Translate

Tuesday, October 6, 2020

বাংলাদেশে ফ্রি ল্যান্সার দের অন্যতম উপার্জন- এডাল্ট ডেটিং বা এফিলিয়েট মার্কেটিং।

[কোন ফ্রি ল্যান্সার কে কষ্ট দেবার জন্য বা কােরো মনে আঘাত দেবার জন্য আমার এই লেখা না। শুধূ বাস্তব অবস্থা এবং বাস্তবতা ফুটিয়ে তোলা্ বা সকেলকে বোঝানোই এ লেখান প্রধান উদ্দেশ্য। যদি গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার সকল শিক্ষিত ছেলে বা মেয়েদের ভরন পোষন নিতে পারতো বা ভালো কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতো তাহলে নিশ্চয়ই এ শিক্ষিত প্রজন্ম এডাল্ট ডেটিং সেকসানের কাজ করতো না।]




Craigslist  সারা দুনিয়ার সবচেয়ে বড় ক্লাসিফায়েড ওয়েবসাইট।এইখানে ক্যাটাগরি অনুযায়ী পৃথিবীর সব প্রোডাক্টের মার্কেটিং করা যায় যা এইখানে আমেরিকার টোটাল সব শহরে শো করা যায়। ক্লাসিফায়েড ওয়েবসাইট বলতে বোঝানো হয় যেখানে সব ধরনের প্রোডাক্ট কে মার্কেটিং করা যায় বা স্পেসিফিক কোন প্রোডাক্ট নিয়েও মার্কেটিং করা যায়। ২০১১ সাল পর্যন্ত Craigslist এ কাজ করে অনেকেই অনেক ডলার উপার্জন করেছে। আমেরিকার প্রায় ১০০০ শহর এ এই ওয়েবসাইটের লিষ্টিং ছিলো এবং আমেরিকার সব লোকেরেই খুব প্রিয় ওয়েবসাইট এই Craigslist । এখন অবশ্য ক্লায়েন্টদের কথা তে বোঝা যায় তাার আরো অন্যান্য ক্লাসিফায়েড ওয়েবসাইট নিয়ে তারা কাজ করে। আমাদের দেশে যারা খারাপ প্রজন্ম তারা অনেক সময় ক্লাসিফায়েড শব্দটাকে এভয়েড করে। তারা মনে করে তাদেরকে খারাপ হিসাবে বলা হইতাছে। যারা খারাপ বা যে কোন বিষয়ে অনেক সময় স্পেসিফিক আইডিয়া দেবার জণ্য বলা হয় যে- সেটা ক্লাসিফায়েড। কারন ক্লাসিফায়েড ওয়েবসাইট গুলোতে একুরেটলি আপনি যেটা খুজতাছেন সেটাই পাওয়া যায়। সেজন্য তামাম দুনিয়াতে যে কোন ইনফরমেশন কে আইডেন্টিফাই করার জণ্য ক্লাসিফায়েড শব্দটা ব্যবহার করা হয়। যেহেতু একুরেটলি প্রোডাক্ট খুজে পাওয়া যায় সেহেতু এই ধরনের ওয়েবসাইট গুলোকে ক্লাসিফায়েড নামে অভিহিত করা হয়।  তার মধ্যে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ক্লাসিফায়েড ওয়েবসাইটের নাম Craigslist। 


এই Craigslist এ পোষ্টিং করে বা লিষ্টিং করে বাংলাদেশের ফ্রি ল্যান্সার রা অনেক অনেক ডলার উপার্জন করতো। সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে আর এই ওয়েবসাইটা টা ওপেন হইতাছে না।  সবার উপরে যে ইমজেটা দেয়া আছে সেখানে যদি আপনি ক্লিক করেন তাহলে দেখতে পারবেন Craigslist তাদের পারসোনাল সেকসান টা অফ করে দিছে কংগ্রেসে বিল উত্থাপনের মাধ্যমে। আমি আমার ফ্রি ল্যান্সিং জীবনে কখনো পারসোনাল/রোমান্স সেকসানে কাজ করি নাই বা সেখানে পোষ্টিং করে কোন ধরনের ডলার উপার্জন করি নাই। কিন্তু সারা দেশ থেকে মিনিমাম কয়েক লাখ ফ্রি ল্যান্সার এই পারসোনাল রোমান্স সেকসানে কাজ করে নিয়মিত ডলার উপার্জন করে যাইতাছে। প্রক্সি আইপি বা আরো বিভিন্ন ধরেনর ফ্যাসিলিীটজ ব্যবহার করে আমাদের দেশ সহ সারা বিশ্বে যারা আমেরিকার বাহিরে আছে তারা এই পারসোনাল/রোমান্স সেকসানে দেহ ব্যবসা বা সেক্স চ্যাট বা এডাল্ট ওয়েব ক্যামেরা সংক্রান্ত পোষ্টিং দিয়ে থাকে। যেমন: ধরেন একটা কোম্পানীর নাম ম্যাক্সবাউন্টি।  এইখানে যে এডাল্ট অফার আছে তা যদি আপনি ক্রেইগলিষ্টের পারসোনাল/রোমোন্স সেকসানে পোষ্ট করেন বা লিষ্টিং করেন তাহলে ম্যাক্সবাউন্টি আপনাকে পেমেন্ট দিবে আর সে পেমেন্ট আপনি যে কোন ইন্টারনেট ব্যাংক বা পাইওনিয়ারের মাধ্যমে বাংলাদেশে ব্যাংকের অধিভুক্ত যে কোন প্রাইভেট ব্যাংকে রেমিটেন্স আকারে দেখাতে পারেন। ম্যাক্সবাউন্টি অনেক  এডাল্ট বা ডেটিং অপর সাপোর্ট করে। আর যারা রেমিটেন্স এনছে তারা এডাল্ট ডেটিং মার্কেটিং করে কোম্পানীকে বেনিফিট করে রেমিটেন্স এনেছে আর এইখানে মডেল হলো পৃথিবীর অনেক দেশের যথা সম্ভব সুন্দরী সুন্দরী বা আকর্ষনীয় মেয়েরা। এইটা অনেকটা দেহ ব্যবসায়ীদের একচেটিয়া ব্যবসা। এই খানে শোনা যায় যে- পৃথিবীর প্রত্যেক শহরে (পবিত্র শহর গুলো বাদে)  একটা করে দেহ ব্যবসার ব্রোথেল আছে (সেটা হতে পারে হোটেল, সেটা হতে পারে কোন বিল্ডিং, সেটা হতে পারে কোন এলাকা)।  জীবনে কোনদিন ব্রোথেলে যাই নাই (যতোটুকু দেখেছি মুভিতে বা পেপারে.পত্রিকাতে বা ইউটিউবে)- সো জানি ও না সেখান কার কালচার গুলো কেমন হয় তবে শুনেছি বাংলাদেশের অনেক রথী বা মহারথী কলকাতার বিখ্যাত পতিতালয়ে যাইয়া পড়ে থাকতো- যা পত্রিকা খুজলে পাওয়া যাবে। 




আমি আমার ফ্রি ল্যান্সার/মার্কেটপ্লেস/ফ্রি ল্যান্সার লাইফে কখনো কোন পারসোনাল/রোমান্স সেকসানে কাজ করি নাই। তবে মার্কেটপ্লেসে যদি কোন এডাল্ট ক্লায়েন্ট আসতো এবং কোন এসইও কাজের অফার করতো তাহলে সেটাতে বিড করে কাজ জিতে আনার চেষ্টা করেছি এবং অনেক সময় সবমোট ৪/৫ টা ওয়েবসাইট হোয়াইট হ্যাট এসইও করেও দিয়েছি তবে কোথাও কোন সেক্স মডেলকে সেল করার চেষ্টা করি নাই- যেটাকে এডাল্ট ডেটিং বা এফিলিয়েট মার্কেটিং বলে। মার্কেটেপ্লেসে এডাল্ট সেকসানের কাজ করার কারন হলো- যেটাকে মার্কেটপ্লেস ওয়েবসাইট বৈধ মনে করে সেটাকে আমার ও বৈধ মনে করি। তবে আমার করা ব্রিটেনের একটি বডি ম্যাসেজ রিলেটেড ওয়েবসাইট এখন অনেক পর্নো সাইটেও দেখা যায় - সেই ব্যানার। আমি বুঝি নাই যে সে ওয়েবসাইট এতো পপুলার হয়ে যাবে। মার্কেটপ্লেস ওয়েবসাইটের প্রধান কাজ ক্লায়েন্টের কাছ থেকে ডলার নিয়ে সেটাকে ষ্টকে রাখা এবং সেলার বা ওয়ার্কারকে দিয়ে সেই কাজ করানো এবং  কাজ শেষে সেই ডলার কে বোঝাইয়া দেয়া। এইটা মার্কেটপ্লেসের যে কোন কাজের ক্ষেত্রেই একই হিসাব। বর্তমানে বাংলাদেশে সব পর্নো রিলেটেড ওয়েবসাইট বন্ধ করে রাখা হয়েছে। আমার মতে এইটার কারনে বাংলাদেশে বিডিএসএম (পায়ু পথে সেক্স করা বা দুই জন তিন জন মিলে সেক্স করা, গে বা লেসিবায়ান) - এই ব্যাপারগুলো  এর প্রাধাণ্য বাড়তাছে যা আমাদের মুসলিম ধর্মে এবং দেশে নিষেধ। 






বিশ্বের ম্যাক্সিমাম দেশেই পর্নো ওয়েবসাইট ওপেন করা আছে এবং অনেকখানে ডাক্তার রা বলেও থাকে যে- পর্নো দেখালে মেন্টাল হেলথ বা সেক্সুয়াল হেলথ ভালো থাকে। সেই হিসাবে পর্নো ওয়েবসাইট বন্ধ করে বিডিএস এম কে প্রাধান্য দিয়ে সমানে গুনাহ করে যাইতাছে। সোশাল মিডিয়ার এডাল্ট গ্ররুপ গুলো ঘাটাঘাটি করলে এগুলোর প্রাধান্য দেখা যায়। আবার এমনও আছে প্রক্সি আই পি ব্যবহার করে পর্নো দেখার মাত্রা একই রয়ে গেছে। একোবারে রগরগে বা পর্নো সাইট নিয়ে এডাল্ট মার্কেটিং করে না আমাদের দেশের এডাল্ট ডেটিং লিমেটেড ফ্রি ল্যান্সার রা- যারা এডাল্ট ডেটিং ওয়েবসাইট গুলো নিয়ে কাজ করে সেখানে ট্রিপল এক্স নিয়ে কাজ অনেক কম। যে কাজগুলো আমাদের দেশের ফ্রি ল্যান্সার রা রাত জেগে করে থাকে- একেকটা ওয়েবসাইটের আন্ডারে হাজার হাজার মেয়ে লিষ্টিং করা থাকে যাদেরকে আমরা ব্রোকারেজ ওয়েবসাইট বলে থাকি। সেখানকার মেয়েদের লিংক দেয়া থাকে যেখানে ক্লায়েন্টরা তাদের ক্রেডিট কার্ড এক্সস করে ওয়েবসাইটের মেম্বারশীপ নিয়ে থাকে। তারপরে তারা তাদের পছন্দ মতোন মেয়েদের সাথে চ্যাট করে রিয়েল লাইফে সেক্স করে থাকে। সেজন্য আমাদের দেশের অনেকেই এ ধরনের ফ্রি ল্যান্সারদের দালাল বলে অভিহিত করে থাকে কারন তাদের মার্কেটিং এর জন্য হয়তো ইন্ডিয়ান একজন মেয়ে ইউরোপিয়ানে বা আমেরিকান একজন পুরুষের সাথে বেড সেক্স করে। সেজন্য মেয়েটা কে ও কমিশন দিতে হয় ওয়েবসাইট কে। আর প্রথমে যারা সারা রাত কাজ করে ক্লায়েন্ট কে ওয়েবসাইটে রেজিষ্ট্রেশন করায় তারা ১ ডলার থেকে ৫ ডলার পর্যন্ত পেয়ে থাকে পার সাইন আপে বা সেই সমপরিমান ইউরো/পাউন্ড এ। আমি কখনো এই ধরনের সাইন আপের কাজ করি নাই ফরে ডিটেইলস দেখা হয় নাই তবে যারা কাজ দেয় সারা দেশ জুড়ে এডাল্ট ডেটিং বা মার্কেটিং এর তাদের সাথে কথা বলে জেনেছি। 




উপরের ছবি তে যদি আপনি ক্লিক করেন তাহলে আপনি বিশ্বের অন্যতম সেরা এডাল্ট/ডেটিং অফার  প্রমোট কারী ওয়েবসাইট গুলোতে ঢুকতে পারবেন। সেখানে আবেদন করে যে কোন একটা অফার রিসিভ করে তারপরে আপনি সেটা প্রমোট করার কাজ করতে পারবেন। তাতে আপনি যখন সেই অফারে সারা বিশ্ব থেকে ক্লায়েন্ট বা বায়ার বা ইউজার কে সাইন আপ করাতে পারবেন তখণ আপনার নামে ডলার এড হবে। যখন আপনি অফার প্রমোট করতে যাবেন তখন আপনি অনেক ধরনের পলিসি অবলম্বন করতে পারেন। যেমেন: আপনি এডাল্ট ডেটিং এ্যাপগুলোর সাহায্য নিতে পারেন বা আপনি এডাল্ট ডেটিং  বা ক্লাসিফায়েড ওয়েবসাইটের মাধ্যমে  আপনি সেই অফার প্রমোট করতে পারবেন। তবে আমাদের দেশের ফ্রি ল্যান্সার রা যারা এডাল্ট ডেটিং ইন্ডাষ্ট্রিজ এ কাজ করে তারা সবচেয়ে বেশী যেটা করে সেটা হইতাচে টিম মকে করে সারা রাত কাজ করে । এককটা টিমে ১০-১২ জন সদস্য থাকে মিনিমাম। তারপরে রাথভর চলে এডাল্ট ডেটিং বা প্রমোশন অফার। ২/৩ টা গ্রপের সাথে কয়েকদিন খুব কাছ থেকে তাদের ফুল ডিটেইলস কাজ টা দেখলাম তার পরে দেখলাম যে সকল ক্লায়েন্টরা সাইন আপ করাতছে তাদের সাথে ওয়ার্কার বা সেলার দের বাস্তবে কোন যোগাযোগ নাই। পরে আমার কাছে মনে হলো সংঘবদ্ব হ্যাকার চক্রের কাজ হতে পারে যা আমাদের দেশের সহজ সরল কোমলপতি ছেলেদের বা মেয়েদরে খারাপ চক্রের মাধ্যমে কাজে লাগিয়ে আমাদের দেশে ১২ টা বাজাইতাছে হয়তো বা। আমি ২/১ বার এডাল্ট ওয়েব ক্যম ডেটিং নিয়ে কাজ করেছিলাম কিন্তু ১ ডলারও উইথড্র করতে পারি নাই আজ পর্যন্ত। মূলত আমরা মার্কেটপ্লেস ওয়ার্কার। এইখানে যখন সারারাত জেগে বাংলাদেশের ছেলে বা মেয়েরা চ্যাট করে তারা মূলত জানে না যে তারা কাদের সাথে চ্যাট করতাছে। বেশীর ভাগ সময়েই ক্লায়েন্টদের ছবি বা ইমেইল এড্রেস বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কোন ইনফরমেশন দেয়া থাকে না। ফলে যারা কাজ করতাছে তারা ভাবতাছে ডলার পাইলেই তো হয়। কিন্তু সেই ডলার টা কোথা থেকে বা কার পকেট থেকে আসতাছে তা যদি ডিটেইলস রাষ্ট্র না জানে তাহলে সে ইনকাম টা অবৈধ এবং ধর্ম
মোতাবেক ও অবৈধ। বাংলাদেশের সমাজে সকলেই বলে থাক েযে- সারা রাত জেগে থেকে এডাল্ট ডেটিং বা রোমান্স সেকসান েনিয়ে সাইন আপের কাজ করাটা বৈধ না কারন এইখানে দেহ ব্যবসা কে পুজি করে কাজ করতে হয়। সো এইটা না করাটাই ভালো।

No comments:

Post a Comment

Thanks for your comment. After review it will be publish on our website.

#masudbcl