে হবে। গরীবকেও সৃষ্টিকর্তা বানাইছে - ধনীকেও সৃষ্টিকর্তা বানাইছে। তো গরীব মানুষ তাদের চেষ্টা দ্বারা বড়লোক হতে পারে আর বড়লোকেরা বসে খাইলে রাজার ধনও ফুরাইয়া যাবে- তাই সকলকেই সমহারে চেষ্টা করতে হবে। লোকাল ল্যান্সার রা সেই হিসাবে অনেক ভালো কারন তাদের চেষ্টার কমতি নাই। লোকাল ল্যান্সার কে যদি আপনি মার্কেটপ্লেসের কাজ দেখান আর সামনে যদি লক্ষ টাকা দামের কাজও দেখান তাহলে সে মার্কেটপ্লেসের কাজেই বেছে নেবে। 


No comments:

Post a Comment

Thanks for your comment. After review it will be publish on our website.

#masudbcl