Translate

Tuesday, October 27, 2020

ফ্রিল্যান্সার/মার্কেটপ্লেস/আউটসোর্সিং জগতে পজিটিভ রিকমেনডশন বলতে কি বোঝেন?

 পজিটিভ রিকমেন্ডশন বলতে কোন ব্যাপারে আপনার পজিটিভ মনোভাব বোঝায়। এক লোক একদিন ঢাকা শহরে আমাকে বলতাছে ২০১৬ সালে যে ভাই- আগামী ৫ বছরে ঢাকা শহরের চেহারাই পাল্টে যাবে। আপনি আর ঢাকা শহরকে চিনতে পারবেন না। আমি যে কোন একটা কারনে ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে ময়মনসিংহে নিজের বাবার বাড়ীতে/বিল্ডিং এ আছি। তো আমি উত্তরে বললাম যে- ভাই ঢাকা শহরের চেহারা পাল্টে গেলে ও আমার কিছু করার নাই কারন আমি ইট পাথরের খাচাতে বন্দী ঢাকা শহরকে ভালোবাসি না- আমি ভালোবাসি ঢাকা শহরের আমার পরিচিত মানুষজনকে বা খেটে খাওয়া মানুষকে। আমার কাছে উন্নত দেশের নাগরিকত্বের ইনভাইটেশন (ইউরোপ/আমেরিকা) লেটার আছে। তো আমি প্রথম সুযোগেই চেষ্টা করবো বাংলাদেশ থেকে ফ্লাই করে চলে যাইতে- সে ক্ষেত্রে ঢাকা শহরকে আমি আর রিকমেন্ড করি না নিজের জন্য। তারপরেও যদি রাজধানী শহরে (নিজ মালিকানাধীন -দলিলসহ। তাছাড়া আমার রাজধানী শহরে নিজস্ব কোন সম্পদ ফ্ল্যাট/বাড়ি/বা প্লটের কোন দলির নাই । আমার বাবা  বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক [ Retired. Professor. Abul Hossain  বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে আর কোন প্রফেসর আবুল হোসেন নাই। একজনই ছিলেন উনি আমার শ্রদ্বেয় এবং সম্মানিত বাবা] বিধায় এক টুকরো জমি (৫ শতাংশ) আছে রাজউকের [ গৃহায়ন ও গনপূর্ত মন্ত্রনালয়, গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার]  ঝিলমিলে (কেরানীগন্জ) - তাও বাবার নামে দলিল করা যা কখনো পরিবর্তন করা যাবে না। দলিল ছাড়া নিশ্চয়ই কেউই বিশ্বের কোথাও কেউ কোন সম্পদ আছে বললে বিশ্বাস করবে না- বলবে যে আলবত পাগলের প্রলাপ) নিজস্ব ফ্ল্যাট বা বাড়ি বানাতে পারি তাহলে ভবিষ্যতে ভেবে দেখবো যে থাকতে পারি কিনা - কারন থাকার জণ্য আর ১০ জন শিক্ষিত লোকের মতো আমিও ইউরোপ আমেরিকার যে কোন শহরকে রিকমেন্ড করি নিজের জন্য। 

আজ পর্যন্ত- বাংলাদেশ সরকারকে শুনি নাই কখনো সারা দেশের সমস্ত মানুষকে একবেলা খাওয়াইতে। করোনাকালীন পরিস্থিতিতে দেখলাম; ৫৫ বছর ঢাকা শহরে বসবাস করার পরেও এক লোক চলে যাইতাছে সব কিছু হারিয়ে- আর বলতাছে আমি ঢাকা শহরকে ভালোবাসলেও ইট পাথরের ঢাকা শহর আমাকে ভালোবাসে নাই। তাই থাকা বা বসবাস করার জন্য এখন আর ঢাকা শহরকে রিকমেন্ড করি না। অনেকে হয়তো বলবেন- এইটা আপনি কি বললেন? আমি আসলে থাকার জন্য এখন আর ঢাকা শহরকে রেফারেন্স করি না। বড়জোড় রেফারেন্স ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট- বিমান যাত্রা যাওয়া বা আসা করা। আমার কাছে সারা বিশ্বের যতো বায়ার বা ক্লায়েণ্ট রাজধানীতে ইনভেস্ট কারার কথা জিজ্ঞাসা করে: আমরা তখন চুপ থাকি বা তাদেরকে অন্য কোন উন্নত দেশের দিকে বা আফ্রিকান গরীব দেশের দিকে ঘুরাইয়া দেবার চেষ্টা করি (কারন ঢাকাকে অনেক সময় পরিত্যক্ত মনে হয়) কারন আমি চাই না আমার বায়ার বা ক্লায়েন্ট বড় অংকের ডলার ইনভেস্ট করতে আইসা এইখানে শারিরীক ভাবে অসুস্থ হয়ে যাক বা মারা যাক।  আমার মতে : সামর্থ্য থাকলে গ্রামে যাইয়া বসবাস করা উচিত। এই ব্যাপারটাকে রিকমেন্ড বলা হয় বা আপনি চাইলে বলতে পারেন রেফারেন্স। এক হিসাবে দেখলাম : বাংলাদেশে ১৫ লক্ষ ফরেনার আছে। আমার মনে হয় কেউ একবার এখান থেকে বের হইলে আর ফেরত আসবে না একমাত্র আর্থিকভাবে যদি লাভবান না হয়।  [জাতীয় পরিচয়পত্র আইন কার্যকর করলে দেখবেন ঢাকা শহরের কতো লোকের জাতীয় পরিচয়পত্র নাই বা অবৈধ ভাবে বসবাস করতাছে]



ফ্রিল্যান্সার/মার্কেটপ্লেস/আউটসোর্সিং জগতে পজিটিভ রিকমেনডশন বলতে সাধারনত কাজ কমপ্লিট করেছি এরকম বায়ার বা ক্লায়েন্ট দের  রেফারেন্স হিসাবে ২/৩ টি লাইন কে  রিকমেনডশন বলা হয়। এই রিকমেন্ডেশন থাকলে আপনি অনেক কাজ পাবেন।  ফ্রিল্যান্সার/মার্কেটপ্লেস/আউটসোর্সিং জগতে আপনার প্রোফাইলে যদি পজিটিভ রিকমেনডশন থাকে তাহলে আপনি অনেক কাজ পাবার সম্ভাবনা রাখেন। একজন মানুষ যদি আপনার প্রোফাইলে কোন কাজ দেয় আর আপনি যদি সে সকল কাজ  ১০০% সততার সহিত সম্পূর্ন করেন তাহলে সে আপনার জণ্য ওয়েল উইশ করবে। সে চাইবে আপনি যেনো আরো অনেক ভালো ভালো কাজ পান। ভালো ভালো বা বড় অংকের প্রজেক্টের কাজ পাবার জন্য পজিটিভ রিভিউ এবং পজিটিভ রিকমেনডেশন এর কোন বিকল্প নাই। আপনি যতো পরিমান রিভিউ কামাতে পারবেন আপনার  ততো পরিমান বায়ার জুটবে। আর যদি আপনি পাগলের মতো কাজ করা শুরু করে দেন তাহলে আপনি ১/২ টা ব্যাড রিভিউ কাইয়া যাইতে পারেন। যদি ১/২ টাও ব্যাড রিভিউ জুটে যায় তাহলে আর কাজের ক্ষেত্রে আপনাকে কেউ ১ নম্বর প্রেফারেন্স দিবে না। সে আপনাকে সেকেন্ড ক্যাটাগরিতে রাখবে। আর বর্তমানে ফ্রিল্যান্সার/মার্কেটপ্লেস/আউটসোর্সিং জগতে কাজ করতে যাইয়া বিনা কারনে আপনার শত্রু জুটে যাবে। যেমন কয়েকদিন আগে একটি ঘটনার কথা বলি: 

একজন সুন্দরী মেয়ে ইন্টারনেটে তথাকথিত লাইভ ক্লাসের মাধ্যমে কাজ শিখে একটি ব্যাচে বন্দী হয়ে। মেয়েটি মন মানসিকতা অনেক ভালো। সে যথারীতি টাকা দিয়ে এই ধরনের পেইড লাইভ ক্লাসে এনরোল হয় - ১৫০০০ টাকা খরচ করে। কয়েকটি চিটিং ক্লাস করানোর পরে মেয়েটিকে ছেড়ে দেয়া হয়। সে যথারীতি অথৈ সাগরে পড়ে যায়। আমার সাথে পরিচয় হয়। সে আমাকে এ টু জেড সব কিছু খুলে বলে। আমি তাকে মেন্টালি সাপোর্ট দেবার চেষ্টা করি। সে পরে ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা করে এবং নিজে নিজে চেষ্টা করে একটা মার্কেটপ্লেসে কয়েকটা রিভিউ জোড়াগ করে ফেলে। কিন্তু সে যখন তার প্রোফাইলে রিভিউ পায় তখন তার ব্যাচমেটরা ঈর্ষান্বিত হয় এবং তাকে একজন জর্ডান বা এই ধরনের কোন দেশ থেকে হায়ার করে তার পরিচিত। কাজ করায় এবং যাবার সময়ে একটা ব্যাড রিকমেন্ডশন দিয়ে যায়। মেয়েটা ভেংগে পড়ে। সে কাস্টমার কেয়ারে কন্ট্রাক্ট করে এবং পরে সেই ছেলেটার রিকমেনডেশনটা ডিলেট হয়ে যায়। তো তার মন কারাপ হয়। প্রোফঅইলেও একটা দাগ পড়ে এবং তার নিজস্ব আইডি কার্ড  নাই। ফলে সে তার নিজস্ব প্রোফাইল ব্যবহার করে না। সে ব্যবহার করে তার মায়ের ডিটেইলস। এইভাবে সে প্রোফাইলের মাধ্যমে যা কিচু বালো করার চেষ্টা করতাছিলো তার থেকে লোকাল কাজ করেও তার ক্যারিয়ার চলতেছিলো। কিন্তু তাকে যে ধাক্কাটা দেয়া হরো প্রথমে ২ বার- একবার ১৫০০০ টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়াতে যেখানে সে নিজে চেষ্টা করে ইউটিউব ভিডিও ঘেটে ঘেটে কাজ শিখেছে আর দ্বিতীয়ত  ব্যাডলি রিকমেন্ড করা- এই দুইটা বিষয়েই সে মার্ক করেছে এবং তার ক্যারিয়ারের উপরেও কিছুটা প্রভাব পড়েছে। 

তো একটা রিকমেনডেশন আপনাকে অনেক আগাইয়া দিবে। আপনাকে মানসিক ভাবে অনেক শক্তিশালী করবে। আপনি যতো বড় মাপের ফ্রি ল্যান্সার ই হোন না কেনো আপনি যদি পজিটিভ রিভিউ বা থাম্ব বা রিকমেনডেশন যদি আদায় না করতে পারেন বায়ার বা ক্লায়েন্টের কাছ থেকে- তাহলে আপনাকে কেউ তেমন ভ্যালু দিকে না। কারন টাকা আপনি যে কোন বাবেই উপার্জন করতে পারবেন কিন্তু পজিটিভলি কাউকে কাজের মাধ্যমে খুশী করে ইন্টারনেট মার্কেটপ্লেস থেকে ক্লায়েন্ট বা বায়ারের রিভিউ যদি না পান তাহলে আর এইখানে আপনার কাজের কোন ভ্যালূ থাকবে না। আমরা যখন ২০০২ সালে প্রথম মার্কেটপ্লেস ওয়েবসাইট দেখে থাকি তখন ধরে নেই যে এইটা ঝড়ে পড়া ইন্ডাস্ট্রির ছেলে বা মেয়েদের জন্য। তখন কার দিনে ২০০২-২০১১ সাল পর্যন্ত ফ্রিল্যান্সার/মার্কেটপ্লেস/আউটসোর্সিং জগত কে খুব বেশী দাম দেওয়া হতো না। সকলেই মনে করতো এইটা ফাতরা লোকদের ইন্ডাস্ট্রিজ বা ইন্টারনেটে নতুন করে কোন ধান্দাবাজদের চক্র। কারন তার আগেই ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত তৎকালীন চার দলীয় ঐক্যজোটের ক্ষমতা থাকাকালীন বিভিন্ন ধরনের লোক টাকা পয়সা নিয়ে বাল ল্যান্সার, স্কাই ল্যান্সার, ডু ল্যান্সার টাইপের ক্লিকের ব্যবসা থাকাকলীন প্রচুর পরিমান লোকের প্রচুর পরিমান টাকা পয়সা হাতাইয়া নেবার কারনে বাংলাদেশের সমাজে ফ্রি ল্যান্সার রিলেটেড একটা খারাপ প্রভাব ছিলো। সেই প্রভাবটা দূর করতে অনেক অনেক সময় লেগেছে (ধরতে গেলে আপ টু ২০১৩)। যখন এই দেশে আবার সেই খারাপ প্রভাব টা দূর হলো তখন দেখা গেলো যে আবারো নতুন করে টাকা পয়সা নিয়ে ক্লাস করানো এবং ক্লাস নেবার লোকজনের উপদ্রব বেড়ে গেলো এবং সমানে সারা দেশ থেকে সহজ সরল কোমলমতি মানুষের পকেট থেকে টাকা নিয়ে বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থায় আবারো  একটা খারাপ রিকমেনডশন তৈরী করা হলো।  যা দুর করার কোন ইচ্ছা এখন আর মনের মধ্যে কাজ করে না, এইটা তরুন বা নব্য ফ্রি ল্যান্সারদের দ্বায়িত্ব বলে মনে করি- বর্তমান চলমান সরকার যদি ডাক দিয়ে বড় সড় দ্বায়িত্ব ও ধরাইয়া দেয় তাও আমি সেটা রিজেক্ট করবো কারন এই দেশের জন্য কোন কিছু করার সাধ আসলে মিটে গেছে এই একটা ব্যাপার দেখার পরে যে - কাজ কাম শিখে অনার্স/মাষ্টার্স পাশ ছেলে বা মেয়েরা ইন্টারনেটে টাকা চাইয়া বেড়াইাতাছে।আর বর্তমানে রাজনৈতিক সরকার কেও আমি মন থেকে সাপোর্ট ও করি না- আমি সেই ঘরানার না। আমাকে যদি আবারো ভোট দিতে বলেন তাহলে আমি ভোট দেবার জন্য শাহবাগ গনজাগরনপন্থী রাজনৈতিক দলকে এবং তাদের প্রতীককে বেছে নিবো ভোট দেবার জন্য।    ফ্রিল্যান্সার / মার্কেটপ্লেস / আউটসোর্সিং জগতে একসময় বায়ার বা ক্লায়েন্ট রা  বলে দিতো যে: বাংলাদেশী রা যেনো আবেদন না করে। এইটা অনেক বড় একটা অপমানের বিষয় ছিলো সারা দেশের সকল ফ্রি ল্যান্সার দের জন্য। ধরতে গেল বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় ব্যাড রিকমেনডেশন। এর পরবর্তী ব্যাড রিকেমনডশন হইতাছে : বর্তমানে অনেক অনেক কোম্পানী বাংলাদেশে ছেড়ে চলে যাওয়া। যেমন: ক্লিকব্যাংক বা ইউটিউব মনিটাইজেশন প্রোগ্রাম। এর পরের আরো বড় রিকমেনডেশন হইতাছে : বর্তমানে নামিধারী ফ্রি ল্যান্সার দের ইন্টারনেটে টাকা চেয়ে বেড়ানোর  ছলে বলে কৌশলে যে যার কাছ থেকে যেভাবে পারে সেভাবে টাকা আদায় করে যাইতাছে যা বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থায় বড় সড় প্রভাব ফেলাইতাছে। 

যে কোন ব্যাপারে আপনার পজিটিভ ভিউ বা পজিটিভ মেন্টালিটি থাকে তাহলে আপনি জীবেন অনেক লাভবান হবেন। পজিটিভ মেন্টালিটি না থাকলে আপনি পজিটিভলি কোন কাজ আদায় করতে পারবেন না বা কমপ্লিট ও হতে পারবেন না। গতানুগতিক মার্কেটপ্লেস গুলোতে আপনি শুধু ওয়ার্কার হয়ে কাজ করার সিষ্টেম ছিলো আগে। এখন যারা ওয়ার্কার তারাও প্রযোজনে বায়ার হতে পারবে।  এসইওক্লার্ক ওয়েবসাইটে আপনি বায়ার হিসাবে রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবেন বা সেলার হিসাবেও রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবেন। বায়ার হিসাবে রেজিষ্ট্রেশন করে আপনি কয়েকটা অর্ডার সেল করার পরে যে ডলার জমবে সেটা দিয়ে আপনি প্রোডাক্ট ও কিনতে পারবেন। বায়ার হিসাবে আপনি যেমন সেলার কে পজিটিভ থাম্ব এবং গুড রিকমেনডেশন দিতে পারবেন তেমনি সেলার হিসাবেও আপনি বায়ার কে পজিটিভ থাম্ব বা গুড রিকমেনডশন দিতে পারবেন। আপনার পজিটিভ থাম্বের উপরে ডিপেন্ডস করে ভবিষ্যতে কোন সেলার তার সাথে কাজ করবে কিনা তাও ঠিক করে নিতে পারবে। এছাড়াও এসইওক্লার্কে  আপনি সরাসরি ডলার আপলোড করে সার্ভিস কিনতে পারবেন। বায়ার রা যেমন সেলার দের পজিটিভ থাম্ব বা রিভিউ বা রিকমেনডেশন চেক করে তেমনি সেলার রাও বাযারদের পজিটিভ থাম্ব বা গুড রিকমেনডশন চেক করে থাকে- যারা কোয়ালিটি সেলার তারা। একটা রেসিং কার দিয়ে খুব দ্রুত গন্তব্যে পৌছার পর দেখা গেলো: কারটি ভেংগে গেছে। ফেরার কোন উপায় নাই। তো সেই হিসাবে একটি নরমাল কার দিয়ে যদি আপনি আস্তে আস্তে গন্তব্যে পৌছাতেন তাহলে আপনার ফেরারও উপায় থাকতো। ঠিক তেমনি মার্কেটপ্লেসে যদি আপনি তাড়াহুড়ো করে খবু দ্রুত কিছু করতে চান তাহলে হয়তো আপনি গন্তব্যে পৌছাবেন ঠিকই কিন্তু আপনার বাহন ভেংগে  যেতে পারে। আর যদি আপন িবুঝ শুণে আস্তে ধরে আগান তাহলে আপন  হয়তো সারাজীবন ই কাজ করতে পারবেন। আপনি আস্তে ধীরে আগান- প্রতিটা কাজ একুরেটলি কমপ্লিট করেন এবং ক্লায়েন্ট বা বায়ারের কাছ থেকে ১০০% রিকমেনডশন নিয়ে আগাণ।  আমার মতে:   আপনি যদি একুরেটলি কাজ করে থাকেন তাহলে আপনি ক্লাযেন্ট বা বায়ারের কাছে পজিটিভ থাম্ব বা গুড রিকমেনডেশন চাইতে পারেন। এইখানে দোষের কিছু নাই। 

SEOClerks 

সব ফ্রি ল্যান্সার রা যা করবে আমাকেও যদি তাই করতে হয় তাহলে তো আমি আর সামনে আগাতে পারবো না। কারন ফ্রি ল্যান্সার ওয়ার্ল্ডে সামনে আগানোর মুল টিকস হইতাছে: আপনার নিজস্ব একটা টেকনিক। আপনি যদি আর ১০ জন ফ্রি ল্যান্সার কে ফলো করেন তাহলেও আপনি সফল হতে পারবেন কিন্তু আপনি হয়তো তৃপ্তি পাবেন না। কিন্তু আপনি যদি আপনার পারসোনাল একটি টেকনিক নিয়ে আগান তাহলে আপনি সফলতার সাথে সাথে তৃপ্তি ও পাবেন। ক্লায়েন্ট বা বায়ার বুঝবে না এরকম কোন টেকিনক অবলম্বন করে যদি ক্লায়েন্ট বা বায়ারকে সাময়িক ভাবে ধোকা দিয়ে থাকেন তাহলে আপনি মনে রাখবেন যে আপনি আপনার দেশের পতাকাকে ধোকা দিলেন । পরবর্তীকালে ক্লায়েন্ট বা বায়ার আর কখনো বাংলাদেশী সেলারকে হায়ার করবে না কারন পতাকাট তার চোখে লেগে থাকবে। আর আপনি হয়তো ১০-১০০ উপার্জন করতে যাইয়া একটি ক্লায়েণ্ট কে ই নষ্ট করে দিলেন। সেই সাথে বাংলাদেশেল পতাকারও দুর্নাম ও বয়ে নিয়ে আসলেন। একজন সেলার বা ওয়ার্ক ার বা ইন্টারনেট প্রফেশনাল যখন সারা বিশ্বে কোন না কোন বায়ার বা ক্লায়েন্টের সাথে যে কোন প্রজেক্টে কাজ করে থাকে তখন তাকে কয়েকটা বিষয় মাথাতে রাখতে হয় যা পরবর্তীতে গুড রিকমেনডেশণ আনতে সাহায্য করে: 

  • আপনার প্রোফাইলের সব তথ্য রিয়েল কিনা?
  • সেকানে প্রদর্শিত বাংলাদেশের নাম বা সুনাম আপনি রক্ষা করতাছেন কিনা?
  • কাজাটাতে আপনার পারসোনাল বা দেশের কোন ক্ষতি হইতাছে কিনা?
  • আপনি কোন ধরনের চিটারি বা বাটপারির সাহায্যে ক্লায়েন্ট কে ধোকা দেবার চেষ্টা করতাছেন কিনা?
  • কাজটা আপনার প্রোফাইরেল জন্য গুড রিভিউ আনবে কিনা?
  • কাজটা আপনার প্রোফাইলের জন্য গুড রিকমেনডেশন আনবে কিনা?
  • আপনি কাজটা ১০০% একুরেটলি করতে পারবেন কিনা? 
  • কাজটা কমপ্লিট করার পরে আপনার দৈহিক, মানসিক বা শারিরীক, সামাজিক, অর্থনৈতিক বা দৈশিক কোন ক্ষতি হবে কিনা?
  • একটা গুড রিভিউ বা পজিটিভ থাম্ব পাবার জন্য আপনি চাইলে একটু কমদামে হইলেও কাজ শুরু করতে পারেন বা কাজটা কমপ্লিট করতে পারেন। কার কাজের সাথে সাথে পজিটিভ থাম্ব বা গুড রিকমেনডেশন ও অনকে মূল্য রাখে। 
  • যে ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করতাছেন সে মার্কেটপ্লেসে ১০০% ভেরিফায়েড কিনা?
  • যদি কখনো ক্লায়েন্টের প্রয়োজনে ক্রেডিট কার্ড এক্সস করতে হয় তাহলে সেটা পরবর্তীতে কোন সমস্যা আনবে কিনা?
  • আপনি কি মার্কেটপ্লেসে কোন ভ্যক্তিগত তথ্য আদান প্রদান করতাছেন কিনা? 
  • আপনি কিভাবে ক্লায়েন্ট কে পাইলেন কাজ শেষে জিজ্ঞাসা করে নেয়া?

No comments:

Post a Comment

Thanks for your comment. After review it will be publish on our website.

#masudbcl