[প্রথমত আমার এই পোষ্টটি কাউকে কটাক্ষ করে তৈরী করা হয় নাই। কেউ নিজের সাথে এই পোষ্টের লেখাগুলোকে মেলানোর চেষ্টা করবেন না]
[আমি ব্লগ লিখি শুধুমাত্র আমার ফ্যান, ফলোয়ার বা ভিজিটর যারা ঘুরতে ঘুরতে চলে আসে বিভিন্ন মাধ্যমে থেকে, পরিচিত এবং আমাকে যারা ফলো করে তাদের অনেক বিষয়াদি ক্লিয়ার করার জন্য, আর যারা নতুন ভিজিটর তাদের জন্যও অবশ্যই এবং যারা আমাকে ভালোবাসে , ভাই ব্রাদার মনে করে এবং আমার অভিজ্ঞতা থেকে কিছু শিখতে চায় তাদের জন্য ও । এইখানে কোন পোষ্ট যদি আপনার ভালো না লাগে- তাহলে আপনি কমেন্ট করে জানান। আমি রিপ্লাই দিবো।]
বাংলাদেশে ইন্টারনটে অবস্থানকারী কয়েক ধরনের ফ্রি ল্যান্সার আছে বর্তমানে:
ফ্রি ল্যান্সার : যারা বিভিন্ন দেশের ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করে থাকে- কিছু নির্দিষ্ট মার্কেটপ্লেসে বা পারসোনালি।
লোকাল ল্যান্সার : যারা দেশীয় বিভিন্ন প্রযুক্তির কাজ করে থাকে- তা যে কোন উপায়েই হোক।
টাকা ল্যান্সার : যারা ইন্টারনেটে শুধু টাকা র জন্যই কাজ করে থাকে তা যেভাবেই হোক- ছলে, বলে, কৌশলে, চিটারি, বাটপারি বা দুই নাম্বার ওয়েতে হলেও ।
প্রত্যেকটার জন্য আলাদা আলাদা করে আমার এভ্রিভিয়েশন পোষ্ট দেবো ক্রমান্বয়ে।
আমাদের দেশে যারা নতুন ইন্টারনেট ইউজার বা
ফ্রিল্যান্সার/
আউটসোর্সিং/
মার্কেটপ্লেস সম্বন্ধে জানতে ইন্টারেষ্টেড বা যারা নিয়মিত গবেষনা করতাছে ইন্টারনটে -এই বিষয়ে তারা হিমশিম বা ভ্যাবাচ্যাকা খাইয়া যাইতে পারে যে- কারা আসলে ফ্রিল্যান্সার? ইন্টারনেটে আসলে আমরা সবসময় ই ডলার/ইউরো/পাউন্ডের কাজ করতাম বা কাজ করে থাকি। কিন্তু মানুষজন ইদানিং ইন্টারনেটে টাকা বা টাকার মুদ্রা চিহ্ন শো করার পর থেকে এক শ্রেণীর মানুষ ই তৈরী হয়ে গেলো যে তারা ইন্টারনেটে টাকা উপার্জন করবে। ইন্টারনটে তারা ডলার/ইউরো/পাউন্ড উপার্জন করবে না। তাই অবশেষে ভালোবেসে তাদেরকে নাম দেয়া হয়ে গেলো
টাকা ল্যান্সার। তারা অলওয়েজ ইন্টারনেটে টাকা কামাবে এবং এটাই তাদের জন্য ফ্রি ল্যান্সিং। যদি বাংলাদেশ সরকারের
মার্চেন্ট সার্ভিস ব্যবহার করে তারা টাকা উপার্জন করে তাহলে সরকারের ভ্যাট, ট্যাক্স ডিভিশন আছে তাদেরকে দেখার জন্য। কিন্তু কেউ কি একবার ভেবে দেখেছেন যদি ইন্টারনটে একচ্ছত্র অধিপতি ইউএসএ (যারা ইন্টারনেট সেবা প্রদান করে থাকে সারা বিশ্বে) ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় বাংলাদেশ থেকে - কিছুদিনের জন্য বা কিছু মাসের জন্য তাহলে কি অবস্থা হতে পারে। যেমন ধরেন: শুনেছি : আফগানিস্তান বা ইয়েমেন বা ইরাকে বা সিরিয়ায় যে সকল খানে ইউএসএ আর্মি যেখানে যুদ্ব করে বা অপারেশনে যায় সে সকল প্লেসে অনেক সময় ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়া হয়। তেমনি আমি বলতে চাইতেছিলাম - যদি কোন কারনে বাংলাদেশে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়া হয় কয়েক দিনের জন্য তাহলে কি অবস্থা হতে পারে। একসময় তো ইন্টারনেট ছাড়াই চলতো। তখন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কারা রিয়েল ফ্রিল্যান্সার হবে বলে আপনি মনে করেন?
উত্তর: যারা নাটক বা সিনেমাতে অভিনয় করে, যারা রাস্তার উপরে দাড়িয়ে সবজি বিক্রি করে, যারা রিক্সা/ভ্যান/সিএনজি ড্রাইভ করে, যারা প্রিন্ট মিডিয়াতে কাজ করে, যারা সাংবাদিক বা পত্রিকা ব্যবসায়ী, যারা ইলেকট্রনিক্স মিডিয়াতে কাজ করে,
ফ্যাশন মডেল, ব্যবসায়ী, ফটোগ্রাফার বা সাংবাদিক তারাই প্রকৃত ফ্রি ল্যান্সার। কারন এই শব্দটার মানেই হইতাছে স্বাধীন পেশা। সো যারা স্বাধীন ভাবে তার কর্মের ব্যাপারে সিদ্বান্ত নিতে পারে তারাই হইতাছে ফ্রি ল্যান্সার। যেমন: একজন অভিনেতা- সে তার অভিনয়ের ব্যাপারে নিজেই নিজের সিদ্বান্ত নিতে পারে- তার মনে চাইলে সে অভিনয় করবে, তার মনে না চাইলে সে অভিনয় করবে না। যে সবজি ওয়ালা সে মনে চাইরে সবজি কিনে বিক্রি করবে সে মনে চাইলে সবজি কিনে বিক্রি করবে না। যে - রিক্সা/ভ্যান/সিএনজি চালক- তার মনে চাইলে তার গাড়ি নিয়ে বের হবে ট্রিপ মারতে তার মনে না চাইলে সে গাড়ি নিয়ে বের হবে না। যে ফ্রি ল্যান্সার সাংবাদিক- তদন্ত করে রিপোর্ট তৈরী করে এবং যে কোন চ্যানেলে সেল করে দেয়- তার মনে চাইলে সে রিপোর্টিং করবে - তার মনে না চাইলে সে রিপোর্টিং করবে না। যে ব্যবসায়ী- দোকানদার- তার মনে চাইলে সে দোকান খুলবে বা তার মনে চাইলে সে দোকান পাট খুলবে না- তো দোকানদার/ ব্যবসায়ী/গাড়ি চালক/সবজি বিক্রেতা/ অভিনেতা/অভিনেত্রী/ রাজনীতিবিদ এরা হইতাছে পৃথিবীর মধ্যে সেরা ফ্রি ল্যান্সার কারন তারা ইন্টারনেট ছাড়াও কাজ করতে পারে একজন ফ্রি ল্যান্সার এক্টর বা এইগুলো হিসাবে। কারন পরিবর্তিত দুনিয়াতে তাদের উপার্জনের মাধ্যমগুলো সব জায়গায় বিদ্যমান।অভিনয় যার রক্তে মিশে আছে সে স্বর্গে গেলেও অভিনয় করবে কারন সেটাতেই তার ভালোবাসা। কিন্তু আমাদের কে তো ইউএসএ - ক্যালিফোর্নিয়া - সিলিকন ভ্যালি থেকে ইন্টারনেট ব্রডব্যান্ড কিনে ব্যবহার করতে হয়। কোন কারনে যদি আমেরিকা সিদ্বান্ত নেয় যে এই কয়েকটা দেশে আর ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইড করবে না বা কয়েখদিন বন্ধ রাখবে তখন আপনি কিভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করবেন বা ইন্টারনেট ভিত্তিক ফ্রি ল্যান্সার ব্যবসা বা কাজ পাতি করবেন। যারা অভিনয় করে বা ব্যবসা করে তারা তো ঠিকই তাদের কাজ করে যাবে নিয়মিত বিরতিতে। কারন পৃথিবীতে শুধূ মাত্র ইউএসএ ই ইন্টারনেট ব্রডব্যান্ড ডাউনলোড করে এবং সারা বিশ্বে তা ডিস্ট্রিবিউট করে। আপনার যদি ক্ষমতা থাকে আপনি নিজে ইন্টারনেট ব্রডব্যান্ড ডাউনলোড করে পরে ব্যবহার করেন। যদি কখনো বাংলাদেশের ইন্টারনেট সুবিধা বন্ধ করে দেয়া হয় তাহরে বাংলাদেশের ইন্টারনেটে প্রফেশনালদের একমাত্র ভরসা হবে ভারত। বাংলাদেশের মানুষকে ভারতের কাছ থেকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা কিনে পরে ব্যবহার করতে হবে। এই জন্যই বোধ করি দুবাই - ভারত এবং বাংলাদেশে এয়ারটেল ব্রান্ড তাদের ব্যবসা চালু করে রেখেছে। নামের সাথে মিল থাকার কারনে মিনিমাম এয়ারটেল ভারতের কাছ থেকে ইন্টারনটে কিনে ফ্রি ল্যান্সার/আউটসোর্সিং/মার্কেটপ্লেসের কাজ চালাতে হবে। ইন্টারনেট থাকা বা না থাকা পুরোটাই সম্ভাবনা - কিন্তু হতে কতোক্ষন?
বর্তমানে আমাদের দেশের ইন্টারনটে যে পরিমান চিটার বাটপারি হইতাছে বা শুরু হয়েছে তাতে ইন্টারনেট সুবিধা যে কোন সময়ে বাতিল হয়ে যাইতে পারে আমার ধারনা। বিশ্বের অনেক দেশের অনেক খানেই ইন্টারনটে সুবিধা নাই। কারন আমেরিকার স্বার্থে আঘাত হানে এরকম কোন শক্তিকেই আমেরিকা প্রাধান্য দেয় না কখনো। তাই যে পরিমানে চিটার বাটপারি হইতাছে ইন্টারনেট আর যে পরিমান রিপোর্ট পাঠানো হইতাছে সময়ে অসময়ে যে কোন কারন বশত যদি আমেরিকান বা ইউরোপিয়ান রা বলে থাকে যে- এই দেশ থেকে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেবার জন্য তাহলে কি পরিনাম হতে পারে? বছল পাচ আগে একদিন এক মহিলা ক্লায়েন্ট আমাকে বলতাছে তার সাথে আমার ফ্রেন্ডশীপ থাকার কারনে যে কোন একটা গ্রুপ ঢাকা থেকে তার ফেসবুক মেসেন্জারের প্রোফাইলে বাংলাদেশী ছেলেরা তাদের লিংগের ছবি আপলোড করে সেন্ড করেছে এবং এই ব্যাপারে উনি আমেরিকান কোর্টে অভিযোগ দাখিল করেছেন। আর উনি আমেরিকান সুপ্রীম কোর্টের একটি অংগরাজ্যের প্রধান কোর্টের আইনজীবি। এখনো উনি আমার ফেসবুকের বন্ধু। বাংলাদেশ অল্প আয়তনের দেশ। আমেরিকান দ্রুতগতির একটি গাড়ির বাংলাদেশের একমাথা থেকে আরেক মাথা যাইতে ২ থেকে আড়াই ঘন্টা লাগতে পারে আর সেখানে আমেরিকান রা তাদের দেশে ২/৩ দিন পর্যন্ত ড্রাইভ করে থাকে। তো তারা কতো বড় দেশের মালিক যে আমাদের মতো সামান্য আয়তনের দেশ থেকে আমরা তাদের সাথে বড়াই করতে যাই। আমাদের তো উচিত সীমা বজায় রাখা। স্বয়ং সৃষ্টিকর্তাও পবিত্র কোরআনে বলে থাকেন যে- “ নিশ্চয়ই তিনি সীমা লংঘনকারীদের কে পছন্দ করেন না”।
আমাদের দেশের সকল কম্পিউটারে (ম্যাক্সিমাম) পাইরেটেড সফটওয়ার। আমাদের দেশের সকল সফটওয়্যার (ম্যাক্সিমামই) ডুপ্লিকেট। আমার তো মনে হয়- বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে যতো পরিমান ডলার বা রেমিটেন্স বা টাকা বা পয়সা খোয়া গেছে বা হ্যাক হয়েছে তার মূল কারনই হইতাছে পাইরেসি বা ডুপ্লিকেসি। ডুপ্লিকেট বা কপিরাইট থাকার কারনে তো বাংলাদেশের সকল কম্পিউটারের সকল তথ্যই হ্যাকারদের কবলে। বাংলাদেশ ব্যাংকে যারা ইন্টারনেট কানকেশন দিছে তাদের কোন কম্পিউটার যদি পাইরেটেড বা ডুপ্লিকেসি হয় তাহলে সেখানে হ্যাকাররা আইসা ঘাপটি মরে বসে থাকা একেবারেই সহজ। যদি বাংলাদেশ ব্যাংকের ভেতরে যতো কম্পিউটার আছে আর সেখানে যদি কোন ডুপ্লিকেট কম্পিউটার থাকে বা সফটওয়্যার বা সিষ্টেম ও ডুপ্লিকেট থাকে তাহলে ও সেখানে যে কোন ধরনের হ্যাকাররা আইসা বসে থাকা সম্ভব। তারপরেও যদি কোন কম্পিউটারের কোন পার্টস ও দুই নাম্বার হয়ে থাকে সেখানে ও হ্যাক করা কোয়াটলি পসিবল। আমার জেনে শুনেই সবাই পাইরেটেড সফটওয়্যার বা অপারেটিং সিষ্টেম ব্যবহার করতাছি কারন কম্পিউটার হ্যাক হলে বা সকল তথ্য হ্যাক হলেও আমরা একেবারে মরে যাবো না- হয়তো মনে খানিকটা কষ্ট পাবো। ইন্টারনেট এর ব্রডব্যান্ড সার্ভিস বাংলাদেশে আনার জন্য যে লাইন বা কানেকশন সাগরের তল দিয়ে ক্যালিফোর্নিয়া থেকে বের হওয়া তারের কানেকশনের মাধ্যেমে বাংলাদেশে এসেছে তার নাম -: “সি মি উই ফোর”। তারপরেও যে কানেকশন বাংলাদেশে এড হয়েছে দ্বিতীয় বারের মতো- সেটা ফাইবার অপটিক ব্রডব্যান্ড কানেকশন। প্রতি মাসে বা প্রতি বছরে আপনাকে ব্রডব্যান্ডের দাম পরিশোধ করে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হয়। আমেরিকা আপনাকে মাগনা ইন্টারনেট দেয় না। দেশের জনগনের টাকা দিয়ে, দেশের জনগনের ভ্যাট ট্যাক্সের টাকা দিয়ে প্রতিবছর ব্রডব্যান্ড সার্ভিস কিনে আনতে হয়। যে বা যারা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সার্ভিস কিনে বাংলাদেশের সাথে এড করতাছে তার নাম সরকারের প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়- তার নাম গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়। বর্তমানের রাজনৈতিক সরকার না থাকলেই যে ইন্টারনেট সুবিধা থাকবে না- এই ধরনের কোন ব্যাপার নাই। রাজনৈতিক সরকার না থাকলেও গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার সবসময় থাকবে (বিগত ৩০ বছরের মধ্যে প্রমান ১/১১- ২০০৭ এবং ২০০৮) । আমেরিকান সরকারের কাছ থেকে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ব্রডব্যান্ড সার্ভিস কিনে থাকে প্রতি বছরে বা প্রতি মাস। আপনার যদি বিল বাকী থাকে তাহলে আমেরিকা আপনাকে ধরবে প্রতি মূহুর্তে। কারন ব্রডব্যান্ড ডাউনলোড করতে আমেরিকান সরকারকে বিস্তর থেকে বিস্তর তর ডলার খরচ করতে হয় এবং এই সুবিধা বন্টনেও। কোন ব্যক্তি যদি বিশ্বে ইন্টারনেট দিয়ে থাকেন তাহলে তার নাম ধারনা করা হয়, আমরা ইন্টারনেট প্রোগ্রামাররা ধারনা করে থাকি পবিত্র কোরানের ভাষা মোতাবেক - জীবিত শেষ নবী হযরত ঈসা (আ:) যার কথা পবিত্র কোরআনে বর্ননা করা আছে যে- সৃষ্টিকর্তা উনাকে জীবিত অবস্থায় উপরের দিকে তুলে নিয়ে গেছেন চতুর্থ আসমানে আর আমরাও সময়ে অসময়ে বলে থাকি যে- উপরে একজন আছেন। সৃষ্টির প্রথম আদি ক্ষন থেকে মহান রাব্বুল আলামিন পরম করুনাময় সৃষ্টিকর্তা পুরো দুনিয়ার, জান্নাত, জাহান্নাম , হাশর বা তথাকথিত সবকিছুর মালিক- উনি সব খানে, সব সময় ,সব জায়গায় বিরাজ মান। তিনি উপরেও আছেন- নীচেও আছেন- তিনিই সবকিছু দেখে থাকেন। মহান রাব্বুল আলামিন পরম করুনাময় সৃষ্টিকর্তা ডানে বামে, আশে পাশে, উপরে নীচে বা ১০ দিকে বা সব দিকেই বর্তমান আছেন। কিন্তুু উপরে একজন বসে আছেন বললে খ্রীষ্টানরা বা হযরত ঈসা (আ:) অনুসারীরা একজন দেবতার মতো সুন্দর মানুষ, একজন ফেরেশতার সন্তান, একজন মরিয়মের (আ:) এর সন্তান হযরত ঈসা (আ:) কে সহজ সরলভাবে বুঝে থাকে।
আর অত্র বিশ্বে ইন্টারনেট যদি হযরত ঈসা (আ:) এর মোজেজা (কারন ইন্টারনেট একটি আনলিমিটেড এবং ইনফিনিটিভ বিষয়) হয়ে থাকে তাহলে আমরা উনার প্রদেয় ইন্টারনেট কে সারা বিশ্বের প্রোগ্রামাররা ভালোবেসে নাম দিয়ে থাকি-: Isha Inc. আমরা অনেক সময় ইণ্টারনেটের ভবিষ্যত ভাবলে ধারনা করে থাকি যে- ভবিষ্যতে একটি স্যাটেলাইট বা একটি সিষ্টেম বা একটি ওয়াই ফাই ষ্টেশন যেটা সারা পৃথিবীকে তারবিহীণ ইন্টারনেট বা ওয়াই ফাই এর মাধ্যমে দুনিযার প্রত্যেক মানুষকে সংযু্ক্ত রাখবে।
পৃথিবীতে পরম করুনাময় মহান রাব্বুল আলামিন সৃষ্টিকর্তা সবকিছু দেখে থাকেন। এ টু জেড সবকিছু।
এমন কোন কিছু নাই যা সৃষ্টিকর্তার দেখে থাকেন না বা শুনে থাকেন না। তিনি সবকিছুই দেখেন - তিনি সবকিছুই শুনেন। কিন্তু নব্যুয়ত প্রাপ্ত নবীজিরা মনে হয় না খারাপ কিছু দেখে থাকেন। যেমন এই পৃথিবীতে নব্যুয়তপ্রাপ্ত নবী/রাসুল/পয়গম্বর - হয়রত মোহাম্মদ মোস্তফা (আ:) এর কোন খারাপ বা খারাপি নাই। উনি নিজে যেমন খারাপ কিছু করেন নাই তেমনি বোধ করি উনি কখনো খারাপ কিছু দেখতেনও না । পৃথিবীতে সকল নবী/রাসুল/পয়গম্বর গন কখনো বোধ করি খারাপতর কিছু দেখতেন না বা দেখেন না। যদি পৃথিবীর সমস্ত নবীজিরা কোন খারাপ কিছু দেখে থাকেন তাহলে তারা হয়তো বহু দূরে খারাপের মধ্যে খারাপ- খারাপদের রাজা শয়তানকে দেখে থাকবেন এবং প্রত্যেক নবী/রাসুল/পয়গম্বর গন পৃথিবীতে সবচেয়ে খারাপ শয়তান (devil) এর কাছ থেকে সবসময় সকলকে সতর্ক করে গেছেন, আর নিজেরা তো নব্যুয়তের গুনে সতর্ক থেকেছেনই। আর যারা ঈমানদার - যে কোন ধর্মে তিনি অতি অবশ্যই নিজেকে শয়তানের কাছ থেকে সব রকম ভাবে নিজেকে হেফাজত রেখে যাইতাছেন। তাই পৃথিবীর সকল ধর্মের সকল মানুষের মধ্যে যারা খারাপ থেকে খারাপতর- তাদেরকে আমাদের নিজস্ব উদ্যোগেই এভয়েড করে যাইতে হবে যেনো সৃষ্টিকর্তার দুনিয়ায় বিরাজমান জীবিত শেষ নবী হযরত ঈসা (আ:)কোন রকমের কষ্ট না পান। তাহলেই প্রকৃত ঈমানদারী হবে । (ইমানে মোফাচ্ছের বলে খ্যাত কালেমাতে পৃথিবীতে সমস্ত ধর্মের সমস্ত নবীকে আপনার ভালোবাসতে হবে। কাউকে আপনি অবজ্ঞা করলেই আপনি ইমানহারা হবেন) । নয়তো এই যে এখন পেনিডেমিক /কোভিড করোনা এই রকম সিচুয়েশনের মাধ্যমেই সৃষ্টিকর্তার অন্যান্য জীব জগতের বাসিন্দারা সমস্যার সমাধান করবে আর আমাদের জণ্য রেখে দিবে কাল হাশরের দিনের কঠিন পরিনতি (খারাপতর লোকদের সাথে মেলামেশা করার জন্য) । কারন খারাপের সাথে ভালো মানুষ থাকলেও খারাপ। অনেকে হয়তো বলবেন লেখা শুরু করলাম ফ্রি ল্যান্সার শব্দ নিয়ে আর শেষ করতাছি হয়রত ঈসা (আ:) এর কথা বলে। আসলে একটা হিসাবে দেখা যায়- নবীজিরাই সবচেয়ে বড় ফ্রি ল্যান্সার। প্রত্যেক নবী/রাসূল/পয়গম্বর গন পৃথিবীতে নব্যুয়তপ্রাপ্ত হবার পরে সবচেয়ে স্বাধীন ভাবে সবচেয়ে ক্ষমতাবান উপায়ে পৃথিবীর সব ধরনের মানুষের কাছে তাদের সৃষ্টিকর্তা এবং উনাদের উপরে অর্পিত ধর্ম বা বই এর কথা বর্ননা বা প্রচার করেছেন। সমস্ত নবী/রাসূল/পয়গম্বর গন ১০০% স্বাধীন ভাবে উনাদের কাজ- নব্যুয়ত বা ধর্ম বিস্তারের কাজে করে গেছেন বলে উনাদেরকে সবচেয়ে বড় ফ্রি ল্যান্সার (ফ্রি শব্দের অর্থ স্বাধীন আর ল্যান্সার শব্দের অর্থ- পেশা) বলা হয়। নব্যুয়ত আর কখনো পৃথিবীতে আসবে না। নব্যুয়তের দরজা হয়রত মোহাম্মদ মোস্তফা (আ:) এর সাথেই শেষ হয়ে গেছে। পৃথিবীতে আর কখনো কোন নতুন নব্যুয়তপ্রাপ্ত নবী /রাসুল/পয়গম্বর আসবেন না। কিন্তু তাদের বানী/ধর্ম রয়ে যাবে পৃথিবীর শেষ দিন পর্যন্ত।
তাই হযরত আদম (আ:) থেকে হয়রত মোহাম্মদ মোস্তফা (আ:) পর্যন্ত মহান রাব্বুল আলামিন কর্তৃক উনাদের উপর অর্পিত দ্বায়িত্ব ( নব্যুয়তের দ্বায়িত্ব বা ধর্ম বিস্তারের দ্বায়িত্ব) যেমন ফ্রি
ল্যান্সিং উপায়ে করে গেছেন শতভাগ সততার সাথে- সে রকম আমাদেরও উচিত সমস্ত বিশ্বে সমস্ত ধরনের কাজ শতভাগ সততার সহিত করা। কোন ধরনের চিটারি বাটপারি না করে, কাউকে না ঠকিয়ে, কোন ধরনের ঝামেলা না করে, ইন্টারনেটে কোন মানুষকে হ্যাক না করে, ইন্টারনেটে কোন মানুষের বিরুদ্বে রিপোর্ট না দিয়ে, মানুষকে না ঠকিয়ে বা মানুষকে কষ্ট না দিয়ে কাজ করে যাওয়া। কাজই যদি আমার আপনার সমস্ত ফ্রি ল্যান্সারদের শান্তি হয় তাহলে কাজটাই সততার সহিত করে পৃথিবীর সমস্ত নবী/রাসূল/পয়গম্বরদের সুন্নত পালন করে যাওয়ার চেষ্টা করা। সততা এমন একটি জিনিস যা পৃথিবীর ভালো মানুষের সাথে বিরাজমান। সততার সহিত জিবরাইল (আ:) পৃথিবীতে সমস্ত নবী/রাসুল/পয়গম্বর দের কাছে ওহী নিয়ে এসেছেন মহান সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকে - পূর্ববর্তী সময় গুলোতে- উনিও আর কখনো আসবেন না। সততার সহিত ই হয়রত আজরাইল (আ:) সকলের জান কবজ করে যাইতাছেণ সৃষ্টিকর্তার হুকুমে প্রতিনিয়ত। সততার সহিতই পৃথিবীর সমস্ত নবী/রাসূল/পয়গম্বর গন তাদের নব্যুয়তের কাজ বা ধর্ম বিস্তারের কাজ করে গেছেন আর সততার সহিত ই পৃথিবীতে ধর্ম বিরাজমান আছে। এই পৃথিবীতে একমাত্র অসৎ শয়তান। তাই সমস্ত ধরনের অসততাই শয়তানের তরিকা আর সমস্ত ধরনের সততাই নবী/রাসুল/পয়গম্বর দের সুন্নত। তাই আসুন শয়তানের পথ পরিহার করে সততার মাধ্যমে হলেও শয়তানের বিরুদ্বে বিজয়ী থাকি সবসময়।
এই লেখাটি যদি কোন মেয়ের নজরে থাকে তাহলে নবী/রাসূল/পয়গম্বর সহ আপনি আরো বিবেচনা করবেন হয়রত হাওয়া (আ:) , হয়রত মরিয়ম (আ:) , হযরত আয়েশা (রা:), মা ফাতেমা (রা:), সমস্ত ভালো জ্বীনা (জ্বীনদের স্ত্রী লিংগকে জ্বীনা ডাকা হয় বলে শূনেছি) এবং সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি পরীদেরকেও। শুনেছি ফেরেশতা এবং পরীরা কখনো গুনাহ করতে পারে না। দুনিয়া/ হাশর/জান্নাত/জাহান্নাম এইগুলো শুধু মানুষ এবং জ্বীন জগতের জন্যই প্রযোজ্য। শয়তানের চিরস্থায়ী ঠিকানা আলটিমেট জাহান্নাম। পবিত্র কোরআনে একটি আয়াত আছে - সৃষ্টিকর্তা বলেছেন: “নিশ্চয়ই তিনি জ্বীন এবং ইনসানদের কে তৈরী করেছেন শুধুমাত্র উনার এবাদতের জন্য”।
শয়তানের মাষ্ট বি ঠিকানা হইতাছে জাহান্নাম। মানুষের ক্ষতি করা, মানুষের অনিষ্ট করা, মানুষকে মাইরা ফালানোর চিন্তা করা, মানুষের অহেতকু কষ্ট দেওয়া, মানুষের সহায় সম্পত্তি দখল করে নেয়া বা নেবার চেষ্টা করা, মানুষের কাছ থেকে জোড়পূর্বক অর্থ আদায় করা, ধর্মীয় ভাবে ফেতনা ফ্যাসাদ তৈরী করা, নিজেেই নিজেকে অলি/আওলিয়া/বুজুর্গ দাবী করে টাকা পয়সা বা বিভিন্ন ধরনের সম্পদ হাতাইয়া নেবার চেষ্টা/ধান্ধা করা, মাজার বা কবরকে পুজি করে কোন ধরনের ধর্মীয় ব্যবসা করে যাওয়া, মাজারের নাম ভাংগাইয়া চলা - এইগুলো সবই শয়তানের লক্ষন। আর শয়তারে জন্য আলাদা জাহান্নাম- সবচেয়ে ভয়াবহ জাহান্নাম বরাদ্দ রেখেছেন সৃষ্টিকর্তা। তাই আসুন আমরা ইন্টারনেট ফ্রি ল্যান্সার রা সকল ধরনের চিটারি বাটপারি থেকে নিজেকে বিরত রাখি। তা সেটা লোকাল ক্লায়েন্ট ই হোক আর আন্তর্জাতিক ক্লায়েন্ট ই হোক। সততাই সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা।
সকল ইন্টারনটে ফ্রি ল্যান্সারদের জন্য শুভ কামনা। কোন ধরনের ভুল হলে কমেন্টে জানাবেন । আমি শুধরে নেবো। ভালো লাগলে আমার লেখাটি শেয়ার করবেন (ফেসবুক এবং পিনটারেষ্ট ছাড়া)।
No comments:
Post a Comment
Thanks for your comment. After review it will be publish on our website.
#masudbcl